Tag: cbi

cbi

  • Paresh Adhikary: শনিবার টানা চার ঘণ্টা জেরা পরেশকে, ডাকা হতে পারে আবারও?

    Paresh Adhikary: শনিবার টানা চার ঘণ্টা জেরা পরেশকে, ডাকা হতে পারে আবারও?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিবিআই (cbi) কর্তাদের টানা জিজ্ঞাসাবাদের মুখে পরেশ অধিকারী (Paresh Chandra Adhikary)। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School service commission) শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Teachers recruitment scam) মামলায় আজকের ধরে পরপর তিনদিন তদন্তকারীদের প্রশ্নের মুখে পড়লেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী। 

    বৃহস্পতিবার একপ্রস্ত জেরা করার পর শুক্রবার ফের একদফা জেরা করা হয় তাঁকে। শনিবার হয় আরও একবার। এদিন বেলা এগারোটা নাগাদ তাঁকে জেরা করতে শুরু করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধিরা। নিজাম প্যালেস থেকে বের হন ঘণ্টা চারেক পরে। সিবিআইয়ের একটি সূত্রের খবর, আগামিকাল, রবিবার ফের একবার নিজাম প্যালেসে ডাকা হতে পারে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীকে।

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (ssc recruitment scam) মামলায় তৃণমূল নেতা তথা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে মেয়ে অঙ্কিতাকে অনৈতিকভাবে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এর পরেই কলকাতা হাইকোর্ট তাঁকে  জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেয়। তার পরেও প্রথম নির্দেশে হাজিরা না দেওয়ায় পরেশ ও তাঁর মেয়ে অঙ্কিতার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে সিবিআই।  

    আরও পড়ুন : চাকরি থেকে বরখাস্ত পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা, বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথমবার নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হন পরেশ। সেদিন কয়েক ঘণ্টা জেরার পর ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। শুক্রবার ফের জেরা করা হয় পরেশকে। এদিন প্রায় সাড়ে ছ’ঘণ্টা সিবিআইয়ের প্রশ্নবাণের সামনে বসেছিলেন তিনি। যদিও নিজাম প্যালেসে তাঁকে থাকতে হয়েছিল ন’ ঘণ্টা। শনিবার ফের নিজাম প্যালেসে সিবিআই দফতরে হাজির হন পরেশ। এদিন তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদের পুরো পর্ব এদিন ভিডিওগ্রাফি করা হয়। এসএসসির প্রাক্তন উপদেষ্টা শান্তিপ্রসাদ সিনহার দেওয়া বয়ানের সঙ্গে পরেশের বয়ান মিলিয়েও দেখা হয়।

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে খবর, এদিন বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন পরেশ। বেশ কিছু প্রশ্নের জবাবে ছিলেন নীরব। তাই সন্তুষ্ট নন তদন্তকারীরা। সেই কারণেই রবিবার ফের ডাকা হতে পারে তাঁকে। সিবিআই সূত্রে খবর, কোন কোন প্রভাবশালীর সঙ্গে পরেশের যোগাযোগ রয়েছে, এদিন মন্ত্রীর কাছে তা জানতে চাইতে পারেন গোয়েন্দারা। বাম জমানার মন্ত্রী পরেশ তৃণমূলে যোগ দেওয়ার আগে কোন কোন নেতার সঙ্গে কী কী বিষয়ে তাঁর আলোচনা হয়েছিল, তাও জানতে চাইতে পারেন। নির্দিষ্ট কোনও বিষয়ে পরেশের সঙ্গে তৃণমূলের কোনও রফা হয়েছিল কিনা, তাও জানতে চাইতে পারেন গোয়েন্দারা।  

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu) দাবি করেছিলেন, তিনটি শর্তে পরেশ যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। প্রথম শর্ত, মেধা তালিকায় ওয়েন্টিং লিস্টে না থাকা সত্ত্বেও মেয়ের চাকরি। দ্বিতীয় শর্ত, চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যানের পদ এবং তৃতীয় শর্ত, কোচবিহার লোকসভার টিকিট। তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে এই প্রথম শর্তটি নিয়ে তাঁর সত্যি সত্যিই কোনও আলোচনা হয়েছিল কিনা, রবিবার তা জানতে চাইতে পারেন তদন্তকারীরা।

     

  • CBI: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

    CBI: কয়লা, গরুপাচার, এসএসসি দুর্নীতির তদন্তরত অফিসারকে কেন সরিয়ে দিল সিবিআই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়লা (Coal smuggling case), গরু পাচার (Cattle smuggling case) এবং এসএসসি দুর্নীতির (SSC recruitment scam) তদন্তরত যুগ্ম-অধিকর্তা পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিল সিবিআই (CBI)। তাঁর পরিবর্তে নতুন অফিসারকে সোমবারই বসানো হয়েছে। ১৯৯৫ ব্যাচের হিমাচল প্রদেশ ক্যাডারের আইপিএস এন বেনুগোপাল গতকালই কলকাতা জোনের যুগ্ম-অধিকর্তার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। এদিনই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পত্নী রুজিরাকে জেরার নোটিস পাঠিয়েছে সিবিআই।

    পঙ্কজ শ্রীবাস্তবকে কেন এমন গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সরিয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে তদন্তকারী সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সব মহলে কৌতুহল তৈরি হয়েছে। এনিয়ে অবশ্য ওই যুগ্ম-অধিকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি কিছু বলতে অস্বীকার করেন। সিবিআই সূত্রের খবর, বছর দুই আগেই তাঁকে দিল্লি সদর দফতরে প্রশিক্ষণ বিভাগে বদলি করা হয়েছিল। সেইসঙ্গে কলকাতা জোনের অতিরিক্ত চার্জ ছিল তাঁর কাছে। ইদানীং কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে আটটি নতুন মামলা সিবিআইয়ের হাতে এসেছে। তার মধ্যে এসএসসি দুর্নীতির জাল এতটাই ছড়িয়েছে যে কলকাতায় একজন পূর্ণ সময়ের যুগ্ম-অধিকর্তার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। সেই কারণেই এমন পদক্ষেপ বলে অনেকে মনে করছেন।

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে অভিষেক-পত্নীকে তলব সিবিআইয়ের, আগামীকাল জেরা কলকাতাতেই?

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ভোট পরবর্তী হিংসার প্রায় ৬০টি মামলা, গরু পাচার, কয়লা পাচার, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির মামলার চাপ সামলাতে আরও কয়েকজন অফিসারকে পাঠানো হতে পারে। শুধু এসএসসি দুর্নীতি তদন্ত করতেই যে সংখ্যক অফিসার প্রয়োজন তা কলকাতা জোনের নেই বলে তৃণমূলস্তরের তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন। সংস্থা সূত্রের খবর, এখন থেকে পঙ্কজ শ্রীবাস্তব দিল্লি থেকেই সিবিআইয়ের প্রশিক্ষণ দেখার পাশাপাশি কলকাতার চিটফান্ডের সমস্ত মামলা দেখভাল করবেন। সারদা, রোজভ্যালিসহ চিটফান্ডের সব মামলা এখনও তাঁর হাতেই থাকছে। ২০১৯ সালে সারদা চিটফান্ডের তদন্তের সূত্রেই কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়েছিল সিবিআই। তার নেতৃত্বে ছিলেন পঙ্কজ। নারদা মামলায় চার মন্ত্রীকে গ্রেফতারের নেপথ্যেও ছিলেন তিনি। তাঁর বদলিতে সিবিআইয়ের তদন্তের গতি প্রকৃতি এখন কোনদিকে যায় তা জানতে কৌতুহল তৈরি হয়েছে।

    আরও পড়ুন: কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?

    তদন্তকারী সংস্থার খবর রাখেন এমন অনেকেই জানাচ্ছেন, গত একবছরে সিবিআই বেশ কয়েকটি স্পর্শকাতর মামলা হাতে পেলেও কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারেনি। অনেকেরই মনে প্রশ্ন, কেন অনুব্রত মণ্ডলকে এখনও ছেড়ে রেখেছে সিবিআই! কেন এসএসসি মামলায় হাইকোর্টের রায় আসার পরেও ঢিমেতালে চলছে তদন্তকারী সংস্থা! কেন কয়লা পাচার ও গরু পাচারের আসল মাথাদের ছোঁয়া হচ্ছে না? নতুন পূর্ণ সময়ের যুগ্ম-অধিকর্তার কাঁধে এখন সেই ভার। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একাংশে দাবি, গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত সব শেষ, এবার সম্ভবত ‘অ্যাকশন’ শুরু হবে। 

  • Hanskhali Minor Rape: হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভারও পেল সিবিআই, প্রবল চাপে মমতা-প্রশাসন

    Hanskhali Minor Rape: হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভারও পেল সিবিআই, প্রবল চাপে মমতা-প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বিড়ম্বনার মুখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেতৃত্বাধীন রাজ্য প্রশাসন। বগটুইকাণ্ড ও তপন কান্দু হত্যা-মামলার তদন্তভার আগেই সিবিআইয়ের হাতে তুলে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। বীরভূম গণহত্যা থেকে শুরু করে কংগ্রেস কাউন্সিলর খুন, সব ক্ষেত্রেই মুখ পুড়েছে রাজ্য পুলিশের। এবার নদিয়ার হাঁসখালির ধর্ষণ মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তের দাবিতে উচ্চ আদালতে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা।

    সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে হাইকোর্টে এই মামলায় জনস্বার্থ মামলা দাখিল করেন জনৈক আইনজীবী অনিন্দ্য সুন্দর দাস। এদিকে এই ঘটনায় আরও একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। সেটি করেছেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। হাঁসখালির ঘটনার প্রতিবাদে মৌন মিছিল বের করে বিজেপি। অভিযুক্তদের শাস্তির দাবি জানিয়ে এই মিছিলের ডাক দেয় বিজেপি। নেতৃত্বে স্থানীয় বিধায়ক আশিস বিশ্বাস। পাশাপাশি, বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রীর নেতৃত্বে সাত সদস্যের প্রতিনিধিদল পৌঁছয় গ্রামে। তাঁরা থানায় তদন্তকারী অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন।

    অভিযোগ, গত ৪ এপ্রিল ১৪ বছরের নাবালিকাকে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে মদ্যপান করায় তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সমর গয়ালির ছেলে ব্রজগোপাল গয়ালি ওরফে সোহেল। এর পর সে ও তার বন্ধুরা মিলে গণধর্ষণ করে নাবালিকাকে। রাতে এক মহিলাকে দিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয় সে। এর পর ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে নাবালিকা। কিন্তু নাবালিকাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধা দেয় ব্রজগোপাল। পরে বাড়িতেই মৃত্যু হয় নাবালিকার। 

    রাতারাতি ওই নাবালিকার দেহ জোর করে দাহ করানোর অভিযোগও উঠেছে ওই তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে। পরিবারের দাবি, দ্রুত নাবালিকার দেহ সৎকারে বাধ্য করে ব্রজগোপাল। পুলিশকে এই বিষয় না জানাতে হুমকি দেয় নাবালিকার পরিবারকে। বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার, খুন করে ফেলার হুমকিও দেয় ব্রজগোপাল। জানা যায়, ওই নাবালিকার দেহ গত সোমবার রাতে দাহ করা হয়েছিল বিনা ডেথ সার্টিফিকেটে। ডেথ সার্টিফিকেট ছাড়া কীভাবে দেহ দাহ করা হল তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।

    পরিবারের দাবি, সোমবার রাতে নাবালিকাকে ধর্ষণের পর অসুস্থ অবস্থায় কোয়াক ডাক্তার অসিতকুমার বিশ্বাসের কাছে ওষুধ আনতে যান ওই নাবালিকার পরিবার। আর ফেরেননি। ধর্ষণের জেরে অত্যাধিক রক্তপাতে ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার স্থানীয় শ্মশানে দাহ করা হয় ওই নির্যাতিতা কিশোরীর দেহ। কেরোসিন ঢেলে দাহ করা হয়েছিল। পাশাপাশি প্রমাণ লোপাট করার চেষ্টাও করা হয়েছিল বলে অভিযোগ।

    এই ঘটনার কয়েকদিন পর হাঁসখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করে মৃত কিশোরীর পরিবার। এরপরই মূল অভিযুক্ত ব্রজগোপালকে গ্রেফতারির দাবি ওঠে। রবিবার তাকে গ্রেফতার করে হাঁসখালি থানার পুলিশ। পাশাপাশি অভিযুক্তের বাবা সমীর গয়ালি যিনি পঞ্চায়েত সদস্য, তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। নদিয়া জেলা দক্ষিণের সভাপতি রত্না ঘোষ কর এ প্রসঙ্গে জানান, সমীর গয়ালিকে তৃণমূল দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তবে, সমরের ভাগ্নে দিবাকরকে আটক করেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। 

    এদিন, শ্মশানকর্মী ও কোয়াক ডাক্তারকে রানাঘাট মহকুমা আদালতে পাঠায় পুলিশ। শ্মশানকর্মী করুণা বাউলি ও কোয়াক ডাক্তার অসিতকুমার বিশ্বাসকে পুলিশে আদালতে পাঠায় গোপন জবানবন্দির জন্য।

  • Lalu Prasad Yadav: নতুন দুর্নীতি মামলায় লালু প্রসাদের বাড়িতে অভিযান সিবিআই-এর 

    Lalu Prasad Yadav: নতুন দুর্নীতি মামলায় লালু প্রসাদের বাড়িতে অভিযান সিবিআই-এর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েক সপ্তাহ আগেই জামিনে ছাড়া পেয়েছেন জেল থেকে। ফের নতুন দুর্নীতি মামলায় জড়ালো আরজেডি প্রধান, প্রাক্তন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) নাম। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন জমি নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর বিরুদ্ধে। লালু প্রসাদ যাদবের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত ১৭টি জায়গায় অভিযান চালাচ্ছে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, পাটনা, গোপালগঞ্জ ও দিল্লিতে লালু প্রসাদ, তাঁর স্ত্রী রাবড়ি দেবী এবং মেয়ে মিসা ভারতীর বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। রেলে চাকরি দেওয়ার নামে কম টাকায় জমি ও প্লট কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে এই তিনজনের বিরুদ্ধে। তদন্তের পর লালু ও তাঁর মেয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে সিবিআই।

    প্রসঙ্গত, ২০০৪ থেকে ২০০৯ পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। তিনি যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন, তখন চাকরির বদলে কম টাকায় জমি নেওয়া হয়েছে এমন বহু ঘটনা সামনে এসেছে। আর তার তদন্তেই লালু, রাবড়ি এবং তাঁদের মেয়ের বাড়িতে সকাল থেকে তদন্ত চালাচ্ছে সিবিআই (CBI)।

    মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই পশুখাদ্য কেলেঙ্কারি সংক্রান্ত ডোরান্ডা ট্রেজারি মামলায় জামিন পেয়েছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। ডোরান্ডা কোষাগার থেকে ১৩৯ কোটি টাকা নয়ছয় হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। ১৯৯০ থেকে ১৯৯৫ সালের মধ্যে, ডোরান্ডা কোষাগার থেকে ১৩৯ কোটি টাকা সরানো হয়েছিল। প্রায় ২৭ বছর পর এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে, আদালত এই দুর্নীতি মামলার রায়ে লালুকে দোষী সাব্যস্ত করে। পাঁচ বছরের সাজা হয় লালুর। ফের আবারও একবার এক নতুন দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ালো তাঁর।

     

  • Saigal Hossain: ফের সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন

    Saigal Hossain: ফের সাতদিনের সিবিআই হেফাজতে অনুব্রতর দেহরক্ষী সায়গল হোসেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সাতদিনের সিবিআই (CBI) হেফাজতে অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) দেহরক্ষী সায়গল হোসেন (Saigal Hossain)। গরুপাচার (Cattle smuggling) মামলায় এদিন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করা হয় তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতির দেহরক্ষীকে। দেড় ঘণ্টা ধরে দু’পক্ষের সওয়াল জবাব শোনার পর এদিন সায়গল হোসেনকে ফের ৭ দিনের হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। 

    কেন গ্রেফতার অনুব্রতর দেহরক্ষী, এত সম্পত্তি হল কীভাবে?

    সাতদিন সিবিআই হেফাজতে থাকার পর শুক্রবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে তোলা হয় অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে। কলকাতা নিজাম প্যালেস থেকে সিবিআই আধিকারিকরা সকালে রওনা দেন। আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালতে তাঁকে পেশ করা হয় সাড়ে ১১টা নাগাদ।

    এদিনের শুনানিতে সায়গলের পুনরায় হেফাজতের দাবি পেশ করে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার তরফে বলা হয়, সায়গলের কাছে গরু পাচার মামলার অনেক তথ্য রয়েছে। তাঁর বক্তব্যে বেশ কিছু অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। এছাড়াও আয়বহির্ভূত বিপুল সম্পত্তির হদিশ পাওয়া গেছে সায়গলের কাছ থেকে। ফলে, গরুপাচার মামলায় তদন্তের অগ্রগতির জন্য তাঁকে আরও জেরা করা প্রয়োজন। 

    তদন্তকারীদের একাংশ জানাচ্ছেন, জেলে যাওয়ার আগে এনামুলের সঙ্গে সায়গলের এক বছরে শতাধিক বার টেলিফোনে কথা হয়েছে। তদন্তে দেখা গিয়েছে, এনামুলের ওই ফোনটি নেওয়া ছিল তাঁর এক ভাইয়ের নামে। তিনি স্বীকার করে নেন, তাঁর নামে ফোনটি নেওয়া হলেও সেটা ব্যবহার করতেন এনামুলই। তদন্তকারীদের আরও দাবি, নামে-বেনামে প্রচুর সম্পত্তির মালিক এই সায়গল। সম্প্রতি, বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বিপুল সম্পত্তির হদিশ মিলেছে। সেই সম্পত্তির উৎস কী, তা জানতে তাঁকে হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। দু’পক্ষের সওয়াল-পর্ব শেষে সায়গলকে ফের সাত দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়ে দেন বিচারক। এই মামলার পরবর্তী শুনানি দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ২৪ জুন।

    আরও পড়ুন: অনুব্রত মন্ডলের দেহরক্ষী সায়গলের বোলপুরের বাড়িতে সিবিআইয়ের তল্লাশি

  • SSC scam: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    SSC scam: এসএসসি মামলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিস, শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় এবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদের (WBBSE) দফতরে অভিযান চালাল সিবিআই (CBI)। বৃহস্পতিবার সকাল ন’টা নাগাদ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ছয় সদস্যের একটি দল যায় সল্টলেকের ডিরোজিও ভবনে। তদন্তকারীরা কথা বলেন আধিকারিকদের সঙ্গেও। এদিকে, এদিনই উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহার বাড়িতে হানা দেয় সিবিআই।এদিন সিবিআইয়ের পাঁচ সদস্যের একটি দল যায় তাঁর সার্ভে পার্কের বাড়িতে।

    এসএসসি দুর্নীতির শিকড় অনেক গভীরে। সেই শিকড়ের গোড়ায় পৌঁছতেই এদিন সকালে সিবিআইয়ের একটি দল হানা দেয় সল্টলেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে। কথা বলেন পর্ষদের আধিকারিকদের সঙ্গে। খতিয়ে দেখেন প্রয়োজনীয় নথিপত্রও। কাদের কাদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে, তা জানতে আধিকারিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আধিকারিকরা।

    সিবিআইয়ের একটি দল যখন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের দফতরে অভিযান চালাচ্ছে, প্রায় ঠিক সেই সময়েই অন্য একটি দল হানা দেয় এসএসসির উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদের বাড়িতে। এসএসসি গ্রুপ সি মামলায় শান্তিপ্রসাদ সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে সিবিআই।শান্তিপ্রসাদ ছাড়াও নাম রয়েছে তৎকালীন প্রোগ্রামার সমরজিৎ আচার্য, তৎকালীন চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৌমিত্র সরকার, তৎকালীন সচিব অশোক কুমার সাহা এবং তৎকালীন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের।

    সূত্রের খবর, শান্তিপ্রসাদের বাড়ির সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। শান্তিপ্রসাদের কোথায় কী সম্পত্তি রয়েছে, তাও জানার চেষ্টা করছেন তাঁরা।  

    এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উপদেষ্টা কমিটির পাঁচ সদস্যের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির বিষয়ে খোঁজখবর করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ও আয়কর সংক্রান্ত নথিপত্রও খতিয়ে দেখতে চাইছেন সিবিআই আধিকারিকরা। এই পাঁচজনের নামে-বেনামে গত পাঁচ বছরে কোথায় কত সম্পত্তি রয়েছে, সেই সংক্রান্ত নথিও চাওয়া হয়েছে।

    জানা গিয়েছে, এদিন সার্ভে পার্কের একটি আবাসনের তিন তলায় শান্তিপ্রসাদের বাসভবনে পৌঁছান সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। নথিপত্র দেখিয়ে ফ্ল্যাটে ঢোকেন তাঁরা। পরে বন্ধ হয়ে যায় ফ্ল্যাটের দরজা। তারপর আর দীর্ঘক্ষণ খোলেনি।

    সিবিআইয়ের দাবি, এসএসসি দুর্নীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে শান্তিপ্রসাদের। দুর্নীতি করতেই বেআইনি কমিটি গড়ে তার উপদেষ্টা পদে বসানো হয়েছিল তাঁকে। গোয়েন্দা সূত্রে খবর, শান্তিপ্রসাদের গ্রেফতারি এখন স্রেফ সময়ের অপেক্ষা।

     

  • Anubrata Daughter CBI: হতে পারে জিজ্ঞাসাবাদ, কেন সিবিআই স্ক্যানারে কেষ্ট-কন্যা?

    Anubrata Daughter CBI: হতে পারে জিজ্ঞাসাবাদ, কেন সিবিআই স্ক্যানারে কেষ্ট-কন্যা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুব্রতর পর সিবিআই (CBI)-এর স্ক্যানারে অনুব্রত মণ্ডলের কন্যা সুকন্যা মণ্ডল (Sukanya Mondal)। এবার তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করতে  চায় এই কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (CBI)। তদন্তে নেমে সুকন্যা মণ্ডলের নামে একাধিক সম্পত্তির হদিস পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। আর এরপরেই বাড়িতে গিয়ে সুকন্যার সঙ্গে কথা বলার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।

    আরও পড়ুন: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

    এর আগেই জানা গিয়েছিল যে, সুকন্যা মণ্ডলের নামে দুটি সংস্থা রয়েছে। সেই সংস্থা দুটিতে বহু বেআইনি লেনদেনের খোঁজ পেয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সংস্থাগুলিতে প্রচুর টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছিল। গোয়েন্দাদের দাবি, মেয়ের নাম ব্যবহার করে সংস্থা দুটি চালাতেন কেষ্ট নিজেই। আর এই অনুমান সত্যি কি না তা জানতেই সুকন্যাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাইছেন তাঁরা। রেকর্ড করা হতে পারে তাঁর বয়ানও। 

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) মেয়ের নাম যে দুটি সংস্থার সঙ্গে জড়িয়েছে, তার মধ্যে একটি হল অ্যাগ্রো কেমিক্যাল সংস্থা। ওই সংস্থায় সুকন্য়া মণ্ডলের নামে বেশিরভাগ শেয়ার রয়েছে। এই সব সংস্থাগুলিতে কোনওভাবে গরুপাচার কাণ্ডের টাকা ঘুরপথে ঢুকত কি না, তা খতিয়ে দেখছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। সেই কারণেই এই জিজ্ঞাসাবাদ। সুকন্যাকে কোনও রকম অসুবিধায় ফেলতে চাইছেন না গোয়েন্দারা। তাই সিবিআই অফিসে না ডেকে বাড়িতে গিয়েই সুকন্যা মণ্ডলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চান তাঁরা। 

    আরও পড়ুন: অনুব্রতর বাড়িতে চিকিৎসক পাঠানোর নির্দেশ দিয়ছিলেন কে? এবার বিস্ফোরক দাবি সুপারের

    অনুব্রত কন্যা ছাড়াও আরও ১২-১৫ জন এই মামলায় সিবিআই – এর নজরে রয়েছে। ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছে সিবিআই। মিলেছে তাঁর বিপুল সম্পত্তির খোঁজ। 

    সায়গলের বিরুদ্ধে যে চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে তাতে অনুব্রত মণ্ডলের নাম রয়েছে। সিবিআই গোয়েন্দাদের অনুমান, অনুব্রতর হয়ে বাজার থেকে টাকা তুলতেন সায়গলই। আর এভাবেই তৈরি করেছেন এই বিপুল সম্পত্তি। এখনও পর্যন্ত কেষ্টর দেহরক্ষীর থেকে যে সম্পত্তিগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে সেগুলি হল, ডোমকলে ৩৬টি জমির প্লট (বাজার দর ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকা), বোলপুরে ৭ টি জমির প্লট (বাজার দর ১ কোটি ৫ লাখ টাকা), সিউড়িতে ৭টি জমির প্লট (বাজারদর ৭২ লাখ টাকা), বীরভূমের অন্যত্র পাঁচটি জমির প্লট (বাজার দর ৮৫ লাখ টাকা), নিউটাউন এলাকায় একটি ফ্ল্যাট (বাজার দর ১০ লাখ), বিমানবন্দর নিউটাউন এলাকায় ৩টি ফ্ল্যাট (বাজার দর ৬০ লাখ টাকা), ইলামবাজারে একটি পেট্রোল পাম্প, ২টি লরি, ৩৭ লাখ টাকার গয়না এবং সাড়ে চার লাখ টাকা নগদ। 

     

  • Anubrata Mondal: সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

    Anubrata Mondal: সিবিআই থেকে জেল হেফাজত হতেই কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিনি তৃণমূলের (TMC) বীরভূম জেলা সভাপতি। এক সময় বীরভূমে তৃণমূলের যাবতীয় প্রচার-ফ্লেক্সে জ্বলজ্বল করত তাঁর হাসি মুখের ছবি। অথচ গরুপাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case)  সিবিআইয়ের (CBI) হাতে গ্রেফতার হতেই ফ্লেক্স-ফেস্টুন থেকে হাওয়া হয়ে গিয়েছেন  অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে তারাপীঠ (Tarapith) ছয়লাপ তৃণমূলের ফ্লেক্সে। সেখানে জ্বলজ্বল করছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata) হাতজোড় করা ছবি। তাহলে কি কেষ্ট-‘কলঙ্ক’ ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন তৃণমূল নেতৃত্ব? উঠছে প্রশ্ন।

    ফি বার কৌশিকী অমাবস্যা উপলক্ষে মেলা ভিড় হয় তারাপীঠে (Tarapith)। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে কৌশলে প্রতিবার প্রচারের কাজটি সেরে ফেলে তৃণমূল। এবারও তাই করেছে। তবে ভক্তদের যেটা নজর কেড়েছে, সেটা হল অন্যান্যবার ফ্লেক্স-ফেস্টুনে উজ্জ্বল উপস্থিতি থাকে অনুব্রতর। এবার তিনি নেই। তাঁর বদলে তারা মায়ের ছবির পাশে রয়েছেন দলনেত্রী স্বয়ং!

    তৃণমূলের একটি সূত্রের খবর, ফ্লেক্স-পরিকল্পনা যাঁর মস্তিষ্ক প্রসূত, তিনি তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তথা বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক আদায় কাঁচকলায়। জানা গিয়েছে, ২০২০ সালের ৯ অক্টোবর রামপুরহাট কিষাণ মান্ডিতে আয়াস অঞ্চলের বুথ ভিত্তিক আলোচনার সময় মেজাজ হারিয়ে আশিসকে ‘অপদার্থ’ বলেছিলেন অনুব্রত। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, ফ্লেক্স থেকে অনুব্রতকে মুছে দিয়ে এবার সেই ‘অপমানে’র বদলা নিলেন আশিস। তাঁদের মতে, অনুব্রতকাণ্ডে ফের যাতে দলের মুখ না পোড়ে, তাই তাঁকে ছেঁটে ফেলার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে দলে।

    আরও পড়ুন : সিবিআই হেফাজত শেষ, জেলেই গেলেন অনুব্রত

    রাজনৈতিক মহলের অনুমান যে নিছক কষ্ট-কল্পনা নয়, তার প্রমাণ মিলেছে বৃহস্পতিবারই। এদিন ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসে তৃণমূলের পূর্ব বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা নেতৃত্বকে বৈঠকে ডেকে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, অনুব্রত মণ্ডল নন, এবার থেকে বোলপুর লোকসভার অন্তর্গত পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের দেখভাল করবেন জেলা নেতৃত্বই। এদিনের বৈঠকে অভিষেকের সঙ্গে সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও।

    আরও একটি কারণে তৃণমূলে অনুব্রতকে ছেঁটে ফেলা হতে পারে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। সেটি হল, সিবিআই হেফাজত থেকে অনুব্রত গিয়েছেন জেল হেফাজতে। তদন্ত শুরু করতে চলেছে ইডিও। যার অর্থ, তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের কিছু প্রমাণ মিলেছে।   

    তাহলে কি তৃণমূলে অবসান হতে চলেছে অনুব্রত-যুগের?

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • Sukanya Mondal: টেট পাশ না করেই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি? এবার কাঠগড়ায় কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা

    Sukanya Mondal: টেট পাশ না করেই স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি? এবার কাঠগড়ায় কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরেশ (Paresh Adhikary)-কন্যার অঙ্কিতার (Ankita Adhikary) পর এবার অনুব্রত (Anubrata Mondal)-কন্যার বিরুদ্ধেও উঠল টেট পরীক্ষায় (Primary TET) পাশ না করে স্কুলে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ। আর এই অভিযোগ বিস্ফোরক ঘিরে জোর আলোড়ন। ২৪-ঘণ্টার মধ্যে স্কুলের রেজিস্টার আদালতে পেশ করার নির্দেশ হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt)। 

    আয় বহির্ভূত সম্পত্তির অভিযোগ তো ছিলই, এবার কেষ্ট-কন্যা সুকন্যা মণ্ডলের (Sukanya Mondal) বিরুদ্ধে উঠল টেট অনুত্তীর্ণ হয়েও চাকরি নেওয়ার অভিযোগ। বোলপুরের কালিকাপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন সুকন্যা। এদিন কলকাতা হাইকোর্টে মামলাকারী সৌমেন নন্দী অভিযোগ করেন, অনৈতিক ভাবে, টেট পাশ না করেই স্কুলের চাকরি পেয়েছেন অনুব্রত কন্যা সুকন্যা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Ganguly) বেঞ্চে ওঠা মামলায় বুধবার অভিযোগ করা হয়েছে, সুকন্যা নাকি স্কুলেও যেতেন না। অথচ, অনুব্রতর বাড়িতে পৌঁছে যেত হাজিরার রেজিস্ট্রার। 

    আরও পড়ুন: স্কুলে চাকরি করেই কয়েক’শ কোটির সম্পত্তি সুকন্যার! কী করে? উত্তরের খোঁজে সিবিআই

    মামলাকারীর আরও অভিযোগ, শুধু সুকন্যাই নয়, চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর আরও ৫ আত্মীয়। আদালতে মামলাকারীর আইনজীবী ফিরদৌস শামিম দাবি করেন, সুকন্যার মতো স্কুলে চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর আপ্ত সহায়ক অর্ক দত্তও। চাকরি পেয়েছেন অনুব্রতর ভাই, ভাইপো, ছাড়াও ২ ঘনিষ্ঠ। শুনানির শেষে আগামীকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার ৩ টার মধ্যে সুকন্যা সহ ৬ জনকে টেট সার্টিফিকেট নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেয় আদালত। একইসঙ্গে, কালকের মধ্যে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষিকাকে রেজিস্টার নিয়ে হাজিরার নির্দেশ দেন বিচারপতি। হাজিরা না দিলে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারিও দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের এই নির্দেশ যাতে কার্যকর করা হয়, তা নিশ্চিত করতে বীরভূমের পুলিশ সুপারকে আদালতের রায় জানানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।

    এমনিতেই স্কুল শিক্ষিকা হয়ে কী করে কয়েক’শ কোটি টাকার সম্পত্তি করলেন সুকন্যা, তার উৎস খুঁজতে তৎপর হয়েছে সিবিআই। তদন্তকারীদের অনুমান, গরুপাচারের টাকা দিয়েই এই বিপুল সম্পত্তি কেনা হয়ে থাকতে পারে। যে উত্তর খুঁজতে এদিন সকালে, বোলপুরের নিচুপট্টিতে অনুব্রতর বাড়িতে সুকন্যাকে জেরা করতে পৌঁছ গিয়েছিল সিবিআই। কিন্তু, সুকন্যার তরফে জানিয়ে দেওয়া হয় যে, মা বেঁচে নেই, বাবা হেফাজতে। তিনি বাড়িতে একা রয়েছেন। মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছেন। তাই এমতাবস্থায় তিনি কথা বলতে চান না। 

    আরও পড়ুন: গরু পাচারের ৪২ ঘাটে যুক্ত ৬২ আইসি-ওসি এবার সিবিআইয়ের আতসকাচে

  • SSC Recruitment Scam: চাকরি থেকে বরখাস্ত পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা, বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের

    SSC Recruitment Scam: চাকরি থেকে বরখাস্ত পরেশ-কন্যা অঙ্কিতা, বেতন ফেরতের নির্দেশ হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি (SSC recruitment scam) মামলায় আদালতের নির্দেশে চাকরি গেল রাজ্যের শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhikary) কন্যা অঙ্কিতার। তাঁকে স্কুলের চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Justice Abhijit Ganguly)। পাশাপাশি, হাইকোর্টের রেজিস্ট্রারের কাছে বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দু’টি কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে বেতনের টাকা, নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। বেতন বাবদ পাওয়া সমস্ত টাকা ফেরত দিতে বলা হয়েছে। 

    অঙ্কিতা (Ankita Adhikary) কোচবিহারের (Coochbehar) মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে বাবার প্রভাব খাটিয়ে অবৈধ ভাবে শিক্ষকতার চাকরি (Teachers recruitment scam) নেওয়ার অভিযোগ ছিল। অভিযোগ করেছিলেন ববিতা সরকার (Babita Sarkar) নামে এক এসএসসি (SSC) পরীক্ষার্থী । অঙ্কিতাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়ে আদালত জানিয়েছে, নিজেকে শিক্ষক হিসাবেও পরিচয় দিতে পারবেন না অঙ্কিতা। আদালতের নির্দেশ, তিনি আর ওই স্কুলে ঢুকতেই পারবেন না। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন, প্রায় ৪১ মাসের বেতন দুই কিস্তিতে ফেরত দিতে হবে অঙ্কিতাকে। প্রথম কিস্তি দিতে হবে ৭ জুন। দ্বিতীয় কিস্তির তারিখ ৭ জুলাই।

    আরও পড়ুন: কলকাতা না এসে মেয়েকে নিয়ে নামলেন বর্ধমান স্টেশনে, হাইকোর্টে ফের ধাক্কা খেলেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী

    পরেশ অধিকারীর মেয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির জন্য সহকারী শিক্ষিকা পদে চাকরি পেয়েছিলেন। ২০১৭ সালের নভেম্বরে এসএসসি পরীক্ষার দ্বিতীয় মেধাতালিকায় অঙ্কিতার নাম ওঠে। অভিযোগ, মেরিট লিস্টের প্রথম কুড়ি জনের তালিকায় নাম না থাকা অঙ্কিতাকে দ্বিতীয় তালিকার একেবারে প্রথমে নিয়ে আসা হয় ‘অবৈধ’ ভাবে।

    স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টে পরেশের মেয়ে অঙ্কিতা পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর। এবং এই মামলায় মামলাকারী ববিতা সরকার পেয়েছিলেন ৭৭ নম্বর। মেধাতালিকার ২০ নম্বরে ছিলেন ববিতা। কিন্তু, মামলাকারীর চেয়ে ১৬ নম্বর কম পেয়েও পরেশ-কন্যাকে অবৈধভাবে প্রথম স্থান দেওয়া হয়। এর ফলে, মামলাকারী সেই তালিকা থেকে ছিটকে যান। ববিতা চাকরির সুযোগ হারান।

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে পরেশ অধিকারী, মন্ত্রীকে হাজিরার ‘ডেডলাইন’ হাইকোর্টের

    এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার সময়ে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, গোটা বিষয়টি শুনে মনে হচ্ছে অঙ্কিতা অধিকারীর মাথায় কিছু ক্ষমতাশালী ব্যক্তির অদৃশ্য হাত ছিল। এখানে দুর্নীতি হয়েছে মনে হচ্ছে। নইলে এ ভাবে একজন প্রার্থীকে মেধা তালিকায় আমদানি করে তাঁকে প্রথম স্থানে বসানো যায় না।

    সম্প্রতি ঘটনাটির কথা আদালতকে জানিয়েছিলেন এসএসসির সদ্য ইস্তফা দেওয়া চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার। এর পরেই অঙ্কিতার বাবা রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশকে সিবিআইয়ের সামনে হাজির হতে বলে কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার রাতে কলকাতায় এসে নিজাম প্যালেসে সিবিআইয়ের (CBI) দফতরে হাজির হন মন্ত্রী পরেশ। কিন্তু, জেরায় সন্তুষ্ট হয়নি তদন্তকারী সংস্থা। শুক্রবার সকালে তাঁকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিবিআই। অঙ্কিতাকে নিয়ে হাইকোর্টের নির্দেশ আসে পরেশের জেরা চলাকালীনই।

    আরও পড়ুন: এফআইআর হতেই বিমান ধরে সোজা কলকাতায় পরেশ, হাজিরা দিলেন নিজাম প্যালেসে

LinkedIn
Share