Tag: Central Government

Central Government

  • Sonam Wangchuk: লাদাখে অশান্তির আবহ, সোনম ওয়াংচুকের এনজিও-র বিদেশি অনুদানের লাইসেন্স বাতিল

    Sonam Wangchuk: লাদাখে অশান্তির আবহ, সোনম ওয়াংচুকের এনজিও-র বিদেশি অনুদানের লাইসেন্স বাতিল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখের অশান্তির (Ladakh violence) মধ্যেই বড় পদক্ষেপ করল কেন্দ্র সরকার (Central Government)। রাজ্যের পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদার দাবিকে কেন্দ্র করে হিংসাত্মক বিক্ষোভের একদিন পরই সমাজকর্মী সোনম ওয়াংচুকের (Sonam Wangchuk) এনজিওর বিদেশি অনুদান গ্রহণের অনুমতি বাতিল করল সরকার। সরকারি সূত্রে খবর, ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট (FCRA) লঙ্ঘনের অভিযোগে ওয়াংচুকের প্রতিষ্ঠানের বিদেশি অনুদান নেওয়ার লাইসেন্স খারিজ করা হয়েছে। অভিযোগ, নিয়ম না মেনে বিদেশ থেকে অর্থ সংগ্রহ করছিল সংগঠনটি। গত ১০ সেপ্টেম্বর এনজিওকে চার দফা প্রশ্নসহ শো-কজ নোটিস দিয়েছিল সরকার। তার জবাবকে সন্তোষজনক বলে মনে করা হয়নি। তারপরই কড়া পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।

    ওয়াংচুকের সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ

    সূত্র অনুযায়ী, সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (সিবিআই) গত দুই মাস ধরে সোনম ওয়াংচুকের সংস্থা হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ লার্নিং (HIAL)-এর বিরুদ্ধে তদন্ত করছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনো প্রাথমিক অনুসন্ধান (PE) বা নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়নি। সিবিআই সূত্র অনুযায়ী, ফরেন কন্ট্রিবিউশন (রেগুলেশন) অ্যাক্ট (FCRA) লঙ্ঘনের অভিযোগে এই তদন্ত করা হচ্ছে। অগাস্ট মাসে, লাদাখ প্রশাসন হিমালয়ান ইনস্টিটিউট অফ অল্টারনেটিভ লার্নিং (HIAL)-কে দেওয়া জমির বরাদ্দ বাতিল করেছিল। জমি বরাদ্দ বাতিল করার সময় লাদাখ প্রশাসন জানায় যে, যে উদ্দেশ্যে জমিটি মূলত বরাদ্দ করা হয়েছিল, সেই উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে না এবং কোনো লিজ চুক্তিও করা হয়নি।

    বেআইনি অর্থনৈতিক লেনদেন

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দাবি, লাদাখে যে রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভ চলছে তা ওয়াংচুকের (Sonam Wangchuk) উসকানিমূলক বক্তৃতার জেরেই হয়েছে। বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় বিজেপি দফতর ও নির্বাচন দফতরে হামলা চালায়। ওই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত চার জন, আহত হয়েছেন বহু। সরকারি সূত্রের খবর, ওয়াংচুকের এনজিওর কাজে বারবার আর্থিক অনিয়ম ধরা পড়েছে। বিদেশি অনুদান আইনের (FCRA) নিয়ম ভেঙে অর্থ লেনদেন হয়েছে বারবার। তদন্তে উঠে এসেছে, এনজিও সেকমল (SECMOL)-এর নামে খোলা এফসিআরএ অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে টাকা জমা পড়েছে। অভিযোগ, ৩.৩৫ লক্ষ টাকা নগদ জমা পড়েছিল ওই অ্যাকাউন্টে। ওয়াংচুকের সংগঠন জানিয়েছিল, এই অর্থ এসেছে একটি পুরনো বাস বিক্রি করে। বাসটি যেহেতু বিদেশি অনুদানে কেনা হয়েছিল, তাই বিক্রির টাকা ফের অ্যাকাউন্টে রাখা হয় বলে সাফাই দেয় এনজিও। কিন্তু সরকারের বক্তব্য, এই ব্যাখ্যা গ্রহণযোগ্য নয়। নগদ অর্থ জমা দেওয়াই আইনের পরিপন্থী।

  • New Data Law: ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় আসছে নয়া আইন! মৌখিক ভাবে চাওয়া যাবে না ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর

    New Data Law: ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষায় আসছে নয়া আইন! মৌখিক ভাবে চাওয়া যাবে না ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার থেকে আর কোনও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর, শপিং মল বা নামী বিপণি মৌখিকভাবে ক্রেতাদের কাছ থেকে মোবাইল নম্বর চাইতে পারবে না (New Data Law)। কেন্দ্রীয় সরকার এমনই এক নতুন আইনের পথে হাঁটছে, যার লক্ষ্য ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। কেন্দ্রের মতে, মুখে মোবাইল নম্বর চাওয়া হলে সেই তথ্য গোপন থাকে না এবং তা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঝুঁকি তৈরি করে। আবার কেন্দ্রের তরফ সাফ জানানো হয়েছে, মোবাইল নম্বর না দিলেও পণ্য পরিষেবা দিতে হবে বিক্রেতাকে।

    ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট (New Data Law)

    ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন অ্যাক্ট চালু হলে, জনসমক্ষে ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর চাওয়া বেআইনি বলে গণ্য হবে। ইতিমধ্যেই ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে আইনের খসড়া তৈরি করেছে কেন্দ্র। অগাস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে ( Digital Personal Data Protection Act), প্রস্তাবিত বিধিতে কোনও পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা নেই। বর্তমানে প্রায় সব বড় দোকান, ওষুধের শোরুম বা শপিং মলে রশিদ দেওয়ার নাম করে বা ‘লয়্যালটি পয়েন্ট’ দেওয়ার অজুহাতে ক্রেতাদের মোবাইল নম্বর চাওয়া হয়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এটি হয় মুখে জিজ্ঞাসা করে, যেখানে আশপাশের লোকজনও শুনে ফেলেন নম্বরটি। এতে ব্যক্তিগত তথ্য অনিচ্ছাকৃতভাবে প্রকাশ পায়, যা নিরাপত্তার পক্ষে হুমকি বলে মনে করছে সরকার।

    বিপণিগুলি সাধারণত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেই ক্রেতাদের তথ্য রেকর্ড করে রাখে (New Data Law)

    নতুন আইন বলছে, আর মুখে মোবাইল নম্বর চেয়ে নেওয়া যাবে না। বিকল্প কোনও পদ্ধতি অনুসরণ করতেই হবে। বিপণিগুলি সাধারণত মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেই ক্রেতাদের ( Digital Personal Data Protection Act) তথ্য রেকর্ড করে রাখে। লয়্যালটি পয়েন্ট, ডিসকাউন্ট বা অফারের সুবিধা দিতে এই তথ্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ফলে নতুন নিয়ম কার্যকর হলে তাদের প্রচলিত ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনতে হবে। ডিজিটাল ও সাইবার সুরক্ষা নিয়ে কাজ করা এক আইন বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ছোট কিছু বদলের মাধ্যমেই এই সমস্যার সমাধান সম্ভব। যেমন, মুখে না বলে ক্রেতা (New Data Law) যেন কিপ্যাড বা স্ক্রিনে নিজে নম্বর টাইপ করেন। এমন ব্যবস্থা গ্রহণ করলে গোপনীয়তা বজায় রাখা যাবে। ওই বিশেষজ্ঞ আরও জানিয়েছেন, নতুন আইনের অধীনে, কোনও তথ্য কেন নেওয়া হচ্ছে, কতদিন রাখা হবে এবং কবে মুছে ফেলা হবে — এসব বিষয়ে ক্রেতাকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে। শুধু তথ্য চাওয়ার মাধ্যমে সম্মতি ধরে নেওয়া যাবে না। প্রতিটি ক্ষেত্রেই আলাদা করে সম্মতি নিতে হবে।

    ইমেল আইডি ব্যবহার করে রশিদ পাঠানো যেতে পারে

    আইন অনুযায়ী, কোনও ক্রেতা যদি মোবাইল নম্বর না-ও দেন, তবু তাঁকে পরিষেবা দিতে হবে। তবে, মোবাইল রিচার্জ বা অনুরূপ যেসব পরিষেবায় মোবাইল নম্বর আবশ্যক, সেখানে এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য হবে না। নতুন নিয়ম কার্যকর হলে, শুধু মোবাইল নম্বর নয় — বিপণিগুলিকে বিকল্প চিন্তা করতেও হতে পারে। যেমন, ইমেল আইডি ব্যবহার করে রশিদ পাঠানো, অথবা কাগজে ছাপা রশিদ দেওয়া। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই আইন, ব্যবসাতে বাধা দেওয়ার জন্য নয় বরং, ক্রেতার দেওয়া তথ্য যেন নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যেই ব্যবহার হয় এবং সময়মতো তা মুছে ফেলা হয় — সেটাই মূল লক্ষ্য।

    ২০২৩ সালের অগাস্টে সংসদের দুই কক্ষেই এই বিল পাশ হয়

    উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের অগাস্টে সংসদের দুই কক্ষেই এই বিল পাশ হয়। রাষ্ট্রপতির সম্মতির পর তা আইনে পরিণত হয়। তবে প্রায় দু’বছর কেটে গেলেও আইনটি এখনও কার্যকর হয়নি। চলতি বছরের জানুয়ারিতে কেন্দ্র খসড়া বিধি প্রকাশ করে এবং এখন জানানো হয়েছে, এতে কোনও বদল আনার প্রয়োজন নেই। অর্থাৎ এবার থেকে আর ক্রেতাকে মুখে বলে ফোন নং দিতে হবে না।

  • Dream11 To BCCI: ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে নেই ড্রিম ১১, স্পনসরশিপের জন্য নতুন দরপত্র আহ্বান করবে বিসিসিআই

    Dream11 To BCCI: ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে নেই ড্রিম ১১, স্পনসরশিপের জন্য নতুন দরপত্র আহ্বান করবে বিসিসিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইন গেমিং নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০২৫ পাস হওয়ার পরই ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান স্পনসর হিসেবে সরে দাঁড়ালো ফ্যান্টাসি স্পোর্টস প্ল্যাটফর্ম ড্রিম১১ (Dream11)। আগামী ৯ সেপ্টেম্বর শুরু হতে চলা এশিয়া কাপ ২০২৫-এর ঠিক আগেই এই সিদ্ধান্তে সাময়িক অস্বস্তিতে পড়েছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (BCCI)। সূত্রের খবর, নতুন স্পনসরের খোঁজ করতে শুরু করেছে বোর্ড। একাধিক সংস্থার সঙ্গে যোগযোগ করেছেন সংশ্লিষ্ট কর্তারা। তবে, এশিয়া কাপের আগে কোনও কোনও সংস্থার সঙ্গে চূড়ান্ত কথা না হলে সূর্যকুমার যাদবের দলকে খেলতে হতে পারে টাইটেল স্পনসর ছাড়াই।

    ফ্রি-টু-প্লে সামাজিক গেমিং প্ল্যাটফর্ম

    নতুন অনলাইন গেমিং নিয়ন্ত্রণ আইনে রিয়েল মানি বা অর্থের বিনিময়ে খেলা অনলাইন গেম নিষিদ্ধ হয়েছে। আইন লঙ্ঘনকারীদের জন্য সর্বোচ্চ তিন বছরের জেল এবং ১ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান রাখা হয়েছে। গত ২০ অগাস্ট লোকসভা এবং ২১ অগাস্ট রাজ্যসভায় পাশ হওয়া বিলটিতে প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর সম্মতি মিলেছে শুক্রবার। এই আইন কার্যকর হওয়ার পরই ড্রিম১১ তাদের সব পেইড কনটেস্ট বন্ধ করে দিয়েছে এবং ঘোষণা করেছে, এখন থেকে তারা শুধুমাত্র ফ্রি-টু-প্লে সামাজিক গেমিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

    কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত মতোই চলবে বোর্ড

    বিসিসিআই সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া জানিয়েছেন, “যা অনুমোদিত নয়, আমরা তা করব না। কেন্দ্রীয় সরকার যে নীতি প্রণয়ন করবে, বিসিসিআই তা সম্পূর্ণভাবে মেনে চলবে।” ভারতীয় দলের টাইটেল স্পনসর হিসাবে ২০২৩ সালে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (BCCI) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছিল ‘ড্রিম ইলেভেন’। তিন বছরের জন্য ভারতীয় বোর্ডকে ৩৫৮ কোটি টাকা দিয়েছে তারা। এই চুক্তি অনুযায়ী, প্রতিটি হোম ম্যাচে ৩ কোটি এবং অ্যাওয়ে ম্যাচে ১ কোটি টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। চুক্তি কার্যকর থাকার কথা ছিল ২০২৬ পর্যন্ত। কিন্তু নতুন আইনের ফলে সংস্থার আয়ের প্রধান উৎসই এখন বন্ধ। তাদের মূলত মুনাফা হত রিয়েল মানি ফ্যান্টাসি গেমিং থেকে। ফ্যানকোড, ড্রিম স্পোর্টস ফাউন্ডেশনের মতো অন্য সংস্থাগুলো চালু থাকলেও আর্থিক দিক থেকে বড় ধাক্কা খেয়েছে তারা।

    ঝুঁকির কারণে বন্ধ এই অ্যাপগুলি

    অনলাইন এই সমস্ত গেমগুলোতে টাকা পয়সা সংক্রান্ত নানা ঝুঁকি থাকে। অনলাইনে গেমে বিপুল লেনদেন, প্রতারণা এবং আসক্তি নিয়ন্ত্রণ করতে নয়া বিল এনেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার। ‘দ্য প্রমোশন অ্যান্ড রেগুলেশন অব অনলাইন গেমিং বিল, ২০২৫’ নামের বিলটি ইতিমধ্যেই সংসদের দুই কক্ষে পাশ হয়ে গিয়েছে। এর জেরে নিষিদ্ধ হতে বসেছে ড্রিম ১১, মাই ১১ সার্কেলের মতো ফ্যান্টাসি অ্যাপগুলি। তাই যে সব জার্সিতে ড্রিম১১-এর লোগো মুদ্রিত হয়েছে, সেগুলো ব্যবহার করা হবে না বলে বিসিসিআই নিশ্চিত করেছে। এখন খুব শীঘ্রই নতুন স্পনসরের জন্য দরপত্র আহ্বান করবে বোর্ড।

  • TikTok: খুলছে টিকটক, ছড়াল গুজব! তোলা হয়নি নিষেধাজ্ঞা, সাফ জানাল কেন্দ্র

    TikTok: খুলছে টিকটক, ছড়াল গুজব! তোলা হয়নি নিষেধাজ্ঞা, সাফ জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টিকটক (TikTok) কি আবার চালু হয়েছে ভারতে? এই নিয়ে নানা জল্পনা ছড়িয়ে পড়ে সমাজ মাধ্যমে এবং এ নিয়েই চাঞ্চল্য ছড়ায় নেট নাগরিকদের মধ্যে। কেউ কেউ আবার লিখছেন যে ওয়েবসাইট খুলছে, কেউবা জানান ভিডিও দেখা যাচ্ছে না, কিন্তু সাইটে প্রবেশ করা যাচ্ছে। শেষমেশ ভারত সরকারের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানানো হয় যে এ দেশে টিকটক নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়ে কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। এই ধরনের খবর সম্পূর্ণ ভ্রান্ত এবং বিভ্রান্তিকর। যেভাবে হঠাৎ টিকটক-এর ওয়েবসাইট প্রবেশযোগ্য হয়ে উঠেছিল, তা আসলে কোনও প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণেই বলে মনে করছেন তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা (Central Government)। কারণ, গুগল প্লে স্টোর কিংবা অ্যাপল অ্যাপ স্টোর — কোথাও দেখা যাচ্ছে না টিকটক অ্যাপ (TikTok)।

    ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার

    এরই মধ্যে কিছু ব্যবহারকারী দাবি করতে থাকেন যে চিনের অনলাইন কেনাকাটার প্ল্যাটফর্ম আলি এক্সপ্রেস নাকি ব্যবহার করা যাচ্ছিল। তবে এই আলি এক্সপ্রেসকেও নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। এক্ষেত্রে উল্লেখ করা প্রয়োজন,পাঁচ বছর আগে — ২০২০ সালের জুন মাসে গালওয়ান সংঘর্ষে কুড়ি জন ভারতীয় সেনা শহীদ হন। তার পরে ভারতের পক্ষ থেকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয় এবং ৫৯টি চিনা অ্যাপ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই অ্যাপগুলির (TikTok) বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তারা ব্যবহারকারীদের (TikTok) ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করে এবং তা গুপ্তচরবৃত্তির কাজে ব্যবহার করে।

    ৩১ অগাস্ট চিন সফরে মোদি

    প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আগামী ৩১ অগাস্ট থেকে ১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চিনের তিয়ানজিনে অনুষ্ঠিত হতে চলা সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেবেন। এই শীর্ষ সম্মেলনে তিনি বহু দেশের রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন বলেও মনে করা হচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটে চিনের তৈরি টিকটক এবং আলি এক্সপ্রেস সংক্রান্ত নতুন করে জল্পনা ফের একবার কৌতূহল বাড়িয়ে দিল। তবে সরকারের (Central Government) পক্ষ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, নিষেধাজ্ঞা এখনই তুলে নেওয়া হচ্ছে না।

  • Central Government: পরিবেশ বান্ধব ও চাষীদের লাভ, পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশানোর ব্যাখ্যা দিল কেন্দ্র

    Central Government: পরিবেশ বান্ধব ও চাষীদের লাভ, পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশানোর ব্যাখ্যা দিল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেট্রলের সঙ্গে ইথানল মেশানো নিয়ে সমাজমাধ্যমে ক্রমশই সমালোচনা করছেন এক শ্রেণির মানুষ। এই আবহে মঙ্গলবারই, এ নিয়ে একটি নির্দেশ জারি করেছে কেন্দ্র। সেখানে ইথানল মেশানোর পরিবেশগত, অর্থনৈতিক এবং অন্যান্য সুবিধাগুলি তুলে ধরা হয়েছে (Central Government)। নীতি আয়োগের সাম্প্রতিক একটি গবেষণার উদ্ধৃতি দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে যে, পেট্রলের তুলনায় আখ থেকে তৈরি ইথানল থেকে গ্রিনহাউস গ্যাসের নির্গমন হয় ৬৫ শতাংশ কম। অন্যদিকে, ভুট্টা থেকে তৈরি ইথানল ব্যবহার করলে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কম হয়।

    ইথানল মেশানোর ফলে ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে

    এটা যেমন একটি পরিবেশগত সুবিধা, তেমনই এর বাইরে গ্রামীণ জীবিকাকেও মজবুত করেছে। কারণ, ইথানল মূলত আখ ও ভুট্টার মতো কৃষিপণ্য থেকে উৎপন্ন হয়, যা দেশের বিভিন্ন অংশে, বিশেষ করে কৃষিপ্রধান অঞ্চলে ব্যাপকভাবে চাষ করা হয়। ইথানল উৎপাদনের জন্য কাঁচামাল সরবরাহের কাজে কৃষকরা সরাসরি যুক্ত হচ্ছেন। ফলে তাঁরা অতিরিক্ত আয়ও করছেন। বিশেষ করে মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ অঞ্চলের মতো এলাকাগুলিতে, যেখানে অতীতে কৃষকের আত্মহত্যার হার উদ্বেগজনক ছিল, সেখানে ইথানল-ভিত্তিক কৃষি-অর্থনীতি একটি নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার আরও জানিয়েছে, ২০১৪-১৫ থেকে ২০২৪-২৫ অর্থবছর পর্যন্ত ইথানল মেশানোর ফলে ১.১৪ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হয়েছে (Ethanol Blending)।

    কমেছে কার্বন ডাই অক্সাইডের নির্গমন

    এর পাশাপাশি, কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমনও অনেকটা কমেছে, যা প্রায় ৩০ কোটি গাছ লাগানোর সমতুল্য (Central Government)। চলতি বছরে ইথানল মেশানোর কারণে কৃষকরা প্রায় ৪০ হাজার কোটি টাকা আয় করবেন বলে আশা করা হচ্ছে এবং এতে প্রায় ৪৩ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে। এক্ষেত্রে বলা দরকার (Ethanol Blending), ইথানল বর্তমানে পরিশোধিত পেট্রলের চেয়ে ব্যয়বহুল—২০২৪-২৫ সালেও গড়ে প্রতি লিটার ৭১.৩২ টাকা।

  • OCI Card Holders: ওভারসিজ নাগরিকদের জন্য কড়া নিয়ম, দুবছর বা তার বেশি সাজা হলে বাতিল কার্ড, জানাল কেন্দ্র

    OCI Card Holders: ওভারসিজ নাগরিকদের জন্য কড়া নিয়ম, দুবছর বা তার বেশি সাজা হলে বাতিল কার্ড, জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওভারসিজ সিটিজেন অফ ইন্ডিয়া (OCI) রেজিস্ট্রেশনের জন্য নতুন নিয়ম-কানুন জারি করল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এই নির্দেশিকায় (OCI Card Holders) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে কিছু বিশেষ ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। চালু করা হয়েছে কঠোর নিয়ম। ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোনও ব্যক্তি যদি গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত হন এবং সেই মামলায় দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে তাঁর ওসিআই রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যেতে পারে।

    ১২ অগাস্ট জারি হয়েছে নয়া নির্দেশিকা, কী বলা হল তাতে? (OCI Card Holders)

    এই নতুন নির্দেশ ১২ অগাস্ট জারি হয়েছে এবং এটি সমস্ত বিদ্যমান ওসিআই কার্ডধারীর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে। নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও ওসিআই কার্ডধারীকে দুই বছর বা তার বেশি মেয়াদের সাজা দেওয়া হয়, অথবা যদি তাঁর নাম এমন চার্জশিটে উল্লেখ থাকে যেখানকার সাজা সাত বছর বা তার বেশি, তাহলে তাঁর কার্ড বাতিল করা যেতে পারে (OCI Card Holders)।

    ওসিআই স্কিম চালু হয়েছিল ২০০৫ সালে (MHA)

    ওসিআই স্কিম চালু হয়েছিল ২০০৫ সালে। এই স্কিমের আওতায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত বিদেশি নাগরিকদের ভারতে যাতায়াতের জন্য বিশেষ সুবিধা দেওয়া হয়, যেটির জন্য আলাদা ভিসার প্রয়োজন পড়ে না। ওসিআই কার্ডধারীরা ভারতে কিছু নির্দিষ্ট অর্থনৈতিক, শিক্ষামূলক এবং আবাসন সংক্রান্ত সুবিধা পেয়ে থাকেন। তবে তাঁদের কোনও রাজনৈতিক অধিকার থাকে না—যেমন ভোট দেওয়া, সাংবিধানিক পদে অধিষ্ঠিত হওয়া ইত্যাদি।

    ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইন মোতাবেক নেওয়া হল এই সিদ্ধান্ত

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই নতুন পদক্ষেপ মূলত ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনের ধারা অনুযায়ী গৃহীত হয়েছে। ওই আইনে বলা হয়েছে, যদি কোনও ওসিআই কার্ডধারী ব্যক্তি দুই বছরের বা তার অধিক মেয়াদের সাজাপ্রাপ্ত হন, অথবা এমন কোনও অপরাধে অভিযুক্ত হন যার সর্বোচ্চ সাজা সাত বছর বা তার বেশি, তাহলে তাঁর রেজিস্ট্রেশন বাতিল করা যেতে পারে। এই শাস্তি ভারতে হোক বা বিদেশে—উভয় ক্ষেত্রেই নির্দেশ কার্যকর হবে। সরকারের এই কঠোর পদক্ষেপের পেছনে কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কিছু ওসিআই কার্ডধারীর বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠেছে—যেমন অপরাধমূলক কার্যকলাপে জড়িত থাকা, অথবা দেশদ্রোহমূলক কাজ। সেই কারণেই সরকার এই সিদ্ধান্ত নিল বলে মনে করা হচ্ছে (OCI Card Holders)।

  • Central Government on Soft Porn: ‘সফট পর্ন কনটেন্ট’ দেখানোর অভিযোগ! সরকারের নিশানায় উল্লু-সহ একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম

    Central Government on Soft Porn: ‘সফট পর্ন কনটেন্ট’ দেখানোর অভিযোগ! সরকারের নিশানায় উল্লু-সহ একাধিক ওটিটি প্ল্যাটফর্ম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে সুস্থ-সাংস্কৃতিক পরিবেশ রাখতে সক্রিয় মোদি সরকার। ‘সফট পর্ন কনটেন্ট’ (Central Government on Soft Porn) দেখানোর অভিযোগে এবার নড়চড়ে বসল ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক উল্লু, এএলটিটি, ডেসিফ্লিক্স, বিগ শটস সহ অন্যান্য বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় ওটিটি প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিল। এই প্ল্যাটফর্মগুলিকে ব্যান করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই অ্যাপ ও ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নামের তালিকা বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়েছে মন্ত্রক থেকে।

    কোন কোন অ্যাপ ও ওয়েব প্ল্যাটফর্ম বন্ধ

    সূত্রের খবর, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক আপত্তিকর বিজ্ঞাপনের ২৫টি লিঙ্ক শনাক্ত করেছে, যার মধ্যে পর্নোগ্রাফিক বিষয়বস্তু রয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের মতে, অশ্লীল বিষয়বস্তু এবং আপত্তিকর বিজ্ঞাপন দেখানো অ্যাপগুলি চিহ্নিত করে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। শুক্রবার জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, এই বিষয়ে সব ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থার কাছে এই নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তালিকায় উঠে এসেছে ‘অল্ট’, ‘উল্লু’, ‘বিগ শটস অ্যাপ’, ‘দেশি ফ্লিক্স’, ‘বুমেক্স’, ‘নবরস লাইট’, ‘গুলাব’-সহ আরও কিছু অ্যাপ এবং ওয়েব প্ল্যাটফর্মের নাম। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের অভিযোগ, ২০০০ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইন (বিশেষ করে ধারা ৬৭ এবং ৬৭এ), ২০২৩-এর ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ২৯৪ এবং ১৯৮৬ সালের অশ্লীল ভাবে নারী শরীর প্রদর্শন (নিষেধ) আইন, ধারা ৪-এর নির্দেশ লঙ্ঘন করেছে ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলি।

    কেন নিষিদ্ধ করল সরকার

    এই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী শ্রী অনুরাগ সিং ঠাকুর বারবার প্ল্যাটফর্মগুলির দায়িত্বের উপর জোর দিয়েছেন। তাঁর দাবি, সৃজনশীল অভিব্যক্তির আড়ালে অশ্লীলতা এবং নিজেদের দায়িত্বের অপব্যবহার করে কিছু প্রচার না করাই উচিত। ২০২৪ সালের ১২ মার্চ অশ্লীল কন্টেন্ট দেখানোয় ১৮টি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অনুরাগ ঠাকুর।’ প্রসঙ্গত, আইটি আইনের ধারা ৬৭ এবং ৬৭এ অনুযায়ী বৈদ্যুতিন মাধ্যমে কোনও ভাবে অশ্লীল বা যৌন উত্তেজক কোনও কিছু দেখানো যায় না। একই ভাবে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ধারা ২৯৪ অনুযায়ী গানের দৃশ্যে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিও নিষিদ্ধ। আবার ১৯৮৬ সালের আইন অনুযায়ী, কোনও মাধ্যমেই নারীকে অশ্লীল ভাবে উপস্থাপন করা যায় না। দফতরের দেওয়া তালিকায় উল্লিখিত ওয়েব প্ল্যাটফর্মগুলো এই সব ক’টি আইন লঙ্ঘন করেছে বলে মন্ত্রকের দাবি।

  • Bangladesh: স্থগিত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি, এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জল চুক্তি নিয়েও ভাবছে দিল্লি

    Bangladesh: স্থগিত পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু চুক্তি, এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জল চুক্তি নিয়েও ভাবছে দিল্লি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের সঙ্গে স্থগিত হয়েছে সিন্ধু জলচুক্তি, এই আবহে বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি পুনর্বিবেচনা করছে ভারত সরকার। ভারত সরকারের মারফত জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু জলচুক্তি স্থগিত হওয়ার পর এবার বাংলাদেশের সঙ্গে গঙ্গা জলচুক্তি পুনরায় বিবেচনা করতে শুরু করেছে ভারত সরকার। প্রসঙ্গত, গত ২০২৪ সালের অগাস্ট মাসে হাসিনা সরকারের পতনের পরেই বাংলাদেশে বাড়তে থাকে ভারত বিরোধী কার্যকলাপ। এই আবহে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক একেবারে তলানিতে ঠেকেছে।

    নয়া চুক্তি হতে পারে ১০ থেকে ১২ বছরের জন্য

    দুই দেশের মধ্যে থাকা বর্তমান চুক্তির মেয়াদ আগামী বছর পর্যন্ত। প্রসঙ্গত, আগেই ভারত সরকার বাংলাদেশকে (Bangladesh) জানিয়েছিল যে গঙ্গার জলের (Ganga Water Treaty) বড় অংশ ভারতের প্রয়োজন, কারণ দেশের উন্নয়নের জন্য এটি অপরিহার্য। নতুন যে চুক্তি হতে পারে, তাতে এই দাবির প্রতিফলন ঘটবে বলেই মনে করা হচ্ছে। সম্ভাব্য এই নতুন চুক্তি ১০ থেকে ১৫ বছরের জন্য কার্যকর হতে পারে। মূল গঙ্গা জলচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর। সেই চুক্তিতে নির্ধারিত হয়েছিল কোন দেশ গঙ্গার কতটা জল পাবে। মে মাসে বাংলাদেশের সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পরে ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছিলেন, পহেলগাঁও হামলার পর সবকিছু বদলে গিয়েছে। আগে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে গঙ্গা জলচুক্তি ৩০ বছরের জন্য পুনর্নবীকরণ করা হবে, কিন্তু এখন পরিস্থিতি একেবারে পালটে গেছে, তাই নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশের (Bangladesh) সঙ্গে এই বৈঠক ছিল সৌজন্যমূলক ও রুটিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। তবু ঢাকাকে জানানো হয়েছে ভারতের জল চাহিদা দিন দিন বাড়ছে এবং এই বাস্তবতার প্রতিফলন পড়বে নতুন চুক্তিতে।

    কত জল প্রয়োজন ভারতের?

    বর্তমানে ভারত ও বাংলাদেশ (Bangladesh) উভয় দেশ গড়ে ৩৫,০০০ কিউসেক করে জল ব্যবহার করে। প্রতি ১০ দিন অন্তর জল ভাগাভাগির হিসেব নির্ধারিত হয়। তবে বর্তমানে ভারতের আরও ৩০,০০০ থেকে ৩৫,০০০ কিউসেক অতিরিক্ত জলের (Ganga Water Treaty) প্রয়োজন পড়ছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গ ও বিহার সরকারের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে এবিষয়ে। দুই রাজ্যেই সেচ ও পানীয় জলের চাহিদা দিন দিন বাড়ছে।

  • Constitution Murder Day: সংবিধান হত্যা দিবস! রাজ্যগুলিকে মশাল মিছিল, প্রদর্শনী করতে নির্দেশ কেন্দ্রের

    Constitution Murder Day: সংবিধান হত্যা দিবস! রাজ্যগুলিকে মশাল মিছিল, প্রদর্শনী করতে নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৫ সালের ২৫ জুন জরুরি অবস্থার ৫০তম বর্ষপূর্তি পালিত হতে চলেছে। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকার ২৫ জুনকে সংবিধান হত্যা দিবস হিসেবে স্মরণ করার জন্য সমস্ত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে নির্দেশ দিয়েছে। নিজেদের নির্দেশনায় কেন্দ্রীয় সরকার বিভিন্ন কর্মসূচির কথাও উল্লেখ করেছে (Constitution Murder Day)। এই কর্মসূচিগুলোর মধ্যে রয়েছে মশাল মিছিল, বিভিন্ন প্রদর্শনী, স্কুল ও কলেজে গণপ্রচার প্রভৃতি রয়েছে।

    এক বছর ধরে চলবে এই কর্মসূচি

    একাধিক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের উদ্দেশে একটি চিঠি লিখেছে। সেখানে বলা হয়েছে, এই অনুষ্ঠানটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ এবং সাংবিধানিক নীতির প্রতিফলন ঘটাবে। প্রসঙ্গত, ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ (Constitution Murder Day) উপলক্ষে এই কর্মসূচি এক বছর ধরে চলবে বলে জানানো হয়েছে।

    ২০২৬ সালের মার্চে মশাল যাত্রার সমাপ্তি, হাজির থাকবেন মোদি

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে গৃহীত (National Emergency) এই কর্মসূচি শুরু হচ্ছে ২০২৫ সালের ২৫ জুন এবং চলবে ২০২৬ সালের ২৫ জুন পর্যন্ত। এই কর্মসূচির অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হবে মশাল যাত্রা বা টর্চ মার্চ। ২০২৫ সালের ২৫ জুন দিল্লি থেকে গণতন্ত্রের চেতনার প্রতীক হিসেবে ছয়টি মশাল নিয়ে যাত্রা শুরু হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে ২০২৬ সালের ২১ মার্চ দিল্লির কর্তব্যপথে এই যাত্রার সমাপ্তি হবে (Constitution Murder Day) বলে জানা গিয়েছে।

    কর্মসূচি সফলে বেশ কিছু স্লোগানও বানিয়েছে সরকার

    এছাড়াও কর্মসূচির আওতায় আরও রয়েছে সেমিনার, আলোচনা সভা, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী প্রভৃতি আনুষঙ্গিক অনুষ্ঠান (National Emergency)। ইতিমধ্যে এই কর্মসূচিকে সফল করতে কেন্দ্রীয় সরকার নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে এবং কেন্দ্রশাসিত ও অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে সমন্বয়ের কথাও বলা হয়েছে। এই উপলক্ষে মোদি সরকার বেশ কয়েকটি স্লোগান নির্ধারণ করেছে। এই স্লোগানগুলির মাধ্যমে গণতন্ত্রের মূল্যবোধ প্রতিফলিত হবে। নির্ধারিত স্লোগানগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো- ‘গণতন্ত্রের জননী ভারত’, ‘গণতন্ত্র দীর্ঘজীবী হোক’, ‘গণতন্ত্রের চেতনায় সেঙ্গলকে জানাই প্রণাম’।

  • Central Government: পুরনো ও নতুন পেনশন প্রকল্পের গ্র্যাচুইটিতে সমতা আনল কেন্দ্র

    Central Government: পুরনো ও নতুন পেনশন প্রকল্পের গ্র্যাচুইটিতে সমতা আনল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের বহুদিনের দাবি পূরণ হল। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ডঃ জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, অবসরকালীন সুবিধা সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত কর্মচারীদের একটি উল্লেখযোগ্য দাবি পূরণ করতে পেরেছে। পাশাপাশি, এতে সমতা প্রতিষ্ঠিত হবে (Pension Schemes) বলেও মনে করেন তিনি। পেনশন অ্যান্ড পেনশনার্স ওয়েলফেয়ার বিভাগ এ বিষয়ে একটি সরকারি নির্দেশিকা (অর্ডার) জারি করেছে। সেখানে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে যে, ন্যাশনাল পেনশন স্কিম (NPS)-এর আওতায় থাকা কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরাও এখন থেকে কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিস (পেনশন) বিধি, ২০২১-এর আওতায় অবসরকালীন ও মৃত্যুকালীন গ্র্যাচুইটি (Gratuity) সুবিধা পাবেন।

    নতুন আদেশ অনুযায়ী কী বলা হল (Central Government) ?

    NPS-এর আওতাভুক্ত কর্মচারীরা অবসর বা চাকরি চলাকালীন মৃত্যুর ক্ষেত্রে গ্র্যাচুইটি সুবিধা পাবেন।

    ২৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গ্র্যাচুইটি পাওয়া যাবে সংশোধিত নিয়মে।

    চাকরির মেয়াদকালে (Central Government) মৃত্যু হলে, সংশ্লিষ্ট কর্মী বা তার পরিবার CCS পেনশন বিধি অনুযায়ী সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন।

    এতে সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সমতা ও ন্যায্যতা বজায় থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কী বলছেন অল ইন্ডিয়া এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের সভাপতি মনজিত সিং প্যাটেল?

    অল ইন্ডিয়া এমপ্লয়িজ ফেডারেশনের সভাপতি মনজিত সিং প্যাটেল এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘‘এনপিএস-এ অবসরকালীন ও মৃত্যুকালীন সুবিধা নিয়ে এতদিন যে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছিল, সরকারের এই নতুন আদেশ সেই অনিশ্চয়তার অবসান ঘটাল। কর্মচারীদের দীর্ঘদিনের দাবি আজ বাস্তবায়িত হল।’’

    অর্থ মন্ত্রক ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে একটি বিকল্প পেনশন ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছিল

    উল্লেখ্য, এর আগে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে একটি বিকল্প পেনশন ব্যবস্থার কথা ঘোষণা করেছিল। ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন কেন্দ্রীয় সরকারের (Central Government) নিয়োগপ্রাপ্তরা এককালীনভাবে এনপিএস এবং সিসিএস (Pension) রুলসের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার সুযোগ পাবেন। এই সিদ্ধান্তে যেমন কর্মচারীরা উপকৃত হবেন, তেমনই অবসর এবং মৃত্যুকালীন আর্থিক সুরক্ষা আরও দৃঢ় হবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল (Central Government) ।

LinkedIn
Share