Tag: Central Government

Central Government

  • Election Commission of India: আধার না থাকলেও দেওয়া যাবে ভোট, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission of India: আধার না থাকলেও দেওয়া যাবে ভোট, জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রাজ্যের একাধিক জেলায় বহু মানুষের আধার কার্ড নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার এনিয়ে উদ্বিগ্ন না হওয়ার কথা বললেও, নানা রকম গুজব ছড়াতে থাকে অনেকেই। বিষয়টি নিয়ে ঘোলাজলে রাজনীতি করতে নেমে পড়ে তৃণমূলও। আধার কার্ড না থাকলে সমস্যা হবে? ভোট কি দেওয়া যাবে? এসব প্রশ্নের জবাব দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India)। কমিশন মঙ্গলবার সাফ জানিয়েছে, আধার না থাকলে ভোট দিতে কোনও অসুবিধা হবে না। বিকল্প পরিচয়পত্র দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে। মঙ্গলবারই এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কথাগুলি বলেন নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (CEC on Aadhaar)।

    কী বললেন রাজীব কুমার?

    মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে নির্বাচন কমিশনার (Election Commission of India) রাজীব কুমার বলেন, ‘‘সর্বদল বৈঠকে একাধিক রাজনৈতিক দল আমাদের অনুরোধ করে আধারের (CEC on Aadhaar) বিকল্প ব্যবস্থা রাখার জন্য। ভোট দেওয়ার জন্য আধার কার্ড লাগবে এমন কোনও বিষয় নয়। পাঁচ থেকে ছ’ দিন আগে ভোটার স্লিপ পেয়ে যাবেন ভোটাররা। যদি কারও আধার কার্ড না থাকে তিনি ভোট দিতে পারবেন। আরও ১২-১৩ রকমের ডকুমেন্ট আছে সেগুলি দেখিয়েই ভোট দেওয়া যাবে। ভোটার কার্ড না থাকলেও অন্য বৈধ ডকুমেন্ট দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে। আধার বাধ্যতামূলক নয়। যদি ভোটার স্লিপ না থাকে তাহলেও ওই একই ডকুমন্টে দেখিয়ে ভোট দেওয়া যাবে।’’

    লোকসভা নির্বাচনে নজরদারিতে থাকবে অ্যাপ (Election Commission of India)

    লোকসভা নির্বাচনকে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করতে একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কমিশনের তরফ থেকে। দেশের অন্যান্য রাজ্যে ভোট শান্তিপূর্ণ হলেও পশ্চিমবঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা এবং ভোটের সময় হিংসা নিয়ে কমিশন সদা চিন্তিত। তাই সব থেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের জন্যই। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনকে সুষ্ঠ ভাবে পরিচালনা করতে আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করছি। প্রতিটি এলাকায় অবজারভার রাখার পাশাপাশি হেল্পলাইনও থাকবে। সেখানে সমস্ত রকম অবৈধ কাজকর্মের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো যাবে।’’  জানা গিয়েছে, প্রতিটি বুথে সিসিটিভি ক্যামেরার পাশপাশি থাকবে অ্যাপও। যার মাধ্যমে অশান্তির ঘটনা ঘটলে সরাসরি তার ছবি তুলে কমিশনের দফতরে পাঠানো যাবে। দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করবে কমিশন (Election Commission of India) । অবৈধ আর্থিক কার্যকলাপ রুখতেও একটি অ্যাপ থাকবে। প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোনও ফৌজদারি মামলা আছে কিনা তা জানা যাবে এই অ্য়াপ থেকেই। ভোটের সময় অনুপ্রবেশ রুখতেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কমিশনের তরফ থেকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Surrogacy Rules: গর্ভদান আইনে পরিবর্তন আনল কেন্দ্র, কী বলা হয়েছে নতুন নিয়মে?

    Surrogacy Rules: গর্ভদান আইনে পরিবর্তন আনল কেন্দ্র, কী বলা হয়েছে নতুন নিয়মে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারোগেসি বা গর্ভদান আইনে (Surrogacy Rules) পরিবর্তন আনল কেন্দ্রীয় সরকার। নতুন আইনে বলা হয়েছে যে, বিবাহিত দম্পতির যদি শারীরিক সমস্যা থাকে, স্ত্রী বা স্বামীর কোনও একজনের জননকোষ ব্যবহার করেই গর্ভদাত্রী মায়ের সাহায্যে সন্তানের জন্ম দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে সংশোধিত ‘গর্ভদান আইন, ২০২২’ অনুযায়ী জেলা মেডিক্যাল বোর্ডের সংশাপত্র লাগবে, যাতে উল্লেখ থাকবে, স্বামী বা স্ত্রীর মধ্যে কোনও একজনের শারীরিক সমস্যা রয়েছে এবং জননকোষ দাতার প্রয়োজন রয়েছে।

    কী বলা হয়েছে নতুন আইনে

    পুরনো গর্ভদান আইনে (Surrogacy Rules) দম্পতির দু’জনেরই জননকোষ ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক ছিল। নির্দিষ্ট করে এই বিষয়টি বদল করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার উন্নয়ন মন্ত্রক। নয়া নিয়মে স্ত্রী বা স্বামীর কোনও একজনের জননকোষ ব্যবহার করেই গর্ভদাত্রী মায়ের সাহায্যে সন্তানের জন্ম দেওয়া যাবে। তবে দু’জনেরই শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলে চলবে না। সিঙ্গল মাদার বা একা-মহিলারা (বিধবা বা বিবাহবিচ্ছিন্না) নিজেদের ডিম্বাণু এবং শুক্রাণু-দাতার সাহায্যে গর্ভদান প্রক্রিয়ায় সন্তানের জন্ম দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রেও মহিলাকে নিজের ডিম্বাণু ব্যবহার করতে হবে। ডিম্বাণু-দাতার সাহায্য নেওয়া যাবে না।

    কেন নয়া নিয়ম

    সুপ্রিম কোর্ট সাম্প্রতিককালে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মহিলাদের থেকে জননকোষ দান নিয়ে আবেদন পায়। তাঁরা জানান, কোনও বিরল যৌন-সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা। সেই কারণেই তারা গর্ভধারণ করতে পারছেন না। কিন্তু ডিম্বাণু-দানে অনুমতি না থাকায় গর্ভদান প্রক্রিয়ার সাহায্য নিয়েও মা হতে পারছেন না তাঁরা। এর পরেই আইন সংশোধনের কথা ভাবা শুরু হয়।

    আরও পড়ুুন: নেপালে ফের জোরালো হিন্দু রাষ্ট্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রীকে দাবিসনদ পেশ জনতার

    আদালতের পর্যবেক্ষণ

    গত বছর ডিসেম্বর মাসে সুপ্রিম কোর্ট পুরনো আইনটির (Surrogacy Rules) যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। শীর্ষ আদালত জানায়, ‘‘গর্ভদানের যে আসল লক্ষ্য, তা এই আইনে বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে।’’ গর্ভদান আইন নিয়ে শুনানি চলাকালীন ১৪টিরও বেশি দম্পতিকে ডিম্বাণু-দাতার সাহায্য নেওয়ায় অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এ বছর জানুয়ারি মাসে সুপ্রিম কোর্ট কেন্দ্রের কাছে প্রশ্ন করে, এত মহিলা ক্ষোভ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন, কেন সরকার বিষয়টি নিয়ে ভাবছে না? তারপরই কেন্দ্র সারোগেসি আইন নিয়ে নয়া নিয়ম আনার কথা ভাবে। আনা হয় নয়া নিয়ম।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে গোপন ফাইল গেল কেন্দ্রের কাছে, কী আছে তাতে?

    Sandeshkhali Case: সন্দেশখালিকাণ্ডে গোপন ফাইল গেল কেন্দ্রের কাছে, কী আছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) হস্তক্ষেপ করতে চলেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। খুব শীঘ্রই এনআইএর তরফে দায়ের করা হতে পারে মামলা। সন্দেশখালিকাণ্ডে এখনও অধরা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান। তাঁর খোঁজে হন্যে তদন্তকারীরা।

    সন্দেশখালিকাণ্ডে বহিরাগত সমাজবিরোধী যোগ!

    তদন্তকারীরা জেনেছেন, সন্দেশখালিকাণ্ডে স্থানীয় দুষ্কৃতীদের পাশাপাশি যোগ ছিল বহিরাগত সমাজবিরোধীদেরও। শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশিতে গিয়ে যেভাবে আক্রান্ত হয়েছেন ইডির আধিকারিকরা, তার নেপথ্যে একটি সুপরিকল্পিত পরিকল্পনা রয়েছে।

    মহিলাদের নির্যাতন

    রেশন বণ্টন কেলেঙ্কারিতে নাম জড়ায় তৃণমূল নেতা শাহজাহানের। তাঁর বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাতে গিয়ে জখম হন ইডির দুই আধিকারিক। সিআরপিএফের দুই জওয়ানও আহত হন শাহজাহানের ছোড়া ইটের ঘায়ে। এর পরেই গা ঢাকা দেন শাহজাহান। তাঁর শাগরেদদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তোলেন স্থানীয় মহিলারা (Sandeshkhali Case)। জোর করে জমি গ্রাস করার অভিযোগও তোলেন তাঁরা। গত বেশ কয়েক বছর ধরে এই ছিল সন্দেশখালির মহিলাদের দিনলিপি।

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরাতেই খালিস্তানি-ইস্যু তৃণমূলের? পুলিশকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

    জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির এই ঘটনার প্রেক্ষিতে কেন্দ্রকে একটি গোপন ফাইল পাঠিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এই ফাইলে সন্দেশখালি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য রয়েছে। ফাইল খোলা হলেই, প্রকাশ্যে আসবে সন্দেশখালিকাণ্ডের কালপ্রিটদের নাম। তদন্তের আঁচ লাগতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গায়েও। সন্দেশখালির ঘটনায় রাজ্যের পাঁচ আইএএস-আইপিএসকে তলব করেছিল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি। ঘটনার প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। তাতে স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। সন্দেশখালি এলাকা থেকে সীমান্ত খুব দূরে নয়। জানা গিয়েছে, সন্দেশখালির ঘটনার যাবতীয় কিছু লুকোনো রয়েছে শাহজাহান ও তাঁর দুই শাগরেদের কাছে।

    শাহজাহানের শাগরেদরা গ্রেফতার হলেও, তৃণমূল নেতা অধরা। স্থানীয়দের একাংশের মতে, শাহজাহানই হল মূল চক্রী। উত্তম সর্দার ও শিবু হাজরা নামে শাহজাহানের ওই দুই শাগরেদ (Sandeshkhali Case) সুন্দরী মহিলাদের খোঁজে বাড়ি বাড়ি যেত বলে অভিযোগ। পরে দলীয় মিটিংয়ের অছিলায় পার্টি অফিসে ডেকে পাঠানো হত তাঁদের। কিছুক্ষণ রাজনৈতিক কর্মসূচির কথা বলার পর তাঁদের মধ্যে বাছাই করা কয়েকজনকে নিয়ে তাঁরা চলে যেতেন পার্টি অফিসে কিংবা বাগানবাড়িতে। তার পর শুরু হত নির্যাতন। যা নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Deepfake: সচিনের ক্ষোভ! সজাগ কেন্দ্র, ডিপফেক রুখতে কড়া আইন আনছে সরকার

    Deepfake: সচিনের ক্ষোভ! সজাগ কেন্দ্র, ডিপফেক রুখতে কড়া আইন আনছে সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে বাড়ছে অনলাইন প্রতারণা। সম্প্রতি সোশ্যাল সাইটে ভুয়ো ভিডিয়ো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন দেশের তথা বিশ্বের কিংবদন্তী ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকর। এবার তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে সমাজ মাধ্যমগুলিতে নজরদারি বাড়ানোর কথা বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর। ডিপফেক রুখতে দ্রুত কড়া তথ্য-প্রযুক্তি আইন আনা হবে বলে জানালেন তিনি।

    সচিনের অভিযোগ

    সেলিব্রিটি থেকে আমজনতার মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ডিপফেক (Deepfake) প্রযুক্তি। আর এই ডিপফেকের রমরমা রুখতে এবার তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলির জন্য নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে কেন্দ্র। সচিনের অভিযোগ, একটি অনলাইন গেমিং সংস্থা প্রযুক্তির সাহায্যে অন্য ব্যক্তির কণ্ঠস্বরকে তাঁর বলে চালিয়ে প্রচার করছে। এই ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে সচিন কন্যা সারা সংস্থাটির অনলাইন গেম খেলছে। এবং সচিন বার্তা দিচ্ছেন, গেমটি খেলে উপার্জনও করা যায়। এরপরই প্রযুক্তির ব্যাপক অপব্যবহার নিয়ে সোচ্চার হন সচিন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জিও জানান তিনি।

    কঠোর আইনের আশ্বাস

    প্রাক্তন ক্রিকেটারের বার্তা দ্রুত পৌঁছে গিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে। কঠোর ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর।  সমাজমাধ্যমে দেওয়া উত্তরে তিনি বলেছেন,‘‘এই বার্তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ সচিন। এআইয়ের মাধ্যমে ডিপফেক এবং ভুল তথ্য ভারতের সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীদের কাছে হুমকির মতো হয়ে যাচ্ছে। তঁদের নিরাপত্তা এবং বিশ্বাসভঙ্গ হচ্ছে। ক্ষতি হচ্ছে। যে প্ল্যাটফর্ম বা সংস্থাগুলো এ সব করছে, তাদের উচিত এ সংক্রান্ত সাম্প্রতিক নির্দেশিকা সম্পূর্ণ ভাবে মেনে চলা। সংস্থাগুলো যাতে নির্দেশিকা মেনে চলে তা নিশ্চিত করতে আইন কঠোর করা হবে।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Hike: দোলের উপহার! সরকারি কর্মীদের ফের ডিএ বাড়াচ্ছে মোদি সরকার, সঙ্গে পাওনা বাড়তি এইচআরএ

    DA Hike: দোলের উপহার! সরকারি কর্মীদের ফের ডিএ বাড়াচ্ছে মোদি সরকার, সঙ্গে পাওনা বাড়তি এইচআরএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের জন্য সুখবর। আবার দোলের আগেই মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ (DA Hike) ও হাউস রেন্ট অ্যালাওয়েন্স (HRA) বাড়াতে চলছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। অর্থ মন্ত্রক সূত্রে খবর, এবার ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করা হতে পারে। বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিরা ৪৬ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা পান। ৪ শতাংশ বাড়লে ডিএ-র পরিমাণ ৫০ শতাংশ হবে। ডিএ বৃদ্ধির ঘোষণা যখনই হোক না কেন, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকেই তার সুবিধা পাবেন কেন্দ্রের সরকারি কর্মীরা (Central Government)। 

    কবে বাড়তে পারে ডিএ

    অর্থ মন্ত্রক সূত্রে খবর, ফেব্রুয়ারির শুরুতেই অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট পেশ করা হবে। এরপর ফেব্রুয়ারির শেষে কিংবা মার্চের প্রথমের দিকে ভোট ঘোষণার সম্ভাবনা। তার আগেই সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করতে পারে কেন্দ্র। এর আগে অক্টোবরে কেন্দ্রীয় সরকার ৪ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করেছিল। মূলত মুদ্রাস্ফীতির হার বিবেচনা করে সরকারি কর্মীদের ডিএ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে যদি কারও মূল বেতন হিসেবে থাকে ১৫ হাজার টাকা। তিনি সেই সময় মূলত বেতনের ৪২ শতাংশ ডিএ পেতেন, যা ছিল ৬৩০০ টাকা। ৪ শতাংশ বৃদ্ধির পরে তা ৬০০ টাকা বেড়ে হয় ৬৯০০ টাকা।

    আরও পড়ুন: বছরে মিলবে ১২ হাজার টাকা! মহিলা কৃষকদের নগদ বৃদ্ধির ভাবনা কেন্দ্রের

    বাড়ছে হাউস রেন্ট অ্য়ালাওয়েন্স 

    ডিএ-র পাশাপাশি হাউস রেন্ট অ্য়ালাওয়েন্সের (HRA) পরিমাণও বাড়াতে চলেছে সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারিদের ক্ষেত্রে শহর ভেদে এইচআরএ-র মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য রয়েছে। টায়ার-১ সিটিতে বসবাসকারী কর্মীরা হাউস রেন্ট অ্য়ালাওয়েন্স বেশি পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে টায়ার-২ ও টায়ার-৩র বাসিন্দাদের তুলনামূলকভাবে এইচআরএ বাবদ কম টাকা দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরির নিয়ম অনুযায়ী, ভাড়া বাড়িতে না থাকলে এইচআরএ-র টাকা পাওয়া যায় না। নিজস্ব বাড়ি বা কোয়ার্টার থেকে যে সমস্ত কর্মীরা চাকরি করেন তাঁদের এই ভাতা পাওয়ার সুযোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bharat Rice: ডাল, আটার পর সরকারি চাল! ২৫ টাকা কেজি দরে বাজারে আসছে ‘ভারত রাইস’

    Bharat Rice: ডাল, আটার পর সরকারি চাল! ২৫ টাকা কেজি দরে বাজারে আসছে ‘ভারত রাইস’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাজেহাল মধ্যবিত্ত। স্বস্তি দিতে সদা সচেষ্ট কেন্দ্র সরকার। তাই ভারত ডাল ও ভারত আটার পর এবারে বাজারে চাল আনছে সরকার। আসছে ভারত রাইস (Bharat Rice)। বাজারে ভারত রাইস আসছে মাত্র ২৫ টাকা কিলো দরে। বাজারচলতি মূল্যের চেয়ে এই দাম অনেকটাই কম। সাধারণ বাজারচলতি চালের দামের প্রায় অর্ধেক। এর আগে আটা এবং ডালের ক্ষেত্রেও কেন্দ্রীয় সরকার একই ভাবে মূল্যহ্রাসে উদ্যোগী হয়েছিল। ‘ভারত আটা’ এবং ‘ভারত ডাল’ বর্তমানে বাজারে কিনতে পাওয়া যায়। যে কোনও সংস্থার ডাল বা আটার চেয়ে যার দাম বেশ কম।

    কীভাবে পাওয়া যাবে ভারত রাইস

    এর আগে, দেশে ক্রমবর্ধমান পেঁয়াজ ও টমাটোর দাম বৃদ্ধি রুখতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ নিয়ে পেঁয়াজ ও টমাটো কম দামে বিক্রির বন্দোবস্ত করে। তারপর ডাল ও আটা এবার চাল। সরকারি সূত্রে খবর, ন্যাশনাল কো-অপারেটিভ কনজিউমার ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড (এনসিসিএফ), এগ্রিকালচারাল কো-অপারেটিভ মার্কেটিং ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া (নাফেড), কেন্দ্রীয় ভান্ডারের দোকান এবং মোবাইল ভ্যানের মাধ্যমে এই চাল বিক্রি করা হবে। তবে, কবে থেকে এই চাল (Bharat Rice) বাজারে পাওয়া যাবে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। পরিসংখ্যান বলছে, গত বছরের তুলনায় এবার চালের মূল্যবৃদ্ধি ১৪.১ শতাংশ হয়েছে। গড়ে ৪৩.৩ টাকা কিলো দরে বিক্রি হচ্ছে চাল। 

    আরও পড়ুন: শৃঙ্খলা কাম্য, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে পথে নেমে কাজ করার বার্তা বিজেপি কর্মীদের

    খাদ্যশস্যের দাম কমাতে সক্রিয় সরকার

    বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকার কম দামে আটা আর ছোলার ডাল বিক্রি করেছে। সরকারি সংস্থাগুলির আউটলেটে ভারত আটা প্রতি কেজিতে ২৭.৫০ টাকা ও ভারত ডাল ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কেন্দ্রের তরফে, খুচরো বাজারে চালের দাম নিয়ন্ত্রণে সরকার বাসমতি চালের রপ্তানি নিষিদ্ধ করে। পরিসংখ্যান বলছে, নভেম্বরে দেশে খাদ্যশস্যের দাম ১০.২৭ শতাংশ বেড়েছে। যা মুদ্রাস্ফীতিকে পৌঁছে দিয়েছে ৮.৭০ শতাংশে। খাদ্যশস্যের দাম কমাতে তাই সক্রিয় সরকার। চাল (Bharat Rice) অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি খাদ্যশস্য। দেশের একটা বড় অংশের মানুষের জীবনে যা অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তাই চালের দামে লাগাম টানা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে, বলে অভিমত সরকারি মহলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fake Jobs: চাকরির নামে প্রতারণা! ১০০টি ভুয়ো ওয়েবসাইট বন্ধ করল কেন্দ্র

    Fake Jobs: চাকরির নামে প্রতারণা! ১০০টি ভুয়ো ওয়েবসাইট বন্ধ করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিদিনই খবরে কাগজ বা সোশ্যাল সাইটে চোখে পড়ে ঘরে বসে কাজ করার বিজ্ঞাপন। ফোন করে কাজ করার জন্য নাম নথিভুক্ত করলেই হবে। একবার এই ফাঁদে পা দিলেই চাকরির (Fake Jobs) বদলে সর্বশান্ত আবেদনকারী। রেজিস্ট্রেশনের নামে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অনলাইনে আবেদনকারীর টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে মাঝে মধ্যেই। এবার এই ধরনের জালিয়াতি রুখতে সক্রিয় কেন্দ্র। পার্ট টাইম জবের প্রলোভন দেখিয়ে আর্থিক প্রতারণায় অভিযুক্ত ১০০টির বেশি ওয়েবসাইট বন্ধ করল মোদি সরকার।

    অপরাধ দমনে সক্রিয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক

    কেন্দ্র জানিয়েছে, বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে ঘরে বসে পার্ট টাইম (Fake Jobs) কাজের নামে ভুয়ো বিজ্ঞাপন দেওয়া হত। তার ফাঁদে পড়তেন বহু মানুষ। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবিষয়ে আগে থেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন। তাই কালবিলম্ব না করে পদক্ষেপ নেওয়া হল। এই ফাঁদে বেশিরভাগ পা দেন অবসরপ্রাপ্ত, মহিলা এবং বেকার যুবকদের একটি অংশ। সকলকেই চাকরির টোপ দিয়ে নিজেদের কাজ হাসিল করত এই ভুয়ো ওয়েবসাইটগুলি। এই ওয়েবসাইটগুলির মাধ্যমে ঘরে বসে কাজ করানোর নামে টাকা হাতানোর খবর মিলেছিল। দ্রুত ব্যবস্থা নিল সরকার। একই সঙ্গে বিজ্ঞাপনী প্রচারে ভুলে যাতে সর্বস্ব খোয়াতে না হয়, তার জন্য সাধারণ নাগরিকদের সাবধানও করেছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।

    আরও পড়ুন: “পাক অধিকৃত কাশ্মীর হামারা হ্যায়”, বললেন শাহ, জানালেন বিধানসভার আসন সংখ্যাও

    সাইবার ক্রাইম বিভাগের সতর্কতা

    বুধবার কেন্দ্রের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, নানা রকম আর্থিক প্রতারণায় যুক্ত এমন প্রচুর ওয়েবসাইট তারা শনাক্ত করেছে। একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ইত্যাদি অ্যাপের মাধ্যমে নানা প্রলোভন দিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগে অভিযুক্ত সমস্ত ওয়েবসাইটের খোঁজ শুরু করেছে তারা। ইতিমধ্যে এমন ১০০টিরও বেশি ওয়েবসাইটকে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, এমন অনলাইনভিত্তিক আর্থিক প্রতারণার কতগুলি বড়সড় চক্র আছে। এরা দেশে ক্রিপ্টোকারেন্সি, এটিএমের মাধ্যমে আর্থিক প্রতারণায় যুক্ত। সাধারণ মানুষকে অনেক বেশি সচেতন থাকার কথা বলেছে কেন্দ্রের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • iPhone Hacking: বিরোধীদের আইফোন হ্যাক! তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের, সাফাই দিল অ্যাপলও

    iPhone Hacking: বিরোধীদের আইফোন হ্যাক! তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের, সাফাই দিল অ্যাপলও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রের মদতে তাঁদের আইফোন হ্যাক (iPhone Hacking) করার চেষ্টা চলছে। মঙ্গলবার অ্যাপেলের পক্ষ থেকে এই মর্মে সতর্কবার্তা পেয়েছেন বসলে অভিযোগ তৃণমূল নেত্রী মহুয়া মৈত্র সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি বিরোধী সাংসদ ও নেতার। সেই বার্তা কেন পাঠানো হল, তা জানতে তদন্তের নির্দেশ দিল কেন্দ্র।

    কেন্দ্রের বক্তব্য 

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “ভারত সরকার নাগরিকদের গোপনীয়তা ও নিরাপত্তা রক্ষাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়। এই বিজ্ঞপ্তিগুলির শেষ দেখতে তদন্ত করা হবে।” অ্যাপলের সতর্কবার্তা ভুয়ো বলেও দাবি মন্ত্রীর। অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, অ্যাপল যে কেবল ভারতেই এই ধরনের সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে, তা নয়। সব মিলিয়ে ওই সংস্থার পক্ষ থেকে ১৫০টি দেশে জারি করা হয়েছে এই সতর্কবার্তা। তিনি বলেন, “কেন ওই সতর্কবার্তা এল, তা জানতে বিশদ তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। যাঁরা ওই সতর্কবার্তা পেয়েছেন, তাঁরা যেন তদন্তে সহযোগিতা করেন।” 

    ধ্বংসাত্মক রাজনীতি

    কেন্দ্রীয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী বলেন, “বিরোধীরা সমালোচনার অজুহাত খুঁজতে থাকেন। কেন্দ্রকে আক্রমণ করার কোনও বড় কারণ না পেয়ে এখন হ্যাকিং নিয়ে সুর চড়াচ্ছেন তাঁরা।” তিনি বলেন, “অ্যাপলের পাঠানো ই-মেইল থেকে বোঝা যায়, তাদের কাছে স্পষ্ট কোনও তথ্য নেই। তারা অনুমানের ভিত্তিতে এই সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। এটা ভুয়ো। অ্যাপল সাফ জানিয়েছে, সমালোচনার জন্য যারা সমালোচনা করছেন, তাঁদের অভিযোগ সত্য নয়। যাঁরা দেশের উন্নয়ন চান না, তাঁরাই এই ধ্বংসাত্মক রাজনীতি করছেন।”

    আরও পড়ুুন: জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পরেই মমতার বাড়িতে গোপন বৈঠক! হাটে হাঁড়ি ভাঙলেন শুভেন্দু

    প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, “পুরোটা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব অ্যাপল সংস্থার পক্ষেই। বিরোধী নেতাদের কোনও সমস্যা হলে এফআইআর করা উচিত। ওঁদের তো কেউ আটকায়নি!” তিনি বলেন, “পেগাসাস বিতর্কে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সুপ্রিম কোর্টের দ্বারা নিযুক্ত কমিটির সামনে তাঁর আইফোনটি জমা দিতে অস্বীকার করেছিলেন। আজকের অভিযোগ নিয়ে হইচই করার আগে ওই বিষয়টি একবার ভেবে দেখবেন।”

    সাফাই দিল অ্যাপল-ও

    হ্যাকিংয়ের ব্যাপারে নিজেদের টেকনিক্যাল সাপোর্ট পেজে বিবৃতি দিয়ে অ্যাপল জানিয়েছে, রাষ্ট্র পরিচালিত হামলাকারীরা সাধারণত আর্থিকভাবে পুষ্ট ও অত্যাধুনিক হয়। গোয়েন্দাদের হুঁশিয়ারির ওপর নির্ভর করে এ ধরনের হামলা ধরতে গেলে দেখা যায়, তা অনেক সময়ই ত্রুটিযুক্ত ও অসম্পূর্ণ। সংস্থার তরফে আরও জানানো হয়েছে, কিছু নোটিফিকেশন অনেক সময়ই মিথ্যে সঙ্কেত হতে পারে। আবার অনেক হামলা ধরাই পড়ে না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • DA Hike: পুজোর উপহার! ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ল কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের, কত হবে বেতন?

    DA Hike: পুজোর উপহার! ফের ৪ শতাংশ ডিএ বাড়ল কেন্দ্র সরকারি কর্মচারীদের, কত হবে বেতন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ঠিক আগেই বড় ঘোষণা করল মোদি সরকার। ৪ শতাংশ ডিএ (DA Hike) বাড়ল কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের। বুধবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।  কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের ফলে কেন্দ্রের কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা ৪২ শতাংশ থেকে বেড়ে হল ৪৬ শতাংশ।

    রাজ্যের সঙ্গে ফারাক

    অক্টোবরে ঘোষণা হলেও নতুন হারে ডিএ (DA Hike) কার্যকর হবে জুলাই মাস থেকেই। এর আগে ২৪ মার্চের ঘোষণায় ১ জানুয়ারি থেকে মিলেছিল বর্ধিত ডিএ। তাতে ডিএ বেড়ে হয়েছিল ৪২ শতাংশ। এখন তা চার শতাংশ বেড়ে হল ৪৬ শতাংশ। আর তাতে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সঙ্গে ফারাক বেড়ে হল ৪০ শতাংশ।

    বেতন কত হবে

    কেন্দ্রের এই ডিএ (DA Hike) বৃদ্ধিতে এক লাফে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বেতন অনেকটাই বেড়ে যাবে। ধরা যাক, এক জন কর্মী যদি ৩৬,৫০০ টাকা মাসিক বেতন পান তবে ৪২ শতাংশ হারে তাঁর ডিএ প্রাপ্তি হয় ১৫,৩৩০ টাকা। সেটা বেড়ে হবে ১৬,৪২৫ টাকা। অর্থাৎ, মাসিক আয় বাড়বে ১,৪৬০ টাকা। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারী এবং পেনশনভোগীরা নতুন ডিএ বৃদ্ধির ফলে বকেয়ার অংশও আগামী মাসের বেতনের সঙ্গে পেয়ে যাবেন বলে জানা গিয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ‘দুয়ারে রেশন’ প্রকল্পে চালের মধ্যে পোকা! তুমুল বিক্ষোভ, প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    কীভাবে বাড়ল ডিএ

    ডিএ (DA Hike) কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মচারীদের মূল বেতনের একটি অংশ হিসাবে গণনা করা হয়। কেন্দ্রীয় সরকার মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করে বাজারদরের উপরে। এর জন্য সরকারের শ্রম মন্ত্রকের অধীনস্থ সংস্থা শ্রম ব্যুরো অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের পাইকারি মূল্যের হিসাব করে জিনিসপত্রের বর্ধিত বাজারদর ঠিক করে। তার উপরেই নির্ভর করে কতটা ডিএ বাড়ানো হবে। সরকারের সিদ্ধান্তের ফলে প্রায় ৪৭ লাখ সরকারি কর্মচারী এবং ৬৮ লাখ পেনশনভোগী উপকৃত হবেন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jammu Kashmir Election: “জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন করাতে আমরা প্রস্তুত”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Jammu Kashmir Election: “জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন করাতে আমরা প্রস্তুত”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জম্মু-কাশ্মীরে যে কোনও সময় নির্বাচন করাতে আমরা প্রস্তুত।” বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে একথা জানিয়ে দিল কেন্দ্র। ভোটার তালিকা তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। তবে প্রথমেই বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে না। কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রথমে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন।

    ৩৭০ ধারা রদ

    ২০১৮ সাল থেকে জম্মু-কাশ্মীরের রাশ রয়েছে কেন্দ্রের হাতে। পরের বছর ভূস্বর্গ থেকে বাতিল করা হয় ৩৭০ ধারা। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বেশ কয়েকটি পিটিশন জমা পড়ে সুপ্রিম কোর্টে। এনিয়ে চলছে শুনানিও। বৃহস্পতিবার শুনানিতে হাজির ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল আর ভেঙ্কটারমানি। তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই জম্মু-কাশ্মীরে নির্বাচন পর্ব সম্পন্ন করবে। প্রথমে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। এজন্য ভোটার তালিকা তৈরি করছে কেন্দ্র। তবে কবে নির্বাচন হবে, তা ঠিক করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।”

    তিনটি নির্বাচন হবে

    এদিন শীর্ষ আদালতে হাজির ছিলেন সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাও। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত ও পৌর কর্পোরেশনের পরে জম্মু-কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকে।” তুষার বলেন, “তিনটি নির্বাচন হতে যাচ্ছে। জম্মু-কাশ্মীরে প্রথমবারের মতো ত্রিস্তর ব্যবস্থা কার্যকর করা হয়েছে। প্রথমে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। এরপর হবে পার্বত্য উন্নয়ন পরিষদের নির্বাচন। লেহ কাউন্সিল নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। আগামী মাসে হবে কার্গিল কাউন্সিল নির্বাচন।” কেন্দ্রের তরফে এদিন আদালতকে জানানো হয়, জম্মু-কাশ্মীরে আইন-শৃঙ্খলার উন্নতি হয়েছে। পাথর ছোড়ার মতো ঘটনা হ্রাস পেয়েছে ৯৭.২ শতাংশ। নিরাপত্তা কর্মীদের মৃত্যু হ্রাস পেয়েছে ৬৫.৯ শতাংশ।

    আরও পড়ুুন: ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকের আগেই মোক্ষম চাল বিজেপির, প্রধানমন্ত্রী হাজির ‘টার্মিনেটর’-এর ভূমিকায়

    প্রসঙ্গত, সীমানা পুনর্বিন্যাসের জেরে আসন সংখ্যা বেড়েছে জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভার। সীমানা পুনর্বিন্যাসের আগে ভূস্বর্গে বিধানসভা কেন্দ্র ছিল ৮৩টি। বর্তমানে তা হয়েছে ৯০টি। সীমানা পুনর্বিন্যাস প্রক্রিয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় কিষান ও বিচারপতি এএস ওকার ডিভিশন বেঞ্চ খারিজ করে দেয় সেই মামলা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share