Tag: Central Government

Central Government

  • Supreme Court: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    Supreme Court: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলাম এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া দলিতদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়া হবে না। বুধবার সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) হলফনামা জমা দিয়ে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। মুসলিম এবং খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হওয়া ব্যক্তিদের সংরক্ষণের আওতায় আনার জন্য জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল। সেই মামালার শুনানির দিন কেন্দ্র এমন কথা জানিয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানি চলতি নভেম্বর মাসের শেষের দিকে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। গতকাল তাঁদের তফসিলি জাতির মর্যাদা দেওয়া হবে কিনা সে বিষয়েই স্পষ্ট জানাল কেন্দ্রীয় সরকার। সুপ্রিম কোর্টে একটি হলফনামা পেশ করে এই পরিপ্রেক্ষিতে সরকার বলে, ‘খ্রিস্টধর্ম ও ইসলামে কোনও অস্পৃশ্যতা নেই’। তার ফলেই তাদের সংরক্ষণের আওতায় ধরা হবে না।

    দলিত খ্রিস্টানদের জাতীয় পরিষদ এবং অন্যান্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ অগাস্ট সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court) এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে স্পষ্ট জানাতে বলেছিল। আর তারই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল হলফনামা পেশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    আরও পড়ুন: তিন বছর আগে এদিনই রাম মন্দির নির্মাণের রায় দেয় শীর্ষ আদালত! জেনে নিন দ্বন্দ্বের শুরু থেকে শেষ

    সুপ্রিম কোর্টে কী জানাল কেন্দ্র

    কেন্দ্রীয় সরকার শীর্ষ আদালতকে (Supreme Court) হলফনামা পেশ করে জানিয়েছে, ১৯৫০ সালের সাংবিধানিক আদেশ অনুসারে তফসিলি জাতিদের জন্য সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছিল। আর ইসলাম বা খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের তফসিলি জাতিভুক্তরা কখনও অন্যায়ের শিকার হননি। অন্যায়ের শিকার যাতে না হন, তার জন্যই তাঁরা ইসলাম বা খ্রিস্টধর্মে দীক্ষিত হয়েছেন বলে মনে করছে কেন্দ্র। এছাড়াও অস্পৃশ্যতার মত নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা খ্রিস্টান বা ইসলামি সমাজে প্রচলিত ছিল না বলেই এই দুই ধর্মকে সংরক্ষণের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বলেই জানিয়েছে কেন্দ্র।

    উল্লেখ্য, ১৯৫০ সালের সাংবিধানিক আদেশ অনুসারে, শুধুমাত্র হিন্দু, শিখ বা বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের তফসিলি জাতিদের জন্য চাকরি এবং শিক্ষায় সংরক্ষণ নিশ্চিত করা হয়েছে। কেন্দ্র আরও জানিয়েছে, সমস্ত ধর্মান্তরিত ব্যক্তিদের তাঁদের সামাজিক দিক না দেখেই যদি সবাইকে সংরক্ষণের সুবিধা দেওয়া হয়, তবে এটি আইনের বিরুদ্ধে হবে ও আইনের অপব্যবহারও করা হবে। এতে তফসিলি উপজাতির অধিকারও কমে যাবে বলে কেন্দ্রের পক্ষে জানানো হয় (Supreme Court) ।

    সরকারের তরফে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, সামাজিক-রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতার কারণে ১৯৫৬ সালে বি আর আম্বেদকর স্বেচ্ছায় বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন। এই ক্ষেত্রেও সংরক্ষণের আওতায় আনার অধিকার রয়েছে। তবে খ্রিস্টান এবং মুসলিমদের ক্ষেত্রে একই কথা বলা যায় না, কারণ এরা অন্য কারণেও তাঁদের ধর্ম পরিবর্তন করতে পারেন।

  • GST: সেপ্টেম্বরে জিএসটি বৃদ্ধি ২৬%, মাসিক সংগ্রহ ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা

    GST: সেপ্টেম্বরে জিএসটি বৃদ্ধি ২৬%, মাসিক সংগ্রহ ১.৪৭ লক্ষ কোটি টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বরে জিএসটি (GST) থেকে সরকারের আয় ১,৪৭,৬৮৬ কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রকের (Ministry of Finance) তরফে এমনটাই জানানো হল। গত বছর সেপ্টেম্বরের তুলনায় এ বছর সংগৃহীত জিএসটি-র পরিমাণ ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। অর্থ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, লাগাতার ছয় মাস জিএসটি থেকে মাসিক আয় ১.৪০ লক্ষ কোটি টাকার বেশি আয় হচ্ছে। মন্ত্রকের মতে, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসে মোট সংগৃহীত জিএসটির মধ্যে কেন্দ্রীয় জিএসটি (CGST) ছিল ২৫,২৭১ কোটি টাকা ৷ রাজ্য জিএসটি (SGST) ৩১,৮১৩ কোটি টাকা এবং ইন্টিগ্রেটেড জিএসটি (IGST) ৮০,৪৬৪ কোটি টাকা (এর মধ্যে আমদানি পণ্য থেকে এসেছে ৮৫৬ কোটি টাকা) এবং সেজ ১০,১৩৭ কোটি টাকা (এর মধ্যে আমদানি পণ্য থেকে এসেছে ৪১,২১৫ কোটি টাকা)। অগাস্টে মোট জিএসটি (gst) রাজস্ব সংগ্রহ হয়েছে ১ লক্ষ ৪৩ হাজার ৬১২ কোটি টাকা। জুলাই মাসে জিএসটির কারণে ভারতের রাজকোষে মোট ১.৪৯ লক্ষ কোটি টাকা এসেছে।    

    আরও পড়ুন: ঘুরে দাঁড়াচ্ছে ভারতীয় অর্থনীতি, বাড়ল প্রত্যক্ষ কর সংগ্রহের পরিমাণ  

    সম্প্রতি, জিএসটি কাউন্সিল নিত্য প্রয়োজনীয় অনেক পণ্যের ওপরেই জিএসটি ধার্য করেছে। যা আগে করমুক্ত ছিল। এতে যে আখেরে দেশের অর্থনীতিতে সুফলই এসেছে, তার প্রতিফলন দেশের কোষাগারে স্পষ্ট। 

    এখন হোটেল রুমে ১০০০ টাকার কম হলেও এখন থেকে জিএসটি দিতে হয়। এছাড়াও, হাসপাতালের ঘরের ভাড়া ৫০০০ টাকার বেশি হলেও ৫% জিএসটি ধার্য করা হয়। প্যাকেটজাত খাবারের ওপরও ৫ শতাংশ জিএসটি আরোপ করা হয়েছে। অর্গানিক ফুডের ওপরেও ধার্য করা হয়েছে জিএসটি। আগে এই বিষয়গুলি করমুক্ত ছিল।   

    আরও পড়ুন: নয়া নিয়ম অনুযায়ী, যদি কোনও ভাড়াটের জিএসটির রেজিস্ট্রেশন থাকে, তবে তাঁকে ভাড়ার উপর জিএসটি দিতে হবে।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

     

  • Free Ration: উৎসবের মরশুমে সুখবর, আরও তিনমাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের 

    Free Ration: উৎসবের মরশুমে সুখবর, আরও তিনমাস বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই সুখবর দিল মোদি সরকার। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিনামূল্যে রেশন (Anouncement of Free ration) দেওয়ার সময়সীমা আরও ৩ মাস বাড়াতে চলেছে কেন্দ্র সরকার (Central Government)। এই সিদ্ধান্তে সবুজ সংকেত দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। ২০২০ সালে করোনা অতিমারীর সময় এই বিনামূল্যে রেশন দেওয়া শুরু করেছিল ভারত সরকার। এই প্রকল্পে প্রান্তিক ও গরিব দেশবাসীকে বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হয়। এই প্রকল্পের আওতায় প্রত্যেক ব্যক্তি মাস প্রতি ৫ কেজি করে খাদ্য শস্য পান। 

    আরও পড়ুন: দুয়ারে রেশন প্রকল্প অবৈধ, সাফ জানাল হাইকোর্ট 

    আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর বিনামূল্যে রেশন প্রকল্প শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দেশজুড়ে আসন্ন উৎসবের কথা মাথায় রেখে এই প্রকল্পের মেয়াদ আরও ৩ মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার (PMGKAY) আওতায় প্রতি মাসে দেশের ৮০ কোটি মানুষ বিনামূল্যে রেশন পান। ২০১৩ সালের জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের আওতায় ওই ৮০ কোটি উপভোক্তাকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নির্ধারিত কোটার আওতায় তাঁদের প্রাপ্য রেশন তাঁরা পেয়ে থাকেন। তারপরেও বিনামূল্যে অতিরিক্ত পাঁচ কেজি খাদ্যশস্য পান ওই উপভোক্তারা। 

    কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে, আরও ৩ মাস এই বিনামূল্যে রেশন দেওয়ার ফলে সরকারের ওপর অতিরিক্ত ৪৫ হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত খরচ হবে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, খরচ কমাতে অর্থমন্ত্রকের তরফে সরকারকে রেশনে দেওয়া খাদ্যশস্যের পরিমাণ কমানোর সুপারিশ করা হয়েছিল, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকার বর্তমান পদ্ধতিতেই আরও ৩ মাস রেশন প্রকল্প চালিয়ে যেতে ইচ্ছুক। অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অন্যান্য সামগ্রীর ওপর ইতিমধ্যে অতিরিক্ত ভর্তুকি দিতে হচ্ছে, এর পর রেশন দেওয়ার সিদ্ধান্ত আর্থিক চাপ  অনেকটাই। অর্থমন্ত্রক আরও জানিয়েছে, বিগত ২ বছরে এই প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকারের মোট ২ লক্ষ ৬০ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে।  

    করোনাভাইরাস অতিমারীর সময় প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার প্রকল্পটি চালু করা হয়। প্রাথমিকভাবে তিন মাসের জন্য (২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের জুন) সেই প্রকল্পের ঘোষণা করা হয়েছিল। তারপর থেকে একাধিকবার প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। দ্বিতীয় দফা (২০২০ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর), তৃতীয় দফা (২০২১ সালের মে এবং জুন), চতুর্থ দফা (২০২১ সালের জুলাই থেকে নভেম্বর), পঞ্চম দফা (২০২১ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২২ সালের মার্চ) এবং ষষ্ঠ দফায় (২০২২ সালের মে থেকে সেপ্টেম্বর) খাদ্যশস্য দেওয়া হয়েছে। এবার সপ্তম দফায় আরও তিন মাস, ডিসেম্বর অবধি বিনামূল্যে খাদ্যশস্য দেওয়া হবে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Kartavya Path: বদলে যাচ্ছে দিল্লির রাজপথের নাম! কী নাম রাখা হচ্ছে, জানেন?

    Kartavya Path: বদলে যাচ্ছে দিল্লির রাজপথের নাম! কী নাম রাখা হচ্ছে, জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবারে দিল্লির ‘রাজপথ’ (Rajpath) ও সেন্ট্রাল ভিস্তার (Central Vista) ঐতিহাসিক নামকরণ পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি (Modi) সরকার। কেন্দ্রীয় সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দিল্লির ‘রাজপথের’ নাম পরিবর্তন করে রাখা হচ্ছে ‘কর্তব্যপথ’ (Kartavya path)। নেতাজির মূর্তি থেকে রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত রাজপথের নাম রাখা হবে কর্তব্যপথ। রাজপথের পাশাপাশি মোদি সরকার সেন্ট্রাল ভিস্তা লনের নামও পরিবর্তন করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

    স্বাধীনতার ৭৫ বছর (Independence Day) পূর্তি উপলক্ষ্যে দিল্লির লালকেল্লা (Delhi Red Fort) থেকে জাতির উদ্দেশে বার্তা দেওয়ার সময়েই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি(Narendra Modi) ঔপনিবেশিক মানসিকা থেকে বেরিয়ে আসার সময় এসেছে বলে ঘোষণা করেছিলেন। ব্রিটিশ আমলের নাম বদলে ফেলার এবং তাদের রাজতন্ত্র থেকে বেরিয়ে আসার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। এবার মোদীর ঘোষণা মতো এবার দিল্লির রাজপথ ও সেন্ট্রাল ভিস্তার লেনের নতুন নামকরণ করা হচ্ছে বলে মনে করা হয়।

    আরও পড়ুন: জলে ভাসল দেশের তৈরি প্রথম বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত, দেখুন ছবি

    উল্লেখ্য, নৌবাহিনী গত সপ্তাহে দেশের প্রথম তৈরি বিমানবাহী রণতরী আইএনএস বিক্রান্ত (INS Vikrant) লঞ্চের সময় তার পতাকা পরিবর্তন করেছে। এর আগে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনের রেস কোর্স রোড (Race Course Road)  নাম পরিবর্তন করে রাখা হয়েছে লোক ‘কল্যাণ মার্গ’ (Lok Kalyan Marg )।

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, ৭ সেপ্টেম্বর এনডিএমসির তরফে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছে। আর সেখানেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আরও জানা গিয়েছে, আগামী ৮ সেপ্টেম্বর সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী মোদি (Modi)।

    ‘রাজপথ’-কে দিল্লির সবচেয়ে জনপ্রিয় রাস্তা হিসেবে মনে করা হয়। নতুন করে এই রাস্তাকে সাজিয়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিল কেন্দ্রীয় সরকার। লাল গ্র্যানাইটের এই রাস্তা ১.১ লক্ষ স্কোয়ার কিলোমিটার জুড়ে রয়েছে। চারিদিকে রয়েছে সবুজের ছোঁয়া। রাজপথের পাশে রয়েছে ১৩৩ টি লাইটের স্ট্যান্ড। রয়েছে ৪,০৮৭ টি গাছ। বহু বাগানও রয়েছে।

    অন্যদিকে নতুন করে সাজানো হচ্ছে ‘সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউ’। প্রায় ২০ মাস ধরে একে নতুন করে সাজানোর কাজ করা হচ্ছিল। এর ফলে জনসাধারণের জন্য বন্ধ ছিল রাজধানীর রাজপথ। চলতি সপ্তাহের শেষের দিকেই আবারও রাস্তাটি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানা গেছে। সেন্ট্রাল ভিস্তা অ্যাভিনিউকে ডেডিকেটেড ভেন্ডিং জোন দিয়ে নতুন করে সাজানো হয়েছে। সেখানে আইসক্রিমের পাশাপাশি ১৬টি রাজ্যের খাবার পাওয়া যাবে। আবার ১০০০-এরও বেশি গাড়ির জন্য পাবলিক সুবিধা থাকবে এবং পার্কিংয়ের জন্য নতুন ব্লকের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।

  • Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত ৯ জন বিচারপতি নিয়োগ কেন্দ্রের

    Calcutta High Court: কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত ৯ জন বিচারপতি নিয়োগ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিচারপতির অভাবে ঝুলে রয়েছে মামলা। দীর্ঘায়িত হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া। এবার সেই সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হল কেন্দ্র (Centre)। কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) ৯জন অতিরিক্ত বিচারপতি নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করল কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government)।

    দেশের প্রাচীনতন হাইকোর্ট কলকাতা হাইকোর্ট। ১৮৬১ সালের হাইকোর্ট আইন বলে ১৮৬২ সালের ১ জুলাই স্থাপিত হয় কলকাতা হাইকোর্ট। সেই সময় এই আদালতের নাম ছিল হাইকোর্ট অফ জুডিকেচার অ্যাট ফোর্ট উইলিয়াম। বর্তমানে সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ কলকাতা হাইকোর্টের অন্তর্ভুক্ত। আন্দামান ও নিকোবরের রাজধানী পোর্ট ব্লেয়ারে কলকাতা হাইকোর্টের একটি সার্কিট বেঞ্চ রয়েছে। ১৮৭২ সালে স্যার বার্নেস পিকক কলকাতা হাইকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি নিযুক্ত হন। হাইকোর্টের প্রথম ভারতীয় বিচারক ছিলেন শম্ভুনাথ পণ্ডিত। হাইকোর্টের প্রথম প্রধান বিচারপতি ছিলেন রমেশ চন্দ্র মিত্র। প্রথম পূ্র্ণ মেয়াদের ভারতীয় প্রধান বিচারপতি ছিলেন ফণীভূষণ চক্রবর্তী।

    বরাবরই কলকাতা হাইকোর্টের ওপর মামলার চাপ পাহাড় প্রমাণ। বিচারপতি থাকার কথা ৭২ জন। অথচ রয়েছেন মাত্র ৪৬ জন। শূন্য পদের সংখ্যা ২৬। অতিরিক্ত এই ৯ জনের নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হওয়ায় শূন্যপদের সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১৭। স্বাভাবিক ভাবেই বিলম্বিত হচ্ছে বিচার প্রক্রিয়া। সেই সমস্যা মেটাতে অতিরিক্ত ৯ জন বিচারপতি নিয়োগ করার কথা ঘোষণা করল মোদি সরকার। যাঁদের নিয়োগ করা হল, তাঁরা হলেন, বিশ্বরূপ চৌধুরী, পার্থ সারথি সেন, প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, উদয় কুমার, অজয় কুমার গুপ্ত, সুপ্রতিম ভট্টাচার্য, পার্থ সারথি চ্যাটার্জি, অপূর্ব সিনহা রায় এবং মহম্মদ শাব্বার রাশিদি। সিনিয়রিটির ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়েছে এঁদের। 

    আরও পড়ুন : পুরুলিয়া সূচকাণ্ডে মা, প্রেমিকের ফাঁসির সাজা রদ করে যাবজ্জীবন দিল হাইকোর্ট

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

  • Pegasus Spyware: পেগাসাস বিতর্কে স্বস্তি কেন্দ্রের! মাত্র ৫টি ফোনে ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব মত শীর্ষ আদালতের

    Pegasus Spyware: পেগাসাস বিতর্কে স্বস্তি কেন্দ্রের! মাত্র ৫টি ফোনে ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব মত শীর্ষ আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পেগাসাস মামলায় সুপ্রিম কোর্টে রিপোর্ট পেশ করল বিশেষজ্ঞ কমিটি। ফোনে আড়িপাতা সংক্রান্ত মামলায় বিশেষজ্ঞ কমিটির দেওয়া রিপোর্টে বলা হয়, কমিটি যে ২৯টি ফোন পরীক্ষার জন্য নিয়েছিল, তার মধ্যে ৫-টিতে মিলেছে সন্দেহজনক ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব। তবে তা পেগাসাস স্পাইওয়্যার কিনা তার নিশ্চিত প্রমাণ মেলেনি।

    পেগাসাস ইস্যুতে লোকসভা থেকে রাজ্যসভা-সহ একাধিক জায়গায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন বিরোধীরা। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণে কিছুটা স্বস্তি পেল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টের মনোনীত কমিটি জানিয়েছে, জমা দেওয়া ২৯টি মোবাইল ফোন পরীক্ষা করা হয়েছিল। মাত্র পাঁচটি ফোনেই ম্যালওয়ার পাওয়া গিয়েছে। তবে তা আদৌ পেগাসাস কি না তার কোনও প্রমাণ মেলেনি। বৃহস্পতিবার এমনটাই জানিয়েছেএদিন প্রধান বিচারপতি এন ভি রমণ নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ।

    আরও পড়ুন: ৯ অগাস্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে ২৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের মামলার শুনানি শুরু

    এদিকে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতাকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি এন ভি রমণ জানিয়েছেন, কমিটির দাবি অনুযায়ী এই তদন্তে কেন্দ্রীয় সরকার সহযোগিতা করেনি। এই কমিটি পেগাসাস ইস্যুতে তদন্তের পর একটি রিপোর্ট পেশ করেছে। সেই রিপোর্ট যাচাই করা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের তরফে। তিনটি ভাগে এই রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। দুটি রিপোর্ট টেকনিক্যাল কমিটির। বাকি একটি রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি আরভি রবীন্দ্রণের তদারকি কমিটির। এই তৃতীয় রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে বলেও জানিয়েছেন রমণ। তবে কিছু আবেদনকারী বাকি দুটি রিপোর্ট প্রকাশের কথা বলেন। সেই বিষয়ে ভেবে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি। আপাতত চার সপ্তাহের জন্য এই মামলার মুলতুবি ঘোষণা করা হয়েছে।

    প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের সালের জুলাই মাসে বিশ্বব্য়াপী অনুসন্ধান মূলক একটি তদন্তে দেখা যায় যে, পেগাসাস, একটি শক্তিশালী স্পাইওয়্যার যা ইসরায়েলি সাইবারসিকিউরিটি কোম্পানি এনএসও গ্রুপ দ্বারা তৈরি করা হয়েছে। এই স্পাইওয়্যারকে কাজে লাগিয়ে ভারত সহ বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠিত একাধিক ব্যক্তির মোবাইলে আড়িপাতা হয়েছে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Satish Agnihotri: দুর্নীতি মামলায় জড়িত বুলেট ট্রেন প্রকল্পের প্রধান! পদ থেকে বরখাস্ত করল মোদি সরকার

    Satish Agnihotri: দুর্নীতি মামলায় জড়িত বুলেট ট্রেন প্রকল্পের প্রধান! পদ থেকে বরখাস্ত করল মোদি সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বহুদিনের স্বপ্ন এই মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন (Mumbai Ahmedabad Bullet Train)। কিন্তু এবার এই প্রকল্প ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে। এই প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেডের (National High Speed Rail Corporation Limited) শীর্ষকর্তা সতীশ অগ্নিহোত্রীকে (Satish Agnihotri) বৃহস্পতিবার রেল মন্ত্রকের (Ministry of Railways) তরফে চিঠি দিয়ে বরখাস্ত করা হয়। কেন্দ্রের বুলেট ট্রেনের প্রকল্পের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে তাঁর পদ থেকে সরানো হয়েছে।

    কিছুদিন আগেই তাঁকে অবসর থেকে ফিরিয়ে এনে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পের প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। কিন্তু দুনীর্তির অভিযোগ আসায় তাঁকে তাঁর পদ থেকে ছাঁটাই করা হয়। চলতি বছরের ২ জুন আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে সতীশের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল আদালত (Lokpal Court)। প্রায় ১ মাস পরে সতীশ অগ্নিহোত্রীকে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র।

    আরও পড়ুন:ভারতের মাটিতে কবে থেকে ছুটবে বুলেট ট্রেন? জানা গেল অবশেষে

    খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১০০ কোটি টাকার সরকারি তহবিলের অপব্যবহার এবং আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে সতীশের বিরুদ্ধে। এরপরই লোকপাল কোর্টের তরফে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হলে বৃহস্পতিবার এই পদক্ষেপ নিল মোদী সরকার (Modi Government)।

    অন্যদিকে সতীশের (Satish Agnihotri) দায়িত্ব কাকে দেওয়া হবে তাও নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের চিঠিতে। সেখানে লেখা আছে, বর্তমানে কর্পোরেশনের বর্তমান প্রোজেক্টস ডিরেক্টর রাজেন্দ্র প্রসাদ (Rajendra Prasad) আপাতত অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে ম্যানেজিং ডিরেক্টরের পদে থাকবেন। আগামী তিন মাস বা পরবর্তী ম্যানেজিং ডিরেক্টর নিয়োগ হওয়া পর্যন্ত তিনি এই দায়িত্ব সামলাবেন।

    আরও পড়ুন: ৫৫ মিনিটেই দিল্লি থেকে মিরাট, কেমন দেখতে ভারতের দ্রুততম আঞ্চলিক ট্রেন!

    তবে এই কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হওয়ার আগে সতীশের (Satish Agnihotri) কাজকর্ম নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। খবরসূত্রে জানা যায়, সেসময় আরেকটি রাষ্ট্রায়ত্ত্ব সংস্থা রেল বিকাশ নিগম লিমিটেডের (RVNL) ম্যানেজিং ডিরেক্টর পদে ছিলেন তিনি। রেল মন্ত্রকের অধীন এই সংস্থায় থাকার সময় সতীশ ও এই সংস্থার আরও একটি অফিসার এক বেসরকারি সংস্থার চুক্তিতে সরকারি অর্থ ব্যবহার করেছিলেন বলে অভিযোগ। এইসব কারণের জন্যেই মোদি সরকার এই পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হল।

     

  • Social Media Rules: শীঘ্রই সোশ্যাল মিডিয়া-কেন্দ্রিক নিয়ম জারি করতে চলেছে কেন্দ্র?

    Social Media Rules: শীঘ্রই সোশ্যাল মিডিয়া-কেন্দ্রিক নিয়ম জারি করতে চলেছে কেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি জানানো হয়েছিল যে, কেন্দ্রীয় সরকার (Modi Government) সোশ্যাল মিডিয়া (social media) ভিত্তিক নিয়মগুলিকে আরও কঠোর করার জন্য নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে। তবে ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর (Rajeev Chandrasekhar) জানিয়েছেন, কেন্দ্র সরকার জুলাই মাসের মধ্যেই “গ্রিভান্স অ্যাপিলেট কমিটি” (grievance appellate committee) নিয়ে নতুন নির্দেশিকা জারি করতে চলেছে।

    আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়া-কেন্দ্রিক নিয়ম আরও কঠোর করার পথে কেন্দ্র?

    সরকার থেকে একটি খসড়া জারি করে বলা হয়েছে যে, সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক অভিযোগ ও সোশ্যাল মিডিয়ার গ্রিভান্স অফিসার কোনও অভিযোগের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে দেরি করলে বা পদক্ষেপ না নিলে, সেই বিষয়েও বিশেষ নজর নেওয়া হবে সরকার গঠিত প্যানেলে। মন্ত্রক থেকে বলা হয়েছে যে বর্তমানে, সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে অভিযোগ করার কোনও প্রক্রিয়া নেই বা সেখানে কোনও বিশ্বাসযোগ্য ব্যবস্থাও নেই।  

    রাজীব চন্দ্রশেখর মঙ্গলবার বলেছেন যে, সরকার একটি আপিল কাঠামোর পরামর্শের জন্য প্রস্তাব দিতে পারে। তিনি আরও বলেছিলেন যে, ব্যবহারকারীদের অভিযোগগুলির উপর কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ার বেশ কয়েকটি উদাহরণ ছিল, সেইসঙ্গে ব্যবহারকারীরা গ্রিভান্স অফিসারদের গৃহীত সিদ্ধান্তগুলিতে অসন্তুষ্টও ছিলেন, ফলে এসবের কারণেই একটি আপিল প্যানেলের প্রয়োজনীয়তা আছে বলে মনে করেছে সরকার। নেটাগরিকদের স্বার্থরক্ষা করাই সরকারের প্রধান উদ্দেশ্য। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, বড় প্রযুক্তি সংস্থাগুলি নতুন নিয়ম-কানুনগুলিকে ভালভাবে গ্রহণ করবে।

    আরও পড়ুন: এই ভুলটা করলেই হ্যাক হয়ে যাবে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ! জেনে নিন এর থেকে বাঁচার উপায়…

    তিনি বলেছেন যে, “এটি নাগরিকদের নিরাপদ রাখার জন্যই করা হচ্ছে।” এমনকি ২০২১-এর আইটি আইনের মাধ্যমে অভিযোগগুলির সমাধান করার জন্য বিভিন্ন ব্যবস্থা দেওয়ার পরেও, সেগুলি সমাধান করা হয়নি। ফলে সরকারকে এই পদক্ষেপ নিতে এবং একটি আপিল কমিটি গঠন করতে বাধ্য হতে হয়েছে। চন্দ্রশেখর আরও বলেছেন যে, অভিযোগ আপিলের সমাধান করার জন্য যদি কোম্পানিগুলির কাছে অন্য কোনও উপায় বা সমাধান থাকে, তবে সরকার সেটি মানতেও রাজি।

     

  • Social Media: সোশ্যাল মিডিয়া-কেন্দ্রিক নিয়ম আরও কঠোর করার পথে কেন্দ্র?

    Social Media: সোশ্যাল মিডিয়া-কেন্দ্রিক নিয়ম আরও কঠোর করার পথে কেন্দ্র?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়া (social media) ভিত্তিক নিয়মগুলিকে আরও কঠোর করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার (Govt of India) নতুন পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ট্যুইটার, ফেসবুক, গুগল, ইত্যাদির মতো সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলির জন্যে নতুন “গ্রিভান্স অ্যাপিলেট কমিটি” (grievance appellate committee) বা অভিযোগ জানানোর জন্য কমিটি গঠন করতে চলেছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই কমিটি সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিতে থাকা বিভিন্ন তথ্য বা অ্যাকাউন্ট ব্লক করা সংক্রান্ত অভিযোগগুলি খতিয়ে দেখবে৷

    ইলেকট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রক (MeitY) একটি বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে এক বা একাধিক অভিযোগ আপিল কমিটি গঠন করবে।” এই কমিটি এধরনের অভিযোগের দিকে বিশেষ নজর রাখবে ও অভিযোগ দায়ের করার ৩০ দিনের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করার চেষ্টা করবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে যে কমিটির প্রতিটি নির্দেশকে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে মেনে চলতে হবে।  

    সরকার বলেছে যে, অভিযোগকারী সরাসরি আইনের দ্বারস্থ হওয়ার পরিবর্তে এই কমিটিতে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন। সুতরাং, ব্যবহারকারী যদি অফিসারের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করতে চায় তাহলেও কমিটির কাছে দায়ের করতে পারবেন অভিযোগ। বর্তমানে, ব্যবহারকারীরা কোনও বিষয়বস্তুতে আপত্তি জানাতে বা অ্যাকাউন্ট ব্লক করার ক্ষেত্রে সরাসরি আদালতে যান। তবে সরকার এবার grievance appellate committee গঠন করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের সমস্যা কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

    এদিকে, নতুন নিয়ম বা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্তের ফলে চিন্তিত সোশ্যাল মিডিয়া সাইটগুলি, যার অধিকাংশই মার্কিন। সংস্থাগুলির মতে, সোশ্যাল মিডিয়া ভিত্তিক নিয়মগুলি গতবছরই বেশ কঠোর ছিল। প্রকৃতপক্ষে, গত বছর নতুন নিয়ম কার্যকর হওয়ার পরে কিছু অ্যাকাউন্ট সরানো এবং ব্লক করা নিয়ে সরকার এবং টুইটারের মধ্যে সমস্যারও সৃষ্টি হয়েছিল।

    তবে এই নিয়ে অনেক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সরকার-গঠিত grievance appellate committee কীভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে ও কিভাবে নিরপেক্ষভাবে রায় দিতে পারে, এই নিয়ে জিজ্ঞাসা করেছিলেন এক আইনজীবী। তিনি বলেছেন, “সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে বিভিন্ন মত ও বিভিন্ন গোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে অসংখ্য ঝগড়া রয়েছে। যে সদস্যরা নির্দেশিকা অমান্য করে, তাদের বিরুদ্ধে যেকোনও পদক্ষেপ প্ল্যাটফর্মের নিজের বা আদালত দ্বারা নেওয়া ভাল। সরকারের এতে প্রবেশ করা উচিত নয়।”

    গত বছর, সরকার তথ্য প্রযুক্তি আইনের (Information Technology Act) অংশ হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়ার পাশাপাশি নেটফ্লিক্স এবং অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওর মতো ওভার-দ্য-টপ (OTT) প্ল্যাটফর্মগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্যও নতুন নির্দেশিকা জারি করেছিল। এটি আইটি আইনের ৬৯এ ধারা অধীনে রাখা হয়েছে। এছাড়াও একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অভিযোগের সমাধান করা বাধ্যতামূলক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

    নিয়মে বলা হয়েছে, যে কোনও তথ্য বা যোগাযোগের লিঙ্কগুলি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরানোর দাবি নিয়ে করা যে কোনও অভিযোগ ৭২ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিকার করা হবে এবং ব্যবহারকারীদের দ্বারা সোশ্যাল মিডিয়ার কোনও অপব্যবহার এড়াতে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থাগুলিকে উপযুক্ত সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে।

  • Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে বদ্ধপরিকর ধামি! রূপরেখা তৈরিতে গঠিত বিশেষ কমিটি

    Uniform Civil Code: অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরে বদ্ধপরিকর ধামি! রূপরেখা তৈরিতে গঠিত বিশেষ কমিটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি (Uniform Civil Code) কার্যকরের আইনি প্রক্রিয়া খতিয়ে দেখতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme court) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি রঞ্জনা প্রকাশ দেশাইয়ের (Ranjana Prakash Desai) নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি (Five member Committee) গড়ল সে রাজ্যের সরকার।

    উত্তরাখণ্ড (Uttarakhand) সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, সব ধর্মের মানুষের জন্য বিবাহ, বিবাহবিচ্ছেদ, জমি-সম্পত্তি এবং উত্তরাধিকার সংক্রান্ত একই আইন প্রচলনের রূপরেখা তৈরি করবে ওই কমিটি। কমিটিতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি প্রমোদ কোহলি, সমাজকর্মী মনু গৌড়, অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার শত্রুঘ্ন সিংহ এবং দুন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরেখা ডাঙ্গওয়াল রয়েছেন।

    উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোটে বিজেপি (BJP) জিতলেই অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকরের প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি (Pushkar Dhami)। ভোটে জিতে ক্ষমতায় ফেরার পরে এ বার সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষায় তৎপর তিনি। কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে ধামী জানান, ‘এই সিদ্ধান্ত দেবভূমির (উত্তরাখণ্ড) সংস্কৃতি রক্ষা করবে এবং সমস্ত ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্য আনবে।’ 

    বিজেপির একটি সূত্র জানাচ্ছে, দেশের নাগরিকদের জন্য অভিন্ন দেওয়ানি আইন আনার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এই আইন সংক্রান্ত বিলটি আগামী যেকোনও সময়ে সংসদে উত্থাপন করা হতে পারে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। সূত্রের খবর, তার আগে পরীক্ষামূলক ভাবে উত্তরাখণ্ডে এই আইন তৈরির মহড়া শুরু হয়েছে।  এ ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি থেকে সেই প্রক্রিয়া শুরু করতে চাইছে কেন্দ্র।

    ইতিমধ্যে বিজেপি শাসিত রাজ্য গোয়াতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি চালু করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বহুদিন ধরেই কেন্দ্র অভিন্ন দেওয়ানি বিধি সচেষ্ট। এই আইন অনুযায়ী, রাজ্যের বিভিন্ন ধর্মের মানুষের জন্য একটি নির্দিষ্ট আইন কার্যকর করা হয়। এক্ষেত্রে আইন সকলের জন্য সমান আর সেই উদ্দেশ্যেই রাজ্য সরকারের দ্বারা গঠন করা হয় বিশেষ কমিটি, যাঁরা এই বিষয়টি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন।

LinkedIn
Share