Tag: chandranath sinha

chandranath sinha

  • Sukanta Majumdar: টেটে পাসের হার ২.৪৭%! “মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: টেটে পাসের হার ২.৪৭%! “মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার”, মমতাকে তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর ঠিক আগের মুহূর্তেই ২০২৩ সালের টেট পরীক্ষার ফল প্রকাশ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। তবে পাশের হার নিয়ে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এইবার টেটের ফলাফল ঘোষণায় জানা গিয়েছে পাশের হার ২.৪৭ শতাংশ। আগে পাশের হার বেশি ছিল কিন্তু এবার পাশের হার ঠিক কোন কারণে কম, তাই প্রশ্ন করেন সুকান্ত। আগে কি জল মেশানো হতো? এবার তাহলে কম হচ্ছে। যুবকদের কি মমতা সরকার চাকরি দিতে চাইছে না? অপর দিকে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্‌হাকে (Chandranath Sinha) শর্ত সাপেক্ষে জামিন বহাল রেখেছে ইডির বিশেষ আদালত। তবে এই রায়ের বিরুদ্ধে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সাফ কথা, “চন্দ্রনাথ নিয়ে আদালতের রায়ে আমরা মর্মাহত।”

    মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার (Sukanta Majumdar)

    রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য রাজনীতি ফের উত্তাল। ২৪ সেপ্টেম্বরে টেটের ফল প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে আগের বারের তুলনায় পাশের হার খুব কম। একই দিনে এবার ২০২২ সালের টেট পরীক্ষায় পাশ করা অন্যান্য চাকরি প্রার্থীরা আন্দোলন করতে রাস্তায় নেমেছেন। ২০২২ সালে টেটে পাশ করেছিলেন মোট ৫৭ হাজার। ২০২৩ সালে টেটে উত্তীর্ণদের সংখ্যা সেই বারের তুলানায় অনেক কম। এইবারে পাশের সংখ্যা মাত্র ৬ হাজার ৭৫৪ জন। মোট চাকরি প্রার্থী রয়েছেন ৬৩ হাজার ৭৫৪ জন।

    তৃণমূলকে তোপ দেগে বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এই তৃণমূল সরকার রাজ্যের যুবক বেকারদের চাকরি দেবে না। ২০২২ সালে ৫৭ হাজার পাশ করল, ২০২৩-এ মাত্র ৬ হাজার ৭৫৪! তাহলে কি আগে অতিরিক্ত করে পাশ করানো হয়েছিল? আগে তো অনেক বেশি করে পাশ হতো আর এবার এতো কেন কম হল? তাহলে কি আগে সবটাই দুর্নীতি করে করা হত? সরকারের মানসিকতাতেই নেই চাকরি দেওয়ার।” তবে তাঁর এই মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। দলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার কটাক্ষ করে বলেন, “তাঁর মন্তব্য অবৈজ্ঞানিক এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মন্তব্য। পাশের হার দিয়ে ফলাফল বিচার করা যায় না।”

    অপরাধী যদি ঘুরে বেড়ায় তাহলে মুশকিলে পড়বে

    ইডির বিশেষ আদালতে জামিন পেয়ে চন্দ্রনাথ (Chandranath Sinha)  বলেন, “বিচার ব্যবস্থার ওপর আমার সম্পূর্ণ ভরসা রয়েছে। আমি জ্ঞানত কোনও অন্যায় করিনি।” তৃণমূল বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহার শর্ত সাপেক্ষে জামিন বহাল রাখাকে তোপ দেগে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, “এই ধরনের অপরাধী যদি ঘুরে বেড়ায় তাহলে মুশকিলে পড়বে তদন্ত। আদালতের রায়ে আমরা ভীষণ ভাবে মর্মাহত। কীভাবে এই রায় দেওয়া হয়েছে তার কারণ খোঁজ করতে হবে। আদালতের রায় যদিও বিচারাধীন বিষয় তবুও এই রায় রাজ্যবাসীর মনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”

    তল্লাশি অভিযানে ৪১ লক্ষ টাকা উদ্ধার হেয়েছিল

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মন্ত্রী চন্দ্রনাথের (Chandranath Sinha) বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। টাকা নিয়ে চাকরি বিক্রি করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর ওপর। তবে ইডির কাছে নিজের আয় সম্পর্কে তিনি জানান, সমস্ত আয়ের উৎস কৃষিকাজ। এরপর তদন্তকারী সংস্থা বীরভূমের পাইকরে বীরভূমের কৃষি বিভাগের সহ অধিকর্তার দফতরে তল্লাশি চালায়। রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর ইডির বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। তবে ২০২৪ সালের মার্চ মাসে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা এবং মোবাইল উদ্ধার হয়েছিল। নিজের বৌয়ের নামে বেনামে সম্পত্তি এবং আবাসন নির্মাণের ব্যবসা চালাতেন বলে একাধিক তথ্য আদালতে তুলে ধরেছে ইডি।

    চরম চাপে তৃণমূল

    উল্লেখ্য রাজ্যের তৃণমূল সরকার শিক্ষক নিয়োগ, রেশন বণ্টন, পুর নিয়োগ, বালি-কয়লা-গরু-পাথরপাচার এবং নারী নির্যাতন-সহ একাধিক ইস্যুতে চরম ব্যাকফুটে। দুর্নীতির দায়ে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলে বন্দি। আরও একাধিক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়করা জেলে বন্দি বা শর্ত সাপেক্ষে জামিনে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্তে তৃণমূলের দুর্নীতি জনসমক্ষে প্রকাশিত হওয়ায় আগামী ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন যে খুব সহজে তৃণমূল পাড় হবে না তাও রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

  • India-Mauritius Relations: সংস্কৃতি থেকে আধ্যত্মিক পরিসর, ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও মজবুত মোদির নেতৃত্বে

    India-Mauritius Relations: সংস্কৃতি থেকে আধ্যত্মিক পরিসর, ভারত-মরিশাস সম্পর্ক আরও মজবুত মোদির নেতৃত্বে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-মরিশাস সম্পর্ক (India-Mauritius Relations) বর্তমান সময়ের প্রেক্ষিতে ভীষণ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ। সামুদ্রিক নিরাপত্তা থেকে সাংস্কৃতিক যোগসূত্র, সবটা মিলিয়ে ক্রম বর্ধমান যুগের প্রযুক্তি ও অর্থনীতির নানা দিকে বিরাট মাত্রা পেয়েছে সম্প্রতি। গত ৯ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর এক সপ্তাহ ব্যাপী মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী ড. নবীনচন্দ্র রামগুলামের ভারত সফরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের নতুন মাত্রা পেয়ছে। তবে এই প্রধানমন্ত্রীর এটি ছিল ভারতে প্রথম সফর। তিনি নতুন দিল্লি ছাড়াও বারাণসী, অযোধ্যা, মুম্বই এবং তিরুপতি পরিদর্শন করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (PM Modi) দুইদেশের সম্পর্ক বিষয়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে তাঁর এই সফর একই সঙ্গে সাংস্কৃতিক এবং কূটনৈতিক ভাবে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা উচিত

    চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মরিশাস ভ্রমণ করেছিলেন। ঠিক তার পরেই মরিশাসের (India-Mauritius Relations) প্রধানমন্ত্রী ড. নবীনচন্দ্র রামগুলামের ভারত সফর নয়া মাত্রা যোগ করেছে। মোদি নিজের সফরের সময় ভারত-মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে একটি উন্নত কৌশলগত এবং আঞ্চলিক সম্পর্কের উপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে এই সম্পর্কের মাত্রা আরও মজবুত করা হয়েছে। তাই দুই দেশের সম্পর্কে এখন কৌশলগত দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা হচ্ছে।

    জনসংখ্যার মোট ৫০ শতাংশ হিন্দু

    মরিশাস (India-Mauritius Relations) ভারত মহাসাগরে অবস্থিত একটি দ্বীপরাষ্ট্র। পূর্ব আফ্রিকার পূর্ব উপকূলের থেকে প্রায় ২০০০ কিমি দূরে অবস্থিত। ভারত থেকে প্রায় ৫০০০ কিমি দূরে মরিশাস। দেশের আয়তন মোটামুটি ভাবে ২০৪০ বর্গ কিমি। মূল দ্বীপের সঙ্গে আরও দুটি বড় বড় দ্বীপ রয়েছে। এই দেশের ২০ লক্ষ বর্গ কিমি জুড়ে বিরাট একটি আর্থিক পরিমণ্ডলের পরিসর গড়ে উঠেছে। দেশের জনসংখ্যা প্রায় সাড়ে ১২ লক্ষ। এই দেশের ৬৭ শতাংশ মানুষ ভারতীয় বংশোদ্ভূত। জনসংখ্যার মোট ৫০ শতাংশ হিন্দু। তবে জনসংখ্যা কম হলেও আর্থিক পরিসরে আফ্রিকার মধ্যে এগিয়ে থাকা দেশগুলির মধ্যে মরিশাস অন্যতম। ভারত চায় এখানেই সম্পর্ক আরও সুসঙ্গত হোক।

    ভিশন সাগর প্রকল্পের

    মরিশাসের অবস্থান ভারত মহাসাগরের ঠিক পশ্চিমে। ভারতের সঙ্গে সামুদ্রিক যোগাযোগে এই দেশের সমুদ্রপথ ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এই পরিসরের কথা ভেবেই ২০১৫ সালে ‘ভিশন সাগর’ প্রকল্পের সূচনা করেছিলেন। সামুদ্রিক সহযোগিতার মধ্যে মানবিক ত্রাণ এবং দুর্যোগ মোকাবিলার নানা বিষয়ে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছিল। ভারত কোভিডের সময় এই জলপথেই নানা দেশে প্রয়োজনীয় টিকা, ঔষধ, এবং তরল অক্সিজেন পাঠিয়েছিল। ‘ভিশন সাগরে’-এর মূল উদ্দেশ্য হল ভারতের সামুদ্রিক পরিসরে শক্তিকে আরও জোরদার করা।

    বিনিয়োগের বাজার মোটামুটি ৭৫ বিলিয়ন

    মরিশাস (India-Mauritius Relations) নিয়ে কেন্দ্রের মোদি সরকারের (PM Modi) একটা বিশেষ উদার দৃষ্টিভঙ্গী রয়েছে। কারণ আফ্রিকার পূর্ব দেশগুলির সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের জন্য এই দেশটি একটি প্রধান প্রবেশদ্বার। সেখানে ভারতীয় বেসরকারি শিল্পের সক্রিয়তা ক্রমেই ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনিয়োগকারী সংস্থার মধ্যে রয়েছে তেল, গ্যাস, খনি, বৈদ্যুতিক শক্তি, ওষুধ, টেলি যোগাযোগ। বেসরকারি বিনিয়োগের বাজার মোটামুটি ৭৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছে গিয়েছে। টাটা, মহিন্দ্রা, ভারতীয় টেলিকমের বিরাট বাজার তৈরি হয়েছে আফ্রিকার দেশগুলিতে। দুটি হিন্দু প্রধান দেশের মধ্যে আভ্যন্তরীণ বাণিজ্য এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক ভীষণ দরকার। তাই এই প্রেক্ষিতে আধ্যাত্মিক পরিসরে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের মাত্রা আরও দৃঢ় হওয়া প্রয়োজন।

    নিরাপত্তায় বেশি সক্রিয় ভারত

    গত কয়েক দশকে চিনের বিনিয়োগও পশ্চিম আফ্রিকার দেশগুলিতে ব্যাপক ভাবে ঘটেছে। তাই সেই দিকে বাজার নিয়ন্ত্রণে ভারত সরকারকেও নিজের পরিসরের কথা ভাবতে হচ্ছে। চিন মরিশাসের একাধিক বন্দরে নিজেদের বিনিয়োগ বাড়িয়েছে। আফ্রিকায় বৃহত্তর বিনিয়োগকারী এবং আইওআর দিয়ে পণ্য যাতায়তের কৌশল করছে। তাদের কাছে সামুদ্রিক স্বার্থে এক চেটিয়া আধিপত্য বজায় রাখতে চায় চিন। কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদি সরকার এই বিষয়ে অত্যন্ত সজাগ। আর তাই চিনের তুলনায় ভারত মরিশাসের অভ্যন্তরে জলদস্যু, মাদক পাচার, অবৈধ কারবার বন্ধ এবং নিরাপত্তায় বেশি সক্রিয়। ভারতের এই অবস্থানও ভারত-মরিশাসের কৌশলকে আরও উন্নত এবং সুসংবদ্ধ করবে।

    আফ্রিকায় নতুন মাত্রা ভারতের 

    ধর্মীয় যোগসূত্রে মরিসাশ (India-Mauritius Relations) ভারতের জন্য একটি পর্যটন কেন্দ্র। দুই দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করতে চায় উভয় দেশ। মরিশাসের আলগেলা দ্বীপের পরিকাঠামো উন্নয়নে চিনের থেকে আরও বেশি বেশি করে বিনিয়োগ বাড়ানোর দিকে নজর দিয়েছে ভারত। আফ্রিকার অন্য দেশের তুলনায় এই দেশের অভ্যন্তরীণ শান্তি শৃঙ্খলা অনেক বেশি অনুকূল, তাই এখানে ভারতীয় প্রবাসীদের সহযোগিতায় বিনিয়োগকারীদের পরিসরও বেশ সুরক্ষিত। জিও পলেটিকসে পশ্চিম আফ্রিকায় ভারত যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে তাও রাজনীতির একাংশের মানুষ মনে করছেন।

  • Chandranath Sinha: অন্তর্বর্তী জামিন খারিজ হবে চন্দ্রনাথের! মঙ্গলবারেই কি মন্ত্রীকে হেফাজতে নেবে ইডি?

    Chandranath Sinha: অন্তর্বর্তী জামিন খারিজ হবে চন্দ্রনাথের! মঙ্গলবারেই কি মন্ত্রীকে হেফাজতে নেবে ইডি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সওয়াল-জবাবে রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহাকে (Chandranath Sinha) নিজের হেফাজতে নিতে জোর প্রশ্ন করেছেন ইডির আইনজীবীরা। অপর দিকে পাল্টা ইডির আবেদনের বিরোধিতা করে প্রশ্ন তোলেন চন্দ্রনাথের আইনজীবী। দুই পক্ষের বক্তব্যে বিচারক কি রায় দেবেন এই দিকেই তাকিয়ে এখন উভয় পক্ষ। মন্ত্রীর জামিনের মেয়াদ কি বাড়বে নাকি হেফাজতে পাবে ইডি (Enforcement Directorate)? দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে বিচারক শুভেন্দু সাহা জানিয়েদেন আগামী মঙ্গলবার দুপুর দুটোর সময় রায় ঘোষণা করবেন।

    তৃণমূলের রাজত্বে পশ্চিমবঙ্গে সবচেয়ে বড় দুর্নীতির মধ্যে হল শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি। ২০১৬ সালের এসএসসিতে টাকার বিনিময়ে চাকরি বেচার কারণে ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। সরকার অযোগ্যদের সম্পূর্ণ তালিকা প্রকাশ করেনি বলেই যোগ্যরাও নিজেদের চাকরি খুইয়েছেন। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি, বারবার উত্তাল হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি।

    তদন্ত প্রক্রিয়াকে জোরদার করলে আরও তথ্য আসবে (Chandranath Sinha)

    রাজ্যে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার (Chandranath Sinha)। তৃণমূলের মন্ত্রীকে হেফাজতে নিতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে আবেদন করে ইডির আইনজীবী বলেন, “আমরা সাত দিনের জন্য হেফাজতে চাইছি। ২০২৪ সালের মার্চ মাসে নগদ ৪১ লক্ষ টাকা এবং মোবাইল পেয়েছিলাম। তদন্ত প্রক্রিয়াকে জোরদার করলে আরও অনেক তথ্য উঠে আসবে। টাকা উদ্ধারের পর তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। এরপর এখন প্রয়োজন পড়ায় হেফাজতে নেওয়া প্রয়োজন। তবে ঠিক মতো তথ্য না নিয়ে গ্রেফতার করলে সম্পর্কিত ব্যক্তিরা সতর্ক হয়ে পড়বেন আর তাই তখন গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্তে বৃহৎ চক্রের হোদিশ মিলেছে, তাই তথ্যের ভিত্তিতে হেফাজতে চাইছি। একই ভাবে কেবিপি রিয়েলিটি নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি ৬ তলা আবাসন নির্মাণ করেছেন মন্ত্রীর স্ত্রী। ইলামবাজারে আট হাজার বর্গফুটের জায়গা মলের জন্য ভাড়া দিয়েছেন চন্দ্রনাথের স্ত্রী। যদিও স্ত্রী নামে নির্মাণ ব্যবসা চালালেও সবটা সমলাতেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথই।”

    আবাসন প্রকল্পের শিক্ষক নিয়োগে বড়সড় দুর্নীতি!

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডির আইনজীবী আদালতে চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে তথ্য জোগাড় করে জানিয়েছে, “বিকে কনস্ট্রাকশন নামে একটি সংস্থার অর্ধেক পার্টনার মন্ত্রীর স্ত্রী। তবে সংস্থার অপর পার্টনারের দাবি কোনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নেই। এমন কি কোনও রকম ব্যবসা করেননি বলেও পাওয়া যায়। সংস্থার নামে ৫ ডেসিমেল (পশ্চিমবঙ্গের গ্রামীণ অঞ্চলে ভূমি পরিমাপের জন্য “ডেসিমেল” এককটি ব্যবহৃত হয়। ১ বিঘা জমি আনুমানিক ৬০ ডেসিমেল।) জমি ৭ লক্ষ টাকায় কেনা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। অপর দিকে এই ৭ লক্ষ টাকা, বিকে কনস্ট্রাকশন সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছে বলে হিসেবও দেখিয়েছেন মন্ত্রীর স্ত্রী। কেবিপি রিয়েলটি নামে একটি সংস্থার সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে একটি ৬ তলা আবাসন গড়েন মন্ত্রীর স্ত্রী। ওই আবাসন বেচে ২ কোটি ৭২ লক্ষ টাকা লাভ করার কথাও জানিয়েছেন মন্ত্রীর স্ত্রী। আবাসন প্রকল্পের বিনিয়োগ ও জমি কেনার টাকার সঙ্গে শিক্ষক নিয়োগের বড়সড় দুর্নীতির (Enforcement Directorate) যোগ থাকারা সম্ভাবনা প্রবল ভাবে রয়েছে। তাই বিষয়ে বিস্তৃত তদন্তের প্রয়োজন।”

    তল্লাশি ও বয়ানের ভিত্তিতে পঞ্চম চার্জশিট

    বিচারপতি শুভেন্দু সাহা ইডির আইনজীবীকে প্রশ্ন করেন, “তদন্তের সময় নিশ্চিই অনেক তথ্য পেয়েছিলেন, তাহলে বয়ান রেকর্ড কররা ১১ মাস পরে কেন চার্জশিট দিলেন না। অপেক্ষা কিসের জন্য।” পাল্টা উত্তরে ইডির আইনজীবী বলেন, “তল্লাশি এবং বয়ানের ভিত্তিতে পঞ্চম চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে সুপ্রিম কোর্ট পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে চার্জশিট গঠন করার কথা বললে এইদিকে একটু বিলম্ব হয়ে যায়। তবে তদন্ত জোর কদমেই চলছে।”

    ৬ সেপ্টেম্বর ইডির বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা মন্ত্রী চন্দ্রনাথের (Chandranath Sinha) বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। তবে ইডির কাছে নিজের আয় সম্পর্কে জানান, সমস্ত আয়ের উৎস কৃষিকাজ। এরপর তদন্তকারী সংস্থা বীরভূমের পাইকরে বীরভূমের কৃষি বিভাগের সহ অধিকর্তার দফতরে তল্লাশি চালায়। রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়ার পর গত ৬ সেপ্টেম্বর ইডির বিশেষ আদালতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। যদিও ওই দিনেই রাজ্যের কারামন্ত্রীকে গ্রেফতার করে হেফাজতে নিতে চেয়েছিল ইডি, কিন্তু অন্তর্বর্তী জামিন মেলায় ইডি হেফাজতে পায়নি। এদিকে আদালতে ইডির আইনজীবীর বক্তব্যকে বিরোধিতা করে চন্দ্রনাথ সিনহার আইনজীবীর দাবি, “তদন্তের (Enforcement Directorate) জন্য হেফাজতের প্রয়োজন কী? চার্জশিট জমা পড়েছে তাই পেছনদিকে তাকানোর প্রয়োজন কী? সন্দেহজনক তথ্যে আমার মক্কেলের সমর্থন না নিয়ে হেফাজতে চাইতে পারে না ইডি।”

  • Chandranath Sinha: সম্মতি মিলল রাজ্যপালের, আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথকে

    Chandranath Sinha: সম্মতি মিলল রাজ্যপালের, আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Corruption) রাজ্যের কারামন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার (Chandranath Sinha) বিরুদ্ধে আদালতে যে চার্জশিট জমা দেওয়া হয়েছিল, তাতে অনুমোদন দিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বুধবার আদালতে এমনই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। মন্ত্রীকে আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ইডি আদালতে সশরীরে উপস্থিত থেকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    সংবিধানের নিয়ম (Chandranath Sinha)

    প্রসঙ্গত, চন্দ্রনাথের বিরুদ্ধে আদালতে আগেই চার্জশিট জমা দিয়েছিলেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। কিন্তু তাতে রাজ্যপালের অনুমোদন না থাকায় আদালতে তা গৃহীত হয়নি। কারণ, সংবিধান অনুযায়ী কোনও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করতে গেলে রাজ্যপালের সম্মতি জরুরি। এই প্রক্রিয়ার অভাবেই ঝুলে ছিল মামলাটি। শেষমেশ রাজভবনের অনুমোদন মেলায় বুধবার কাটল জট। রাজ্যপালের অনুমোদন মানেই রাজ্যের কারামন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচারপ্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল। তার পরেই মন্ত্রীকে হাজিরার নির্দেশ আদালতের। জানা গিয়েছে, এই মামলায় ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়, কুন্তল ঘোষ, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে কালীঘাটের কাকু-সহ বেশ কয়েকজনকে। তাই তাঁদেরও এই চার্জশিটের কপি পাঠাতে হবে। কারণ তাঁরাও বিচারপ্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন। এবার সেই তালিকায়ই যুক্ত হলেন তৃণমূল নেতা তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ।

    প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলা

    ইডি সূত্রে খবর, রাজ্যের প্রাথমিক নিয়োগ কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তে বলাগড়ের তৃণমূলের যুবনেতা (বর্তমানে বহিষ্কৃত) কুন্তল ঘোষের সূত্র ধরে উঠে আসে চন্দ্রনাথের নাম। তাঁর বাড়িতে একাধিকবার তল্লাশি অভিযানও চালিয়েছিল ইডি। এই অভিযানে মন্ত্রীর বাড়ি (Chandranath Sinha) থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪০ লাখ টাকা। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, সেই টাকার কোনও হিসেব দিতে পারেননি মন্ত্রিমশাই। এদিকে, তাঁর অ্যাকাউন্টে থাকা দেড় কোটি টাকা সম্পর্কে ইডির অনুমান, ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই টাকা জমা পড়েছিল। জানা গিয়েছে, মন্ত্রীর অ্যাকাউন্টে জমা থাকা এই টাকার উৎস কী, সেটাই খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। চলতি মাসের শুরুতে কলকাতার বিশেষ সিবিআই আদালতে মন্ত্রীর বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেন ইডির আধিকারিকরা। তাতেই রাজ্যপালের সিলমোহর পড়ায় মন্ত্রীকে আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ।

    দু’-দু’বার ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ

    প্রসঙ্গত, এর (Recruitment Corruption) আগে দু’-দু’বার ইডির তলব এড়িয়ে গিয়েছিলেন চন্দ্রনাথ। দিন কয়েক আগে ইডির তদন্তকারীদের মুখোমুখি হন তিনি। এবার এল আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ। মূলত, প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্ত শুরুর পর থেকেই নানা স্তরে বিপুল পরিমাণ অর্থ লেনদেন, বেআইনি নিয়োগ, সুপারিশ এবং ক্ষমতার (Chandranath Sinha) অপব্যবহারের অভিযোগ উঠে আসে। তদন্তে ইডি এবং সিবিআই নানা সময় বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে আনে। মন্ত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া বিপুল অর্থ নিয়ে ক্ষোভও তৈরি হয় জনমানসে। বিরোধীদের অভিযোগ, পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়াই ছিল দুর্নীতিতে ভরা এবং রাজ্যের শাসক দলের একাংশের সক্রিয় মদত ছাড়া এত বড় দুর্নীতি করা সম্ভব ছিল না (Recruitment Corruption)।

    প্রশ্ন হল, পার্থর মতো কারামন্ত্রীরও (Chandranath Sinha) কি ঠাঁই হতে চলেছে গারদের ছোট্ট কুঠুরিতে?

  • ED: নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি ইডি-র, বাজেয়াপ্ত ৪১ লক্ষ টাকা

    ED: নিয়োগ দুর্নীতিতে মন্ত্রীর বাড়িতে ১৪ ঘণ্টা তল্লাশি ইডি-র, বাজেয়াপ্ত ৪১ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার প্রায় ১৪ ঘণ্টা ধরে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বোলপুরের বাড়িতে তল্লাশি চালাল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। তদন্তের খবর পেয়ে দলীয় কর্মসূচি ছেড়ে বাড়ি ফিরে আসেন মন্ত্রী। রাত ১০টা ৪০ নাগাদ তাঁর বাড়ি থেকে বের হন ইডি (ED) আধিকারিকরা। দিনভর তল্লাশি চালিয়ে ইডি আধিকারিকরা কী করলেন তা নিয়ে শনিবার জেলাজুড়ে জোর চর্চা চলছে। জানা গিয়েছে, ৪১ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    মন্ত্রীর বাড়িতে দিনভর তল্লাশি চালিয়ে কী পেল ইডি? (ED)

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সোজা বীরভূমে অনুব্রতের গড়ে হানা দেয় ইডি (ED)। ইডি সূত্র অনুযায়ী, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইতিমধ্যে ইডির হাতে ধৃত তৃণমূল প্রাক্তন যুবনেতা কুন্তল ঘোষের কাছ থেকেই বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সিনহার নাম জানতে পারেন তদন্তকারীরা। কুন্তলের কাছ থেকে ১০০ জনের নাম লেখা তালিকায় ছিল তাঁর নামও। তালিকায় থাকা এই ১০০ জন শিক্ষক নিয়োগের নামে আর্থিক দুর্নীতিতে জড়িত বলে কুন্তল ইডির কাছে বয়ান দেয়। তার ভিত্তিতেই শুক্রবার অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বিধায়কের বাড়িতে তল্লাশি চালান কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা। রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নিচুপট্টির বাড়িতে সকাল ৮টা ৪০ নাগাদ পৌঁছে যান ইডির ৮ থেকে ১০ জনের আধিকারিক দল। সঙ্গে ছিল বিশাল কেন্দ্রীয়বাহিনী। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় শুক্রবার ১৪ ঘণ্টা ধরে তল্লাশির পর ইডি আধিকারিকরা মন্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন, একাধিক নথিপত্র পরীক্ষা করে কিছু কিছু বাজেয়াপ্তও করেছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, মন্ত্রীকে একদিন ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন পাঠানো হতে পারে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার তদন্তে রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার নাম পেয়েই তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে বলে দাবি কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের। সূত্রের খবর, মন্ত্রীর ছেলে ও স্ত্রীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে এদিন। বাজেয়াপ্ত হয়েছে জমির দলিল ও বেশ কিছু নথিপত্র এবং নগদ ৪১ লক্ষ টাকা। সেগুলি কীসের, তা খতিয়ে দেখবে ইডি।

    আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের মুখে পুরুলিয়ায় বিজেপি কর্মী খুন! অভিযুক্ত তৃণমূল

    কী বললেন মন্ত্রী?

    ইডি (ED) বোলপুরের বাড়িতে হানা দেওয়ার সময় মন্ত্রী এই বাড়িতে ছিলেন না। তিনি ছিলেন মুরারইয়ে গ্রামের বাড়িতে। ইডি হানার খবর পেয়ে দুপুর প্রায় ২টো নাগাদ বোলপুর এসে পৌঁছন। তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ইডি। মুরারই থেকে বোলপুর আসতে ২ থেকে ৩ ঘণ্টা সময় লাগার কথা। কিন্তু মন্ত্রী প্রায় ৫ঘণ্টা পর এলেন কেন? মন্ত্রী এই বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলতে চাননি। তিনি শুধু বলেন, “আমাকে যা যা জিজ্ঞাসা করা হয়েছে,আমি সেসবের উত্তর দিয়েছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED Raid: কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বোলপুরের বাড়িতে ইডি হানা, বাড়ি ঘিরে রেখেছে বাহিনী

    ED Raid: কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ মন্ত্রী চন্দ্রনাথের বোলপুরের বাড়িতে ইডি হানা, বাড়ি ঘিরে রেখেছে বাহিনী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার সকালে বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার বাড়িতে ইডির হানা (ED Raid)। সাত সকালেই ইডির তিনটি গাড়ি ঢোকে মন্ত্রীর নিচুপট্টির বাড়িতে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কেন্দ্রীয় বাহিনী চন্দ্রনাথের বাড়ি ঘিরে রয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে এই হানা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিভিন্ন মহল থেকে বিভিন্ন মত উঠে আসছে। তবে এটা নিশ্চিত যে নিয়োগ দুর্নীতি বা গরু পাচারের তদন্তেই এই ইডি হানা। প্রসঙ্গত, অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ হিসাবেই জেলার রাজনীতিতে পরিচিত চন্দ্রনাথ সিনহা। অনুব্রত মণ্ডলের পাড়াতেই তাঁর বাড়ি।

    আরও পড়ুুন: তৃতীয় দফার প্রার্থিতালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা রয়েছেন তালিকায়?

    অনুব্রত ঘনিষ্ঠ চন্দ্রনাথ 

    চন্দ্রনাথ সিনহা রাজ্যের ক্ষুদ্র এবং কুটির শিল্প মন্ত্রী রয়েছেন। গত ফেব্রুয়ারি মাসেই দেখা গিয়েছিল, বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের বাড়ির ঠিক পাশের তৃণমূলের কার্যালয়ে হানা দেয় ইডি (ED Raid)। একইসঙ্গে অনুব্রত মণ্ডল যে কালীপুজো করতেন, সেই প্রতিমার বিপুল গয়নার উৎস জানতে স্থানীয় ব্যাঙ্কেও যায় ইডির দল। এবার রাজ্যের মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছল ইডির দল। যদিও স্থানীয়রা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে নিজের বাড়িতে নেই চন্দ্রনাথ। তিনি রয়েছেন তাঁর গ্রামের বাড়ি মুরারইতে। বোলপুরের বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী এবং দুই ছেলে।

    একাধিক জায়গায় ইডি হানা 

    উল্লেখ্য, শুক্রবার সকালে শুধু বোলপুর নয়, রাজ্যের একাধিক জায়গায় অভিযানে নেমেছে ইডি। একাধিক দলে বিভক্ত হয়ে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছেন ইডি (ED Raid) আধিকারিকেরা। জানা গিয়েছে, চেতলা, লেকটাউন-সহ মোট তিন জায়গায় তল্লাশি অভিযান চলছে। সূত্রের খবর, চেতলায় পিয়ারীমোহন রায় রোডের বিশ্বরূপ বসু নামের এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে এদিন হানা দেয় ইডি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি পরিবহণ সংক্রান্ত ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত।

    আরও পড়ুুন: “বাংলায়ও আমরা এই দৃশ্য দেখতে পারি”, কাকে খোঁচা দিলেন সুকান্ত?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় সভায় ব্যাপক বিক্ষোভ, ফাটল আরও স্পষ্ট

    Birbhum: নাম ঘোষণাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের দলীয় সভায় ব্যাপক বিক্ষোভ, ফাটল আরও স্পষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার নাম ঘোষণা হতেই কোন্দল স্পষ্ট। চরম বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। বীরভূমে (Birbhum) কেষ্টমণ্ডলের গড়ে রাজ্যের মন্ত্রীর সামনেই তুমুল বিক্ষোভ দলীয় কর্মীদের লক্ষ্য করা যায়। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। ইতিমধ্যেই কেষ্ট এবং কাজল শেখের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বের কথা অনেক দিন ধরেই আলোচনার শীর্ষে ছিল। কেষ্ট মণ্ডল গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে। অপরে কাজল শেখের গুরুত্ব অপেক্ষাকৃত জেলায় বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও অনুষ্ঠানিক ভাবে দলের জেলা সভাপতিত্বের পদ থেকে সরানোনি। ফলে বীরভূমের শাসক দলের অন্দরে ফাটল স্পষ্ট।

    “জনগর্জন সভা”য় গোষ্ঠী কোন্দল (Birbhum)

    রাজ্যের মন্ত্রীর সামনে ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের কোন্দল। এক পক্ষ অপর পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ করতে দেখা যায়। সোমবার ছিল তৃণমূলের দলীয় কর্মীদের সভা। আজ সোমবার, আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে তৃণমূলের “জনগর্জন সভা”র একটি প্রস্তুতি সভা ছিল বীরভূমের (Birbhum) মুরারই পশুহাটে। এখানেই উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের বস্ত্র, ক্ষুদ্র, কোটির শিল্প দফতরের মন্ত্রী তথা বোলপুরের বিধায়ক চন্দ্রনাথ সাহা। এই সভায় মুরারই-১ নম্বর ব্লকের ডুমুরগ্রাম অঞ্চল কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসাবে কাজী আশরাফুল ইসলাম ওরফে নবাবের নাম ঘোষণা করেন তৃণমূলে সংখালঘু সেলের নেতা রাজ্য সম্পাদক আলি রেজা খান। নাম ঘোষণার পর থেকেই শুরু হয় একংশের মধ্যে বিক্ষোভ। এমনকী তৃণমূল জেলা কংগ্রেসের জেলা সহ সভাপতি ত্রিদিব ভট্টাচার্য পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন কিন্তু তবুও কাজ হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিক্ষুব্ধ কর্মীরা সভা ছেড়ে চলে যান।

    মন্ত্রীর বক্তব্য

    বোলপুর (Birbhum) বিধায়ক তথা মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা অবশ্য দলের কর্মীদের সভায় বিক্ষোভ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, “নির্বাচনে তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। সেই কারণে কর্মী সমর্থকদের উচ্ছ্বাস ছিল। সকলে অপেক্ষা করে আছেন কবে ভোট। আমরা বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হব। দল একটি সমষ্টি গত রূপ। এক কর্মী ভুল করলে অন্য কর্মী তাঁকে ঠিক করে দেবেন। কোনও কোন্দল নেই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share