Tag: Chattogram

Chattogram

  • US Army in Chattogram: চট্টগ্রামে মার্কিন সেনার উপস্থিতি, সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি! ভারতের নজরে বাংলাদেশ

    US Army in Chattogram: চট্টগ্রামে মার্কিন সেনার উপস্থিতি, সামরিক তৎপরতা বৃদ্ধি! ভারতের নজরে বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের চট্টগ্রামের (US Army in Chattogram) শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সম্প্রতি অবতরণ করেছে ‘বিদেশি’ সামরিক বিমান। এদিকে কয়েকদি আগেই নাকি চট্টগ্রামে ১২০ জন মার্কিন সামরিক বাহিনীর সদস্য যান। তারা চট্টগ্রামের অভিজাত হোটেল ব়্যাডিসন ব্লু-তে আছেন। এই সব মিলে জল্পনা বর্তমানে তুঙ্গে। এই নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে চর্চাও চলছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের একটি সি-১৩০জে সুপার হারকিউলিস পরিবহন বিমান চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইয়োকোটা ঘাঁটি (জাপান) থেকে পরিচালিত একটি ট্যাকটিক্যাল ট্রান্সপোর্ট এয়ারক্রাফট। একইসাথে চট্টগ্রামের জহুরুল হক বিমানঘাঁটিতে শুরু হয়েছে ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩’ নামে একটি যৌথ সামরিক মহড়া, যেখানে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনী।

    চট্টগ্রামে যৌথ মহড়ায় নজর রাখছে ভারত

    এই মহড়া ও সাম্প্রতিক তৎপরতাগুলোর প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠছে—ভারতের জন্য কি এই মহড়া উদ্বেগের কারণ? ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের সন্নিকটে চট্টগ্রামে মার্কিন সেনা উপস্থিতি কী আঞ্চলিক কৌশলগত ভারসাম্য পরিবর্তন করতে পারে? গত ১০ সেপ্টেম্বর মার্কিন বিমান বাহিনীর একটি সি-১৩০ জে সুপার হারকিউলিস বিমান শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছিল। এরই সঙ্গে জানা গিয়েছে, প্রায় ১২০ জন মার্কিন সেনা এবং বিমান বাহিনীর কর্মকর্তা চট্টগ্রামে পৌঁছেছেন। এসব সৈন্যরা রেডিসন ব্লু হোটেলে অবস্থান করে, যেখানে তাদের নাম রেজিস্টারে লেখা হয়নি। এই অপারেশনটি ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৪’-এর অংশ। ১৫ থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কার বিমান বাহিনীর মধ্যে পরিচালিত হচ্ছে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, কেন এই মহড়ার বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা হয়েছিল?

    কি ঘটছে চট্টগ্রামে?

    ‘অপারেশন প্যাসিফিক অ্যাঞ্জেল ২৫-৩’ মূলত একটি মানবিক সহায়তা ও সামরিক সহযোগিতা ভিত্তিক মহড়া, যা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে এক দশকেরও বেশি সময় ধরে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিত এই মহড়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের ২৪২ জন সামরিক সদস্য অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৯২ জন মার্কিন ও ১৫০ জন বাংলাদেশি সেনা সদস্য রয়েছেন। মহড়ায় অংশ নিচ্ছে তিনটি সি-১৩০জে পরিবহণ বিমান (দুটি যুক্তরাষ্ট্রের), একটি এমআই-১৭ হেলিকপ্টার (বাংলাদেশ বিমান বাহিনী)। এছাড়াও, আমেরিকার চার্জ দ্যা’ফেয়ার ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন মহড়াস্থল পরিদর্শন করেন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন ইউএস প্যাসিফিক এয়ার ফোর্সেসের (PACAF) প্রতিনিধি ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

    ভারত-মায়ানমার সম্পর্ক

    এর আগে, ৮-১০ সেপ্টেম্বর হাওয়াইতে অনুষ্ঠিত ‘ল্যান্ড ফোর্সেস টকস’-এ ইউএস আর্মি প্যাসিফিক কমান্ড এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেছিল। এদিকে বঙ্গোপসাগরে চট্টগ্রামের অবস্থান তাৎপর্যপূর্ণ। সেখানে চিনের প্রভাব বাড়ছে। কিছু প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে যুক্তরাষ্ট্র মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলিকে (যেমন আরাকান আর্মি) সমর্থন করতে চায়। এই বিদ্রোহীরা জুন্তা সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। এদিকে বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপেও আমেরিকার নজর রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। অন্যদিকে, মায়ানমারের সামরিক জুন্তার সঙ্গে ভারতের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের পর থেকে প্রতিবেশী দেশের সামরিক বাহিনী ক্ষমতায় রয়েছে। এদিকে মায়ানমারকে নিজেদের ‘অ্যাক্ট ইস্ট পলিসি’র একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলে মনে করে ভারত সরকার। বিশেষ করে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলির সঙ্গে যোগাযোগের জন্য। কালাদান মাল্টি-মোডাল ট্রানজিট প্রজেক্ট (মিজোরাম থেকে সিত্তে বন্দর পর্যন্ত) এর মতো প্রকল্পগুলি জুন্তার সমর্থনের উপর নির্ভর করে। কিন্তু মায়ানমারে আরাকান আর্মি ও অন্যান্য বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে গৃহযুদ্ধ চলছে। এই অর্থে, এই গোটা বিষয়টি খুব সংবেদনশীল।

    উত্তরপূর্ব ভারতে অশান্তির আশঙ্কা

    এর আগে গত ১৪ সেপ্টেম্বর মিশর বিমান বাহিনীর একটি পরিবহণ বিমান চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে এবং এর একদিন পরেই মার্কিন সেনারা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর পতেঙ্গা বিমান ঘাঁটি পরিদর্শন করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে মায়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মানবিক করিডোর তৈরি করার পরিকল্পনা করছিল মহম্মদ ইউনুসের সরকারের। তবে এই করিডোরের মাধ্যমে উত্তরপূর্ব ভারতে অশান্তি ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছিল। এদিকে এই করিডোরের মাধ্যমে বাংলাদেশ নিজেদের সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আপস করতে পারে বলে আশঙ্কা শুরু হয়েছিল তাদের দেশের অভ্যন্তরেই। যার জেরে রাজনৈতিক চাপ সৃষ্টি করা হয়েছিল ইউনুস সরকারের ওপর। তারপর বেশ কয়েক মাস বিষয়টি নিয়ে কোনও উচ্চবাচ্য করা হয়নি ইউনুস সরকারের তরফ থেকে। এমনকী বলা হয়েছিল, এই করিডোরের বিষয়ে সরকার চূড়ান্ত কোনও সিদ্ধান্তই নেয়নি।

    আমেরিকার লক্ষ্য কি শুধুই চিন-বিরোধিতা?

    বিশ্লেষকদের মতে, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশল মূলত চিনকে প্রতিহত করা। তবে এর প্রভাব দক্ষিণ এশিয়ার ভৌগোলিক ভারসাম্যেও পড়ছে। বাংলাদেশে মার্কিন প্রভাব বৃদ্ধির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র ভারত মহাসাগরে ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তার সামরিক উপস্থিতি বাড়াতে চাইছে—যা একদিকে চিনের প্রভাব ঠেকানোর চেষ্টা, অন্যদিকে ভারতকেও নির্দিষ্ট ছকেই রাখতে চাওয়ার ইঙ্গিত। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের অগাস্টে বাংলাদেশে বড় ধরনের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটে। শেখ হাসিনার সরকার ছাত্র-আন্দোলনের মুখে পড়ে সরে যেতে বাধ্য হয়। এর পিছনে আমেরিকার হাত রয়েছে, বলে অভিযোগ করেন হাসিনা। বলা হয়, শেখ হাসিনা ‘সেন্ট মার্টিন’ দ্বীপ মার্কিন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের অনুমতি না দেওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র অসন্তুষ্ট ছিল।

    বদলে যাওয়া ভূরাজনীতি

    শেখ হাসিনা সরে যাওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা দ্রুত বৃদ্ধি পেয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, ‘টাইগার লাইটনিং ২০২৫’ নামের একটি ছয় দিনের যৌথ মহড়া জুলাই মাসে সিলেটের জালালাবাদ ক্যান্টনমেন্টে অনুষ্ঠিত হয়। এতে যুক্তরাষ্ট্রের নেভাডা ন্যাশনাল গার্ড এবং বাংলাদেশের প্যারা কমান্ডো ব্রিগেড অংশ নেয়। আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকদের মতে, চট্টগ্রাম অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ক্রমবর্ধমান উপস্থিতি ভারতের জন্য একটি কৌশলগত সতর্ক সংকেত হতে পারে। চট্টগ্রাম ভারতের ত্রিপুরা, মিজোরাম ও মায়ানমার সীমান্তের কাছাকাছি। আমেরিক যদি এই অঞ্চলকে লজিস্টিক হাব বা গোয়েন্দা তৎপরতার কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলে, তাহলে তা ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলতে পারে। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও চিন—উভয় দেশই মায়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াচ্ছে, যা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহী তৎপরতা ও শরণার্থী সঙ্কটকে জটিল করে তুলতে পারে। এখনো পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের যৌথ তৎপরতা মানবিক ও প্রশিক্ষণমূলক দাবি করা হলেও, ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বিষয়টি সরলভাবে দেখার সুযোগ নেই।

  • Chinmoy Krishna Das: ফের খারিজ জামিন, চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলেই মারতে চাইছে ইউনূস প্রশাসন! কীসের ভয়?

    Chinmoy Krishna Das: ফের খারিজ জামিন, চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলেই মারতে চাইছে ইউনূস প্রশাসন! কীসের ভয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে (Chinmoy Krishna Das) কি জেলেই পচিয়ে মারতে চাইছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস প্রশাসন? বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা আদালতে তাঁর জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এই প্রশ্নটাই উঠল। এদিন প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে শুনানি চলে। চিন্ময়ের জামিনের সওয়াল করে আইনজীবী অপূর্বকুমার ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ১১ জন আইনজীবীর একটি দল।

    জামিনের আবেদন খারিজ (Chinmoy Krishna Das)

    গ্রেফতারি এড়াতে দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে রয়েছেন চিন্ময়ের প্রথম আইনজীবী শুভাশিস শর্মা। বুকে ব্যথা নিয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আর এক আইনজীবী রবীন্দ্র দাস। তাঁদের পরিবর্তে এদিন ওই আইনজীবীরা লড়াই করেন চিন্ময়ের হয়ে। শুনানি শেষে সরকারি আইনজীবী মফিজুর হক ভুঁইয়ার আবেদন মেনে দায়রা বিচারক মহম্মদ সফিকুল ইসলাম চিন্ময়ের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার চিন্ময়ের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। তাই জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: মাও ‘দমনে’ বিরাট সাফল্য, আত্মসমর্পণ কিষেনজির ভাইবউ বিমলা-সহ ১১ মাওবাদীর

    ইউনূসের স্বজাতি প্রেম!

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের স্বজাতি প্রেমের কথা কারও অজানা নয়। দিন কয়েক আগেই জামিন পেয়েছে ২০০৪ সালের গ্রেনেড হত্যা মামলার ফাঁসির আসামী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু। তার আগে এই একই মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুধু তাই নয়, ইউনূসের আমলে ফাঁসির সাজা মকুব হয় খোদ উলফা প্রধান জঙ্গি পরেশ বড়ুয়ার। ব্লগার রাজীব হায়দার খুনের মামলায় জামিন পায় আনসারুল্লা বাংলা টিমের চাঁই জসিমউদ্দিন রহমানি। অথচ হিন্দু সন্ন্যাসীকে গারদে রাখা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে!

    চিন্ময় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সংগঠন (Chinmoy Krishna Das) সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের অন্যতম নেতা। চিন্ময় ওই সংগঠনেরই মুখপাত্র। এদিকে, এদিন আদালত চত্বরে জামাতপন্থী আইনজীবীরা চিন্ময়ের জামিন না দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন। চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করে ইউনূস প্রশাসন। ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম (Bangladesh) আদালতে খারিজ হয়ে যায় তাঁর জামিনের আবেদন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত চত্বর (Chinmoy Krishna Das)।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! চট্টগ্রামে ফের হামলা ৩ মন্দিরে

    Bangladesh: বাংলাদেশে বিপন্ন হিন্দু! চট্টগ্রামে ফের হামলা ৩ মন্দিরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের ওপরে হামলা চলছেই। ইতিমধ্যে সেখানে পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে ভারত সরকারও। ঠিক এই আবহে শুক্রবার ২৯ নভেম্বর মৌলবাদীদের একটি দল হামলা চালায় বাংলাদেশের চট্টগ্রামের তিনটি হিন্দু মন্দিরে। প্রত্যেকটি মন্দিরকেই ভাঙচুর করা হয়েছে বলে খবর। চট্টগ্রাম বাংলাদেশের (Bangladesh) বন্দর নগরী বলে পরিচিত। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি এখানেই গ্রেফতার করা হয় ইসকনের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে।

    একটি ভিড় স্লোগান দিতে দিতে হামলা চালায় 

    সে নিয়ে উত্তাল হয় চট্টগ্রাম (Chattogram) আদালত। জানা গিয়েছে, শুক্রবার চট্টগ্রামের হরিশচন্দ্র মুন্সি লেনে দুপুর আড়াইটা নাগাদ এই হামলার ঘটনা ঘটেছে। শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দির ও তার নিকটবর্তী একটি শনি মন্দির এবং শান্তনেশ্বরী কালীবাড়িতে হামলা করা হয়। বাংলাদেশের (Bangladesh) জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল বিডি নিউজ২৪ এই খবর করেছে। ওই পোর্টালের নিউজ অনুযায়ী, একটি ভিড় স্লোগান দিতে দিতে  ইট নিয়ে হামলা চালায় মন্দিরগুলিতে। 

    মন্দিরের পাশপাশি হামলা চলে আশেপাশের দোকানগুলিতেও

    এ নিয়ে বিবৃতি সামনে এসেছে স্থানীয় কোতোয়ালি থানার ওসি আবদুল করিমের। তিনি এই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। শান্তনেশ্বরী মন্দির কর্তৃপক্ষের অন্যতম সদস্য তপন দাস সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শুক্রবার জুম্মার নমাজের পরে শতাধিক ভিড়ের একটি মিছিল আসে এবং তারা হিন্দু বিরোধী ও ইসকন বিরোধী স্লোগান দিতে শুরু করে। এর পরেই হামলা চালানো হয়। মন্দিরের মূল দরজায় আক্রমণ করে। এই সময় অন্য একটি ভিড় পাশের শনি মন্দির ও কালীমন্দিরে হামলা চালায়। শুধু তাই নয়, বেশ কতগুলি দোকান ঘরেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ।

    বুধবারই বন্ধ করা হয় ইসকনের এক মন্দির

    বুধবার বাংলাদেশের সোনালি মার্কেটে অবস্থিত ইসকন মন্দির ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, মৌলবাদী নেতারা আধ ঘণ্টার মধ্যে মন্দির বন্ধ করার এবং ইসকনের সদস্যদের গ্রেফতার করার হুমকি দিচ্ছে। পুলিশ ও সেনারাও সেখানে উপস্থিত ছিল। ইসকনের সমর্থকদের তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। বেছে বেছে হিন্দুদেরই পুলিশ ধরছে বলে অভিযোগ। হিন্দুদের ওপরে মৌলবাদীদের নেতৃত্বে হামলার লাগাতার অভিযোগ আসছে। বাড়ি-ঘর, দোকানে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ভয়ঙ্কর চিত্রও সামনে এসেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Fire: বাংলাদেশের রাসায়নিক ডিপোয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৪১

    Bangladesh Fire: বাংলাদেশের রাসায়নিক ডিপোয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে মৃত ৪১

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh) দক্ষিণে চট্টগ্রামের (Chittagong) সীতাকুণ্ডে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত বহু। আহত চার শতাধিক। বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ৪১। তবে বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্য়া প্রায় পঞ্চাশেরও বেশি হতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে।

    মৃতদের মধ্যে ৯ জন ছিলেন দমকল কর্মী এবং ঘটনায় সাড়ে চারশোর বেশি আহত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাটি শনিবার ঘটে। জানা গিয়েছে, একটি রাসায়নিক কনটেনার ডিপোতে (Chemical Container Depot) একাধিক বিস্ফোরণের পর এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এই কন্টেনার ডিপোতে কম করে ৬০০ জন ব্যক্তি কাজ করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা পরে আরও বাড়তে পারে।

    [tw]


    [/tw]

    ডিপোর ডিরেক্টর মহম্মদ মাইনুদ্দিন (Mohammad Moinuddin) বলেন, “রাসায়নিক পদার্থ হাইড্রোজেন পারক্সাইড (hydrogen peroxide)-এর ফলেই আগুন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে।” তিনি আরও জানিয়েছেন, দমকল কর্মীরা শনিবার থেকেই আগুন নেভানোর চেষ্টা করে চলেছে।

    স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রাথমিক বিস্ফোরণের জেরে চার কিলোমিটার পর্যন্ত এলাকা কেঁপে উঠেছিল। তাঁরা জানিয়েছেন, আশা করা হচ্ছে যে দমকল কর্মীরা আজ রাতের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। আশেপাশের কোনও খাঁড়ি ও বঙ্গোপসাগরে যাতে কোনও ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ ছড়িয়ে না যায় সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে।

    সীতাকুণ্ডের (Sitakunda) বিএম কনটেনার ডিপোর (BM Container Depot) অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়েই দমকলকর্মীরা ছুটে যান কিন্তু সেই আগুনেই মারা যায় নয় জন দমকল কর্মী। এটি বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম, যেখানে একসঙ্গে এতজন দমকল কর্মী প্রাণ হারালেন।

    আরও পড়ুন: দিল্লিতে বিধ্বংসী আগুনে মৃত ২৭, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর

    চট্টগ্রাম হাসপাতালে (সিএমএইচ) দমকল কর্মীসহ আহতদের চিকিৎসা চলছে। গুরুতর আহতদের উন্নত চিকিৎসার জন্য সামরিক হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় নিয়ে আসার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina)। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার (ডিসি) আশরাফ উদ্দিন বলেছেন যে, নিহতদের পরিবারকে ডিসি কার্যালয় থেকে ৫৬০ মার্কিন ডলার (৫০,০০০ বাংলাদেশি টাকা) এবং আহতদের পরিবারকে ২২৪ মার্কিন ডলার (২০,০০০ বাংলাদেশি টাকা) দেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: দাবানলের আঁচে ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণ, কাঁপল কাশ্মীরের পুঞ্চ

    বিএম কন্টেনার ডিপোর পরিচালক মজিবুর রহমান এক বিবৃতিতে বলেন, “কী কারণে আগুন লেগেছে তা স্পষ্ট নয়। কিন্তু আমার মনে হয় আগুনের সূত্রপাত কন্টেনার থেকে। আহতদের ভালে চিকিৎসা নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। চিকিৎসার পুরো খরচ আমরা বহন করব। যাঁরা দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন তাঁদের সর্বোচ্চ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে,” একটি সংবাদমাধ্যমে তিনি জানান। তিনি আরও বলেন, “এছাড়া, আমরা সব নিহতদের পরিবারের দায়িত্ব নেব।”

     

LinkedIn
Share