Tag: Chhattisgarh

Chhattisgarh

  • Kerala Nuns Arrest: ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ে ধৃত ২, সোচ্চার কংগ্রেস, ধুয়ে দিল বিজেপি

    Kerala Nuns Arrest: ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ে ধৃত ২, সোচ্চার কংগ্রেস, ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানব পাচার ও ধর্মান্তকরণের অভিযোগে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) দুর্গ রেলস্টেশন থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল দুই খ্রিস্টান সন্ন্যাসিনীকে (Kerala Nuns Arrest)। সেই ঘটনায় দেশজুড়ে রাজনৈতিক মহলে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র প্রতিক্রিয়া। ওই দুই সন্ন্যাসিনীর মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেস।

    কংগ্রেসের বক্তব্য (Kerala Nuns Arrest)

    সংসদের জিরো আওয়ারে এই ইস্যুটি তুলে ধরেন কংগ্রেস সাসদ কেসি বেণুগোপাল এবং কে সুরেশ। তাঁরা বলেন, “ঘটনাটি গভীরভাবে উদ্বেগজনক ও আতঙ্কজনক। কারণ সন্ন্যাসিনীরা নির্দোষ। তাঁরা ক্যন্সার আক্রান্ত রোগীদের সেবা-সুশ্রুষা করে সমাজসেবা করছিলেন।” বেণুগোপালের অভিযোগ, বজরং দলের সদস্যরা তাঁদের গায়ে হাত তুলেছেন এবং মানব পাচার ও ধর্মান্তকরণের মিথ্যে অভিযোগ তুলেছেন। তাঁর দাবি, এই দুই সন্ন্যাসিনী আগ্রার পথে যাচ্ছিলেন। তখনই দুর্গ রেলস্টেশনে আটকানো হয় তাঁদের। বেণুগোপাল বলেন, “এই দুই সন্ন্যাসিনী গত পাঁচ দিন ধরে কোনও কারণ ছাড়াই জেলে রয়েছেন। কী নিষ্ঠুরতা! দেশ কি একটি কলার প্রজাতন্ত্র (banana republic) হয়ে গিয়েছে? আমরা ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ও ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তাঁদের মুক্তির আবেদন জানিয়ে চিঠি লিখেছি। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী বজরং দলের বক্তব্যেরই শুধু পুনরাবৃত্তি করছেন। এটা লজ্জার ব্যাপার!” সুরেশ বলেন, “সন্ন্যাসিনীরা নির্দোষ। তাঁরা সমাজসেবার কাজ করছিলেন। আমি কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছেও এই বিষয়ে হস্তক্ষেপের আবেদন জানাই। উভয় সন্ন্যাসিনীই নির্দোষ।”

    বিজেপির তোপ

    যদিও দুর্গের সাংসদ বিজেপির বিজয় বাঘেল বলেন, “কংগ্রেস সাংসদরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করছেন। ছত্তিশগড় সরকার যে সন্ন্যাসিনীদের গ্রেফতার (Kerala Nuns Arrest) করেছে, তাঁদের সমর্থন করছেন।” তাঁর দাবি, ছত্তিশগড়ের তিন আদিবাসী কিশোরীকে প্রলোভন দেখিয়ে দুর্গ রেলস্টেশনে আনা হয়েছিল। ধৃত সন্ন্যাসিনীদের মধ্যে একজন আগ্রা থেকে এবং অন্যজন জব্বলপুর থেকে এসেছেন। বাঘেল বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি ছড়িয়ে যাওয়ায় সেখানে ভিড় জমে যায়। তার মধ্যে যেমন বজরং দলের সদস্যরা ছিলেন, তেমনই ছিলেন পুলিশ কর্মীরাও।” কংগ্রেস নেতা রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীকে নিশানা করে তিনি বলেন, “এটি একটি ষড়যন্ত্র। সংবেদনশীল ছত্তিশগড় সরকারের বদনাম করতে এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতেই এসব করা হচ্ছিল।” তাঁর প্রশ্ন, “তাহলে কি (Chhattisgarh) আমাদের রাজ্যের মেয়েদের রক্ষা করা আমাদের উচিত নয় (Kerala Nuns Arrest)?”

  • Chhattisgarh: মাথার মোট দাম প্রায় ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা! পাঁচ জেলায় আত্মসমর্পণ ৬৬ মাওবাদীর

    Chhattisgarh: মাথার মোট দাম প্রায় ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা! পাঁচ জেলায় আত্মসমর্পণ ৬৬ মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘লাল সন্ত্রাস’ দমনে ফের বড়সড় সাফল্য মিলল। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh)বস্তার ডিভিশনে আবার সরকারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আত্মসমর্পণ করল ৬৬ জন মাওবাদী জঙ্গি। ছত্তিশগড়-সহ বিভিন্ন রাজ্যে লাগাতার চলতে থাকা অভিযানের মাঝে ফের মাওবাদীদের আত্মসমর্পণকে পুলিশ এবং নিরাপত্তরক্ষীদের বড় সাফল্য হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

    মূল স্রোতে ফেরার লক্ষ্যে 

    পুলিশ জানিয়েছে আত্মসমর্পণকারী ৬৬ জন মাওবাদীর মধ্যে ৪৯ জনের মাথার উপর মোট দাম ছিল ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকা। পুলিশ জানিয়েছে, সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ (পিপলস লিবারেশন গেরিলা আর্মি)-র আত্মসমর্পণকারী ৬৬ জন নেতা-কর্মীর মধ্যে ২৭ জন মহিলা। বিজাপুরে ২৫ জন, দন্তেওয়াড়ায় ১৫ জন, কাঁকেরে ১৩ জন, নারায়ণপুরে আট জন এবং সুকমায় পাঁচ জন আত্মসমর্পণ করেছেন। রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী বিএসএফ, সিআরপিএফ এবং আইটিবিপির উদ্যোগে আত্মসমর্পণ হয়েছে বলে জানান বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্রকুমার যাদব। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের নির্মূল করার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তা পালন করতে ছত্তিশগড় বদ্ধপরিকর। মাওবাদী নেতা-কর্মীদের মূল স্রোতে ফেরাতে গত বছর ছত্তিশগড় পুলিশ ‘নিয়া নার নিয়া পুলিশ’ (আমাদের গ্রাম, আমাদের পুলিশ) প্রচার কর্মসূচি শুরু করেছিল। তার আগে ২০২০ সালের জুনে শুরু হয়েছিল ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ড ভাষায় যার অর্থ ‘তোমার বাড়ি ফিরে যাও’) পুনর্বাসন কর্মসূচি।

    সক্রিয় সরকার

    প্রসঙ্গত, মাওবাদীদের অস্ত্র ত্যাগ করাতে ‘নকশাল আত্মসমর্পণ এবং আক্রান্তদের পুনর্বাসন নীতি ২০২৫’-এ বেশ কিছু পরিবর্তন এনেছে ছত্তিশগড় সরকার। যেখানে আত্মসমর্পণকারী মাওবাদীদের পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক পুরস্কার এবং আইনি সুরক্ষা প্রদান করা হয়। মাওবাদী নেতাদের পদ অনুযায়ী সুবিধা প্রদান করা হয় নয়া পুনর্বাসন নীতিতে। রাজ্য কমিটি, আঞ্চলিক কমিটি, কেন্দ্রীয় কমিটি এবং পলিটব্যুরোর সদস্যদের মতো উচ্চপদস্থ ক্যাডারদের এককালীন পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়া হয়। যাঁরা লাইট মেশিনগান-সহ আত্মসমর্পণ করবেন, তাঁরাও পাবেন পাঁচ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার। যে সব ক্ষেত্রে মাওবাদী ইউনিটের ৮০ শতাংশ সদস্য একসঙ্গে আত্মসমর্পণ করবেন, সেখানে দ্বিগুণ পুরস্কার প্রদান করা হবে। পুনর্বাসনের এই প্যাকেজে রয়েছে চাকরি এবং সন্তানদের শিক্ষায় সাহায্যও।

     

     

     

     

  • Chhattisgarh: মাও-দমনে ফের সাফল্য, আত্মসমর্পণ ১২ জন মাওবাদীর

    Chhattisgarh: মাও-দমনে ফের সাফল্য, আত্মসমর্পণ ১২ জন মাওবাদীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাও-দমনে (Maoist) ফের মিলল বড়সড় সাফল্য। আত্মসমর্পণ করল ১২ জন মাওবাদী। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) দান্তেওয়াড়া জেলার নিরাপত্তা বাহিনী তাদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল। দান্তেওয়াড়ার এসপি গৌরব রাইয়ের সামনে আত্মসমর্পণ করে তারা। তাদের মধ্যে ৯ জনের মাথার জন্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল। মাওবাদীদের আত্মসমর্পণের জন্য ‘লোন ভারাতু’ (গোন্ডি ভাষায় এর অর্থ হল বাড়ি ফিরে আসার আবেদন)। যারা অস্ত্র সমর্পণ করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে এসেছে তাদের মধ্যে ৪ জন মহিলা মাওবাদীও রয়েছে।

    মাওবাদীদের মাথার দাম (Chhattisgarh)

    প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে আত্মসমর্পনকারীদের মধ্যে ৯ জনের মাথার মোট দাম ছিল সাড়ে ২৮ লাখ টাকা। আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে রয়েছে চন্দ্রান্না নামের এক প্রবীণ মাওবাদীও। তার মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল ৮ লাখ টাকা। ৮ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছিল অমিত ওরফে হুঙ্গার মাথারও। করুণা, দেবা কাওয়াসি, রাজেশ মাদকম, পাইকে ওয়্যাম, রাজু এবং মহেশ এদেরও মাথার দাম ঘোষণা করা হয়েছিল। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মাওবাদীদের ফাঁপা আদর্শে বিরক্ত এবং দৈনন্দিন জীবনে বৈষম্যের শিকার হওয়ায় হতাশ হয়েছিল তারা। সেই কারণেই সমাজের মূলস্রোতে ফেরা।

    আত্মসমর্পণ করেছে ১০০৫ জন

    ছত্তিশগড় প্রশাসন সূত্রে খবর, বুধবারের আত্মসমর্পণের পর সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত আত্মসমর্পণ করেছে ১০০৫ জন মাওবাদী। এঁদের মধ্যে ২০০জনেরও বেশি মাওবাদীকে ধরতে ঘোষণা করা হয়েছিল মাথার দাম (Chhattisgarh)। এদিকে, বস্তারের অভ্যন্তরীণ অঞ্চল এবং নকশাল প্রভাবিত পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলিতে নিরাপত্তা বাহিনী মাওবাদী অভিযান আরও জোরদার করেছে। এনকাউন্টারে মারা গিয়েছে কিংবা নিরস্ত্র করা গিয়েছে ৪০০ এরও বেশি মাওবাদীকে।

    মাওবাদী দমন অভিযান চালানোর পাশাপাশি সরকারের নেওয়া কঠোর নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা এবং মাও অধ্যুষিত এলাকাগুলিতে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড চলছে। যার ফলে বনপার্টিদের (মাওবাদীরা জঙ্গলমহলে এই নামেই পরিচিত) সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাই প্রশাসনের কোনও গতিবিধি আর এখন জানতে পারছে না মাওবাদীরা। এর পাশাপাশি মাওবাদীদের অস্ত্র সমর্পণ করে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বানও জানানো হচ্ছে (Maoist) সরকারের তরফে। তার জেরেই দেশ ক্রমেই হচ্ছে মাওবাদী মুক্ত (Chhattisgarh)।

  • Amit Shah: “ছাব্বিশের মার্চের মধ্যেই মাওবাদ মুক্ত হবে দেশ”, ফের বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “ছাব্বিশের মার্চের মধ্যেই মাওবাদ মুক্ত হবে দেশ”, ফের বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  “আমি আগেও বলেছিলাম যে ৩১ মার্চ, ২০২৬-এ এই দেশ মাওবাদ মুক্ত হবে। আজ আমি আবারও বলতে চাই, যেভাবে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী বীরত্ব দেখাচ্ছে, তাতে আমরা অবশ্যই এই লক্ষ্য পূরণ করব।” রবিবার ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) কথাগুলি বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি মাওবাদীদের অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসার আহ্বানও জানান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “বিষ্ণু দেও সাই (ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী) একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় আত্মসমর্পণ নীতি তৈরি করেছেন। আসুন, আত্মসমর্পণ করুন এবং ছত্তিশগড়ের উন্নয়নে অবদান রাখুন। এ জন্য কোনও আলাপ-আলোচনার দরকার নেই। সরকারের ওপর বিশ্বাস রাখুন। অস্ত্র ত্যাগ করুন এবং সমাজের মূলস্রোতে ফিরে আসুন।”

    মাওবাদী বিরোধী অভিযান (Amit Shah)

    ছত্তিশগড় সরকার যে মাওবাদী বিরোধী অভিযানকে পুনরুজ্জীবিত করেছে এবং পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীকে উৎসাহ দিয়েছে, সে জন্যও শাহ প্রশংসা করেন। তিনি জানান, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেও সাই এবং উপ-মুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মার নেতৃত্বে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হচ্ছে। তিনি বলেন, “ছত্তিশগড়ে বিষ্ণু দেব সাইয়ের সরকার এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মার সবচেয়ে বড় সাফল্য হল তাঁরা বন্ধ হয়ে থাকা নকশালবিরোধী অভিযানকে দ্রুত গতিতে চালু করেছেন। আমি দেখেছি, সরকার গঠনের পর থেকেই এই দুই নেতা শুধু অভিযানকে গতি দেননি, বরং সময়ে সময়ে এর দিক নির্দেশনাও দিয়েছেন। এতে পুলিশ ও নিরাপত্তাবাহিনী উৎসাহিত হয়েছে এবং এই লড়াই আরও দক্ষতার সঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।” শাহ বলেন, “ভারত সরকারের পক্ষ থেকে আমি বিজয় শর্মা ও মুখ্যমন্ত্রী সাইকে নকশালবাদের বিরুদ্ধে তাঁদের প্রচেষ্টার জন্য অভিনন্দন জানাই।”

    অটল বিহারী বাজপেয়ী

    এদিন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীকে তাঁর শতবর্ষ উপলক্ষে স্মরণ করেন শাহ। ছত্তিশগড় গঠনের জন্য তাঁকে কৃতিত্বও দেন। তিনি ঘোষণা করেন, ছত্তিশগড়ের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই বছরকে ‘অটল নির্মাণ বর্ষ’ হিসেবে উদযাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “এটি অটল বিহারী বাজপেয়ীর শততম জন্মবার্ষিকী। আমি গত ১১ বছর ধরে ছত্তিশগড়ে আসছি। আমি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি যে, ছত্তিশগড় গঠনের পূর্ণ কৃতিত্ব আমাদের নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ীর। ছত্তিশগড়কে (Chhattisgarh) সৌন্দর্যমণ্ডিত করার কৃতিত্ব বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। ছত্তিশগড় সরকার তাদের ২৫ বছর উদযাপন করছে এবং সিদ্ধান্ত হয়েছে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীকে ‘অটল নির্মাণ বর্ষ’ হিসেবে পালন করা হবে (Amit Shah)।”

    ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি

    ছত্তিশগড়ের নব রায়পুরে ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি (NFSU) এবং সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির (CFSL) ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, “এই উদ্যোগ ছত্তিশগড় ও মধ্য ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাবে, আরও মজবুত করবে।” শাহ বলেন, “আজকের দিনটি ছত্তিশগড়ের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। বলা যায়, আজ থেকে তিনটি নতুন উদ্যোগ শুরু হচ্ছে যা এই ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করবে – ন্যাশনাল ফরেনসিক সায়েন্স ইউনিভার্সিটি ও সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন এবং এনএফএসইউ-এর ট্রানজিট ক্যাম্পাসের উদ্বোধন করা হয়েছে। এই পদক্ষেপ মধ্য ভারতের ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করবে (Amit Shah)।”

    চাকরির গ্যারান্টি

    শাহ জানান, চলতি বছরে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ছত্তিশগড় সরকার ৫,০০০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষর করেছে (Chhattisgarh)। এর মাধ্যমে রাজ্যে নতুন শিল্প আসবে। তিনি বলেন, “ছত্তিশগড়ের আই-হাবেরও উদ্বোধন করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণু দেব সাইয়ের উদ্যোগে আয়োজিত বিনিয়োগ সম্মেলনে ৫,০০০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে। শিল্প প্রতিষ্ঠান আসছে ঠিকই, কিন্তু রাজ্যের যুব সমাজ যদি নিজেদের উদ্যোগে শিল্পপতি হওয়ার চেষ্টা না করে, তাহলে ছত্তিশগড়ে প্রকৃত শিল্প বিপ্লব হবে না।” কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “আই-হাব (i-hub) যুবকদের স্টার্টআপ শুরু করতে প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা দেবে। এটি ছত্তিশগড়ের যুবকদের জন্য এক বড় সুযোগ এবং মঞ্চ তৈরি করবে। এখানকার যুবসমাজ যদি এমএসএমই (MSME) শিল্পপতি না হয় এবং এই ধরণের সংস্কৃতি না গড়ে তোলে, তাহলে ছত্তিশগড় কখনওই উন্নত হতে পারবে না।” তিনি এনএফএসইউতে চালু হতে যাওয়া কোর্সগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। বলেন, “মোদি সরকারের ওপর আস্থা রাখুন। এনএফএসইউয়ের গ্র্যাজুয়েশন মানেই চাকরির গ্যারান্টি। এই প্রতিষ্ঠানগুলির বিকাশের ফলে ফরেনসিক স্যাম্পল পরীক্ষার জন্য বড় শহরের (Chhattisgarh) ওপর নির্ভরতা কমে যাবে (Amit Shah)।”

  • Chhattisgarh: উর্দু এবং ফারসির বদলে এবার পুলিশকে লিখতে হবে হিন্দি শব্দ, ফরমান ছত্তিশগড় সরকারের

    Chhattisgarh: উর্দু এবং ফারসির বদলে এবার পুলিশকে লিখতে হবে হিন্দি শব্দ, ফরমান ছত্তিশগড় সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিল ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজেপি সরকার। এতদিন পুলিশ যেসব উর্দু ও ফারসি শব্দ ব্যবহার করত, সেগুলির পরিবর্তে এবার ব্যবহার করা হবে হিন্দি শব্দ। সাধারণ মানুষ যাতে অনায়াসে শব্দের অর্থ বুঝতে পারেন, তাই এই পরিবর্তন।

    শব্দ বদল (Chhattisgarh)

    সে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র বিভাগের নির্দেশে পুলিশের ডিজি (DGP) রাজ্যের সব জেলার পুলিশ সুপারদের কাছে এই বিষয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন। সেখানে পুলিশ সুপারদের বলা হয়েছে, অভিযোগ দায়ের বা অন্যান্য নথিপত্রে ব্যবহৃত ভাষা আরও সহজ-সরল এবং বোধগম্য করতে। এই চিঠির সঙ্গে ১০৯টি শব্দের একটি তালিকাও দেওয়া হয়েছে, যেখানে পুরানো ও কঠিন শব্দগুলির বদলে প্রস্তাবিত হিন্দি বিকল্প শব্দ ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেমন, ‘হলফনামা’র পরিবর্তে এবার থেকে লিখতে হবে ‘শপথপত্র’, ‘দফা’র বদলে ধারা। ‘ফরিয়াদি’র পরিবর্তে ‘অভিযোগকারী’ লিখতে হবে, আবার ‘চশ্মদীদ’ শব্দের বদলে লিখতে হবে ‘প্রত্যক্ষদর্শী’।

    কী বলছেন উপমুখ্যমন্ত্রী

    ছত্রিশগড়ের উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেন, “যখন কোনও সাধারণ মানুষ থানায় কোনও অভিযোগ দায়ের করতে যান কিংবা অপরাধ সংক্রান্ত তথ্য বা অন্য কোনও কাজে যান, তখন তিনি প্রায়ই এফআইআর বা পুলিশের অন্যান্য নথিপত্রে ব্যবহৃত ভাষা নিয়ে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। পুলিশের নথিতে ব্যবহৃত বিভিন্ন ভাষার শব্দ আমজনতার কাছে অপরিচিত হওয়ায়, তাঁরা নিজেদের বক্তব্য ঠিকঠাক বোঝাতে পারেন না এবং পুরো প্রক্রিয়াটাও ভালোভাবে বুঝতে পারেন না।” তিনি বলেন, “পুলিশের উদ্দেশ্য যদি সাধারণ মানুষের সাহায্য ও সুরক্ষা দেওয়া হয়, তাহলে তাদের ব্যবহৃত ভাষাও এমন হওয়া উচিত যাতে আমজনতা তা অনায়াসে বুঝতে পারেন এবং তাদের আত্মবিশ্বাস বাড়ে (Chhattisgarh)।”

    ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে এই পরিবর্তন সম্পর্কে সব অধস্তন কর্তাদের সচেতন করতে হবে এবং এও নিশ্চিত করতে হবে যে এই নির্দেশ যেন স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা হয়ে না থাকে, বরং তার বাস্তব প্রয়োগ প্রতিটি পুলিশ চৌকি, থানা এবং রাজ্যের অফিসে স্পষ্টভাবে দেখা যায়। ছত্তিশগড় পুলিশ (DGP) এখন থেকে শুধুই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নয়, বরং সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের একটি মাধ্যম হিসেবেও কাজ করবে (Chhattisgarh)।

  • Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে খতম মাওবাদী নেতা সুধাকর, মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা

    Chhattisgarh: ছত্তিশগড়ে খতম মাওবাদী নেতা সুধাকর, মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নকশাল দমনে ফের বড়সড় সাফল্য। বৃহস্পতিবারই নিরাপত্তাবাহিনীর অভিযানে ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) বিজাপুর জেলায় খতম হল মাওবাদী কমান্ডার তথা কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুধাকর। জানা গিয়েছে এই নেতার মাথার দাম ছিল ৪০ লক্ষ টাকা। বহুদিন ধরেই সুধাকরের খোঁজ চলছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার খতম করা গেল এই মাওবাদী নেতাকে। এর পাশাপাশি, ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর অস্ত্রসস্ত্র এবং বিস্ফোরক (Top Maoist Leader)।

    তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় এবং মহারাষ্ট্রে সক্রিয় ছিলেন সুধাকর

    তেলেঙ্গানা, ছত্তিশগড় (Chhattisgarh) এবং মহারাষ্ট্রে সক্রিয় ছিলেন সুধাকর। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সকালেই ছত্তিশগড়ের বিজাপুরের জঙ্গলে অভিযান শুরু করে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। সঙ্গে ছিল জঙ্গলযুদ্ধে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডোবাহিনী ‘কোবরা’। জঙ্গলে ওই অভিযানের সময়ই নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় মাওবাদীদের।

    মে মাসে খতম হয় ২৯ মাওবাদী (Chhattisgarh)

    প্রসঙ্গত, গত মে মাসেই অপর এক শীর্ষ মাওবাদী নেতা তথা সিপিআই (মাওবাদী)-র সাধারণ সম্পাদক নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুকে খতম করে বাহিনী। তাঁর মাথার দাম ছিল এক কোটি টাকা। ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুরের অবুঝমাঢ়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিহত হন তিনি। ওই অভিযানে ব্যাপক সাফল্য পায় নিরাপত্তা বাহিনী। বাসবরাজের পাশাপাশি আরও ২৯ মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছিল (Top Maoist Leader)।

    কেন তাৎপর্যপূর্ণ ছিল মে মাসের অভিযান (Chhattisgarh)

    মে মাসের ওই অভিযানটি নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ছিল। কারণ, তিন দশকের লড়াইয়ে প্রথম কোনও অভিযানে সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদার মাওবাদী নেতাকে খতম করতে সমর্থ হয় নিরাপত্তা বাহিনী। এনিয়ে নিজেদের সমাজমাধ্যমের পাতায় নিরাপত্তাবাহিনীকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। গত মাসে মাওবাদী দমন অভিযানে ওই সাফল্যের পর বৃহস্পতিবার আরও এক শীর্ষ মাওবাদী নেতাকে খতম করতে সমর্থ হল নিরাপত্তাবাহিনী।প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে দেশ থেকে মাওবাদী নিশ্চিহ্ন করা হবে বলে জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

  • Christian Conversion Racket: খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে গিয়ে পুলিশের জালে জন থমাস

    Christian Conversion Racket: খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করতে গিয়ে পুলিশের জালে জন থমাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার সামনে এল খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত (Christian Conversion Racket) করার উদ্বেগজনক ঘটনা। রবিবার উত্তেজনা ছড়ায় ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) কাওরধার আদর্শ নগর এলাকায়। অভিযোগ, দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষদের বিশ্বাস, নিরাময় ও দানের নাম করে খ্রিস্টধর্মে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছে। এই ঘটনা উপজাতি ও বঞ্চিত অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। খ্রিস্টান মিশনারিদের এহেন কার্যকলাপে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়েছে।

    গোপনে ধর্মান্তরিত (Christian Conversion Racket)

    স্থানীয়দের অভিযোগ, একটি বেসরকারি স্কুলের পরিচালক জন থমাস। তিনি ওই স্কুলের চত্বর ব্যবহার করে গোপনে ধর্মান্তরিত করছিলেন। হিন্দু সংগঠনের প্রায় ২৫ জন সদস্য পাশের একটি বাড়িতে হানা দেন। তাঁরাই থমাসের বিরুদ্ধে দরিদ্র বাসিন্দাদের জোর করে ধর্মান্তরিত করার অভিযোগ তোলেন। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ হস্তক্ষেপ করে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। কাওরধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পুষ্পেন্দ্র বাঘেল জানান, অভিযোগে বলা হয়েছে যে প্রার্থনা সভার ছদ্মবেশে ধর্মান্তরিত করা হচ্ছিল। পরে জন থমাসকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং আরও ২৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ

    স্থানীয় বাসিন্দা পুসাইয়া বাঈ ও পদ্মিনী চন্দ্রবংশী অভিযোগ করেন, জন থমাস অসুস্থ ও দরিদ্র গ্রামবাসীদের নজরে রাখতেন। পরে নিরাময় ও আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাঁদের স্কুলে নিয়ে যেতেন। ওখানে ভূত তাড়ানোর রীতিনীতি ও অদ্ভুত আওয়াজে আশপাশের মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পদ্মিনী বলেন, “শিশুরা বাইরে বেরোতে ভয় পেত। সব কিছু আমাদের চোখের সামনেই ঘটছিল, অথচ বহুবার অভিযোগ করেও প্রশাসন (Christian Conversion Racket) কিছু করেনি।”

    প্রসঙ্গত, গ্রামীণ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে কাজ করা একাধিক খ্রিস্টান মিশনারি সংস্থার বিরুদ্ধে বারবার অভিযোগ উঠেছে যে তারা সমাজের অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল মানুষদের দুর্বলতাকে কাজে লাগিয়ে ধর্মান্তরিত করছে। অর্থনৈতিক সাহায্য, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং মাঝে মাঝে সম্পত্তির টোপ দিয়ে, তারা মানুষকে এমনভাবে ধর্মান্তরিত করছে, যাতে তাদের সম্মতি থাকে না। এই ধরনের কাজকর্ম চলে (Chhattisgarh) মানবিক সহায়তার মুখোশ পরে। স্থানীয়রা জন থমাসের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি পদক্ষেপ এবং প্রতারণামূলক ধর্মান্তর প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে আরও বৃহৎ অভিযানের দাবি জানিয়েছেন (Christian Conversion Racket)।

  • Nambala keshav Rao Encounter: মাথার দাম ছিল ১ কোটি! ছত্তিশগড়ে খতম শীর্ষ মাও-কমান্ডার কেশব রাও, নিহত আরও ৩০

    Nambala keshav Rao Encounter: মাথার দাম ছিল ১ কোটি! ছত্তিশগড়ে খতম শীর্ষ মাও-কমান্ডার কেশব রাও, নিহত আরও ৩০

    মাধ্যম ডেস্কঃ ছত্তিশগড়ে গুলির লড়াইতে নিকেশ মাওবাদী নেতা কেশব রাও (Nambala keshav Rao Encounter)। জানা গিয়েছে তাঁর মাথার দাম ছিল ১ কোটি টাকা। গোপন সূত্রে গোয়েন্দাদের তথ্যে খবর পেয়ে আবুঝমাড়ের জঙ্গলে অভিযান চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এরপর সেনাবাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। গুলি-পাল্টাগুলির বিনিময়ে ওই কুখ্যাত মাওবাদী নেতার মৃত্যু হয়েছে। ছত্তিশগড়ের (Chhattisgarh) পুলিশ প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ উদ্যোগের এই সাফল্যে বিরাট খুশি প্রকাশ করেছে ওয়াকিবহাল মহল।

    ৩০ জন মাওবাদী খতম (Nambala keshav Rao Encounter)!

    বুধবার সকালে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইতে কুখ্যাত মাওবাদী নেতার মৃত্যু (Nambala keshav Rao Encounter) হয়েছে। এই নাম্বালা কেশব রাওকে বাসবরাজের বলেও ডাকা হতো। ছত্তিশগড়ের নারায়ণপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে মারা পড়েছেন। তাঁর উপর ছিল সংগঠনের গুরু দায়িত্ব। একই ভাবে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াইতে মারা পড়ে আরও ৩০ জন মাওবাদীকে। প্রাথমিক ভাবে খবর পেয়ে আবুঝমাড়ের জঙ্গলে অভিযান চালায় বাহিনী। যদিও সরকারি (Chhattisgarh) ভাবে এখনও এই মাও নেতার মৃত্যুর খবর স্বীকার করা হয়নি।

    ১৯৭০ সালে যুক্ত হন কেশব

    নাম্বালা কেশব রাও (Nambala keshav Rao Encounter) ওরফে বাসরাজ ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়া (মাওবাদি)-র জেনারেল সেক্রেটারি। ১৯৭০ সালের নকশাল আন্দোলনের সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত ছিলেন। এরপর থেকেই পুলিশ তাঁর নাম হিটলিস্টে রাখে। অবশেষে ছত্তিশগড়ের জেলা রিজার্ভ গার্ডের হাতে নিহত হতে হয় তাঁকে। নানা সন্ত্রাস এবং ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। প্রশাসনের এই সাফল্যে উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় শর্মা (Chhattisgarh) বলেন, “মোট ২৬ জনের বেশি মাওবাদী এনকাউন্টারে মারা পড়েছে। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজনকে পুলিশ রীতিমতো তাল্লাশি চালাচ্ছিল। অভিযানের সময় একজন পুলিশ এবং এক সেনা-জওয়ান গুলিতে আহত হয়েছেন।”

    ২০২৬ সালের মধ্যেই ভারত হবে মাওবাদী মুক্ত

    উল্লেখ্য, গত দুসপ্তাহ আগে তেলঙ্গানা সীমান্তবর্তী কারেগুট্টা পাহাড়ের কাছে বিজাপুর জেলার (Chhattisgarh) জঙ্গলে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ১৫ জন নকশাল নিহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। ১৯ মে থেকেই মাওবাদী দমন অভিযানে জোরকদমে অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তা বাহিনী। গত বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকেই মাওবাদীদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে রাজ্যের বিষ্ণুদেও সাইয়ের সরকার। লাল সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ইতিমধ্যে বড় ঘোষণা করেছেন। তিনি বার্তা দিয়েছিলেন, “২০২৬ সালের মধ্যে ভারতকে মাওবাদী মুক্ত করা হবে। লাল সন্ত্রাস সর্বাত্মক ভাবে শেষ করা হবে।”

  • Anti Maoist Operation: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ বড়সড় সাফল্য বাহিনীর, খতম ৩১ মাওবাদী

    Anti Maoist Operation: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ বড়সড় সাফল্য বাহিনীর, খতম ৩১ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ (Anti Maoist Operation) বড়সড় সাফল্য পেল ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনী। পুলিশের দাবি, অভিযানে এখনও পর্যন্ত নিকেশ হয়েছে অন্তত ৩১ জন মাওবাদী (Bijapur)।

    ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ (Anti Maoist Operation)

    পুলিশ জানিয়েছে, ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমানায় চলছে ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। তাতেই মিলেছে ৩১ জন নিকেশ হওয়ার খবর। এই অভিযান সম্পর্কে অবশ্য বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করা হয়নি ছত্তিশগড় পুলিশের তরফে। প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছে, ছত্তিশগড়-তেলঙ্গানা সীমানায় কারেগুট্টা পাহাড়ের আশপাশের ঘন জঙ্গলে অপারেশন চলাকালীনই মৃত্যু হয় ওই মাওবাদীদের। বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ্যে আনবেন বিজাপুরের পুলিশ সুপার জিতেন্দ্র যাদব।

    ২০ জনকে শনাক্ত

    পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ৩১ জন মাওবাদীর মধ্যে ২০ জনকে ইতিমধ্যেই শনাক্ত করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত ও অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ করার পরে ১১ জনের দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে তাদের পরিবারের হাতে। বাকিদের দেহ শনাক্তকরণের কাজ চলছে। ২১ এপ্রিল শুরু হয়েছে ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। নিরাপত্তাবাহিনীর একাধিক ইউনিট – ছত্তিশগড় পুলিশের জেলা রিজার্ভ গার্ড, বাস্তার ফাইটার্স, স্পেশাল টাস্ক ফোর্স, সিআরপিএফ এবং কোবরা ইউনিট এই অভিযানে অংশ নিয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় ২৮ হাজার জওয়ান ঘিরে রেখেছে এই জঙ্গল। জঙ্গলে প্রায় ৫০০ জন মাওবাদী রয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    অভিযানে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক সামগ্রী উদ্ধার হয়েছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার হয়েছে ৪০০টিরও বেশি আইইডি, প্রায় ৪০টি আগ্নেয়াস্ত্র, প্রায় ২ টন বিস্ফোরক। পুলিশের দাবি, মাওবাদীদের ঘাঁটি (Anti Maoist Operation) চিহ্নিত করে একের পর এক সফল অভিযানের মাধ্যমে ধ্বংস করা হচ্ছে তাদের ঘাঁটি ও অস্ত্রভান্ডার।

    প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যেই মাওবাদমুক্ত ভারত গড়ার বার্তা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এর পর থেকেই ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ডের মতো মাও-অধ্যুষিত রাজ্যগুলিতে ব্যাপক গতি পেয়েছে মাওবাদী অভিযান। জানা গিয়েছে, কারেগুট্টা পাহাড়ি এলাকাটি মাওবাদীদের অন্যতম শক্তঘাঁটি। এই এলাকা থেকে মাওবাদীদের নিশ্চিহ্ন করতে এলাকা ঘিরে রেখেছে নিরাপত্তাবাহিনী। এখনও (Bijapur) পর্যন্ত ওই এলাকায় চালানো হয়েছে ৩৫টি অভিযান (Anti Maoist Operation)।

  • Operation Sankalp: সীমান্তপারে জঙ্গি-নিধনে ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশে ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী

    Operation Sankalp: সীমান্তপারে জঙ্গি-নিধনে ‘অপারেশন সিঁদুর’, দেশে ‘অপারেশন সঙ্কল্পে’ খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তান ও পাক-অধিকৃত কাশ্মীরের জঙ্গি-ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দিতে  ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়েছে ভারতীয় ফৌজ। সীমান্তপার সন্ত্রাস যেমন এক হাতে দমন করা হচ্ছে, ঠিক একইভাবে, দেশের ভেতর মাওবাদীদের দমন করতে চলছে  ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ (Operation Sankalp)। আর এই অভিযানে খতম অন্তত ২৬ মাওবাদী গেরিলা (Maoists Killed)। ছত্তিশগড়ের বস্তার ডিভিশনের বিজাপুর জেলা এবং পড়শি রাজ্য তেলঙ্গানার সীমানায় পাহাড়-জঙ্গলঘেরা এলাকায় যৌথবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে নিকেশ হয়েছে ওই মাওবাদীরা। গত ১৮ দিন ধরে ওই এলাকায় ধারাবাহিক সংঘর্ষ চলছে। নিহত মাওবাদীদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র এবং বিস্ফোরকও উদ্ধার করেছে যৌথবাহিনী। সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সিআরপিএফের এক আধিকারিক বলেন, “চার মহিলা-সহ মোট ২৬ জন মাওবাদী এই অভিযানে নিহত হয়েছে। প্রচুর পরিমাণে বিস্ফোরক, অস্ত্র তৈরির ফ্যাক্টরি ও সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।” জানা গিয়েছে, এই অপারেশন চালানোর জন্য ১৯ এপ্রিল থেকে সিআরপিএফের ডিরেক্টর জেনারেল জিপি সিং রায়পুর ও জগদলপুরে ঘাঁটি গেড়েছিলেন।

    অপারেশন সঙ্কল্প (Operation Sankalp)

    দিন কুড়ি আগে ওই জঙ্গলে ৫০০-রও বেশি মাওবাদী জড়ো হয়েছে বলে খবর পায় যৌথবাহিনী। তার পরেই শুরু হয় ‘অপারেশন সঙ্কল্প’। জঙ্গলটি ঘিরে রেখেছে প্রায় ২৪ হাজার আধাসেনা ও পুলিশ। সিআরপিএফের জঙ্গলযুদ্ধ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কমান্ডো বাহিনী কোবরা-র পাশাপাশি ছত্তিশগড়ের সশস্ত্র পুলিশ, বস্তার ফাইটার্স ও ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড বাহিনী, মহারাষ্ট্র পুলিশের সি-৬০, তেলঙ্গানা পুলিশের মাওবাদী দমন বাহিনীও রয়েছে এই অভিযানে। প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, নিষিদ্ধ সংগঠন সিপিআই (মাওবাদী)-র সশস্ত্র শাখা পিএলজিএ-র এক নম্বর ব্যাটেলিয়নের ঘাঁটি রেগুট্টা এবং দুর্গামগুট্টার ঘন জঙ্গলে ঘেরা পাহাড় ঘিরে গত ২১ এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ নামের ওই অভিযান সংহত করা হচ্ছে (Operation Sankalp)।

    বাহিনীর জাঁতাকলে আটকে ৫০০

    ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুর থেকে প্রায় সাড়ে চারশো কিলোমিটার দূরে বস্তার ডিভিশনের ওই দুর্গম এলাকায় মাওবাদীদের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতাও বাহিনীর জাঁতাকলে আটকে পড়েছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে খবর। এই দলেই রয়েছে তেলঙ্গানা রাজ্য কমিটি ও দণ্ডকারণ্য বিশেষ জোনাল কমিটির অধিকাংশ গেরিলা কমান্ডার। এই পরিস্থিতিতে নজরদারির কাজে হেলিকপ্টার ও ড্রোন ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের মধ্যে মাওবাদীদের (Maoists Killed) নিশ্চিহ্ন করার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই লক্ষ্যেই ‘অপারেশন সঙ্কল্প’ ছত্রিশগড় সরকারের (Operation Sankalp)।

LinkedIn
Share