Tag: child obesity

child obesity

  • Bread: রোজ রাতে শিশুকে রুটি খাওয়ান? শরীরে এর কী প্রভাব পড়ে জানেন?

    Bread: রোজ রাতে শিশুকে রুটি খাওয়ান? শরীরে এর কী প্রভাব পড়ে জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    এক বেলা সবজি-মাছ-ভাত খেলেও, অনেকেই রাতে নিয়ম করে রুটি (Bread) খাওয়ায় অভ্যস্ত! নিয়মিত রুটি খেলে শরীরে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব পড়ে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশুর বয়স সাত-আট মাস পেরোলেই অনেকে নিয়মিত রুটি খাওয়ানোতে অভ্যস্ত করেন। ফলে শিশুদের শরীরেও এই খাবারের প্রভাব পড়ে। তাই নিয়মিত রুটি খাওয়ার আগে কয়েকটি বিষয়ে নজর দেওয়া দরকার বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। এখন দেখে নেওয়া যাক, নিয়মিত রুটি খেলে কী হয়?

    রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে (Bread) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, নিয়মিত রুটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাঁরা জানাচ্ছেন, কম বয়স থেকে অধিকাংশ ভারতীয় এখন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন। বিশেষত উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভুক্তভোগীদের সংখ্যা গত কয়েক বছরে শহুরে ভারতীয়দের মধ্যে উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। নিয়মিত রুটি খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার কিংবা স্ট্রোকের মতো বিপদের ঝুঁকিও কমে। তাই নিয়মিত রুটি খেলে উপকার পাওয়া যায়।

    হজম শক্তি বাড়ে

    পাশাপাশি বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, রুটি (Bread) নিয়মিত খেলে হজম শক্তি বাড়ে। তাঁরা জানাচ্ছেন, রুটিতে থাক্স ফাইবার থাকে। তাই এই উপাদান হজম শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে। শিশুদের জন্যও তাই রুটি বিশেষ উপকারী। নিয়মিত রুটি খেলে শরীরে ফাইবারের জোগান ঠিকমতো হয়। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক সময়েই শিশুরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভোগে। নিয়মিত রুটি খেলে, সেই সমস্যা সহজেই মোকাবিলা হয়।

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বিশেষ উপকারী (Bread) 

    ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য রুটি বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ভাত খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য যা বিপজ্জনক। সেক্ষেত্রে রুটি তাঁদের জন্য বিশেষ উপকারী বলেই মত বিশেষজ্ঞদের একাংশের। তাঁরা জানাচ্ছেন, রুটিতে গ্লাইসেমিক ইনডেক্স কম থাকে। তাই রক্তে শর্করার পরিমাণও নিয়ন্ত্রণে থাকে।

    ওজন বাড়ে না

    ভারতীয় শিশুদের মধ্যে (Child) একটা বড় অংশ স্থূলতার সমস্যায় ভুগছে। তাই শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, শিশুদের খাবার দেওয়ার সময় ক্যালোরির দিকটি বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন। তাঁরা জানাচ্ছেন, রুটিতে চর্বি জাতীয় উপাদান থাকে না। তাই রুটি খেলে ওজন বাড়ে না। স্থূলতার ঝুঁকিও তৈরি হয় না। তাই শিশুদের নিশ্চিন্তে নিয়মিত রুটি (Bread) দেওয়া যেতে পারে‌।

    কীভাবে রুটি খেলে বাড়তি উপকার পাওয়া যাবে?

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও খাবার কীভাবে খাওয়া হচ্ছে, তার উপরে খাবারের পুষ্টিগুণ অনেকটাই নির্ভর করে। রুটি খাওয়ার ক্ষেত্রে তাঁরা জানাচ্ছেন, বাজরা কিংবা রাগীর মতো দানাশস্য দিয়ে তৈরি রুটি খেলে বিশেষ উপকার পাওয়া যাবে। এই ধরনের দানাশস্যে ফাইবারের পাশপাশি প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ থাকে। তাই শরীরে বাড়তি উপকার হয়। তাঁরা জানাচ্ছেন, বাড়িতে তৈরি রুটির উপকার বেশি। তবে আটার রুটি (Bread) খেলেও শরীরে প্রচুর উপকার হয়। কিন্তু ময়দার তৈরি রুটি এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ময়দা শরীরের জন্য ক্ষতিকারক। পাশপাশি তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই রুটির উপরে মাখন কিংবা ঘি ঢেলে দেন। নিয়মিত রুটির সঙ্গে অতিরিক্ত পরিমাণ ঘি কিংবা মাখন খেলে শরীরে উপকার হবে না। বরং হজমের সমস্যা‌ কিংবা কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার মতো বিপদ হতে পারে।
    পুষ্টিবিদদের একাংশের পরামর্শ, নিয়মিত দুটি রুটির সঙ্গে ডাল কিংবা সবজি খেলে শরীরে ব্যালেন্স ডায়েট হয়। অর্থাৎ ভিটামিন, ফাইবার, প্রোটিন সবকিছুর চাহিদা সহজেই পূরণ হয়। ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ে।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

  • Obesity: সন্তানের স্থূলতা রুখতে অপরিকল্পিত ডায়েট কোন বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    Obesity: সন্তানের স্থূলতা রুখতে অপরিকল্পিত ডায়েট কোন বিপদ বাড়াচ্ছে? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে স্থূলতার সমস্যা। ভারতেও পাল্লা দিয়ে বাড়ছে এই রোগ (Obesity)। বিশেষত শিশুদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি। চিকিৎসকদের একাংশের আশঙ্কা, আগামী কয়েক বছরেই শিশুদের মধ্যে মহামারির আকার নেবে স্থূলতা। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কিন্তু স্থূলতা রুখতে সচেতনতা জরুরি। শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের স্থূলতা রুখতে অনেক অভিভাবক ডায়েট করছেন। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রে সেই ডায়েট অবৈজ্ঞানিক। ফলে একাধিক সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এদিকে শারীরিক জটিলতাও দেখা গিয়েছে। 

    কোন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে? (Obesity)

    শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, স্থূলতা অধিকাংশ শিশুদের এখন অন্যতম সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যা মোকাবিলা করতে অনেকেই আবার অপরিকল্পিত ডায়েট করছেন। বিশেষত অভিভাবকদের একাংশ শিশুদের জোর করে ডায়েট করাচ্ছেন।‌ আর তাতেই বাড়ছে বিপত্তি। 
    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, দেহের চাহিদা ও প্রয়োজনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডায়েট না করলেই সমস্যা হবে। পুষ্টিবিদদের একাংশ বলছেন, বহু অভিভাবক স্যালাড, চিয়া সিড, ডিমের সাদা অংশ শিশুদের খাওয়াচ্ছেন।‌ অনেকেই স্থূলতা রুখতে শিশুদের ভাত কিংবা রুটির পরিমাণ একেবারেই কমিয়ে দিচ্ছেন। এর ফলে কিন্তু শিশুদের মারাত্মক এনার্জির ঘাটতি হচ্ছে। আবার শুধুমাত্র সিদ্ধ বা স্যালাড জাতীয় খাবারে অভ্যস্ত হওয়ার জেরে অন্য ধরনের খাবার একেবারেই হজম করার শক্তি পাচ্ছে না। এগুলো বাড়তি সমস্যা তৈরি করছে। অনেক ক্ষেত্রে বাচ্চাদের দ্রুত ওজন কমে যাচ্ছে। এর ফলে তারা দুর্বল হয়ে পড়ছে। রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। আবার অনেক সময়েই একেবারে ভিন্ন স্বাদের খাবার খাওয়ার জেরে তাদের খাওয়ার ইচ্ছে ও চাহিদা চলে যাচ্ছে। এর জেরে নানা রকমের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা হচ্ছে। শরীরের প্রয়োজন বুঝে ডায়েট না করলে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। এর জেরে মানসিক অস্থিরতাও তৈরি হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, এর ফলে শিশুদের মধ্যে অমনোযোগী মনোভাব বাড়বে। তাছাড়া, শিশুদের একাংশ ধৈর্য হারাবে। এগুলো স্থূলতা (Obesity) রুখলেও শরীরের পক্ষে ক্ষতিকারক। তাই সমস্যা তৈরি করবে। 

    কীভাবে স্থূলতা রুখতে হবে? (Obesity) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শিশু স্থূলতার সমস্যায় ভুগলে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ জরুরি। কোনও অপরিকল্পিত ডায়েট নয়। বরং পুষ্টিবিদদের পরামর্শ মতোই খাবার দিতে হবে। তাঁরা জানাচ্ছেন, যে ধরনের খাবারে শিশু অভ্যস্ত, তাকে সেই খাবারের মধ্যেই ডায়েট করতে হবে। অর্থাৎ, যেসব শিশুরা ভাত, রুটি, মাছ, মাংসের পদ খেতে অভ্যস্থ, হঠাৎ তাকে শুধুই স্যালাড আর চিয়া সিড টক দই দিলে, তার শরীরে উপকার হবে না। বরং একাধিক শারীরিক ও মানসিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। বরং সে কতখানি খাবে সে ব্যাপারে তাকে বোঝানো দরকার। পাশপাশি শিশুরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, কোনোভাবেই জোর করে ডায়েট করানো‌ চলবে না। বরং নানান থেরাপির মাধ্যমে শিশুকে বোঝাতে হবে কেন স্থূলতা রুখতে হবে। কেন তাকে ডায়েট করতে হচ্ছে। তবেই বেশি কার্যকর হবে। তবে প্রথম থেকেই অতিরিক্ত তেলেভাজা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা দরকার। তাতে স্থূলতার সমস্যা অনেকটাই কমানো যায়। আর বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, শুধু ডায়েট নয়। শিশুদের স্থূলতার (Obesity) সমস্যা রুখতে শরীরচর্চা অত্যন্ত জরুরি। তাই নিয়মিত যাতে সন্তান শরীর চর্চা করে সে দিকেও অভিভাবকদের নজর দিতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share