Tag: Cholesterol

Cholesterol

  • Cholesterol: কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন জানেন?

    Cholesterol: কোলেস্টেরলের মাত্রা কত হলে হৃদরোগে আক্রান্ত হতে পারেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) পর বছর পঁয়তাল্লিশের রোগীকে যখন হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করা হয়, তখন তাঁকে বাঁচাতে স্টেন্টিং করা হয়েছিল। কিছুটা সুস্থ হওয়ার পর ওই রোগী অবাক হয়ে গিয়েছিলেন। কারণ মাত্র এক সপ্তাহ আগেও তাঁর শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ছিল ২০০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের থেকেও কম। কিন্তু আসল সত্যটা হল কোলেস্টেরলের মাত্রা সব সময় হার্টের বাস্তব অবস্থাকে তুলে ধরে না। কারণ রক্তে প্রবাহিত কোলেস্টেরল যে কোনও সময়ই জমাট বেঁধে যেতে পারে ধমনীতে।

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কোলেস্টেরলের মাত্রার হার কোনও ক্ষেত্রেই নিরাপদ, তা বলা যাবে না। সাধারণ মানুষ মূলত যে ভুলটি করে, তা হল কোলেস্টেরলের (cholesterol) মাত্রা দিয়ে হার্টের ভালো বা মন্দ বিচার করে। কিন্তু হার্টের প্রকৃত অবস্থা সম্পর্কে জানতে রোগীকে অন্যান্য লক্ষণগুলির ওপরও নজর রাখতে হবে। বিশেষ করে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল (LDL), ভাল কোলেস্টেরল (HDL) এর অনুপাতের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। ভারতীয়দের শরীরে এইচডিএল যেহেতু কম, সেহেতু ৫০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার ক্ষতিকর কোলেস্টেরলও (LDL) এদেশের মানুষের জন্য নিরাপদ নয়। ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এই মাত্রা কখনওই ৪৫ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার  অতিক্রম করা উচিত নয়। এজন্য আমাদের শুধুমাত্র ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রার ওপর লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন। 

    আরও পড়ুন: ওজন কমাতে চাইলে আজ থেকে সঙ্গী করুন চকোলেট ও রেড ওয়াইন!

    আন্তর্জাতিক (International) মাপকাঠি অনুযায়ী, মানুষের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা ৭০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটার থাকা উচিত। কিন্তু ভারতীয়দের ক্ষেত্রে এই মাত্রা ৫০ মিলিগ্রাম/ডেসিলিটারের নীচে থাকা প্রয়োজন। এমন অনেক রোগীর আছেন যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা স্বাভাবিক, অথচ তাঁদেরও হৃদরোগে (Heart Disease) আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ ভারতীয়দের মধ্যে ধূমপানের প্রবণতা বেশি। এছাড়াও দৈনন্দিন জীবনে কাজের চাপ, অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভাস এবং জিনগত কারণও হার্টের সমস্যার জন্য দায়ী। যদি রোগী মনে করেন যে তাঁর শরীরে কোলেস্টেরল মাত্রা স্বাভাবিক থাকায় তাঁর হৃদরোগের ঝুঁকি নেই, তাহলে ভুল ভাববেন। যাঁরা শারীরিকভাবে সুস্থ কিন্তু অত্যধিক ধূমপান (Smoking) ও মদ্যপান করেন, তাঁদের প্রতি ছ মাস পর পর হৃদযন্ত্র পরীক্ষা করানো প্রয়োজন। যাঁরা স্থুলকায়, তাঁদের দৈনিক ৩০ মিনিট হাঁটা উচিত। কারণ তাঁদেরও হৃদরোগের আশঙ্কা প্রবল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • High fibre food:রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খান এই চার ধরণের খাবার

    High fibre food:রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান? খান এই চার ধরণের খাবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফাইবার (Fibre) হল এমন একটি কার্বোহাইড্রেট (Carbohydrate) যা সাধারণত উদ্ভিদজাত খাবার থেকে পাওয়া যায়। কার্বোহাইড্রেট রক্তে শর্করার (Sugar) পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে।ডায়াবেটিস রোগীদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকায় এই সব রোগীদের যব (Oat), আপেল ও ফুলকপির মতো ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এক জনপ্রিয় সংবাদপত্রের খবর অনুযায়ী, ডায়াবেটিক রোগীদের শুধু কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণই নয়, ওজন নিয়ন্ত্রণেও ফাইবার যুক্ত খাবারের ভূমিকা অপরিসীম।

    যব ও বার্লি: যব ও বার্লি (Barley) এক সঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। রেচন ক্রিয়ার মাধ্যমে শরীর থেকে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নির্গত হয়ে শরীরে কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণ করে। ১/৪ কাপ বার্লিতে ৭ গ্রাম ফাইবার, ৩৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট এবং ১৭০ ক্যালোরি থাকে। ১/২ কাপ যবে থাকে ৪ গ্রাম ফাইবার, ১৫০ ক্যালোরি ও ২৭ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট। 

    আরও পড়ুন: পশ্চিমী শৌচাগারের তুলনায় বেশি স্বাস্থ্যকর ভারতীয় স্টাইল! কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    মটর: মটরের (Peas) মধ্যে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইবার থাকে। সাদা মটর কোলেস্টেরল হ্রাসের জন্য দুর্দান্ত কাজ করে। মটর ও পুদিনা এক সঙ্গে মিশিয়ে খেলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। 

    বেরি: বেরি ফাইবার ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে পূর্ণ। ব্ল্যাকবেরিতে (Blackberry) প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, বি-৬ থাকে। রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে এই বেরি। শরীরের দূষিত কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গত করে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতেও বিশেষ সহায়তা করে এই ফল।

    আরও পড়ুন: সাবধান! সংক্রামক রোগের পাশাপাশি ভয় ধরাচ্ছে ‘নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ’

    মসুর ডাল: যাঁদের রক্তে শর্করা রয়েছে, তাঁদের জন্য মসুর ডাল বিশেষ উপকারি। মসুর ডালে (Lentil) রয়েছে প্রায় ৫০ শতাংশ ফাইবার। শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় এই ডাল। রক্তে শর্করার পরিমাণ কমিয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করে। উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে মসুর।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Sooji: নিয়মিত খেলে ভাল থাকবে হৃদযন্ত্র, সুজির আর কী কী গুণ জানেন?

    Sooji: নিয়মিত খেলে ভাল থাকবে হৃদযন্ত্র, সুজির আর কী কী গুণ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুষ্টিগুণে ভরপুর সুস্বাদু সুজি (Sooji)। ভারতের প্রায় প্রতিটি রান্নাঘরেই দেখা মেলে এই খাবারের। সুজি ওজন এবং ডায়াবেটিস (Diabates) নিয়ন্ত্রণে রাখে।  পাচনতন্ত্র ও হার্টের জন্যও সুজি উপকারী। তাই খাদ্যতালিকায় অবশ্যই রাখা উচিত সুজি। ন্যাশানাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিনে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, সুজিতে ক্যলোরি, ফাইবার, কার্বোহাইড্রেট সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ উপাদান থাকে। ৬০ গ্রাম সুজিতে ১৯৮ ক্যালোরি থাকে। থাকে ৪০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৭ গ্রাম প্রোটিন সহ আয়রন, ম্যাঙ্গানিজের মতো প্রয়োজনীয় উপাদানও। 

    আরও পড়ুন: জানুন ডেঙ্গির লক্ষণ, প্রতিকারের উপায়ই বা কী?

    সুজির পুষ্টিগুণ

    রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে: ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য সুজি হল আদর্শ খাদ্য। সুজিতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম (Magnesium) এবং ফাইবার যা শরীরে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। সহজে হজম হয়ে যাওয়ায় শরীরে কোনও ক্ষতি করে না।

    হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে: সুজিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা হৃদরোগের আশঙ্কা কমায়। কোলেস্টেরল (Cholesterol) ও রক্তচাপ কমিয়ে হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে সুজি। পাব মেড সেন্ট্রাল প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, নিয়মিত সুজি খেলে হৃদরোগের সমস্যা কমে যায়।

    হজমে সাহায্য করে: ফাইবার (Fibre) সমৃদ্ধ সুজি হজম প্রক্রিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখে। ন্যশানাল লাইব্রেরি অব মেডিসিনের মতে, পাচনতন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটিরিয়া বৃদ্ধির কাজে সাহায্য করে।কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধের পাশাপাশি রক্তে পুষ্টির শোষক হিসেবেও ভাল কাজ করে। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, দু সপ্তাহ ধরে প্রতিদিন সুজি খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যাগুলি কমে। 

    ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে: ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সুজি অবশ্যই অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ সুজি থালামিন, ফোলেট এবং ভিটামিন বি-র ভালো উৎস। সুজিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকে। ওজন কমানোর ডায়েটে প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন শরীরের অতিরিক্ত মেদ কমাতে সাহায্য করে।

    কিডনির স্বাস্থ্য ভালো রাখে: সুজিতে থাকা পটাসিয়াম উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। শরীরের অতিরিক্ত ক্ষারকে শরীর থেকে নির্গত করে কিডনিকে সুস্থ রাখে। পটাসিয়াম যুক্ত খাবার কিডনিকে সুস্থ রাখে।

    হাড় মজবুত করে: সুজিতে থাকা পটাসিয়াম হাড়কে মজবুত করে। এছাড়াও ম্যাগনেসিয়াম, জিঙ্ক এবং ফসফরাসের (Phosphorus) মতো উপাদানগুলি পেশীকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।

    রক্তাল্পতা কমায়: সুজিতে থাকা আয়রন শরীরে লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে। এর ফলে রক্তশূন্যতা, ক্লান্তি, ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যাগুলির সমাধান হয়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cholesterol: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চান? এই ৫ পানীয়তে লুকিয়ে সমাধান

    Cholesterol: কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে চান? এই ৫ পানীয়তে লুকিয়ে সমাধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে স্বাস্থ্যকর খাদ্য প্রধান ভূমিকা পালন করে। হৃদরোগ (Heart Problem), ডায়াবেটিস (Diabetes) এবং পারকিন্সনের (Parkinson’s) মতো রোগ থেকে দূরে থাকতে দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় পুষ্টিকর খাদ্য রাখা প্রয়োজন। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ রাখতে সুষম খাদ্য (Healthy Diet) গ্রহণ করা থেকে শুরু করে যোগব্যায়াম (Physical Exercise) করার পাশাপাশি কিছু স্বাস্থ্যকর পানীয় (Health Drinks) গ্রহণ করা উচিত।

    আরও পড়ুন: বয়স ৫০ পেরিয়েছে? সুস্থ থাকতে খান এই উচ্চ প্রোটিন যুক্ত খাবারগুলো

    টম্যাটো জুস (Tomato Juice)— টম্যাটো জুসে থাকা লাইকোপেন হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। টম্যাটোতে থাকা নিয়াসিন ও ফাইবার কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। টম্যাটোর রস (Tomato Juice) সপ্তাহে দু থেকে তিনবার খাওয়া যেতে পারে।

    গ্রিন টি (Green Tea)— শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে গ্রিন টি। যাঁদের শরীরে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি, তাঁদের দৈনিক গ্রিন টি খাওয়া প্রয়োজন। শরীরে রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না গ্রিন টি। ফলে শরীরে ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা হ্রাস করতে সাহায্য করে। এতে হার্ট অ্যাটাকের (Heart Attack) সম্ভাবনাও অনেকটাই কমে যায়।

    আরও পড়ুন: সামনে পুজো ! ওজন কমাত চান? খাবার থালায় রাখুন এই সাত সবজি

     

    কোকো পানীয় (Cocoa Drinks)— কোকোতে ফ্ল্যাভোনয়েডের মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা কোলেস্টেরল কমাতে পারে। এই পানীয় মানসিক চাপ কমাতে সাহায্য করে।

    সয়া দুধ (Soya Milk)— গরুর দুধের পরিবর্তে সয়া দুধ খাওয়া উচিত। উচ্চ প্রোটিন এবং আইসোফ্লাভোনে সমৃদ্ধ সয়া দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম থাকে। হার্টের রোগীদের জন্য এই দুধ ভালো বিকল্প হতে পারে।

    যবের দুধ (Barley Milk)—  প্রোটিন ও ফাইবার সমৃদ্ধ এই দুধে গরুর দুধের তুলনায় দ্বিগুণ মাত্রায় প্রোটিন রয়েছে যবের দুধে। এই মিল্কে উপস্থিত উচ্চমাত্রার বিটা গ্লুকন ক্ষতিকর কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। এই দুধে ফ্যাট না থাকায় হৃদরোগীরা অনায়াসেই তা খেতে পারেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Cholesterol: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    Cholesterol: কী করলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল? জেনে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রক্তের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোলেস্টেরল (Cholesterol)। শরীরে উপস্থিত চার ভাগের তিন ভাগ কোলেস্টেরল স্বাভাবিকভাবে দেহেই তৈরি হয়। বাকি এক ভাগ আসে বিভিন্ন প্রাণীজ খাবার থেকে। রক্তে দুধরনের কোলেস্টেরল থাকে। LDL (লো ডেনসিটি লিপিড প্রোফাইল) ও HDL (হাই ডেনসিটি লিপিড প্রোফাইল)। এরমধ্যে HDL-কে বলা হয় ‘গুড কোলেস্টেরল’ আর LDL-কে বলা হয় ‘ব্যাড কোলেস্টেরল’।
     
    এই গুড এবং ব্যাড কোলেস্টেরলের মধ্যে ভারসাম্যের অভাব ঘটলেই শরীরে বিভিন্ন রকম উপসর্গ দেখা দেয়। হৃদরোগ, হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ে। তাই দেহে কোলেস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখতে আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত কিছু খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা এবং জীবনশৈলীতেও কিছু পরিবর্তন আনা।

    আরও পড়ুন: এই ছটি ফল খান, আর পেয়ে যান উজ্জ্বল ও কোমল ত্বক

    নিয়মিত এই অভ্যেসগুলো মেনে চললেই আপনার শরীরের কোলেস্টেরল থাকবে নিয়ন্ত্রণে।

    খাবারে ফাইবারের মাত্রা বাড়ান

    ফাইবার কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফাইবারযুক্ত খাবার খান। হোল গ্রেইন, বার্লি, ব্র্যান, ফ্ল্যাকস সিড এই খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।

    ট্রান্স ফ্যাট

    ট্রান্স ফ্যাটকে খাবারের তালিকা থেকে একেবারে সরিয়ে ফেলুন। এতে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। মূলত ভাজা খাবারে থাকে এই ট্রান্স ফ্যাট। এছাড়াও প্যাকেট করা বেকারির খাবারেও থাকে ট্রান্স ফ্যাট। যেমন, কুকিজ, কেক, ক্র্যাকার।

    খাবারে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখুন

    স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ খাবারে বেশি থাকলে শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। চিজ, রেড মিটে স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। 

    আরও পড়ুন: অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন? শরীরে হিমোগ্লোবিন বাড়াতে ডায়েটে রাখুন এই সুপারফুড

    স্বাস্থ্যকর ফ্যাট খান 

    আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট আপনার শরীরে ব্যাড কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে গুড কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। তাই বাটার, ক্রিম, মেয়নিজের বদলে খান অলিভ তেল, পিনাট বাটার, অ্যাভোকাডো, ক্যানোলা তেল, সরষের তেল। 

    রোজ ব্যায়াম করুন

    নিয়মিত ব্যায়াম করলে আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। রোজ ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন।  

    শরীরের ওজনের দিকে খেয়াল রাখুন

    অতিরিক্ত ওজন থাকলে, তা কমানোর চেষ্টা করুন। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকলে কোলেস্টেরলও নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 

    ধুমপান ত্যাগ করুন

    হাই কোলেস্টেরলের অন্যতম বড় কারণ ধুমপান। তাই কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ রাখতে সবার আগে ধুমপান পরিত্যাগ করুন।

    পরিমিত মদ্যপান করুন 

    বেশি পরিমাণে মদ্যপান স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। এতে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও বৃদ্ধি পায়। তাই মদ্যপান নিয়ন্ত্রণে রাখুন। 

     

  • High Cholesterol: শরীরে কোলেস্টেরল বেড়েছে? বুঝে নিন ত্বকের এই উপসর্গ দেখেই

    High Cholesterol: শরীরে কোলেস্টেরল বেড়েছে? বুঝে নিন ত্বকের এই উপসর্গ দেখেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শরীরে কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রা যত বাড়বে, ততই চিন্তা বাড়ে। কারণ কোলেস্টেরলের বৃদ্ধির কারণে শরীরে একাধিক রোগের সংক্রমণ বাড়ে। হৃদরোগ, যকৃৎ সহ শরীরের একাধিক অঙ্গপ্রত্যঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়। কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেই কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট, রক্ত সঞ্চালনে বাধা ইত্যাদি সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। যাঁদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ থাকে, তাঁদের হাই কোলেস্টেরল থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

    তাই সঠিক সময়ে শরীরের খেয়াল রাখা দরকার এবং নিয়মিত বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে কীভাবে বুঝবেন যে আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে কিনা? চিকিৎসকদের মতে, রক্ত পরীক্ষা করা ছাড়াও আপনি আপনার ত্বক দেখেও বুঝতে পারবেন যে আপনার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়েছে।  ত্বকের কী কী পরিবর্তন দেখলে বুঝতে পারবেন যে কোলেস্টেরল বেড়েছে তা বিস্তারিত বলা হল।

    ত্বকে বেগুনী বা নীল বর্ণের জাল ন্যায় আভা – বিশেষ করে আবহাওয়া ঠান্ডা থাকলে এমন দেখা দিতে পারে। এটি কোলেস্টেরল এমবলিজেশন সিনড্রোমের (cholesterol embolization syndrome) লক্ষণ। এর ফলে ধমনীতে কোলেস্টেরল জমে যায় ও রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে।

    আরও পড়ুন: হার্টের রোগের ঝুঁকি রয়েছে কাদের, বলে দেবে ব্লাড গ্রুপ!

    জ্যানথেলাসমা (Xanthelasma) – এই ক্ষেত্রে চোখের পাশে হলুদ-কমলা বর্ণের অতিরিক্ত কিছু অংশ দেখতে পাওয়া যায় যা ত্বকের নীচে কোলেস্টেরল জমেই এটি তৈরি হয়।

    জ্যান্থোমা (Xanthoma) – এটি জ্যানথেলাসমার মতই যা কোলেস্টেরল ত্বকের নীচে জমেই সৃষ্টি হয়, কিন্তু এটি চোখের পাশে না হয়ে পায়ে অথবা হাতে হয়।

    সোরিয়াসিস (Psoriasis) – নতুন গবেষণায় জানা যায় যে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেই সোরিয়াসিস দেখা যায়, যা হাইপারলিপিডেমিয়া (Hyperlipidaemia) নামে পরিচিত।

    আরও পড়ুন: চিজ খেতে পছন্দ করেন? তবে জেনে নিন চিজ খেলে কী কী ক্ষতি হতে পারে

    শুষ্ক ত্বক ও ত্বকের রঙ পরিবর্তন – কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেই রক্ত সঞ্চালনে ব্যাঘাত ঘটে, ফলে ত্বকের কোষগুলো সঠিক পরিমাণে পুষ্টি পায় না, তাই ত্বকের রঙ পরিবর্তন হয়ে যায় ও ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।

    ফুট আলসার সারতে বিলম্ব – কোলেস্টেরল বৃদ্ধির ফলে পায়ের ক্ষত বা ফুট আলসার ঠিক হতে অনেক সময় লেগে যায়। কারণ কোলেস্টেরল বেশী হলে রক্ত প্রবাহে অসুবিধা হয় ও ক্ষত স্থানে সঠিক পরিমাণে রক্ত পৌঁছতে পারে না, তাই এই সমস্যা দেখা যায়।

LinkedIn
Share