Tag: Christians

Christians

  • Congo: আফ্রিকার কঙ্গোতে ইসলামিক মৌলবাদীদের টার্গেট খ্রিস্টানরা, ফেব্রুয়ারিতে গণহত্যায় নিহত ৭০

    Congo: আফ্রিকার কঙ্গোতে ইসলামিক মৌলবাদীদের টার্গেট খ্রিস্টানরা, ফেব্রুয়ারিতে গণহত্যায় নিহত ৭০

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি, আফ্রিকা মহাদেশের কঙ্গোতে (Congo) এক নির্মম গণহত্যায় অন্তত ৭০ জন খ্রিস্টান নিহত হন। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটায় এক ইসলামিক মৌলবাদী সংগঠন। নৃশংস বর্বর এই হত্যাকাণ্ডে নিন্দা জানায় বিশ্বের সব মহলই। নিহতদের মধ্যে মহিলা, শিশু এবং বয়স্করাও ছিলেন। তাঁদের বাড়ি থেকে তুলে এনে শরীর থেকে মাথা আলাদা করা হয়।

    মাইবা গ্রামে চালানো হয় এই ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড (Congo)

    এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে মাইবা নামক একটি গ্রামে, যা কঙ্গোর উত্তর কিভু প্রদেশে অবস্থিত। নিহতদের প্রত্যেকের হাত পিছনে দড়ি দিয়ে বাঁধা ছিল। হত্যাকাণ্ডের কয়েক দিন পরে তাঁদের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এই গণহত্যার দায় স্বীকার করে উগান্ডার ইসলামিক জঙ্গি সংগঠন Allied Democratic Forces (ADF)। পুরো অঞ্চলে এই হামলা এক ভয়াবহ আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করে, বিশেষত খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের মধ্যে (Africa)।

    অর্থডক্স পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির রিপোর্ট কী বলছে?

    অর্থডক্স পাবলিক অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, যাঁদের হত্যা করা হয়েছে, তাঁদের আগে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং পরে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়। এই সংগঠনটি খ্রিস্টানদের অধিকার এবং ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে কাজ করে। তারা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে এটিকে মানবাধিকারের ওপর গুরুতর আক্রমণ বলে আখ্যা দিয়েছে।

    ২০২৩ সালের একশোর ওপর হত্যা করে এই জঙ্গি সংগঠন

    উল্লেখ্য, এর আগেও ADF বহু হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। শুধুমাত্র ২০২৩ সালেই এই সংগঠনের বিরুদ্ধে একশোরও বেশি হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তারা একের পর এক গ্রামে হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে অপহরণ করছে এবং চার্চসহ ধর্মীয় স্থানে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আফ্রিকা মহাদেশে খ্রীস্টানদের জীবন-জীবিকার সংশের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ইসলামিক জঙ্গিরা (Congo)।এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করেছে ক্যাথলিক চার্চ এবং এই ঘটনাকে তারা নৃশংস গণহত্যা বলে আখ্যা দিয়েছে।

  • Ghar Wapsi: পূর্ব পুরুষের ধর্মে ফিরলেন বাংলাদেশের ১০০ খ্রিস্টান, যজ্ঞে আহুতি দিয়ে হলেন হিন্দু

    Ghar Wapsi: পূর্ব পুরুষের ধর্মে ফিরলেন বাংলাদেশের ১০০ খ্রিস্টান, যজ্ঞে আহুতি দিয়ে হলেন হিন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু মন্দিরে মুসলমান দুষ্কৃতী হামলার খবরে নানা সময়ে খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে ভারতের পড়শি দেশ বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশই সম্প্রতি হেডলাইন হয়েছে ভিন্ন কারণে। কারণটি হল, ১০০ জন বাংলাদেশি খ্রিস্টান ধর্ম ছেড়ে দীক্ষা নিলেন সনাতন ধর্মে (Ghar Wapsi)। খাগড়াগাছি জেলার ঘটনায় উৎসাহিত বাংলাদেশের সনাতনীরা।

    হিন্দু বিতাড়ন

    ১৯৭১ সালে স্বাধীন দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বাংলাদেশ। দেশটিতে তখন হিন্দু ছিলেন মোট জনসংখ্যার ৯ শতাংশ। তার পর কখনও হিন্দু বিতাড়ন, কখনও আবার রীতিমতো নির্যাতন করে ভিটে ছাড়া করা হয় সংখ্যালঘু হিন্দুদের। হিন্দু মন্দিরে হামলা করে মূর্তি পুজোর বিরোধী মুসলমানরা। নানা জায়গায় ভেঙে দেওয়া হয় হিন্দুদের আরাধ্য দেবতার মূর্তিও। বেশিরভাগ সময়ই দুষ্কৃতীরা ধরা পড়ে না। কখনও কখনও ধরা পড়লেও ছাড়া পেয়ে যায় সহজেই। তাই বাংলাদেশে হিন্দু মন্দিরে হামলার লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী।

    ফিরলেন হিন্দু ধর্মে

    কেবল হিন্দু (Ghar Wapsi) নন, সে দেশে সংখ্যালঘু খ্রিস্টানরাও দুষ্কৃতী হামলার শিকার। অভিযোগ, এই দুষ্কৃতীরা ধর্মে মুসলমান। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মতো বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার টোপ দিয়ে বাংলাদেশেও ধর্মান্তরিত করছেন খ্রিস্টান ধর্ম প্রচারকরা। অভিযোগ, এই টোপ গিলে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করেছেন বাংলাদেশের বহু হিন্দু। এমনই একশোজন ফিরলেন হিন্দু ধর্মে। যাঁরা এবার হিন্দু ধর্মে দীক্ষা নিলেন, তাঁরা জয়ন্তিয়া ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের। খ্রিস্টান মিশনারিদের টোপ গিলে বহু বছর আগে ওই ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন তাঁরা। খাগড়াগাছি জেলা সহ চট্টগ্রামের পাহাড়ি এলাকায় সক্রিয় এই মিশনারিরা। এই পাহাড়ি অঞ্চলে জয়ন্তিয়া সম্প্রদায়ের যেসব গরিব মানুষ বাস করেন, মূলত তাঁদেরই টোপ দিয়ে ধর্মান্তরিত করেন খ্রিস্টান মিশনারিরা।

    আরও পড়ুুন: “টাটাকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে তৃণমূলের ফান্ড থেকে, না হলে আন্দোলন”, হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    স্থানীয় সূত্রে খবর, সম্প্রতি এঁদেরই একশো জন পূর্বপুরুষের ধর্মে ফিরতে চেয়ে যোগাযোগ করেন স্থানীয় হিন্দুত্ববাদীদের সঙ্গে। আর্য সমাজের সহযোগিতায় তাঁরাই আয়োজন করেন ঘরে ফেরার অনুষ্ঠানের। দীক্ষার দিন ঠিক হয় ২৮ অক্টোবর, শনিবার। বীর চাট্টালা গ্রামে হয় অনুষ্ঠানের আয়োজন। যজ্ঞে আহুতি দিয়ে এবং বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ করে ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের ওই জয়ন্তিয়া মানুষজন দীক্ষিত হন সনাতন ধর্মে (Ghar Wapsi)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share