Tag: Cinema

Cinema

  • Asrani: পঞ্চভূতে বিলীন বলিউড কমেডির অন্যতম লেজেন্ড আসরানি, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীরও

    Asrani: পঞ্চভূতে বিলীন বলিউড কমেডির অন্যতম লেজেন্ড আসরানি, শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীপাবলিতে নিভল জীবন-প্রদীপ! কমেডির অন্যতম লেজেন্ডকে (Comedy Legend) হারাল বলিউড। চুরাশি বছর বয়সে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে গেলেন গোবর্ধন আসরানি, স্নেহভরে যাঁকে সবাই আসরানি (Asrani) বলেই ডাকতেন। হিন্দি সিনেমায় পাঁচ দশকেরও বেশি সময় ধরে তিনি ছিলেন এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। হাস্যরস, চমৎকার সংলাপ-প্রয়োগ ও নিখুঁত কমিক টাইমিংয়ের এক অমূল্য উত্তরাধিকার রেখে গিয়েছেন তিনি। আসরানির ম্যানেজার বাবু ভাই থিবা জানান, জুহুর আরোগ্য নিধি হাসপাতালে সোমবার বিকেল ৩টা নাগাদ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই বর্ষীয়ান অভিনেতা। এদিনই সন্ধ্যায় সান্তাক্রুজ শ্মশানে শেষকৃত্য হয় তাঁর।

    মধ্যবিত্ত সিন্ধি পরিবারে জন্ম (Asrani)

    ১৯৪০ সালের ১ জানুয়ারি রাজস্থানের জয়পুরে জন্ম হয় আসরানির। বেড়ে ওঠেন এক মধ্যবিত্ত সিন্ধি পরিবারে। তাঁর বাবা কার্পেট ব্যবসা করতেন। কিন্তু ছোটবেলা থেকেই ব্যবসায় তেমন আগ্রহ ছিল না গোবর্ধনের। বরং অভিনয় ও শিল্পকলায় ছিল তাঁর গভীর আগ্রহ। সেন্ট জেভিয়ার্স স্কুলের পাঠ চুকিয়ে আসরানি ভর্তি হন রাজস্থান কলেজে। সেখান থেকেই হন স্নাতক। পড়াশোনার পাশাপাশি জীবিকা নির্বাহের জন্য জয়পুরে ভয়েস আর্টিস্ট হিসেবেও কাজ করতেন তিনি। কলেজ জীবনেই অভিনয়ের প্রতি আসরানির আকর্ষণ গভীর হতে থাকে। ১৯৬০ থেকে ১৯৬২ সাল পর্যন্ত তিনি ‘সাহিত্য কলভাই ঠাক্কার’-এর অধীনে প্রশিক্ষণ নেন। ১৯৬৪ সালে তিনি পুণের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ায় ভর্তি হন। এই সিদ্ধান্তই বদলে দেয় তাঁর জীবনের গতিপথ।

    ‘হরে কাঁচ কি চুড়িয়ান’

    ১৯৬৭ সালে ‘হরে কাচ কি চুড়িয়ান’ ছবির মাধ্যমে রুপোলি পর্দার জগতে আত্মপ্রকাশ করেন আসরানি। এই ছবিতে তিনি অভিনেতা বিশ্বজিতের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। আসরানি বেশ কিছু গুজরাটি চলচ্চিত্রেও প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন। প্রথম ছবিতেই দর্শকদের মন জয় করে নেন তিনি। এরপর শুরু হয় এমন এক অভিনয়জীবন, যার সমকক্ষ বলিউডের ইতিহাসে খুব কমই রয়েছে। ৩৫০টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন আসরানি (Comedy Legend)। রুপোলি পর্দায় কখনও তিনি ছিলেন নায়ক, কখনও আবার অভিনয় করেছেন পার্শ্বচরিত্রে। নানান চরিত্রেই তিনি ছিলেন স্বচ্ছন্দ। হাস্যরসাত্মক অভিনয়ই দর্শকদের হৃদয়ে পাকা আসন করে দেয় আসরানিকে (Asrani)। সাত থেকে নয়ের দশক পর্যন্ত আসরানি ছিলেন বড় পর্দার এক পরিচিত মুখ। রাজেশ খান্নার সঙ্গে তাঁর জুটি বলিউডের অন্যতম সফল জুটি হিসেবে বিবেচিত হয়। ১৯৭২ থেকে ১৯৯১ সালের মধ্যে তাঁরা এক সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন ২৫টিরও বেশি ছবিতে। আসরানির অসংখ্য স্মরণীয় অভিনয়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ‘চুপকে চুপকে,’ ‘ছোটি সি বাত,’ ‘বাওয়ার্চি,’ ‘কোশিশ’ এবং ‘মেরে নিজের।’ এই ছবিগুলি আজও প্রথম মুক্তির মতোই উপভোগ্য।

    ‘ইংরেজোঁ কে জমানে কা জেলর’

    তবে যদি এমন একটি চরিত্র থাকে যা আসরানিকে অমর করে রেখেছে, তা হল রমেশ সিপ্পির শোলে’ ছবির অদ্ভুত জেলরের চরিত্র। তার চোখ, সামরিক টুপি, এবং অতিরঞ্জিত ইংরেজি উচ্চারণ “হাম ইংরেজোঁ কে জমানে কা জেলর হ্যায়ঁ!” – এই সংলাপটি ছবির চেয়েও দীর্ঘজীবী হয়ে উঠেছিল। এক সময় লোকের মুখে মুখে ফিরত আসরানির এই সংলাপ। আসরানি কখনও একটিমাত্র ধারায় নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখেননি। ‘চলা মুরারী হিরো বননে’ ছবির লেখক, পরিচালক এবং অভিনেতাও ছিলেন তিনি। ছবিটি তাঁর রসবোধ ও হৃদয়গ্রাহী উপস্থাপনার জন্য সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করেছিল। পরে তিনি পরিচালনা করেছিলেন ‘সালাম মেমসাব’। গুজরাটি সিনেমায়ও প্রশংসিত হয়েছিল তাঁর অভিনয়। কুড়িয়েছিলেন দর্শকদের ভালোবাসা (Asrani)। দশকের পর দশক ধরে আসরানি হিন্দি সিনেমার সোনালি যুগ থেকে নতুন সহস্রাব্দ পর্যন্ত অবিচলভাবে কাজ করে গিয়েছেন। ২০০০ সাল-উত্তর তরুণ প্রজন্মের মধ্যেও ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করে ছিলেন তিনি। ‘হেরা ফেরি,’ ‘ভাবাগ ভাগ,’ ‘ধামাল,’ ‘ওয়েলকাম,’ এবং ‘ভুল ভুলাইয়া’র মতো ছবির মাধ্যমে আসরানি প্রমাণ করে দেন তাঁর কমেডির টাইমিং আগের মতোই ধারালো (Comedy Legend)।

    বহু সম্মান পেয়েছেন আসরানি

    আসরানির কাজ তাঁকে বহু সম্মান এনে দিয়েছে। এর মধ্যে দুটি ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ কৌতুক অভিনেতার পুরস্কার অন্যতম। আসরানি দর্শকদের এমনভাবে হাসাতে পারতেন, যেখানে কোনও বিদ্বেষ বা তাচ্ছিল্য ছিল না, যা খুব কম অভিনেতাই করতে পেরেছেন। আসরানি এমন এক প্রজন্মের প্রতিনিধিত্ব করেছেন, যাঁরা সহজেই শিল্প ও বিনোদনের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করতে পারতেন এবং যাঁদের সৃষ্টি করা চরিত্রগুলি আজও স্মরণীয় হয়ে রয়েছে (Asrani)।

    শোক প্রকাশ প্রধানমন্ত্রীর

    আসরানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, “শ্রদ্ধেয় গোবর্ধন আসরানিজির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তিনি ছিলেন এক প্রতিভাবান বিনোদনশিল্পী এবং সত্যিকারের বহুমুখী শিল্পী, যিনি প্রজন্মের পর প্রজন্ম দর্শকদের আনন্দ দিয়েছেন।” তিনি আরও লিখেছেন, “তাঁর অবিস্মরণীয় অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি অসংখ্য মানুষের জীবনে আনন্দ ও হাসি এনেছেন (Comedy Legend)। ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অবদান চিরকাল শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণীয় থাকবে। তাঁর পরিবার ও ভক্তদের প্রতি আমার সমবেদনা। ওম শান্তি (Asrani)।”

  • Kalki 2898 AD: ৭ দিনে ৭০০ কোটি পার! বিশ্ব বক্স অফিসে নয়া নজির গড়ল ‘কল্কি’

    Kalki 2898 AD: ৭ দিনে ৭০০ কোটি পার! বিশ্ব বক্স অফিসে নয়া নজির গড়ল ‘কল্কি’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্ব বক্স অফিসে রেকর্ড গড়ল বলিউডের ‘কল্কি’  (Kalki 2898 AD)। গত ২৭ জুন রিলিজ করেছে কল্কি ২৮৯৮ এডি। ভারতীয় বক্স অফিসে ছবি রিলিজের প্রথম পাঁচ দিনেই প্রায় সাড়ে তিনশো কোটির দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েছিল এই সিনেমার আয়। আর এবার সিনেমা রিলিজের ৭ দিনের মধ্যেই বিশ্ব বক্স অফিসে (Box Office Collection) ৭০০ কোটির ও বেশি আয় করল প্রভাস ও দীপিকা পাডুকোন অভিনীত কল্কি ২৮৯৮ এডি। জানা গিয়েছে সারা বিশ্ব জুড়ে সমস্ত ভাষা মিলিয়ে এখনও অব্দি ৭২৫ কোটি টাকার ব্যবসা করেছে এই সিনেমা। সফল সপ্তাহান্তের পর কাজের দিনগুলিতেও আয়ের একটি স্থির গতি বজায় রেখেছে কল্কি।

    আরও পড়ুন: আরও বিপাকে অর্পিতা! নিয়োগ মামলায় ‘পার্থ ঘনিষ্ঠ’-কে জেরা করবে আয়কর দফতর

    কী জানাল সিনেমার প্রযোজক সংস্থা? (Kalki 2898 AD)

    এ প্রসঙ্গে এই সিনেমার প্রযোজক বৈজয়ন্তী মুভিজ জানিয়েছে যে, ছবিটি বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটির বেশি আয় (Box Office Collection) করেছে। আগুনের মধ্য দিয়ে হেঁটে যাওয়া দীপিকার চরিত্রের একটি পোস্টার শেয়ার করে, তারা লিখেছেন, “স্বপ্নের দৌড় অব্যাহত রয়েছে। এর জাদুটির সাক্ষী থাকুন।” একইসঙ্গে তারা একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিও শেয়ার করেছে। এই ছবির নির্মাতারা আশা করছেন কল্কি ১০০০ কোটি টাকার ব্যবসা ছাড়িয়ে যাবে।

    প্রশংসা কুড়িয়েছেন শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ও

    উল্লেখ্য, নাগ অশ্বিন পরিচালিত কল্কি (Kalki 2898 AD) একটি সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার। এই ছবিটি তেলুগু এবং হিন্দি ভাষা ছাড়াও তামিল, কন্নড় এবং মালায়লাম ভাষাতেও মুক্তি পেয়েছে। ভৈরবের চরিত্রে অভিনয় করেছেন প্রভাস। এছাড়াও অমিতাভ বচ্চন, দীপিকা পাডুকোন ও কমল হাসান যথাক্রমে অশ্বত্থামা, সুমতী এবং সুপ্রিম ইয়াসকিনের চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন । নেগেটিভ রোলে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছেন বাংলার অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ও৷ ভারতে এখনও পর্যন্ত এই ছবির মোট আয় ৩৪৩ কোটি ৬০ লাখ। জানা গিয়েছে, বাহুবলী এবং সালারের পরে কল্কি প্রভাসের চতুর্থ ফিল্ম, যা বিশ্বব্যাপী ৭০০ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করল৷

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mithun Chakraborty: শ্যুটিং চলাকালীনই স্ট্রোকে আক্রান্ত ‘বাঙালিবাবু’, আইসিইউতে ভর্তি মিঠুন

    Mithun Chakraborty: শ্যুটিং চলাকালীনই স্ট্রোকে আক্রান্ত ‘বাঙালিবাবু’, আইসিইউতে ভর্তি মিঠুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্যুটিং চলাকালীনই অসুস্থ হয়ে পড়লেন ‘বাঙালিবাবু’ মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)। শনিবার সকাল ১০টা নাগাদ হঠাৎই বুকে ব্যথা অনুভব করেন অভিনেতা। সঙ্গে সঙ্গে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। সেখানেই এমআরআই করানো হয়। তখনই জানা যায়, শ্যুটিং ফ্লোরে অ্যাকিউট স্ট্রোকে আক্রান্ত হন তিনি। হাসপাতাল সূত্রে খবর, শারীরিক অবস্থা অতি সঙ্কটজনক হওয়ায় আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে ‘অন্যায় অবিচারে’র নায়ককে। বাইপাসের একটি হাসপাতালের ১২৮ নম্বর বেডে ভর্তি রয়েছেন তিনি। স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ সঞ্জয় ভৌমিকের তত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বিজেপির তারকা নেতা বছর চুয়াত্তরের মিঠুন।

    ‘কাবুলিওয়ালা অসুস্থ’

    গত দুর্গাপুজোয় মুক্তি পেয়েছিল মিঠুনের ‘কাবুলিওয়ালা’। রবীন্দ্রনাথের কাহিনি অবলম্বনে তৈরি সেই ছবি ব্যাপক সমাদৃত হয়। তার পর ফের ছবি করতে এসেছিলেন কলকাতায়। অভিনেতা তথা তৃণমূল নেতা সোহম চক্রবর্তীর প্রযোজনায় ‘শাস্ত্রী’ ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। গত কয়েকদিন ধরে এই ছবিরই শ্যুটিং উপলক্ষে তিনি রয়েছেন কলকাতায়। এই ছবিতে তাঁর নায়িকা দেবশ্রী রায়। ছবির প্রধান আকর্ষণ মিঠুন-দেবশ্রী জুটি (Mithun Chakraborty)। শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, অনির্বাণ চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, কাঞ্চন মল্লিক, সৌরসেনী মৈত্র এবং অম্বরীশ ভট্টাচার্যের মতো অভিনেতারাও রয়েছেন ছবিটিতে। ছবিতে অভিনয় করবেন সোহম স্বয়ংও।

    ছবির গল্প

    দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে তৈরি এই ছবিতে জ্যোতিষচর্চা ও বিজ্ঞানের চিরন্তন দ্বন্দ্বকে তুলে ধরা হবে। এদিন অভিনয় চলাকালীন আচমকাই বুকে ব্যথা অনুভব করেন ‘কাবুলিওয়ালা’। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। গত বছরই মাকে হারিয়েছিলেন মিঠুন। দিন কয়েক আগে পদ্ম-পুরস্কার প্রাপকদের তালিকায় নাম উঠেছিল তাঁর। তার মধ্যেই ঘটে গেল বিপত্তি।

    আরও পড়ুুন: ‘রাতে বাড়িতে ঢুকছে পুলিশ, মেয়েদের গায়ে হাত তুলছে’, বিস্ফোরক বিজেপি নেত্রী

    লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি যে প্রচারকের তালিকা তৈরি করেছিল, তাতে নাম রয়েছে মিঠুনের। এক পদ্ম নেতা বলেন, “মিঠুনদার ফিটনেস অসাধারণ। বিধানসভা নির্বাচনে কার্যত দাপিয়ে বেড়িয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনে তাঁর থাকা মানেই কলিজার জোর বাড়ানোর টনিক। রাজনীতিবিদ হিসেবে শুধু নয়, একজন ভক্ত হিসেবেও চাই তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন এবং বাংলার মানুষকে সঠিক দিশা দেখান।” মিঠুনের আরোগ্য কামনা করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যও। তিনি বলেন, “তাঁর (মিঠুনের) দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি। মিঠুনদার অসুস্থতা খুব সিরিয়াস নয়। সামান্য অসুস্থতা এসেছে। খুব শীঘ্রই নিজের ঘরে ফিরে আসবেন তিনি (Mithun Chakraborty)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • 30 years of Roja: ৩০ বছরে পা ‘রোজা’-র, এখনও ভাটা পড়েনি জনপ্রিয়তায়

    30 years of Roja: ৩০ বছরে পা ‘রোজা’-র, এখনও ভাটা পড়েনি জনপ্রিয়তায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তামিলের সেরা দেশাত্মবোধক সিনেমাগুলোর মধ্যে একটি ছিল ‘রোজা’ (Roja)। চলতি বছরেই এই ছবি ৩০ বছর পূর্ণ করল। ১৯৯২ সালের ১৫ অগাস্ট ছবিটি বড়পর্দায় মুক্তি পেয়েছিল। ছবিটি একটি রোমান্টিক থ্রিলার এবং এতে অরবিন্দ স্বামী এবং মধু প্রধান ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। সে বছর স্বাধীনতা দিবসে এটি মুক্তি পেয়েছিল। মণি রত্নম পরিচালিত ‘রোজা’ ছবিটি দর্শকদের মনে এক অন্য জায়গা করে নিয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ৭৫ তম স্বাধীনতা দিবসে দেখে নিন বলিউডের ৫টি দেশাত্মবোধক ছবি

    এই সিনেমায় দেখানো প্রতিটি গল্প এখনও প্রাসঙ্গিক। তাই তো সিনেমা মুক্তির এত বছর কেটে গেলেও এর রেশ এখনও বর্তমান। ছবির গল্প, সিনেমাটোগ্রাফি, অরবিন্দ স্বামী ও মধুর অভিনয়ের পাশাপাশি কাশ্মীরের প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। পরিচালক খুব সুন্দরভাবে কাশ্মীরের রূপকে তাঁর ছবির মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন। শুধু তাই নয়, এই ছবির গানগুলোও সুপারহিট। সঙ্গীত রচয়িতা এ আর রহমান এই ছবির জন্য গানগুলোতে সুর দিয়েছিলেন। এইসব ছাড়াও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল যে মণি রত্নম যেভাবে কাশ্মীরের পরিস্থিতি সাধারণ গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন তা অসাধারণ। আর এই সিনেমা বিশেষ করে দেশপ্রেমকে ফোকাস করেই তৈরি করা হয়েছিল, তাই আজও দর্শকের কাছে এই সিনেমা অতুলনীয়।

    ‘রোজা’ ছিল প্রথম তামিল সিনেমা, যার মধ্যে দেশের রাজনীতি সম্পর্কে দেখানো হয়েছিল। আর এই ছবি থেকে অনুপ্রানিত হয়েই ‘বোম্বে’ এবং ‘দিল সে’ -এর মত  রাজনৈতিক সিনেমা তৈরি করা হয়। ছবিটি সমগ্র ভারতে ব্যাপক সাফল্য লাভ করেছিল। ছবিটি শুধুমাত্র তামিলনাড়ুতে নয়, উত্তর ভারতেও ব্যাপকভাবে হিট হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: স্বাধীনতা দিবসের দিন অবশ্যই দেখুন এই সিনেমাগুলি

    সিনেমাটি একাধিক আন্তর্জাতিক ও জাতীয় পুরস্কার পেয়েছে। সেরা পরিচালক হিসেবে মণি রত্নম পাঁচটি রাজ্য থেকে পুরস্কার পেয়েছেন।  সঙ্গীত রচয়িতা এ আর রহমানও পুরস্কার পেয়েছেন। ‘চিন্না চিন্না আসাই’- গানের জন্য শ্রেষ্ঠ প্লেব্যাক গায়ক হিসেবে মিনমিনি ও অভিনেত্রী মধু এই ছবির জন্য বিশেষ পুরস্কার পেয়েছেন। সেই বছর এই সিনেমাকে সেরা সিনেমা হিসেবেও পুরস্কৃত করা হয়।  

     

  • The Kashmir Files: “প্রশংসা না করে ওঁর উপায় ছিল না”, অক্ষয় কুমার প্রসঙ্গে কেন একথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    The Kashmir Files: “প্রশংসা না করে ওঁর উপায় ছিল না”, অক্ষয় কুমার প্রসঙ্গে কেন একথা বললেন বিবেক অগ্নিহোত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্চ মাসে মুক্তি পেয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রীর ছবি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)। কাশ্মীরের গণহত্যা এবং কাশ্মীরি পণ্ডিতদের (Kashmiri Pandits) ভিটে-মাটি হারানোর গল্প নিয়ে তৈরি এই ছবি সাড়া ফেলেছিল গোটা দেশে। ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন বলিউড (Bollywood) থেকে শুরু করে গোটা দেশ। প্রায় একই সময়ে মুক্তি পায় অক্ষয় কুমারের (Akshay Kumar) ‘বচ্চন পাণ্ডে’ (Bachchan Pandey)। কিন্তু বক্স অফিসে মুখ থুবরে পড়ে ‘খিলাড়ি’ কুমারের ছবি। কাশ্মীর ফাইলসের ঝড়ে উড়ে যায় অক্ষয়ের স্টারডম। এত কিছুর পরেও বিবেক অগ্নিহোত্রীর সিনেমার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন অক্ষয়। 

    এই ঘটনার পর কেটে গেছে প্রায় দুমাস। হঠাতই অক্ষয়ের প্রশংসা প্রসঙ্গে বিস্ফোরক মন্তব্য করে বসলেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri)। তিনি বলেন, ‘১০০ জন মানুষকে জিজ্ঞাসা করেছেন, আমার ছবি কেন চলছে, ওঁর ছবি কেন চলছে না বা আমার ছবি কেমন লেগেছে? সেই সময়ে প্রশংসা না করে ওঁর উপায় ছিল না। তাই নিরুপায় হয়ে অক্ষয় আমার ছবিকে ভালো বলেছেন। ভোপালের যে অনুষ্ঠানে তিনি প্রশংসা করেছেন, সেখানে আমিও উপস্থিত ছিলাম।’

    সম্প্রতি বিবেকের পোস্ট করা একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, যেখানে অক্ষয় একদিকে যেমন বিবেকের ছবির প্রশংসা করছিলেন অন্যদিকে আবার হেসে বলেন সেই ছবি তাঁর ছবিকে ডুবিয়ে দিল। সেই ভাইরাল ভিডিওর জেরে ওড়িশার এক মাল্টিপ্লেক্সে বন্ধ হয়ে গিয়েছিল বচ্চন পাণ্ডের স্ক্রিনিং। জোর করে বিক্ষোভ করে বন্ধ হয়েছিল অক্ষয়ের ছবি। কিন্তু তাঁর দুমাস পরে কেন অক্ষয়ের প্রতি তোপ দাগলেন পরিচালক? তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। 

    [tw]


    [/tw]

    ১৯৯০ সালে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে যেভাবে নির্মম অত্যাচার করে তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল সেই গল্প নিয়েই তৈরি সিনেমাটি। চিত্রনাট্য লিখেছেন ও পরিচালনা করেছেন বিবেক অগ্নিহোত্রী। ছবিতে অভিনয় করেছেন মিঠুন চক্রবর্তী, অনুপম খের, দর্শন কুমার, পল্লবী জোশিরা। সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার আগে থেকেই এই সিনেমা নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। অনেকেই সিনেমাটিকে ‘সাম্প্রদায়িক’ আখ্যা দিয়েছেন। আবার অনেকেই সিনেমাটিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে। আজ মুক্তি পাওয়ার দুমাস পরেও এই সিনেমা নিয়ে বিতর্ক অব্যহত। 

     

LinkedIn
Share