Tag: CM

CM

  • Assam: “রবিবারই শুরু মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান”, ঘোষণা হিমন্তর

    Assam: “রবিবারই শুরু মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান”, ঘোষণা হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাত পোহালেই ৯ নভেম্বর। এদিন থেকেই ফের শুরু হবে অসমের (Assam) বনভূমিতে বাংলাদেশি মিঞা মুসলমানদের বেআইনি দখলদারি উচ্ছেদ অভিযান (Eviction Drives)। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ খবর জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্বয়ং। তিনি বলেন, “কিছু মানুষ জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের মৃত্যুর আবেগকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে অসমে নেপালের মতো অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। তাদের ধারণা ছিল, এভাবে সরকারকে চাপের মুখে ফেলে উচ্ছেদ অভিযান থামানো যাবে। কিন্তু দুঃখিত, আমি আপনাদের সেই আশা পূরণ করতে পারিনি। ৯ নভেম্বর থেকে গোয়ালপাড়া জেলার দোহিকোটা সংরক্ষিত বনে ফের শুরু হবে উচ্ছেদ অভিযান।”

    দখলদার উচ্ছেদ অভিযান (Assam)

    জানা গিয়েছে, বনবিভাগ জেলা প্রশাসন ও পুলিশের সহযোগিতায় দোহিকোটা সংরক্ষিত বনে ১ হাজার ১৪৩ বিঘে বনভূমি থেকে দখলদার উচ্ছেদ অভিযান শুরু করবে। ৯ নভেম্বরের আগেই বনভূমি খালি করার নির্দেশ দিয়ে ৩০০-রও বেশি বাংলাদেশি মুসলিম পরিবারকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশ পাওয়ার পর বহু অবৈধ দখলদার বনভূমি ছেড়ে চলে গিয়েছে। দোহিকোটা সংরক্ষিত বনাঞ্চলটি হাতির বাসস্থান হলেও, অবৈধ দখলদারির জেরে ব্যাঘাত ঘটছে হাতির জীবনযাত্রার। তাই গোয়ালপাড়া জেলায় মানুষ–হাতি সংঘাত বাড়ছে দ্রুত।

    অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা

    প্রসঙ্গত, গায়ক জুবিন গর্গের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর অসমে একদল মানুষ অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করছিল। গায়কের অকাল প্রয়াণের বিচার দাবি করার নামে ওই গোষ্ঠী রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করেছিল। ১৫ অক্টোবর বকসা জেলা জেলের সামনে পুলিশ ও সংবাদ মাধ্যমের ওপর ব্যাপক হামলা হয় (Assam)। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় যানবাহনে (Eviction Drives)। ওই ঘটনায় ২৫ জনেরও বেশি মানুষ জখম হন। পরে জানা যায়, এই হিংসার উসকানি দেওয়া হয়েছিল বেঙ্গালুরু থেকে পরিচালিত একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। ঘটনার পর পুলিশ ১১ জন দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ৯ জনই মুসলমান, বাকিরাও স্থানীয় নয় (Assam)।

  • BJP: বিশ্বকাপজয়ী ভারতের মহিলা দলকে অভিনন্দন মমতার, ‘‘ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন’’! মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির

    BJP: বিশ্বকাপজয়ী ভারতের মহিলা দলকে অভিনন্দন মমতার, ‘‘ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন’’! মুখ্যমন্ত্রীকে খোঁচা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাত সাড়ে ১২টায় কীভাবে বাইরে বেরলো?” দুর্গাপুরে মেডিক্যাল পড়ুয়া ছাত্রী ধর্ষণকাণ্ডের পর এমনই মন্তব্য করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মহিলা এই মুখ্যমন্ত্রী মহিলাদের রাত ৮টার (BJP) মধ্যেই ঘরে ‘সেঁধিয়ে’ যাওয়ার পরামর্শও দিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি করেছিলেন। সেই তিনিই এবার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মহিলাদের একদিনের ক্রিকেটে প্রথমবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়া ভারতীয় দলকে।

    মহিলা ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বকাপ জয় ভারতের (BJP)

    রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মহিলা ওয়ান ডে ক্রিকেটে বিশ্বকাপের ফাইনালে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নেয় ভারত। প্রথমে ব্যাট করে ২৯৮ রান তোলে হরমনপ্রীত কৌরের নেতৃত্বাধীন ভারত। পাল্টা ব্যাট করতে নেমে ২৪৬ রানে সব উইকেট হারিয়ে গোহারা হারে দক্ষিণ আফ্রিকা। রাত ১২টার কিছু পরে বিশ্বকাপ ওঠে ভারতের মহিলা ক্রিকেট দলের হাতে। তার পরেই দেশজুড়ে শুভেচ্ছার বন্যায় ভেসে যান ভারতীয় ক্রিকেট দলের মহিলা সদস্যরা। এই টিম ইন্ডিয়াকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ সমাজের বিভিন্ন জগতের মানুষ। এই তালিকায় রয়েছেন মমতাও। তার পরেই কার্যত তাঁকে ধুয়ে দিল বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য তুলে ধরেই তাঁর অভিনন্দন-বার্তাকে খোঁচা দিয়েছে পদ্মশিবির।

    মুখ্যমন্ত্রীর অভিনন্দন-বার্তায় খোঁচা বিজেপির

    ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট টিমকে অভিনন্দন জানাতে গিয়ে এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “আজ, গোটা দেশ উইমেন ইন ব্লু-র বিশ্বকাপ ফাইনালের কৃতিত্বের জন্য গর্বিত। টুর্নামেন্টজুড়ে তাঁরা যে লড়াই এবং যে কর্তৃত্ব দেখিয়েছেন, তা তরুণীদের প্রজন্মে অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। আপনারা প্রমাণ করেছন যে আপনারা শীর্ষ স্তরে একটি বিশ্বমানের দল এবং আপনারা আমাদের কিছু অসাধারণ মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন। আপনারা আমাদের নায়ক। ভবিষ্যতে আপনাদের জন্য আরও বড় সাফল্য অপেক্ষা করে রয়েছে। আমরা (Mamata Banerjee) আপনাদের সঙ্গে রয়েছি।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রীর এহেন বক্তব্য তুলে ধরেই এক্স হ্যান্ডেলে তাঁকে খোঁচা দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি (BJP)। “ওএমজি (ও মাই গড) ওঁরা ১২টা পর্যন্ত খেলছিলেন! কিন্তু আপনি তো ৮টার মধ্যেই বাড়ি ঢুকে যেতে বলেছেন।”

    মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরকাণ্ডের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, “ওটি একটি প্রাইভেট কলেজ। মেয়েটির নিরাপত্তার দায়িত্ব তো সেই প্রাইভেট কলেজেরই। রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ মেয়েটি কীভাবে ক্যাম্পাসের বাইরে গেল? জঙ্গল এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে বলে শুনেছি। কী হয়েছে, জানি না। পুলিশ খতিয়ে দেখছে। প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজগুলির উচিত নিরাপত্তা আরও জোরদার করা। বিশেষ করে ছাত্রীদের নিরাপত্তা আরও জোরদার করা উচিত। রাতে তাদের বাইরে বেরোতে দেওয়া উচিত নয়। পুলিশ কীভাবে জানবে রাতে কে কখন বেরোবে? বিভিন্ন রাজ্যের ছেলেমেয়েদের অনুরোধ করব রাতে তারা যেন না বেরোয়। প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজেরও একটা দায়িত্ব রয়েছে। কেউ যদি রাত সাড়ে ১২টায় কোথাও যায়, পুলিশ তো আর তাদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে বসে থাকবে না (BJP)।”

    একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্যের পুলিশমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের জেরে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গবাসী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এমন মন্তব্য করা মুখ্যমন্ত্রীই কিনা এখন রাত ১২টা পর্যন্ত খেলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া মহিলা ক্রিকেট দলকে ‘শুভনন্দন’ (শুভ অভিনন্দন না বলে এই শব্দটি ব্যবহার (Mamata Banerjee) করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। যদিও শব্দটি কোনও অভিধানেই নেই।) জানাচ্ছেন (BJP)!

    ভূতের মুখে রাম নাম!

  • Odisha: ওড়িশায় রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    Odisha: ওড়িশায় রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন, কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উন্নত ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের একটি কেন্দ্র হিসেবে আত্মপ্রকাশের পথে পদক্ষেপ করল ওড়িশা (Odisha)। ১ নভেম্বর ভুবনেশ্বরের জাতনি এলাকার ইনফো ভ্যালিতে স্থাপন করা হয়েছে রাজ্যের প্রথম কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর প্রকল্পের (CM Majhi) ভিত্তিপ্রস্তর। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ইলেকট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি এবং ওড়িশার তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মুকেশ মাহলিং।

    কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৫ হাজার (Odisha)

    কেন্দ্রটি নির্মাণ করবে সিকসেম (SiCSem) প্রাইভেট লিমিটেড। এটি হবে ওড়িশার শিল্প ও প্রযুক্তি খাতের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক। ২ হাজার ৬৭ কোটি টাকার বিনিয়োগে গড়ে ওঠা এই প্রকল্পটিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কর্মসংস্থান হবে প্রায় ৫ হাজার জনের। এটি রাজ্যের হাই-টেক ম্যানুফ্যাকচারিং সেক্টরকে উল্লেখযোগ্যভাবে এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই ধারণা বিশেষজ্ঞদের।

    মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    অনুষ্ঠানে ভাষণ দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মোহন চরণ মাজি প্রকল্পটিকে ওড়িশার জন্য একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “আজ আমাদের রাজ্যের জন্য এক গৌরবময় দিন। আমরা উন্নত ইলেকট্রনিক্স ও সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদনের একটি প্রধান কেন্দ্র হয়ে ওঠার দিকে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিলাম। ইনফো ভ্যালিতে সিকসেম প্রাইভেট লিমিটেডের কম্পাউন্ড সেমিকন্ডাক্টর ফেসিলিটির ভূমিপুজো আমাদের আত্মনির্ভর ভারতের দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন। এটি ওড়িশার এগিয়ে চলার নীতি, বিশ্বমানের পরিকাঠামো এবং দ্রুত বর্ধনশীল উদ্ভাবন পরিবেশের পরিচায়ক (Odisha)।” তিনি বলেন, “সেমিকন্ডাক্টর ইউনিটটি ওড়িশার সেই বৃহত্তর কৌশলের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যার লক্ষ্য হল ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত শিল্প, যেমন, ইলেকট্রনিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং উদীয়মান প্রযুক্তির বিকাশ।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “উদ্ভাবন-চালিত শিল্পকে উৎসাহিত করে এবং উচ্চ-প্রযুক্তি খাতের জন্য শক্তিশালী নীতি দিয়ে সাহায্য করে ওড়িশাকে ভারতের অন্যতম বিনিয়োগবান্ধব গন্তব্য হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”

    নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত

    তিনি বলেন, “এই প্রকল্পটি ওড়িশার জন্য একটি বড় পাওয়া। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে ভারত আর প্রযুক্তিগত অগ্রগতিতে কোনও দেশের থেকে পিছিয়ে নেই। প্রগতিশীল নীতি, আধুনিক পরিকাঠামো এবং দক্ষতাভিত্তিক প্রবৃদ্ধির মাধ্যমে আমরা একটি শক্তিশালী, আত্মনির্ভরশীল ও প্রযুক্তিনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তুলছি।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “ভারত সরকারের অবিচল সমর্থন এবং আমাদের শিল্প অংশীদারদের সহযোগিতায়, ওডিশা ভারতের পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নগাঁথায় অবদান রাখতে থাকবে — উদ্ভাবন, কর্মসংস্থান এবং সমৃদ্ধিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে একটি ‘সমৃদ্ধ ওডিশা’ এবং ‘বিকশিত ভারত’-এর লক্ষ্যে (CM Majhi)।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ডাবল-ইঞ্জিন সরকার রেল, সড়ক, ইলেকট্রনিক্স, টেলিকম এবং সেমিকন্ডাক্টর-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ওড়িশায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। আইআইটি ভুবনেশ্বরে একটি অত্যাধুনিক সেমিকন্ডাক্টর গবেষণাগারও স্থাপন করা হবে।”

    প্রসঙ্গত, ভারত সেমিকন্ডাক্টর মিশনের (ISM) অনুমোদনে নির্মাণাধীন যৌগিক সেমিকন্ডাক্টর ফ্যাব্রিকেশন সুবিধাটি বছরে ৬০ হাজার ওয়েফার উৎপাদন সক্ষমতা এবং ৯৬ মিলিয়ন ইউনিট প্যাকেজিং ক্ষমতা নিয়ে গড়ে উঠবে। এই ইউনিটে বৈদ্যুতিক যানবাহন, প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, রেলওয়ে এবং পুনর্নবীকরণ শক্তি প্রযুক্তিতে ব্যবহৃত জরুরি উপাদানগুলি তৈরি করা হবে (Odisha)।

    প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারত সেমিকন্ডাক্টর উপাদানের জন্য ব্যাপকভাবে নির্ভর করে চিন, তাইওয়ান, দক্ষিণ কোরিয়া এবং সিঙ্গাপুরের মতো দেশের ওপর। ভুবনেশ্বরে এই প্রকল্পটি গড়ে উঠলে একদিকে যেমন কমবে আমদানিনির্ভরতা, বাড়বে দেশীয় উৎপাদন ক্ষমতা, তেমনি মেক ইন ইন্ডিয়া ও ডিজিটাল ইন্ডিয়া মিশনের অধীনে ভারতের সেমিকন্ডাক্টর উৎপাদন ইকোসিস্টেম আরও শক্তিশালী (CM Majhi) হবে বলেই আশা বিশেষজ্ঞদের। কর্তৃপক্ষের মতে, প্রকল্পটি শুধু ওড়িশার প্রযুক্তিগত সক্ষমতাই বাড়াবে না, বরং ভারতকে বৈশ্বিক সেমিকন্ডাক্টর কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এটি দেশের আত্মনির্ভরতা বৃদ্ধি এবং মজবুত শিল্পোন্নয়নেও সহায়তা করবে।

  • Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    Himanta Biswa Sarma: “কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ পাকিস্তানের এজেন্ট”, বিস্ফোরক অসমের মুখ্যমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস সাংসদ তথা লোকসভার ডেপুটি বিরোধী দলনেতা গৌরব গগৈ (Gaurav Gogoi) পাকিস্তানের এজেন্ট।” অন্তত এমনই গুরুতর অভিযোগ তুললেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা (Himanta Biswa Sarma)। একটি অনুষ্ঠানের ফাঁকে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “গৌরব গগৈ একজন পাকিস্তানি এজেন্ট। তিনি সম্পূর্ণরূপে পাকিস্তানের এজেন্ট। তাঁর সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করুন। গৌরব গগৈ পাকিস্তান ও আইএসআইয়ের নিযুক্ত চর। হ্যাঁ, আমি এ কথা বলছি একজন মুখ্যমন্ত্রী হিসেবেই।”

    অভিযোগের প্রমাণও রয়েছে (Himanta Biswa Sarma)

    তিনি জানান, তাঁর কাছে এই অভিযোগের পুঙ্খানুপুঙ্খ প্রমাণও রয়েছে। এটি যে কোনও নির্বাচনী ইস্যু নয়, তাও জানিয়ে দেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমার মন্তব্যের পক্ষে সমস্ত প্রমাণ রয়েছে। আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। যেদিন আমি তা প্রকাশ করব, সেদিন মানুষ বুঝতে পারবেন যে তিনি পাকিস্তানের এজেন্ট। বিদেশি শক্তি তাঁকে ভারতে নিয়োগ করেছে। আমি সব কথা প্রমাণ-সহই বলছি।” হিমন্ত বলেন, “২০২৬ সালে নির্বাচন রয়েছে। তা না হলে আমি কঠোর ব্যবস্থা নিতাম। কিন্তু এখন এমন ব্যবস্থা নিলে বিরোধীরা বলবেন, এটি নির্বাচনী ইস্যু। নইলে ওই সব প্রমাণের ভিত্তিতে তিনি এখন জেলেই থাকতেন।”

    রিপোর্ট জমা দিয়েছে

    প্রসঙ্গত, (Himanta Biswa Sarma) কংগ্রেস সাংসদ গৌরব গগৈ ও তাঁর ব্রিটিশ স্ত্রী এলিজাবেথ কোলবার্নের সঙ্গে পাকিস্তানের আইএসআই-ঘনিষ্ঠ এক নাগরিকের সম্পর্ক রয়েছে বলে অভিযোগ। সেই অভিযোগের তদন্ত করতে যে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করেছিল অসম সরকার, তারা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে রিপোর্ট জমা দিয়েছে ১০ সেপ্টেম্বর। মুখ্যমন্ত্রী জানান, সিটের রিপোর্টে পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য উন্মোচন করা হয়েছে। তিনি (Himanta Biswa Sarma) বলেন, “চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি অসম মন্ত্রিসভা পাক নাগরিক আলি তওকির শেখ ও তার সহযোগীদের ভারত–বিরোধী কার্যকলাপ তদন্তের জন্য সিট গঠন করেছিল (Gaurav Gogoi)। এই তদন্তেই সিট এমন চমকপ্রদ তথ্য উদ্ঘাটন করেছে, যা আমাদের দেশের সার্বভৌমত্বকে দুর্বল করার উদ্দেশ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে।”

  • Assam: কংগ্রেসের বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের নির্দেশ হিমন্তের

    Assam: কংগ্রেসের বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়েরের নির্দেশ হিমন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের দলীয় বৈঠকে নেতারা গাইলেন বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত (National Anthem) ‘আমার সোনার বাংলা’। ঘটনায় তোলপাড় অসমের (Assam) রাজনীতি। এবার এই ঘটনায় জড়িত শ্রীভূমি জেলার কংগ্রেস নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্বশর্মা।

    হিমন্ত বিশ্বশর্মার বক্তব্য (Assam)

    সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই ঘটনা ভারতের প্রতি এবং ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের প্রতি এক প্রকাশ্য অসম্মান। বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে কংগ্রেস আসলে বাংলাদেশে কিছু মানুষের সেই ধারণাকেই সমর্থন করছে, যে ভারতের সমগ্র উত্তর-পূর্বাঞ্চল নাকি তাদের দেশের অংশ।” মুখ্যমন্ত্রী জানান, তিনি পুলিশকে সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের এবং গ্রেফতার করার নির্দেশ দিয়েছেন। শ্রীভূমি শহরে কংগ্রেসের সেবা দলের বৈঠক হয় মঙ্গলবার। বৈঠকের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেখানে দেখা যায় বছর পঁচাশির এক ব্যক্তি গানটির দু’টি লাইন গাইছেন। ভিডিওতে এও দেখা গিয়েছে, গায়ক দাঁড়িয়ে গান করলেও, অন্যান্যরা সবাই বসে ছিলেন। গানটি রচনা করেছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। ভারতের জাতীয় সঙ্গীতের রচয়িতাও তিনিই।

    কী বলল কংগ্রেস

    কংগ্রেসের (Assam) অভিযোগ, বিজেপি মানুষকে ভুল পথে চালিত করতে অযথা বিতর্কের সৃষ্টি করছে। শ্রীভূমি জেলা কংগ্রেসের সভাপতি তাপস পুরকায়স্থ বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নিয়ে রাজনীতি করবেন না। আমাদের পঁচাশি বছর বয়সী কবি বিধুভূষণ দাস গানটির মাত্র দু’টি লাইন গেয়েছেন।” তাঁর দাবি, গানটিকে অপমান করা মানে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অপমান করা। অসমের কংগ্রেস সভাপতি গৌরব গগৈ বলেন, “বিজেপি ইচ্ছাকৃতভাবে পরিস্থিতিকে রাজনৈতিক রূপ দিচ্ছে এবং গানটির পেছনের সাংস্কৃতিক ও ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটকে উপেক্ষা করছে।” তিনি বলেন, “বিজেপি বাংলা সংস্কৃতির প্রতি সম্মান প্রদর্শনের দাবি করলেও তাদের আচরণ বারবার বাংলা ভাষা ও বাঙালি জনগণের প্রতি অপমানজনক হয়ে উঠেছে।”

    গৌরবের (Assam) বক্তব্যের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস সভাপতির উচিত ছিল দলীয় নেতাদের পক্ষ নেওয়ার বদলে তাঁদের তৎক্ষণাৎ বহিষ্কার করা। কারণ তাঁরা বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন।” তিনি বলেন, “এটি পাকিস্তান সরকারের একটি পরিকল্পনা। কয়েক দিন আগে (National Anthem) পাকিস্তান মহম্মদ ইউনূসকে একটি উপহার দিয়েছে, যেখানে ত্রিপুরা ও অসমকে বাংলাদেশের অংশ হিসেবে দেখানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “এই কংগ্রেস পাকিস্তান ও বাংলাদেশের ‘ডট ডট’ দল। খারাপ শব্দটি আমি বলতে চাই না।”

  • Tiwari Commission Repot: প্রকাশ্যে আসতে চলেছে নেল্লি গণহত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    Tiwari Commission Repot: প্রকাশ্যে আসতে চলেছে নেল্লি গণহত্যাকাণ্ডের রিপোর্ট, ঘোষণা হিমন্ত বিশ্বশর্মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৮৩ সালে ঘটেছিল নেল্লি  গণহত্যাকাণ্ড। এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করতে গঠিত হয় তিওয়ারি কমিশন। ১৯৮৫ সালে রিপোর্টও (Tiwari Commission Repot) দেয় কমিশন। তার পর থেকে প্রায় চার দশক পার হয়ে গেলেও, প্রকাশ্যে আসেনি ওই রিপোর্ট। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে এই রিপোর্ট পেশ করার কথা ঘোষণা করল অসমের হিমন্ত বিশ্বশর্মার সরকার। অসমবাসী জানতে পারবেন বর্তমান নগাঁও জেলার এই নৃশংস গণহত্যার প্রকৃত সত্য।

    মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা (Tiwari Commission Repot)

    সাংবাদিক সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১৯৮৩ সালে নেল্লিতে একটি ভয়াবহ গণহত্যা ঘটেছিল। সেই সময় রাজ্য সরকার একটি কমিশন গঠন করেছিল, নাম ছিল তিওয়ারি কমিশন। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেই কমিশনের রিপোর্ট কখনও রাজ্য বিধানসভায় উপস্থাপন করা হয়নি। আসন্ন ২৫ নভেম্বরের বিধানসভার অধিবেশনে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে ১৯৮৩ সালের নেল্লি গণহত্যার প্রেক্ষিতে গঠিত তিওয়ারি কমিশনের রিপোর্ট পেশ করব।” তিনি বলেন, “এটি অসমের ইতিহাসের একটি অংশ, যা পরে বিভিন্নভাবে বিজ্ঞানী, ইতিহাসবিদ এবং সমাজবিজ্ঞানীরা স্টাডি এবং বিশ্লেষণ করেছেন। তাই এই রিপোর্ট প্রকাশ করা হলে অন্তত মানুষ সেই সময়ে কী ঘটেছিল, তার সঠিক তথ্য জানতে পারবেন।”

    নেল্লি হত্যাকাণ্ড

    ১৯৮৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি অসমের মধ্যাঞ্চলের নেল্লি এলাকায় এবং তার আশপাশে ঘটেছিল নেল্লি হত্যাকাণ্ড। এই সময় অসম আন্দোলন বা বিদেশি বিরোধী আন্দোলন ছিল চূড়ান্ত পর্যায়ে। এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছিলেন ২ হাজার থেকে ৩ হাজার মানুষ। সেই সময় এলাকার শয়ে শয়ে আদিবাসী বাঙালি মুসলমানদের বসতিতে আক্রমণ চালিয়েছিল। দা, বর্শা ও লাঠি হাতে নিয়ে উন্মত্ত জনতা তাদের ঘরবাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল, অবরোধ করেছিল রাস্তা, যারা প্রাণ বাঁচাতে পালানোর চেষ্টা করেছিল, তাদের নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিল। মৃতদের অধিকাংশই ছিলেন নারী ও শিশু। সরকারি হিসেব অনুযায়ী, মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৮১৯ জন। এর মধ্যে ১ হাজার ৩২৭ জন নারী এবং ২৫৩ জন শিশু। যদিও মানবাধিকার সংগঠন এবং গবেষকদের মতে, প্রকৃত মৃতের সংখ্যা এই হিসেবের তুলনায় অনেক বেশি। অভিযোগ, পুলিশ পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পারেনি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে সিআরপিএফ পৌঁছনোর পর (Tiwari Commission Repot)।

    আন্দোলনকারীদের দাবি

    অসমের ১৪টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১২টিই শূন্য ছিল ১৯৮০ সাল থেকে। বিদেশি-বিরোধী আন্দোলনের জেরে ১৯৮২ সালে ভেঙে দেওয়া হয় বিধানসভাও। পরের বছর ৬ জানুয়ারি ঘোষণা করা হয় চার দফায় হবে বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচন। এই নির্বাচন বয়কট করেন অসম আন্দোলনের সমর্থকরা। তা সত্ত্বেও হিংসা ও বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির মধ্যেই ভোট হয়। জয়ী হয় কংগ্রেস। হিতেশ্বর সইকিয়ার নেতৃত্বে সরকার গঠন করে সোনিয়া গান্ধীর দল। অসম আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিল অল অসম স্টুডেন্টস ইউনিয়ন সংক্ষেপে, আসু। আন্দোলনকারীদের দাবি ছিল, বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসীদের শনাক্ত ও বহিষ্কার করা হোক। তাদের নাম মুছে ফেলা হোক ভোটার তালিকা থেকে। আন্দোলনকারীদের আশঙ্কা ছিল, বাংলাদেশের মানুষের অবাধ অনুপ্রবেশের জেরে বদলে যাবে অসমের জনসংখ্যাগত কাঠামো (Tiwari Commission Repot)।

    কাঠগড়ায় কংগ্রেস

    নেল্লি হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধান করতে হিতেশ্বর সইকিয়ার নেতৃত্বাধীন অসমের কংগ্রেস সরকার তৎকালীন আইএএস কর্তা ত্রিভুবন প্রসাদ তিওয়ারির নেতৃত্বে তিওয়ারি কমিশন গঠন করে। এই কমিশন ১৯৮৪ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিতেশ্বর সইকিয়ার কাছে ৬০০ পৃষ্ঠার একটি রিপোর্ট পেশ করে। যদিও কোনও এক অজ্ঞাত কারণে আজও এই রিপোর্ট পেশ করা হয়নি বিধানসভায়। রিপোর্টে বলা হয়, সরকারের নথিপত্রে মাত্র তিনটি শ্রেণিবদ্ধ (classified) কপি সংরক্ষিত রয়েছে (Tiwari Commission Repot)। গত চার দশকে রিপোর্টটি কেন প্রকাশ করা হয়নি, তা অজানাই রয়ে গিয়েছে। অনেকে কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছেন ইচ্ছাকৃতভাবে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ায়।

    কেন প্রকাশ করা হয়নি রিপোর্ট

    যদিও বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, রিপোর্টটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি। তাই প্রকাশ করা হয়নি। তিনি বলেন, “অসম সরকারের কাছে থাকা ৬০০ পৃষ্ঠার তিওয়ারি কমিশন রিপোর্টের কপিগুলিতে কমিশনের প্রধান অবসরপ্রাপ্ত আইএএস কর্মকর্তা ত্রিভুবন প্রসাদ তিওয়ারির সই ছিল না। তাই প্রতিবেদনটি আসল কি না, এ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়।” মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা তখনকার বিভিন্ন কেরানির সাক্ষাৎকার নিয়েছি, ফরেনসিক পরীক্ষাও করেছি এবং রিপোর্টটি সত্য বলে জানতে পেরেছি। আগের বিভিন্ন সরকার রিপোর্ট প্রকাশ করার সাহস দেখায়নি। কিন্তু কোনও না কোনও সরকারকে এটি প্রকাশ করতেই হত। কারণ এটি আমাদের ইতিহাসের একটি অধ্যায় (Tiwari Commission Repot)।”

  • Durgapur Gangrape: “সর্বস্তরে চাপ সৃষ্টি করা হবে”, দুর্গাপুরের নির্যাতিতার পরিবারকে আশ্বাস ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর

    Durgapur Gangrape: “সর্বস্তরে চাপ সৃষ্টি করা হবে”, দুর্গাপুরের নির্যাতিতার পরিবারকে আশ্বাস ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চিন্তা করবেন না। ওড়িশা সরকার আপনাদের পাশে আছে। আমরা সবরকমভাবে সাহায্য করব। ধৈর্য রাখুন, সাহস হারাবেন না।” সোমবার ফোনে দুর্গাপুর গণধর্ষণকাণ্ডে (Durgapur Gangrape) নির্যাতিতার পরিবারকে এই বার্তাই দিলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী (Odisha CM) বিজেপির মোহন চরণ মাঝি। বিরোধীদের দাবি, ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নির্যাতিতার পরিবারকে পাশে থাকার আশ্বাস দিলেও, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেননি। উল্টে তিনি ঘটনার দায় চাপিয়েছেন ওই বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ঘাড়ে।

    দুর্গাপুরে ওড়িশা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন

    সোমবারই দুর্গাপুরে গিয়ে নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন ওড়িশা মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন শোভনা মোহান্তি। তখনই ফোনে নির্যাতিতা ও তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। মেডিক্যাল কলেজের ওই নির্যাতিতা (Durgapur Gangrape) ছাত্রীর দ্রুত আরোগ্য কামনা করে তিনি বলেন, “তোমার পড়াশোনা যেন কোনওভাবে বন্ধ না হয়, তার জন্য সব ব্যবস্থা করা হবে।” অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলতে সর্বস্তরে চাপ সৃষ্টি করা হবে।”

    ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস

    জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কলেজ পরিবর্তনের আবেদন জানিয়েছেন। তিনি চান, ওড়িশার কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলজে স্থানান্তরিত হতে। প্রত্যুত্তরে মোহন তাঁকে বলেন, “আপনি বেসরকারি কলেজের ছাত্রী, তাই নিয়মকানুন দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।” তরুণীর মাকে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, এই নৃশংস অপরাধের জন্য দোষীদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হবে। ওড়িশা সরকার ন্যায়বিচার আদায়ের জন্য সব দিক থেকে চাপ সৃষ্টি করবে (Odisha CM)। নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, ওড়িশা মহিলা কমিশনের প্রধান যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিষয়টি নিয়মিতভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, সে-ই নির্দেশও দেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী। আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার সুনীল চৌধুরী জানান, নির্যাতিতার (Durgapur Gangrape)পরিবারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। প্রয়োজনে তাঁদের নিরাপত্তার ব্যবস্থাও করা হবে। তিনি নিজে নির্যাতিতার বাবার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেছেন, আশ্বাস দিয়েছেন পূর্ণ সহযোগিতার।

    হাসপাতালে ঢুকতে বাধা মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের

    এদিকে, দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন নির্যাতিতা। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য নিতে গিয়েছিলেন ওড়িশার মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। কিন্তু হাসপাতালে ঢোকার ক্ষেত্রে তাঁদের বাধার মুখে পড়তে হয়। বাধা দেন হাসপাতালের (Odisha CM) কর্মীরাই। মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের আটকে দেওয়া হয় হাসপাতালের বাইরে ব্যারিকেডেই (Durgapur Gangrape)। হাসপাতালের তরফে তাঁদের জানানো হয়, ভেতরে রাজ্যপাল রয়েছেন। তাই তাঁদের বাইরেই অপেক্ষা করতে হবে। কিন্তু এত বড় একটা হাসপাতালে কেন ভিন রাজ্য থেকে আসা প্রতিনিধিদলের সদস্যদের ভেতরে পর্যন্ত ঢুকতে দেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বেশ খানিকক্ষণ রাস্তায়ই দাঁড়িয়ে থাকতে হয় ওড়িশার ওই প্রতিনিধিদের। ওড়িশা মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দলের এক সদস্য বলেন, “আমার এলাকার মেয়ে, আমার রাজ্যের মেয়ে, তার সঙ্গে এমনটা হয়েছে। আমরা বাইরে দাঁড়িয়েই অপেক্ষা করব।”

    দুর্গাপুরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও

    এদিকে, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। ঘটনায় উদ্বেগপ্রকাশ করেন তিনি। দুর্গাপুর যাওয়ার আগে রাজ্যপাল সাংবাদিকদের জানান, আগে তিনি নির্যাতিতার (Durgapur Gangrape) সঙ্গে কথা বলবেন। তিনি আক্রান্ত এবং তাঁর বাবা-মায়ের পরিস্থিতি বুঝতে পারছেন। যারা এ কাজ করেছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও জানান তিনি। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে কিনা, এ প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যপাল জানান, আগে তিনি ওই মেডিক্যাল ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন (Odisha CM)। তাঁর কাছ থেকে পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করবেন। এই ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই পাঁচজনের বিরুদ্ধেই দায়ের হয়েছিল অভিযোগ। ঘটনায় তৃণমূল যোগের তত্ত্বও খাড়া করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবি, মূল অভিযুক্ত তৃণমূলের ক্যাডার। তাঁর বাবা দলের পদাধিকারী। শুভেন্দুর কথায়, “আজ (সোমবার) যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি দুর্গাপুর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী, তৃণমূলের ক্যাডার। ওঁর বাবা পার্টির পোর্টফোলিও হোল্ডার। এই গণধর্ষণের সঙ্গে সরাসরি তৃণমূল কংগ্রেসের পদাধিকারী জড়িত। শাসক যেখানে শোষক, সেখানে আইনের শাসন ও বিচার পাওয়ার কোনও জায়গা নেই।”

    প্রসঙ্গত, দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের নির্যাতিতা ওড়িশার ওই ছাত্রীর অভিযোগ, শুক্রবার রাতে ক্যাম্পাসের বাইরে বেরিয়ে তিনি গণধর্ষণের শিকার হন (Odisha CM)। ঘটনায় পুলিশ ইতিমধ্যেই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। আটক করা হয়েছে ওই তরুণীর সহপাঠীকেও (Durgapur Gangrape)।

  • Karnataka: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু কর্নাটক কংগ্রেসে

    Karnataka: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু কর্নাটক কংগ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু হয়েছে কর্নাটক (Karnataka) কংগ্রেসে। মাত্র চার মাসের মধ্যে মাণ্ড্য জেলার এক প্রাক্তন সাংসদ ও তিনজন বর্তমান বিধায়ক-সহ দলের চার নেতাকে প্রকাশ্যে উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    নোটিশে অভিযোগ (Karnataka)

    দলের শৃঙ্খলা কমিটির পাঠানো ওই নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাঁরা দলকে বিব্রত করেছেন এবং কংগ্রেসের হাইকমান্ডের নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাস থেকে প্রতি মাসেই অন্তত একজন বা দু’জন কংগ্রেস সাংসদ প্রকাশ্যে বলেছেন যে, সিদ্দারামাইয়ার বদলে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক, অথবা বছরের শেষের আগে তাঁকে সেই পদে উন্নীত করা হবে। এতে দলীয় ঐক্যে ফাটল চওড়া হয়েছে। যদিও সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার নিজেরাই বারবার কোনও ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

    শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় যাঁরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে পড়েছেন, তাঁরা হলেন কুনিগালের বিধায়ক এইচডি রঙ্গনাথ এবং মাণ্ড্যর প্রাক্তন সাংসদ এলআর শিবরাম গৌড়া। এর আগেও মাত্র কয়েক মাস আগে চন্নাগিরির বিধায়ক শিবগঙ্গা ভি বাসবরাজ এবং রামনগরার বিধায়ক ইকবাল হুসেনকে একই ধরনের মন্তব্য করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ১ জুলাই শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রামনগরার কংগ্রেস বিধায়ক ইকবাল হুসেন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, সিদ্দারামাইয়া ইতিমধ্যেই পাঁচ বছর এবং আরও আড়াই বছর – মোট সাড়ে সাত বছর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বলেন, “ডিকে শিবকুমার দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং দলকে ১৪০টি আসন এনে দিয়েছেন। ২০২৮ সালে কংগ্রেসকে ফের ক্ষমতায় আনার জন্য তাঁকে একটা সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।” তিনি কবুল করেন, দলের হাইকমান্ড প্রকাশ্যে নেতৃত্ব পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা না করার নির্দেশ দিলেও তিনি এই মতামত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাকে জানিয়েছেন (Karnataka)।

    বাসবরাজের ভবিষ্যদ্বাণী

    বাসবরাজ এবারই প্রথম বিধায়ক হয়েছেন। অগাস্ট মাসে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর হতে যাচ্ছে এবং শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তাঁর এই মন্তব্য শিবকুমার সঙ্গে সঙ্গেই খারিজ করে দেন। যাঁরা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এই ধরনের মন্তব্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, রঙ্গনাথ শিবকুমারকে তাঁর রাজনৈতিক গুরু বলে উল্লেখ করেন এবং ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের কৃতিত্ব দেন তাঁকেই। তিনি শিবকুমারকে উদীয়মান তারকা এবং সারা ভারতের নেতা বলেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, একদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তিনি এই পদে বসার যোগ্য।

    কোন্দল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

    সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার দুজনেই এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে শিবকুমার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং আমি একসঙ্গে কাজ করছি। আমরা হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে চলছি।” তিনি আরও জানান, তিনি কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি জিসি চন্দ্রশেখরকে এই বিষয়ে মন্তব্য করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “বিজেপি যা বলছে, তার প্রতি আমাদের কোনও প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রয়োজন নেই (Karnataka)।” মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করবেন। মাঝপথে পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই নেই। দশেরা উদ্‌যাপনের সময়ও তিনি ফের বলেছিলেন, “কংগ্রেস সরকার ব্যক্তিগত অনুমানের ভিত্তিতে নয়, বরং দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালিত হবে।”

    দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    এই প্রথম নয় যে কর্নাটক কংগ্রেসের দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, জাতিগত সমীক্ষা রিপোর্টকে ঘিরে দলটির মধ্যে বড় ধরনের বিভাজন তৈরি হয়েছিল। ওই সমীক্ষায় কর্নাটকের জাতি অনুযায়ী প্রকৃত জনসংখ্যার তথ্য প্রকাশ পায়, যা লিঙ্গায়ত, ভোক্কালিগা এবং কিছু মুসলিম গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। তারা আশঙ্কা করেছিল, এই তথ্য রাজ্যের সংরক্ষণ রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে (Karnataka)।

    সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা প্রকাশ্যে এই সমীক্ষার ফল এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে তর্কেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। এই ঘটনাটি দেখিয়ে দিয়েছিল যে জাতি, সম্প্রদায় ও নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষার ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে কংগ্রেস কতটা বিভক্ত। এখন মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে সর্বশেষ অভ্যন্তরীণ বিবাদের প্রেক্ষিতে দলটি আবারও ঐক্য ও শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে, যখন দলটি সরকারে একটি স্থিতিশীল ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে, সেই সময় (Karnataka)।

  • Himanta Biswa Sarma: “আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    Himanta Biswa Sarma: “আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে”, হুঁশিয়ারি হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারীদের (Illegal Infiltrators) ফের একবার কঠোর হুঁশিয়ারি দিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা (Himanta Biswa Sarma)। বুধবার তিনি এই হুঁশিয়ারি দেন। এর ঠিক আগের দিনই অসম স্টেট ক্যাবিনেট “ইমিগ্র্যান্টস (অসম থেকে বহিষ্কার) অ্যাক্ট, ১৯৫০”-এর আওতায় স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর (SOP) প্রণয়নের অনুমোদন দেয়। এই স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রোসিডিওর জেলা কমিশনার এবং সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পুলিশকে অসম থেকে অবৈধ অভিবাসীদের বহিষ্কার করতে এবং প্রতিবেশী দেশ থেকে আসতে থাকা অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের মোকাবিলা করার নির্দেশ দেবে।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রীর সাফ কথা (Himanta Biswa Sarma)

    এক্স হ্যান্ডেলে অসমের মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, “অবৈধ অনুপ্রবেশকারীরা সতর্ক থাকুন! ইমিগ্র্যান্টস (অসম থেকে বহিষ্কার) অ্যাক্ট, ১৯৫০ সম্পূর্ণ কার্যকর রয়েছে এবং আমাদের ভূখণ্ডে কোনও অনুপ্রবেশকারী ধরা পড়লেই বের করে দেওয়া হবে।” শর্মা জানান, আরও কড়াকড়ি পদক্ষেপ করা হবে, কোনও ছাড় দেওয়া হবে না। তিনি জানান, যদি কোনও অনুপ্রবেশকারী জিরো লাইনের কাছে বা অবৈধ প্রবেশের ১২ ঘণ্টার মধ্যে ধরা পড়ে, তবে তাকে তৎক্ষণাৎ ফেরত পাঠানো হবে। অসমের মুখ্যমন্ত্রী এও জানান, সমস্ত শনাক্ত হওয়া অভিবাসীর বায়োমেট্রিক্স বা ডেমোগ্রাফিক ডিটেলস পুশব্যাক করার আগে নিয়ে নিতে হবে।

    মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিদ্ধান্ত গৃহীত

    জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গুয়াহাটির লোকসেবা ভবনে আয়োজিত রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়। সভাপতিত্ব করেন মুখ্যমন্ত্রী বিশ্ব শর্মা স্বয়ং (Himanta Biswa Sarma)। বৈঠক শেষে তিনি বলেন, “সুপ্রিম কোর্ট সংবিধানিক বেঞ্চের মাধ্যমে স্পষ্টভাবে নির্দেশ দিয়েছে যে অসম সরকার ইমিগ্র্যান্টস অ্যাক্ট, ১৯৫০ প্রয়োগ করে বিদেশিদের শনাক্তকরণ ও বিতাড়ন করার ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ স্বাধীন। এই আইন অনুসারে, ডেপুটি কমিশনারকে কেন্দ্রীয় সরকার এই ক্ষমতা দিয়েছে যে, যে কোনও ব্যক্তি যিনি ডেপুটি কমিশনারের মতে বিদেশি বলে বিবেচিত হবে, তাকে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে পারবেন।”

    আইনটি যথাযথভাবে কার্যকর করার জন্য বুধবার রাজ্য মন্ত্রিসভা একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর ঘোষণা করেছে। নতুন এসওপির আওতায়, ডেপুটি কমিশনার সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে তার নাগরিকত্ব প্রমাণ করার জন্য ১০ দিন সময় দেবেন। এই পর্বে শুনানির পরে যদি তিনি নির্ধারণ করেন যে ওই ব্যক্তি একজন বিদেশি, তাহলে তিনি অবিলম্বে তাকে (Illegal Infiltrators) স্বদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেবেন (Himanta Biswa Sarma)।

  • Assam: সেপ্টেম্বরের পর থেকে অসমে আধার কার্ড পাবেন না প্রাপ্তবয়স্করা, নেপথ্যে রয়েছে এই বিশেষ কারণ

    Assam: সেপ্টেম্বরের পর থেকে অসমে আধার কার্ড পাবেন না প্রাপ্তবয়স্করা, নেপথ্যে রয়েছে এই বিশেষ কারণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনুপ্রবেশকারী রুখতে নয়া পদক্ষেপ অসম (Assam) সরকারের। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস থেকে অসমে ১৮ বছরের বেশি বয়সি কোনও ব্যক্তি নতুন আধার কার্ড পাবেন না। তবে তফশিলি জাতি, উপজাতি এবং চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের মানুষের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। ২১ অগাস্ট অসম সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানান, অনুপ্রবেশকারীরা যেন বেআইনি উপায়ে আধার কার্ড (AADHAAR) সংগ্রহ করতে না পারে, তাই এই পদক্ষেপ। অন্য যে কেউ, যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি, নতুন আধার কার্ড করতে চাইলে তাঁদের জেলা কালেক্টরের অনুমোদন নিতে হবে।

    সুযোগ মিলবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত (Assam)

    তিনি জানান, সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত এই সুযোগ খোলা থাকবে, অর্থাৎ যাঁরা এখনও আধার কার্ড করেননি তাঁরা আগামী মাসের মধ্যে আবেদন করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যাতে কোনও অনুপ্রবেশকারী অসম থেকে আধার কার্ড সংগ্রহ করতে না পারে। বর্তমানে অসমে আধার কার্ডের সংখ্যা ১০৩ শতাংশ। তাই এসসি, এসটি এবং চা-বাগান সম্প্রদায় ছাড়া অন্য কোনও প্রাপ্তবয়স্ক নতুন আবেদনকারী হলে তাঁকে অবশ্যই জেলা কালেক্টরের অনুমোদন নিতে হবে।” তিনি জানান, ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অসমে ১৮ বছরের বেশি বয়সি কোনও ব্যক্তি নতুন আধার কার্ড পাবেন না। তবে এসসি, এসটি এবং চা-শ্রমিক সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য হবে না। যদি কেউ জেলা কালেক্টরের কাছে নতুন আধার কার্ডের জন্য আবেদন করেন, তবে জেলা কালেক্টরকে স্পেশাল ব্রাঞ্চ পুলিশের রিপোর্ট ও বিদেশি ট্রাইব্যুনালের রিপোর্ট যাচাই করে তারপর অনুমোদন দিতে হবে।

    ‘চিকেন্স নেক’ এলাকায় ষড়যন্ত্র!

    মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভারতের বিরুদ্ধে একটি বড় ষড়যন্ত্র চলছে ‘চিকেন্স নেক’ এলাকায়। এই এলাকাটি উত্তর-পূর্ব ভারতের সঙ্গে (Assam) মূল ভূখণ্ডকে যুক্ত করেছে। ২২ কিলোমিটার দীর্ঘ এই চিকেন্স নেক অঞ্চলের অধিকাংশ বাসিন্দা মূলত বাংলাদেশ বা পূর্ব পাকিস্তান থেকে এসেছেন। এখন তাঁরা আইন অনুযায়ী ভারতীয় নাগরিক হলেও, তাঁদের মধ্যে সবসময়ই তাঁদের জন্মভূমির প্রতি একটা (AADHAAR) টান রয়ে গিয়েছে। এখন বাংলাদেশের কিছু কট্টরপন্থী ইসলামপন্থী সংগঠন এঁদের উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং “স্লিপার সেল” সক্রিয় করছে। তিনি বলেন, “আমরা আগুনের ওপর বসে আছি।” যতদিন বাংলাদেশ সঙ্গে কোনও সংঘাত নেই, ততদিন সব ঠিক আছে। কিন্তু যদি কোনও সংঘাত হয়, তবে বাংলাদেশ থেকে আসা এক বড় অংশের মানুষ (AADHAAR) আসলে কোন দিকে তাঁদের আনুগত্য দেখাবেন, সেটিই বড় প্রশ্ন। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আগামী ২০ বছর অসমের (Assam) জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হবে এবং যে কোনও বিপদ এড়াতে খুব শক্তিশালী পর্যবেক্ষণের প্রয়োজন।”

LinkedIn
Share