Tag: CM Mamata Banerjee

CM Mamata Banerjee

  • West Bengal University: দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বেতন হচ্ছে না, সমস্যায় ছাত্রছাত্রীরাও

    West Bengal University: দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের বেতন হচ্ছে না, সমস্যায় ছাত্রছাত্রীরাও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাইকোর্টের নির্দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal University) উপাচার্যের নিযুক্তি খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সমস্যায় পড়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা। কারণ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দায়িত্বে ছিলেন ডাঃ সঞ্চারী মুখোপাধ্যায় এবং তিনি একমাত্র ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট অপারেট করার দায়িত্বে ছিলেন। তাঁর হাত দিয়েই বেতন হত বিশ্ববিদ্যালয়ের অতিথি অধ্যাপক থেকে শুরু করে বিভিন্ন কর্মচারীদের। অবশ্য স্থায়ী সরকারি কর্মী বলতে দুটি পদ এখনও পর্যন্ত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে বরাদ্দ হয়েছে। একজন ফিনান্স অফিসার, অপরজন উপাচার্য। বাকি যাঁরা আছেন, তাঁরা সকলেই চুক্তিভিত্তিক। কিন্তু তাঁদের মাসের শেষে বেতন দিতে গিয়েই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। কারণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করার আর অধিকার অন্য কারও নেই। অন্যদিকে হাইকোর্টের নির্দেশে আর উপাচার্যের পদেও নেই সঞ্চারী মুখোপাধ্যায়। বিষয়টি নিয়ে জেলাশাসকের কাছে দরবার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা এবং জেলাশাসক, বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক। 

    এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ভবন নেই

    উল্লেখযোগ্য ঘটনা হল, ২০১৮ সালে জেলা সফরে এসে গঙ্গারামপুরে একটি জনসভায় ভাষা দিবসের দিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal University) কথা ঘোষণা করেন। দীর্ঘ রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর ২০২১ সালে বালুরঘাটে একটি ভাড়াবাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল কাজকর্ম শুরু হয়। কিন্তু দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এখনও পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ভবন নির্মাণ বা অধ্যাপক-অধ্যাপিকা নিযুক্তি অথবা অন্যান্য কর্মীদের নিযুক্তির কাজ থমকে রয়েছে। ফলে যে সমস্ত ছাত্রছাত্রী দূর-দূরান্ত থেকে এসে দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুরু করেছেন, তাঁরাও সমস্যায় পড়ছেন। এখনও পর্যন্ত কোনও স্থায়ী অধ্যাপক-অধ্যাপিকা না থাকায় ক্লাস নিয়মিত হয় না। ক্লাসঘর নেই, বিভিন্ন কলেজে বা স্কুলে গিয়ে ক্লাস করতে হয় ছাত্রছাত্রীদের। সব মিলিয়ে খাতায়কলমে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্তিত্ব থাকলেও দক্ষিণ দিনাজপুর বিশ্ববিদ্যালয় আসলে কাগুজে বাঘ, মন্তব্য করছেন বিরোধীরা। বেতন না হলে কতদিন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মীরা তাঁদের দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবেন, তা নিয়েও সন্দিহান বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ক্যামেরার সামনে মুখ না খুললেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীরা তাঁদের ক্ষোভের কথা প্রকাশ করেছেন, বলেছেন চরম অব্যবস্থার কথাও।

    কী আশ্বাস দিলেন জেলাশাসক?

    জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের (West Bengal University) কাজকর্ম সাধারণত জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে হয় না। তবুও স্থানীয় বিষয় হিসেবে এটা আমার কাছে এসেছে। আর্থিক বিষয়গুলি যিনি দেখেন, তাঁকে আমি ডেকে পাঠিয়েছিলাম। তাঁর কাছ থেকেই পুরো ব্যাপারটা জেনে নিলাম, কী হয়েছে। আসলে উপাচার্য নতুন নিয়োগ হয়নি। এটি নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়ায় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অপারেট করা হত। চেকে সই করার ক্ষমতা একজনেরই থাকায় সমস্যা বেড়েছে। এটা নিয়ে আমি উচ্চশিক্ষা দফতরের সঙ্গে কথা বলেছি। উপাচার্য নিয়োগ যেহেতু খুব তাড়াতাড়ি হবে না, তাই এর মধ্যে সমস্যা মেটানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানিয়েছি।

    সহযোগিতার আশ্বাস সুকান্তর

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, রাজ্য সরকারের উচিত দ্রুত (West Bengal University) উপাচার্য নিয়োগ করা। যদি রাজ্য সরকার চায়, আমার সাহায্য নিতে পারে। আমি সবরকম সহযোগিতা করতে রাজি। যদি রাজ্যপালের কাছ থেকে তাড়াতাড়ি অনুমোদন বের করে আনতে হয়, সে ব্যবস্থাও করা যাবে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hospital: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ১৬ মাস পরেও এমআরআই পরিষেবা চালু করা গেল না হাসপাতালে!

    Hospital: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ১৬ মাস পরেও এমআরআই পরিষেবা চালু করা গেল না হাসপাতালে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষ হচ্ছে না প্রতীক্ষার। অত্যাধুনিক মানের পরিকাঠামো প্রস্তুত। এক মাস আগে বালুরঘাটে এসে পৌঁছেছে যন্ত্রও। পরিষেবা চালু হচ্ছে বলে সরকারি বিজ্ঞাপনে শহর ছয়লাপ। তবুও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার ১৬ মাস পরেও এমআরআই পরিষেবা চালু করা গেল না বালুরঘাট হাসপাতালে (Hospital)। এবার হিলিয়াম গ্যাসের অভাবে ওই পরিষেবা চালু কার্যত বিশবাঁও জলে। ফলে আজও উন্নত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভিন জেলা বা কলকাতায় ছুটতে হচ্ছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মানুষকে। অর্থ বরাদ্দ, অনুমোদন, যন্ত্রপাতি সহ সব কিছুই ঠিক থাকলেও কেন আজও এল না হিলিয়াম গ্যাস, তার উত্তর মেলেনি। বরং এই নিয়ে চলছে  টালবাহানা। সীমান্ত জেলার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সঙ্গেই কেন এমন টালবাহানা চলে, উঠছে প্রশ্ন। 

    এর আগেও ঘটেছে এমন ঘটনা

    এর আগে এন্ডোস্কপি, ল্যাপারোস্কপির মতো বিভিন্ন যন্ত্রাংশ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে (Hospital) বছরের পর বছর ফেলে রাখা হয়েছিল। সেগুলি প্রতিস্থাপিতই করা হয়নি বা ব্যবহার করা হয়নি। পরে ওই যন্ত্রাংশগুলি কলকাতায় ফেরত পাঠানো হয়। অক্সিজেন সংযোগকারী সংস্থার উদাসীনতায় প্রায় দু বছর ধরে চালু না হয়ে পড়ে রয়েছে ২৪ বেডের সিসিইউ বিভাগ। এবারে বহু প্রতীক্ষিত এমআরআই পরিষেবাও চালু না হওয়ায় বাড়ছে ক্ষোভ।

    কী বলছেন বাসিন্দারা?

    এই বিষয়ে বালুরঘাটের এক বাসিন্দা তপন বাগচি বলেন, ‘এমআরআইয়ের জন্য নার্সিংহোমে গেলে অনেক খরচ পড়ে যায়। যখন বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই মেশিনটি আসে, আমরা ভেবেছিলাম আর অসুবিধা হবে না। কিন্তু একমাস হতে চলল এখনও পরিষেবা চালু হল না। আমরা চাই, দ্রুত এই পরিষেবা চালু হোক।’
    প্রসঙ্গত, সীমান্তের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে বেসরকারি চিকিৎসা পরিষেবা প্রায় নেই বললেই চলে। এই জেলার অধিকাংশ মানুষই সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপর নির্ভরশীল। অথচ বিভিন্ন সময় চিকিৎসক ও পরিকাঠামোর অভাব থাকায় জেলা থেকে রেফারের হার বেশি হয় বলে অভিযোগ। এছাড়াও বালুরঘাট জেলা হাসপাতাল (Hospital) নিয়ে রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। যা নিয়ে প্রত্যন্ত এই জেলার মানুষকে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ বাইরের রোগীদের নিয়ে যেতে যা খরচ, তা বহন করা সম্ভব হয় না৷ আজও এই জেলায় চালু নেই এমআরআই পরিষেবা। অথচ ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসেই রায়গঞ্জ থেকে বালুরঘাট হাসপাতালে এই পরিষেবা চালু হল বলে ঘোষণা করেন মুখ্যমুন্ত্রী। তার পরের দিনই বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের নিচতলায় একটি ঘর বরাদ্দ করা হয়। ধীরে ধীরে পরিকাঠামো গড়া হয়। চিলার মেশিন বসানো হয়। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে গত মার্চ মাসেই বালুরঘাটে এসে পৌঁছয় এমআরআই মেশিন। এই মেশিন আসতেই বালুরঘাট শহরের বিভিন্ন এলাকায় পোস্টার দিয়ে এই পরিষেবার বিষয়ে মানুষের সামনে প্রচার তুলে ধরা হয়েছিল। কিন্তু আজও হিলিয়াম গ্যাস না আসায় ওই পরিষেবা চালুই হয়নি। ফলে এখনও জটিল রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে রোগীকে বাইরে নিয়ে যেতে হচ্ছে। চলছে রোগী হয়রানিও। 

    কী আশ্বাস দিলেন হাসপাতালের সুপার?

    বালুরঘাট সদর হাসপাতাল (Hospital) সুপার কৃষেন্দুবিকাশ বাগ জানান, এমআরআই মেশিন প্রতিস্থাপিত করা হয়ে গিয়েছে। কিন্ত হিলিয়াম গ্যাসের অভাবে ওই পরিষেবা চালু করা যাচ্ছে না। যে সংস্থা এই গ্যাস সরবরাহ করবে, তারা এখনও এই গ্যাস দেয়নি। কবে দেবে তাও জানা নেই। আমরাও চাইছি দ্রুত বালুরঘাট হাসপাতালে এমআরআই পরিষেবা চালু করতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Upper Primary: ‘‘চাকরি দেবে না তো পরীক্ষা কেন নিয়েছিল?” মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

    Upper Primary: ‘‘চাকরি দেবে না তো পরীক্ষা কেন নিয়েছিল?” মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির কাছে বিক্ষোভ চাকরিপ্রার্থীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আপার প্রাইমারি (Upper Primary) চাকরিপ্রার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি চলছিল দক্ষিণ কলকাতার হাজরাতে। হঠাৎ করেই সেই আন্দোলনের ঢেউ এদিন পৌঁছে গেল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির খুব কাছেই। সেখানে বিক্ষোভকারীদের বলতে শোনা যায়, ‘‘চাকরি দেবে না তো পরীক্ষা কেন নিয়েছিল?”  এরই সঙ্গে শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। চাকরিপ্রার্থীরা এদিন একটা দাবি বারবার জানাতে থাকেন যে অবিলম্বে আসন সংখ্যা আপডেট (Upper Primary) করে নিয়োগ করতে হবে তাঁদেরকে। তাঁরা এও বলতে থাকেন যে মুখ্যমন্ত্রী অনেক আশ্বাস দেন কিন্তু কাজের কাজ কিছুই করেন না।

    ১০ বছরের বঞ্চনা

    বিক্ষোভকারীদের দাবি, তাঁরা ন্যায্য দাবি জানাতে এসেছেন, দশ বছর ধরে তাঁরা বঞ্চিত। বিক্ষোভকারীদের এই কর্মসূচি ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় কালীঘাট চত্বর। শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন চাকরিপ্রার্থীরা। তাঁদের টেনে হিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলতে থাকে পুলিশ। এই ঘটনায় তুলে ধরছে পশ্চিমবঙ্গের বাস্তব চিত্রকে এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের। রাজ্য কর্মসংস্থানের (Upper Primary) বেহাল দশা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল এই বিক্ষোভ।

    ল্যাজেগোবরে অবস্থা শাসক দলের

    প্রসঙ্গত, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে শহিদ মিনারের চাকরি দাবিতে আন্দোলন করছেন আপার প্রাইমারির চাকরি প্রার্থীরা (Upper Primary)। শুক্রবার এই আন্দোলন পা দিয়েছে ৫৫৫ দিনে। এই দিনে হাজরায় পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচিতে হাজির ছিলেন অসংখ্য চাকরিপ্রার্থী। তাঁরাই পৌঁছে যান মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির অদূরে। অন্যদিকে বিকাশ ভবনের সামনেও এদিন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন টেট পরীক্ষার্থীরা। একদিকে হাইকোর্টে বারবার ভর্ৎসনার মুখে পড়ছে স্কুল সার্ভিস কমিশন। নিয়োগ দুর্নীতিতে শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা রয়েছেন জেলে। তারই মাঝে এমন বিক্ষোভ চলছেই কলকাতায়। দিনকয়েক আগে মাথা মুণ্ডন করেন এক মহিলা চাকরিপ্রার্থী। বেশ ল্যাজে-গোবরে অবস্থা শাসক দলের। কোনও কোনও মহলের মতে এর প্রভাব পড়বে আগামী লোকসভার ভোটে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ‘‘রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে পুলিশই’’, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ইস্যুতে মন্তব্য আদালতের

    Calcutta High Court: ‘‘রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে পুলিশই’’, বিদ্যুৎ চক্রবর্তী ইস্যুতে মন্তব্য আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে করা মামলায় পুলিশের আচরণে বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতির জয় সেনগুপ্তকে। এর পাশাপাশি আদালতে বুধবার নির্দেশ দিয়েছে, প্রাক্তন উপাচার্যের বিরুদ্ধে কোনওরকম ব্যবস্থা নিতে পারবে না পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করা যাবে না বলে জানিয়েছে আদালত। এদিন বিচারপতি আরও বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারকে বিড়ম্বনায় ফেলছে পুলিশই।’’

    ঠিক কী অভিযোগ আনে পুলিশ

    প্রসঙ্গত, গত ৭ নভেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি লেখেন বিশ্বভারতীর প্রাক্ন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সেই চিঠিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্পী সত্ত্বা নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তী নিজের মত প্রকাশ করেন। ওই চিঠিতে রবীন্দ্রনাথের লেখা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেন উপাচার্য। সে নিয়েই পুলিশ মামলা দায়ের করে। এবিষয়ে হাইকোর্ট (Calcutta High Court) প্রশ্ন তুলেছে বুধবার। বিচারপতি সেনগুপ্ত প্রশ্ন করেন, ‘‘এই চিঠি লেখায় অপরাধ কি আছে?’’ জবাবের রাজ্য সরকার আইনজীবী সেভাবে কোনও উত্তর দিতে পারেননি। শুধু বলেন, ‘‘তদন্ত করে দেখতে হবে।’’ রাজ্য সরকারের আইনজীবীর এমন উত্তর শুনে বিরক্ত হন প্রধান বিচারপতি। তখন তিনি  বলতে থাকেন, ‘‘এমন নয় যে উপাচার্যের এই চিঠি নিয়ে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে অশান্তি বেঁধে যেতে পারে।’’এরপরই তিনি বলেন, ‘‘ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে নেই। থাকলে কী যে করতেন! তাঁকেও অভিযুক্ত করে দিতেন আপনারা!’’

    তাপস পালের প্রসঙ্গও উঠে আসে বুধবারের শুনানিতে

    অন্যদিকে, হোয়াটসঅ্যাপে দুর্গাপুজোর ইতিহাস ব্যাখ্যা করেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। সে নিয়েও মামলা দায়ের করে পুলিশ। পুলিশের অভিযোগ, দুর্গাপুজো নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছেন বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। এ নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আইনজীবী বলেন, ‘‘বাড়িতে দুর্গাপুজো হয় এখানে পুজোর ইতিহাস ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এটা বিরূপ কেন হবে? এ প্রসঙ্গে উঠে আসে তাপস পালের কথাও। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আইনজীবী (Calcutta High Court) বলতে থাকেন, ‘‘তাপস পালের একটি মামলায় আমি আইনজীবী ছিলাম, তাপস পাল তখন বলেছিলেন ‘ঘরে ছেলে ঢুকিয়ে দেব’। এই ঘটনায় পুলিশ কোনও এফআইআর করেনি। তবে এখানে পুলিশকে এফআইআর করতে দেখা গেছে।’’ এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে ১১ জানুয়ারি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “কয়েকজন জালি হিন্দুর জন্য পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজো উদ্বোধন”! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর 

    Suvendu Adhikari: “কয়েকজন জালি হিন্দুর জন্য পিতৃপক্ষে দুর্গাপুজো উদ্বোধন”! মমতাকে নিশানা শুভেন্দুর 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহালয়ার আগে পিতৃপক্ষেই আজ, বৃহস্পতিবার কালীঘাটের বাড়ি থেকে বেশ কিছু পুজোর ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে মহালয়া থেকে শুরু হত দুর্গা পুজোর উদ্বোধন। পিতৃপক্ষের অবসান ঘটিয়ে মাতৃপক্ষের সূচনা হলেই মূলত পুজো উদ্বোধন হত। 

    কী বললেন শুভেন্দু

    সনাতন হিন্দু ধর্মে পিতৃপক্ষে কোনও শুভ কাজ করা উচিত নয়। কিন্তু মাতৃপক্ষ বা দেবীপক্ষের আগেই পুজোর উদ্বোধন করায় সমালোচনা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুভেন্দু বলেন, “কোনো কালচারাল অনুষ্ঠান নয় দুর্গাপুজো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু জালি হিন্দুর জন্য পিতৃপক্ষে দুর্গা পুজোর উদ্বোধন করবেন।” বিজেপির স্পোর্টস অ্যান্ড ক্লাব রিলেশন সেলের অনুষ্ঠানে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী আজ জানান, “মুখ্যমন্ত্রী বাড়ি বসে পুজোর ফিতে কাটবেন পিতৃপক্ষে। ১২ তারিখ থেকে সব করবেন। পারেও বটে। আগের বছরও এটা করেছিলেন।” এরই সাথে বিরোধী দলনেতার সংযোজন, “অন্য ধর্মের জন্য উনি যদি এটা করতেন তাহলে ট্রেন বন্ধ হয়ে যেত, ইট পড়ত বাসে। ৩৭ টা বাস পোড়ানো হত সাঁতরাগাছিতে। গোটা একটা ট্রেন জ্বলে যেত হাজারদুয়ারিতে। আমরা মনে করি দুর্গাপুজো হবে শাস্ত্রমতে। আমি যদি সঠিক হিন্দু হই, বিশুদ্ধ সনাতনী হই, বিশুদ্ধ রাষ্ট্রবাদী হই তাহলে শুভ কাজ করব না পিতৃপক্ষে।”

    আরও পড়ুন: লেনদেন কত? টাকার উৎস কী? সাড়ে ৮ ঘণ্টা ধরে রুজিরাকে জিজ্ঞাসাবাদ ইডির

    কী করবেন মুখ্যমন্ত্রী

    বিকেল চারটে নাগাদ প্রথমে শ্রীভূমির পুজো ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর একে-একে অন্যগুলি। চলতি বছর সাড়ে আটশো পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী। হাঁটুতে চোটের কারণে সশীরে উপস্থিত থাকতে পারছেন না তিনি। তার বদলে ভার্চুয়ালি প্রায় ৮০০-র বেশি পুজো উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। প্রথম দিন শ্রীভূমি-সহ কলকাতার ৬টি পুজোর উদ্বোধন করার কথা রয়েছে তাঁর। গত বছর মুখ্যমন্ত্রী মহালয়ার দুদিন আগে কিছু পুজোর উদ্বোধন করেন। পিতৃপক্ষে পুজো উদ্বোধন নিয়ে সেবার তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। এবারও পিতৃপক্ষের মধ্যে দুর্গাপুজো উদ্বোধন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • All Party Meeting: আজ নবান্নে মমতার ডাকা সর্বদল বৈঠকে যাবে না বিজেপি! নেই বাম-কংগ্রেসও

    All Party Meeting: আজ নবান্নে মমতার ডাকা সর্বদল বৈঠকে যাবে না বিজেপি! নেই বাম-কংগ্রেসও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, পশ্চিমবঙ্গ দিবস নিয়ে নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকে (All Party Meeting) থাকবে না বিজেপি। দলের অন্যতম মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, ‘‘একটি অনৈতিহাসিক ও অবৈজ্ঞানিক তত্ত্বকে সামনে এনে ইতিহাস বিকৃত করার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত হচ্ছে। তার শরিক বিজেপি হবে না।’’ প্রধান বিরোধী বিজেপির পাশাপাশি বৈঠকে যাচ্ছে না সিপিআইএম, সিপিআইয়ের মতো দলগুলি। কংগ্রেসও যাবে না বলেই খবর।

    বিজেপির মত

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে (All Party Meeting)  যাচ্ছে না তাঁর দলের কোনও প্রতিনিধি। সেই সঙ্গে, তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, আগামী দিনেও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কোনও ক্ষেত্রে মঞ্চ ভাগাভাগি করবে না বিজেপি বিধায়করা। ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ কবে পালিত হবে, তা ঠিক করতে মঙ্গলবার বিকেল চারটে থেকে নবান্নে রয়েছে এই বৈঠক।  সেখানে বহু বিশিষ্টজনকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, রাজ্য বিধানসভায় ইতিমধ্যেই এ নিয়ে একটি কমিটি গঠিত হয়েছে। কিন্তু সেই কমিটির সদস্যরা নিজেদের ব্যাখ্যা দিয়ে বিভিন্ন দিনে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালিত করার প্রস্তাব দিয়েছেন। সেখানে দিনটি নিয়ে ঐক্যমত হয়নি। তার পরেই সর্বদল বৈঠক ডেকেছেন মুখ্যমন্ত্রী। 

    আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে অগাস্ট! শেষ এক মাসে ডেঙ্গি সংক্রমণ ১০ হাজার

    বিরোধী-জোটে মতভেদ

    বামেরা যে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকা সর্বদল বৈঠকে (All Party Meeting)  যাবে না, তা লিখিত ভাবেও মুখ্যমন্ত্রীকে জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান তথা বর্ষীয়ান সিপিএম নেতা বিমান বসু জানিয়েছেন, দেশভাগের যন্ত্রণা এখনও লক্ষ লক্ষ মানুষের মনে জাগরূক। সেই প্রেক্ষাপটে এই ধরনের কোনও প্রতিষ্ঠা দিবস পালনে আমরা বিশ্বাসী নই। বৈঠকে যোগদান করবে না কংগ্রেসও । প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর নির্দেশে কংগ্রেসের কোনও প্রতিনিধি ওই বৈঠকে যাবেন না। যুক্তি হিসাবে কংগ্রেস জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ দিবসের নামে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিজেপির লড়াই চলছে। এ নিয়ে কংগ্রেসের কোনও আগ্রহ নেই। যদি সর্বদল বৈঠক ডাকতেই হয়, তাহলে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকুন। সূত্রের খবর, একদিকে ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক হচ্ছে, অন্যদিকে এ রাজ্যে বাম-কংগ্রেসের মনোভাবে শাসক দলের অনেকেই বিরক্ত। এ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করেছে বিজেপির নানা সূত্র। কেন্দ্র-বিরোধী জোটে ঐক্য ও মতাদর্শের কতটা ফারাক তা এর থেকে বোঝা যায় বলে অভিমত, রাজনৈতিক মহলের।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Suvendu Adhikari: “আপনারা আদতে আঞ্চলিক দল তৃণমূলেরই একটি শাখা”! পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “আপনারা আদতে আঞ্চলিক দল তৃণমূলেরই একটি শাখা”! পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বারবার তাঁর সভা বাতিল করতে চাইছে পুলিশ। যদিও আদালত অনুমতি দেওয়ায় সভা হচ্ছেই। এবার পুলিশ প্রশাসনের সততা ও কর্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে পুলিশকে তোপ দাগলেন শুভেন্দু। আগামী ২১ মে দার্জিলিংয়ে সভা বাতিল করার চেষ্টার অভিযোগ নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় আজ, শুক্রবার বিকেলে সরব হলেন নন্দীগ্রামের সাংসদ। সোশ্যাল মিডিয়ায় দীর্ঘ পোস্টে শুভেন্দু লিখেছেন, “মমতা পুলিশের এখন একমাত্র কাজ হল বিরোধী দলনেতাকে বিভিন্ন রাজনৈতিক সভা সমাবেশে বাধা দান করা। লেডি কিমের নির্দেশেই আমাকে বাঁকুড়ার সিমলাপালে ও পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে সভা করতে বাধা দেওয়া হয়।”

    অভিষেককে নিশানা

    বিরোধী দলনেতা লেখেন, “ধন্য পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ! ২১ মে দার্জিলিং-র জনসভাতেও আপনারা আমাকে আটকানোর যথাসাধ্য চেষ্টা করুন। কিন্তু আমার কাছে ১৫ সিণ্ডিকেট এবং আরও একাধিক সংগঠনের ছাড়পত্র রয়েছে।” এরপরেই অভিষেককে নিশানা করে শুভেন্দু লেখেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন ৭২ ঘন্টা ধরে ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেছিলেন, তখন কি আপনারা দেখতে চেয়েছিলেন যে তাঁর কাছে জাতীয় সড়ক দফতরের ছাড়পত্র রয়েছে কিনা? কিছুদিন আগেই তো তিনি উত্তরপূর্ব ভারতের প্রধান যোগসূত্র যে জাতীয় সড়ক তা বন্ধ করে মিছিল বের করেন, তখন কি তিনি অনুমতি নিয়েছিলেন?” শুভেন্দু আরও লেখেন, “যদি অভিষেক অনুমতি নিয়ে থাকেন, তাহলে সেই ছাড়পত্রের কপি আপনাদের সরকারি ট্যুইটার হ্যান্ডেলে শেয়ার করুন। যদি আপনারা তা না করতে পারেন, তাহলে আপনাদের দ্বৈত সত্ত্বা সকলের সামনে প্রকাশ পাবে। তাহলে সকলে বুঝতে পারবেন, আপনারা আদতে আঞ্চলিক দল তৃণমূলেরই একটি শাখা।”

    আরও পড়ুন: হাকিম বদলেও হুকুম বহাল! পুর নিয়োগ দুর্নীতিতে সিবিআইতে আস্থা বিচারপতি সিনহার

    এরপর রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হুমকির সুরে লেখেন, “দয়া করে মনে রাখবেন, দার্জিলিং-র মোটর স্ট্যান্ডে যদি বিজেপি সভা করতে না পারে তাহলে ভবিষ্যতে কোনও রাজনৈতিক দলকেই আর ওখানে সভা করতে দেওয়া হবে না। এই বার্তাটা আপনাদের রাজনৈতিক মালকিনকে পাঠিয়ে দেবেন।” শুভেন্দুর কথায়, “আমাকে যে মমতা পুলিশ ও তাদের ‘রাজনৈতিক মনিব’ এত ভয় পায় তা জেনে কিন্তু বেশ ভাল লাগল; ইয়ে ডর মুঝে আচ্ছা লাগা….”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: গ্রুপ সি- র বাতিল হওয়া তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝি!

    Recruitment Scam: গ্রুপ সি- র বাতিল হওয়া তালিকায় মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে (Recruitment Scam) উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। আজই ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বাতিল হওয়া চাকরির তালিকায় নাম রয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ভাইঝির। অভিযোগ রয়েছে, গ্রুপ সি পদে অবৈধভাবে চাকরি পেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইঝি বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়।  

    এই বৃষ্টি মুখোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মামাতো ভাই নিহার মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে। বৃষ্টির বাড়ি রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত কুসুম্বা গ্রামে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে স্কুল সার্ভিস কমিশন চাকরি বাতিলের যে তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে ১৫৫ নম্বরে রয়েছে বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের নাম। এ বিষয়ে বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের (Recruitment Scam) বাবা নীহার মুখোপাধ্যায় দাবি করেছেন, আগেই মেয়ে চাকরি থেকে ইস্তাফা দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, চাকরিতে নিযুক্ত হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে চাকরি থেকে ইস্তাফা দিয়েছিলেন বৃষ্টি। তিনি বলেন, “কদিন মাত্র চাকরিতে গিয়েছিল মেয়ে। বেতন বাবদ একটা টাকাও নেয়নি। শারীরিক ভাবে আমার মেয়ে অসুস্থ। নিজেই আমাকে বলেছিল যে সে চাকরি করতে পারবে না।”

    আরও পড়ুন: গ্রুপ সি- র ৮৪২ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়  
      
    সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, বোলপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে ক্লার্ক পদে চাকরি পেয়েছিলেন বৃষ্টি (Recruitment Scam)। কলকাতা হাইকোর্ট বেআইনিভাবে চাকরি পাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার তার চাকরি বাতিল করে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে শুক্রবার স্কুল সার্ভিস কমিশন তাদের ওয়েবসাইটে চাকরি বাতিলের যে তালিকা প্রকাশ করে সেই তালিকায় বৃষ্টি মুখোপাধ্যায়ের নাম দেখা যায়।   

    মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পৈতৃক বাড়ি হল রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত চাকাইপুর। চাকাইপুরের পাশেই রয়েছে কুসুম্বা, যা হলো মুখ্যমন্ত্রীর মামার বাড়ি (Recruitment Scam)। মুখ্যমন্ত্রীর মামাতো ভাই নিহার মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে বৃষ্টির বিয়ে হয় রামপুরহাট থানার অন্তর্গত আয়াস গ্রামে। যদিও বর্তমানে তিনি কলকাতায় থাকেন বলে জানা গিয়েছে।

    কীভাবে বৃষ্টি চাকরি পেয়েছিলেন সেই প্রশ্ন করা হলে, তাঁর বাবা বলেন, “আমি সেটা জানি না। আবেদন করেছিল। তাই চাকরি পেয়েছিল।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

            

  • Poster: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে সামাজিক বয়কট! কারা দিল পোস্টার?

    Poster: কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচিকে সামাজিক বয়কট! কারা দিল পোস্টার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করে কলকাতা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচি। রাতারাতি রাজ্যবাসীর কাছে পরিচিত মুখ হয়ে ওঠেন কৌস্তভবাবু। জামিনে বাড়ি ফিরে আসার পর তাঁর ব্যারাকপুরের বাড়িতে বিজেপি, সিপিএম নেতা থেকে শুরু করে স্থানীয় মানুষদের শুভেচ্ছার বন্যা বয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় ব্যারাকপুর শহরে বেশ কয়েকটি এলাকায় রাস্তার ধারে একটি পোস্টার (Poster) ঘিরে রাজনৈতিক মহলে জোর চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। কারণ, মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে সরব হওয়া এই কংগ্রেস নেতাকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়া হয়েছে।

    কৌস্তভ বাগচিকে কারা সামাজিক বয়কটের ডাক দিল? Poster

    গ্রেপ্তার হওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জামিন পেয়ে নিজের মস্তক মুণ্ডন করে তৃণমূল সরকারকে উত্খাত করার তিনি শপথ নেন। তাঁর এই জেদ দেখে স্বাভাবিকভাবে কংগ্রেসের নীচুতলার কর্মীরা চাঙা হয়ে ওঠেন। সঙ্গে বিরোধীরাও তাঁর বাড়়ি বয়ে এসে প্রশংসা করে যান। একদিকে তাঁর নামে সর্বত্র জয়জয়কার করছে বিরোধীরা, সেই অবস্থা রবিবার তাঁর ব্যারাকপুরে বাড়়ির আশপাশের এলাকায় রাস্তার ধারে তাঁকে সামাজিক বয়কটের ডাক দেওয়ার পোস্টার (Poster) দেওয়া হয়েছে। পোস্টারে লেখা রয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কে অশালীন ও কুরুচিকর মন্তব্য করে আমাদের এলাকার সাংস্কৃতিকে সারা বাংলার কাছে হেয় প্রতিপন্ন করেছে কৌস্তভ বাগচি, তাকে সামাজিক বয়কট করা হোক। পোস্টারের (Poster) নীচে কোনও রাজনৈতিক দলের নাম নেই। শুধু লেখা রয়েছে বারাকপুরবাসীর পক্ষ থেকে। তবে, কে বা কারা এই পোস্টার (Poster)   দিয়েছে তা পরিষ্কার নয়। তবে, কংগ্রেস নেতা মাথা ন্যাড়া নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্ব কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। কামারহাটির পুরসভার ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর নির্মলা রায় কংগ্রেস নেতাকে কটাক্ষ করে বলেন, ওই নেতার মাথায় উকুন ছিল। তাই, তিনি মাথা ন্যাড়া হয়েছেন। আর দলীয় নেত্রীর বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করছেন। এরপর নিজের ওয়ার্ডে এক মাথা ন্যাড়া যুবকের মাথায় গোল ঢেলে কৌস্তভ বাগচিকে ওই কাউন্সিলর কটাক্ষ করেন।

    বারাকপুর শহরে সামাজিক বয়কটের পোস্টার নিয়ে কৌস্তভবাবু বলেন, এই ধরনের পোস্টার দেওয়ার কাজ তৃণমূলের। নিজেরা সামনে নাম দিতে ভয় পাচ্ছে। কিন্তু, পোস্টার (Poster) দিয়ে সামাজিক বয়কটের ডাক দিলেই তো হল না। আমাকে এলাকার মানুষ ভালোবাসেন। বাড়ির বাইরে বের হলেই প্রচুর মানুষ এসে কথা বলে যাচ্ছে। বারাকপুর পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান উত্তম দাস বলেন, বাংলার একটি নিজস্ব সংস্কৃতি রয়েছে। তিনি একজন আইনজীবী হয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে যে অশালীন মন্তব্য করেছেন তা নিন্দার ভাষা নেই। তবে, সামাজিক বয়কটের পোস্টার (Poster) দেওয়ারও আমরা তীব্র নিন্দা করছি। এসব তৃণমূলের কাজ নয়। ওরা আমাদের দলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: শুক্রবার শহরে আসছেন অমিত শাহ! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর

    Amit Shah: শুক্রবার শহরে আসছেন অমিত শাহ! কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরে আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। পূর্বাঞ্চলীয় নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে যোগ দিতে বঙ্গে পা রাখছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে শাহের পূর্ণাঙ্গ সফরসূচী প্রকাশ করা হয়েছে। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, শুক্রবার রাত সাড়ে ন টা নাগাদ শহরে আসবেন অমিত। দমদম বিমানবন্দর থেকে সোজা চলে যাবেন বাইপাসের ধারে একটি বিলাসবহুল হোটেলে। সেখানে রাত্রিযাপন করে পরদিন সকাল  সাড়ে দশটা নাগাদ নবান্নের উদ্দেশে রওনা দেবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    আরও পড়ুন: গোয়ায় নতুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী, দেওয়া হল নতুন নাম

    নবান্নে বৈঠক

    আগামী শনিবার অমিত শাহের (Amit Shah) সেই বৈঠকে যোগ দেবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও (CM Mamata Banerjee)। উল্লেখ্য পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড ও সিকিম-এই পাঁচ রাজ্য নিয়ে গঠিত পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদ। আন্তঃরাজ্য সীমানার পাশাপাশি অন্তর্দেশীয় সীমান্তের নিরাপত্তার বিষয়টি আলোচনা হয় পরিষদের বৈঠকে। চার বছর আগে ২০১৮ সালে নবান্নে পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক হয়েছিল। সেই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন তৎকালীন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং। দেশে কোভিড পরিস্থিতির কারণে গত কয়েক বছর পর পর পূর্বাঞ্চলীয় পরিষদের বৈঠক করা সম্ভব হয়নি। আগামী ১৭ ডিসেম্বর হতে চলেছে সেই বৈঠক। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর, নবান্ন সভাগৃহে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে হাজির থাকতে পারেন বিএসএফ ও CISF আধিকারিকরাও। বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে বিএসএফ, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ সহ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থাগুলির শীর্ষ আধিকারিকদেরও। 

    আরও পড়ুন: আজ শাহের দরবারে সুকান্ত! জানেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কী কথা রাজ্য বিজেপি সভাপতির?

    অন্য কাজ

    নবান্নে বৈঠক সেরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যাবেন সল্টলেকে অ্যানথ্রোপলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার নতুন ভবনের উদ্বোধন করতে। প্রশাসনিক কাজে স্বল্প সময়ের জন্য শহরে এলেও কাজের ফাঁকে রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে সাংগঠনিক আলোচনা করবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ দিল্লি উড়ে যাবেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।   

LinkedIn
Share