Tag: CM Mamata Banerjee

CM Mamata Banerjee

  • Jagdeep Dhankhar: রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষার্থে গর্জে উঠুন বুদ্ধিজীবীরা, আহ্বান রাজ্যপালের

    Jagdeep Dhankhar: রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষার্থে গর্জে উঠুন বুদ্ধিজীবীরা, আহ্বান রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ও আমলাতন্ত্র নিয়ে ফের একবার ক্ষোভ উগড়ে দিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর (governor Jagdeep Dhankhar)। রাজ্যে গণতন্ত্র রক্ষা করতে বুদ্ধিজীবী এবং সুশীল সমাজের উচিত একসঙ্গে গর্জে ওঠা, অভিমত রাজ্যপালের। ঝটিকা সফরে বুধবার দার্জিলিংয়ে যান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। জিটিএ (GTA) নির্বাচনের পর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতেই পাহাড়ে পা রাখেন তিনি। এদিন তিনি সকালে কলকাতা থেকে বিমানে বাগডোগরায় নেমে সোজা সড়কপথে চলে যান দার্জিলিং। বৃহস্পতিবার দার্জিলিংয়ের লালকুঠিতে জিটিএ (GTA)-র চিফ এগজিকিউটিভের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান রয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে   রাজ্যপাল জানান, রাজ্যে প্রশাসনিক অনেক সমস্যা রয়েছে, যেটা সকলেই জানে। কিন্তু ভয়ের কারণে, কেউ সেসব বিষয়ে কথা বলতে চায় না। তিনি সমাজের বুদ্ধিজীবীদের অনুরোধ করেন, রাজ্যের সমস্যাগুলি নিয়ে যেন তাঁরা সরব হন। ট্যুইটবার্তায় তিনি জানান, ‘নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের নিশ্চুপতা আমার কাছে খুব বেদনাদায়ক। আর্থিক বিষয়ে ও আমলাতন্ত্রে সাম্প্রদায়িক পৃষ্ঠপোষকতা ও সাম্প্রদায়িক ক্ষমতায়ন কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না। সাম্প্রদায়িক পৃষ্ঠপোষকতা বাস্তবে গণতন্ত্রের মূল্যবোধ বিরোধী। নাগরিক সমাজ ও বুদ্ধিজীবীদের সেই বিষয়ে সরব হওয়া উচিৎ। হাইকোর্টের মত অনুযায়ী রাজ্যের প্রত্যেক কোনায় তোলাবাজি, সিন্ডিকেট রাজ চলছে। এসব আইনের ভূমিকা নয়। এটা একমাত্র শাসকের শাসন চললেই হয়। গণতন্ত্রে এসবের জায়গা নেই। বিভিন্ন সময়ে শাসকদল রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, শিল্পের কথা বললেও আদতে তার দেখা নেই। বিভিন্ন সময়ে রাজ্যের মন্ত্রীদের নাম জড়িয়ে পড়ছে নানা আর্থিক দূর্নীতিতে। অথচ মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন সুশীল সমাজ। প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে না বুদ্ধিজীবিদের। এটা সমাজের পক্ষে ভয়ংকর। রাজ্যের পরিস্থিতি ঠিক করতে হলে প্রথমেই এগিয়ে আসতে হবে সুশীল সমাজকে।’ যতদিন পর্যন্ত অনিয়মের বিরুদ্ধে সমাজ গর্জে না উঠবে ততদিন পর্যন্ত এ রাজ্যের হাল ফিরবে না বলেও মন্তব্য করেছেন রাজ্যপাল। 

    আরও পড়ুন: শ্যুটিং বিশ্বকাপে সোনা জয় বঙ্গকন্যা মেহুলির

    গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (GTA) নির্বাচনের পর পাহাড় সফরে গিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার জিটিএর নবনির্বাচিত ৪৫ জন সদস্যের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তিনি। তবে চেয়ারম্যান পদে এখনও শপথ নেওয়া বাকি অনীত থাপার। এমতাবস্থায় রাজভবনে অনীত থাপাকে শপথগ্রহণ করাতেই পাহাড়ে রাজ্যপাল। প্রোটোকল মেনেই এই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চলেছেন তিনি। এর পাশাপাশি জিটিএ নিয়ে পুরো বিষয়টিও বুঝে নিতে চাইছেন ধনকড়।

  • Mamata Banerjee BGBS 2022: শিল্প সম্মেলনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রসঙ্গ উত্থাপন করা কি আদৌ প্রয়োজন ছিল মুখ্যমন্ত্রীর?

    Mamata Banerjee BGBS 2022: শিল্প সম্মেলনে কেন্দ্রীয় এজেন্সির প্রসঙ্গ উত্থাপন করা কি আদৌ প্রয়োজন ছিল মুখ্যমন্ত্রীর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজনৈতিক হোক বা বাণিজ্যিক, শিল্প হোক বা সামাজিক– কেন্দ্রকে বিঁধতে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় যে কোনও সুযোগ ছাড়েন না, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা কারোরই অজানা নয় যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বরাবরই প্রতিপক্ষমূলক রাজনীতি পছন্দ করেন। কিন্তু, সদ্যসমাপ্ত বাণিজ্য সম্মেলনে তিনি সম্ভবত লাল দাগ অতিক্রম করলেন। 

    বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের (BGBS 2022) মঞ্চে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের রাজ্যপালকে বলেছেন, কেন্দ্রীয় এজেন্সি যাতে শিল্পপতিদের হেনস্থা না করে তা যেন তিনি কেন্দ্রকে বলে নিশ্চিত করেন। সেইসময় সভাঘরে উপস্থিত ছিলেন দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পপতি থেকে শুরু করে ১৪টি দেশের আমন্ত্রিত শিল্প ও কূটনৈতিক প্রতিনিধিরা। তাঁদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী একথা বলে দেন।

    মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে সব রকম সাহায্য আমরাও পেতে চাই। তবে শিল্পপতিদের তরফে রাজ্যপালের কাছেও আমার একটি অনুরোধ আছে। অনুরোধ এই যে, শিল্পপতিদের যেন কেন্দ্রীয় সংস্থা মারফৎ কোনওরকম হেনস্তা না করা হয়। রাজ্যপালও যেন বিষয়টি কেন্দ্রের কানে পৌঁছে দেন।’ 

    শেষোক্তি কতটা যুক্তিযোগ্য়, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। বিশেষ করে, বাণিজ্য সম্মেলনের মতো একটি মঞ্চে দাঁড়িয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন কথা বলার কি আদৌ প্রয়োজন ছিল? আর এই কথা তিনি বলছেন কাকে? — মঞ্চে উপস্থিত রাজ্যের রাজ্যপালকে। রাজনৈতিক মঞ্চ হলে হয়ত কোনও কথা ছিল না। প্রশাসনিক জায়গা হলে, তবুও মানা যেত। কিন্তু, রাজ্যের বর্তমান শাসক দলের ফ্ল্যাগশিপ বাণিজ্য সম্মেলনে দেশী-বিদেশি অতিথিদের সামনে কেন্দ্রকে ও কেন্দ্রের প্রতিনিধিকে শ্লেষাত্মক কথা বলা আদপেই নিষ্প্রয়োজন ছিল।

    মমতার এই মন্তব্য আরও অনভিপ্রেত এই কারণে যে, এই মঞ্চে দাঁড়িয়েই মুখ্যমন্ত্রীর ঠিক আগে, নিজের বক্তব্যের সময় কেন্দ্র-রাজ্যের বিভেদ ভুলে একসঙ্গে এগিয়ে চলা উচিত বলে মন্তব্য করেছিলেন রাজ্যপাল। ধনকড় বলেন, বাংলার উচিত রাজনৈতিক বিভেদ ভুলে, উন্নয়নের কথা ভেবে কেন্দ্রের সঙ্গে মিলে কাজ করা। এতেই বাংলার ভাল হবে।

    সম্মেলনে যোগ দিতে মুখ্যমন্ত্রী গত বছরই দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে অনুরোধ করেছিলেন। তবে পূর্ব-নির্ধারিত সূচি থাকায় সম্মেলনে যোগ দিতে পারেননি প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, মমতা তাঁর অনুপস্থিতিতেই তাঁকে বিঁধলেন শিল্পপতি ও রাজ্যপালের সামনেই। মুখ্যমন্ত্রী হয়ত এটা ভুলে যাচ্ছেন, শিল্পপতিরা যাই করুক, তাঁরা কেউ-ই কেন্দ্রকে চটাতে চাইবেন না। ফলে, তাঁর এই মন্তব্য শিল্পপতিদের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে বাধ্য। এটা মাথায় রাখতে হবে, বর্তমান যুগে, কোথায় কী হচ্ছে, কী ঘটছে, সে সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল। রাজ্য ও রাজ্য প্রশাসন সম্পর্কে, সব খোঁজখবরই থাকছে সকলের কাছে। 

    ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্য আখেরে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসতে পারে। অন্তত এমনটাই মনে করছে পর্যবেক্ষক মহল।

     

LinkedIn
Share