Tag: CM Mamata

CM Mamata

  • Suvendu Attacks Mamata: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Attacks Mamata: “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না”, মমতাকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য বিধানসভায় (West Bengal Assembly) সরকারের পাশ করা আচার্য বিলকে তীব্র আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু (Suvendu) অধিকারী। তিনি জানিয়ে দিলেন, এখানে পাশ করে কোনও লাভ নেই। বিল দিল্লি পাঠাতে হবে। তাঁর কটাক্ষ, দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না।  

    বিরোধীদের শত আপত্তি সত্বেও বাদল অধিবেশনের প্রথম দিনেই পাশ হয়েছে আচার্য বিল। এই বিলে বলা হয়েছে, রাজ্যপাল (Jagdeep Dhankhar) নন, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসবেন এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। বিলের পক্ষে এদিন ভোট পড়ল ১৮২, বিপক্ষে ভোট পড়ল ৪০টি। বিধানসভায় রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিল (University Act Amendment Bill) পাস হয়েছে। এবার রাজ্যপালের অনুমোদনের জন্য যাবে সংশোধনী বিল।

    আরও পড়ুন: কেন্দ্রের টাকা মারতেই কি স্কুলে গরমের ছুটিবৃদ্ধি? তৃণমূলকে আক্রমণ শুভেন্দুর

    এই প্রেক্ষিতে এদিন বিধানসভার বাইরে শুভেন্দু জানিয়ে দেন, দাবি করেন, “বিধানসভায় সংখ্যা আছে, বিল পাস করিয়ে নিয়েছে৷ কিন্তু আমাদের আপত্তি নথিভুক্ত করেছি৷ বিল সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়নি৷ আগামী সোমবার আমরা বিষয়টি নিয়ে রাজ্যপালের কাছে গিয়ে তাঁকে বলব যে বিলে সই না করতে৷ আমি এখনই বলে দিচ্ছি, রাজ্যপাল বিলে সই করবেন না৷”

    রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মনে করিয়ে দেন, শিক্ষা যুগ্মতালিকার অন্তর্ভুক্ত। ফলে, তা যাবে কেন্দ্রের কাছে। তিনি বলেন, বিধানসভায় বিল পাশ হলেও তা যাবে রাজ্যপালের কাছে। এরপর বিষয়টি যুগ্ম তালিকা ভুক্ত হওয়ায় কেন্দ্রের কাছে পাঠাতে হবে। তবে তা রাজ্যের নাম পরিবর্তনের মতোই সেখানে গিয়ে পড়ে থাকবে। 

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে অভিষেক-পত্নীকে তলব সিবিআইয়ের, আগামীকাল জেরা কলকাতাতেই?

    অর্থাৎ, শুভেন্দু জানিয়ে দিলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা আপাতত কার্যকরী হচ্ছে না। মমতাকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “দিদিমনি অবসর নিলেও আচার্য হতে পারবেন না।”

    বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী— এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় বিবৃতি দিয়েছে বিশিষ্টজনরাও। তাঁদের তরফে জানানো হয়, কোনও শিক্ষাবিদকে আচার্য করা হোক। বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, ‘রাজনৈতিক বা প্রশাসনিক প্রধান আচার্য হলে ভঙ্গ হবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বাধিকার’। বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বিভাস চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, সমীর আইচ, অনীক দত্ত-সহ আরও অনেক বিশিষ্টরা। 

     

  • Mamata Award Protest: মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার, প্রতিবাদে পদত্যাগ, পদক ফেরালেন ‘অপমানিত’ বিশিষ্টজনরা

    Mamata Award Protest: মমতাকে সাহিত্য পুরস্কার, প্রতিবাদে পদত্যাগ, পদক ফেরালেন ‘অপমানিত’ বিশিষ্টজনরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘অপমানিত’ বিশিষ্টরা। কেউ বললেন অশ্রদ্ধা কবিগুরুকে। কেউ ফেরালেন পুরস্কার। কেউ বা করলেন পদত্যাগ। ট্যুইটারে (Twitter) প্রতিবাদ অনেকের। ওখানেই থেমে থাকেনি। সামাজিক মাধ্যমে (Social Media) মিম-  মশকরার ছড়াছড়ি। লক্ষ্য একজনই। মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজের সরকারের হাত থেকে নিজেই নিজেকে পুরস্কৃত করেছেন রাজ্যের (West Bengal) মুখ্যমন্ত্রী।

    সোমবার ‘নিরলস কবিতার সাধনা’র জন্য বাংলা আকাদেমি পুরস্কার (Bangla Academy Award) দেওয়া হয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বেছে নেওয়া হয়েছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের (Rabindra Nath Tagore) জন্মদিবসের (Rabindra Jayanti) সরকারি কবিপ্রণাম অনুষ্ঠানকে। মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতেই পুরস্কার ঘোষণা করেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। মঞ্চে বসা মুখ্যমন্ত্রীকে বাংলা আকাদেমির পক্ষে পুরস্কার দেন তথ্য-সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। পুরস্কার গ্রহণ করেছেন পুরস্কারের ঘোষক ও রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। ৯৪৬টি কবিতার (Mamata poem) সংকলন ‘কবিতা বিতান’ (Kabita Bitan) কাব্যগ্রন্থের জন্য পুরস্কৃত হলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২০ সালের কলকাতা বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছিল ‘কবিতা বিতান’।

    এরপরই রাজ্যজুড়ে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। তীক্ষ্ণ সমালোচনায় ফেটে পড়েন সংস্কৃতির গবেষক রত্না রশিদ বন্দ্যোপাধ্যায় (Ratna Rashid Bandopadhyay)। ২০০৯ তিনি বাংলা আকাদেমি পুরস্কার পেয়েছিলেন ও ২০১৯ সালে বাংলা আকাদেমি তাঁকে দিয়েছিল ‘অন্নদাশঙ্কর স্মারক সম্মান’ পুরস্কার। গবেষক রত্না তাঁর ২০১৯ সালের পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, কবিতার বইয়ের একটা মানদণ্ড থাকবে তো! যে ভাবে বাংলা আকাদেমি এই পুরস্কার ঘোষণা করেছে তার একটা প্রতিবাদ দরকার। তিনি বলেন, ‘‘উনি (মমতা) একজন মান্যগণ্য মানুষ। উনি আমাদের সবার ভোটে জিতে তিনবার মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ওঁর কাছ থেকে পরিপক্ক সিদ্ধান্ত আশা করি। বইয়ের তো একটা স্ট্যান্ডার্ড (মান) থাকতে হবে। পুরস্কার দিলেই বা উনি নিয়ে নেবেন কেন!’’

    মঙ্গলবারই সাহিত্য আকাদেমির বাংলা উপদেষ্টা কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছেন, লেখক ও সম্পাদক অনাদিরঞ্জন বিশ্বাস। বিবৃতি প্রকাশ করে তিনি জানিয়েছেন, কলকাতায় রবীন্দ্র জন্মজয়ন্তীর দিন কবিকে যেভাবে অসম্মান করা হয়েছে, তাতে তিনি ‘বিরক্ত’। সেই কারণেই ইস্তফা।” প্রতিবাদ জানিয়ে ট্যুইট করেছেন বিশিষ্ট কবি তসলিমা নাসরিনও। তিনি এখন দিল্লিতে থাকেন। ট্যুইটে কবি সাহিত্যিক তসলিমা জানিয়েছেন,”…বাংলার লেখক শিল্পী বুদ্ধিজীবিরা সবাই বিক্রি হয়ে গেছে। অর্থ আর ক্ষমতার কাছে তাঁরা নিজেদের সততা, ব্যক্তিত্ব আর মর্যাদাকে বিকিয়ে দিয়েছেন।”

    [tw]


    [/tw]

    ‘অবাধ্য’ সোশ্যাল মিডিয়া ও বিশিষ্টজনের প্রতিবাদে বেজায় চটেছেন রাজ্যের নাট্যকার শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, যিনি আবার বাংলা আকাদেমির সভাপতিও বটে। ব্রাত্য বলেন, “একমাত্র বাঙালিদের একটা অংশই এমন পারে! বলতে ইচ্ছে করছে, রেখেছ বাঙালি করে মানুষ করনি। অ-বাঙালিরা এমন করতেন না!” বাংলা আকাদেমির আরেক অন্যতম সদস্য কবি সুবোধ সরকারের মতে, এই পুরস্কার আসলে ‘ম্যাগসেসের মত’। “এই ত্রিবার্ষিক সম্মাননা এমন একজন সাহিত্যিককে দেওয়া হল যিনি সমাজকল্যাণে পরিবর্তনের ভূমিকা পালন করেছেন। ১১৩ গ্রন্থের লেখক, জুরি বিচারকদের বিচারে প্রথমেই ছিল কবিতা বিতান।”

    ম্যাগসেসে পুরস্কারকে (Magsaysay award) এশিয়ান নোবেলও বলা হয়। ফিলিপাইনের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি র‌্যামন ম্যাগসেসে-এর নামে এই পুরস্কার দেওয়া হয় এশিয়াবাসীদের। ১৯৫৮ সালে এই পুরস্কারের সূচনা। শাসন ব্যবস্থায় সততা, জনগণের প্রতি সাহসী সেবা এবং একটি গণতান্ত্রিক সমাজের মধ্যে বাস্তববাদী আদর্শবাদের উদাহরণ প্রতিষ্ঠিত করার জন্য পুরস্কৃত করা হয় প্রাপকদের। বিনোবা ভাবে ১৯৫৮ সালে প্রথম ভারতীয় হিসেবে ম্যাগসেসে পুরস্কার পান।

    tag: 

     

LinkedIn
Share