Tag: colony

colony

  • SIR: এসআইআর জুজুর ভয়েই কি রাতারাতি খালি হয়ে গেল গুলশন কলোনি?

    SIR: এসআইআর জুজুর ভয়েই কি রাতারাতি খালি হয়ে গেল গুলশন কলোনি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিন পাঁচেক আগেও যেখানে লাখ দুয়েক লোকের বসবাস ছিল, এখন সেখানে সার দিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে শুধুই বহুতল। কোনওটায় একজন, কোনওটায় বা দু’জনের হাতে বিএলও তুলে দিলেন এনুমারেশন ফর্ম (SIR)। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, এসআইআর জুজুতে রাতারাতি ফাঁকা হয়েছে ‘মিনি বাংলাদেশ’ (Bangladeshi) নামে খ্যাত কসবার গুলশন কলোনি। কসবার এই এলাকা প্রায়ই থাকে খবরের শিরোনামে। তবে সেসব খবর কোনও ইতিবাচক কারণে হয়, বরং নেতিবাচক কারণে সংবাদ মাধ্যমে জায়গা করে নেয় গুলশন কলোনি। এই কলোনির জনসংখ্যা কমবেশি ২ লাখ। শহর কলকাতার এই কলোনি অন্যতম স্পর্শকাতর এলাকা। কলোনি লাগোয়া এলাকার বাসিন্দাদের একটা অংশের দাবি, “গুলশন কলোনি যেন মিনি বাংলাদেশ! শুধুই বহিরাগতের ভিড়!”

    গুলি-বোমা-বন্দুকের কান ফাটানো আওয়াজ (SIR)

    এই কলোনিতে নিত্যদিনই লেগে থাকে ক্যাচাইন। সামান্য ঝুট-ঝামেলা হলেই এলাকায় শুরু হয়ে যায় দুষ্কৃতিরাজ। গুলি-বোমা-বন্দুকের কান ফাটানো আওয়াজে এবং ভয়ে ঘরে সেঁধিয়ে যায় কলোনির লোকজন। এহেন একটি কলোনিতেই শনিবার শুরু হল এসআইআর। এই কলোনির প্রায় প্রতিটি বাড়িই ৫ থেকে ৬ তলা। প্রতি ফ্লোরে রয়েছে কমপক্ষে ৪টি করে ফ্ল্যাট। পাড়া রয়েছে অনেকগুলি। এক একটি পাড়া চিহ্নিত হয়েছে ইংরেজি অ্যালফাবেট দিয়ে। এর মধ্যে ৩০৪ নম্বর পার্টে রয়েছে এম, এন, এল এবং পি – এই চারটি পাড়া। একটি বুথে বাড়ি রয়েছে হাজার আড়াই। অথচ বুথের মোট ভোটার (SIR) মাত্র ১ হাজার ৭০০ (Bangladeshi)।

    এসআইআর শুরু গুলশন কলোনিতে

    এদিন এক একটি বহুতলে ঢুকলেন বিএলও। তখনই বের হল ঝুলি থেকে বেড়াল! অতি কষ্টে কোনও একটি ফ্লোরের কোনও একটি ফ্ল্যাটে রয়েছেন একজন ভোটার। নিজের কাছে থাকা তালিকার সঙ্গে নাম মিলিয়ে দেখে নিয়ে তাঁর হাতে তুলে দিলেন এমুনারেশন ফর্ম। সেখান থেকে বেরিয়ে তিনি গেলেন পাশের বহুতলে। কিন্তু সেখানেও তো খাঁ খাঁ দশা! তাহলে কি এতদিন ধরে গুলশন কলোনিতে বসত করত বহিরাগতরাই? বিএলও ওয়াসিম আক্রম বলেন, “এক তলা থেকে চার তলায় উঠলাম। শুধু একজনের নাম পেয়েছি। আর কেউ নেই। আর পুরো যা আছে, কেউ বলছে বিহার, কেউ বলছে রিপন স্ট্রিটের বাসিন্দা। অন্য জায়গা থেকে এসে এখানে থাকছে, অথচ ভোটার কার্ড নেই (Bangladeshi)।”

    ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই এই এলাকার ভোটার নয়

    লাখ দুয়েক জনসংখ্যার এই কলোনিতে ভোটার (SIR) রয়েছেন ২০ হাজারের মতো। যার অর্থ হল, কলোনির ৯০ শতাংশ বাসিন্দাই এই এলাকার ভোটার নয়। প্রশ্ন হল, তারা কারা? কেনই বা ডেরা বেঁধেছে গুলশন কলোনিতে? এদিন বিএলও ওয়াসিম আক্রমের সঙ্গে ছিলেন কেবল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিএলএ ২ মিনাজ শেখ। দাপুটে এই তৃণমূল নেতার দাবি, “গুলশন কলোনির অনেকেই অন্য এলাকার ভোটার। কিন্তু তালিকায় ঠিকানা বদল করেননি।” তাঁর মতে, গুলশন কলোনি সম্পর্কে নেতিবাচক প্রচারই এলাকাটিকে সবার চোখে খাটো করেছে। গুলশন কলোনি এলাকাটি কলকাতা পুরসভার ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত।

    কলোনিতে বহিরাগতদের ভিড়!

    এই কলোনিতে যে বহিরাগতদের ভিড়, মাস দুয়েক আগেই তা ফাঁস করেছিলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ। এলাকায় ব্যাপক অশান্তির (SIR) প্রসঙ্গে সজল বলেছিলেন, “ওখানে কলকাতা পুলিশ দিয়ে হবে না। বাংলাদেশ পুলিশকে ডাকতে হবে। গুলশন কলোনি মানে রোহিঙ্গাদের কলোনি। তিন হাজার ভোটার রয়েছে। অথচ এলাকার বাসিন্দা ২ লাখ। এ রকম গুলশন কলোনি রাজ্যের প্রতিটি জেলায় দু-চারটে করে তৈরি হয়েছে। পুরো বেআইনি জগৎ (Bangladeshi)।” সজল যে ঘটনার প্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করেছিলেন, তা হল গত ১১ সেপ্টেম্বর ভরসন্ধেয় গুলশন কলোনিতে ব্যাপক গোলা-গুলি চলে। হয় বোমাবাজিও। কলোনির অটোস্ট্যান্ডে এসে পর পর গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। সূর্য ডোবার পরে এলাকায় আঁধার ঘনাতেই ফের শুরু হয় বোমাবাজি। ওই দিনই মাঝরাতে দুষ্কৃতীরা গিয়ে বোমা ছোড়ে স্থানীয় কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষের অনুগামীদের বাড়ি লক্ষ্য করে। সেই ঘটনার ছবি ধরা পড়ে সিসিটিভি ক্যামেরায়। স্থানীয়দের একাংশের মতে, তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই মাঝে মধ্যেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গুলশন কলোনি। বিরোধীদের অভিযোগ, ওই ঘটনার নেপথ্যে ছিল শাসক দলের বিধায়ক ঘনিষ্ঠ মিনি ফিরোজ ও তাঁর দলবল।

    বিপাকে তৃণমূল!

    প্রসঙ্গত, গুলশন কলোনি এলাকাটি কসবা বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। এই এলাকার (SIR) বিধায়ক তৃণমূলের জাভেদ আহমেদ খান। তিনি তৃণমূল পরিচালিত রাজ্য সরকারের মন্ত্রীও। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে সাড়ে ১১ হাজারের কিছু বেশি ভোটে জিতেছিলেন জাভেদ। পরের বিধানসভা নির্বাচনে সেই জাভেদই জয়ী হন ১ লাখ ২০ হাজার ৯৫৭ ভোট পেয়ে। এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী ছিলেন চিকিৎসক ইন্দ্রনীল খাঁ। এসআইআর হওয়ার পর (Bangladeshi) জাভেদের গদি টিকবে কি? আপাতত কোটি টাকার প্রশ্ন সেটাই (SIR)।

  • Scam: শৌচালয় তৈরির টাকা নিয়েও দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    Scam: শৌচালয় তৈরির টাকা নিয়েও দুর্নীতি! কোথায় দেখে নিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সরকারি চাকরিতে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্য তোলপাড় চলছে। এবার শৌচালয় দুর্নীতি সামনে এল। গরিব মানুষের বাড়িতে শৌচালয় তৈরির করার জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছিল।  ঘটা করে পুরসভার পক্ষ থেকে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্পে শৌচালয় তৈরির আশ্বাসও দিয়েছিল। উপভোক্তাদের কাছে থেকে ৮০০ টাকা করে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, বাস্তবে প্রতিশ্রুতিই সার। কাজের কাজ কিছুই হয়নি। ক্ষুব্ধ দুর্গাপুর পুরসভার ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিরসা মুন্ডা কলোনির বাসিন্দারা। অনেকেই নিজেদের উদ্যোগে পয়সা খরচ করে শৌচালয় তৈরি করেছেন, সেখানেও পুরসভার পক্ষ থেকে নির্মল বাংলা প্রকল্পের স্ট্যাম্প লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর শৌচালয়ের জন্য আসা লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতি (Scam) করা হয়েছে। স্থানীয় কাউন্সিলারকে অভিযোগ জানিয়েও কোন সুরাহা হয়নি। প্রাতঃকৃত্যের জন্য নর্দমায় একমাত্র ভরসা এলাকাবাসীর। তাঁদের দাবি, দ্রুত শৌচালয় নির্মাণ করে দিতে হবে।

     শৌচালয় দুর্নীতি নিয়ে কী চাইছেন এলাকাবাসী? Scam

    বহু বছর আগে রেলের জমিতে বিরসা মুন্ডা কলোনি গড়ে উঠেছে।  এলাকার অধিকাংশ পরিবারই দুঃস্থ। মাটি ও দরমা সহ টালি, টিনের চালের বাড়িঘর রয়েছে। ভোটার সংখ্যা প্রায় শতাধিক। ওই এলাকার বাসিন্দাদের প্রাতঃকৃত্যের জন্য একমাত্র ভরসা  এলাকার নর্দমা। ২০১৭ সালে মিশন নির্মল বাংলা প্রকল্প আসায় এলাকাবাসী এক নতুন আশার আলো দেখানো হয়। তাঁরা জানতে পারেন, এলাকার প্রতিটি বাড়িতে সরকার থেকে শৌচালয় নির্মাণ করে দেওয়া হবে। সেই মত এই প্রকল্পে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার বাড়ি বাড়ি বেশকিছু নির্মাণ সামগ্রী মজুত করে। অভিযোগ, এলাকাবাসী উৎসাহিত হয়ে ঠিকাদারের কথা মত তাঁকে ৮০০ টাকার করে জমা দেন। এর পরেই ওই নির্মাণ সামগ্রী নিয়ে এলাকা থেকে ওই ঠিকাদার উধাও হয়ে যায়। এমনিতেই এই প্রকল্পে সরকারের পক্ষ থেকে উপভোক্তাদের শৌচালয় তৈরির জন্য ১০  হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়। সেই টাকা নিয়ে ঠিকাদার কী করল? টাকা জমা দেওয়ার শৌচালয় তৈরি না হওয়ায় এখনও তাঁরা নতুন করে শৌচালয় করতে পারেননি। স্থানীয় বাসিন্দা লক্ষী মণি সোরেন বলেন, আমাদের এই এলাকায় সকলেই দিনমজুর। তার মধ্যে খুব কষ্ট করে ৮০০ টাকা জোগাড় করে দিয়েছিলাম। কিন্তু, শৌচালয় আজও হয়নি। আমি শারীরীক সমস্যার কারণে ঠিকমতো হাঁটতে পারি না। নর্দমাতে প্রাতঃকৃত্য সারতে হয়, খুব সমস্যায় আছি আমরা। মনোজ সোরেন নামে অন্য এক বাসিন্দা বলেন, এলাকায় কয়েকটি শৌচালয় করেছিল। সেগুলো নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে তৈরি করায় ভেঙে গিয়েছে। আর কিছু মানুষ শেষমেশ নিজেরা শৌচালয় তৈরি করে নেয়। তাঁদের ক্ষেত্রে শৌচালয়ে পাতলা টিনের দরজা লাগিয়ে মিশন নির্মল বাংলার স্ট্যাম্প দিয়ে ছবি তুলে নিয়ে চলে যায়। এভাবে সকলের টাকা ওরা আত্মসাৎ করে নেওয়া হয়। লক্ষ লক্ষ টাকার এই দুর্নীতির(Scam)   আমরা তদন্ত চাই।

    এলাকার তৃণমূল নেতা তথা  প্রাক্তন কাউন্সিলার শশাঙ্ক শেখর মণ্ডল বলেন, ওই এলাকায় সিপিএমের কাউন্সিলার থাকাকালীন এই দুর্নীতি (Scam) হয়েছে। এলাকাবাসী এই অভিযোগ আমাদের জানিয়েছিলেন। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব। পশ্চিম বর্ধমান জেলার সিপিএমের সম্পাদক মণ্ডলীর সদস্য পঙ্কজ রায় সরকার বলেন, ২০১২ এবং ১৭ তে পুরসভার বোর্ড ছিল তৃণমূলের। নিজেদের চুরি ঢাকতে এখন পাগলের প্রলাপ বলছে ওরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share