Tag: commission

commission

  • SIR: বাংলায় শুরু এসআইআর, জেনে নিন ভোটার তালিকায় নাম রাখতে গেলে যা করতে হবে

    SIR: বাংলায় শুরু এসআইআর, জেনে নিন ভোটার তালিকায় নাম রাখতে গেলে যা করতে হবে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ, মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) শুরু গিয়েছে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সংশোধন, সংক্ষেপে এসআইআরের (SIR) কাজ। এই এসআইআরের চূড়ান্ত তালিকা ধরেই আগামী বছর পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন করতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সোমবারই বিকেলে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হবে ২৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার থেকে। এর পরেই উঠছে নানা প্রশ্ন। এসআইআর হলে কী কী নথির প্রয়োজন? কাদের নাম তালিকা থেকে বাদ যেতে পারে? কারাই বা অবৈধ ভোটার?

    ‘এনুমারেশন’ ফর্ম (SIR)

    কমিশন সূত্রে খবর, এসআইআরের জন্য রাজ্যের প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে পৌঁছে যাবে ‘এনুমারেশন’ ফর্ম। ফর্ম পৌঁছে দেবেন বুথ লেভেল অফিসার, সংক্ষেপে বিএলওরা। এই ফর্মের সঙ্গেই কমিশনের বেঁধে দেওয়া নথি জমা দিতে হবে। ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের কোনও নথিই দিতে হবে না। ওই তালিকায় নাম থাকলেই এসআইআরে তাঁদের নাম উঠে যাবে। কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ১১টি নথির মধ্যে যে কোনও একটি এবং ২০০২ সালের তালিকায় বাবা অথবা মায়ের নাম রয়েছে, তা প্রমাণ করতে পারলেই নাম উঠবে নয়া তালিকায়।

    যে সব নথির প্রয়োজন

    কমিশন নির্দিষ্ট যে ১১টি নথির প্রয়োজন, সেগুলি হল কেন্দ্রীয় বা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন কিংবা পেনশন পান এমন পরিচয়পত্র, ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া যে কোনও নথি, জন্মের শংসাপত্র, পাসপোর্ট, মাধ্যমিক বা তার অধিক কোনও শিক্ষাগত যোগ্যতার শংসাপত্র, রাজ্য সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের দেওয়া বাসস্থানের শংসাপত্র, ফরেস্ট রাইট সার্টিফিকেট, জাতিগত শংসাপত্র, কোনও নাগরিকের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার, স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া পারিবারিক রেজিস্ট্রার এবং জমি কিংবা বাড়ির দলিল। এর বাইরেও এমন কোনও নথি যা নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে পারে, তাও গ্রহণ করা হবে। যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতো আধারকার্ড দেখানো গেলেও, তাকে নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে ধরবে না কমিশন (SIR)। অর্থাৎ, আধারের পাশাপাশি উপরের ১১টির মধ্যে যে কোনও একটি দেখাতে হবে। এখনকার ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের জন্য দু’টি করে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া হবে। এই ফর্মে ভোটারের এপিক (West Bengal) নম্বর, নাম, ঠিকানা, জন্মতারিখ-সহ ৯০ শতাংশ তথ্য ছাপা থাকবে। এই সব ফর্ম ভোটারদের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন বিএলওরা। ফর্মের বাকি অংশ পূরণ করে উপযুক্ত নথি-সহ একটি দিয়ে দিতে হবে বিএলওকে, অন্যটি থাকবে ভোটারের কাছে।

    নাম বাদ যাবে

    প্রশ্ন হল, কাদের নাম বাদ যাবে? মৃত এবং ভুতুড়ে ভোটারের নাম বাদ যাবে প্রথমেই। ২০০২ সালের ভোটার লিস্টে পরিবারের কারও নাম নেই এবং সংশ্লিষ্ট ভোটার ভারতীয় নাগরিকত্ব প্রমাণে ব্যর্থ, তাঁর নাম বাদ যেতে পারে। যাঁরা অন্যত্র চলে গিয়েছেন কিংবা যাঁদের নাম দু’টি এপিক নম্বরে দু’জায়গায় রয়েছে, তাঁদের নাম এক জায়গা থেকে বাদ পড়বে। কারচুপি করে তালিকায় নাম তোলা ব্যক্তিরা ‘অবৈধ ভোটার’। ভারতের নাগরিকত্ব প্রমাণ করতে না পারলে বাদ পড়বে এদের নামও।

    নতুন করে নাম তোলা

    প্রশ্ন হল, নতুন করে নাম তোলা যাবে কিনা? নতুন নাম অবশ্যই তোলা যাবে। যাঁদের ভোটার তালিকায় নাম নেই, তাঁদের নতুন করে ওই তালিকায় নাম তোলাতে হবে। এঁরা অবশ্য এনুমারেশন ফর্ম পাবেন না। কমিশনের ৬ নম্বর ফর্ম পূরণ করে নথিভুক্ত করতে (West Bengal) হবে নাম। কমিশনের আগের বেঁধে দেওয়া নিয়মেই তোলা যাবে নতুন করে নাম (SIR)।

    ভোটার লিস্ট

    প্রশ্ন হল, ২০০২ সালের ভোটার লিস্ট কোথায় মিলবে? সিইও দফতরের ওয়েবসাইটে ওই লিস্ট প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সময়কার বিধানসভা এলাকা অনুযায়ী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছিল। এবার সেখান থেকেই ভোটগ্রহণ কেন্দ্র মিলিয়ে নাম রয়েছে কি না, তা যাচাই করতে পারবেন ভোটাররা। ভোটাররা প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলের বুথ লেভেল এজেন্টদের সাহায্য নিতে পারবেন।

    প্রশিক্ষণের কাজ শুরু 

    মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে প্রশিক্ষণের কাজ, চলবে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। ৪ নভেম্বর থেকে পরবর্তী এক মাস ধরে চলবে এনুমারেশন ফর্ম দেওয়া-নেওয়ার কাজ। ৯ ডিসেম্বর প্রকাশিত হবে খসড়া ভোটার তালিকা। কোনও সমস্যা হলে অভিযোগ জানানো যাবে আগামী বছরের ৮ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই পর্বেই শুরু হয়ে যাবে বাড়ি বাড়ি ভেরিফিকেশনের কাজ। এই কাজ শুরু হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে, চলবে নতুন বছরের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। ৭ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা (SIR)।

    ম্যাপিংয়ের কাজ

    বর্তমানে বাংলায় ভোটারের সংখ্যা প্রায় ৭ কোটি ৬৫ লাখ। ২০০২ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪ কোটি ৫৮ লাখ। অর্থাৎ ভোটার (West Bengal) বেড়েছে তিন কোটির কিছু বেশি। এর ওপর ভিত্তি করেই এসআইআর করতে চলেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। ২০০২ সালের সঙ্গে ২০২৫ সালের ভোটার তালিকা মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। দুই তালিকায়ই যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা ম্যাপিংয়ের আওতায় আসছেন। এই অর্থ হল, এই ভোটারদের চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা যে ভারতীয়, সে বিষয়ে একপ্রকার নিশ্চিত কমিশন। তাঁদের নাগরিকত্বের প্রমাণ হিসেবে কোনও নথি জমা দেওয়ার প্রয়োজন নেই (SIR)।

    শেষবার এসআইআর

    প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গে শেষবার এসআইআর হয়েছিল ২০০২ সালে, বাম জমানায়। সেবারের সংশোধিত তালিকার (SIR) সঙ্গে রাজ্যের ভোটার তালিকার ম্যাপিংয়ের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। এই এসআইআর করেই সব ভোটারের নাম নতুনভাবে নথিভুক্ত করা হবে। সংবিধান অনুযায়ী, নির্বাচন কমিশন এসআইআর করতেই পারে। এই পদ্ধতির মাধ্যমে রাজ্য তথা দেশের ভোটার তালিকায় কোনও ভুয়ো ভোটার বা ভুতুড়ে ভোটার বা একই নামের ভোটার দু’জায়গায় রয়েছেন কিনা কিংবা তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে কেউ মারা গিয়েছেন কিনা – এসবই সংশোধন করার এক বিশেষ প্রক্রিয়াই হল এসআইআর।

    এসআইআরে অংশ না নিলে?

    প্রশ্ন হল, এসআইআরে অংশ না নিলে কী সমস্যা হতে পারে? জানা গিয়েছে, এসআইআর হলে ২০২৬ সালে যে নয়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন, তাতে নাম থাকবে না। স্বাভাবিকভাবেই তিনি অংশ নিতে পারবেন না ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে। জাতীয় নির্বাচন কমিশন যে ভোটার তালিকা প্রকাশ করবে বিধানসভা নির্বাচনের আগে, তাতে নাম রাখতে গেলে অংশ নিতেই হবে এসআইআর প্রক্রিয়ায় (SIR)।

    বাদ পড়তে পারে ১ কোটি নাম

    পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর হলে বাদ পড়তে পারে প্রায় এক কোটি নাম। যদিও এ বিষয়ে নির্দিষ্ট কোনও তথ্য কমিশনের কাছে নেই। তবে কমিশনের আধিকারিকদের একাংশের অনুমান, নয়া ভোটার তালিকা থেকে বাদ পড়তে পারে কমবেশ এক কোটি নাম। তাঁদের যুক্তি, ২০০২ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত বছরের হিসেব ধরলে মৃত এবং অন্যত্র চলে গিয়েছেন, এমন ভোটারের সংখ্যা অন্তত ৭৫ লাখ। এর সঙ্গে গত ২৩ বছরে অবৈধ ভোটারের সংখ্যাটা যোগ করলে দেখা যাবে বাদের খাতায় (West Bengal) নামের গণ্ডী ছাড়িয়েছে কোটির ঘর। যদিও এটা নিছকই অনুমান মাত্র। কমিশনের দেওয়া তথ্য নয়।

    কমিশন সূত্রে খবর, বিএলও নিয়োগ নিয়ে কিছু অসুবিধা থাকলেও, বাকি সব প্রস্তুতি সারা হয়ে গিয়েছে বলে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারকে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের সিইও মনোজ আগরওয়াল (SIR)।

  • SIR: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার দায়বদ্ধতার কথা জানে, পালনও করবে”, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    SIR: “পশ্চিমবঙ্গ সরকার তার দায়বদ্ধতার কথা জানে, পালনও করবে”, বললেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার থেকে পশ্চিমবঙ্গে শুরু হচ্ছে এসআইআর (SIR)। এ ব্যাপারে পশ্চিমবঙ্গ তথা তৃণমূলের আপত্তি নিয়ে এদিন কমিশনের (Election Commission) সাংবাদিক বৈঠকেই প্রশ্ন উঠেছিল। তবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার এখনই কোনও চাপানউতোর বা বিতর্কে ঢুকতে চাননি। শুধু আইনের একটি ধারার কথা মনে করিয়ে দেন।

    মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য (SIR)

    সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের ব্যাপারে প্রশ্ন নিয়ে একটা কথাই বলতে চাই – ভারতের সংবিধানের ৩২৪ (৬) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি বা সংশ্লিষ্ট রাজ্যের রাজ্যপাল নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মী নির্বাচন কমিশনারের কাছে সরবরাহ করতে বাধ্য। এই কর্মীরা নির্বাচন পরিচালনা, ভোটার তালিকা প্রস্তুত ইত্যাদি কাজে নিয়োজিত থাকেন। আবার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার দায়িত্ব রয়েছে রাজ্য সরকারের। আমি মনে করি, পশ্চিমবঙ্গ সরকার সেই দায়বদ্ধতার কথা জানে, এবং তা পালন করবে।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এসআইআর প্রক্রিয়া বাংলায় শুরু করতে চলেছে নির্বাচন কমিশন। এ ব্যাপারে নীতিগতভাবে আপত্তি জানাচ্ছে বাংলায় শাসক দল তৃণমূল। জোড়াফুলের সাংসদদের একাংশ এবং তৃণমূলের কিছু নেতাও এসআইআর নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের অরাজনৈতিক নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা উচিত। বিজেপির প্রভাবে কোনওভাবে প্রভাবিত হয়ে যদি কোনও বৈধ ভোটারকে বাদ দিতে চান, তখন সাংবিধানিকভাবে তার প্রতিবাদ হবে।”

    কুণালের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে (SIR) বিজেপির মুখপাত্র জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূল এখন যে কথা বলছে, তাতে একটা কথাই বলতে পারি, এসআইআর নিয়েও পাল্টি খেল তৃণমূল। গতকাল পর্যন্ত তৃণমূলের অবস্থান ছিল, পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর করতে দেব না। আর আজ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের ঘোষণার পর তৃণমূল বলছে, এসআইআর নিয়ে বিজেপির প্ররোচনায় পা দেবেন না। তার মানে আইন মেনে এসআইআরে অংশ নিচ্ছে। বিজেপি কোনওদিন এসআইআর নিয়ে প্ররোচনা দেয়নি (Election Commission)। বিজেপি বলেছে, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী, অবৈধ ভোটারের নাম বাদ দিতে হবে (SIR)।”

  • Bihar Electoral Rolls: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস,” সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন

    Bihar Electoral Rolls: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস,” সুপ্রিম কোর্টে জানাল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আধার কার্ড নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, রেশন কার্ড বোগাস, সচিত্র ভোটার পরিচয়পত্রও ভারতীয় নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়।” বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Electoral Rolls) আগে তালিকা সংশোধনের কাজ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) সাফ জানিয়ে দিল ভারতের নির্বাচন কমিশন। কমিশনের মতে, সেই কারণে এই সব নথি ভোটার তালিকায় নাম থাকার জন্য বাধ্যতামূলক প্রমাণ হতে পারে না।

    নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার অধিকার আছে কমিশনের (Bihar Electoral Rolls)

    শীর্ষ আদালতকে নির্বাচন কমিশন এও জানিয়েছে, বিহারের বিশেষ ভোটার তালিকা সংশোধনের কাজে নাগরিকত্বের প্রমাণ চাওয়ার অধিকার ও কর্তৃত্ব তাদের আছে। একগুচ্ছ আবেদনের প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালতের তলব করা প্রতি-হলফনামায় একথা জানিয়েছে কমিশন। আবেদনকারীদের দাবি ছিল, ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে কমিশন নিজের এক্তিয়ারের বাইরে গিয়ে কাজ করছে। তার জবাবে কমিশন বলেছে, একমাত্র ভারতীয় নাগরিকরাই ভোটার তালিকায় নাম তুলতে পারবেন এবং তা দেখা, পর্যালোচনার একমাত্র বিধিবদ্ধ দায়বদ্ধতা রয়েছে কমিশনেরই।

    ভোটার তালিকায় নাম থাকার ন্যূনতম যোগ্যতা

    কমিশন দেশের শীর্ষ আদালতকে এও জানিয়েছে, দেশের ভোটার তালিকায় নাম থাকার (Bihar Electoral Rolls) ন্যূনতম যোগ্যতা হচ্ছে তাঁকে ভারতের নাগরিক হতে হবে। যে কারণে কমিশনের কর্তব্য ও দায়িত্ব হল, সেই শর্ত পূরণ হচ্ছে কিনা, তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার করা। ভোটার তালিকা সংশোধনের নামে বহু নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। এই অভিযোগের জবাবে কমিশন আদালতকে জানিয়েছে, ভোটার রেজিস্ট্রেশন অফিসার যখন দেখছেন কোনও ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকার কোনও যোগ্যতা নেই, তখনই তাঁদের নাম বাদ যাচ্ছে। তাই এক্ষেত্রে বৈষম্যের যে অভিযোগ উঠছে, তার কোনও ভিত্তিই নেই।

    দেশের শীর্ষ আদালতে কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, তাদের একমাত্র লক্ষ্য হল ভারতের নাগরিক নন, এমন ব্যক্তির নাম তালিকা থেকে বাদ দেওয়া। এই কাজের জন্য নাগরিকত্ব আইন, ১৯৫৫ মোতাবেক তাদের সেই ক্ষমতা রয়েছে। ভোটার কার্ড সম্পর্কে নির্বাচন কমিশন সাফ জানিয়ে দিয়েছে, “সচিত্র পরিচয়পত্র তার স্বাভাবিক বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী, কেবলমাত্র ভোটার তালিকার বর্তমান অবস্থা প্রতিফলিত করে এবং এটি নিজে থেকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তির আগের যোগ্যতা প্রমাণ করতে পারে না।”

    কমিশনের সওয়াল শোনার পর সুপ্রিম কোর্ট এই (Supreme Court) মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছে ২৮ জুলাই (Bihar Electoral Rolls)।

LinkedIn
Share