Tag: Communist Hypocrisy

  • Communist: ‘‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে খুন বাসবরাজু’’! কমিউনিস্ট দলগুলির বিবৃতিতে ফের দেশদ্রোহিতার প্রতিফলন

    Communist: ‘‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে খুন বাসবরাজু’’! কমিউনিস্ট দলগুলির বিবৃতিতে ফের দেশদ্রোহিতার প্রতিফলন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছত্তিশগড়ে মাওবাদী দমন অভিযানে মিলেছে বড়সড় সাফল্য। খতম হয়েছে তাদের শীর্ষ নেতা বাসবরাজু। দেশের ভিতরে উগ্র বামপন্থাকে (Communist) এমন যোগ্য জবাব দেওয়ার পরে সেনা জওয়ানরা উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। সামনে এসেছে সেই ভিডিও। এমন পরিস্থিতিতে দেশের বামপন্থী দলগুলির অবস্থান তা একবার ফের তাদের দেশদ্রোহিতার মুখোশকেই উন্মোচন করল। সিপিআই ও সিপিএমের মতো দলগুলির বিবৃতিতেই স্পষ্ট যে তার ভারতের সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা এবং একটি শান্তিপূর্ণ জাতীয় জীবনের বিরোধী।

    সিপিআই এবং সিপিআইএম এই দুই দলই ঐতিহাসিকভাবে চিনপন্থী

    সিপিআই এবং সিপিআইএম এই দুই দলই ঐতিহাসিকভাবে চিনপন্থী। মাওবাদী দমন অভিযানের পরেও তাদের বিবৃতিতেও স্পষ্ট হয়ে উঠল যে তারা এখনও পর্যন্ত ভারতীয় হয়ে উঠতে পারেনি। এভাবেই তারা নিন্দা জানাল বাহিনীর গুলিতে খতম হওয়া নিষিদ্ধ মাওবাদী সংগঠনের নেতা নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজুর। প্রসঙ্গত, বাসবরাজু ছিলেন মাওবাদী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক (Communist)। ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। সাধারণ মানুষদের হত্যা, সেনা জওয়ানদের হত্যা একাধিক অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ছিল। এই ভারত রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিল, সেই সিপিআই (মাওবাদী) নেতাকে যখন খতম করা হল, তখন তারই সমর্থনে এগিয়ে এল এবং নিন্দা জানাল সিপিআই ও সিপিএম।

    কমিউনিস্ট পার্টির বিবৃতিতে জাতীয়তা-বিরোধিতার ছায়া (Communist)

    এদের মধ্যে সিপিএম তাদের নিজেদের বিবৃতিতে জানিয়েছে, অমানবিক নীতি গ্রহণ করেই এই হত্যাকাণ্ড চালানো হয়েছে। সিপিআই এটাকে ‘বিচার বহির্ভূত’ পদক্ষেপ বলে ঘোষণা করেছে। ‘‘ঠান্ডা মাথায় বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড’’ বলে উল্লেখ করেছে তারা। কমিউনিস্ট পার্টির সর্বদাই অধিকারের কথা বলে। খুব সত্যি কথা বলতে তারা এ নিয়ে ভন্ডামি করে। কমিউনিস্ট পার্টি অধিকারের কথা মাওবাদীদের জন্য বলে কিন্তু মাওবাদী হামলায় মৃতদের জন্য অধিকারের কথা বলে না। প্রসঙ্গত, বামপন্থীদের এমন বিবৃতি শুধুমাত্র একটি রাজনৈতিক বিবৃতি নয়। এর মাধ্যমে অপমান করা হয়েছে সেই শত শত জওয়ানদেরকে। যাঁরা তাঁদের নিজেদের উৎসর্গ করেন দেশের জন্য!

    ২০১০ সালে দান্তেরওয়াড়াতে ৭৬ জন জওয়ান শহিদ হন, বাসবরাজু ছিল হামলার মূলচক্রী

    একথা বলা দরকার, বাসবরাজু (Basavaraju) শুধুমাত্র একজন নেতা নয়, সে ছিল অপারেশনাল হেড এবং মাস্টারমাইন্ড। ২০১০ সালে দান্তেরওয়াড়াতে ৭৬ জন শহিদ হন। বাসবরাজু ছিল এই মাওবাদী হামলার মূলচক্রী। বাসবরাজুর নেতৃত্বে ২০১৩ সালে ছত্তিশগড়ের ঝিরানকাটে গণহত্যা ঘটানো হয়। সেখানেও অজস্র রাজনৈতিক নেতাকে খুন করা হয়। যদি কমিউনিস্ট নেতারা মনে করেন, বাসবরাজুকে খতম করার ঘটনা বিচার বহির্ভূত, তাহলে তারা মাওবাদী গণহত্যাকে কোন চোখে দেখেন? প্রসঙ্গত, দেশের বামপন্থী দলগুলি ভারতীয় সেনাকে লেঠেল বলেও সম্বোধন করে। কমিউনিস্ট পার্টি (Communist) কখনও ভারতীয় সেনা জওয়ানদের আত্মত্যাগকে মর্যাদাও দেয় না। এভাবেই ভারতীয় সেনা জওয়ানদের মর্যাদার ওপরে আঘাত করে তারা। দেশের সেনাবাহিনী সম্পর্কে কমিউনিস্টরা প্রশ্ন তুলছে। যাঁরা আমাদের গণতন্ত্রকে রক্ষা করছেন, দেশের ঐক্যকে রক্ষা করছেন, অখণ্ডতাকে রক্ষা করছেন।

    নাগরিক হত্যার সময় চুপ থাকে বামপন্থী দলগুলি (Communist)

    এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে যেই রাজনৈতিক দলগুলি সংবিধানের আওতায় থেকে কাজ করছে। কিন্তু তারা সেই ধরনের কথাই বলছে যা সংবিধানের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। কারণ দেশের সংবিধানের কথা কমিউনিস্ট দলগুলির (Communist) তখনই মনে পড়ে যখন তারা নিজেদের অ্যাজেন্ডাকে বাস্তবায়িত করতে পারে। নিরীহ নাগরিকদের ওপর গণহত্যা চালায়। যখন নাগরিকদেরকে হত্যা করা হয় তখন সংবিধানের কথা এই বামপন্থী দলগুলোর মনে পড়ে না। কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া এবং কমিউনিস্ট পার্টি অফ ইন্ডিয়া (মার্কসবাদ-লেনিনবাদ) তারা সরাসরি এই অপারেশনকে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস বলে অভিহিত করেছে। প্রসঙ্গত, মাওবাদীদের উপস্থিতি ভারতবর্ষের অনুন্নয়নের একটি বড় কারণ।

    অনুন্নয়নকে কাজে লাগায় মাওবাদীরা

    দেখা যাচ্ছে, সড়কের অভাব, রেল যোগাযোগের অভাব, অনুন্নয়ন- এইগুলোই বেকারত্ব বাড়ায় যা মাওবাদীরা ব্যবহার করে। এভাবেই নিজেদের অ্যাজেন্ডাকে কাজে লাগায় তারা। মোদি জমানায় উন্নত হচ্ছে মাওবাদী প্রাভাবিত অঞ্চলগুলি। সেখানে পায়ের তলায় জমি হারাচ্ছে তাই মাওবাদীরা। বাসবরাজুর মতো গুরুত্বপূর্ণ মাওবাদী নেতাকে খতম করা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অনেক বড় মাইলস্টোন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। অপারেশন ব্ল্যাক ফরেস্টে ২৭ জন মাওবাদীকে খতম করা গিয়েছে। সন্ত্রাসমুক্ত দেশ গড়তে মোদি সরকারের এমন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাচ্ছেন সকলেই।

LinkedIn
Share