Tag: congress

congress

  • Pralhad Joshi: ক্ষমতায় থাকতে বিনামূল্যে কংগ্রেস কেন রেশন দেয়নি? তোপ প্রহ্লাদ যোশীর

    Pralhad Joshi: ক্ষমতায় থাকতে বিনামূল্যে কংগ্রেস কেন রেশন দেয়নি? তোপ প্রহ্লাদ যোশীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লকডাউনের সময় থেকেই দেশের প্রায় ৮০ কোটি মানুষের জন্য বিনামূল্যে রেশন পরিষেবা চালু করেছে মোদি সরকার। লোকসভা নির্বাচনের মাঝেই কংগ্রেসের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে জানান, ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে প্রত্যেককে বিনামূল্যে ১০ কেজি করে চাল-গম দেওয়া হবে। এ নিয়েই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi)। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘ইউপিএ সরকারের আমলে ১০ বছরে কংগ্রেস মানুষকে বিনা পয়সায় কেন ১০ কেজি আনাজ দিল না?’’

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী? 

    সাংবাদিক বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Pralhad Joshi) বলেন, ‘‘এখন ১০ কেজি চালের কথা বলছেন। অথচ ইউপিএ সরকারের সময় ১০ বছরে কংগ্রেস মানুষকে বিনা পয়সায় কেন ১০ কেজি আনাজ দিলেন না? কংগ্রেস দারিদ্র্য নিয়ে বলছে, অথচ আমি ওদের আইএমএফের রিপোর্ট তুলে ধরেই বলতে চাই এনডিএ সরকার ১৩ কোটি মানুষকে দারিদ্র্যসীমা থেকে বের করে এনেছে। ইন্ডি গঠবন্ধন মানে ঝুট আর লুট। মিথ্যা আর লুঠ করা।’’

    স্বাতী মালিওয়াল নিগ্রহকাণ্ড

    অন্যদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়িতে দলেরই সাংসদ স্বাতী মালিওয়ালের নিগ্রহকাণ্ডে কেজরিওয়াল সরকারকে এক হাত নেন প্রহ্লাদ যোশী (Pralhad Joshi)। তিনি এই ঘটনাকে অত্যন্ত নিন্দনীয় আখ্যা দিয়ে জানিয়েছেন, একজন রাজ্যসভার সাংসদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এমনটা হতে পারে তা তিনি ভাবতেও পারেন না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: দেশে চলছে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ, কোন কোন আসনে নির্বাচন, হেভিওয়েট কারা?

    Lok Sabha Elections 2024: দেশে চলছে পঞ্চম দফার ভোটগ্রহণ, কোন কোন আসনে নির্বাচন, হেভিওয়েট কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ সোমবার ২০ মে ভোট (Lok Sabha Elections 2024) রয়েছে দেশের ছয়টি রাজ্য এবং দুটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে। মোট ৪৯টি লোকসভা আসনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন পঞ্চম দফায়। বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সাংসদ সহ ৬৯৫ জন প্রার্থীর ভাগ্য নির্ধারিত হবে। আজকে ভোট রয়েছে মহারাষ্ট্র, বিহার, জম্মু ও কাশ্মীর, ঝাড়খন্ড, লাদাখ, ওড়িশা, উত্তর প্রদেশ ও পশ্চিমবঙ্গে। চলতি বছরের ১৬ মার্চ নির্বাচন কমিশন লোকসভা ভোটের দামামা বাজিয়েছিল। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ হয়েছিল ১৯ এপ্রিল। সপ্তম দফায় শেষ ভোট গ্রহণ (Lok Sabha Elections 2024) হবে ১ জুন। ষষ্ঠ দফার ভোট গ্রহণ রয়েছে ২৫ মে। ভোট গণনা হবে ৪ জুন। অন্যান্য দফার মত আজকেও সকাল সাতটা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হবে এবং তা চলবে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত।

    কোন কোন আসনে ভোট আজ

    মহারাষ্ট্র: ১৩ আসনে ভোট (Lok Sabha Elections 2024) আজ। এগুলি হল- মুম্বই উত্তর, মুম্বই উত্তর-পশ্চিম, মুম্বই উত্তর-পূর্ব, মুম্বই উত্তর-মধ্য, মুম্বই দক্ষিণ-মধ্য, মুম্বই দক্ষিণ, থানে, কল্যাণ, পালঘর, ধুলে, ডিন্ডোরি, নাসিক, ভিওয়ান্ডি

    উত্তরপ্রদেশ: ১৪টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট আজ। এগুলি হল- লখনউ, আমেঠি, রায়বরেলি, মোহনলালগঞ্জ, জালাউন, ঝাঁসি, হামিরপুর, বান্দা, কৌশাম্বি, ফতেহপুর, গোন্ডা, বারাবাঙ্কি, ফৈজাবাদ, কায়সারগঞ্জ

    পশ্চিমবঙ্গ: ৭ আসনে ভোট আজ। এগুলি হল- হাওড়া, হুগলি, আরামবাগ, বনগাঁ, বারাকপুর, শ্রীরামপুর, উলুবেড়িয়া

    বিহার: ৫ আসনে ভোট আজ। এগুলি হল- মুজাফফরপুর, মধুবনি, হাজিপুর, সীতামারহি, সরণ

    জম্মু ও কাশ্মীর: বারামুল্লা লোকসভা আসনে ভোট

    লাদাখ: লাদাখ লোকসভা আসনে ভোট আজ

    ঝাড়খণ্ড: ৩টি লোকসভা আসনে ভোট আজ। এগুলি হল- চাতরা, কোডারমা, হাজারীবাগ

    ওড়িশা: ৫টি লোকসভা কেন্দ্রে ভোট আজ। এগুলি হল- বারগড়, সুন্দরগড়, বোলাঙ্গির, কান্ধমাল, আস্কা

    উল্লেখযোগ্য প্রার্থী কারা (Lok Sabha Elections 2024)

    রাহুল গান্ধী (কংগ্রেস): রায়বরেলি

    দীনেশ প্রতাপ সিং (বিজেপি): রায়বরেলি

    স্মৃতি ইরানি (বিজেপি): আমেঠি

    কিশোরী লাল শর্মা (কংগ্রেস): আমেঠি

    রাজনাথ সিং (বিজেপি): লখনউ

    পীযূষ গোয়াল (বিজেপি): উত্তর মুম্বই

    চিরাগ পাসওয়ান (এলজেপি): হাজিপুর

    করণ ভূষণ সিং (বিজেপি): কায়সারগঞ্জ

    রাজীব প্রতাপ রুডি (বিজেপি): শরণ

    রোহিণী আচার্য (আরজেডি): শরণ

    ওমর আবদুল্লা (জেকেএনসি): বারামুল্লা

    অরবিন্দ সাওয়ান্ত (এসএসইউবিটি): মুম্বই দক্ষিণ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “কংগ্রেসের মাওবাদী ইস্তাহার রূপায়িত হলে দেউলিয়া হয়ে যাবে দেশ”, বললেন মোদি

    PM Modi: “কংগ্রেসের মাওবাদী ইস্তাহার রূপায়িত হলে দেউলিয়া হয়ে যাবে দেশ”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেসের মাওবাদী ইস্তাহার যদি রূপায়িত হয়, তাহলে দেউলিয়া হয়ে যাবে দেশ।” শুক্রবার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে ঠিক এই ভাষায়ই বিরোধীদের নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তাঁর সতর্কবার্তা, “এই ইস্তাহারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হলে, থমকে যাবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, দেশ হয়ে যাবে দেউলিয়া।” এদিন মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কের এক জনসভায় ভাষণ দিচ্ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে মুম্বইবাসীর সঙ্গে প্রতারণা করায় তিনি নিশানা করেন ইন্ডিয়া-অগাড়ি জোটকেও।

    কংগ্রেসকে নিশানা মোদির (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস তার অস্তিত্ব বাঁচানোর জন্য লড়াই করছে। নিজেকে বাঁচাতে সে যত দূর যেতে হয়, যেতে পারে। এর ইস্তাহারের শ্যেনদৃষ্টি মন্দির থেকে সোনা নিয়ে নেওয়ার, মহিলাদের গলা থেকে মঙ্গলসূত্র খুলে নেওয়ার দিকে।” এর পরেই তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেসের এই মাওবাদী ইস্তাহার থমকে দেবে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন-রথের চাকা। দেশকে ঠেলে দেবে দেউলিয়ার পথে।” কংগ্রেসের নজর যে কেবলই ভোটব্যাঙ্কের দিকে, এদিন ফের একবার সেকথা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী।

    ভোট-জিহাদের দাবি!

    তিনি বলেন, “গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি দেশে ৫০ শতাংশ উত্তরাধিকার ট্যাক্স বসানোর ছকও কষছে। এই রাজনৈতিক দলটি আপনার সম্পদের ওপর এক্স-রে চালাবে। এবং পরে তা হস্তান্তরিত করে দেবে তাদের ভোটব্যাঙ্কের হাতে। এরাই ভোট-জিহাদের দাবিতে সুর চড়ায়।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মোদির দশ বছরের একটা রিপোর্ট কার্ড রয়েছে। আগামী পঁচিশ বছরের জন্য রয়েছে রোডম্যাপ। আর অন্যদিকে, ইন্ডি জোটের দিকে তাকান, দেখবেন কেবলই রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী।”

    আর পড়ুন: ইউ টার্ন আমেরিকার! “ভারতে রয়েছে ভাইব্র্যান্ট ডেমোক্রেসি”, বললেন মার্কিন কর্তা

    তিনি বলেন, “রাম মন্দির নির্মাণের মতো অসাধ্য সাধনও করেছে বিজেপি, জম্মু-কাশ্মীর থেকে রদ করেছে ৩৭০ ধারা। এসবই হয়েছে বিজেপি জমানায়।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সব মাইলস্টোনগুলি এক সময় অসম্ভব মনে হলেও, সম্ভব হয়েছে আপনাদের একটি একটি করে ভোটে।” টিনসেল টাউনে জঙ্গি হামলা ও মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বম্বব্লাস্টের কথাও মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। ২০১৪ সালের পর থেকে দেশের পাশাপাশি মুম্বইয়ে কী কী পরিবর্তন ঘটেছে, তা মনে রেখে ২০ ভোট দেওয়ার আহ্বানও জানান মোদি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘৪ জুনের পর ইন্ডি জোট ভেঙে যাবে খটাখট…’’, রাহুলের মন্তব্যের জবাব মোদির

    PM Modi: ‘‘৪ জুনের পর ইন্ডি জোট ভেঙে যাবে খটাখট…’’, রাহুলের মন্তব্যের জবাব মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর বক্তৃতার পাল্টা জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ে একটি নির্বাচনী সমাবেশে ভাষণ দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কটাক্ষ করেন কংগ্রেস নেতাকে। 

    রাহুল গান্ধীর মন্তব্য 

    গত বৃহস্পতিবার কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দাবি (Rahul Gandhi’s Viral Speech) করেছিলেন যে একবার তার দল কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরে, দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করবে। এদিন রাজস্থানে তার নির্বাচনী সমাবেশের সময়, কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন যে তার দল ‘খটাখট’ দারিদ্র্যপীড়িত পরিবারের একজন মহিলার অ্যাকাউন্টে ১ লাখ টাকা স্থানান্তর করে দেশ থেকে দারিদ্র্য দূর করবে।    

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় রাম মন্দিরের পর এবার বিহারে সীতার মন্দির! নির্বাচনের মধ্যেই বড় ঘোষণা শাহের

    প্রধানমন্ত্রীর জবাব (PM Modi) 

    এবার রাহুল গান্ধীর সেই ভাইরাল বক্তৃতা (Rahul Gandhi’s Viral Speech) প্রসঙ্গে মোদি বলেন, “সমাজবাদী পার্টি এবং কংগ্রেসের (Congress) ‘শেহজাদারা’ উন্নয়নকে ‘গুলিডান্ডা খেলার’ মত মনে করেন। কংগ্রেস এবং সমাজবাদী পার্টির দুই ‘শেহজাদা’ প্রাসাদে জন্মেছেন। তাই ওঁরা কঠিন কাজ করতে পারেন না। সেই কারণে উন্নয়ন ‘খটাখট’ হয় বলেই মনে করেন অখিলেশ যাদব, রাহুল গান্ধীরা। শুধু তাই নয়, যারা রুপোর চামচ নিয়ে জন্মেছে তারা দেশ চালাতে পারে না। রাহুল গান্ধী, অখিলেশ যাদবরা মনে করেন, দেশের উন্নয়ন এমনি এমনি হয়ে যায়। দেশ থেকে তাঁরা ‘খটাখট’ গরীবিও মুছে ফেলবেন বলে মনে করেন।”

    তাই ওঁরা যেমনই মনে করুন না কেন, ৪ জুনের পর যারা বলেছে তারা দারিদ্র্য দূর করবে, উন্নয়ন নিয়ে আসবে, রায়বেরিলির মানুষও ওঁদের ‘খটাখট’ বাড়িতে পাঠিয়ে দেবেন বলে কাটক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী। কারণ, কেরলের ওয়েনাড়ের পাশাপাশি এবার উত্তরপ্রদেশের রায়বেরিলি থেকেও মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। আর আগামী ৪ জুন রয়েছে এবছরের লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশ। এই প্রসঙ্গেই মোদি বলেন, ‘‘অমেঠি থেকে চলে গিয়েছেন। এবার রায় বরেলি থেকেও চলবে যাবেন। ৪ জুনের পর ইন্ডি জোট ভেঙে যাবে খটাখট খটাখট।’’
     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “পাকিস্তান যদি চুড়ি না পরে, আমরা পরাব”, ‘ইন্ডি’ নেতাদের জবাব মোদির

    PM Modi: “পাকিস্তান যদি চুড়ি না পরে, আমরা পরাব”, ‘ইন্ডি’ নেতাদের জবাব মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “পাকিস্তান যদি চুড়ি না পরে, আমরা তাদের পরাব।” সোমবার এই ভাষায়ই ইন্ডিয়া ব্লকের নেতা ফারুক আবদুল্লা ও মণিশঙ্কর আইয়ারের ‘পাকিস্তান-স্তুতি’র জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।সম্প্রতি প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং বলেছিলেন, “পাক-অধিকৃত কাশ্মীর আমরা ফিরিয়ে আনবই।”

    কী বলেছিলেন ফারুক?

    দিন কয়েক আগে তারই জবাব দিয়েছিলেন ইন্ডি জোটের শরিক দল ন্যাশনাল কনফারেন্স নেতা ফারুক আবদুল্লা। তিনি বলেছিলেন, “প্রতিবেশি দেশ(পাকিস্তান) হাতে চুড়ি পরে বসে নেই।” এদিন বিহারের মুজফফরপুরের জনসভায় ফারুকের এই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করেছেন প্রধানমন্ত্রী। ফারুকের নাম না নিয়েই তিনি বলেন, “পাকিস্তান যদি চুড়ি না পরে, আমরা তাদের পরাব। তাদের কাছে ময়দা নেই, বিদ্যুৎ নেই। এখন আমি জেনেছি যে, তাদের চুড়িরও অভাব রয়েছে।”

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ইন্ডিয়া ব্লকে বোধহয় এমন কিছু নেতা রয়েছেন যাঁরা পাকিস্তানের ভয়ে ভীত। পাকিস্তানে পারমাণবিক অস্ত্র রয়েছে এমন দুঃস্বপ্নও দেখেন তাঁরা।” ফারুকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় যে ইন্ডি জোটের আরও এক শরিক কংগ্রেসের মণিশঙ্কর আইয়ারও, তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। দিন কয়েক আগে প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা বলেছিলেন, “পারমাণবিক বোমা থাকায় ভারতের উচিত পাকিস্তানকে সমঝে চলা।” কংগ্রেসের এই নেতার মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “কংগ্রেস জনগণের মধ্যে ভয়ের বাতাবরণ সৃষ্টি করতে চাইছে। কংগ্রেসের এই ভীরু মনোভাবই আগে সীমান্তে সন্ত্রাসবাদকে উৎসাহিত করেছিল।” নিম্নমানের হওয়ায় পাকিস্তানের পরমাণু বোমা যে কেউ কিনছে না, সেকথাও জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।   

    আরও পড়ুুন: চতুর্থ দফায় ভোট পড়ল প্রায় ৬৩ শতাংশ, বাংলায় ছাপ্পা রুখল এআই

    এই সভার আগে প্রধানমন্ত্রী জনসভা করেন হাজিপুরে। সেখানেও তাঁর চাঁদমারি ছিলেন বিরোধী নেতারা। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা দেশের গরিব মানুষের টাকা। আমি আপনাদের বলব, ইডির মতো সংস্থা ব্যবস্থা নিতেই কেন তাঁরা কান্নাকাটি শুরু করেছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “পূর্বতন কংগ্রেস জমানায় ইডি উদ্ধার করেছিল মাত্র ৩৫ লাখ টাকা। এই পরিমাণ টাকা স্কুল ব্যাগেই রাখা যায়। আর আমাদের জমানায় সংস্থা উদ্ধার করেছে ২ হাজার ২০০ কোটি টাকা। এই পরিমাণ টাকা বয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজন ৭০টি ছোট ট্রাকের (PM Modi)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: “তিনি কি ইন্ডি জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী?”, রাহুলকে প্রশ্ন স্মৃতির

    PM Modi: “তিনি কি ইন্ডি জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী?”, রাহুলকে প্রশ্ন স্মৃতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) বিতর্কে আহ্বান করেছিলেন তিনি। দেশে চলছে অষ্টাদশতম লোকসভা নির্বাচন। এমতাবস্থায় বিতর্কের আহ্বান কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর। রাহুলের সেই আহ্বানের প্রেক্ষিতেই তাঁকে কার্যত ধুয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দ্বৈরথের ক্ষমতা রাহুলের রয়েছে কিনা, সে প্রশ্নও তুললেন স্মৃতি। একদা কংগ্রেসে ঘাঁটি আমেঠিতেই যিনি দাঁড়াতে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন, সেই তিনিই কিনা বিতর্ক সভায় প্রধানমন্ত্রীকে আহ্বান করেছেন শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।

    আমেঠিতে ধরাশায়ী রাহুল (PM Modi)

    ২০০৪ সাল থেকে আমেঠিতে ধারাবাহিকভাবে জয়ী হয়ে আসছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। উনিশের নির্বাচনে স্মৃতির কাছে ধরাশায়ী হন তিনি। তার পর আর আমেঠিতে দাঁড়াতে রাজি হননি রাহুল। কেরলের ওয়েনাড়ের পাশাপাশি রাহুল মনোনয়নপত্র দাখিল করেন রায়বেরিলি কেন্দ্র থেকে। এই কেন্দ্রে দু’দশক ধরে জিতে আসছিলেন সোনিয়া গান্ধী। বয়সজনিত কারণ এবার আর প্রার্থী হতে চাননি তিনি। কেন্দ্রের মৌরসিপাট্টা ধরে রাখতে রাহুলকে প্রার্থী করে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। সেই রাহুলই এক নির্বাচনী জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে (PM Modi) আহ্বান করেন তর্ক-যুদ্ধে।

    কী বললেন স্মৃতি?

    এরই জবাব দিয়েছেন বিজেপি নেত্রী তথা আমেঠির বিজেপি প্রার্থী স্মৃতি। বলেন, “প্রথমত, যিনি সামান্য একজন বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার সাহস পান না তাঁর তথাকথিত খাসতালুকেই, তাঁর অহঙ্কার ত্যাগ করা উচিত। আর দ্বিতীয়ত, তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিতর্কে বসতে চান। আমি তাঁকে প্রশ্ন করি, তিনি কি ‘ইন্ডি’ জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী?”

    আরও পড়ুুন: “এই নির্বাচন রামভক্ত ও রাম-দ্রোহীদের মধ্যে একপক্ষকে বেছে নেওয়ার”, বললেন যোগী

    সম্প্রতি একটি মহলের তরফে বিতর্ক সভায় আহ্বান করা হয়েছিল রাহুলকে। চিঠিতে রাহুল তাঁদের লিখেছেন, “যেহেতু প্রধান রাজনৈতিক দলগুলি নির্বাচনে লড়ছে, জনগণ তাঁদের নেতাদের মুখ থেকে সরাসরি শুনতে চান তাঁদের বক্তব্য।” এর পরেই তিনি লিখেছেন, “হয় আমি নিজে নয় কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে এরকম তর্ক-যুদ্ধে অংশ নিতে মুখিয়ে রয়েছি।” তিনি বলেন, “এরকম বিতর্কে অংশ নিতে আমি একশো শতাংশ প্রস্তুত। যদিও প্রধানমন্ত্রী এতে রাজি হবেন না।” এরই জবাবে রাহুলের যোগ্যতা নিয়েই (PM Modi) প্রশ্ন তোলেন স্মৃতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেস তার শাহজাদার বয়সের চেয়ে কম আসন পাবে, রাহুলকে খোঁচা মোদির

    Lok Sabha Election 2024: কংগ্রেস তার শাহজাদার বয়সের চেয়ে কম আসন পাবে, রাহুলকে খোঁচা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘লোকসভা ভোটে (Lok Sabha Election 2024) ইন্ডিয়া জোটের সদস্যরা নিজেদের হার স্বীকার করে নিয়েছে, কংগ্রেস তার শাহাজাদার বয়সের চেয়েও কম আসনে জিতবে।’’ শনিবার ঝাড়খণ্ডে নির্বাচনী প্রচারে এমনই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ঝাড়খণ্ডের ছাতরায় এদিন মোদির সভায় উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। মহিলাদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মোদির সভায় এমন ভিড়ই বলে দিচ্ছে, তৃতীয়বার তাঁর ক্ষমতায় আসা স্রেফ সময়ের অপেক্ষা। ঝাড়খণ্ডে প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে দুপাশে অজস্র মানুষ দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তাঁরা পুষ্প বৃষ্টি করছিলেন। জনতা জনার্দনকে অভিবাদন জানাতে প্রধানমন্ত্রী হাত নাড়েন তাঁদের উদ্দেশে।

    কী বললেন মোদি

    এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘প্রথম তিন দফার ভোটের পরই বিরোধীরা বুঝতে পেরেছে তারা হারছে। ইন্ডিয়া জোটের সব দল মিলেও লোকসভাতে বিরোধী দলের মর্যাদা পাওয়ার মতো আসন জিততে পারবে না। সেজন্যই ইন্ডিয়া জোটের এক বর্ষীয়ান নেতা বলছেন, ভোটের পর ছোট ছোট দলগুলির কংগ্রেসের সঙ্গে মিশে যাওয়া দরকার। বিরোধী দলের মর্যাদা পেতেই এই কথা বলছেন ওই নেতা।’’

    প্রসঙ্গ রাহুল গান্ধী

    তিনি আরও বলেন, ‘‘রাহুল গান্ধীর বয়স ৫৩ বছর। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ৫২টি আসন জিতেছিল। তার পাঁচ বছর আগে আরও কম আসন পেয়েছিল দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলটি। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কংগ্রেস জিতেছিল ৪৪টি আসন।’’ দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের আক্রমণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘এবারের নির্বাচন শুধু সরকার গঠনের নির্বাচন নয়। এবারের নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) দেশ গঠনের নির্বাচন। চোর-লুঠেরাদের হাত থেকে দেশকে বাঁচানোর নির্বাচন।’’

    সোমবার ৪ আসনে ভোট ঝাড়খণ্ডে 

    প্রসঙ্গত ১৬ মার্চ দেশে লোকসভা (Lok Sabha Election 2024) ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। তারপর দেশের প্রথম দফার ভোট হয় ১৯ এপ্রিল, পরে ২৬ এপ্রিল দ্বিতীয় দফা এবং কয়েকদিন আগে তৃতীয় দফার ভোট সম্পন্ন হয়েছে ৭ মে। সোমবারই রয়েছে চতুর্থ দফার ভোট। ১৩ মে ঝাড়খণ্ডের ৪ আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই ৪ আসনের প্রচারের জন্যই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শনিবারে ঝড় তোলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “পাকিস্তান পরমাণু বোমা বানায় বিক্রির জন্য”, আইয়ারকে মুখের মতো জবাব মোদির

    PM Modi: “পাকিস্তান পরমাণু বোমা বানায় বিক্রির জন্য”, আইয়ারকে মুখের মতো জবাব মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের কংগ্রেসকে আক্রমণ শানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শনিবার ওড়িশার কান্ধামালে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, “পাকিস্তান পরমাণু বোমা তৈরি করে বিক্রির জন্য। কারণ আর্থিক দৈন্য মেটানোই এখন তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ।”

    কী বলেছিলেন আইয়ার? (PM Modi)

    প্রধানমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের একটি প্রেক্ষাপট রয়েছে। সেটি হল, ১৫ এপ্রিল কংগ্রেস নেতা মণিশঙ্কর আইয়ার বলেছিলেন, “পাকিস্তান একটি শ্রদ্ধেয় দেশ। তাদের পরমাণু বোমাও রয়েছে। তাই ভারতের অবশ্যই তাদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা প্রয়োজন।” আইয়ারের সেই মন্তব্যকেই হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি (PM Modi) বলেন, “পাকিস্তানের পরমাণু বোমা নিয়ে ভারতবাসীকে ভূতের ভয় দেখাচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের এই দুর্বল মনোভাবের ফলেই সীমান্ত পেরিয়ে সন্ত্রাসবাদ চালাচ্ছিল পাকিস্তান। কংগ্রেস লাগাতার নিজের দেশের মানুষকেই ভয় দেখানোর চাল চালছে। ওরা বলে চলেছে, পাকিস্তান সম্পর্কে সাবধান। ওদের হাতে পরমাণু বোমা রয়েছে।”

    মোদির জবাব

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এই সব দুর্বল মানুষ ভারতের জোশকে খুন করার চেষ্টা করছে। আজ নয়, কংগ্রেস চিরকাল এটাই করে এসেছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “পাকিস্তান এখন এমন একটা দেশে পরিণত হয়েছে যে ওদের নিজেদের পরমাণু বোমা মজুত করার ক্ষমতা নেই। ওরা অন্য দেশকে পরমাণু বোমা বিক্রি করতে চাইছে। কিন্তু কেউ কিনছে না। কারণ সেগুলোর মান খুবই খারাপ।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “ওদের এই ভীরু মনোভাবের কারণেই জম্মু-কাশ্মীরকে জঙ্গিদের উপদ্রব সহ্য করতে হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: “সংখ্যালঘুরা বিপদে রয়েছেন, এ দাবি সর্বৈব মিথ্যা”, বললেন মোদি

    লোকসভা নির্বাচন চলাকালীন আইয়ারের বেফাঁস মন্তব্যে বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই আইয়ারের থেকে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছে সোনিয়া গান্ধীর দল। দলের নেতা পবন খেরা বলেন, “আইয়ারের এই দৃষ্টিভঙ্গীর সঙ্গে এক মত নয় কংগ্রেস। এটা দলেরও মত নয়। আইয়ার কোনও অধিকারেই দলের তরফে এমন (PM Modi) মন্তব্য করার হকদার নন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Sam Pitroda: কংগ্রেসের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন পিত্রোদা, কেন জানেন?

    Sam Pitroda: কংগ্রেসের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন পিত্রোদা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ণবাদের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে ঘরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন কংগ্রেসের ওভারসিজ চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda)। তার জেরে বুধবার পদত্যাগ করলেন গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ এই নেতা। এই মুহূর্তে দেশে চলছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। তার মধ্যেই পিত্রোদার মতো ওজনদার এক নেতা পদত্যাগ করায় বিপাকে কংগ্রেস। রবিবারই কংগ্রেস ছেড়েছিলেন এআইসিসির মুখপাত্র রাধিকা খের। পরের দিনই দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে কার্যত তোপ দেগেছিলেন রাধিকা। সেই ঘা শুকনোর আগেই পিত্রোদার বিতর্কিত মন্তব্য। এবং তারই জেরে পদত্যাগ কংগ্রেসের এই ওভারসিজ নেতার।

    কী বলেছিলেন পিত্রোদা? (Sam Pitroda)

    প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগে পিত্রোদা বলেছিলেন উত্তর-পূর্ব ভারতের বাসিন্দারা চিনাদের মতো দেখতে, পশ্চিমের লোকেরা আরবদের মতো দেখতে, আর দক্ষিণ ভারতের বাসিন্দারা দেখতে আফ্রিকানদের মতো। বর্ণবাদের মতো একটি সংবেদনশীল বিষয়ে মন্তব্য করে নিজে তো বটেই, দলকেও বিপাকে ফেলে দেন পিত্রোদা (Sam Pitroda)। কংগ্রেস-বিরোধীরা যাতে এর ফায়দা তুলতে না পারে, তাই পিত্রোদার মন্তব্য যে তাঁরই, কংগ্রেসের নয়, ফলাও করে তা বলতে হয় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে।

    পিত্রোদার পদত্যাগ 

    পিত্রোদার মন্তব্যের পরে পরেই কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেছিলেন, “ভারতের বৈচিত্র্যকে চিত্রিত করার জন্য মিঃ স্যাম পিত্রোদা একটি পডকাস্টে যে সাদৃশ্যগুলি এঁকেছেন, তা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক এবং অগ্রহণযোগ্য। ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এই উপমা থেকে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন করে ফেলেছে।” রাজনৈতিক মহলের মতে, বিভিন্ন দিক থেকে চাপের মুখে পড়ে গিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন পিত্রোদা। কংগ্রেসের তরফে এদিন সেই জয়রাম রমেশই বলেন, “মিঃ স্যাম পিত্রোদা নিজের ইচ্ছায় ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেসের চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কংগ্রেস সভাপতি তাঁর সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।”

    আরও পড়ুুন: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করব না”, পিত্রোদার মন্তব্যকে কটাক্ষ মোদির

    পিত্রোদার মন্তব্যের পরে পরেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁকে নিশানা করেছিলেন। বুধবারই সকালে তিনি বলেছিলেন, “আমি আজ ভীষণ রেগে রয়েছি। কেউ আমায় গালি দিলে আমি রাগ করি না। আমি সহ্য করে নিই। কিন্তু শাহজাদার (রাহুল গান্ধী) মার্কিন প্রবাসী দার্শনিক ও গাইড কাকু যে মন্তব্য করেছেন, তাতে আমার রাগ চরমে উঠেছে।” তাঁর প্রশ্ন, “মানুষের ক্ষমতা এবং যোগ্যতা কি (Sam Pitroda) তার গায়ের রং দিয়ে বিচার করা যায়?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Congress Treachery Exposed: পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী?

    Congress Treachery Exposed: পাকিস্তানের হাতে সিয়াচেন তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন সোনিয়া গান্ধী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোমা ফাটালেন প্রাক্তন সেনাপ্রধান জেজে সিং। তাঁর দাবি, ইউপিএ সরকার সিয়াচেন হিমবাহ তুলে দিতে চেয়েছিল পাকিস্তানের হাতে (Congress Treachery Exposed)। ভারতীয় সেনার ওপর আস্থা না রেখেই এহেন সংবেদনশীল একটি বিষয়ে সিদ্ধান্ত প্রায় নিয়েই ফেলেছিল কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন তৎকালীন ইউপিএ সরকার।

    প্রাক্তন সেনা প্রধানের অভিযোগ (Congress Treachery Exposed)

    জেনারেল সিং জানান, ২০০৬ সালে কেন্দ্রের ক্ষমতায় ছিল ইউপিএ সরকার। প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। সেই সময় ভারতীয় সেনা ও ভারতীয় গোয়েন্দাদের ওপর ভরসা করতে পারেনি সরকার। জেনারেল সিংয়ের কথা যে নিছক গল্পকথা নয়, তার প্রমাণ প্রায় একই দাবি করেছেন প্রাক্তন বিদেশ সচিবও। তিনিও জানিয়েছিলেন, ২০০৬ সালে দুই দেশের পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে দুই দেশই সিয়াচেন থেকে সেনা প্রত্যাহারের প্রস্তাব নিয়ে ভাবনা-চিন্তা করছিল।

    কাঠগড়ায় ইউপিএ সরকার

    নানা দিক থেকে সিয়াচেন ভারতের কাছে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সেই কারণে ঝড়-বৃষ্টি-তুষারপাত উপেক্ষা করে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন ভারতীয় সেনার জওয়ানরা। এই সিয়াচেনকে রক্ষা করতেই হয়েছিল অপারেশন ‘মেঘদূত’। সেই অভিযানে প্রাণ হারিয়েছিলেন আটশোরও বেশি জওয়ান। সেই সিয়াচেনকেই পাকিস্তানের হাতে তুলে দিতে চেয়েছিলেন ইউপিএ সরকার প্রধানমন্ত্রী কংগ্রেসের মনমোহন সিং। জানা গিয়েছে (Congress Treachery Exposed), জম্মু-কাশ্মীরে লাগাতার পাক জঙ্গিদের সন্ত্রাস কড়া হাতে সামলাতে ব্যর্থ মনমোহন চেয়েছিলেন সীমান্ত সমস্যায় জর্জরিত সিয়াচেনকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দিয়ে ভূস্বর্গে শান্তি ফিরিয়ে আনতে। এর পুরো কৃতিত্ব কংগ্রেস নেত্রী তথা ইউপিএ চেয়ারপার্সন সোনিয়া গান্ধীকে দিয়ে তাঁর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে চেয়েছিলেন ইউপিএর শরিক দলের নেতারা। তবে তৎকালীন সেনা প্রধান ও সশস্ত্র বাহিনীর আধিকারিকদের তীব্র বিরোধিতায় স্বপ্ন সফল হয়নি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউপিএ সরকারের ওই স্বপ্ন সফল হলে আর সুরক্ষিত থাকত না ভারতের সীমান্ত। কারগিল যুদ্ধের সময় পাক সেনা যেভাবে সিয়াচেন দখল করতে চেয়েছিল, সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি হতে পারত ২০০৬ সালেই। সেক্ষেত্র গোটা কাশ্মীরের রাশ চলে যেত পাকিস্তানের হাতে।

    বড় প্রশ্ন

    ভারতীয় সেনার (Congress Treachery Exposed) ভূতপূর্ব জেনারেল বলেন, “প্রশ্নটা হল, যে সিয়াচেন রক্ষা করতে গিয়ে শহিদ হচ্ছেন জওয়ানরা, সেই সেনাই যখন সরকারকে পিছু হটার পরামর্শ দেয়নি, তখন কীসের ভিত্তিতে তৎকালীন সরকার এই সিদ্ধান্ত নিতে গিয়েছিল? এরকম ক্ষেত্রে সরকারের এই জাতীয় কাজ দেশের প্রত্যেক নাগরিককে বিস্মিত করেছিল।” তিনি বলেন, “সিয়াচেনে ভারত যে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে, তার চেয়ে ঢের বেশি সমস্যার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাকিস্তান। কারণ হাই অলটিটিউডে যুদ্ধ করার অভিজ্ঞতা ভারতীয় সেনার রয়েছে। যা তাদের প্রতিবেশী দেশগুলির সেনাদের নেই।” প্রাক্তন সেনা প্রধান বলেন, “ভারত সরকার এই প্রস্তাব (সিয়াচেন হিমবাহকে পাকিস্তানের হাতে তুলে দেওয়া) বিবেচনা করতে শুরু করলেও, আমার সঙ্গে একবারও কথা বলেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী।” তাঁর অভিযোগ, পুরু বরফের চাদরে মোড়া সিয়াচেন রক্ষা করতে গিয়ে যেসব জওয়ান প্রাণ দিয়েছেন, কংগ্রেস সেই সব শহিদদের অপমান করার চেষ্টা করেছিল।

    বিশ্বের উচ্চতম রণাঙ্গন সিয়াচেন

    মনে রাখতে হবে, বিশ্বের উচ্চতম রণাঙ্গন হল সিয়াচেন। এই হিমবাহ প্রহরায় থাকা সেনা জওয়ানদের সব চেয়ে বড় শত্রু হল প্রতিকূল আবহাওয়া। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা ৫ হাজার মিটারেরও বেশি। কখনও কখনও তাপমাত্রা পৌঁছে যায় মাইনাস ৬০ ডিগ্রিতে। এখানে অক্সিজেনের মাত্র সমতলের প্রায় ১০ শতাংশ। তাই ৭৬ কিলোমিটার দীর্ঘ এই হিমবাহে পৌঁছলেই কমতে থাকে ওজন। বমি হতে থাকে। খিদে থাকেই না। সিয়াচেনে প্রায়ই ঘণ্টায় একশো মাইল বেগে ঝড় ওঠে। কখনও কখনও এই ঝড় টানা তিন সপ্তাহ পর্যন্ত চলে। এহেন প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকাটাই কঠিন নয়, কঠিনতম। সেসব বাধা-বিপত্তি-প্রতিকূলতা উপেক্ষা করেই বছরভর ঠায় দাঁড়িয়ে থাকেন দেশপ্রেমিক ভারতীয় জওয়ানরা।

    আরও পড়ুুন: “গায়ের রংয়ের ভিত্তিতে অপমান হজম করব না”, পিত্রোদার মন্তব্যকে কটাক্ষ মোদির

    সারা বছরে সিয়াচেনে বরফ পড়ে ৩০-৪০ ফুট উঁচু। মাসের পর মাস স্নান না করেই থাকেন জওয়ানরা। কারণ স্নান করলেই বিপদ। দূরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়া একপ্রকার নিশ্চিত। অক্সিজেন কম থাকায় অনেক জওয়ান হারিয়ে ফেলেন স্মৃতি। শরীরে থাবা বসায় তুষারক্ষত। এই ক্ষতের জেরে হাত-পা-আঙুল খোয়ানোর নজিরও রয়েছে। বিশেষ হেলিকপ্টারে করে এখানে থাকা সেনাদের পৌঁছে দেওয়া হয় রসদ। সেই কাজটাও করতে হয় ৩০ সেকেন্ডেরও কম সময়ে। কারণ না হলেই পাক গোলায় ধ্বংস হয়ে যাবে হেলিকপ্টারটিই।

    প্রাক্তন সেনাপ্রধান বলেন (Congress Treachery Exposed), “দেশের সীমান্তের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষা করতে আত্মবলিদান দিচ্ছেন সেনারা। কিন্তু দুঃখের কথা কী জানেন, কংগ্রেস সরকার এটা ভুলে গিয়েছে। সিয়াচেনের অছিলায় ভারতের এই ভূখণ্ডটিকে পাকিস্তানকে উপহার দিতে প্রস্তুত ছিল তারা। সিয়াচেন হিমবাহ থেকে সেনা প্রত্যাহারের কথাও ভেবেছিল কংগ্রেস সরকার। শান্তি ফেরাতেই এটা করতে চেয়েছিল তারা। তবে এর চেয়ে বোকা বোকা সিদ্ধান্ত আর কিছুই হতে পারে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share