Tag: congress

congress

  • Bihar Assembly Polls: বিহারে ১০১ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে ময়দানে বিজেপি, এখনও তল খুঁজছে কংগ্রেস?

    Bihar Assembly Polls: বিহারে ১০১ আসনেই প্রার্থী ঘোষণা করে ময়দানে বিজেপি, এখনও তল খুঁজছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় দফায় ১৮ জন প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি (Bihar Assembly Polls)। বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এই তালিকা প্রকাশ করেছে পদ্মশিবির (BJP)। এনডিএ জোটের শরিক হিসেবে বিজেপির প্রার্থী দেওয়ার কথা ১০১টি আসনে। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪২টি। তার মধ্যে ১০১টিতে প্রার্থী দেওয়ার কথা পদ্ম শিবিবের। প্রথম দফায় যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছিল বিজেপি, সেখানে নাম ছিল ৭১ জনের। পরের দফায় ঘোষণা করা হয় ১২ প্রার্থীর নাম। তৃতীয় দফায় প্রকাশ করা হল ১৮ জনের নাম।

    বিজেপির প্রার্থী তালিকা (Bihar Assembly Polls)

    জানা গিয়েছে, বিজেপি নরকাটিয়াগঞ্জ আসনে প্রার্থী করেছে সঞ্জয় পাণ্ডেকে। চনপাতিয়ায় লড়বেন উমাকান্ত সিং। আর চিরাইয়া কেন্দ্রে লড়বেন লালবাবু প্রসাদ গুপ্তা। কোচাধামান আসনে প্রার্থী করা হয়েছে বীণা দেবীকে।  রাঘোপুরে লড়বেন সতীশ কুমার যাদব। আর মুরারি পাশোয়ান প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন পিরপিয়ান্তি কেন্দ্র থেকে। বিজেপির প্রবীণ নেতা তথা পাঁচবারের বিধায়ক ভাগীরথী দেবীকে এবার আর পশ্চিম চম্পারণ জেলার রামনগর আসনে প্রার্থী করা হচ্ছে না। আখ শিল্পমন্ত্রী কৃষ্ণনন্দন পাশোয়ানকে আবারও হরসিদ্ধি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। লোকগায়ক বিনয় বিহারীও ফের লৌরিয়া থেকে প্রার্থী হচ্ছেন। মোহানিয়ার বিধায়ক সঙ্গীতা কুমারী এবং ভভুয়ার বিধায়ক ভারত বিন্দ, যিনি রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন, তাঁদেরও ফের নিজদের আসনেই প্রার্থী করা হয়েছে। এদিকে, উপেন্দ্র কুশওয়াহার নেতৃত্বাধীন রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চাও তাদের বরাদ্দ আসনগুলির প্রার্থীদের নামের তালিকা ঘোষণা করেছে। দলীয় সভাপতি উপেন্দ্র কুশওয়াহার স্ত্রী স্নেহলতা রোহতাস বিধানসভা আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন (BJP)।

    বেহাল দশা ইন্ডি জোটের

    বিহার বিধানসভা নির্বাচন হবে দু’দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন (Bihar Assembly Polls) হবে ৬ নভেম্বর, দ্বিতীয় দফার ভোট হবে ওই মাসেরই ১১ তারিখে। এনডিএ যখন ঘর গুছিয়ে কোমর বেঁধে নেমে পড়েছে লড়াইয়ের ময়দানে, তখন ইন্ডি জোটের অন্যতম শরিক কংগ্রেসের ছন্নছাড়া দশা। ইন্ডি জোটে এখনও আসন বণ্টনই হয়নি, অথচ প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করতে শুরু করেছে সোনিয়া গান্ধীর দল। জানা গিয়েছে, কংগ্রেস এ পর্যন্ত মাত্র ১৭ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করেছে। সেটি আবার দলের সরকারি এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে, যদিও ইন্ডিয়া ব্লকের ভেতরে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা এখনও অমীমাংসিত।

    তল খুঁজছে কংগ্রেস

    জানা গিয়েছে, কংগ্রেস ঔরঙ্গাবাদ থেকে আনন্দ শঙ্কর সিং, রাজাপাকার থেকে প্রতিমা দাস, বচ্ছাওয়াড়া থেকে শিব প্রকাশ গরিব দাস এবং নালন্দা থেকে কৌশলেন্দ্র কুমার (ছোটে মুখিয়া)-কে প্রার্থী করেছে। গোপালগঞ্জ থেকে হাত চিহ্নে লড়বেন ওম প্রকাশ গর্গ, অমরপুর থেকে জিতেন্দ্র সিং, বেগুসরাই থেকে অমিতা ভূষণ, সুলতানগঞ্জ থেকে লালন কুমার, কুটুম্বা থেকে রাজেশ কুমার, বরসালীগঞ্জ থেকে শশী শেখর, বারবিঘা থেকে ত্রিশূলধারী সিং এবং মুজাফফরপুর থেকে বিজেন্দ্র চৌধুরী (Bihar Assembly Polls)। গোবিন্দগঞ্জ থেকে লড়ছেন শশী ভূষণ রাই, বিক্রম থেকে অনিল কুমার এবং রোসেরা আসন থেকে বিকে রবি। সূত্রের খবর, ইন্ডিয়া ব্লকের অন্য নেতাদের সঙ্গে আলোচনার পর আরও কয়েকটি নাম ঘোষণা করা হবে (BJP)। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সেন্ট্রাল ইলেকশন কমিটি মোট ৪৩টি আসনের জন্য প্রার্থীর অনুমোদন দিয়েছে। আজয় মাকেনের নেতৃত্বাধীন উপ-কমিটি বুধবার আরও আটজন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করেছে বলে খবর।

    ফিল্ডে এনডিএ

    ইন্ডি জোটের যখন বেহাল দশা, তখন বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ যথারীতি ফিল্ডে নেমে পড়েছে। সব মিলিয়ে ১০১টি আসনে লড়বে বিজেপি। বাকি আসনে লড়বে এনডিএর বিভিন্ন শরিক দল। বুধবার রাতেই পদ্ম শিবির তৃতীয় তালিকা প্রকাশ করে। এর আগে প্রকাশ করা হয়েছিল দ্বিতীয় দফার তালিকা। সেই তালিকায় ছিল ১২ জন প্রার্থীর নাম। এর মধ্যে রয়েছেন আলিনগর আসনে পদ্ম-প্রার্থী সঙ্গীত শিল্পী মৈথিলী ঠাকুর এবং বক্সার থেকে প্রাক্তন আইপিএস আনন্দ মিশ্র। তিন দফায় তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি তার ভাগের ১০১টি আসনের সব কেন্দ্রেই প্রার্থীর নাম প্রকাশ করে ফেলল (Bihar Assembly Polls)।

    তালিকা প্রকাশ করল জেডিইউ

    এনডিএ-র শরিক জনতা দল (ইউনাইটেড) প্রথম দফার তালিকায় ৫৭ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে। উমেশ কুশওহা ও বিজেন্দ্র প্রসাদ যাদবের মতো প্রবীণ নেতারা ইতিমধ্যেই মহনার ও সুপৌল আসন থেকে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সরাইরঞ্জন আসনের জন্য মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কথা বিজয় কুমার চৌধুরীর (BJP)। প্রসঙ্গত, এনডিএর আসন রফার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, বিজেপি এবং জেডিইউ প্রত্যেকে ১০১টি করে আসনে, এলজেপি (আরভি) ২৯টি আসনে এবং এইচএএম এবং আরএলএম ৬টি করে আসনে লড়বে (Bihar Assembly Polls)।

  • Bihar Assembly Elections: বিহারে প্রথম দফায় ৭১ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি

    Bihar Assembly Elections: বিহারে প্রথম দফায় ৭১ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Elections) প্রথম দফায় ৭১ জন প্রার্থীর নামের তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি (BJP)। মঙ্গলবার এক সরকারি বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে পদ্মশিবির। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩টি। নির্বাচন হবে দু’দফায় – ৬ নভেম্বর ও ১১ নভেম্বর। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির বৈঠক ১২ অক্টোবর জেপি নাড্ডার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটির অন্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।

    কে কোন আসনে লড়ছেন (Bihar Assembly Elections)

    কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি বিহার বিধানসভা নির্বাচনের জন্য আরও বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। জানা গিয়েছে, সিওয়ান থেকে মঙ্গল পাণ্ডে, কাটিহার থেকে তারকিশোর প্রসাদ, দানাপুর থেকে রামকৃপাল যাদব, বানকিপুর থেকে নীতিন নবীন, বেতিয়া থেকে রেণু দেবী, গয়া টাউন থেকে প্রেম কুমার, জামুই থেকে শ্রেয়সী সিংহ, লখিসরাই থেকে উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয় কুমার সিনহা এবং তারাপুর থেকে আর এক উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী লড়াই করবেন। এই তারাপুর সম্রাটের পারিবারিক ঘাঁটি। এই কেন্দ্রের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন সম্রাটের বাবা শকুনি চৌধুরী এবং মা পার্বতী দেবী। সম্রাট অবশ্য বিধায়ক নন, তিনি বিহার বিধান পরিষদের সদস্য। যে কেন্দ্রে এবার তিনি প্রার্থী হয়েছেন, গত পনের বছরেরও বেশি সময় ধরে সেটি রয়েছে নীতীশ কুমারের দল জেডিইউয়ের হাতে। এই তারাপুরেই ২০২১ সালের উপনির্বাচনেও জয়ী হয়েছিলেন জেডিইউ প্রার্থী। এবার জোটসঙ্গী বিজেপিকে ওই আসনটি ছেড়ে দিয়েছে নীতীশের দল।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতির বক্তব্য

    বিহারের আর (BJP) এক উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয়কুমার এবারও লড়ছেন তাঁর ঘাঁটি লখিসরাই থেকে। ২০১০ সাল থেকে পর পর তিনবার এই কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হয়েছেন তিনি (Bihar Assembly Elections)। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ জয়সওয়াল বলেন, “অনেকেই আশা করেননি যে প্রার্থীদের তালিকা এত দ্রুত প্রকাশিত হবে। প্রথমেই এনডিএ জোট আসন বণ্টনের কাজ সম্পন্ন করে। মহাগটবন্ধন এখনও আলোচনা চালাচ্ছে। অথচ এনডিএ জোট আসন বিলি চূড়ান্ত করে ফেলল। আজ ভোরেই তারা জনসমর্থন জোগাড় করার পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। যেমনটা আমি আগেই বলেছিলাম, এনডিএ হল পঞ্চ পাণ্ডবের মতো একটি শক্তিশালী জোট। নীতীশ কুমারের নেতৃত্বে আমরা সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠনের জন্য প্রস্তুত।”

    তাওড়ের পোস্ট

    এর আগে ১২ অক্টোবর আসন্ন বিহার নির্বাচনের জন্য ক্ষমতাসীন এনডিএ তাদের আসন বিলির কথা ঘোষণা করে। জোটের তরফে জানানো হয়, বিজেপি  এবং জেডিইউ প্রত্যেকে লড়বে ১০১টি করে আসনে, এলজেপি (রামবিলাস) লড়বে ২৯টি আসনে, রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ৬টি আসনে এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা-ও (এইচএএম) ৬টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে (Bihar Assembly Elections)। প্রসঙ্গত, এডিএর সদস্য দলগুলি হল বিজেপি, জনতা দল (ইউনাইটেড), লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস), হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (সেক্যুলার) এবং রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা। আসন রফা চূড়ান্ত হওয়ার পর এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপির বিহারের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বিনোদ তাওড়ে লিখেছিলেন, “সংগঠিত ও নিবেদিতপ্রাণ এনডিএ। আসন্ন বিহার (BJP) বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এনডিএ পরিবারের সব সদস্য বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে আসন বণ্টন সম্পন্ন করেছে, যা নিম্নরূপ —

    • বিজেপি – ১০১টি আসন
    • জেডিইউ – ১০১টি আসন
    • এলজেপি (রাম বিলাস) – ২৯টি আসন
    • আরএলএম – ৬টি আসন
    • এইচএএম – ৬টি আসন

    সব এনডিএ দলের নেতা ও কর্মীরা আনন্দের সঙ্গে এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছেন। সবাই আবারও বিহারে এনডিএ সরকার গঠনের লক্ষ্যে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।”

    ভোট কূশলী প্রাশান্ত কিশোরের দল

    বিহারের আসন্ন নির্বাচনে এনডিএর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে লড়াইয়ের ময়দানে রয়েছে তেজস্বী যাদবের নেতৃত্বাধীন আরজেডি (RJD), কংগ্রেস, দীপঙ্কর ভট্টাচার্যের নেতৃত্বাধীন সিপিআই (এমএল), সিপিআই, সিপিএম এবং মুকেশ সহানির বিকাশশীল ইনসান পার্টি (ভিআইপি)-র নেতৃত্বাধীন আইএনডিআই (INDI) জোট। লড়াইয়ের ময়দানে থাকছে ভোট কূশলী প্রাশান্ত কিশোরের দল জন সুরাজও। তাঁর দল লড়ছে এবারই প্রথম (Bihar Assembly Elections)।

    উল্লেখ্য যে, বিহার বিধানসভা নির্বাচনের গেজেট বিজ্ঞপ্তি জারি হবে ১০ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। যাচাইয়ের জন্য সময় মিলবে ১৮ তারিখ পর্যন্ত। প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করতে (BJP) পারবেন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে ১১ নভেম্বর। প্রথম দফায় নির্বাচন হবে ১২১টি আসনে, দ্বিতীয় দফায় ১২২টিতে। দ্বিতীয় দফার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে ১৩ অক্টোবর। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত। ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর (Bihar Assembly Elections)।

  • Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাহুলের, ‘ভোট চুরি’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা শুনলই না আদালত

    Supreme Court: সুপ্রিম কোর্টে মুখ পুড়ল রাহুলের, ‘ভোট চুরি’ নিয়ে জনস্বার্থ মামলা শুনলই না আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভোট চুরি’ নিয়ে সরব হয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট (SIT) গঠন করে তদন্ত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) দায়ের হয়েছিল জনস্বার্থ মামলাও। সেই মামলায় হস্তক্ষেপই করল না দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি জয়মাল্য বাগচির বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, যেখানে ইচ্ছা প্রতিকার চান। এখানে জনস্বার্থ মামলা শোনা হবে না। আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে বেঞ্চ। মামলাকারীর আবেদন, এই বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট সময় বেঁধে দিক নির্বাচন কমিশনকে। তাতেও না করে দিয়েছে বেঞ্চ। ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, “আমরা আবেদনকারীর কথা শুনেছি। জনস্বার্থ মামলার আকারে দায়ের হওয়া এই মামলা আমরা শুনতে ইচ্ছুক নই। আবেদনকারী চাইলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হতে পারেন।”

    জনস্বার্থ মামলা (Supreme Court)

    দেশের শীর্ষ আদালতে যিনি দায়ের করেছিলেন জনস্বার্থ মামলা, তিনি তাতে উল্লেখ করেছিলেন রাহুলের সাংবাদিক বৈঠকের কথা। তিনি জানিয়েছেন, রাহুল ৭ অগাস্ট জানিয়েছিলেন ভোটার তালিকায় অপরাধমূলক জালিয়াতি হয়েছে। কর্নাটকের একটি লোকসভা কেন্দ্রে ‘ভোট চুরি’র অভিযোগও করেছিলেন রাহুল। আবেদনকারী জানান, সংবিধানেই অবাধ এবং স্বচ্ছ নির্বাচনের কথা বলা হয়েছে। প্রশাসনিক পদক্ষেপের কারণে সংবিধানের এই প্রাথমিক নীতি লঙ্ঘিত হতে পারে না। রাহুলের অভিযোগের প্রতিক্রিয়ায় তাঁকে এ সংক্রান্ত সমস্ত প্রামাণ্য নথি দিতে বলেন মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক। ১৭ অগাস্ট দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার পরের সাতদিনের মধ্যে রাহুলকে হলফনামা জমা দিতে বলেন। মামলাকারী সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জমা করা নিজের আবেদনে জানান, ভোটপ্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে কমিশনকে নির্দেশ দেওয়া হোক। সেই আবেদনও শুনতে রাজি হয়নি দেশের শীর্ষ আদালত।

    রাহুলের বক্তব্য

    প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট মাসে রাহুল বেঙ্গালুরু সেন্ট্রাল আসনে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ তুলে নির্বাচন কমিশন ও বিজেপিকে একহাত নেন। তাঁর দাবি, ভোটে জালিয়াতি করার পাঁচটি ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে। রাহুল (Rahul Gandhi) মহাদেবপুরা বিধানসভা এলাকার কংগ্রেসের তদন্তের ফলও তুলে ধরেন। এটি ওই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্ভুক্ত। উল্লেখ্য, ওই আসনে বিজেপি ৩২ হাজার ৭০৭ ভোটের ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল (Supreme Court)।

  • Bihar Polls: বিহারে আসন বিলি চূড়ান্ত করে ফেলল এনডিএ, হতাশ কংগ্রেস

    Bihar Polls: বিহারে আসন বিলি চূড়ান্ত করে ফেলল এনডিএ, হতাশ কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহার বিধানসভা নির্বাচনে (Bihar Polls) আসন বিলি নিয়ে রফায় সিলমোহর দিল এনডিএ (NDA)। আসন বিলির বিস্তারিত তথ্য এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান।

    আসন রফা চূড়ান্ত (Bihar Polls)

    এই চুক্তি অনুযায়ী, বিজেপি এবং মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের জনতা দল (ইউনাইটেড) বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। উপেন্দ্র কুশওহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা এবং জিতন রাম মাঝির হিন্দুস্তান আওয়াম মোর্চা (এইচএএম) এই দু’টি দলকে দেওয়া হয়েছে ছ’টি করে আসন। আর চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রামবিলাস) পাবে ২৯টি আসন। উল্লেখ্য, ধর্মেন্দ্র প্রধান বিহার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা।

    বৈঠকে বিজেপি

    এদিকে, রবিবার বিকেলে নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসেছিল বিজেপির কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি৷ সূত্রের খবর, নির্বাচনী রণকৌশল এবং প্রার্থী তালিকা তৈরির বিষয়ে আলোচনা করতে এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। প্রতিটি আসনেই শক্তিশালী প্রার্থী বাছাই করাই ছিল এদিনের বৈঠকের মূল লক্ষ্য৷ প্রসঙ্গত, শনিবারই বিজেপির সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডার বাসভবনে বৈঠকে বসেছিলেন এনডিএর শীর্ষ নেতারা। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা অমিত শাহ, এইচএএম(এম) প্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতন রাম মাঝি, বিহার বিজেপির ইন-চার্জ বিনোদ তাওরে, বিহার বিজেপির প্রধান দিলীপ জয়সওয়াল এবং বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী (Bihar Polls)।

    বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘনিয়ে এলেও, আসন বণ্টন নিয়ে এনডিএ শরিকদের মধ্যে অসন্তোষের সৃষ্টি হয়েছে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল। অবশ্য শনিবারই সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন এনডিএর শরিক রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা সুপ্রিমো উপেন্দ্র কুশওয়াহা। অন্যদিকে, এনডিএ যখন ঘর গুছিয়ে আসন ভাগাভাগি করে নিয়েছে, তখন ‘ইন্ডি’ জোটের অন্দরে আসন বিলি নিয়ে কোনও আলোচনা না হওয়ায় যারপরনাই হতাশ কংগ্রেস। বিহার নির্বাচনে এককভাবে (NDA) লড়ার ইঙ্গিতও দিয়েছেন কংগ্রেস নেতারা। প্রসঙ্গত, বিহারে নির্বাচন হবে দু’দফায়। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৬ নভেম্বর, পরের দফার ভোট ১১ নভেম্বর। গণনা হবে ১৪ নভেম্বর (Bihar Polls)।

  • Madhya Pradesh: ভারতমাতা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

    Madhya Pradesh: ভারতমাতা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতমাতা সম্পর্কে অবমাননাকর মন্তব্য করার অভিযোগে গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা আসাদ খান জিলানি (Asad Khan Jilani)। তিনি মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) বিদিশা জেলার সিরোঁজের নেতা।

    কংগ্রেস নেতার আপত্তিকর মন্তব্য (Madhya Pradesh)

    আরএসএসের শতবর্ষ পূর্তি উপলক্ষে একটি স্মারক মুদ্রা প্রকাশ করে কেন্দ্র। সেই মুদ্রায় ভারতমাতার প্রতীকী ছবি রয়েছে। ফেসবুকে স্মারকের সেই ছবি দিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেন মধ্যপ্রদেশের ওই কংগ্রেস নেতা। ওই পোস্টে জিলানি লিখেছেন, “এই ডাইনিকে পিশাচরা পূজা করুক। যার হাতে তিরঙ্গা নেই, সে আমাদের ভারতমাতা নয়।” মন্তব্যটি দ্রুত ভাইরাল হয়। দেশজুড়ে শুরু হয় সমালোচনা। অভিযোগ, তিনি জাতীয় প্রতীকের প্রতি অসম্মান প্রদর্শন করেছেন এবং সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ-সহ একাধিক সংগঠন সিরোঁজ থানায় অভিযোগ দায়ের করে। তারা দেশদ্রোহ-সহ সংশ্লিষ্ট আইনের অধীনে কঠোর পদক্ষেপের দাবি জানায়। তাদের অভিযোগ, জিলানি আগেও অনলাইনে উত্তেজনামূলক মন্তব্য করেছেন। অভিযোগ পেয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয় স্থানীয় প্রশাসন। গ্রেফতার করে জিলানিকে। শুরু হয়েছে তদন্ত। কংগ্রেস এখনও এই ঘটনায় আনুষ্ঠানিক কোনও বিবৃতি দেয়নি।

    জিলানির মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জনরোষ

    জিলানির “ভারতমাতা” সংক্রান্ত মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক জনরোষ ছড়িয়ে পড়ে মধ্যপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গায়। রাস্তায় রাস্তায় শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। বিক্ষোভকারীরা জিলানির কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। তাঁর ছবির ওপর পা দিয়ে স্লোগান দেন, “জয় শ্রী রাম”, “দেশদ্রোহীদের কঠোর শাস্তি চাই” (Madhya Pradesh)। এক্স হ্যান্ডেলে এক ইউজার স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে ট্যাগ করে জিলানির তথাকথিত “বিরোধী-হিন্দু” পোস্টগুলির ইতিহাস তুলে ধরেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় অবিলম্বে তাঁর গ্রেফতারির দাবিও জানানো হয়।

    সিরোঁজ পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির ২৯৫এ ধারায় জিলানির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই ধারা ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করার সঙ্গে সম্পর্কিত। বৃহস্পতিবার রাতে জিলানিকে হেফাজতে নেয় পুলিশ (Asad Khan Jilani)। পরে বছর পঁয়তাল্লিশের ওই নেতাকে সিরোঁজের রাস্তায় হাঁটানো হয়। জিলানিকে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে কানে হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় তাঁকে। জিলানিকে বাধ্য করা হয় “ভারতমাতা কি জয়” স্লোগান দিতেও (Madhya Pradesh)।

  • Karnataka: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু কর্নাটক কংগ্রেসে

    Karnataka: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু কর্নাটক কংগ্রেসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের অশান্তি শুরু হয়েছে কর্নাটক (Karnataka) কংগ্রেসে। মাত্র চার মাসের মধ্যে মাণ্ড্য জেলার এক প্রাক্তন সাংসদ ও তিনজন বর্তমান বিধায়ক-সহ দলের চার নেতাকে প্রকাশ্যে উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সমর্থন করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

    নোটিশে অভিযোগ (Karnataka)

    দলের শৃঙ্খলা কমিটির পাঠানো ওই নোটিশে অভিযোগ করা হয়েছে যে, তাঁরা দলকে বিব্রত করেছেন এবং কংগ্রেসের হাইকমান্ডের নির্দেশের বিরুদ্ধে গিয়েছেন। প্রসঙ্গত, গত জুলাই মাস থেকে প্রতি মাসেই অন্তত একজন বা দু’জন কংগ্রেস সাংসদ প্রকাশ্যে বলেছেন যে, সিদ্দারামাইয়ার বদলে শিবকুমারকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক, অথবা বছরের শেষের আগে তাঁকে সেই পদে উন্নীত করা হবে। এতে দলীয় ঐক্যে ফাটল চওড়া হয়েছে। যদিও সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার নিজেরাই বারবার কোনও ক্ষমতা ভাগাভাগির চুক্তি থাকার কথা অস্বীকার করেছেন।

    শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে

    জানা গিয়েছে, এই ঘটনায় যাঁরা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার মুখে পড়েছেন, তাঁরা হলেন কুনিগালের বিধায়ক এইচডি রঙ্গনাথ এবং মাণ্ড্যর প্রাক্তন সাংসদ এলআর শিবরাম গৌড়া। এর আগেও মাত্র কয়েক মাস আগে চন্নাগিরির বিধায়ক শিবগঙ্গা ভি বাসবরাজ এবং রামনগরার বিধায়ক ইকবাল হুসেনকে একই ধরনের মন্তব্য করার জন্য নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। ১ জুলাই শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও রামনগরার কংগ্রেস বিধায়ক ইকবাল হুসেন প্রকাশ্যে বলেছিলেন, সিদ্দারামাইয়া ইতিমধ্যেই পাঁচ বছর এবং আরও আড়াই বছর – মোট সাড়ে সাত বছর মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছেন। তিনি বলেন, “ডিকে শিবকুমার দলের জন্য কঠোর পরিশ্রম করেছেন এবং দলকে ১৪০টি আসন এনে দিয়েছেন। ২০২৮ সালে কংগ্রেসকে ফের ক্ষমতায় আনার জন্য তাঁকে একটা সুযোগ দেওয়া প্রয়োজন।” তিনি কবুল করেন, দলের হাইকমান্ড প্রকাশ্যে নেতৃত্ব পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা না করার নির্দেশ দিলেও তিনি এই মতামত কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সিং সুরজেওয়ালাকে জানিয়েছেন (Karnataka)।

    বাসবরাজের ভবিষ্যদ্বাণী

    বাসবরাজ এবারই প্রথম বিধায়ক হয়েছেন। অগাস্ট মাসে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন যে ডিসেম্বরের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তর হতে যাচ্ছে এবং শিবকুমার মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তাঁর এই মন্তব্য শিবকুমার সঙ্গে সঙ্গেই খারিজ করে দেন। যাঁরা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে এই ধরনের মন্তব্য করছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জানা গিয়েছে, রঙ্গনাথ শিবকুমারকে তাঁর রাজনৈতিক গুরু বলে উল্লেখ করেন এবং ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের কৃতিত্ব দেন তাঁকেই। তিনি শিবকুমারকে উদীয়মান তারকা এবং সারা ভারতের নেতা বলেও অভিহিত করেন। তিনি বলেন, একদিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী হবেন। তিনি এই পদে বসার যোগ্য।

    কোন্দল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা

    সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমার দুজনেই এই অভ্যন্তরীণ কোন্দল ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। সংবাদমাধ্যমে কথা বলতে গিয়ে শিবকুমার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর পদ ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনার কোনও প্রয়োজন নেই। মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এবং আমি একসঙ্গে কাজ করছি। আমরা হাইকমান্ডের নির্দেশ মেনে চলছি।” তিনি আরও জানান, তিনি কর্নাটক প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির কার্যনির্বাহী সভাপতি জিসি চন্দ্রশেখরকে এই বিষয়ে মন্তব্য করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “বিজেপি যা বলছে, তার প্রতি আমাদের কোনও প্রতিক্রিয়া জানানোর প্রয়োজন নেই (Karnataka)।” মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়াও বারবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তিনি তাঁর পাঁচ বছরের মেয়াদ সম্পূর্ণ করবেন। মাঝপথে পদত্যাগের কোনও প্রশ্নই নেই। দশেরা উদ্‌যাপনের সময়ও তিনি ফের বলেছিলেন, “কংগ্রেস সরকার ব্যক্তিগত অনুমানের ভিত্তিতে নয়, বরং দলের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরিচালিত হবে।”

    দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে

    এই প্রথম নয় যে কর্নাটক কংগ্রেসের দলীয় দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এসেছে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গিয়েছে, জাতিগত সমীক্ষা রিপোর্টকে ঘিরে দলটির মধ্যে বড় ধরনের বিভাজন তৈরি হয়েছিল। ওই সমীক্ষায় কর্নাটকের জাতি অনুযায়ী প্রকৃত জনসংখ্যার তথ্য প্রকাশ পায়, যা লিঙ্গায়ত, ভোক্কালিগা এবং কিছু মুসলিম গোষ্ঠীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করে। তারা আশঙ্কা করেছিল, এই তথ্য রাজ্যের সংরক্ষণ রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে পারে (Karnataka)।

    সিদ্দারামাইয়া ও শিবকুমারের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন কংগ্রেস নেতা প্রকাশ্যে এই সমীক্ষার ফল এবং এর রাজনৈতিক প্রভাব নিয়ে তর্কেও জড়িয়ে পড়েছিলেন। এই ঘটনাটি দেখিয়ে দিয়েছিল যে জাতি, সম্প্রদায় ও নেতৃত্বের আকাঙ্ক্ষার ভারসাম্য রক্ষার ক্ষেত্রে কংগ্রেস কতটা বিভক্ত। এখন মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে সর্বশেষ অভ্যন্তরীণ বিবাদের প্রেক্ষিতে দলটি আবারও ঐক্য ও শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়েছে, যখন দলটি সরকারে একটি স্থিতিশীল ভাবমূর্তি তুলে ধরার চেষ্টা করছে, সেই সময় (Karnataka)।

  • ECI: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ সংক্রান্ত সব অভিযোগ খারিজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    ECI: রাহুলের ‘ভোট চুরি’ সংক্রান্ত সব অভিযোগ খারিজ জাতীয় নির্বাচন কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান সাংসদ রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভোট চুরি’ সংক্রান্ত সব অভিযোগ খারিজ করে দিল জাতীয় নির্বাচন কমিশন (ECI)। কমিশনের তরফে সাফ জানানো হয়েছে, কোনও সাধারণ মানুষ অনলাইনের মাধ্যমে কোনও ভোট মুছে দিতে পারে না। বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “রাহুল গান্ধীর করা অভিযোগগুলি মিথ্যে ও ভিত্তিহীন। কোনও সাধারণ নাগরিক অনলাইনের মাধ্যমে কোনও ভোট মুছে দিতে পারে না, যেমনটি রাহুল গান্ধী মনে করছেন। কোনও ভোট মুছে দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট ভোটারের বক্তব্য না শুনে তা করা সম্ভব নয় (ECI)।”

    ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে (ECI)

    নির্বাচন কমিশন আরও জানিয়েছে, রাহুল গান্ধী কর্তৃক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (CEC) জ্ঞানেশ কুমারের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলিও ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কংগ্রেসের সদর দফতরে আয়োজিত এক প্রেস কনফারেন্সে লোকসভার বিরোধী দলনেতা দাবি করেছিলেন, তাঁর কাছে ১০ শতাংশ প্রমাণ আছে যে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার ভোট চোরদের রক্ষা করছেন। তিনি বলেন, “একটি গোষ্ঠী সফটওয়্যারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় পদ্ধতি ব্যবহার করে প্রকৃত ভোটারদের ভুয়ো পরিচয়ে বসিয়ে দিচ্ছে এবং ভোটার তালিকা থেকে তাঁদের নাম মুছে দিচ্ছে।” যদিও নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দিয়েছে, ২০২৩ সালে কিছু ভোট মুছে ফেলার জন্য এমন কিছু ‘ব্যর্থ চেষ্টা’ হয়েছিল। কমিশনের নির্দেশে দায়ের করা হয়েছিল অভিযোগও।

    নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য

    নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, “২০২৩ সালে আলন্দ বিধানসভা কেন্দ্রে কিছু ভোটারের নাম মুছে ফেলার ব্যর্থ প্রচেষ্টা হয়েছিল এবং বিষয়টি তদন্তের জন্য নির্বাচন কমিশন কর্তৃপক্ষ নিজেরাই এফআইআর দায়ের করেছিল।” কমিশন আরও জানিয়েছে, কংগ্রেস নেতা বিআর পাটিল ২০২৩ সালে আলন্দ থেকে বিধানসভা নির্বাচনে জিতেছিলেন (ECI)। ২০১৮ সালে ওই কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিলেন বিজেপির সুবোধ গুট্টেদার।সম্প্রতি (Rahul Gandhi) এক সাংবাদিক সম্মেলনে রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছিলেন, কর্নাটকের আলন্দ কেন্দ্র থেকে ছ’হাজারেরও বেশি ভোটারের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা হয়েছিল। তিনি বলেন, “কর্নাটকের আলন্দে ৬০১৮টি ভোট কেউ মুছে ফেলার চেষ্টা করেছিল। ২০২৩ সালের নির্বাচনে মোট কতগুলো ভোট মুছে ফেলা হয়েছে, আমরা জানি না, কিন্তু একজন ধরা পড়েছে। এটি ধরা পড়েছে, যেমন বেশিরভাগ অপরাধ ধরা পড়ে, কাকতালীয়ভাবে। ঘটনাটি ঘটেছিল এভাবে যে বুথ লেভেল অফিসার লক্ষ্য করেছিলেন যে তাঁর কাকার ভোটও মুছে ফেলা হয়েছে।”

    খুলে পড়ল কংগ্রেসের রাজনীতির মুখোশ

    প্রসঙ্গত, রাহুল গান্ধীর সাম্প্রতিক ‘ভুল’ কংগ্রেসের রাজনীতির মুখোশ খুলে দিয়েছে। তিনি ক্যামেরার সামনে ভোট চুরির যে প্রমাণ দিয়েছিলেন, যা তৈরি হয়েছিল মায়ানমারে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাহুল গান্ধী যখনই গণতন্ত্রের কথা বলেন, তখনই তার পেছনে লুকিয়ে থাকে একটি বিদেশি ছায়া। রাহুলের (Rahul Gandhi) তথাকথিত ‘ভোট চুরি’র অভিযোগ যে সর্বৈব মিথ্যে, তা প্রকাশ পেয়েছে মেটাডাটার তদন্তে। তারাই জানিয়েছে, রাহুলের দেওয়া নথিটি ভারতে নয়, তৈরি হয়েছিল মায়ানমারে (ECI)।

  • AI Video of PM and His Mother: ‘মায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এআই ভিডিও সব জায়গা থেকে সরান’, কংগ্রেসকে নির্দেশ পাটনা হাইকোর্টের

    AI Video of PM and His Mother: ‘মায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এআই ভিডিও সব জায়গা থেকে সরান’, কংগ্রেসকে নির্দেশ পাটনা হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)-র প্রয়াত মা হীরাবেনকে নিয়ে একটি এআই ভিডিও (AI Video) সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশের অভিযোগ উঠেছিল কংগ্রেসের (Congress) বিরুদ্ধে। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক ও রাজনৈতিক বাকবিতণ্ডা হয়। বুধবার সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিল পাটনা হাইকোর্ট (Patna HC)।

    প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মা হীরাবেন মোদির বিতর্কিত ভিডিও

    কংগ্রেসের বিহার ইউনিট (Bihar Congress) প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মা হীরাবেন মোদির বিতর্কিত ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। পাটনা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি পিবি বজন্ত্রি কংগ্রেসের বিহার ইউনিটকে নির্দেশ দিয়েছেন, অবিলম্বে সোশ্য়াল মিডিয়ার সব প্ল্য়াটফর্ম থেকে ওই বিতর্কিত ভিডিও সরিয়ে ফেলতে। সূত্রের খবর, গত ১০ সেপ্টেম্বর কংগ্রেসের বিহার ইউনিট কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে তৈরি ৩৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সোশ্য়াল মিডিয়ায় শেয়ার করে। তাতে দেখা যায়, প্রধানমন্ত্রী তাঁর মাকে স্বপ্নে দেখছেন। তাঁর মা বিহারের ভোট নিয়ে তাঁর রাজনীতির সমালোচনা করছেন। ওই ভিডিও নিয়ে দায়ের হওয়া মামলার প্রেক্ষিতে ওই নির্দেশ দিয়েছে পাটনা হাইকোর্ট।

    বিজেপি এবং এনডিএ জোটের শরিকদের ক্ষোভ

    ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর বিজেপি এবং এনডিএ জোটের শরিকরা এর তীব্র নিন্দা করে। তারা অভিযোগ করে, কংগ্রেস প্রধানমন্ত্রীকে নিশানা করতে এই ধরনের ‘লজ্জাজনক’ কৌশল অবলম্বন করছে। তারা আরও দাবি করে, এই বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হতে চলা বিহার বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক প্ররোচনা সৃষ্টির জন্যই এই ভিডিওটি প্রকাশ করা হয়েছে। যদিও কংগ্রেসের দাবি, ভিডিওটিতে প্রধানমন্ত্রী বা তাঁর প্রয়াত মায়ের প্রতি কোনও অসম্মান দেখানো হয়নি। পাশাপাশি তারা জানায়, কে বা কারা ওই ভিডিও বানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছেড়েছেন, তা খতিয়ে দেখা হবে। এদিকে, বিজেপির দিল্লি নির্বাচন সেলের আহ্বায়ক সঙ্কেত গুপ্তার অভিযোগের ভিত্তিতে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দিল্লি পুলিশ কংগ্রেস এবং তাদের আইটি সেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। নর্থ অ্যাভিনিউ থানায় দায়ের করা ওই অভিযোগে বলা হয়, ভিডিওটি মানহানিকর এবং এটি প্রধানমন্ত্রী মোদির মায়ের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করেছে। পাশাপাশি, এটি সকল মায়েদের প্রতিও অপমানজনক।

    কংগ্রেসের বিকৃত মানসিকতা

    এ নিয়ে গত একমাসে দ্বিতীয় বার প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মাকে নিয়ে বিতর্কিত ঘটনা ঘটল। গত ২৭ অগাস্ট বিহারের দ্বারভাঙায় কংগ্রেসের রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’য় একটি সমাবেশ থেকে মোদি ও তাঁর মাকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল। যার বিরুদ্ধে একটি সভা থেকে সরব হয়েছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছিলেন, এই ধরনের মন্তব্য দেশের সব মা, বোন ও কন্যাদের পক্ষে অপমানজনক। তিনি আরও বলেন, তাঁর মা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। বিজেপির বক্তব্য, বারবার এই ধরনের ঘটনা কংগ্রেসের বিকৃত মানসিকতার পরিচয়।

  • Assam: “ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের মন্তব্যে আমি স্তম্ভিত”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    Assam: “ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে কংগ্রেসের মন্তব্যে আমি স্তম্ভিত”, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমি মা কামাখ্যার কৃপায় ‘অপারেশন সিঁদুরে’র পর প্রথমবার অসমে এসেছি। অপারেশন সিঁদুর আমাদের একটি বড় সাফল্য।” অসমের (Assam) মংগোলদৈ এলাকায় এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    কংগ্রেসকে নিশানা প্রধানমন্ত্রীর (Assam)

    কংগ্রেসের অভিযোগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “কংগ্রেস সভাপতি বলেছেন বিজেপি ভারতরত্ন দিচ্ছে শুধুমাত্র যাঁরা নাচেন এবং গান গান, তাঁদের। ১৯৬২ সালের ভারত-চিন যুদ্ধের সময় পণ্ডিত নেহরু উত্তর-পূর্বকে বিদায় জানিয়েছিলেন, সেই ক্ষতির বেদনা এখনও ভরেনি এবং কংগ্রেস পার্টির বর্তমান প্রজন্মও তাতে নুন ছিটিয়ে দিয়েছে। কংগ্রেস সভাপতি ভূপেনদার ভারতরত্ন পাওয়া নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তাতে আমি স্তম্ভিত।” তিনি বলেন, “আপনি আমায় যত অভিশাপ দিন, আমি কেয়ার করি না। আমি ভগবান শিবের ভক্ত, আমি সমস্ত বিষই গ্রহণ করি। কিন্তু যখন কংগ্রেস দেশের সৎ সন্তানদের—যেমন ডঃ ভূপেন হাজারিকাকে—অপমান করে, তখন আমার মনে কষ্ট হয়।”

    জঙ্গি হামলার পরেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আজ গোটা ভারত উন্নত দেশের দিকে এগিয়ে চলছে। বিশেষ করে তরুণদের জন্য এটি তাদের লক্ষ্য এবং স্বপ্নে পরিণত হয়েছে। ছ’দশকেরও বেশি সময়ে কংগ্রেস ব্রহ্মপুত্র নদের ওপর ৩টি সেতু তৈরি করেছে,  আর আমরা এক দশকে এই নদীতেই ৬টি সেতু নির্মাণ করেছি। রাজনীতির স্বার্থে কংগ্রেস সেই সব মানুষ ও ব্যবস্থার পাশে দাঁড়ায়, যারা সব সময় ভারতের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস শাসন কালে ভারতে বহু জঙ্গি হামলা হয়েছিল। ইউপিএ সরকার চুপচাপ বসে ছিল।”

    তিনি বলেন (Assam), “আমাদের সাহসী সশস্ত্র বাহিনী জঙ্গি মস্তারমাইন্ডদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানজুড়ে হামলা চালিয়েছিল। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কংগ্রেস আমাদের নিজেদের সেনাবাহিনীর বদলে পাকিস্তানের পাশে দাঁড়িয়েছিল। তারা জঙ্গি মস্তারমাইন্ডদের অ্যাজেন্ডা বহন করার চেষ্টা করেছিল। পাকিস্তানের মিথ্যা কথা কংগ্রেসের অ্যাজেন্ডা হয়ে গিয়েছে। কংগ্রেসের কাছে তাদের ভোটব্যাংকের স্বার্থ সর্বোচ্চ প্রাধান্য পায়। তারা ‘দেশের স্বার্থ’ নিয়ে কখনও ভাবে না।” তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়িয়েছে। তারা যখন ক্ষমতায় থাকে, তখন অনুপ্রবেশকে উৎসাহিত করে। তারা চায় অনুপ্রবেশকারীরা ভারতের স্থায়ী নাগরিক হোক এবং এই অনুপ্রবেশকারীরাই দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করুক (Assam)।”

  • Bihar Congress: প্রধানমন্ত্রীর মা-কে নিয়ে এআই ভিডিও বানিয়ে ফের বিতর্কে কংগ্রেস

    Bihar Congress: প্রধানমন্ত্রীর মা-কে নিয়ে এআই ভিডিও বানিয়ে ফের বিতর্কে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গালাগালিকাণ্ডের পর এবার এআই ভিডিও! ফের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মা হীরাবেন মোদিকে ভোট প্রচারে টেনে এনে বিতর্কে কংগ্রেস (Bihar Congress)। মোদিকে নিয়ে বিহার কংগ্রেসের তৈরি এআই ভিডিও নিয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছে বিজেপি (BJP)। পদ্ম শিবিরের দাবি, কংগ্রেস গোটা মহিলা সমাজকে অপমান করেছে।

    এআই দ্বারা তৈরি ভিডিও (Bihar Congress)

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। এদিন বিহার কংগ্রেস এআই দ্বারা তৈরি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট করে, যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও তাঁর প্রয়াত মা হীরাবেনের মতো চরিত্র একটি সাজানো, স্বপ্নসদৃশ আলাপচারিতায় উপস্থিত হয়েছে বলে অনুমান। ৩৬ সেকেন্ডের এই ক্লিপটি যার ওপরে লেখা এআই জেনারেটেড, অনলাইনে ব্যাপকভাবে শেয়ার করা হয়েছে। ঘটনাটিকে বিজেপি বিহার নির্বাচনের আগে ব্যক্তিগত আক্রমণ হিসেবেই দেখছে। যদিও কংগ্রেস এই ভিডিওর পক্ষে বিবৃতি দিয়ে বলেছে, এতে কারও প্রতি অবমাননার কোনও ইঙ্গিত নেই।

    বিজেপির তোপ

    বিজেপি (BJP) সাংসদ রাধামোহন দাস আগরওয়াল ভিডিওটির কড়া নিন্দে করেছেন। তিনি একে রাজনীতিতে নতুন এক নিম্নস্তরের ঘটনা বলে অভিহিত করেছেন। বলেন, “প্রধানমন্ত্রী মোদি সব সময় রাজনীতিকে পারিবারিক জীবনের থেকে আলাদা রেখেছেন। কষ্টের বিষয় যে কংগ্রেস প্রথমে প্রধানমন্ত্রীর মাকে গালিগালাজ করেছে এবং এখন ডিপফেক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেশকে বিভ্রান্ত করছে ও সব মায়ের প্রতি অবমাননা করছে।” তিনি জানান, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানানো হবে (Bihar Congress)।

    বিজেপির মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালা কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন এক্স হ্যান্ডেলে। তিনি বলেন, “কংগ্রেস সব সীমা লঙ্ঘন করেছে।” তিনি লিখেছেন, “প্রধানমন্ত্রীর মাকে গালিগালাজ করার জন্য কোনও অনুশোচনার বদলে কংগ্রেস মিথ্যা বলে অভিযুক্তকে যথার্থ ও নির্দোষ বলে সমর্থন করছে। এই দল ‘গান্ধীবাদী’ না হয়ে এখন ‘গালিবাদী’ হয়ে গিয়েছে।” তিনি ওই ভিডিও ক্লিপটিকে ‘ঘৃণ্য’ ও ‘লজ্জাজনক’ বলেও অভিহিত করেছেন।

    প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর মায়ের নাম রাজনীতির বিতর্কে টেনে আনার ঘটনা এই প্রথম নয়। ২৭ অগাস্ট বিহারেরই দ্বারভাঙায় কংগ্রেস ও আরজেডি পরিচালিত ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’-র সময়, মঞ্চ থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদি (BJP) ও তাঁর প্রয়াত মায়ের বিরুদ্ধে কুরুচিপূর্ণ স্লোগান দেওয়া হয় বলে অভিযোগ (Bihar Congress)।

LinkedIn
Share