Tag: congress

congress

  • Asansol: ভোটের মুখে টাকা বিলি! নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    Asansol: ভোটের মুখে টাকা বিলি! নির্বাচনী বিধিভঙ্গ করে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা হতেই জারি হয়ে গিয়েছে নির্বাচনী বিধি। এবার সেই বিধি ভঙ্গের অভিযোগ উঠল আসানসোলের (Asansol) পাণ্ডবেশ্বরের তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে। বিষয়টি সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Asansol)

    মঙ্গলবার আসানসোল (Asansol) কুলটির ডিসেরগড়ে পীরবাবার মাজারে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। সেখানে তিনি চাদরও চড়ান। এর পরই দেখা যায় মাজার চত্বরে থাকা দুঃস্থ মানুষদের টাকা বিলি করছেন তিনি। বিধায়কের টাকা বিলির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। ( যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম)। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। এই লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের তারকা প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর বিপরীতে বিজেপি তারকা প্রার্থী পবন সিংকে টিকিট দিয়েছিল। তাঁর গানে বঙ্গ নারীদের বিরুদ্ধে কুরুচিকর শব্দ প্রয়োগের অভিযোগে বিতর্ক দানা বাঁধে। সেই বিতর্কের জেরে লোকসভা ভোট থেকে সরে দাঁড়ান পবন। যদিও পরে শোনা যায় ঘনিষ্ঠ মহলে ফের ভোটে লড়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন ভোজপুরী গায়ক। বর্তমানে আসানসোল লোকসভা আসনে নতুন করে কোনও প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেনি গেরুয়া শিবির। তারই মাঝে বিতর্কে তৃণমূল বিধায়ক। যদিও টাকা বিলির বিষয়ে তৃণমূল বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    আরও পড়ুন: বিজেপিতে কৃষ্ণনগরের রানি মা, শুভেন্দুর হাত ধরে যোগদান বহু সংখ্যালঘু পরিবারের

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    স্থানীয় বিজেপি নেতা বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলের সঙ্গে এখন সাধারণ মানুষ নেই। তাঁদের কাছে রেশন, চাকরি, কয়লা, জমি চুরির টাকা রয়েছে। তৃণমূল তাই টাকা দিয়ে ভোটারদের কেনার চেষ্টা করছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না।” কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক দেবেশ চক্রবর্তী বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আর সাধারণ মানুষ নেই। এই ভোটে তৃণমূলের অবস্থা খারাপ। সংখ্যালঘুরাও তাঁদের পাশে নেই। তাই চুরির টাকা দিয়ে ভোটার কেনার চেষ্টা করছে। নির্বাচন কমিশনে তাঁর বিরুদ্ধে আচরণ বিধি ভাঙার অভিযোগ জানাব।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Evm Hack: ‘‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, ইভিএম ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত’’, বললেন রাজীব কুমার

    Evm Hack: ‘‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, ইভিএম ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত’’, বললেন রাজীব কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি জিতলেই বিরোধীদের ‘ইভিএম হ্যাক’ ইস্যু সামনে আসে। তবে কোনও রাজ্যে যদি বিরোধীরা জেতে তখন আবার ইভিএম (Evm Hack) ঠিক কাজ করতে থাকে। যেমন গত বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হওয়া কর্নাটক নির্বাচনে কংগ্রেস জিতলে ইভিএম নিয়ে কোনও অভিযোগই সামনে আসেনি। কিন্তু বিজেপি জিতলেই যেন ইভিএম হ্যাক হয়ে যায়। শনিবারই নির্বাচন ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পাশাপাশি ভোটিং প্রক্রিয়া নিয়েও বক্তব্য রাখেন। ইভিএম ইস্যুতে তাঁর মত হল, ‘‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, ইভিএম ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত।’’

    সুপ্রিম কোর্ট ৪০ বার ইভিএম নিয়ে মামলা দেখেছে

    সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টে ইভিএম নিয়ে বিভিন্ন সময়ের মামলার কথাও বলেন তিনি। তাঁর নিজের ভাষায়, ‘‘হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট ৪০ বার ইভিএম নিয়ে মামলা দেখেছে। ইভিএম (Evm Hack) নিয়ে কখনও বলা হয়েছে রিগিং হয় না, কখনও বলা হয়েছে একটির বদলে ৫টি ভিভিপ্যাড গণনা করুন। আমরা সব করেছি। এখন জরিমানাও করা হচ্ছে। দিল্লি কোর্ট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। সুপ্রিম কোর্ট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।’’

    ইভিএম কখনও হ্যাক হওয়া সম্ভব নয়

    তিনি আরও  বলেন, ‘‘ইভিএম কখনও হ্যাক (Evm Hack) হওয়া সম্ভব নয়। বারবার এটা প্রমাণ হয়েছে। যে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় ইভিএম নিয়ে বসে যায়, এদের অনেকে তো এক্সপার্টও হয়ে গিয়েছেন। কীসের এক্সপার্ট জানি না। ওনারা একটা বাক্স নিয়ে বসেন, একটা বোতাম টিপলে নাকি অন্য স্লিপ বের হচ্ছে। আপনারা যতবার প্রশ্ন করবেন, আমরা উত্তর দেব। ইভিএমের কারণেই অনেক রাজনৈতিক দল অস্তিত্ব লাভ করেছে। সব ইভিএমের তিনবার মক পোল হয়। প্রার্থীদের সামনেই মক পোল হয়। আমাদের ওয়েবসাইটে ইভিএম নিয়ে ঘনঘন করা প্রশ্ন ও তার উত্তর রয়েছে। দয়া করে সেটা অন্তত করুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ভোটের আগেই বাড়ির কাছে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    Nadia: ভোটের আগেই বাড়ির কাছে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রশ্নের মুখে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল কর্মীকে কুপিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার (Nadia) থানারপাড়া থানা এলাকার মোক্তারপুর গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সাইদুল সেখ (৩৭)। তিনি তৃণমূল কর্মী হিসেবে পরিচিত। এই খুনের ঘটনার পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল রয়েছে কি না তা নিয়ে দলের আন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে। শনিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Nadia)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নদিয়ার (Nadia) থানারপাড়া থানা এলাকার মোক্তারপুর গ্রামে গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সাইদুলসাহেব সক্রিয়ভাবে দলীয় প্রার্থীর হয়ে খেটেছিলেন। মিটিং, মিছিলে তিনি নিয়মিত অংশগ্রহণ করতেন। লোকসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর হয়ে তিনি দেওয়াল লিখন শুরু করেছিলেন। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার অন্যান্য দিনের মতোই কাজে গিয়েছিলেন সাইদুল। কিন্তু, নির্দিষ্ট সময়ে বাড়ি ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা তাঁকে ফোন করতে থাকেন। কিন্তু ফোনেও তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। এরপর শুক্রবার রাতেই পরিবারের সদস্যরা তাঁকে খুঁজতে বের হন। বাড়ির অদূরেই রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল কর্মীকে পড়ে থাকতে দেখেন তাঁরা। পরিবারের দাবি, সাইদুলের সারা শরীরে ক্ষত ছিল। রক্তক্ষরণ হচ্ছিল। ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে খুন করা হয়েছে। সাইদুলকে দ্রুত উদ্ধার করে নতিডাঙ্গা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় কংগ্রেস আশ্রীত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরিবার। দুষ্কৃতীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ঘটনার দায় অস্বীকার করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতৃত্বের বক্তব্য, পুরনো কোনও শত্রুতাতেই খুন হয়ে থাকতে পারেন সাইদুল। দলের কোন্দলের কারণে এই ঘটনা ঘটতে পারে। এর সঙ্গে কংগ্রেসের কোনও যোগ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • KCR-daughter K Kavitha arrested: তল্লাশির পর ইডির হাতেই গ্রেফতার কেসিআর-কন্যা কবিতা

    KCR-daughter K Kavitha arrested: তল্লাশির পর ইডির হাতেই গ্রেফতার কেসিআর-কন্যা কবিতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ তল্লাশির পর ইডির হাতে গ্রেফতার হলেন কেসিআর-কন্যা কে কবিতা (KCR-daughter K Kavitha arrested)। আয়কর দফতর এবং কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা আজ দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামলায় ভারত রাষ্ট্র সমিতির নেত্রী এবং তেলঙ্গনার বিধান পরিষদের সদস্য প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-কন্যাকে গ্রেফতার করেছে। হায়দ্রাবাদ থেকে দিল্লিতে আনা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় দেশের রাজনীতিতে শোরগোল পড়েছে।

    বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার (KCR-daughter K Kavitha arrested)

    আজ শুক্রবার আচমকাই কেসিআর-কন্যা কবিতার (KCR-daughter K Kavitha arrested) হায়দ্রাবাদের বাড়িতে তল্লাশি চালায় আয়কর দফতর এবং ইডি। এদিন তদন্ত করতে দুই সংস্থার অন্তত ১০ আধিকারিক বাড়িতে ঢুকে তল্লাশি চালায়। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন কএসিআর-কন্যা এবং তাঁর স্বামী ডি অনিল কুমার। তাঁদের উপস্থিতিতেই তল্লাশি চলে বলে জানা গিয়েছে। আবগারি মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্তদের মধ্যে ছিলেন এই কবিতা। আগে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার পক্ষ থেকে একাধিকবার হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি। এমন কী তদন্তের মোকাবিলা যাতে না করতে হয়, তাই সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিলেন তিনি। কবিতা ২০১৪ সাল থেকে দুইবার সাংসদ হয়েছিলেন। কিন্তু তবু গ্রেফতার হতেই হল তাঁকে।

    গত ডিসেম্বর মাসে তদন্তে নাম উঠে আসে

    গত ডিসেম্বর মাসে যখন মণীশ সিসোদিয়া ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল ইডি, সেই সময় সূত্রে ধরে তদন্তে নাম উঠে এসেছিল কবিতার (KCR-daughter K Kavitha arrested)। পরবর্তী কালে কবিতার মোবাইল পরিচিতি বদলানো হয়। কেজরীওয়াল সরকারের আবগারি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন দক্ষিণ ভারতের আরও এক নেতা অরুণ রামচন্দ্র পিল্লাই। এছাড়াও এই আবগারি দুর্নীতির সঙ্গে কংগ্রেসের সাংসদ এম শ্রীনিবাসুলু রেড্ডি এবং হায়দরাবাদের ব্যবসায়ী শরৎ রেড্ডি প্রত্যক্ষ ভাবে যুক্ত বলে জানা গিয়েছে। এবারে তাঁদের মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। অপরদিকে গত বুধবার কেসিআরের তরফ থেকে দলের লোকসভা প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করলেও নিজের মেয়েকে এইবার টিকিট দেননি। পরিবারের প্রতি স্বজন পোষণের অভিযোগকে মুছে ফেলতে চাইছিলেন কেসিআর, এমনটা বলা হলেও গ্রেফতারির আশঙ্কা ছিলই। আর এর মধ্যেই গ্রেফতার হয়েছেন কে কবিতা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: নির্বাচনের মুখে ‘রামধাক্কা’, রাজস্থানে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে একাধিক নেতা

    Lok Sabha Elections 2024: নির্বাচনের মুখে ‘রামধাক্কা’, রাজস্থানে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে একাধিক নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমেই খাদের কিনারে চলে যাচ্ছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। এখনও ঘর গুছিয়ে উঠতে পারেনি সোনিয়া গান্ধীর দল। বিজেপি বিরোধী একটা জোট গড়া হয়েছে বটে, করা হয়েছে নামকরণও, তবে ‘ইন্ডি’ নামের ওই জোটের ভিত কতটা পোক্ত, তা নিয়ে সন্দিহান জোটের নেতারাই।

    ফের ধস কংগ্রেসে

    এমতাবস্থায় ফের ধস কংগ্রেস শিবিরে। রাজস্থানের একাধিক নেতা হাত ছেড়ে যোগ দিলেন পদ্ম শিবিরে। এঁদের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী কংগ্রেসের রাজেন্দ্র যাদব এবং লাল চাঁদ কাটারিয়াও। রবিবার অনুগামীদের নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন তাঁরা। এদিন যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন বিধায়ক রিছপাল মির্ধা, বিজয়পাল মির্ধা এবং খিলাড়ি বৈরা, প্রাক্তন নির্দল এমএলএ অলোক বেনিওয়াল, পূর্বতন কংগ্রেস সেবাদলের রাজ্যের প্রধান সুরেশ চৌধুরী, রামপাল শর্মা এবং রিজু ঝুনঝুনওয়ালাও। এদিন (Lok Sabha Elections 2024) দলবদলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী ভজনলাল শর্মা, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সিপি জোশী এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভূপেন্দ্র যাদবও। নবাগতদের বিজেপিতে স্বাগত জানান তাঁরা।

    বিজেপিতে মির্ধা পরিবার 

    অশোক গেহলটের মন্ত্রিসভায় ছিলেন কাটারিয়া ও যাদব। ইউপিএ সরকারের জমানায় কাটারিয়া কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও হয়েছিলেন। রিছপাল কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ জ্যোতি মির্ধার কাকা। ২০২৩ সালে রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনের আগে কংগ্রেস ছেড়ে জ্যোতি যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এই জ্যোতিকে নাগপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করেছে বিজেপি। জাঠ অধ্যুষিত নাগপুর ও আশপাশের এলাকায় মির্ধা পরিবারের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই নাগপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে জ্যোতিকে। বিজেপির বিধায়ক ছিলেন রণধীর সিং ভিন্দার। পরে দল ছেড়ে নিজেই গড়ে ফেলেন জনতা সেনা। এই দলকেও এদিন রণধীর মিশিয়ে দিলেন বিজেপিতে।

    আরও পড়ুুন: ‘তালিবানি কায়দায় তৃণমূল সন্দেশখালিতে সন্ত্রাস চালিয়েছে’, বিস্ফোরক মুক্তার আব্বাস নাগভি

    এদিকে, শনিবারই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুরেশ পচৌরি ভুপালে যোগ দিয়েছিলেন গেরুয়া শিবিরে। যার জেরে লোকসভা নির্বাচনের আগে মধ্যপ্রদেশে রামধাক্কা খেল কংগ্রেস। বিজেপিতে যোগ দিয়ে তিনি বলেন, “কংগ্রেস আগে বর্ণহীন, শ্রেণিহীন সমাজের কথা বলত। কিন্তু তারা এখন বর্ণ ও শ্রেণির ভিত্তিতে দেশ ভাগ করতে চাইছে (Lok Sabha Elections 2024)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Lok Sabha Polls: ফের ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে, বিজেপিতে যোগ বিহারের তিন বিধায়কের

    Lok Sabha Polls: ফের ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে, বিজেপিতে যোগ বিহারের তিন বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে। মঙ্গলবার কংগ্রেসের দুই ও আরজেডির এক বিধায়ক ঘোষণা করলেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা (Lok Sabha Polls)। মহাগটবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি শিবিরে ফিরেছেন নীতীশ কুমার। তার পর থেকে বিহারে ভাঙছে ‘ইন্ডি’ জোট। এদিন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর উপস্থিতিতে তাঁরা যোগ দেন বিজেপিতে।

    কারা যোগ দিলেন বিজেপিতে?

    এদিন যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁরা হলেন কংগ্রেসের মুরারী গৌতম ও সিদ্ধার্থ সৌরভ। আরজেডির বিধায়ক সঙ্গীতা দেবীও হাতে তুলে নিয়েছেন গেরুয়া ঝান্ডা। মহাগটবন্ধন সরকারে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ। সেই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন মুরারী। আর পাটনা জেলার বিক্রম বিধানসভা কেন্দ্রের দু বারের বিধায়ক সিদ্ধার্থ। মোহানিয়া কেন্দ্রের সঙ্গীতা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন (Lok Sabha Polls)।

    ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা ব্যর্থ

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিজেপি শিবিরে ভিড়েছিলেন নীতীশ। তখনই জল্পনা ছড়িয়েছিল, কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়কের মধ্যে অন্তত ১০ জন হাত-সঙ্গ ছাড়তে চলেছেন। ভাঙন ঠেকাতে তড়িঘড়ি কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গনার একটি রিসর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিধায়কদের। তার পরেও অবশ্য এড়ানো গেল না ভাঙন। লোকসভা নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ভাঙন তত বাড়বে বই কমবে না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩ জন। এর মধ্যে বিজেপি, জেডি(ইউ) এবং পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝির দল এইচএএমের জোটের দখলে রয়েছে ১২৮টি আসন।

    আরও পড়ুুন: “মমতা ভোটের রাজনীতি করছেন”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁছেছিল বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছিল ইন্ডি। জন্মলগ্ন থেকেই অশান্তির চোরা স্রোত বইছে ইন্ডির অন্দরে। কখনও প্রধানমন্ত্রী মুখ কে হবেন তা নিয়ে, কখনও আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জোটের কোনও এক নেতার মঞ্চ শেয়ার করা নিয়ে অশান্তি লেগেই রয়েছে। এরই মাঝে পদ্মার ভাঙনের মতো নিত্য ভাঙছে জোট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়তে থাকবে ভাঙন। তাই বিজেপিকে মাত দিতে গিয়ে জন্ম হয়েছিল যে জোটের, নির্বাচনের আগে সেই জোট আদৌ টেকে কিনা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন (Lok Sabha Polls)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ট্রেনে করে বসিরহাট, বাইকে চেপে অলি-গলি দিয়ে এসপি অফিসে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ট্রেনে করে বসিরহাট, বাইকে চেপে অলি-গলি দিয়ে এসপি অফিসে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাটের পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। যদিও কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সুপারের অফিসের আশপাশে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। বসিরহাট জেলা পুলিশের অফিস চত্বর অর্থাৎ সংগ্রামপুর এলাকার ৫০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। সকাল থেকে এলাকায় মাইকিং করে অবৈধ জমায়েত করলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। সড়কপথে গেলে পুলিশ আগেই আটকে দিতে পারে। তাই হৃদয়পুর স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে বসিরহাটের উদ্দেশে তিনি রওনা দেন। মোট ৩০ জনের টিকিট কাটা হয়েছে। সুকান্ত বলেন, আইনভঙ্গ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু, পুলিশের হাত এড়িয়ে আমরা যে করে হোক বসিরহাট পৌঁছাব। তাই গাড়ির বদলে লোকাল ট্রেন। এদিন দুপুরে বসিরহাট স্টেশন পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। স্টেশন থেকে বাইক মিছিল করে এসপি অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সঙ্গে বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা। পুলিশের চোখ এড়াতে বড় রাস্তা নয়, বসিরহাট স্টেশন থেকে গলি দিয়ে এসপি অফিসের দিকে রওনা দেন সুকান্ত। 

    সন্দেশখালিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বসিরহাট যাওয়ার পাশাপাশি এদিন সন্দেশখালিতে পৌঁছলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখানে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলছেন কমিশনের দুই প্রতিনিধি। মহিলারাও শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের কথা কমিশনের সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন।

    বসিরহাটে পুলিশের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের মিছিল

    বসিরহাট মহকুমা আদালতের আইনজীবীদের পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল। সোমবার বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে যখন পুলিশ আদালতের বাইরে থেকে গ্রেফতার করে তখন সেখানে উপস্থিত আইনজীবীদেরও ধাক্কাধাক্কি করা হয় এবং মহিলা আইনজীবীকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন আইনজীবীরা। এখনও পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত যে, এই কর্মবিরতি লাগাতার চলবে।

    আটকানো হল কংগ্রেসকে

    উত্তর ২৪ পরগনার ধামাখালির রামপুরে যুব কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে আটকে  দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন যুব কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকেরা। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যুব কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। তার পরে বিক্ষোভকারীদের বাসে তুলে নিয়ে চলে যায় পুলিশ।

    বসিরহাট আদালতে তোলা হল বিকাশ, উত্তমকে

    বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ এবং তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। আদালতে ঢোকার সময় বিজেপি নেতা বিকাশ বলেন, ‘‘সন্দেশখালিকে বাঁচান, সন্দেশখালির মহিলাদের বাঁচান, আমাকে আবার ফাঁসানো হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: ভাঙন পাঞ্জাবেও, ইন্ডি জোটে না থেকে একা লড়ার বার্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

    Indi Alliance: ভাঙন পাঞ্জাবেও, ইন্ডি জোটে না থেকে একা লড়ার বার্তা অরবিন্দ কেজরিওয়ালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের একাধিক রাজ্যে আসন বোঝাপড়া নিয়ে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র (Indi Alliance) শরিক দলগুলির মধ্যে মতান্তরের বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে এসেছে। ইতিমধ্যেই বিরোধী জোট ছেড়ে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোটে নাম লিখিয়েছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। এনডিএ-তে শামিল হওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন আরএলডি নেতা জয়ন্ত চৌধুরীও। এই আবহের মধ্যে লোকসভায় পাঞ্জাবে কংগ্রেসের তেমন কোনও জোট হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় খারিজই করে দিলেন আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল। চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে জোট বেঁধে লড়াই করেছিল কংগ্রেস এবং আপ। তাই, পাঞ্জাবে লোকসভায় আপের ভূমিকা কী হয় তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল, তারমধ্যে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়ে দিয়েছেন,পাঞ্জাবের সব আসনেই লড়াই করবে আপ। শীঘ্রই প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।

    পাঞ্জাবে সব আসনে এককভাবে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা আপের (Indi Alliance)

    পাঞ্জাবে ১৩টি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ে একটি লোকসভা আসন রয়েছে। গত লোকসভায় কংগ্রেস পাঞ্জাবে ৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল। শিরোমণি অকালি দল (এসএডি) এবং বিজেপি জোট বেঁধে লড়াই করে মোট ৪টি আসন পেয়েছিল। আপ পেয়েছিল একটি আসন। ২০২২ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলে অবশ্য চমক দেয় আপ। ১১৭টি আসনের মধ্যে ৯২টিতে জয়ী হয়ে সে রাজ্যে ক্ষমতায় আসে তারা। মাত্র ১৮টি আসন পেয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় কংগ্রেসকে। শনিবার পাঞ্জাবে দাঁড়িয়ে কেজরিওয়াল বলেন, “রাজ্যের ১৩টি আসনে এবং চণ্ডীগড়ের একটি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করবে আপ।” ফলে, কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে (Indi Alliance) জল ঢেলে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

    কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন আপ প্রধান

    এ দিন কংগ্রেসকেও আক্রমণ করতে ছাড়েননি কেজরিওয়াল। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস এত বছর ধরে শাসন করেছে। আপনারা যদি বলেন কংগ্রেসের একটা ভাল কাজ বলতে, আমার মনে পড়বে না। অকালি দল এত বছর ক্ষমতায় ছিল, তাদের কোনও ভাল কাজের কথা আপনাদের মনে পড়বে না।’ আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ফের আপের একটি বৈঠক রয়েছে। সেই বৈঠকেই গোয়া, হরিয়ানা, গুজরাতে দলের রণকৌশল ঠিক করবে। ইতিমধ্যেই গুজরাতের ভারুচ আসনের জন্য প্রার্থী ঘোষণা কংগ্রেসের সঙ্গে আদৌ সমঝোতার পথে হাঁটবে কি না, তা নিয়েই সংশয় তৈরি হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রায়’ চরম বিশৃঙ্খলা! পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি কংগ্রেস কর্মীদের

    Rahul Gandhi: রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রায়’ চরম বিশৃঙ্খলা! পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি কংগ্রেস কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারতজোড়ো ন্যায় যাত্রায় চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। মধ্যাহ্ন ভোজনের স্থানে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয় কংগ্রেস কর্মীদের। অন্যদিকে, মাধ্যমিকের প্রথম দিনে রাহুল গান্ধীর ন্যায় যাত্রার জন্য একাধিক অভিযোগ জমা পড়ল বীরভূম পুলিশের কাছে। পুলিশের কাছে  অভিযোগ করেন অভিবাবকেরা।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Rahul Gandhi)

    পশ্চিমবঙ্গে সর্বভারতীয় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারতজোড়ো ন্যায় যাত্রা পঞ্চম দিন ছিল বীরভূম জেলা সফর। শুক্রবার থেকে মাধ্যমিক শুরু হওয়ায় রাহুলের ন্যায় যাত্রায় আপত্তি ছিল পুলিশের। এমনকী বেশ কয়েক দফা শর্ত বেঁধে দেয় পুলিশ। ফলে, পুলিশের কড়া নজরদারির মধ্যেই এদিন রাহুলের ন্যায় যাত্রা হয় বীরভূমে। জানা গিয়েছে, তারাপীঠের বুধীগ্রাম থেকে প্রায় ৫৫ কিলোমিটার রাজগ্রাম পর্যন্ত ছিল এই ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি। কিন্তু, এদিন থেকে শুরু হয় মাধ্যমিক পরীক্ষা। তাই রাহুল গান্ধীর কর্মসূচিতে অনুমতি ছিল না বীরভূম পুলিশের। তাই, সোজা তারাপীঠের বুধিগ্রাম থেকে রামপুরহাটে মধ্যাহ্ন ভোজনের স্থানে আসে রাহুল গান্ধীর র‍্যালি। সেখানে দলের নেতাকে দেখার জন্য ভিড় জমান দলীয় কর্মীরা। শুরু হয় চরম বিশৃঙ্খলা। পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের সঙ্গে রীতিমতো ধস্তাধস্তি শুরু হয়ে যায় কংগ্রেস কর্মীদের। বিশাল সংখ্যক পুলিশ বাহিনী এসে ভিড় দূরে সরিয়ে কোনওরকমে পরিস্থিতি সামাল দেয়। বাংলা সফরে এসে একাধিক জেলায় মমতার পুলিশের হাতে বাধা পেল রাহুলের ন্যায় যাত্রা। পরে, বীরভূম সফর শেষে ঝাড়খণ্ডে প্রবেশ করে রাহুল গান্ধীর কনভয়।

    ‘ন্যায় যাত্রা’- বিরুদ্ধে অভিযোগ অভিভাবকদের

    অন্যদিকে, মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রথম দিনে রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ভারতজোড়ো যাত্রা করায় অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন পরীক্ষার্থীরা। ফলে, এই কর্মসূচি নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ অভিবাবকেরা। ইতিমধ্যের বীরভূম জেলা পুলিশের কাছে রাহুলের এই ন্যায় যাত্রায় তাঁদের অসুবিধার কথা জানিয়ে ১৫ জন অভিবাবক পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে পারবেন না রাহুল, আর কী শর্ত দিল পুলিশ?

    Rahul Gandhi: জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে পারবেন না রাহুল, আর কী শর্ত দিল পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলায় রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ কর্মসূচি বার বার বাধা পেয়েছে মমতার পুলিশের কাছে। শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। বীরভূমে রাহুলের ন্যায় যাত্রা কর্মসূচিতে আপত্তি জানিয়েছে পুলিশ। তারপরই এদিন মুর্শিদাবাদ থেকে বীরভূমের উদ্দেশে রওনা দেন।

    কর্মসূচিতে বেঁধে দেওয়া হয়েছে শর্ত (Rahul Gandhi)

    কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, রাহুলের (Rahul Gandhi) ন্যায় যাত্রায় বেশ কিছু শর্ত আরোপ করেছে পুলিশ। বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের বাকি অংশ যাত্রার সময় গাড়ি থেকে বা গাড়ি থেকে নেমে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়তে পারবেন না। জরুরি পরিস্থিতি ছাড়া কনভয় কোথাও দাঁড় করানো যাবে না। রাহুলের কনভয়ে সর্বোচ্চ পাঁচটি গাড়ি থাকবে। রাহুলের যাত্রায় ‘সঙ্গী’ কংগ্রেস কর্মীরা দড়ি দিয়ে রাস্তার দু’পাশ আটকাতে পারবেন না। কোনও ভাবে যাতে পথ অবরুদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। রাহুলের যাত্রার রুটে যান চলাচল পুলিশই নিয়ন্ত্রণ করবে। তাতে নাক গলাবেন না কংগ্রেস নেতার নিরাপত্তারক্ষীরা। যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে কংগ্রেস কর্মীরা পুলিশকে সবরকম ভাবে সহায়তা করবে। রাহুলকে যদি জরুরি পরিস্থিতিতে গাড়ি থেকে নামতে হয়, তা হলে সর্বোচ্চ তিনজন তাঁর সঙ্গে নামতে পারবেন। রাহুলের যাত্রাপথে কোনও মাধ্যমিক পরীক্ষা কেন্দ্র থাকলে সচেতন থাকতে হবে। পরীক্ষা শেষ হলে আশপাশেই কোথাও যাত্রা থামিয়ে দিতে হবে। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে বেরিয়ে গেলে তারপর আবার যাত্রা শুরু করা যেতে পারে। মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের যাতে কোনও ভাবে অসুবিধায় পড়তে না হয়, তা খেয়াল রাখতে হবে। পুলিশের দেওয়া শর্ত মেনে রাহুল তাঁর কর্মসূচি সফল করেন তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। দলের অনেকেই বলেছেন, বকলমে কর্মসূচি যাতে ভালোভাবে রূপায়ণ না হয় তার জন্য পুলিশ এই শর্ত বেঁধে দিয়েছে।

    কংগ্রেস নেতৃত্ব কী বললেন?

    কংগ্রেস মুখপাত্র সৌম্য আইচ রায় বলেন, পুলিশ এমন কিছু শর্ত দিয়েছে তা কর্মসূচি না পালনের মতো। যদিও ওই কর্মসূচিতে পুলিশই নিরাপত্তা দিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে, ন্যায় যাত্রায় এখনও পুলিশ কোথাও আটকানোর খবর মেলেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share