Tag: congress

congress

  • Nepal Unrest: “আমাদের এখানে মোদির মতো একজন নেতার দরকার”, বলছেন নেপালিরা

    Nepal Unrest: “আমাদের এখানে মোদির মতো একজন নেতার দরকার”, বলছেন নেপালিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আমাদের এখানে মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি) মতো একটি সরকার দরকার। এখন বলেন্দ্র শাহ আসবেন এবং সব ঠিক হয়ে যাবে।” অশান্তির আগুনে জ্বলতে থাকা নেপালে (Nepal Unrest) দাঁড়িয়ে কথাগুলি বললেন স্থানীয় এক তরুণ। তিনি বলেন, “যদি আমাদের এখানে মোদির (PM Modi) মতো একজন নেতা থাকতেন, তবে নেপাল এই অবস্থায় থাকত না। এটি বিশ্বের শীর্ষ দেশ হতো।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে নেপালের জেন জেড-এর এহেন ‘জ্বরে’ যারপরনাই খুশি বিজেপি। ভারতীয় এক সাংবাদিককে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেপালি তরুণের ওই কথাগুলি ভাইরাল হয়েছে। সেটাকেই হাতিয়ার করেছে পদ্মশিবির।

    দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল (Nepal Unrest)

    ৯ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার দুর্নীতিবিরোধী বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়ে ওঠে ভারতের পড়শি দেশ নেপাল। জেন জেড-এর আন্দোলনের জেরে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। দুর্নীতি, স্বজনপোষণ এবং পদ্ধতিগত ব্যর্থতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হন নেপালবাসী। তার জেরেই শুরু হয় আন্দোলন। যুব-নেতৃত্বাধীন সেই বিক্ষোভে সোমবার নিরস্ত্র জনতার ওপর গুলি চালায় পুলিশ। তার পরেই মারাত্মক আকার ধারণ করে নেপালের পরিস্থিতি। অশান্তির জেরে ভারতের এই পড়শি দেশে নিহত হন কমপক্ষে ১৯ জন। জখম হন ৪০০ জনেরও বেশি। অস্থিরতার মধ্যেই পদত্যাগ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ লেখকও। এহেন অগ্নগর্ভ পরিস্থিতিতেও নেপালবাসীর মুখে শোনা যায় মোদি-প্রশস্তি।

    বিজেপির কটাক্ষ-বাণ

    বুধবার সেই ভিডিওই কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে শেয়ার করেন বিজেপি নেতা অমিত মালব্য। ওই ভিডিওতেই এক নেপালি তরুণকে বলতে শোনা যায়, দেশে এমন একজন নেতার প্রয়োজন, যিনি দেশকে নেতৃত্ব দেবেন, ঠিক যেভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন (Nepal Unrest)। সাম্প্রতিক অতীতে বিরোধী দলনেতার বেশ কয়েকটি ভিডিওর জন্য মালব্য বলেন, “কংগ্রেস রাহুল গান্ধীকে জেনারেল জেড “যৌন প্রতীক” হিসেবে উপস্থাপনের জন্য অশ্লীল অর্থ ব্যয় করছে, যেখানে তাঁকে তাঁর পেটের পেশি প্রদর্শন, বাইক চালানো, পুশ-আপ করা বা ঘুরে বেড়ানোর (PM Modi) মতো বোকা বোকা রিল দেখানো হয়েছে।” তিনি বলেন, “কিন্তু বাস্তব ছবিটা হল, ভারতের মতো নেপালেও জেনারেল জেড প্রধানমন্ত্রী মোদির মতো একজন নেতাকে চান, যাঁর দূরদৃষ্টি, দৃঢ়তা এবং কাজ করার ক্ষমতা রয়েছে।”  মালব্যর করা (Nepal Unrest) পোস্টে সংবাদমাধ্যম থেকে একটি ভিডিওও শেয়ার করা হয়েছে, যেখানে একজন নেপালি তরুণকে বলতে শোনা যায়, তাঁদের দেশে মোদির মতো একজন নেতার প্রয়োজন। তাঁকে বলতে শোনা যায়, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অধীনে যদি এমন সরকার থাকত, তাহলে নেপাল বর্তমানে যেখানে আছে সেখানে থাকত না। নেপাল সামনের সারিতে থাকত।”

    মোদিজির মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন

    বিজেপির অন্ধ্রপ্রদেশের সহ-সভাপতি বিষ্ণু বরাধন রেড্ডিও একটি ভিডিও শেয়ার করে বলেন, “নেপাল থেকে উঠে আসা যুব সমাজের আওয়াজ একটাই স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে – ‘আমাদের মোদিজির মতো নেতৃত্বের প্রয়োজন।’” তিনি আরও বলেন, “এটাই হচ্ছে ১১ বছর ধরে নিবেদিত শাসন ও দূরদর্শী নেতৃত্বের বৈশ্বিক প্রভাব। সবাই চায় এমন একজন নেতা যিনি প্রধানমন্ত্রী শ্রী অ্যাট দ্য রেট নরেন্দ্র মোদিজির মতো (Nepal Unrest)।”

    ভারতের উদ্বেগ

    এদিকে, নেপালে হিংসার ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই উদ্বিগ্ন ভারত সরকার। সরকারের তরফে বিবৃতি জারি করে কেন্দ্র জানিয়েছে, নেপালের কাঠমাণ্ডু-সহ একাধিক শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে, সেদিকেও আমরা নজর রাখছি। নেপালে যে সব ভারতীয় রয়েছেন (PM Modi), তাঁদের প্রত্যেককে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে। নেপালি প্রশাসনের নির্দেশ মতো চলতে অনুরোধ করা হচ্ছে ভারতীয়দের। ভারতীয়দের নেপাল যাত্রা আপাতত এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শও দিয়েছে কেন্দ্র। ভারত-নেপাল সীমান্তে জারি করা হয়েছে হাই অ্যালার্ট। ভারতীয়রা যাতে সে দেশে থেকেও কোনওভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটাই নিশ্চিত করার চেষ্টা করছে নয়াদিল্লি।

    ভারতে অশান্তি ছড়াতে পারে দেশ-বিরোধীরা, আশঙ্কা

    নেপালে অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে দেশে অশান্তি ছড়ানোর কৌশল নিতে পারে ভারত বিরোধীরা। সেই বিষয়েও সতর্ক নয়াদিল্লি। কড়া নজর রাখা হচ্ছে পরিস্থিতির ওপর। তবে নয়াদিল্লি শান্তি এবং স্থিতিশীলতার পক্ষে হলেও, ভারত যে নেপাল ইস্যুতে আগ বাড়িয়ে কোনও পদক্ষেপ করবে না, সেটা স্পষ্ট প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বার্তায়ই। প্রসঙ্গত, সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেপালের হিংসার ঘটনা হৃদয়বিদারক (Nepal Unrest)।” প্রতিবেশী দেশের অস্থিরতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নেপালের স্থিতিশীলতা, উন্নতি এবং শান্তিরক্ষা ভারতের প্রাথমিক গুরুত্ব। আমার নেপালি ভাই-বোনেদের কাছে আবেদন (PM Modi), আপনারা শান্তির পক্ষে থাকুন।” নেপালে যেভাবে একগুচ্ছ তরুণের প্রাণ চলে গিয়েছে, তাতে শোকপ্রকাশও করেন প্রধানমন্ত্রী (Nepal Unrest)।

  • BJP: গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    BJP: গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসকে ধুয়ে দিল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৭২ হাজার কোটি টাকার গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প নিয়ে কংগ্রেসের করা সমালোচনার জবাব দিল বিজেপি (BJP)। দলের মুখপাত্র অনিল কে অ্যান্টনি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ইন্দো-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ভারতের কৌশলগত স্বার্থকে ক্ষুণ্ণ করার অভিযোগ করেছেন। অনিল প্রবীণ কংগ্রেস নেতা একে অ্যান্টনির ছেলে। এক্স হ্যান্ডেলে অনিল বলেন (Great Nicobar Project), “এই দ্বীপগুলি ইন্দোনেশিয়ার মাত্র ১৫০ মাইল দূরে অবস্থিত, মালাক্কা প্রণালীর পশ্চিম প্রবেশদ্বারের কাছে, যা বিশ্বব্যাপী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক পথ।”

    বিজেপির বক্তব্য (BJP)

    তিনি বলেন, “ক্যাম্পবেল বে-তে অবস্থিত নৌবাহিনীর বিমান ঘাঁটি আইএনএস বাজ ২০১২ সালে কমিশন করা হয়েছিল। সেই সময় সোনিয়া গান্ধী ছিলেন ইউপিএর চেয়ারপার্সন।” বিজেপির এই নেতার প্রশ্ন, “কোন ভিত্তিতে রাহুল গান্ধী ও কংগ্রেস পার্টি এমন গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পকে একটি ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন।” তিনি বলেন, “দশ বছরেরও বেশি সময় পরে কোন ভিত্তিতে এবং কার পক্ষে আপনি, আপনার পরিবার এবং আপনার দল এখন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রকল্পকে ভুল পদক্ষেপ বলে মনে করছেন (BJP)?”

    গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প

    গ্রেট নিকোবর দ্বীপ প্রকল্প একটি সরকারি পরিকল্পনা। এর মাধ্যমে দ্বীপটিতে একটি ট্রানশিপমেন্ট পোর্ট, একটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, একটি পাওয়ার প্ল্যান্ট এবং একটি আধুনিক টাউনশিপ তৈরি করা হবে। এই প্রকল্পে উন্নয়নকে কৌশলগত অবস্থানের সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে। প্রায় ১৬০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই প্রকল্প বিস্তৃত। এর মধ্যে ১৩০ বর্গ কিলোমিটার বনাঞ্চলে নিকোবরিজ ও শোম্পেন সম্প্রদায় বসবাস করে। এক্স হ্যান্ডেলে রাহুল গান্ধী লেখেন, “গ্রেট নিকোবার দ্বীপ প্রকল্প একটি মিসঅ্যাডভেঞ্চার, যা উপজাতির অধিকারকে পা দিয়ে দখল করছে এবং আইনি ও বিবেচনামূলক প্রক্রিয়ার অমর্যাদা করছে। এই প্রবন্ধে কংগ্রেস সংসদীয় দলের চেয়ারপার্সন শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধী নিকোবারের (Great Nicobar Project) মানুষ এবং তাদের সংবেদনশীল পরিবেশে এই প্রকল্পের দ্বারা যে অন্যায় সংঘটিত হচ্ছে তা তুলে ধরেছেন।” এরই উত্তর দিতে গিয়ে কংগ্রেসকে নিশানা করল বিজেপি (BJP)।

     

  • PM Modi Hails GST 2.0: ‘শিশুদের টফিতেও কর বসিয়েছিল কংগ্রেস’, জিএসটি ২.০-এর প্রশংসা করে খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi Hails GST 2.0: ‘শিশুদের টফিতেও কর বসিয়েছিল কংগ্রেস’, জিএসটি ২.০-এর প্রশংসা করে খোঁচা প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের সাধারণ পরিবারগুলির উপর মারাত্মক করের বোঝা চাপিয়েছিল কংগ্রেস। এমনকী শিশুদের টফি-লজেন্সের উপরেও কর চাপানো হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ‘জাতীয় শিক্ষক পুরস্কার’ প্রাপ্তদের সভায় নতুন জিএসটি হার নিয়ে কৃতিত্ব দাবি করার পাশাপাশি, বিরোধী কংগ্রেসকে নিশানা করে এমনই দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Hails GST 2.0)। কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদি বলেন, কংগ্রেস সরকার সাধারণ মানুষের রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র এবং কৃষিকাজ, এমনকী ওষুধের উপরেও উচ্চহারে কর চাপিয়েছিল। জিএসটি ২.০-এক সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত, যা দেশের মানুষের স্বার্থে গৃহীত, দাবি প্রধানমন্ত্রীর।

    কংগ্রেসকে আক্রমণ মোদির

    জিএসটি কাঠামোয় বড়সড় রদবদল ঘোষিত হয়েছে বুধবার সন্ধ্যায়। বৃহস্পতিবার সেই ইস্যুতেই কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi Hails GST 2.0)। তিনি বলেন, ‘‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র, খাদ্য এবং ওষুধ – যে কোনও কিছুর উপর কর আরোপ করেছে। এমনকি শিশুদের টফিতেও কর বসিয়েছিল কংগ্রেস। মোদি যদি এটা করতেন, তাহলে তাঁরা আমার চুল টেনে ছিঁড়ে ফেলত।’’ কংগ্রেসের তীব্র সমালচনা করে মোদি অভিযোগ করেন, “যদি সেই শাসনব্যবস্থা অব্যাহত থাকত, তাহলে ১০০ টাকার জিনিস কিনতে আপনাকে ২০-২৫ টাকা কর দিতে হত। কংগ্রেস জমানায় হোটেল বুকিংয়েও একাধিক কর নেওয়া হত। ভারতে চিকিৎসা অনেক ব্যয়বহুল ছিল। কংগ্রেস সরকার ডায়াগনস্টিক কিটের উপর ১৪% কর নিত। কংগ্রেস সরকার আলো, পাখা, টিভি, এসির ওপর ৩১% কর নিত। কিন্তু আমাদের সরকারের লক্ষ্য হল সাধারণ মানুষের জীবনে সর্বাধিক সঞ্চয় নিশ্চিত করা এবং তাঁদের জীবন উন্নত করা।”

    জিএসটি ২.০ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত

    নয়া জিএসটি কাঠামোর প্রশংসা করে মোদির (PM Modi Hails GST 2.0) দাবি, দেশের উন্নতিতে জিএসটি ২.০ দ্বিগুণ সাহায্য করবে। তাঁর মতে, ভারতকে আত্মনির্ভর করার জন্য এই সংস্কার ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, জিএসটি ২.০ জাতির প্রতি সহায়তা এবং দেশের আর্থিক বৃদ্ধির ‘ডবল ডোজ’ হবে। সেই সঙ্গে জিএসটি হারের পরিবর্তন সম্পর্কে তাঁর মন্তব্য, ‘‘দেশের স্বাধীনতার পরে এটিই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত।’’ বুধবার পণ্য পরিষেবা কর (জিএসটি) কাঠামোয় বুধবার গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনের কথা ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা কাউন্সিলের চেয়ারপার্সন নির্মলা সীতারামন। জিএসটি কাউন্সিলের ৫৬তম বৈঠকের প্রথম দিনের শেষে জানিয়েছিলেন, আগামী ২২ সেপ্টেম্বর থেকে মূলত দু’টি হারে (৫, ১৮) জিএসটি কার্যকর হবে (এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে থাকবে ৪০ শতাংশ কর)। ২০১৭ সালের জুলাইয়ে জিএসটি চালুর পর থেকে তাতে পাঁচটি (৫, ১২, ১৮, ২৮ এবং কিছু পণ্যে শূন্য) হার ছিল এতদিন পর্যন্ত। এ বার ১২ এবং ১৮ শতাংশ জিএসটি উঠে গেল। এই নয়া হারকে জিএসটি ২.০ বলেছেন মোদি।

    দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন

    প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi Hails GST 2.0) বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘সময়োপযোগী পরিবর্তন না হলে আজকের বিশ্ব পরিস্থিতিতে আমরা আমাদের দেশকে তার যথাযথ স্থান দিতে পারব না। আমি ১৫ অগাস্ট লালকেল্লা থেকে বলেছিলাম যে, ভারতকে স্বাবলম্বী করার জন্য পরবর্তী প্রজন্মের সংস্কারমূলক পদক্ষেপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমি দেশবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে, এই দীপাবলি এবং ছট পুজোর আগে দ্বিগুণ আনন্দের ঝলক দেখা যাবে।’’ সেই প্রতিশ্রুতি তাঁর সরকার রক্ষা করেছে বলে দাবি প্রধানমন্ত্রীর। প্রধানমন্ত্রী মোদির দাবি, ‘‘এই সিদ্ধান্তে একুশ শতকে দেশের উন্নয়নের ক্ষেত্রে নজিরবিহীন অগ্রগতি হবে। জিএসটি সংস্কারের মাধ্যমে ভারতের প্রাণবন্ত অর্থনীতিতে পাঁচটি নতুন রত্ন (পঞ্চরত্ন) যুক্ত হয়েছে।’’

    যুবকদের আয় বাড়বে

    বুধবার জিএসটি কাউন্সিলের অনুমোদিত সংস্কারে, রুটি থেকে শুরু করে চুলের তেল, আইসক্রিম এবং টিভি পর্যন্ত সাধারণ মানুষের ব্যবহারের সব জিনিসের দাম কমবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য ও জীবনবিমার উপর করের পরিমাণ শূন্যে নামিয়ে আনা হবে বলেও জানা গিয়েছে। ফিটনেস সামগ্রীতেও কর কমানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ব্যয় বৃদ্ধি এবং মার্কিন শুল্কের ধাক্কা কমাতে সমস্ত ব্যক্তিগত ব্যবহারের জিনিস এবং মধ্যবিত্তদের ব্যবহারের অন্যান্য পণ্যের দাম কমবে। এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi Hails GST 2.0) বলেন, ‘‘এখন জিএসটি আরও সহজ হয়ে গিয়েছে। মাত্র দু’টি স্ল্যাব রয়েছে এখন, ৫% এবং ১৮% – যা প্রতিটি নাগরিক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য আরও সহজ হয়ে গেল। জিএসটি ২.০ বিশেষত ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দেবে।’’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, ‘‘জিএসটি ২.০ দরিদ্র, নব্য মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, কৃষক, মহিলা, ছাত্র, যুবক-যুবতী সকলের জন্যই উপকারী। পনির থেকে শ্যাম্পু-সাবান সবকিছুই হবে সস্তা।’’ ১৭৫টি জিনিসের দাম কমার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর কথায়, জিএসটি শুধু কমেনি, জিএসটি সরলীকরণও করা হয়েছে। এতে যুবকদের আয় বাড়বে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ৫০ শতাংশ শাস্তিমূলক শুল্কের আবহে ভারতের রফতানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ঘটনাচক্রে, সেই আবহেই এসেছে জিএসটি সরলীকরণের সিদ্ধান্ত। যা একেবারেই সময়ের দাবি বলে মত প্রধানমন্ত্রীর।

  • Bihar Bandh: প্রধানমন্ত্রীর মাকে অপমান, বিহার বনধের ডাক এনডিএর

    Bihar Bandh: প্রধানমন্ত্রীর মাকে অপমান, বিহার বনধের ডাক এনডিএর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) প্রয়াত মায়ের উদ্দেশে কুকথা বলা হয়েছিল কংগ্রেস-আরজেডির মঞ্চ থেকে। তার প্রতিক্রিয়ায় মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, “এটা গোটা দেশের মা-বোন এবং কন্যাদের অপমান।” দেশের মহিলাদের অপমান করায় বিহার বনধের (Bihar Bandh) ডাক দিল এনডিএ। ৪ সেপ্টেম্বর সকাল ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বনধের ডাক দেওয়া হয়েছে। বনধের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবাকে।

    প্রধানমন্ত্রীর মাকে কটু কথা (Bihar Bandh)

    প্রধানমন্ত্রী যখন এসসিও শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে দু’দিনের চিন সফরে গিয়েছিলেন, তখনই তাঁর মায়ের উদ্দেশে কটু কথা বলা হয়। চিন থেকে ফিরেই এ নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার বিহারের এক জনসভা থেকে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী ও আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর প্রশ্ন, রাজনীতিতে যুক্ত না থাকলেও, কেন তাঁর মাকে টেনে আনলেন কংগ্রেস সাংসদ এবং হাত শিবিরের লেজুড় আরজেডি নেতা? বিষয়টিকে দেশজুড়ে মহিলাদের প্রতি অপমান হিসেবে বর্ণনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে তাঁর মৃত মায়ের উদ্দেশে এভাবে অপমানসূচক মন্তব্য অকল্পনীয়।”

    রাহুল-তেজস্বীকে কটাক্ষ প্রধানমন্ত্রীর

    রাহুল এবং তেজস্বীকে কটাক্ষ করে প্রধানমন্ত্রী (Bihar Bandh) বলেন, “একজন দরিদ্র মায়ের সংগ্রাম, তাঁর ছেলের কষ্ট – রাজপরিবারে জন্ম নেওয়া এই তরুণ রাজকুমাররা বুঝতে পারেন না। এই নামদার লোকেরা মুখে রূপার চামচ নিয়ে জন্মগ্রহণ করেছেন। দেশ ও বিহারের ক্ষমতা তাঁদের কাছে পরিবারের উত্তরাধিকারের মতো মনে হয়।” তিনি বলেন, “দীর্ঘ লড়াইয়ের পর বিহার সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে এসেছে। বিহারের সব মহিলা আরজেডিকে সরিয়ে বারবার পরাজিত করার ক্ষেত্রে খুব বড় ভূমিকা পালন করেছেন। তাই আরজেডি হোক বা কংগ্রেস আজ এই (PM Modi) লোকেরা মহিলাদের ওপর সব চেয়ে বেশি বিরক্ত। এই লোকেরা আপনাদের ওপর প্রতিশোধ নিতে চায়, তারা সুযোগ খুঁজছে যাতে তারা আপনাদের শাস্তি দিতে পারে (Bihar Bandh)।”

  • PM Modi: “গালিগুলি আমার মায়ের অপমান নয়, দেশের মা, বোন ও কন্যাদের অপমান,” তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi: “গালিগুলি আমার মায়ের অপমান নয়, দেশের মা, বোন ও কন্যাদের অপমান,” তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মা আমাদের পৃথিবী। মা আমাদের আত্মসম্মান। কয়েকদিন আগে সমৃদ্ধশালী ঐতিহ্যের অধিকারী এই বিহারে যা ঘটেছিল, তা আমি কল্পনাও করিনি। বিহারের মানুষও এটা কল্পনা করেননি। বিহারে আরজেডি-কংগ্রেসের মঞ্চ থেকে আমার মাকে গালি দেওয়া হয়েছিল। এই গালিগুলি আমার মায়ের (Dead Mother) অপমান নয়, এগুলি দেশের মা, বোন ও কন্যাদের অপমান।” মঙ্গলবার বিহারের এক জনসভায় টানা কথাগুলি বলে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)।

    সমস্ত নারীর প্রতি অপমান (PM Modi)

    তিনি এই ঘটনাকে দেশের সমস্ত নারীর প্রতি অপমান বলে বর্ণনা করে বলেন, “রাজনৈতিক মঞ্চ থেকে আমার প্রয়াত মাকে এভাবে গালিগালাজ করা অকল্পনীয়।” তিনি বলেন, “আমি জানি, আপনাদের সবার, বিহারের প্রতিটি মায়ের, এই ঘটনা দেখে ও শুনে কতটা খারাপ লেগেছে। আমি জানি, আমার হৃদয়ে যতটা কষ্ট আছে, বিহারের মানুষও সেই একই কষ্টে আছেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার মায়ের সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক ছিল না। তার পরেও কেন তাঁকে অপমান করল আরজেডি এবং কংগ্রেস?” তিনি বলেন, “যারা এ ধরনের গালাগালি দেয়, তারা এমন এক মানসিকতার পরিচয় দেয় যা নারীকে দুর্বল মনে করে। বিহারে কংগ্রেসের ‘ভোটার অধিকার যাত্রা’র সময় ঘটে যাওয়া ঘটনাটি শুধু আমাকেই নয়, দেশের প্রতিটি নারীকে অপমান করেছে (PM Modi)।”

    মহিলাদের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার

    এদিন নতুন এক সমবায় উদ্যোগের উদ্বোধনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে (এটি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত গ্রামীণ মহিলাদের মধ্যে উদ্যোক্তা সৃষ্টিকে উৎসাহিত করবে) প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিহারে এনডিএ সরকার ধারাবাহিকভাবে মহিলাদের ক্ষমতায়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। এই নতুন সমবায় বিহারের কন্যা ও বোনদের এগিয়ে যাওয়ার জন্য একটি শক্তিশালী মঞ্চ হয়ে উঠবে।” তিনি বলেন, “আমি আমার দেশের জন্য প্রতিদিন, প্রতিটি মুহূর্তে কঠোর পরিশ্রম করেছি। আর এতে আমার মা অনেক বড় ভূমিকা পালন করেছেন। আমাকে মা ভারতীর সেবা করতে হয়েছিল। তাই আমার মা (Dead Mother), যিনি আমাকে জন্ম দিয়েছেন, তিনি আমাকে আমার দায়িত্ব থেকে মুক্ত করেছেন। সেই মায়ের আশীর্বাদেই আমি আমার যাত্রা শুরু করেছিলাম (PM Modi)।”

  • Rahul Gandhi: কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া

    Rahul Gandhi: কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগে সরব হয়েছেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এবার তাঁর বিরুদ্ধেই ভোট চুরির অভিযোগে সরব হলেন কংগ্রসেরই নেতা কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah)। ১৯৯১ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে রাহুলকে কাঠগড়ায় তোলেন তিনি। স্বদলেরই এক বরিষ্ঠ নেতার এমনতর গুরুতর অভিযোগের জেরে বিপাকে পড়েছে কংগ্রেস। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে আক্রমণ শানিয়ে আসরে নেমে পড়েছে বিজেপি।

    হেরে গিয়েছিলাম জালিয়াতির কারণে (Rahul Gandhi)

    প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালের লোকসভা নির্বাচনে কপ্পল লোকসভা কেন্দ্রে জনতা দলের প্রার্থী হয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। ওই নির্বাচনে তাঁর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন কংগ্রেসের বাসবরাজ পাটিল আনওয়ারি। তাঁর কাছে ১১ হাজারেরও বেশি ভোটে হেরে গিয়েছিলেন সিদ্দারামাইয়া। সেদিনের কথা স্মরণ করেই বেঙ্গালুরুতে একটি অনুষ্ঠানে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী তথা কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়া বলেন, “১৯৯১ সালে আমি ভোটে লড়েছিলাম এবং হেরে গিয়েছিলাম জালিয়াতির কারণে।” সেই কঠিন সময়ে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য তিনি রাজ্যের প্রাক্তন অ্যাডভোকেট জেনারেল প্রফেসর রবি বর্মা কুমারকে ধন্যবাদও দেন।

    অমিত মালব্যর আক্রমণ

    সিদ্দারামাইয়ার ওই মন্তব্যের ভিডিও সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে বিজেপির তথ্যপ্রযুক্তি শাখার প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “যিনি এক সময় কংগ্রেসের ভোট চুরির বিরুদ্ধে লড়েছিলেন, তিনিই আজ কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী এবং ভোটার অধিকার মিছিলেন নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তখন তিনি (সিদ্দারামাইয়া) ব্যালট পেপারে হেরে গিয়ে ভোট চুরি বলে কেঁদেছিলেন। আর আজ রাহুল গান্ধী নির্বাচনী জালিয়াতি নিয়ে হাহাকার করছেন। কারণ ভারতের মানুষ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ও হ্যাক করা যায় না, এমন যন্ত্র ইভিএমের মাধ্যমে কংগ্রেসকে সাফ করে দিয়েছে।” সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি এও লেখেন, “কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Siddaramaiah) প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে ১৯৯১ সালের কপ্পল লোকসভা নির্বাচনে তিনি কংগ্রেসের ভোট কারচুপির শিকার হয়েছিলেন। এটি প্রমাণ করে যে কংগ্রেস দীর্ঘদিন ধরেই ভোট চুরির রাজনীতি করেছে।আয়রনি হল, রাহুল গান্ধী বিজেপিকে সেই কাজের জন্য অভিযুক্ত করছেন, যা তাঁর নিজের দল দশকের পর দশক ধরে করেছে।”

    আক্রমণ পদ্ম শিবিরের

    কর্নাটকের বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী বিজেপির আর অশোকও বলেন, “কংগ্রেস (Rahul Gandhi) প্রতারণা করে সিদ্দারামাইয়াকে হারিয়েছিল।” তিনি বলেন, “সিদ্দারামাইয়া নিজেই কংগ্রেস পার্টির মুখোশ খুলে দিয়েছেন। তিনি ১৯৯১ সালে জনতা দল প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে লড়েছিলেন, আর এখন তিনি স্বীকার করছেন যে কংগ্রেস জালিয়াতির মাধ্যমে তাঁকে পরাজিত করেছিল। সত্যটি স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর মুখ থেকেই বেরিয়ে এসেছে।” পদ্ম শিবিরের আর এক নেতা সরাসরি রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ (Siddaramaiah) করে বলেন, “রাহুল গান্ধী কি এখন প্রতারণা ফাঁস করার জন্য সিদ্দারামাইয়াকে কংগ্রেস থেকে বহিষ্কার করবেন? নাকি শাস্তিমূলক ব্যবস্থা শুধু দলিত নেতা সত্যিশ জারকিহোলির মতো নেতাদের জন্যই রাখা হয়েছে, যিনি আগে অপমানের শিকার হয়েছিলেন? সিদ্দারামাইয়া যখন কংগ্রেসের বিরুদ্ধেই কথা বলেছেন, তখন রাহুল গান্ধী নীরব কেন?”

    ১৯৯১ সালের অশান্ত লোকসভা নির্বাচন

    সিদ্দারামাইয়ার মন্তব্য ১৯৯১ সালের অশান্ত লোকসভা নির্বাচনের স্মৃতি ফিরিয়ে এনেছে। ওই নির্বাচনে একাধিক আসনে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। তাই কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য এখন বড় হাতিয়ার হয়ে উঠেছে (Rahul Gandhi) বিজেপির। তাদের প্রশ্ন, যদি কংগ্রেস ১৯৯১ সালে ভোট কারচুপি করে থাকে, তবে আজ বিজেপিকে অভিযুক্ত করার নৈতিক অধিকার তাদের কোথায়? ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাহুল এবং সিদ্দারামাইয়ার মন্তব্যে বিরোধাভাস স্পষ্ট। রাহুল জোরালোভাবে বিজেপিকে একমাত্র নির্বাচনী জালিয়াত হিসেবে তুলে ধরেছেন, অথচ তাঁর নিজের দলের মুখ্যমন্ত্রীই প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে কংগ্রেস-নেতৃত্বাধীন অনিয়মের শিকার হয়েছিলেন তিনি স্বয়ং (Siddaramaiah)।

    প্রশ্ন একাধিক

    বিহার এবং কর্নাটক-সহ অন্যান্য নির্বাচনে বিজেপি যে এটিকেই প্রধান ইস্যু করবে, তা স্পষ্ট। তারা কংগ্রেসকে এমন একটি দল হিসেবে ব্র্যান্ড করবে, যারা অনেক আগেই ভোট কারচুপিকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিল, আর এখন অন্যদের দিকে আঙুল তুলছে। এই বিতর্কে সিদ্দারামাইয়া ও রাহুল (Rahul Gandhi) কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। বিজেপির বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে যা প্রয়োগ করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, সেটিই যে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরবে, তা বোধহয় কল্পনাও করতে পারেননি কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। স্বাভাবিকভাবই তাঁদের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। প্রশ্ন হল, কংগ্রেস কি আসলেই ১৯৯১ সালের নির্বাচনে কারচুপি করেছিল? আর যদি করেই থাকে, তবে (Rahul Gandhi) প্রকৃত ভোট চোর কারা?

  • Kiren Rijiju: “বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন রাহুল গান্ধী,” তোপ কিরেন রিজিজুর

    Kiren Rijiju: “বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন রাহুল গান্ধী,” তোপ কিরেন রিজিজুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “রাহুল গান্ধী ( Rahul Gandhi) একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন।” শনিবার কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেন রিজিজু (Kiren Rijiju)। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুলের বিরুদ্ধে “ভারত-বিরোধী” হিসেবে পরিচিত জর্জ সোরোসের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে কাজ করার অভিযোগও করেন। তিনি অবশ্য এও জানিয়ে দেন, এসব ষড়যন্ত্র সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে দেশ নিরাপদেই রয়েছে।

    রিজিজুর অভিযোগ (Kiren Rijiju)

    সংবাদ মাধ্যমে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রিজিজু বলেন, “রাহুল গান্ধী একটি অত্যন্ত বিপজ্জনক পথে হাঁটছেন। জর্জ সোরোস বলেছেন যে ভারত সরকারকে অস্থির করতে এক ট্রিলিয়ন ডলার রাখা হয়েছে। কানাডা, আমেরিকা, ব্রিটেন এবং বিভিন্ন বামপন্থী সংগঠনে বসে থাকা ভারত-বিরোধী খালিস্তানপন্থী শক্তিগুলি দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করছে। রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস তাদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করে দেশকে দুর্বল করছে। এটি খুবই উদ্বেগজনক। তবে মোদীজির নেতৃত্বে কেউই দেশকে অস্থিতিশীল করতে পারবে না।”

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর তোপ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর (Kiren Rijiju) অভিযোগ, কংগ্রেস যখনই নির্বাচনে জিততে ব্যর্থ হয়, তখনই তারা ভারত-বিরোধী গোষ্ঠীগুলির সঙ্গে মিলে যায়। তিনি বলেন, “যখন কংগ্রেস ভোটে জিততে পারে না, তখন তারা এবং ভারতবিরোধী শক্তি মিলে সরকার ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করতে শুরু করে, যাতে সাধারণ মানুষ এই দেশের প্রতিষ্ঠানগুলির ওপর আস্থা হারায়। তারা বারবার বলে এসেছে যে বিচারব্যবস্থা ও নির্বাচন কমিশন বিক্রি হয়ে গিয়েছে, তাদের দুর্বল করার জন্য।” রিজিজু বলেন, “এই ধরনের কাজকর্মের উদ্দেশ্য ছিল দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি করা। যখন তারা জাতিকে দুর্বল করার জন্য এবং সরকারের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করে, তখন তার ফলশ্রুতিতে আন্দোলন শুরু হয়। তারা বামপন্থী মানসিকতা নিয়ে কাজ করছে।” তিনি (Kiren Rijiju) বলেন, “রাহুল গান্ধী যখন কিছু বলেন, তখন তাঁর দলের সব সাংসদ খুব অস্বস্তি বোধ করেন। তাঁরা ভয় পান, উনি (Rahul Gandhi) হয়তো উল্টোপাল্টা কোনও কথা বলে বসবেন, আর তার ফল ভুগতে হবে পুরো দলকে।”

  • Illegal Betting Racket: অনলাইন বেটিং চক্র চালানোর অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার কংগ্রেস বিধায়ক

    Illegal Betting Racket: অনলাইন বেটিং চক্র চালানোর অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার কংগ্রেস বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইন বেটিং চক্র (Illegal Betting Racket) চালানোর অভিযোগে ইডির হাতে গ্রেফতার কর্নাটকের বিধায়ক কংগ্রেসের (Congress MLA) কেসি বীরেন্দ্র। শনিবার সিকিমের অনলাইন ও অফলাইন জুয়া মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। প্রসঙ্গত, অনলাইন বেটিং চক্র বন্ধে সম্প্রতি বিল এনেছে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদির সরকার। তার ঠিক একদিন পরেই গ্রেফতার কংগ্রেস নেতা। শুক্রবার দেশের একাধিক রাজ্যের ৩১টি জায়গায় তল্লাশি অভিযান চালিয়ে ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে নগদ ১২ কোটি টাকা, ৬ কোটি টাকা মূল্যের সোনা এবং প্রায় ১০ কেজি রুপো।

    বাজেয়াপ্ত বিপুল পরিমাণ সম্পদ (Illegal Betting Racket)

    জানা গিয়েছে, শুক্রবার এই অনলাইন বেটিং মামলায় বীরেন্দ্র, তাঁর ভাই ও অন্যান্য সহযোগীর একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালান ইডির আধিকারিকরা। তল্লাশি চলে তাঁদের ৬টি ক্যাসিনো-সহ অফিস এবং বাড়িতেও। তখনই বাজেয়াপ্ত হয় ওই বিপুল পরিমাণ সম্পদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র। এর পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মুদ্রাও। ইডির তরফে জানানো হয়েছে, শনিবার চিত্রদুর্গের বছর পঞ্চাশের ওই বিধায়ককে গ্রেফতার করার পর সিকিমের রাজধানী গ্যাংটকের ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে পেশ করা হয়। তাঁকে বেঙ্গালুরুতে আনতে ইডির তরফে আবেদন জানানো হয় ট্রানজিট রিমান্ডের।

    দু’টি অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্ম চালাতেন!

    তদন্তকারীদের তরফে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ওই বিধায়ক কিং ৫৬৭ ও রাজা ৫৬৭ নামে দু’টি অনলাইন বেটিং প্ল্যাটফর্ম চালাতেন। বীরেন্দ্র ও তাঁর সহযোগীরা একটি ক্যাসিনো লিজ নিতে গ্যাংটকে গিয়েছিলেন। তল্লাশি অভিযানে বীরেন্দ্রর ভাই কেসি নাগরাজ ও ছেলে পৃথ্বী এন রাজের একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি চালিয়ে প্রচুর নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। ইডির দাবি, বীরেন্দ্রর আর এক ভাই কেসি থিপ্পেস্বামী দুবাইয়ে অনলাইন বেটিং গেমের কারবার চালান (Illegal Betting Racket)। আরও জানা গিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া বিধায়কের সঙ্গীরা অনলাইন গেমিংয়ের মাধ্যমে টাকা তুলতেন। গোটা কাজটি করা (Congress MLA) হত দুবাই থেকে। বিধায়ক ওই টাকায় বহু জমি-জমাও কিনেছেন বলে খবর। অর্থ তছরুপের এই মামলাটির তদন্ত করছে ইডির বেঙ্গালুরু জোন (Illegal Betting Racket)।

  • Criminal Ministers Bill: “আমায় গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম,” কংগ্রেসকে নৈতিকতার পাঠ শাহের

    Criminal Ministers Bill: “আমায় গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম,” কংগ্রেসকে নৈতিকতার পাঠ শাহের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ৩০ দিনের বেশি হেফাজতে থাকা নির্বাচিত প্রতিনিধিদের অপসারণ সংক্রান্ত বিল নিয়ে উত্তপ্ত লোকসভা (Criminal Ministers Bill)। কংগ্রেস সাংসদ কেসি বেণুগোপাল এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের (Amit Shah) মধ্যে বাদানুবাদ তুঙ্গে ওঠে। প্রবীণ এই দুই রাজনীতিবিদের মধ্যে দ্বন্দ্ব বাঁধে বিলটির নৈতিকতা নিয়ে।

    বেণুগোপালের বক্তব্য (Criminal Ministers Bill)

    বুধবার বিলগুলি উপস্থাপনের পর বেণুগোপাল বলেন, “এই বিল দেশের ফেডারেল ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য আনা হয়েছে। এটি সংবিধানের মৌলিক নীতিগুলিকে ধ্বংস করার প্রচেষ্টা। বিজেপি নেতারা বলছেন এই বিল রাজনীতিতে নৈতিকতা আনতে এসেছে। আমি কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে একটি প্রশ্ন করতে পারি? যখন তিনি গুজরাটের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ছিলেন, তখন তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তিনি কি তখন নৈতিকতার মান রক্ষা করেছিলেন?” সঙ্গে সঙ্গেই জবাব দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    নৈতিকতার পাঠ শেখালেন শাহ

    শাহ বলেন, “আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই। আমার বিরুদ্ধে ভুয়ো অভিযোগ আনা হয়েছিল। তবুও আমি নৈতিকতা ও আদর্শ মেনে চলেছি। আমি শুধু পদত্যাগই করিনি, বরং আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পূর্ণভাবে খারিজ না হওয়া পর্যন্ত কোনও সাংবিধানিক পদ গ্রহণ করিনি। আর তাঁরা আমাদের নৈতিকতা শেখাতে চাইছেন? আমি পদত্যাগ করেছিলাম। আমি চাই নৈতিকতা বৃদ্ধি পাক। আমরা এতটা নির্লজ্জ হতে পারি না যে অভিযোগ থাকলেও সাংবিধানিক পদ আঁকড়ে থাকব। আমায় গ্রেফতার করার আগেই আমি পদত্যাগ করেছিলাম।”

    বুধবার দিনের শুরুতে শাহ তিনটি বিল (Criminal Ministers Bill) উপস্থাপন করেছিলেন। এগুলি হল, সংবিধান (একশ ত্রিশতম সংশোধনী) বিল, ২০২৫, কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকার (সংশোধনী) বিল, ২০২৫, এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল, ২০২৫।

    এই বিলগুলিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী, যে কোনও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী এবং মন্ত্রীরা যদি এমন কোনও অপরাধে গ্রেফতার হন এবং ধারাবাহিকভাবে ৩০ দিন হেফাজতে রাখা হয়, যার জন্য অন্তত পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে, তাহলে ৩১তম দিনে তাঁদের পদত্যাগ করতে হবে, নতুবা পদ থেকে তাঁরা অপসারিত হবেন।

    জানা গিয়েছে, বিলগুলি পাঠানো হয়েছে যৌথ সংসদীয় কমিটির কাছে। শাহ (Amit Shah) বলেন, বিরোধী দলগুলি এই কমিটির সামনে তাদের আপত্তি উপস্থাপন করার সুযোগ পাবে (Criminal Ministers Bill)।

  • Madhya Pradesh: জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে চরমে গোষ্ঠী কোন্দল, নেতাদের গণ পদত্যাগ

    Madhya Pradesh: জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা হতেই মধ্যপ্রদেশ কংগ্রেসে চরমে গোষ্ঠী কোন্দল, নেতাদের গণ পদত্যাগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মধ্যপ্রদেশে (Madhya Pradesh) চরমে উঠেছে কংগ্রেসের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রাজ্যে সম্প্রতি জেলা সভাপতিদের নামের তালিকা ঘোষণা করতেই বিভিন্ন জায়গায় একের পর এক পদত্যাগ শুরু করেন কংগ্রেসের পদাধিকারীরা। ৭১ জন জেলা সভাপতির নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই বিভিন্ন জেলায় তৈরি হয় ব্যাপক অসন্তোষ ও গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ভোপাল, ইন্দোর, উজ্জয়িন, বুরহানপুর—প্রায় সর্বত্র দেখা যায় বিক্ষোভ।

    বহু নেতাকে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা গেছে (Madhya Pradesh)

    এই তালিকা ঘোষণার পর থেকেই বহু নেতাকে দলীয় পদ থেকে ইস্তফা দিতে দেখা গেছে। কোথাও কোথাও নেতাদের কুশপুতুলিকা দাহও করা হয়। সবচেয়ে বড় বিক্ষোভ দেখা যায় মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh Congress) প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংয়ের পুত্র ও প্রাক্তন মন্ত্রী জয়বর্ধন সিংয়ের সমর্থকদের মধ্যে। তাঁরা রাজ্য কংগ্রেস সভাপতি ঋতু পাটোয়ারির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁর কুশপুতুলিকা দাহ করেন এবং তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান তোলেন। অভিযোগ ছিল, ঋতু পাটোয়ারি জয়বর্ধন সিংয়ের মর্যাদায় আঘাত করেছেন।

    জেলায় জেলায় বিক্ষোভ (Madhya Pradesh)

    ভোপালে জেলা সভাপতি হিসেবে (Madhya Pradesh) প্রবীর সাক্সেনার নাম ঘোষণা করতেই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে প্রাক্তন জেলা সভাপতি মনোজ কেনা প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করেন এবং দলীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ করেন। ইন্দোরের নতুন শহর সভাপতি হিসেবে চিন্টু চৌক্সির নাম ঘোষণার পরেও শুরু হয় প্রবল বিক্ষোভ। এর ফলে বর্তমান জেলা সভাপতি বিপিন ওয়ানখেরকে তীব্র বিরোধিতার মুখোমুখি হতে হয়। উজ্জয়িনেও দেখা দেয় অভ্যন্তরীণ ক্ষোভ ও অসন্তোষ। সেখানে মহেশ পারমারের নাম জেলা সভাপতি হিসেবে ঘোষণার পর, অন্যান্য গোষ্ঠীগুলি প্রকাশ্যে বিক্ষোভে নামে। উজ্জয়িনীর জেলার মুখপাত্র ও রাজীব গান্ধী পঞ্চায়েত সেলের সভাপতি হেমন্ত পাতিল এরপর দলীয় পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

    তৃণমূল স্তরের অনেক নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন

    কংগ্রেস যে জেলা সভাপতিদের নাম ঘোষণা করেছে (Madhya Pradesh), সেখানে দেখা যাচ্ছে ২১ জনকে পুনঃনির্বাচিত করা হয়েছে। নতুন তালিকায় মোট ৩৭ জনকে সংরক্ষিত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই তালিকার মধ্যে রয়েছেন ৩৫ জন সাধারণ শ্রেণির প্রতিনিধি, ১২ জন ওবিসি, ১০ জন এসটি, ৮ জন এসসি, ৪ জন মহিলা এবং ৩ জন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি। এছাড়া জেলা সভাপতি হিসেবে নিযুক্তদের মধ্যে রয়েছেন ৬ জন বর্তমান বিধায়ক, ৮ জন প্রাক্তন বিধায়ক এবং ৩ জন প্রাক্তন মন্ত্রী। এইসব সিদ্ধান্তে কংগ্রেসের তৃণমূল স্তরের অনেক নেতা-কর্মী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন। তাঁদের মতে, তৃণমূলের যোগ্য নেতৃত্বকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করা হয়েছে এবং কেবলমাত্র প্রভাবশালী ও পদাধিকারীদেরই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।

LinkedIn
Share