Tag: congress

congress

  • TMC: বুথেই খুন প্রার্থী, প্রশাসনকে দায়ী করল নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবার, হেমতাবাদে অবরোধ

    TMC: বুথেই খুন প্রার্থী, প্রশাসনকে দায়ী করল নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবার, হেমতাবাদে অবরোধ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোর্টের নির্দেশ ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী রাখার। মানেনি নির্বাচন কমিশন। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে বসিয়ে রেখে সিভিক, কনস্টবলদের দিয়ে রাজ্য জুড়ে ভোট করানো হল। আর অসুরক্ষিত বুথে দুষ্কৃতী তাণ্ডবে বেঘোরে প্রাণ গেল বহু রাজনৈতিক কর্মীর। শনিবার উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়া ব্লকের বিদ্যানন্দপুর এলাকায় বুথের সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল (TMC) প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশাহকে।  ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুলের বারান্দায় লুটিয়ে পড়েন তিনি। তৃণমূল প্রার্থীর মৃত্যুর জন্য প্রশাসনকেই দায়ী করেছেন মৃতের পরিবার সহ স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ, বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী অথবা পর্যাপ্ত পরিমাণ পুলিশ থাকলে এমন ঘটনা ঘটত না।

    ঠিক কী ঘটেছিল?

     শনিবার ভোট চলাকালীন চাকুলিয়া ব্লকের বিদ্যানন্দপুর এলাকায় বুথের সামনে কুপিয়ে খুন করা হয় তৃণমূল প্রার্থীকে।  ঘটনায় রক্তাক্ত অবস্থায় স্কুলের বারান্দায় লুটিয়ে পড়েন তিনি।  সেখান থেকে তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কিশানগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।  শাহেনশার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ বিদ্যানন্দপুর। খুনের ঘটনায় জড়িতদের কঠোর শাস্তির দাবি তুলেছেন পরিবারের সদস্যরা। তারা জানিয়েছেন, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে কবুতরখুপি সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসর টিকিটে প্রার্থী হয়েছিলেন মহম্মদ শাহেনশা। ভোটের দিন কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তার ওপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। নির্বাচনে পরিবারের সদস্যকে হারানোর ঘটনা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না নিহত শাহেনশার পরিবার।

    কী বললেন মৃতের মা?

    ছেলের শোকে ভেঙ্গে পড়েছেন মৃতের মা সহ অন্যান্যরা। মৃতের মা আকরিবা খাতুন  বলেন, “আমার ছেলেকে যারা খুন করেছে তাদের শাস্তি চাই।” অপরদিকে নিহত শাহেনশার ভাতৃবধূ খুশবু বেগম বলেন,”এই ঘটনার জন্য একমাত্র দায়ী প্রশাসন। বুথে একটি মাত্র পুলিশ ছিল। বুথে না ছিল পর্যাপ্ত পুলিশ, না কেন্দ্রীয় বাহিনী। একজন পুলিশ কর্মী কি একা গন্ডগোল থামাতে পারেন? দোষীদের চরমতম শাস্তি চাই।”

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     স্থানীয় তৃণমূল (TMC) নেতা মোজাফফর মহম্মদ  বলেন, এমন তরতাজা প্রাণ অকালেই চলে যাবে তা কেউ ভাবতেই পারছে না। কংগ্রেস শাসিত দুষ্কৃতীরা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে।  নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকলে এমন ঘটনা এড়ানো যেত। এর ঘটনার জন্য প্রশাসন দায়ী।

    রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভে হেমতাবাদে নিহত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের লোকজন

    হেমতাবাদের তৃণমূল (TMC) কর্মী নারায়ণ সরকারের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ কোনও সদর্থক ভূমিকা গ্রহন করেনি অভিযোগ তুলে আন্দোলনে নামলেন পরিবারের সদস্য ও গ্রামবাসীরা। রবিবার উত্তর দিনাজপুর জেলার  হেমতাবাদের বাঙ্গালবাড়ি মোড়ে রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় স্থানীয় মানুষজন এবং পরিবারের সদস্যরা।  আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, গিয়াশীলের বাসিন্দা নারায়ন সরকারকে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনার পর ২৪ ঘন্টা কেটে গেলেও পুলিশ এখনও কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি। উল্টে আত্মহত্যার তত্ত্ব খাঁড়া করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। যা মানতে রাজি নন এলাকার মানুষ। অবিলম্বে দোষীকে খুঁজে বের করে তার শাস্তির দাবী জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। প্রসঙ্গত, শনিবার ভোট চলাকালীন হেমতাবাদের ধোয়ারই এলাকায় পাটক্ষেত থেকে উদ্ধার হয় নারায়ণ সরকারের মৃতদেহ। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ভোট দিতে যাওয়ার জন্য বেড়িয়েছিলেন তিনি তারপরই তার মৃত্যুর খবর এসে পৌছয় পরিবারের কাছে। ঘটনায় শোকে ভেঙে পরে গোটা পরিবার।

    কী বললেন মৃতের ছেলে?

    এই বিষয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মৃতের ছেলে বিপ্লব কুমার সরকার। তিনি বলেন, পুলিশ এখনও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এদিন বেশ কিছুক্ষন বিক্ষোভ চলার পর অবরোধ স্থলেই পুলিশের কাছেই অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরই অবরোধ তুলে নেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: সালার, সামশেরগঞ্জে তৃণমূল-নির্দলের ব্যাপক বোমাবাজি! তীব্র উত্তেজনা

    Murshidabad: সালার, সামশেরগঞ্জে তৃণমূল-নির্দলের ব্যাপক বোমাবাজি! তীব্র উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের দিনে সবথেকে বেশি মৃত্যু হয়েছে মুর্শিদাবাদ জেলায়। শাসক-বিরোধী মিলে ভোটের দিনই ৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। মনোনয়ন থেকে ভোট প্রদানের দিন পর্যন্ত সালার, ডোমকল, ভারতপুর, বেলডাঙা, কান্দি, নবগ্রামে শাসক দল বনাম নির্দল, তৃণমূল বনাম তৃণমূল, তৃণমূল বনাম কংগ্রেসের মধ্যে ব্যাপক রাজনৈতিক সংঘর্ষ হয়। জেলা জুড়ে ভোটের আগে থেকেই দেশি বোমা, সকেট বোমা উদ্ধারে পরিস্থিতি উত্তাল হয়ে গিয়েছিল। তাই ভোটদানের পরেও এই জেলা ভীষণ ভাবে উত্তপ্ত। ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত সালার। চুনশহর গ্রামে নির্দল সমর্থকের বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সামশেরগঞ্জের হিরানন্দপুর ভাঙা লাইনে বোমাবাজি, নির্দল ও তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বিশাল পুলিশ।

    সালারে (Murshidabad) ব্যাপক বোমাবাজি

    সালারের চুনশহর গ্রামে নির্দল সমর্থক অনুগামীদের বাড়ি ভাঙচুর এবং নির্দল প্রার্থীর বাড়িতে বোমাবাজির অভিযোগ শুধু নয়, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা এলাকা জুড়ে। সামগ্রিক ঘটনার তদন্ত নেমেছে সালার থানার পুলিশ। আক্রান্ত নির্দল সমর্থক নাজিয়া বিবি বেলন, যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করে, তারাই আমাদের বাড়িতে বোমাবাজি করেছে। আমার স্বামী বাইরের রাজ্যে কাজ করেন। বাড়িতে পুরুষ মানুষ না থাকায় আমাদের দুষ্কৃতীদের হুমকি, বোমা-বন্দুকের সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পুলিশ যদি তৃণমূলের হয়ে বাড়িতে অত্যাচার চালায়, তাহলে তদন্ত করবে কে?

    সামশেরগঞ্জে বোমাবাজি?

    ভোটের পরের দিনই নির্দল এবং তৃণমূল সমর্থকদের মধ্যে গন্ডগোলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হল মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ (Murshidabad) থানার হিরানন্দপুর ভাঙা লাইন এলাকায়। দুই পক্ষের মধ্যে চলল বোমাবাজি। এলাকায় মুহূর্মুহূ বোমা ফাটানোর অভিযোগ উঠেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। বোমাবাজির পাশাপাশি ইট-পাটকেলও চলে দুই পক্ষের মধ্যে।

    সামশেরগঞ্জে বিধায়ক কী বললেন?

    সাংবাদিক বৈঠকে সামশেরগঞ্জের (Murshidabad) বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, নমিনেশন পর্ব থেকে ভোট গ্রহণ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণ ভাবে সংগঠিত হয়েছে। সারা বাংলায় গণতন্ত্রের উৎসব পালিত হয়েছে। অনেক জায়গায় রাত পর্যন্ত ভোট হয়েছে। বিরোধীরা বলেছিল ভোট করতে দেবে না। কিন্তু সামশেগঞ্জেও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়। তিনি আরও বলেন, পঞ্চগ্রাম আইএএস স্কুলে সকাল থেকেই নজু খানের নেতৃত্বে ভোট কর্মীদের সঙ্গে যুক্তি করে প্রায় ২০০ ব্যালট লুট করে ছাপ্পা মারে। ওই কেন্দ্রে বিজেপি-নির্দল এবং দুষ্কৃতীরা ব্যালট বক্স ভাঙচুর করে। 

    আক্রান্তদের বাড়িতে গেলেন অধীররঞ্জন চৌধুরী

    আবার নওদায় (Murshidabad) গ্রাম পঞ্চায়েত ভোটে একজন কংগ্রেস কর্মী ও সমাজসেবী আনন্দ হালসানার বাড়িতে তৃণমূলী দুষ্কৃতীরা হামলায় চালিয়েছে। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে আজ বাড়িতে গেলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: ফের মৃত্যু! ছাপ্পা আটকাতে গিয়ে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী, জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য

    Malda: ফের মৃত্যু! ছাপ্পা আটকাতে গিয়ে খুন হলেন তৃণমূল কর্মী, জেলায় তীব্র চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচনে এক দিনে ১৫ জনের প্রাণহানির ঘটনা ঘটল। অথচ রাজ্য নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে অনেক কম। নির্বাচনে কোনও রকম নিরাপত্তা  এবং সুরক্ষার বিষয় ছিল না বলে বিরোধীরা বিস্ফোরক হয়েছে। শনিবার মালদায় (Malda) আরও এক প্রাণ গেল। সন্ত্রাস, হানাহানি এবং হিংসায় উত্তাল জেলা।

    কোথায় খুনের ঘটনা ঘটল (Malda)?   

    শনিবার রাতে তৃণমূল কর্মী খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল মালদায়। ছাপ্পা ভোট আটকাতে গেলে তাঁকে খুন করা হয়। মৃতের নাম মতিউর রহমান (৪৫), ধারালো অস্ত্র দিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে কংগ্রস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তিনি বৈষ্ণবনগর ভগবানপুর (Malda) বড় কামাতের বাসিন্দা ছিলেন। ট্রাক চালাতেন। শনিবার কেবিএস প্রাথমিক স্কুল ১৫৬ বুথে ভোট দিতে যান তিনি। সে সময় সাড়ে ৫টা নাগাদ তাঁর উপরে হামলা হয়। এই ঘটনায় আরও চারজন বেদরাবাদ গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ।

    প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য

    হাজিকুর রহমান ঘটনার সময় প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন। তিনি বলেন, আমি এবং মতিউর দুজনেই বুথে (Malda) ভোট দিতে গিয়েছিলাম। আমরা এখানে তৃণমূল কংগ্রেস করি। দুজন করে মহিলার পর একজন করে পুরুষ, পর পর গিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট দিচ্ছিলেন। কিন্তু হঠাৎ দেখি কংগ্রেসের এক স্কুল শিক্ষক ব্যালটে ছাপ্পা শুরু করে! প্রতিবাদে আমি এবং মতিউর সোচ্চার হই। তিনি আরও বলেন, কংগ্রেসের এই শিক্ষক কর্মী হয়তো বুঝতে পারছিল যে শান্তিপূর্ণ ভোট হলে কংগ্রেস হারবে। তাই তৃণমূলকে হারাতে এই ছাপ্পা শুরু করে। আবার প্রতিবাদ করতে গেলে পিছন থেকে মতিউরকে চাকু দিয়ে আঘাত করে। বাঁচাতে গেলে হাজিকুর রহমানের হাতেও চাকুর আঘাত লাগে। অধিক রক্তক্ষরণের কারণে মতিউরের মৃত্যু হয়।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত মতিউরের স্ত্রী বলেন, আমার স্বামী মাত্র কয়েকদিন আগে বাড়িতে এসেছেন ভোট দেওয়ার জন্য। আর ভোট দিতে এসেই খুন হলেন! আমরা খুব দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। মৃত মতিউরের স্ত্রী বলেন, আমদের প্রার্থী ছিলেন রফিকুল, তাঁকে মাথায় আঘাত করেছে দুষ্কৃতীরা। আমি এবং আমার স্বামী তৃণমূল করতাম। যারা হত্যা করেছে তারা কংগ্রেস কর্মী। বুথে ছাপ্পা দেওয়ার প্রতিবাদ করতে গেলে আমার স্বামীকে ধারলো চাকু দিয়ে পিছন থেকে আঘাত করে খুন করে ওরা। দোষীদের অবিলম্বে শাস্তি চাই বলে দাবি করেন মৃত মতিউরের স্ত্রী।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: গোয়ালপোখরে বুথের মধ্যেই খুন হলেন তৃণমূল প্রার্থী, জখম ১৫

    TMC: গোয়ালপোখরে বুথের মধ্যেই খুন হলেন তৃণমূল প্রার্থী, জখম ১৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোট চলাকালীন বুথের মধ্যেই খুন হলেন তৃণমূল (TMC) কংগ্রেস প্রার্থী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার গোয়ালপোখর-১ ব্লকের চাকুলিয়া থানার ২ নম্বর বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবরা গ্রামের ১৯২ বুথে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত তৃণমূল প্রার্থীর নাম মহম্মদ শাহেনশা। এই ঘটনায় আরও ১৫ জন জখম হয়েছেন। ভোট ঘোষণা হওয়ার পর থেকে গোটা রাজ্যজুড়ে একের পর এক রাজনৈতিক কর্মী খুন হয়েছেন। ভোটের দিনও জেলায় জেলায় একাধিক রাজনৈতিক কর্মী খুনের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।  তবে, এদিন দিনভর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের কর্মী খুন হওয়ার ঘটনা ঘটলেও তৃণমূল প্রার্থী খুন হওয়ার নজির নেই। স্বাভাবিকভাবেই এই ভোটে পুলিশ প্রশাসনের ভুমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী নিয়ে গণ্ডগোল?

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তৃণমূল (TMC) প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশার বাড়ি চাকুলিয়া থানার ২ নম্বর বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবরা গ্রামে। তিনি এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। সকাল থেকে ওই এলাকায় ভোট ঠিক মতোই চলছিল। ভেবরা গ্রামের ১৯২ বুথে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশা যান। তৃণমূল প্রার্থী পৌঁছাতেই কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে গণ্ডগোল বেধে যায়। এরপরই কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে তৃণমূলের সংঘর্ষ শুরু হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হন মহম্মদ শাহেনশা। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়েন তিনি। তড়িঘড়ি প্রথমে তাঁকে চাকুলিয়া ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে মহম্মদ শাহেনশার অবস্থা অবনতি হয়। পরে, তাঁকে কিষাণগঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।  

    কী বললেন তৃণমূল (TMC) নেতৃত্ব?

    তৃণমূল (TMC) কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়াল  বলেন, “বুথ চত্বরে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আমাদের প্রার্থী শাহেনশাকে কুপিয়ে খুন করেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। থানায় অভিযোগ জানানো হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের দিনও গুলি চলল সামশেরগঞ্জে, বেলডাঙায় এলোপাথাড়ি বোমা

    Murshidabad: ভোটের দিনও গুলি চলল সামশেরগঞ্জে, বেলডাঙায় এলোপাথাড়ি বোমা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগের দিন রাজ্যপাল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামে হিংসা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন। এই নির্বাচনে মুর্শিদাবাদ জেলায় বুথগুলিকে সব থেকে বেশি স্পর্শকাতর বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। আর ভোটের দিন সকাল থেকেই মুর্শিদাবাদ উত্তপ্ত। সামসেরগঞ্জের শুলিতলা এলাকায় ১৬ নম্বর বুথে এক তৃণমূল কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা। বেলডাঙ্গা, ডোমকলে ভোট কেন্দ্রে ঢোকার আগেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা সাধারণ মানুষকে মারধর করে বের দেয় বলে অভিযোগ ওঠে। ইতিমধ্যেই ডোমকলে বোমাবাজির ঘটনায় জখম ৪। জেলা জুড়ে তীব্র আতঙ্ক।

    সামশেরগঞ্জে (Murshidabad) কী ঘটেছে?

    ভোটের দিন সকালে শুলিতলায় (Murshidabad) এক তৃণমূল কর্মীকে গুলি করে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় অনুপনগর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। ইতিমধ্যেই সেই যুবকের নাম জানা গিয়েছে সানাউল শেখ, বাড়ি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার শুলিতলা এলাকায়। ঘটনায় খবর পেয়ে পৌঁছেছে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও কী কারণে গুলি করা হল, তা এখনও স্পষ্ট হয়নি।

    ডোমকলে বিরোধী এজেন্টদের মারধর

    ডোমকল (Murshidabad) ব্লকের গড়াইমারী অঞ্চলে সিপিএম এজেন্টদেরকে বুথেরর ভেতর ঢোকার আগেই তৃণমূল কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বাধা দেয়। এরপর তাঁদের লাঠি, কিল, ঘুষি মেরে বের করে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

    বোটারডাঙায় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব

    বোটারডাঙায় (Murshidabad) ভোট দিতে যাওয়ার সময় ২ জন তৃণমূল কর্মীকে কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ব্যাপক মারধর করে। আহতের নাম নাসিম শেখ ও সাদিকুল শেখ।

    বেলডাঙায় বোমাবাজি

    বেলডাঙার (Murshidabad) ২ ব্লকের নওপুকুরিয়া এলাকায় ভোট দিতে যাওয়ার সময় বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয় এক ব্যক্তি। ভোট দিতে যাওয়ার সময় কংগ্রেস আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এলোপাথাড়ি বোমা ছোড়ে। আর সেই বোমার আঘাতে গুরুতর জখম হয় একজন। স্থানীয়রা উদ্ধার করে প্রথমে প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে সেই ব্যক্তি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: ডোমকল ও বীরভূমে দেদার ছাপ্পা, ফের ভোটের দাবিতে মহিলারা রাস্তায়

    Panchayat Election 2023: ডোমকল ও বীরভূমে দেদার ছাপ্পা, ফের ভোটের দাবিতে মহিলারা রাস্তায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডোমকলের হেরামপুর নতুনপাড়া ১৪৩ ও ১৪৪ নং বুথে ভোট (Panchayat Election 2023) বন্ধ হয়ে গেল। কারণ ভিতরে তখন চলছে দেদার ছাপ্পা। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে জনগণ। রাস্তা অবরোধ করে পুনরায় ভোট চান ভোটাররা। রাত থেকেই অশান্তির বাতাবরণ তৈরি হয়, ভোর ৫ টা নাগাদ মারা হয় বোমা।  তাতে জখম হন ৪ জন কংগ্রেস কর্মী। অভিযোগ পুলিশ ও তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এলাকার মহিলারা রাস্তায় বসে অবরোধ করেন। তাঁদের দাবি, পুনরায় ভোট করতে হবে। এ ভোট তাঁরা মানছেন না। উত্তপ্ত পরিস্থিতি।

    সুতির অরঙ্গাবাদ ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ১৩২ নং বুথেও দেদার ছাপ্পা। হাতেনাতে ধরে ফেলে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বুথের ভিতরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ব্যালট পেপার। ভাঙচুর করা হয়েছে দরজা জানালা, চেয়ার টেবিল। ঘটনাস্থলে মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনী। ভোট কর্মীরা (Panchayat Election 2023) আতঙ্কে বেরিয়ে যান ভোট কেন্দ্র থেকে। সুতির খানাবাড়ি এলাকার ঘটনা। ভোট কর্মীদের দাবি, দরজা-জানালা বন্ধ করে আটকে দেদার ছাপ্পা চলেছে। দীর্ঘক্ষণ বলার পরেও আসেননি সেক্টর অফিসাররা।

    বীরভূমেও চলল ছাপ্পা (Panchayat Election 2023)

    বুথ দখল করে ছাপ্পা ভোটের (Panchayat Election 2023) অভিযোগ বীরভূমের হাঁসন বিধানসভার সন্তোষপুর হাইস্কুলের বুথে। কংগ্রেস ও বিজেপির প্রার্থীর এজেন্টদের বুথে ভয় দেখিয়ে বসিয়ে রেখে ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর লোকজনদের বিরূদ্ধে। বোমা মেরে বুথ দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠল নির্দল প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের ময়ূরেশ্বর ২ নম্বর ব্লকের দাসপলসা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেজাগ্রামের ১৫ নম্বর আসনে। এদিন নির্দিষ্ট সময়ে ভোট শুরু হয় গ্রামের দুটি বুথে। ১৫ নম্বর আসনে নির্দল প্রার্থী রয়েছেন সামাইল শেখ। তৃণমূল প্রার্থী রয়েছেন আবাদি মল্লিক। আবাদির অভিযোগ, নির্দলের দুষ্কৃতীরা চারটি বোমা ফাটায়। বুথের ভিতর ঢুকে ব্যালট বক্স বাইরে ছুড়ে ফেলে দেয়। ভাংচুর করা হয় ভোটের জিনিসপত্র। মারধর করা হয় আবাদিকে। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাস্থলে প্রচুর পুলিশ পৌঁছেছে। এই মুহূর্তে ভোট (Panchayat Election 2023) বন্ধ রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: নির্দল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কদম্বগাছি, খড়গ্রামে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

    TMC: নির্দল কর্মীকে কুপিয়ে খুন, প্রতিবাদে রণক্ষেত্র কদম্বগাছি, খড়গ্রামে মৃত্যু তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের দিন শনিবার সাত সকালেই হিংসার বলি এক নির্দল প্রার্থীর সমর্থক। ঘটনাটি বারাসত-১ নম্বর ব্লকের কদম্বগাছি পঞ্চায়েতের পীরগাছা এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম আব্দুল্লাহ (৪১)। এই ঘটনা জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বসিন্দারা। কদম্বগাছি রোড অবরোধ করে মৃতের পরিবারের লোকজন বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে ক্ষোভ জানাতে থাকেন বিক্ষোভকারীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তাতে কয়েকজন পুলিশ কর্মী জখম হন। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদের খড়গ্রামে তৃণমূল (TMC) কর্মী খুন হন। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম সদরউদ্দিন সেখ।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, স্থানীয় এক ব্যক্তি তৃণমূল (TMC) প্রার্থী হিসেবে টিকিট পাওয়ার পর এলাকায় বিক্ষোভ তৈরি হয়। কারণ, এলাকার বড় অংশের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ভাল ছিল না। তৃণমূল প্রার্থী কোটি টাকার মালিক। টাকার বিনিময়ে তিনি টিকিট পেয়েছেন। তিনি টিকিট পাওয়ার পরই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা ৪১ ও ৪২ নম্বর বুথে নিজেদের মতো করে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করান। তাঁদের সমর্থনেই আব্দুল্লাহ ভোট প্রচার করছিলেন। অভিযোগ, লাগাতার তাঁর উপর হুমকি আসছিল। শুক্রবার রাতে আবদুল্লাহ সহ বেশ কয়েকজন নির্দল প্রার্থী সমর্থিত কর্মী সমর্থক দলীয় কার্যালয়ে বসেছিলেন। সেখানেই তাঁদের ওপর তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা চড়াও হয়। দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর করার পাশাপাশি আবদুল্লাহ সহ বেশ কয়েকজন বিক্ষুদ্ধ তৃণমূল কর্মীকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানো হয়। গভীর রাতেই তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এদিন সকালেই তাঁর মৃত্যু হয়।  অন্যদিকে, শুক্রবারই মুর্শিদাবাদ জেলা সফরে গিয়েছিলেন রাজ্যপাল। তিনি খড়গ্রামেও যান। রাজ্যপাল ঘুরে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই এক তৃণমূল কর্মী খুন হন। এদিন সকালে জমি থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তৃণমূলের।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Poll: ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন, কোচবিহারে গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মী

    Panchayat Poll: ভোটের আগেই মুর্শিদাবাদে দু’জন তৃণমূল কর্মী খুন, কোচবিহারে গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Poll) শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগেই রাজ্যে দু’জন রাজনৈতিক কর্মী খুন হলেন। শুক্রবার রাতে মুর্শিদাবাদ জেলার বেলডাঙা থানার কাপাসডাঙা ষষ্ঠীতলা এলাকায় তৃণমূল কর্মীকে খুন করল দুষ্কৃতীরা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম বাবর আলি। অন্যদিকে, রেজিনগর থানার নাজিরপুরে দুষ্কৃতীদের বোমার আঘাতে এক তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম ইয়াসিন সেখ। পাশাপাশি কোচবিহারের ওকড়াড়ির মহেশ্বর এলাকায় এক কংগ্রেস কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মীর নাম রফিকুল ইসলাম ব্যাপারি। তিনি দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,  শুক্রবার রাতে গ্রামে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন বাবর আলি। তখনই দুষ্কৃতীরা এসে ফুলচাঁদ শেখ ও বাবর আলিকে মারধর করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় ওই দুজন তৃণমূল কর্মীকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই বাবর আলির মৃত্যু হয়।  

    তৃণমূল ও বাম কংগ্রেস জোট কর্মীদের সংঘর্ষ

    ভোটের (Panchayat Poll) কয়েক ঘণ্টা আগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইসলামপুর। তৃণমূল ও  বাম-কংগ্রেস জোট সমর্থকদের সংঘর্ষে দুই পক্ষের একাধিক কর্মী জখম হন। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার সন্ধ্যা নাগাদ মুর্শিদাবাদের রানিনগর-১ নম্বর ব্লকের ইসলামপুর থানার লোচনপুর পঞ্চায়েতের কেশবপুর এলাকায়। জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি ভোটের স্লিপ দিতে যাওয়ার সময় তাঁদের উপর হামলা চালায় বাম-কংগ্রেস জোট কর্মীরা। এমনই অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও পাল্টা বাম-কংগ্রেসের অভিযোগ, জোটের কর্মীদের মারধর করে তৃণমূল কর্মীরা। চারজন কংগ্রেস কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকা ব্যাপক উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গ্রামবাসীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ইসলামপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। একইসঙ্গে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সামশেরগঞ্জের সুলিতলা। কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ। মুড়ি মুড়কির মতো বোমাবাজি। দোকান ও বাড়িঘর ভাঙচুর করার ঘটনা। ঘটনাস্থলে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মালদায় জোট প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Malda: মালদায় জোট প্রার্থীকে লক্ষ্য করে গুলি, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনের আগের রাতে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল মালদার (Malda) রতুয়ার-২ নম্বর ব্লকের পরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। বাম ও কংগ্রেস জোট প্রার্থী‌ ও কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালানোর পাশাপাশি ব্যাপক মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। অন্যদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির। বৃহস্পতিবার রাতে ওই ঘটনার জেরে আতঙ্কের পরিবেশ রয়েছে পরানপুরে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মালদার (Malda) রতুয়া-২ নম্বর ব্লকের পরানপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মির্জাদপুর চাঁদপুর এলাকায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যেবেলা নিজেদের প্রচার ক্যাম্পে বসেছিলেন ওই এলাকার বাম কংগ্রেস সমর্থিত কংগ্রেস পঞ্চায়েত প্রার্থী শারিফুল শেখ ও তাঁর কর্মী সমর্থকেরা। অভিযোগ, ওই সময় হঠাৎ করেই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী তথা তৃণমূল কংগ্রেসের অঞ্চল সভাপতি শেখ শাহজাহান ১২ থেকে ১৪ জনের দল নিয়ে সশস্ত্র হামলা চালায় জোট প্রার্থী ও তাঁদের কর্মী সমর্থকদের ওপর। মোট সাত রাউন্ড গুলি চালানোর পাশাপাশি জোট প্রার্থী ও কর্মীদের ব্যাপক মারধোর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকী তাঁদের বাড়ি ভাঙচুর ও টেবিল চেয়ার ভাঙচুর করা হয়। হামলার জেরে  মোট ৯ জন জোট কর্মী সমর্থক জখম হন। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গিয়েছে।

    কী বললেন জোটের নেতৃত্ব?

     জোট প্রার্থী শারিফুল শেখ বলেন, পঞ্চায়েতে মালদা (Malda) জেলা জুড়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর লক্ষ্যে এবং সাধারণ মানুষকে ভয় দেখানোর জন্য আমাদের উপর পরিকল্পনা মাফিক হামলা চালিয়েছে তৃণমূল প্রধানের স্বামী শাহজাহান শেখ ও তাঁর দলবল। আমরা আক্রমনের পরেও চুপ রয়েছি। কংগ্রেসের প্রাক্তন প্রধান তথা জেলা কংগ্রেসের সদস্য আবদুল মান্নান অভিযোগ করেন,  পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিজেদের হার নিশ্চিত জেনেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গুন্ডা বাহিনী। আমরা কোনও প্ররোচনায় পা না দিলেও তাদের উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোট বানচাল করে দেওয়া। আমরা আমাদের কর্মী সমর্থকদের শান্ত থাকতে বলেছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

     যদিও জোটের তোলা এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান। তিনি পাল্টা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই জোট প্রার্থী ও তাঁর দলবল তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকদের ওপর হামলা চালিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবারেও তারাই আমাদের কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। আমাদের কর্মী সমর্থকদের ব্যাপক মারধর করেছে। আমরা চাই অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Vote: ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম ২

    Panchayat Vote: ভোটের মুখে মুর্শিদাবাদে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণ, জখম ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘটনা মঙ্গলবার রাত ১১ টার। বেলডাঙার সোমপাড়া ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের (Panchayat Vote) ঘোল্লা হাই মাদ্রাসা। এর কাছেই কোরাল পুকুরে ১৬৩ নং বুথের কংগ্রেস প্রার্থী হায়দার মল্লিকের বাড়ির ছাদে বোমা বাঁধার জন্য দুজনকে বাইরে থেকে ডাকা হয়েছিল। এদের নাম জামিরুল সেখ ও শেরফুল মোল্লা। এদের দুজনের বাড়ি সালার থানার সরমস্তপুর। বোমা বাঁধার সময় অসাবধানতা বশত তা ফেটে আহত হয় দুজনই। রাতে পালানোর চেষ্টা করলে এলাকার লোকজন তাদের অবস্থা দেখে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য শক্তিপুর স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যায় ও পুলিশকে খবর দেয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে আহতদের মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। পুলিশ আহতদের মুখ থেকে সব শুনে ঘটনাস্থলে যায়। হায়দার মল্লিক ও তার ছেলে হাবিব মল্লিক, এঁদের দুজনের এখনও কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।

    কী বললেন অভিযুক্তের স্ত্রী?

    হায়দারের স্ত্রীর কথায়, তাঁর বাড়িতে কোনও বোমা ফাটেনি। তাঁর স্বামী কংগ্রেসের হয়ে ভোটে (Panchayat Vote) দাঁড়িয়েছে বলে শাসক দল পুলিশকে দিয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে।

    কী বলছে তৃণমূল?

    শাসক দলের ব্লক সভাপতি ইন্দ্রনীল প্রামাণিকের বক্তব্য, শাসক দলের এত দুর্দশা হয়নি যে বিরোধীদের ফাঁসিয়ে আমরা জিতব (Panchayat Vote)। এই ঘটনায় পুলিশ ইরফান সেখ নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে শক্তিপুর থানার পুলিশ।

    ফের বোমা উদ্ধার 

    অন্যদিকে, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Vote) মুখে ফের মুর্শিদাবাদের তিন জায়গায় বোমা উদ্ধার। বেলডাঙার কাজি শা এলাকায় মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল ৩ ড্রাম ভর্তি তাজা বোমা। এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। খবর দেওয়া হয়েছে বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে। কে বা কারা বোমা মজুত করেছিল, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ভোটের চার দিন আগে সাত সকালে হরিহরপাড়াতেও বোমা উদ্ধার হয়েছে। কলাবাগান পাড়া এলাকায় পাটের জমির পাশে ঝোপের মধ্যে রাখা ছিল এক ব্যাগ ভর্তি বোতল বোমা। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বোমার হদিশ পায়। বোমা নিষ্ক্রিয় করতে খবর দেওয়া হয় বোম্ব ডিসপোজাল স্কোয়াডে। খড়গ্রামেও উদ্ধার হয়েছে বোমা। সাদল অঞ্চলের শঙ্খপুর গ্রামে মাঠের ধারে বালতির মধ্যে বোমাগুলি রাখা ছিল। কে বা কারা বোমা রেখে গেল, খতিয়ে দেখছে খড়গ্রাম থানার পুলিশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share