Tag: congress

congress

  • Murshidabad: ‘ইন্ডি’ জোট কি নামেই? কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনে কাঠগড়ায় তৃণমূল

    Murshidabad: ‘ইন্ডি’ জোট কি নামেই? কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুনে কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ‘ইন্ডি’ জোট নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোট বাঁধা নিয়ে জল্পনা চলছে। এই আবহে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর থানার পানিপিয়া এলাকায় এক কংগ্রেস কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম এনামুল মণ্ডল। এর পরেই এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। ঘটনাস্থলে মোতায়েন করা হয় বিশাল পুলিশ বাহিনী।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এনামুলসাহেব ও তাঁর ছেলেরা পঞ্চায়েত ভোটে জোট প্রার্থীদের সমর্থন করেছিলেন। সেই সময় থেকে চলত হুমকি। তারপর ছেলেরা কেরলে কাজে চলে যায়। মঙ্গলবার রাতে এনামুল তাঁর বাড়ির সামনের একটি মুদিখানা দোকানে বসেছিলেন। সেই সময় কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কোনও একটি বিষয় নিয়ে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। অভিযোগ, এরপরেই বাঁশ, লোহার রড দিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করা হয় এনামুলকে। মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা খুন করেছেন এনামুলকে। বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে তারা মারধর করে। পরে, এলাকা ছেড়ে ওরা পালায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    তৃণমূলের জেলা (Murshidabad) সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, এটা গ্রাম্য বিবাদ। আর সেটাকেই রাজনীতির রং চড়ানো হচ্ছে। তাই, গ্রামের সাধারণ বিবাদের সঙ্গে যদি রাজনীতিকে জুড়ে দেওয়া হয়, তা হলে সে সব বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়া খুব মুশকিল। মৃত্যুর ঘটনা সমর্থন করা যায় না। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। আইন আইনের কাজ করবে। যদি কেউ দোষী প্রমাণিত হয় তাঁর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলকে জড়ানো ঠিক নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “ভারতরত্ন পাওয়ার অধিকার কি কেবল কংগ্রেসেরই”, বললেন মোদি

    PM Modi: “ভারতরত্ন পাওয়ার অধিকার কি কেবল কংগ্রেসেরই”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারতরত্ন পাওয়ার অধিকার কেবল মাত্র একটি পরিবারেরই রয়েছে বলে মনে করে কংগ্রেস।” সোমবার এই ভাষায়ই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে প্রায় ১৪ হাজার প্রকল্পের সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রকল্পের মূল্য ১০ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি।

    চৌধুরী চরণ সিংহকে ভারতরত্ন

    সেই অনুষ্ঠানেই কংগ্রেসকে নিশানা করেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “দিন কয়েক আগে আমাদের সরকার কৃষক নেতা চৌধুরী চরণ সিংহকে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করেছে। তিনি ছিলেন উত্তরপ্রদেশের ভূমিপুত্র। তাঁর এই সম্মান দেশের কোটি কোটি কৃষক ও শ্রমিককে সম্মাননা জ্ঞাপন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশতঃ কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা এটা বুঝতে চায়নি।” তিনি বলেন, “আপনারা অবশ্যই দেখেছেন, যখন চৌধুরী চরণ সিংহের নাম নিয়ে আলোচনা হয় পার্লামেন্টে, তখন কীভাবে কংগ্রেস বিষয়টিকে জটিল করে তুলেছিল।”

    “কংগ্রেস দলিতদের শ্রদ্ধা করে না”

    এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেসের লোকজন বিশ্বাস করেন, এ দেশে ভারতরত্ন পাওয়ার হক রয়েছে কেবল একটিই মাত্র পরিবারের। কংগ্রেস দশকের পর দশক ধরে বাবা সাহেব আম্বেদকরকে ভারতরত্ন দেয়নি, দিয়েছে নিজেদের পরিবারের লোকজনকে।” তিনি (PM Modi) বলেন, “কংগ্রেস বাবা সাহেব আম্বেদকরকে ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত করেছিল ১৯৯০ সালে, তাঁর মৃত্যুর অনেক পরে। কংগ্রেস গরিবদের শ্রদ্ধা করে না। দলিত, পিছড়ে বর্গ, কৃষক, শ্রমিক এঁদেরও শ্রদ্ধা করে না। কারণ তাঁদের কথা কংগ্রেস কখনওই ভাবে না। এমনকি ভূতপূর্ব প্রধানমন্ত্রী চৌধুরী চরণ সিংহের জীবদ্দশায় কংগ্রেস তাঁর সঙ্গেও দর কষাকষি করেছিল।”

    আরও পড়ুুন: আদালতের নির্দেশকে অমান্য! সন্দেশখালিতে যেতে শুভেন্দুকে বাধা দিল পুলিশ

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “চৌধুরী সাহেব প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। যদিও নীতির সঙ্গে আপোস করেননি। এটা দুঃখজনক ঘটনা যে উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেস তাঁর নামে রাজনীতি করলেও, তাঁর নীতি-আদর্শ অনুসরণ করেনি।” তিনি (PM Modi) বলেন, “চৌধুরী সাহেব ক্ষুদ্র কৃষকদের জন্য কী কী করেছিলেন, দেশ তা কখনও ভুলবে না। চৌধুরী সাহেবের আদর্শে প্রাণিত হয়ে আমরা অনবরত দেশের কৃষকদের শক্তিশালী করে চলেছি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kamal Nath: ফের ভাঙছে কংগ্রেস! বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সপুত্র কমল নাথ?

    Kamal Nath: ফের ভাঙছে কংগ্রেস! বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন সপুত্র কমল নাথ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ভাঙছে কংগ্রেস! মিলিন্দ দেওরা, অশোক চহ্বান, বাবা সিদ্দিকি, লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি বিভাকরের পর এবার সপুত্র কমল নাথ (Kamal Nath) কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিতে চলেছেন বিজেপিতে। মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ছেলে নকুল নাথ তাঁর নামের পাশ থেকে কংগ্রেস শব্দটি মুছে দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই দিল্লিতে পৌঁছে গিয়েছেন কমল। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, শনিবারই কংগ্রেস ছেড়ে ছেলেকে নিয়ে পদ্ম আঁকা ঝান্ডা হাতে তুলে নিতে পারেন কমল।

    পদ্ম শিবিরে কমল নাথ!

    মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী যে কংগ্রেস ছেড়ে পদ্ম-শিবিরে ভিড়তে চলেছেন, তার ইঙ্গিত মিলেছিল শুক্রবারই। এদিন বিজেপির মুখপাত্র তথা কমল নাথের (Kamal Nath) প্রাক্তন পরামর্শদাতা নরেন্দ্র সালুজা একটি ছবি পোস্ট করেন। ছবিতে ছিলেন সপুত্র কমল নাথ। ছবির ক্যাপশনে সালুজা লিখেছেন, জয় শ্রীরাম। এর পরেই চড়তে থাকে কমলের পদ্ম-যোগের জল্পনার পারদ।

    কী বলছে কংগ্রেস?

    শুক্রবারই এই জল্পনায় জল ঢেলে দিয়েছিলেন মধ্যপ্রদেশের আর এক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দিগ্বিজয় সিংহ। তিনি বলেছিলেন, “যে ব্যক্তি নেহরু-গান্ধী পরিবারের হাত ধরে রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু করেছিলেন, তিনি কংগ্রেস ছেড়ে দেবেন, এটা কী করে আশা করা যায়। এরকম কিছু আশা করাই উচিত নয়।” শনিবার দিল্লিতে কমল বলেন, “আপনারা এত উত্তেজিত কেন হয়ে পড়ছেন? যদি এরকম কিছু হয়, তবে আমি অবশ্যই আপনাদের জানাব।”

    বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন কমলের এক অনুগামীও। সজ্জন সিং ভার্মা নামের ওই ব্যক্তি মধ্যপ্রদেশের সোনকাছ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে হাত চিহ্নে জয়ী হয়েছিলেন। কমল দিল্লি যেতেই তাঁর প্রোফাইল থেকে কংগ্রেসের লোগো মুছে ফেলেছেন তিনি।

    আরও পড়ুুন: “আগামী নির্বাচনে বাংলায় আমরাই ক্ষমতায় আসব”, প্রত্যয়ী নাড্ডা

    জানা গিয়েছে, ছেলে নকুলের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে খুবই চিন্তিত কমল। কারণ উনিশের লোকসভা নির্বাচনে মধ্যপ্রদেশে কংগ্রেস জয়ী হয়েছিল মাত্রই একটি আসনে। এই কেন্দ্রটি ছিন্দওয়ারা। এক সময় এটি ছিল কমল নাথের দুর্গ। বাবার সেই দুর্গে দাঁড়িয়েই কোনও মতে জয়ী হয়েছেন নকুল। ইতিমধ্যে এই কেন্দ্রে নিরন্তর শক্তি বাড়িয়ে চলেছে বিজেপি। প্রত্যাশিতভাবেই প্রমাদ গুণছেন কমল (Kamal Nath)। রাজনৈতিক মহলের মতে, ছেলের একটা পাকাপাকি ব্যবস্থা করতেই দিল্লিতে হাজির মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
  • PM Modi: “যাঁরা রামকে কাল্পনিক বলতেন, তাঁরাই জয় সিয়ারাম বলছেন”, বললেন মোদি

    PM Modi: “যাঁরা রামকে কাল্পনিক বলতেন, তাঁরাই জয় সিয়ারাম বলছেন”, বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যাঁরা ভগবান রামকে কাল্পনিক বলতেন, তাঁরাই এখন জয় সিয়ারাম বলছেন।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন হরিয়ানার রেউড়িতে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেই তিনি নিশানা করেন কংগ্রেসকে। জম্মু-কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা রদ এবং এক পদ এক পেনশন নীতির প্রসঙ্গও উঠে এসেছে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে।

    ‘তাঁরাও এখন সিয়ারাম গাইছেন’

    তিনি বলেন, “দেশ চেয়েছিল অযোধ্যায় রামের একটি মন্দির নির্মাণ হোক। আজ গোটা দেশ দেখছে, মনোরম রাম মন্দিরে বসে রয়েছেন রামলালা। কংগ্রেসের নেতা-কর্মীরা যাঁরা ভাবতেন রাম একটি কাল্পনিক চরিত্র, যাঁরা কোনওদিনই চাইতেন না রাম মন্দির নির্মাণ হোক, তাঁরাও এখন সিয়ারাম গাইছেন।” দোরগোড়ায় লোকসভা নির্বাচন। এদিন প্রধানমন্ত্রী তারই প্রচার শুরু করলেন রেউড়ি থেকে। মনে রাখতে হবে, ২০১৩ সালে বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে এখানেই প্রথম সভা করেছিলেন নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই এদিন সভা করলেন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে। বক্তৃতা শুরুর আগে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) রেউড়িতে ৯ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার একাধিক প্রজেক্টের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করেন তিনি।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছুক্ষণ আগেই আমার সুযোগ হয়েছিল হরিয়ানায় ১০ হাজার কোটি টাকার প্রজেক্টের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করার। এর মধ্যে রেউড়ি এইমসও রয়েছে। রয়েছে নয়া রেল লাইন, মেট্রো লাইন এবং একটি মিউজিয়াম। ভগবান রামের ইচ্ছেয় আমি এখন বিভিন্ন জায়গায় এসব পবিত্র কর্মের সঙ্গে যুক্ত হতে পারছি।” আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ ৪০০ আসন পাবে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সন্দেশখালি গিয়েই ছাড়ব’’, রাজভবনে রিপোর্ট দিল বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম

    তিনি বলেন, “যদি জি২০ সম্মেলন সফল হয়, তার কারণ আপনাদের আশীর্বাদ। যেখানে কেউ এখনও যেতে পারেনি, চাঁদের সেই দক্ষিণ মেরুতেও প্রথম পা রেখেছি আমরা। এসবই হয়েছে আপনাদের আশীর্বাদে। গত দশ বছরে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকায় এগারো নম্বর স্থান থেকে পাঁচে উঠে এসেছে ভারত। আমার তৃতীয় টার্মে আপানাদের আশীর্বাদে দেশকে আমি ওই তালিকার তিন নম্বরে নিয়ে যাব।” কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “যারা ইন্ডি জোটটাই ঠিকঠাক করে গড়ে তুলতে পারল না, তারা দেশ চালাবে!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • PM Modi: কেন দলে দলে কংগ্রেস ত্যাগ করছেন নেতারা? আসল কারণ খোলসা করলেন মোদি

    PM Modi: কেন দলে দলে কংগ্রেস ত্যাগ করছেন নেতারা? আসল কারণ খোলসা করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “স্বজনপোষণ ও পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির চক্রব্যূহে আটকে পড়েছিলেন আপনারা। তাই কংগ্রেস ছাড়ছেন।” শুক্রবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। গত কয়েক দিনে বেশ কয়েকজন কংগ্রেস ছেড়ে যোগ দিয়েছেন বিজেপিতে। লোকসভা নির্বাচনের আগে কেন তাঁরা কংগ্রেস-সঙ্গ ত্যাগ করছেন, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়েই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির স্বজনপোষণ ও পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতিকে কাঠগড়ায় তোলেন প্রধানমন্ত্রী।

    বিকশিত ভারত

    এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে রাজস্থানের জয়পুরে ‘বিকশিত ভারত, বিকশিত রাজস্থান’ অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন করেন ১৭ হাজার কোটি টাকার প্রকল্পের। এই অনুষ্ঠানেই কংগ্রেসকে নিশানা করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের একমাত্র লক্ষ্যই হল মোদির বিরোধিতা করা।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “ওদের (কংগ্রেসের) মোদির প্রতি এত ঘৃণা যে তা সমাজে বিভাজন তৈরি করে। এটাই হয় যখন কেউ স্বজনপোষণ ও পরিবারতান্ত্রিক রাজনীতির চক্রব্যূহে আটকে পড়ে। আজ সবাই কংগ্রেস ছেড়ে দিচ্ছেন। একমাত্র একটি পরিবারই কংগ্রেসে রয়েছে।”

    কংগ্রেসকে নিশানা মোদির 

    তিনি বলেন, “কংগ্রেসের সব চেয়ে বড় সমস্যা হল এদের দূরদর্শিতা ও ইতিবাচক নীতি গঠনের অভাব। কংগ্রেস ভবিষ্যতও দেখতে পায় না। আর তাদের কাছে ভবিষ্যতের কোনও রোডম্যাপও নেই।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কংগ্রেস বিকশিত ভারত নামটা পর্যন্ত গ্রহণ করেনি। কারণ এতে কাজ করছে মোদি। কংগ্রেস মেড ইন ইন্ডিয়াকেও সমর্থন করেনি। সমর্থন করেনি ভোকাল ফর লোকালকেও। কারণ মোদি একে সমর্থন করে।”  

    বিকশিত ভারত প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “এটা শুধু একটা শব্দ নয়, বরং আবেগ। এই প্রকল্প প্রতিটি পরিবারের সকলের জীবনকে সমৃদ্ধ করার জন্য তৈরি করা হয়েছে। গরিবি দূর করবে এই প্রকল্প। যুব প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থান ও দেশে আধুনিক পরিষেবা চালু করার লক্ষ্যে কাজ করছে এই প্রকল্প।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘মণিপুর-ধাঁচে হোক তদন্ত’’! সন্দেশখালি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা

    আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই যে ভারত উন্নত দেশে পরিণত হবে, এদিন আরও একবার তা মনে করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। বলেন, “ভারতকে উন্নত দেশ তৈরি করতে সরকার চারটি ক্ষেত্রকে মজবুত করছে – যুব প্রজন্ম, মহিলা, কৃষক ও গরিব। আমাদের কাছে এরাই সব থেকে বড় শ্রেণি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • TMCs Earnings: নির্বাচনী বন্ডে আঞ্চলিক দল তৃণমূলের আয় কত জানেন?

    TMCs Earnings: নির্বাচনী বন্ডে আঞ্চলিক দল তৃণমূলের আয় কত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সর্বভারতীয় দলের তকমা ঘুচেছে আগেই। শিবরাত্রির সলতের মতো টিমটিম করে কেবল একটি রাজ্যেই রাজত্ব করে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এহেন ‘ক্ষয়িষ্ণু’ একটি দলের এক বছরে আয় বেড়েছে প্রায় ১২ গুণ। নির্বাচনী বন্ড থেকে তাদের আয় (TMCs Earnings) হয়েছে মোট চাঁদার ৯৭ শতাংশেরও বেশি।

    নির্বাচনী বন্ড

    ২০১৮ সালে নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার। কোনও ব্যক্তি বা কর্পোরেট সংস্থা রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিতে চাইলে নির্বাচনী বন্ড কিনতে হয়। সেই বন্ড বিক্রির দায়িত্বে থাকে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। বৃহস্পতিবার, নির্বাচনী বন্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে সুপ্রিম কোর্ট। এর পরই, শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশকে স্বাগত জানিয়ে বিবৃতি দিতে দেখা যায় তৃণমূলের মুখপাত্রকে। অথচ, গত ২ বছর ধরে, শতাংশের বিচারে এই তৃণমূল দলই সবচেয়ে বেশি আয় করেছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমেই! অর্থাৎ, নির্বাচনী বন্ডের সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছিল তৃণমূল, আর সেই দলই কিনা এদিন নিষেধাজ্ঞাকে সাধুবাদ জানাচ্ছে!

    ‘লক্ষ্মীর ভান্ডারে’ কত পড়ল?

    জানা গিয়েছে, ২০২০-২১ অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে তৃণমূলের ঝুলিতে পড়েছিল প্রায় ৪১ কোটি টাকা। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে সেটাই বেড়ে হয়েছে ৫২৫ কোটি ১৪ লক্ষ টাকা। যা ছিল মোট আয়ের (৫৪৫ কোটি ৭৪ লক্ষ)  ৯৬ শতাংশ। ফি বছর প্রতিটি রাজনৈতিক দলকে দিতে হয় আয়-ব্যয়ের হিসেব। সেই রিপোর্টেই জানা গিয়েছে নির্বাচনী বন্ডের আয়ে উপচে পড়ছে তৃণমূলের ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার’।

    গত অর্থবর্ষে (২০২২-২৩) মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলের আয় (TMCs Earnings) হয়েছে ৩৩৩ কোটি ৪৫ লক্ষ টাকা। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ৯৭ শতাংশই (৩২৫ কোটি ১০ লক্ষ টাকা) এসেছে নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে। বাকি ৮ কোটি ৩৫ লক্ষ টাকা আয় হয়েছে সদস্যদের চাঁদা, মুখপাত্রের গ্রাহক চাঁদা এবং অর্থসংগ্রহ কর্মসূচির মাধ্যমে।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সন্দেশখালিতে যে আওয়াজ উঠেছে, তাকে আটকানো যাবে না’’, হুঙ্কার মিঠুনের

    অ-বিজেপি দলগুলির আয়

    আরেকটি আঞ্চলিক দল ডিএমকের কোষাগারে নির্বাচনী বন্ড বাবদ জমা পড়েছে মোট আয়ের ৮৬.৩০ শতাংশ। বিজু জনতা দলের ক্ষেত্রে এর পরিমাণ ৮৩.৯৫ শতাংশ। ভারত রাষ্ট্র সমিতি এই খাতে আয় করেছে ৭১.৭১ শতাংশ টাকা। আর নির্বাচনী বন্ডে ৬৯.৫২ শতাংশ টাকা আয় করেছে ওয়াইএসআরসিপি। সব চেয়ে করুণ দশা গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি কংগ্রেসের। বিজেপি বিরোধী জোট ‘ইন্ডি’তে যেসব আঞ্চলিক দল রয়েছে, তাদের মধ্যে বোধহয় নির্বাচনী বন্ডে সব চেয়ে কম আয় হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দলের। এই খাতে কংগ্রেসের আয় শতাংশের হিসেবে মাত্রই ৩৭.৮০ টাকা (TMCs Earnings)।

    এবার তাকানো যাক বিজেপির আয়ের দিকে। কেন্দ্রের পাশাপাশি দেশের সব চেয়ে বেশি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে পদ্ম-পার্টি। অঙ্কের হিসেবে তাদের আয় (TMCs Earnings) সবচেয়ে বেশি। তবে শতাংশের বিচারে বিজেপির আয় তৃণমূলের আয়ের কাছে নেহাতই শিশু। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে নির্বাচনী বন্ডে গেরুয়া ঝুলিতে পড়েছে মোট আয়ের মাত্র ৫৪.৮১ শতাংশ টাকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     
  • Vibhakar Shastri: ফের ভাঙল কংগ্রেস, বিজেপিতে যোগ দিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি

    Vibhakar Shastri: ফের ভাঙল কংগ্রেস, বিজেপিতে যোগ দিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর নাতি বিভাকর শাস্ত্রী (Vibhakar Shastri)। উত্তরপ্রদেশের উপমুখ্যমন্ত্রী ব্রজেশ পাঠকের উপস্থিতিতে এদিন লখনউয়ে  বিজেপির রাজ্য সদর দফতরে গিয়ে বিজেপিতে যোগ দেন বিভাকর। লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে ভাঙনের জেরে কংগ্রেস দুর্বল হলেও, স্ফীতকায় হচ্ছে বিজেপি।

    কী বলছেন বিভাকর?

    এদিন পদ্ম ঝান্ডা হাতে নিয়ে বিভাকর (Vibhakar Shastri) বলেন, “আমি মনে করি যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে আমি লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জয় জওয়ান, জয় কিষানের দৃষ্টিভঙ্গীকে আরও শক্তিশালী করতে পারব এবং দেশের সেবা করতে পারব।” প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটিতে ঠাঁই হয়নি বিভাকরের। তখন থেকেই দলের প্রতি চাপা ক্ষোভ ছিল তাঁর। প্রকাশ করেছিলেন অসন্তোষও। শেষমেশ এদিন যোগ দিলেন বিজেপিতে।

    লালবাহাদুর শাস্ত্রী

    কংগ্রেসের মধ্যে যাঁরা মহাত্মা গান্ধীর অনুগামী হিসেবে পরিচিত, তাঁদের অন্যতম হলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। ১৯৬৪ সালে প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর প্রধানমন্ত্রী হন শাস্ত্রী। ১৯৬১ থেকে ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিভাকর তাঁরই নাতি। এদিনই বিভাকর পদত্যাগ করেন কংগ্রেস থেকে। তার পরেই বিজেপি অফিসে গিয়ে নাম লেখান গেরুয়া খাতায়। এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস সভাপতির উদ্দেশে বিভাকর লেখেন, ‘কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে আমি ইস্তফা দিচ্ছি’।

    মঙ্গলবারও একবার ভেঙেছিল কংগ্রেস। এদিন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখমন্ত্রী অশোক চহ্বান ও কংগ্রেস নেতা বাবা সিদ্দিকিও ‘হাত’ ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছিলেন পদ্ম আঁকা ঝান্ডা। গত কয়েক দিনে কংগ্রেস ছেড়েছেন একের পর এক দুঁদে নেতা। অশোকের আগে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন মিলিন্দ দেওরা। তিনি অবশ্য সরাসরি বিজেপিতে যোগ দেননি। তিনি যোগ দিয়েছিলেন একনাথ শিন্ডের শিব সেনা শিবিরে।

    আরও পড়ুুন: মোদি-ডোভাল-জয়শঙ্কর, ত্রয়ীর চালেই বাজিমাত, দেশে ফিরলেন কাতারের আট বন্দি

    কংগ্রেসে ভাঙন শুরু হওয়ায় প্রমাদ গুণছেন ইন্ডি জোটের নেতারা। বিজেপি বিরোধী যে ২৬টি দল এক ছাতার এসেছিল পদ্মকে পরাস্ত করতে, তারাই এখন সিঁদুরে মেঘ দেখছে। কারণ কংগ্রেস ভেঙে গেলে ইন্ডি জোটের যে ধার কমে যাবে, তা (Vibhakar Shastri) মানছেন জোটে ভোট ম্যানেজাররাও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Ashok Chavan: কংগ্রেসে ফের ভাঙন! দল ছাড়লেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আশোক চহ্বাণ

    Ashok Chavan: কংগ্রেসে ফের ভাঙন! দল ছাড়লেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আশোক চহ্বাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আগে ফের কংগ্রেসে ভাঙন। এবার শতাব্দীপ্রাচীন দল ছাড়লেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আশোক চহ্বাণ (Ashok Chavan)। উল্লেখ্য, গতমাসে কংগ্রেস নেতা মিলিন্দ দেওরা কংগ্রেস ছেড়ে মহারাষ্ট্রে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের শিবশেনায় যোগদান করেছিলেন। আরও দুর্বল হল কংগ্রেস, দেশের জাতীয় রাজনীতিতে ব্যাপক শোরগোল। এবার কি বিজেপিতে যোগদান করবেন? তীব্র জল্পনা।

    স্পিকারকে পদত্যাগপত্র  দিয়ে কী বললেন (Ashok Chavan)

    কংগ্রেস বিধায়ক আশোক চহ্বাণ (Ashok Chavan) সোমবার সকালেই প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়েছেন। মহারাষ্ট্র বিধানসভার স্পিকার রাহুল নারভেকরের সঙ্গে দেখা করে নিজের ইস্তফাপত্র জমা করেন। আশোক হলেন মহারাষ্ট্রের ভোকার কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক। বিধায়ক হিসাবে পদত্যাগের পর কংগ্রেসের সভাপতি নানা পাটোলেকে চিঠি দিয়ে মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দলের সদস্যপদ ছাড়ার কথা জানান। ২০০৮ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি সারা জীবন ধরে একজন কংগ্রেসের কর্মী ছিলাম এবং সততার সঙ্গে দলের জন্য কাজ করেছি। দল ছেড়েছি আমার সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত কারণে।”

    কেন দল ছাড়লেন?

    কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, আশোক (Ashok Chavan) দলের সংগঠনের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে ছিলেন। প্রদেশ কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। দলের সূত্রে আরও খবর মিলেছে, লোকসভার প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটোলের সঙ্গে বেশ কিছু দিন ধরে মত পার্থক্য তৈরি হয়েছিল। আর সেই কারণেই দল ছেড়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে। তাঁর এই দল ছাড়ার ফলে মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস ব্যাপক দুর্বল হয়ে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    বিজেপিতে কি যোগদান করবেন

    সূত্রে জানা গিয়েছে, আশোকের (Ashok Chavan) সঙ্গে বিজেপির একপ্রকার প্রাথমিক কথা হয়েছে। আরও জানা গিয়েছে, বিজেপির সমর্থনে মহারাষ্ট্র থেকে রাজ্যসভায় যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। শুধু চহ্বাণ নন, আরও ১০ থেকে ১২ জন কংগ্রেস বিধায়ক দল ছাড়তে পারেন বলে জানা যাচ্ছে। একই ভাবে কংগ্রেস ছেড়ে অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপিতে যোগদান করেছেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকি। চহ্বাণের বিজেপিতে যোগদান সম্পর্কে রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিস বলেন, “আমি শুধু একটা কথাই বলব, কংগ্রেসের বহু নেতা বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন।”   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Acharya Krishnam: শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ, বহিষ্কৃত কংগ্রেসের আচার্য কৃষ্ণম

    Acharya Krishnam: শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ, বহিষ্কৃত কংগ্রেসের আচার্য কৃষ্ণম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কার করা হল কংগ্রেসের আধ্যাত্মিক গুরু আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণমকে (Acharya Krishnam)। ছ’ বছরের জন্য দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে তাঁকে। বহিষ্কারের পর তিনি বলেন, “কোনওরকম আপোস করব না।” শনিবার রাতে এক্স হ্যান্ডেলে কৃষ্ণম লেখেন, “রাম এবং রাষ্ট্র। কোনও আপোস করব না।” রবিবার তিনি জানান, এদিন দুপুরে কল্কি ধামে তিনি খুলবেন মনের ঝাঁপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, এদিন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে পারেন কৃষ্ণম। বিজেপিতে যোগ দিয়ে প্রার্থীও হতে পারেন পদ্ম চিহ্নে।

    মোদি সকাশে কৃষ্ণম

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতা (Acharya Krishnam)। রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, সেখানেই সম্ভবত বিজেপিতে যোগ দেওয়ার রাস্তা খুলে যায়। তার পরেই বিষোদ্গার করেন কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। উনিশের লোকসভা নির্বাচনে হাত চিহ্ন নিয়ে কৃষ্ণম প্রার্থী হন লখনউ কেন্দ্রে। চোদ্দর লোকসভা নির্বাচনেও প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। সেবার তাঁর কেন্দ্র ছিল উত্তরপ্রদেশেরই সম্ভল। দু বারই পরাজিত হন তিনি। গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ ছিলেন তিনি। প্রিয়ঙ্কা গান্ধী যখন উত্তরপ্রদেশের ইনচার্জ ছিলেন, তখন তাঁকে সাংগঠনিক কাজে সাহায্য করতেন কৃষ্ণম।

    দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ

    প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পাশাপাশি কৃষ্ণম নানা সময় ভঙ্গ করেছেন দলীয় শৃঙ্খলা। উত্তরপ্রদেশের সম্ভালে কল্কিধামের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী যাতে উপস্থিত থাকেন, তাই তাঁকে আমন্ত্রণ জানাতে গিয়েছিলেন তিনি। দল বিরোধী কথাবার্তাও বলতে শোনা গিয়েছিল তাঁকে। তার জেরেই বহিষ্কার করা হয়েছে কংগ্রেসের এই প্রবীণ নেতাকে। ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হয় রাম মন্দিরের। এদিনই প্রাণপ্রতিষ্ঠা হয় বালক রামেরও। এই অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল সোনিয়া গান্ধী সহ কংগ্রেসের একাধিক নেতাকে। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দেননি কংগ্রেসের তরফে কেউ। এনিয়েও দলীয় নেতৃত্বকে আক্রমণ শানিয়েছিলেন কৃষ্ণম।  

    আরও পড়ুুন: মোদি ম্যাজিকেই হবে বাজিমাত, ফের ইঙ্গিত মিলল সমীক্ষায়

    কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক (সাংগঠনিক) কেসি বেণুগোপাল বলেন, “দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ এবং বারংবার দলবিরোধী মন্তব্য করার অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। প্রমোদ কৃষ্ণমকে (Acharya Krishnam) ছ’ বছরের জন্য বহিষ্কারের যে প্রস্তাব উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস পাঠিয়েছিল হাইকমান্ডকে, তার প্রেক্ষিতেই বহিষ্কার করা হয় তাঁকে।”

     

      দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Lok Sabha Elections 2024: ‘কেন্দ্রে ফের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার’, বলছে সমীক্ষা

    Lok Sabha Elections 2024: ‘কেন্দ্রে ফের বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার’, বলছে সমীক্ষা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ-ই ফের আসছে কেন্দ্রের ক্ষমতায়। ‘মুড অফ দ্য নেশনে’র সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য। এর আগে দেশ-বিদেশের একাধিক সংস্থার সমীক্ষাতেও জানা গিয়েছিল, তৃতীয়বারের জন্য কেন্দ্রের ক্ষমতায় আসছে নরেন্দ্র মোদির সরকার। কেন্দ্রে তৃতীয়বার বিজেপির ক্ষমতায় ফেরাটা যে স্রেফ সময়ের অপেক্ষা, তা বিভিন্ন সময় বলেওছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি স্বয়ং। তাঁর সেই দাবিতেই এবার শিলমোহর দিল ‘মুড অফ দ্য নেশন’ও।

    আরও বেশি আসন

    গত দু’বারের চেয়েও এবার (Lok Sabha Elections 2024) আরও বেশি সংখ্যক আসন নিয়ে কেন্দ্রের কুর্সিতে ফিরতে চাইছেন নরেন্দ্র মোদি। মাস দুয়েক আগে দিল্লিতে দলের সদর দফতরে গিয়ে সে ইচ্ছে প্রকাশও করেছিলেন তিনি। তার পরেই প্রচারের সুর বেঁধে নেয় পদ্মশিবির। জন্ম হয় নয়া স্লোগানের – ‘আব কি বার, চারশো পার’। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ৪০০ না হলেও, কিছু আসন কম পেয়ে ক্ষমতায় ফিরবে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকার।

    ‘মুড অফ দ্য নেশনে’র সমীক্ষা

    ‘মুড অফ দ্য নেশনে’র সমীক্ষায় প্রকাশ, যদি এখনই লোকসভা নির্বাচন হয়, তবে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ পেতে পারে ৩৩৫টি আসন। যদিও সরকার গড়তে প্রয়োজন ২৭২টি আসন। জানা গিয়েছে, দেশের সব লোকসভা কেন্দ্রের ৩৫ হাজার ৮০১ জন ভোটারের ওপর সমীক্ষাটি করা হয়েছিল। তাতেই জানা গিয়েছে এনডিএর জয়জয়কারের খবর।

    উল্টো দিকের ছবিটা বড় করুণ। বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে জোট বেঁধেছিল ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডি’। সেই জোটের কোন্দলের জেরে প্রায়ই খবরের শিরোনামে চলে আসে ইন্ডি। সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, এই ইন্ডি জোট সব মিলিয়ে ১৬৬টি আসন। প্রত্যাশিতভাবেই বিজেপির নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানাতে গেলে যে শক্তির প্রয়োজন, সেই শক্তি থাকবে না বিরোধী শিবিরের। লোকসভার ৫৪৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি একাই পেতে পারে ৩০৪টি আসন।

    আরও পড়ুুন: অবৈধ মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে অশান্ত উত্তরাখণ্ড, মৃত ৪, আহত ২৫০, জারি কারফিউ

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি পেয়েছিল ৩০৩টি কেন্দ্রের রাশ। পদ্ম শিবিরের জয়রথের চাকা যখন গড়গড়িয়ে চলবে, তখন কংগ্রেস হাঁটবে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে। অন্তত সমীক্ষার ফলের ইঙ্গিত তেমনই। জানা গিয়েছে, এবার কংগ্রেস পেতে পারে ৭১টি আসন, গতবারের চেয়ে ১৯টি আসন বেশি। সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে, রাম মন্দির নির্মাণ, ভূস্বর্গ থেকে ৩৭০ ধারা লোপ এবং দেশজুড়ে উন্নয়নের জোয়ার, সব মিলিয়ে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদির ওপরই ভরসা রাখছেন দেশের সিংহভাগ মানুষ (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share