Tag: congress

congress

  • PM Modi: কংগ্রেসের কৃষ্ণপত্রকে ‘কালো টিকা’র সঙ্গে তুলনা প্রধানমন্ত্রীর, কেন জানেন?

    PM Modi: কংগ্রেসের কৃষ্ণপত্রকে ‘কালো টিকা’র সঙ্গে তুলনা প্রধানমন্ত্রীর, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি সরকারের (PM Modi) আনা শ্বেতপত্রের পাল্টা কৃষ্ণপত্র প্রকাশ করেছে কংগ্রেস। মল্লিকার্জুন খাড়্গেদের সেই কৃষ্ণপত্রকে ‘কালো টিকা’র সঙ্গে তুলনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের দেশে কোনও পরিবারে কোনও শিশুর যাতে নজর না লাগে তার জন্য কালো টিকা পরিয়ে দেওয়া হয়। গত ১০ বছরে সমৃদ্ধির নতুন নতুন শিখর ছুঁয়েছে দেশ। এমন এক বিশুদ্ধ বাতাবরণ তৈরি হয়েছে, তাতে যাতে নজর না লেগে যায়, তার জন্য কালো টিকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর তার জন্য সম্মাননীয় খড়্গেজিকে অসংখ্য ধন্যবাদ।” প্রসঙ্গত, ইউপিএ জমানায় অসংখ্য দুর্নীতি সামনে আসে। দেশজুড়ে পথে নামেন সমাজ কর্মীরাও। সেই সমস্ত আর্থিক কেলেঙ্কারিগুলিকে নিয়েই মোদি সরকার প্রকাশ করতে চলেছে শ্বেতপত্র।

    কংগ্রেসকে কটাক্ষ

    বৃহস্পতিবার বিদায়ী সাংসদদের কাজ সহ অন্যান্য বিষয়ে রাজ্যসভায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর ভাষণে উঠে আসে বিজেপি সরকারের নেতৃত্বে গত ১০ বছরে দেশ যে উন্নতি ও  সমৃদ্ধির কথাও। এই সময়ই কংগ্রেসের কৃষ্ণপত্র প্রকাশ নিয়ে বলতে শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এনিয়ে কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, “এই প্রচেষ্টা অত্যন্ত ভাল। দেশের প্রগতিতে যাতে নজর না লাগে, তার জন্য এই ‘কালো টিকা’ অত্যন্ত জরুরি ছিল। যখন ভালো কিছু হয়, তখন কালো টিকা নজর থেকে বাঁচায়। এই ব্যবস্থাকেও স্বাগত জানাচ্ছি।” ৯ ফেব্রুয়ারি চলতি অধিবেশনের সমাপ্তি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মোদি সরকারের (PM Modi) দ্বিতীয় মেয়াদের শেষ অধিবেশনের সমাপ্তি হবে ১০ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ শনিবার।

    পূর্বসূরিকে স্মরণ মোদির

    এদিন রাজ্যসভায় কংগ্রেসকে তুলোধনা করলেও, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে প্রশংসায় ভরিয়ে দেন মোদি। যা দেখে চমকে যান বিরোধীরা। মোদির মতে, দীর্ঘ সময় ধরে যেভাবে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী দেশ পরিচালনা করেছেন, তা সকলের কাছে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। মোদি উল্লেখ করেন দিল্লি পরিষেবা বিল নিয়ে রাজ্যসভায় ভোটাভুটির প্রসঙ্গ। প্রধানমন্ত্রীর মতে, বিল নিয়ে ভোটাভুটিতে সরকার পক্ষের জয় নিশ্চিত ছিল। তা সত্ত্বেও হুইলচেয়ারে করে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজ্যসভায় এসেছিলেন ভোট দেওয়ার জন্য। মোদির মতে, সাংসদ হিসাবে তাঁর এই কর্তব্যপরায়ণতা একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে। যা, অন্য সাংসদদের কাছে অনুপ্রেরণা যোগাবে। সংসদে দাঁড়িয়ে পূর্বসূরির দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি। 

    রাজ্যসভার বিদায়ী সাংসদদের সংবর্ধনা

    জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড়ের দিল্লির বাসভবনে সংবর্ধনা জানানো হবে রাজ্যসভার বিদায়ী সাংসদদের। বিদায়ী সাংসদদের সংবর্ধনা দেওয়ার আগে অবশ্য তার আগে রাষ্ট্রপতি তাঁদের একসঙ্গে একটি ছবি তোলার কথা। এর পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চেয়ারম্যানের বাসভবনে অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন বিদায়ী সাংসদেরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “বিজেপি ৩৭০ আসন পাবেই, এনডিএ পেরোবে ৪০০”, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: “বিজেপি ৩৭০ আসন পাবেই, এনডিএ পেরোবে ৪০০”, প্রত্যয়ী প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বিরোধী হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস।” সোমবার বাজেট অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ জ্ঞাপন করতে গিয়ে একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। তিনি বলেন, “দশকের পর দশক উল্টোদিকে বসার সংকল্প নিয়ে ফেলেছেন বিরোধীরা। জনতা তো ভগবানের প্রতীক। আপনারা যেভাবে পরিশ্রম করছেন, আমার মনে হয় ভগবানরূপী জনতা আপনাদের দু হাত ভরে আশীর্বাদ করবেন এবং সঠিক জায়গায় বসার ব্যবস্থা করে দেবেন।”

    নিশানা অধীরকে

    লোকসভার বিরোধী দলনেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরীকেও এদিন একহাত নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “অধীর রঞ্জন চৌধুরী আপনার কনট্র্যাক্ট ওদের দিয়ে দিয়েছেন নাকি? কী হয়েছে আপনাদের দাদা? কতদিন আর সমাজকে বিভক্ত করবেন? বন্ধ করুন এই বিভাজন। আপনারা দেশকে অত্যন্ত হতাশ করেছেন। আপনাদের ভাবনা নিয়ে করুণা হয় আমার। নেতা তো বদলে ফেলেছেন আপনারা। কিন্তু টেপ রেকর্ডার এক রয়ে গিয়েছে। সেই পুরানো রাগ বেজে চলেছে টেপ রেকর্ডারে।”

    ‘দোকানে তালা পড়ার সময় হয়ে এসেছে’

    প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “নির্বাচনের বছর। পরিশ্রম করে কিছু নতুন নিয়ে আসুন। এটাও কি আমি শিখিয়ে দেব?” তিনি বলেন, “অধীরবাবুর অবস্থা আমি বুঝতে পারি। পরিবারতন্ত্রের সেবা তো করে যেতেই হবে তাঁকে। খাড়্গেজি এই কক্ষ থেকে ওই কক্ষে চলে গেলেন। গুলাম নবিজি তো পার্টি থেকেই শিফট করে গেলেন। পরিবারতন্ত্রের কাছে বিক্রি হয়ে গিয়েছেন তাঁরা। একই প্রোডাক্ট বারবার লঞ্চ করার জন্য দোকান খুলেছেন। এই দোকানে তালা পড়ার সময় হয়ে এসেছে।”

    আরও পড়ুুন: ‘কাজ নেই বলে পুরসভায় যাই না’, তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুকুলপুত্র

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনাদের মধ্যে অনেকেই ভোটে লড়ার ইচ্ছে ও সাহস হারিয়ে ফেলেছেন। অনেকে আবার আসন বদলানোর চেষ্টা করছেন। আবার কেউ কেউ লোকসভার বদলে রাজ্যসভায় যেতে চাইছেন। নিজেদের মতো করে খড়কুটো ধরে থাকার রাস্তা খুঁজছেন।” প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, “আমাদের সরকারের তৃতীয় মেয়াদ খুব দূরে নয়। খুব বেশি হলে ১০০-১২৫ দিন বাকি রয়েছে। দেশের যা মেজাজ দেখছি, তাতে বিজেপি ৩৭০ আসন পাবেই। আর এনডিএ পেরোবে ৪০০ আসন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Bharat Jodo Nyay Yatra: ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ছেড়ে কেন হঠাৎ দিল্লি উড়ে গেলেন রাহুল, কী কারণ?

    Bharat Jodo Nyay Yatra: ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ছেড়ে কেন হঠাৎ দিল্লি উড়ে গেলেন রাহুল, কী কারণ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় (Bharat Jodo Nyay Yatra) বেরিয়েছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী। বৃহস্পতিবার সেই যাত্রা পৌঁছেছিল কোচবিহারে। এখানে বক্সিরহাটে সংক্ষিপ্ত সভা ও জেলা সদরে রোড-শো করেই দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন রাহুল। তবে কেন তিনি হঠাৎ দিল্লি উড়ে গেলেন, সে ব্যাপারে কিছু জানানো হয়নি। ঘটনাটি ঘিরে ক্রমেই চড়ছে জল্পনার পারদ। কংগ্রেসের একটি সূত্রে খবর, আগামী রবিবার ফের বাংলায় আসতে পারেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। সেক্ষেত্রে পরিবর্তন হতে পারে যাত্রা পথের। রুট থেকে বাদ পড়তে পারে উত্তরবঙ্গের দুই জেলার অংশ বিশেষ।

    রাহুলকে স্বাগত কংগ্রেসের

    এদিন বক্সিরহাটে রাহুলকে স্বাগত জানান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী, মহিলা কংগ্রেসের সদস্য পূজা রায়চৌধুরী, এআইসিসি সদস্য বিশ্বজিৎ সরকার সহ দলের (Bharat Jodo Nyay Yatra) অন্য নেতানেত্রীরা। বক্সিরহাটের পর রাহুলের যাওয়ার কথা ছিল তুফানগঞ্জে, প্রাতরাশ করতে। রাত্রিবাস করার কথা ছিল ফালাকাটায়। কিন্তু রাহুল ও তাঁর ‘ন্যায় যাত্রা’র সঙ্গীরা বক্সিরগঞ্জ থেকে ফেরেন কোচবিহার শহরে। শহর ও লাগোয়া এলাকার রেলগুমটি, মা ভবানী, সদর বাজার, রাজবাড়ি গেট, খাগড়াবাড়ি হয়ে রাজারহাট পর্যন্ত রোড-শো করেন রাহুল।

    ইন্ডিয়া জোট

    তিনি বলেন, “বিজেপি-আরএসএসের অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই করতেই ইন্ডিয়া জোট তৈরি হয়েছে। দেশজুড়ে অন্যায় হচ্ছে বলেই আমাদের এই ‘ন্যায় যাত্রা’।” দুপুর দুটো নাগাদ দিল্লির উদ্দেশে রওনা দেন সোনিয়া-তনয়। এআইসিসির সম্পাদক রণজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, “আগামী রবিবার সকাল ৮টায় আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটায় পূর্ব নির্ধারিত ক্যাম্প সাইটে আসবেন রাহুল। সেখান থেকে আবার যাত্রা শুরু করবেন তিনি।”

    আরও পড়ুুন: লোকসভার ঢাকে কাঠি! কেন দেশের মানুষ মোদিকে পছন্দ করেন? নয়া থিম সং বিজেপির

    কী কারণে দিল্লি ফিরলেন রাহুল? কংগ্রেস সূত্রে খবর, প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠান রয়েছে শুক্রবার। এই অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন রাহুল। পরের দিন দিল্লিতে রয়েছে একটি দলীয় অনুষ্ঠান। সেখানেও যোগ দেবেন তিনি। তাই তার পরের দিন আসবেন বাংলায়। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির অন্য একটি সূত্রে খবর, ফালাকাটার পরিকাঠামো রাহুলের রাত্রিবাসের উপযুক্ত নয় বলেই রাজ্য কংগ্রেস নেতাদের জানিয়েছিলেন রাহুলের দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন যাঁরা, তাঁরা। তার পরেই প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতিকে দিল্লি উড়িয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয় (Bharat Jodo Nyay Yatra)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Indi Alliance: বাংলার পর পাঞ্জাবেও ধাক্কা খেল কংগ্রেস, ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল স্পষ্ট

    Indi Alliance: বাংলার পর পাঞ্জাবেও ধাক্কা খেল কংগ্রেস, ‘ইন্ডি’ জোটে ফাটল স্পষ্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটে (Indi Alliance) ফের ধাক্কা। তৃণমূল কংগ্রেসের পর এবার আপ। বাংলার পর পাঞ্জাব। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে পাঞ্জাবে জোট করবে না আম আদমি পার্টি। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান বলেন, পাঞ্জাবের ১৩ টি লোকসভা আসনের জন্য ইতিমধ্যেই ৪০ জন প্রার্থীর নাম স্থির করেছে আপ। এরপর এখান থেকে শেষ ১৩ জনকে বেছে নেওয়া হবে। আপের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। 

    বাংলার পর পাঞ্জাব

    পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন বঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে না তৃণমূল কংগ্রেস। আপের এই সিদ্ধান্তের ফলে কংগ্রেস শিবির যে অনেকটাই চাপে পড়ে গেল এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় জোট হবে কী হবে না তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা চলছিল। কিন্তু কংগ্রেসের ওপর ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, তিনি একাই লড়বেন। অর্থাৎ বিজেপি বিরোধী ‘ইন্ডি’ জোট (Indi Alliance) বাংলায় ধাক্কা খেল। তবে শুধু পশ্চিমবঙ্গে নয়, পাঞ্জাবেও একা লড়াই করার কথা ঘোষণা করে দিল আম আদমি পার্টি। বুধবার মান রীতিমতো ঘোষণা করে জানিয়েছেন যে আপ পঞ্জাবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবে না। কারণ, পঞ্জাবে কংগ্রেসই আম আদমি পার্টির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী। দুই প্রধান বিরোধী দল পঞ্চনদের রাজ্যে জোট করলে সুবিধা পেয়ে যাবে সুরজিৎ সিং বাদলের অকালি দল এবং বিজেপি। সেটা হতে দিতে চান না আম আদমি পার্টি নেতৃত্ব। জানা গেছে, ১৩ টি লোকসভা আসনেই তারা প্রার্থী দেবে। আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হবে। 

    আরও পড়ুন: লোকসভায় কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও জোট নয়, মমতার মন্তব্যে ইন্ডি জোটের দফারফা

    নড়বড়ে ইন্ডি জোট

    রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলায় তৃণমূল কংগ্রেস একা লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এরপর পাঞ্জাবে আপ একক লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিল। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এর ফলে বড় নড়বড়ে হয়ে গেল ইন্ডি জোট (Indi Alliance)। কেন্দ্রে শক্তিশালী বিজেপি সরকারের সামনে এই জোট খুব একটা দাঁড়াতে পারবে না বলেও অভিমত অনেকের। যে জোটে শুরু থেকেই একে অপরের সঙ্গে সমঝোতা হয় না তারা একমত হয়ে ভবিষ্যতে দেশ চালাতে পারবে না এমন ভাবনা অমূলক, বলেই অনুমান বিশেষজ্ঞদের। বিরোধীদের নিজেদের মধ্যেই বিরোধিতা প্রতিদিনই চোখে পড়ছে দেশবাসীর। আসন বন্টন তো বিরোধী জোটের গলার কাঁটা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  •  Purulia: ঝালদায় দলের হুইপ মানল না তৃণমূলের কাউন্সিলররা, অনাস্থায় অপসারণ পুরপ্রধানের

     Purulia: ঝালদায় দলের হুইপ মানল না তৃণমূলের কাউন্সিলররা, অনাস্থায় অপসারণ পুরপ্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় দলেরই হুইপ মানল না তৃণমূলের কাউন্সিলররা। ঠেকানো গেলে না পুরসভায় অনাস্থা। পুরপ্রধানকে অপ্রসারণ করতে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলাল তৃণমূলের কাউন্সিলররা। ফের দলের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ এবং অস্বস্তি দুই প্রকাশ্যে এলো। এলাকায় এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তীব্র শোরগোল পড়েছে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Purulia)?

    স্থানীয় (Purulia) সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরপ্রধান বিজ্ঞপ্তি জারি করে তলবি বৈঠকের দিন ২৭ জানুয়ারি বদলে দেন। অপরে শাসক দল তৃণমূলের ৫ কাউন্সিলর, কংগ্রেসের ২ কাউন্সিলরের সঙ্গে হাত মিলয়ে ৭-০ ভোটাভুটিতে তৃণমূলের পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায়কে অপাসারণ করে দেন। ২০২১ সালে পুর নির্বাচনের পর ঝালদা পুরসভার বোর্ড গঠন নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হইয়েছিল। তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রকাশ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছিল। এবার এই পুরসভার বোর্ড গঠন করে ক্ষমতা ধরে রাখতে তৃণমূলের কাউন্সিলরা, কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মেলালো। এবার পুরপ্রধানকে হবেন তাই নিয়ে চলছে জোর জল্পনা। এলাকার মানুষের বক্তব্য একেই বলে রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প। ক্ষমতায় টিকে থাকাটাই রাজনীতি।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    পুরুলিয়ার (Purulia) ঝালদায় এই ঘটনায় তৃণমূল নিজের দলের মধ্যে চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছে। জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া বলেন, “এই ঘটনায় ঝালদা শহরের তৃণমূল কর্মী নেতৃত্বের কাছে রিপোর্ট তলব করছি। সমস্ত বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্বের কাছে জানিয়েছি।” অপর দিকে পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, “এই তলবি সভা বৈধ নয়। এই বৈঠক পিছিয়ে আমি ২৭ জানুয়ারি করেছি। আমি আমার পুরসভার কাজ করে যাবো। ওঁরা যদি আমাকে কাজ করতে না দেয় তাহলে আমি আইনের সাহায্য নেবো।” এই পরিস্থিতিতে তৃণমূলের অন্দরে ফের আইনি যুদ্ধের সূচনা যে হতে চলেছে সে কথা এলাকার অনেক মানুষই বলছেন।

    কংগ্রসের বক্তব্য

    এই দিন তলবি সভায় উপস্থিত থাকা শাসক দল তৃণমূলের প্রাক্তন পুরপ্রধান (Purulia) সুরেশ আগরওয়াল বলেন, “৭-০ ভোটেপুর প্রধানকে অপসারণ করা হয়েছে। এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভবপর নয়।” অপর দিকে ঝালদা পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা এই তলবি সভায় অংশ গ্রহণ করা কংগ্রেস কাউন্সিলর বলেন, “গত দুই বছরে এই পুরসভায় কোনও কাজ হয়নি, এমন পুরপ্রধান আগে কোনও সময়ে দেখা যায়নি। সেই জন্য আমরা তাঁকে অপসারণ করলাম।” উল্লেখ্য গত ৬ সেপ্টেম্বরে বাঘমুন্ডিতে (Purulia) স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাতোর হাত ধরে নির্দল কাউন্সিলরা শিলা চট্টোপাধ্যায় তৃণমূলে যোগদান করেছিলেন। এরপর পুরসভার বোর্ড গঠনের সমীকরণ বদলে গিয়েছিল।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Adani Group: রাহুলকে উপেক্ষা করেই আদানির সঙ্গে মউ স্বাক্ষর কংগ্রেস পরিচালিত তেলঙ্গানা সরকারের

    Adani Group: রাহুলকে উপেক্ষা করেই আদানির সঙ্গে মউ স্বাক্ষর কংগ্রেস পরিচালিত তেলঙ্গানা সরকারের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রতিনিয়ত আদানি গোষ্ঠীকে (Adani Group) আক্রমণ শানিয়ে চলেছে কংগ্রেস। ‘স্বজনতোষী পুঁজিবাদে’র অভিযোগ আনা হয়েছে এই গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। বছরখানেক আগে কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ চিনের সঙ্গে আদানি গোষ্ঠীর যোগ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন।

    কংগ্রেসের নিশানায় আদানি

    কেন্দ্রীয় সরকার কীভাবে গৌতম আদানিকে একচেটিয়া বাজার ধরার সুযোগ করে দিয়েছে এবং সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে তিনি কীভাবে বিমানবন্দর বা বিদ্যুতের মতো অত্যাবশ্যক পরিষেবা নিয়ে ক্রেতাদের ঠকিয়ে গিয়েছেন জনসমক্ষে সেই অভিযোগ করেছিলেন এই কংগ্রেস নেতা। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির প্রাক্তন সভাপতি খোদ রাহুল গান্ধীর চাঁদমারিও হয়েছে আদানি গোষ্ঠী। গত বছর অক্টোবরে আদানি গোষ্ঠীকে আক্রমণ শানিয়ে রাহুল বলেছিলেন, “ভারতবাসীর ব্যয়ে আদানি গোষ্ঠী লাভ করেছে ৩২ হাজার কোটি টাকা।”  

    মউ স্বাক্ষর

    এহেন স্বজনতোষী পুঁজিবাদ কর্তা আদানির (Adani Group) সঙ্গে ১২ হাজার ৪০০ কোটি টাকার মউ স্বাক্ষর করেছে কংগ্রেস পরিচালিত তেলঙ্গানা সরকার। এবং মউ স্বাক্ষরিত হয়েছে রাহুল গান্ধীকে উপেক্ষা করেই। কিছুদিন আগেই দাভোসে হয়েছে ওয়ার্ল্ড ইকনোমিক ফোরাম। সেখানেই তেলঙ্গানা সরকারের তরফে মউ স্বাক্ষর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী রেভান্ত রেড্ডি। এক্স হ্যান্ডেলে তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রীর অফিসকে ট্যাগ করে গৌতম আদানি লিখেছেন, “তেলঙ্গানার বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবসায়িক সুযোগ নিয়ে ঘণ্টাখানেক ধরে বৈঠক হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই আর রাজ্য পুলিশকে নিয়ে সিট গঠনের নির্দেশ হাইকোর্টের

    চারটি মউয়ের মধ্যে একটি অনুযায়ী, আদানি গোষ্ঠী ১০০ এমডব্লু ডেটা সেন্টারে ৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে। গ্রিন এনার্জি ব্যবহার করে আদানি গোষ্ঠীর এই ফ্ল্যাগশিপ ফার্ম চলবে। অন্য তিনটি মউয়ে স্বাক্ষর করেছে আদানি গ্রিন এনার্জি, অম্বুজা সিমেন্ট এবং আদানি ডিফেন্স সিস্টেম। ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে বার্ষিক ৬ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতা সম্পন্ন সিমেন্ট গ্রাইন্ডিং ইউনিটও স্থাপন করা হবে। পরন্তু, আদানি গ্রিন দুটি পাম্প স্টোরেজ প্রজেক্টও তৈরি করবে। এজন্য তারা ব্যয় করবে ৫ হাজার কোটি টাকা। কাউন্টার ড্রোন ও মিসাইল ফেসিলিটি তৈরি করতে আদানি (Adani Group) ডিফেন্স এবং অ্যারোস্পেস লগ্নি করবে হাজার কোটি টাকা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Milind Deora: “সেই কংগ্রেস আর এই কংগ্রেসের ফারাক বিস্তর”, বললেন মিলিন্দ

    Milind Deora: “সেই কংগ্রেস আর এই কংগ্রেসের ফারাক বিস্তর”, বললেন মিলিন্দ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “এটা খুব দুঃখের যে আমার বাবা যে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ১৯৬৮ সালে এবং আমি যোগ দিয়েছিলাম ২০০৪ সালে তার মধ্যে পার্থক্য আছে। কংগ্রেস যদি গঠনমূলক ইস্যুর ওপর ফোকাস করত এবং তার সেই মেরিট এবং দক্ষতা থাকত, তাহলে শিন্ডে এবং আমি আজ এই জায়গায় থাকতাম না।” রবিবার দুপুরে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী শিবসেনার একনাথ শিন্ডের শিবিরে যোগ দিয়ে কথাগুলি বললেন মিলিন্দ দেওরা (Milind Deora)।

    কী বলছেন মিলিন্দ?

    তিনি বলেন, “তিরিশ বছর আগে যে দল আর্থিক সংস্কার করেছিল, সেই দলই ইদানিং গালাগালি দিচ্ছে শিল্পপতি, ব্যবসায়ীদের। ব্যবসায়ীদের দেশ-বিরোধী আখ্যা দিচ্ছে।” মিলিন্দ বলেন, “যে পার্টি এক সময় দেশকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে, সেই পরামর্শ দিত, সেই দলই এখন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বক্তব্য কিংবা কাজের বিরোধিতা করছে।” শিবির বদলের কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, তিনি এবার উন্নয়নের পথে হাঁটতে পারবেন।প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (Milind Deora) বলেন, “আপনারা প্রত্যেকেই জানেন আমার রাজনীতি বরাবরই প্রোগ্রেসিভ ও ধর্মনিরপেক্ষ। সবাই জানে মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে মানুষের জন্য কাজ করছেন। আমি তাঁর হাত শক্ত করেছি মাত্র।” প্রসঙ্গত, রবিবার কংগ্রেসের সঙ্গে ৫৫ বছরের সম্পর্কে ইতি টানেন মিলিন্দ দেওরা (Milind Deora)। এদিনই দুপুরে মিলিন্দ যোগ দিলেন শিবসেনার একনাথ শিন্ডে শিবিরে।

    এক্স হ্যান্ডেলে বার্তা মিলিন্দের 

    লোকসভা নির্বাচনের মুখে যাকে বিজেপি-বিরোধী শিবিরে জোর ধাক্কা বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। এক্স হ্যান্ডেলে মিলিন্দ লিখেছেন, “আমার রাজনৈতিক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়ের সমাপ্তি হল। কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ ত্যাগ করেছি আমি। এই দল আমার পরিবারের মতো ছিল। ৫৫ বছরের সম্পর্কের অবসান ঘটল। দলের সমস্ত নেতা, সহকর্মী ও কর্মকর্তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ থাকব।” এদিন দুপুরে মিলিন্দের হাতে শিবসেনার ঝান্ডা তুলে দিয়ে তাঁকে দলে স্বাগত জানান মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী।

    রাহুলের কাছের জন ছিলেন মিলিন্দ

    কংগ্রেস নেতা প্রয়াত মুরলী দেওয়ার ছেলে মিলিন্দ (Milind Deora)। মুরলী টানা ৪০ বছর সাংসদ ছিলেন দক্ষিণ মুম্বই লোকসভা কেন্দ্রের। মুরলী প্রয়াত হওয়ার পর ওই কেন্দ্রের সাংসদ হন মিলিন্দ। মনমোহন সিংহের আমলে মন্ত্রীও হয়েছিলেন। রাহুলের কাছের জন হিসেবেই পরিচিত তিনি। ২০১৪ ও ১৯ এর নির্বাচনে ‘হাত’ প্রতীকে প্রার্থী হয়ে হেরে যান শিবসেনার কাছে। এদিন সেই শিবসেনা শিবিরেই ভিড়লেন মিলিন্দ।

    মিলিন্দ শিবসেনার ছত্রছায়ায় চলে যাওয়ায় বিজেপিকে নিশানা করেছে কংগ্রেস। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, “দেওরা শুক্রবারই আমায় মেসেজ করেছিলেন। দক্ষিণ মুম্বই লোকসভা আসনটি নিয়ে উদ্বেগেও ছিলেন তিনি। কারণ ওই আসন থেকেই জিততেন মিলিন্দ ও তাঁর বাবা।” তিনি বলেন, “মুরলি দেওরা সমস্ত ওঠানামার মধ্যেও কংগ্রেস ছেড়ে যাননি।”

    আরও পড়ুুন: মুর্শিদাবাদে শাসক দলের নেতা সত্যেন খুনে ধৃত তৃণমূল নেতা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মিলিন্দের কংগ্রেস ছাড়ার নেপথ্যে নিখুঁত হিসেব দেখছেন রাজনীতিবিদরা। মিলিন্দ যে আসনটিতে এতদিন লড়েছিলেন, সেটি এবার দাবি করেছে ‘ইন্ডি’ জোটের উদ্ধবের শিবসেনা শিবির। তাই কংগ্রেসে থাকলে মিলিন্দ ওই আসনটি পেতেন না। অথচ এই আসনে তাঁর বাবা জয়ী হয়েছিলেন দীর্ঘদিন। মিলিন্দও জিতেছিলেন দুবার। সেই কারণেই কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন মিলিন্দ। অবশ্য মিলিন্দ (Milind Deora) বলেন, “কংগ্রেস যদি গঠনমূলক সিদ্ধান্ত নিত, তাহলে শিন্ডে এবং আমি আজ এই জায়গায় থাকতাম না।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • JP Nadda: “অবিচার দূর করার চেষ্টা না করে ন্যায়যাত্রা করছে”, কংগ্রেসকে কটাক্ষ নাড্ডার

    JP Nadda: “অবিচার দূর করার চেষ্টা না করে ন্যায়যাত্রা করছে”, কংগ্রেসকে কটাক্ষ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভারত জোড় যাত্রা’র পর এবার ‘ন্যায়যাত্রা’য় বেরিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাকে নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। রবিবার তিনি বলেন, “সমাজের অবিচার দূর করতে কোনও চেষ্টা যারা করে না, তারা এখন ন্যায়যাত্রার আয়োজন করছেন।” উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে নাড্ডা ইন্ডি জোটকেও একহাত নিয়েছেন।

    ইন্ডি জোটকে নিশানা 

    তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, তখন এই জোট দেশকে পিছন দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।” নাড্ডা এদিন যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির ‘ভিকসিট ভারত সংকল্প যাত্রা’ কর্মসূচিতে। লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশবাসীকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অবহিত করতেই পদ্ম-শিবিরের তরফে আয়োজন করা হয়েছে এই যাত্রার। মহিলাদের জন্য হাফ-ম্যারাথন দৌড়ের সূচনাও করেন নাড্ডা।

    আক্রমণ কংগ্রেসকে 

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “যেসব লোক ভারত ভাগ রুখতে কোনও চেষ্টা করেনি এত বছর দেশ শাসন করেও, তারাই পথে নেমেছিল ভারত জোড় যাত্রা করতে। সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অবিচারের প্রতিকার করার চেষ্টা যারা করেনি, তারাই এখন ন্যায় যাত্রায় বেরিয়েছে। সেই সব মানুষ যারা পরিবারের বাইরে কিছু ভাবতেই পারেনি, তারাই আজ দেশের কথা বলছে।”

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত ন্যায় যাত্রা হবে। মণিপুর থেকে মুম্বই পর্যন্ত যাত্রা করবেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। এই যাত্রায় ১৪টি রাজ্য কভার করা হবে। পূর্ব থেকে পশ্চিমের ৮৫টি জেলা কভার করা হবে ৬৭ দিনে। ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে যাত্রা। আগামী বছর মাঝ-এপ্রিলে হওয়ার কথা লোকসভা নির্বাচন। তার (JP Nadda) আগেই ভারত ন্যায় যাত্রা শেষ করে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, ভারত ন্যায় যাত্রায় কভার করা হবে ৬ হাজার ২০০ কিমি রাস্তা। দেশবাসীর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিচারের দাবিতে ওই যাত্রা হবে।

    আরও পড়ুুন: “আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ভারত, নতুন বছরেও যেন থাকে”, ‘মন কি বাতে’ বললেন মোদি

    বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে ইন্ডি জোট। এই জোটে রয়েছে কংগ্রেসও। এদিন তাকেও একহাত নিয়েছেন নাড্ডা। নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, “এক দিকে, আমাদের রয়েছেন মোদিজি। যিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আর অন্যদিকে, আমাদের আছে ইন্ডি জোট। যারা দেশকে উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে দিতে চাইছে। তারা দেশকে টেনে নীচে নামাতে চাইছে। আর আমরা মোদিজির নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Priyanka Gandhi: ইডির চার্জশিটে প্রিয়ঙ্কার নাম! আর্থিক তছরুপ মামলায় চাপে কংগ্রেস নেত্রী

    Priyanka Gandhi: ইডির চার্জশিটে প্রিয়ঙ্কার নাম! আর্থিক তছরুপ মামলায় চাপে কংগ্রেস নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক প্রতারণা মামলায় (money laundering case) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির দাখিল করা চার্জশিটে এবার উঠে এল কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর নাম। এনআরআই ব্যবসায়ী সিসি থাম্পির সঙ্গে যুক্ত আর্থিক তছরুপ মামলায় প্রিয়ঙ্কা ও তাঁর স্বামী রবার্টের যুক্ত থাকার দাবি করে ইডির তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

    চার্জশিটে ইডির দাবি

    ইডির দাবি, ২০০৬ সালে প্রিয়ঙ্কা এবং রবার্ট দিল্লির রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এইচএল পাহওয়ালের মাধ্যম হরিয়ানার ফরিদাবাদে পাঁচ একর কৃষি জমি কিনেছিলেন। এরপর সেই জমি ২০১০ সালে এনআরআই ব্যবসায়ী সিসি থাম্পিকে বিক্রি করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সূত্রের খবর, ওই চার্জশিটে প্রিয়ঙ্কাকে অভিযুক্ত হিসাবেই দেখানো হয়েছে। রবার্ট বঢরাও ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। রবার্টের নাম অবশ্য এই মামলায় আগেও জড়িয়েছে।

    অভিযুক্ত প্রিয়ঙ্কার স্বামী

    ইডির তরফে মঙ্গলবার ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয় ব্যবসায়ী সিসি ওরফে চেরুভাতুর চাকুট্টি থাম্পি এবং সুমিত চড্ডাকে বেনামে সম্পত্তি কেনাবেচার মামলায় ‘অভিযুক্ত’ করে একটি চার্জশিট পেশ হয়। প্রিয়ঙ্কা এবং রবার্ট হরিয়ানায় তাঁদের একটি জমি থাম্পিকে বিক্রি করেছিলেন বলেও চার্জশিটে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ইডি দাবি করেছিল, অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডকে ভিভিআইপি হেলিকপ্টারের বরাত এবং একটি বিদেশি সংস্থাকে তেল মন্ত্রকের বরাত পাইয়ে দেওয়ার ঘুষ হিসেবেই লন্ডনের সম্পত্তি পেয়েছিলেন রবার্ট।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে সকালেই বড়বাজার-মানিকতলা সহ ৯ জায়গায় ইডির তল্লাশি

    লন্ডনে রবার্ট বঢরার সম্পত্তি আছে বলে দাবি করেছে ইডি। মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত করার সময় সেই সম্পত্তির কথা জানা যায় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। তারা জানিয়েছে, থাম্পির সঙ্গে রবার্টের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল থাম্পিকে। প্রিয়ঙ্কার স্বামীর সঙ্গে তাঁর ১০ বছরের বেশি বন্ধুত্বের সম্পর্ক জিজ্ঞাসাবাদের সময় থাম্পি জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ইডির তদন্তকারীরা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP:  “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    BJP:  “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর খানেক আগে তিনি বেরিয়েছিলেন ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায়। এবার ফের নামছেন পথে। লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও একবার যাত্রা শুরু করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এই যাত্রার পোশাকি নাম ‘ন্যায় যাত্রা’। রাহুলের যাত্রা শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি, মণিপুর থেকে। ১৪টি রাজ্যের ৮৫টি জেলা পেরিয়ে যাত্রা শেষ হবে ২০ মার্চ। কংগ্রেসের প্রাক্তন এই সভাপতির ‘ন্যায় যাত্রা’কে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)।

    ‘আসল ন্যায় করছেন মোদি’

    দলের মুখপাত্র নলীন কোহলি বলেন, “আসল ন্যায় করছেন নরেন্দ্র মোদি। আর তা তিনি করছেন ২০১৪ সাল থেকে।” মোদির আমলে দেশজুড়ে উন্নয়নের বন্যা বয়ে যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, “এসবের কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদি মানুষের কথা ভাবেন। যা দিয়ে কারওর লক্ষ্যকে ভাল করা যায় বা ভাল নীতি কার্যকর করা যায়, তা-ই করছেন প্রধানমন্ত্রী।” এই প্রসঙ্গেই তিনি তুলে ধরেন বিনামূল্যে রেশন প্রকল্প, ভর্তুকিযুক্ত বাড়ি, মুদ্রা ঋণের বিষয়গুলি।

    ন্যায় বিচার দেবে কীভাবে? 

    রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে নিশানা করেছেন বিজেপির (BJP) আর এক নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “যারা ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের নামে দেশ ভাগ করছে, তারা কীভাবে ন্যায় বিচার দেবে? ১৯৮৪ সালে শিখ-বিরোধী হিংসায় যারা এখনও বিচার দিতে পারেনি, তারা কীভাবে ন্যায় বিচার দেবে? ওই হিংসার শেকড়ে পৌঁছতে সিট গঠন করেছে মোদি সরকার।” অনুরাগ বলেন, “ইন্ডি-জোট, যাতে কংগ্রেসও রয়েছে, তারা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ করতে নয়। সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে হেরে গিয়ে পরাজয় স্বীকার না করে তারা দুষছে ইভিএমকে! অন্য দিকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ধর্ম এবং সম্প্রদায়িক বিভাজনের নামে রাজনীতি করছে।”

    আরও পড়ুুন: বাংলার ৬০ শতাংশ মানুষ মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন, ইঙ্গিত সমীক্ষায়

    তিনি বলেন, “আজ দেশ খুব দ্রুত এগোচ্ছে। বৃহত্তম অর্থনীতির দেশেগুলির তালিকায় ভারতের স্থান পাঁচে। অচিরেই দেশ পরিণত হবে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে। উন্নয়নের এই ধারা থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে এরা। এরা হয়ত জানেন না, যে ১৪০ কোটি ভারতবাসী রয়েছেন মোদিজির পাশে।” অনুরাগ বলেন (BJP), “কংগ্রেস শ্রী রামকেও কাল্পনিক বলছে। তাদের সহযোগী দলগুলি সবসময় সনাতন ধর্মকে অসম্মান করার চেষ্টা করে চলেছে। উল্টো দিকে দেখুন, মোদি সরকারের একমাত্র পাখির চোখ – দেশের উন্নয়ন, দরিদ্রদের কল্যাণ। মোদির নেতৃত্বেই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

     

      দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

LinkedIn
Share