Tag: congress

congress

  • Panchayat Poll: সামশেরগঞ্জে কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক

    Panchayat Poll: সামশেরগঞ্জে কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোট (Panchayat Poll) ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই রাজ্য জুড়ে রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটছে। বার বার খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে মুর্শিদাবাদ জেলা। এই জেলায় গুলিবিদ্ধ হয়ে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কর্মী খুন হয়েছেন। এবার কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করার অভিযোগ উঠল খোদ তৃণমূল বিধায়ক আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে। রবিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জ থানার তিনপাকুরিয়া এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, গুলিবিদ্ধ কংগ্রেস কর্মীর নাম আনিস খান। ঘটনার প্রতিবাদে সামশেরগঞ্জের পুরাতন ডাকবাংলায় রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান কংগ্রেস কর্মী-সমর্থকরা।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে সামশেরগঞ্জ থানার তিনপাকুরিয়া এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Poll) দলীয় প্রার্থীদের সমর্থনে কংগ্রেসের সভা ছিল। সেই সভা শেষ হওয়ার পর পরই তৃণমূল বিধায়ক আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় বলে কংগ্রেস কর্মীদের অভিযোগ। প্রকাশ্যে সকলের সামনেই তৃণমূল বিধায়ক কংগ্রেস কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। প্রত্যক্ষদর্শী এক কংগ্রেস কর্মী বলেন, দলীয় সভা শেষ হওয়ার পর আমরা দাঁড়িয়েছিলাম। আচমকা তৃণমূল বিধায়ক এসে আমাদের উপর চড়াও হন। গণ্ডগোল বা বচসা কোনও কিছুই হয়নি। আচমকা তিনি দলীয় ওই কর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    কংগ্রেসের ব্লক সভাপতি ইমাম শেখ বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) জন্য তিনপাকুরিয়া এলাকায় আমাদের সভা ছিল। সেই সভার পরই তৃণমূল বিধায়ক এসে হামলা চালান। দলীয় কর্মীকে তিনি গুলি করেন। একজন বিধায়ক গুলি করতে পারেন, তা ভাবতেই পারছি না। দলীয় কর্মীরা সকলেই বিধায়ককে গুলি চালাতে দেখেছেন। বিষয়টি জেলা নেতৃত্বকে জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের কাছেও অভিযোগ জানাব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের ব্লকের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, বিধায়ক সহজ-সরল মানুষ। তিনি নিরাপত্তারক্ষী নেন না। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Poll) আগে বিধায়ক ও আমাদের দলকে কালিমালিপ্ত করতেই ওরা এসব মিথ্যা অভিযোগ করছে। এই ঘটনায় বিধায়ক কোনওভাবেই জড়িত নয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মজুত বোমায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ির দেওয়াল

    Murshidabad: মজুত বোমায় বিস্ফোরণ, উড়ে গেল কংগ্রেস কর্মীর বাড়ির দেওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের আগেই কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে থাকা মজুত বোমা বিস্ফোরণে উড়ে গেল বাড়ির প্রাচীর। এছাড়াও সকেট বোমা উদ্ধার হল ডোমকলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আর মাত্র ৬ দিন বাকি! ইতিমধ্যেই রাজ্যে ১৩ জন মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে। মুর্শিদাবাদে (Murshidabad) যেভাবে বোমা বিস্ফোরণ এবং সকেট বোমা উদ্ধার হয়েছে, তাতে জেলা জুড়ে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

    কোথায় বোমা বিস্ফোরণ হল (Murshidabad)?

    রবিবার দুপুর নাগাদ চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে সামশেরগঞ্জ (Murshidabad) থানার জয়কৃষ্ণপুর মাঠপাড়া গ্রামে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় সামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। যদিও ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই কংগ্রেস কর্মী জাহাঙ্গির শেখ। আপাতত বোমা বিস্ফোরণের স্থান এবং বাড়িটিকে দড়ি দিয়ে ঘিরে রেখেছে পুলিশ। ইতিমধ্যেই বাড়ির এক সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগেই কংগ্রেস কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় রীতিমতো শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে সামশেরগঞ্জের রাজনৈতিক মহলে। বোমা রাখার উদ্দেশ্য কী ছিল? কোন কাজে ব্যবহার করতে বোমা রাখা হয়েছিল? সেই বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    কোথায় সকেট বোমা উদ্ধার হল

    এবার ডোমকলে (Murshidabad) উদ্ধার তাজা সকেট বোমা। ডোমকলের ঘোড়ামারা পঞ্চায়েতের নিশ্চিন্তপুর এলাকার একটি ঝোপ থেকে উদ্ধার হয় বোমগুলি। শনিবার সকালে বোমার ব্যাগ ও বালতি দেখতে পায় স্থানীয়রা। তারপরেই খবর দেওয়া হয় ডোমকল থানার পুলিশকে। সেইমতো খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ১৫ পিস তাজা সকেট বোমা উদ্ধার হয়। বোমা উদ্ধারের পর ঘটনাস্থল ঘিরে খবর দেওয়া হয় বোম ডিসপোজাল স্কোয়াডকে। তারপরে বিকেলের দিকে তারা এসে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে। তবে নির্বাচনের এক সপ্তাহ আগে তাজা সকেট বোমা উদ্ধারে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

    কতটা সুরক্ষিত নির্বাচন! এই নিয়ে বার বার প্রশ্ন তুলছেন সমাজকর্মীরা। যেভাবে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) রানিনগর, ডোমকল, সালার, সামসেগঞ্জ, নিমতিতা, ভরতপুর, বেলডাঙ্গায় পরপর নির্বাচনের আগে বোমা উদ্ধার, বোমা বিস্ফোরণের কথা উঠে এসেছে, তাতে আগামী ৮ই জুলাই কেমন ভোট হয়, সেটাই এখন দেখার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election 2023: শাসকের সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট! ঝরল আরও একটি প্রাণ

    Panchayat Election 2023: শাসকের সন্ত্রাসে রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোট! ঝরল আরও একটি প্রাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসকের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ (Panchayat Election 2023) উঠেছে বারবার। ফের তার প্রমাণ মিলল একটি প্রাণের বিনিময়ে। রক্তাক্ত পঞ্চায়েত ভোটে ঝরল আরও একটি প্রাণ। চোপড়ার গুলিকাণ্ডে গুরুতর জখম মনসুর আলমের মৃত্যুতে এমনই অভিযোগ উঠেছে। টানা পাঁচ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করার পর মঙ্গলবার গভীর রাতে শিলিগুড়ির একটি নার্সিংহোমে মৃত্যু হয় মনসুরের।

    কী হয়েছিল?  

    গত ১৫ জুন উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের (Panchayat Election 2023) মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন সিপিএম ও কংগ্রেস জোটের প্রার্থীরা। মাঝপথে তাদের সশস্ত্র আক্রমণ করা হয়। রক্ত ঝরে। জখম হন একাধিক। তিনজন গুরুতর জখম হন। তাঁদের মধ্যে দু’ জন, মনসুর আলম ও নাইমূল হককে শিলিগুড়িতে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।

    কারা আক্রমণ করেছিল, কী বলছে মনসুরের পরিবার

    মনসুরের পিসেমশাই মজফফর আলম বুধবার শিলিগুড়িতে বলেন, আমরা ১৮ কিলোমিটার পথ মিছিল করে মনোনয়নপত্র (Panchayat Election 2023) জমা দিতে যাচ্ছিলাম। বেশ কিছুটা যাওয়ার পর হঠাৎই রাস্তা আটকে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা আমাদের উপর আক্রমণ চালায়। আমাদের লক্ষ্য করে গুলি চলে। আমাদের বেশ কয়েক জন জখম হয়। তার মধ্যে তিনজন গুরুতর জখম হয়েছিল। নাইমূল হক ও মনসুরকে শিলিগুড়িতে আনা হয়। মনসুরের মাথায় গুলি লেগেছিল। এজন্যই তার মৃত্যু হয়েছে। ১৫ জুন এই ঘটনার পর আমাদের তরফে পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু প্রকৃত অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়নি। যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে, তারা এই ঘটনার সঙ্গে আদৌ যুক্ত ছিল কিনা, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

    চিকিৎসকরা কী বলছেন

    শিলিগুড়ির যে বেসরকারি নার্সিংহোমে মনসুর মঙ্গলবার গভীর রাতে মারা যায়, সেখানকার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মনসুরের মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। যদিও মৃতের পরিবারের দাবি, মনসুরের মাথায় সেদিন গুলি (Panchayat (Election 2023) লেগেছে। পুলিশ বলছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলেই সবটা জানা যাবে। তার আগে তারা কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Medinipur: মোদির কাজে আকৃষ্ট হয়ে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান

    Purba Medinipur: মোদির কাজে আকৃষ্ট হয়ে তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন এলেই দল বদলের চিত্র দেখা যায়। যেমনটা দেখা গেল মহিষাদল (Purba Medinipur) ব্লকের নাটশাল-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের গাজিপুর এলাকার ১১৪ নম্বর বুথে। শাসক দল থেকে বিজেপিতে যোগদান করায় জেলায় দল আরও মজবুত বলে মনে করছে নেতৃত্ব।

    কীভাবে হল যোগদান?

    রবিবার রাতে এলাকার (Purba Medinipur) তৃণমূল, সিপিএম ও কংগ্রেস থেকে প্রায় ১৫০ জন বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলের পতাকা তুলে দেন মহিষাদল বিধানসভার বিজেপি কিষান মোর্চার জেলা সভাপতি বিশ্বনাথ ব্যানার্জি এবং বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস। মোদিজির কাজে খুশি হয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা যোগদান করায় লড়াইয়ে পথ অনেকটাই শক্ত হল বলে মনে করছে বিজেপি নেতৃত্ব। আগামী দিনে শাসক দলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাধারণ মানুষ আমাদের সাথে যুক্ত হচ্ছে, দাবি বিজেপির। বাংলার গ্রাম পঞ্চায়েতগুলিকে স্বচ্ছ  ও সুন্দর গড়ে তোলার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছি, জানান বিজেপির প্রাক্তন জেলা সভাপতি প্রদীপ দাস।

    তৃণমূল বিধায়কের বক্তব্য

    যদিও এই ভাবে বিজেপিতে যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল তৃণমূল। স্থানীয় (Purba Medinipur) তৃণমূলের বিধায়ক তিলককুমার চক্রবর্তী বলেন, বুথ, পঞ্চায়েত এবং ব্লক স্তরের নেতারা কেউ কেউ সামজিক সম্মান চান, সমাজের কাছে স্যার স্যার শুনতে চান! কিন্তু আমাদের দল নবজোয়ারের মাধ্যমে এলাকায় এলাকায় সমীক্ষা করে যোগ্য ব্যক্তিদেরই টিকিট দিয়েছে। এখানে যাঁরা টিকিট পাননি, তাঁরা হয়তো নির্দলে মনোনয়ন করেছেন। কিন্তু দল তাঁদের পাশে নেই। তাছাড়া ব্লকের অধিকাংশ আসনে প্রার্থী খুঁজে পায়নি বিজেপি। সুতরাং শাসক দলের কর্মীদের তৃণমূল থেকে বেরিয়ে বিজেপিতে যোগদানের ঘটনা অত্যন্ত হাস্যকর ছাড়া আর কিছুই না। তিনি আরও বলেন, সাধারণ মানুষ কাদের সঙ্গে আছেন, তা ১১ ই জুলাই পরিস্কার হয়ে যাবে। তৃণমূলের জয় নিশ্চিত। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর পর থমথমে চোপড়া, গ্রেফতার ১৭

    Panchayat Election: গুলিবিদ্ধ হয়ে ৩ জনের মৃত্যুর পর থমথমে চোপড়া, গ্রেফতার ১৭

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিনে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া এলাকা। বাম-কংগ্রেসের ওপর হামলার ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় ১৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের শুক্রবার ইসলামপুর মহকুমা আদালতে তোলা হয়। তার মধ্যে ৮ জনকে নিজেদের হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছে পুলিশ। তবে ধৃত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই দাবি করেছেন, তাঁরা নির্দোষ। কেউ আবার জানিয়েছেন, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন জমা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। তখন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে।

    শুক্রবার কেমন রয়েছে চোপড়া?

    বৃহস্পতিবার দুপুরে পায়ে হেঁটেই মনোনয়ন জমা দিতে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়া বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন কাঁঠালবাড়ি এলাকার সিপিএম এবং কংগ্রেসের প্রার্থী ও দলীয় নেতাকর্মীরা। সেই সময় তাঁদের ওপর তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সশস্ত্র হামলা চালায় বলে অভিযোগ। চলে এলোপাথাড়ি গুলি। ঘটনায় বেশ কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার মধ্যে একজনের অবস্থা সংকটজনক থাকায় তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়। পঞ্চায়েত নির্বাচনকে (Panchayat Election) কেন্দ্র করে মনোনয়ন পর্বে এমন ভয়াবহ সন্ত্রাসে কার্যত কেঁপে ওঠে গোটা রাজ্য। শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সরব হয় বিরোধীরা। গতকালের এই সন্ত্রাস ও গোলাগুলির ঘটনায় শুক্রবার সকাল থেকেই থমথমে চোপড়ার বিভিন্ন এলাকা। রাস্তাঘাটে লোকজন কম রয়েছে। বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। অন্যদিকে, শুক্রবার চোপড়া গাইসাল-২ পঞ্চায়েতের মালকাডাঙা এলাকায় নতুন করে গন্ডগোলের ঘটনা ঘটে। সাইকেলে ধাক্কাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেস এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাতে পাঁচজন জখম হয়েছেন।

    কী বললেন বিরোধী দলের নেতারা?

    বিরোধী দলের নেতাদের বক্তব্য, নির্বাচন কমিশনকে গ্রেফতারি দেখাতে পুলিশ আসল অপরাধীদের না ধরে নিরীহ মানুষকে ধরে নিয়ে গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেকেই পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election) মনোনয়ন পেশ করতে পারেনি। সিপিএম নেতা বিদ্যুৎ তরফদার বলেন, আমাদের কেউই বৃহস্পতিবার মনোনয়ন জমা করতে পারেনি। শাসক দলের সন্ত্রাসের ভয়ে প্রাণ বাঁচাতে দলের প্রার্থী, নেতা ও কর্মীরা চা বাগানে আত্মগোপন করেছিলেন। অনেকের এখনও খোঁজ নেই। একই অভিযোগ কংগ্রেস নেতা অশোক রায়ের। বিজেপি নেতা সুবোধ সরকার বলেন, পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ। পঞ্চায়েত বিরোধীশূন্য করতেই শাসক দলের দুষ্কৃতীরা বোমা-গুলি নিয়ে হামলা চালিয়েছে। এই এলাকায় বিরোধীদের ফের মনোনয়ন জমা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করুক প্রশাসন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: মমতার চোখে তিনি ছিলেন আদর্শ, সেই পঞ্চায়েত প্রধানই টিকিট পেলেন না!

    Panchayat Election: মমতার চোখে তিনি ছিলেন আদর্শ, সেই পঞ্চায়েত প্রধানই টিকিট পেলেন না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কাজের প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। তাঁকে রোল মডেল করার কথা বলা হয়েছিল। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি ২ ব্লকের বিজুর ১ নম্বরের এরকম একজন দক্ষ পঞ্চায়েতের প্রধান ঝর্ণা রায়কে টিকিট দিল না তৃণমূল। তবে, ঝর্ণাদেবীও এই অপমান সহ্য করার পাত্রী নন। তিনি তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তবে, তিনি একা দলত্যাগ করেছেন এমন নয়। এলাকার শতাধিক তৃণমূল কর্মী-সমর্থককে সঙ্গে নিয়ে তিনি দলবদল করেছেন। পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) দোড়গোড়ায় এই ঘটনা শাসক দলের কাছে বড় ধাক্কা বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    কী বললেন দলত্যাগী তৃণমূল প্রধান?

    শাসক দলের পঞ্চায়েত প্রধান পাঁচ বছর ক্ষমতায় থাকলে গাড়ি, বাড়ি হাঁকিয়ে ফেলে। চারচাকা নিয়ে ঘুরে বেড়ানো সাধারণ বিষয়। সেই শাসক দলের প্রধান হওয়ার পরও ঝর্ণা রায় পরিচারিকার কাজ করতেন। বিষয়টি জানতে পেরে দুর্গাপুরে প্রশাসনিক সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী ঝর্ণা রায়ের কাজের প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তাঁকে রোল মডেল করার কথাও তিনি বলেছিলেন। তাঁর আশা ছিল, এবার পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) দল তাঁকে ফের প্রার্থী করবে। কিন্তু, দলের টিকিট না পেয়ে ঝর্ণাদেবী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে থেকে আমি সার্টিফিকেট পেয়েছি। দলের সর্বোচ্চ নেত্রীর কাছে কাজের সম্মান পাওয়ার পরও দল আমাকে প্রার্থী করার জন্য যোগ্য মনে করল না। কার নিরিখে প্রার্থী ঠিক হল, তা বুঝতে পারলাম না। আমি সততার দাম পেলাম না। তাই আমি দলবদলের সিদ্ধান্ত নিলাম।

    কী বললেন কংগ্রেস নেতৃত্ব?

    প্রদেশ কংগ্রেসের সম্পাদক অভিজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূল থেকে প্রায় দু’হাজার পরিবার কংগ্রেসে যোগদান করেছে। আসলে তারা টাকা তুলে দলকে দিতে পারেনি, দলের কাছে তাদের সম্মান নেই। আগামী দিনে এরাই কংগ্রেসের হাতকে শক্তিশালী করবে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) আমরা ভাল ফল করব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয়ে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, দলে দু’টো দিক থাকে। একটা প্রশাসনিক আর অন্যদিক হল সাংগঠনিক। তাই দল হয়তো কিছু ভেবেছিল, ঝর্ণা রায়কে সাংগঠনিক কাজে লাগাবে। কিন্তু তিনি তড়িঘড়ি দল ছেড়ে অন্য দলে চলে গেলেন। আমরাও তাঁর কাজের প্রসংশা করি। মুখ্যমন্ত্রীও তাঁর কাজের প্রসংশা করেছিলেন।

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    Murshidabad: টিকিট না পেয়ে দলবদল, তৃণমূলের পার্টি অফিস রাতারাতি হয়ে গেল কংগ্রেসের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েই বদলে দেওয়া হল পার্টি অফিস। বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের কোহেতপুর গ্রামের তৃণমূলের পার্টি অফিস বদলে হয়ে গেল কংগ্রেসের পার্টি অফিস। অফিস থেকে খুলে ফেলা হল পতাকা এবং ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফ্লেক্স। মুছে দেওয়া হল তৃণমূল কংগ্রেসের দেওয়াল লিখন। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়।

    কী হয়েছে মুর্শিদাবাদে (Murshidabad)?

    বুধবার সকাল পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতাপগঞ্জ (Murshidabad) অঞ্চলের যুব সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হওয়ার পরই দেখা যায়, চূড়ান্ত তালিকায় জাহাঙ্গিরের বদলে অন্য একজনকে টিকিট দেওয়া হয়েছে। আর তাই কার্যত তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে তৃণমূল কংগ্রেস ছাড়ার ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ। বৃহস্পতিবার সকালেই কোহেতপুর গ্রামে থাকা তৃণমূল কংগ্রেসের পার্টি অফিস থেকে তৃণমূলের পতাকা সহ যাবতীয় ফ্লেক্স সরিয়ে দেওয়া হয়। ছিঁড়ে ফেলা হয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেস্টুনও। মুছে দেওয়া হয় দেওয়াল লিখন এবং তৃণমূলের প্রতীক। তৃণমূলের যাবতীয় পতাকা সরিয়ে কংগ্রেসের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধে দফায় দফায় স্লোগান তোলেন স্থানীয়রা। এদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিট না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার কংগ্রেসের হয়ে বিডিও অফিসে মনোনয়ন জমা করার কথা ঘোষণা করেন মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ।

    কী বললেন এলাকার মানুষ?

    যুব সভাপতি (Murshidabad) মোহম্মদ জাহাঙ্গির শেখ অনেক দিনের পুরনো তৃণমূল কর্মী। এলাকার এক তৃণমূল কর্মীর বক্তব্য, আমরা এই এলাকায় ২০০৯ থেকে তৃণমূল করি। এই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থী হিসাবে বাইরের ব্যক্তিদের টিকিট দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষকে এলাকার কাজ করার কেন সুযোগ দেওয়া হবে না? বহিরাগত কোনও লোককে আমরা নেতা বলে মানতে পারব না। জাহাঙ্গির শেখ বলেন, এই এলাকার তৃণমূল কর্মীরা আজ পদত্যাগ করে, তৃণমূল ছেড়ে কংগ্রেসে যোগদান করেছে। এলাকার সমস্ত তৃণমূল অফিসকে আজ থেকে কংগ্রেসের পার্টি অফিস বলে ঘোষণা করা হয়েছে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panchayat Election: মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Panchayat Election: মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস কর্মীকে গুলি করে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Election) মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিনই রক্ত ঝড়ল মুর্শিদাবাদে। খড়গ্রাম থানার নলদ্বীপ রতনপুর এলাকায় কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?

    ফুলচাঁদসাহেব ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা সকলেই কংগ্রেস করেন। তিনি এতদিন কেরলে ছিলেন। কয়েকদিন আগেই তিনি বাড়ি ফিরেছেন। শুক্রবার পঞ্চায়েত ভোটে (Panchayat Election)  কে প্রার্থী হবে তা নিয়ে এলাকায় গত কয়েকদিন ধরেই কংগ্রেস এবং তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে চর্চা চলছে। তবে, সেটা দুই দলের মধ্যে ছিল। কোনও বিবাদ হয়নি। জানা গিয়েছে, ফুলচাঁদসাহেব খাওয়াদাওয়া সেরে তিনি বাড়ির সামনে তাস খেলছিলেন। আচমকা দৃষ্কৃতীরা এসে প্রথমে লাঠি দিয়ে হামলা চালায়। পরে, তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি চালায় অভিযোগ। গুলির আঘাতে ফুলচাঁদসাহের গুরুতর জখম হন। গুরুতর জখম অবস্থায় ফুলচাঁদসাহেবকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিত্সকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। জখমদের হাসপাতালে চিকিত্সা চলছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    ফুলচাঁদসাহেবের মা বলেন, আমরা বরাবরই কংগ্রেস করি। আমার ছেলে কয়েকদিন আগেই বাড়ি ফিরেছে। এলাকায় ভোট (Panchayat Election) বলে তৃণমূলের ছেলেরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আমার ছেলে কংগ্রেস করেই বলেই তৃণমূলের লোকজন এসে গুলি চালিয়ে খুন করেছে।  ওদের হামলায় কয়েকজন জখম হয়েছে।

    কী বললেন প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি?

    প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Election) জয় হাসিল করতেই কংগ্রেস কর্মীকে খুন করল তৃণমূল। এই ভোটকে প্রহসনে পরিণত করতে চাইছে তৃণমূল। এই কংগ্রেস কর্মীর মৃত্যু আমরা ব্যর্থ হতে দেব না। মানুষ প্রতিবাদ, মানুষের প্রতিরোধ ইতিহাসে শেষ কথা বলে, আমরা তার প্রমাণ দিয়ে দেব।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা আশিস মার্জিত বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। গ্রাম্য বিবাদের জেরেই এই ঘটনা রয়েছে। তৃণমূল কোনওভাবেই জড়িত নয়। এই ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC: “কংগ্রেসের ভোটে আমি জয়ী হইনি”! তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন সাগরদিঘির বিধায়ক

    TMC: “কংগ্রেসের ভোটে আমি জয়ী হইনি”! তৃণমূলে যোগ দিয়ে বললেন সাগরদিঘির বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরদিঘি উপ নির্বাচনে তৃণমূলকে (TMC) ধরাশায়ী করে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জয়ী হয়েছিলেন। বামফ্রন্টের সঙ্গে জোট গড়েই এই বাজিমাত হয়েছিল বলে রাজনৈতিক মহলের মত। সাগরদিঘিকে রোল মডেল করেই কংগ্রেস সামনের পঞ্চায়েত, লোকসভা ভোটে হারানো জমি ফিরে পাওয়ার মরিয়া চেষ্টা করছিল। উপ নির্বাচনের ফল ঘোষণার তিনমাস কাটতে না কাটতেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে সোমবার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিলেন সাগরদিঘির বিধায়ক কংগ্রেসের বাইরন বিশ্বাস। পশ্চিম মেদিনীপুরে অভিষেকের নবজোয়ারের দলীয় ক্যাম্পে হাজির হয়ে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। যা নিয়ে রাজ্যজুড়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কী বললেন বিধায়ক বাইরন বিশ্বাস?

    মন্ত্রী সুব্রত সাহার মৃত্যুর পর চলতি বছরের ২৭ ফেব্রুয়ারি সাগরদিঘিতে উপনির্বাচন হয়। আর সেই উপনির্বাচনে তৃণমূলের (TMC) প্রার্থী ছিলেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন বাইরন বিশ্বাস এবং বিজেপির প্রার্থী ছিলেন দিলীপ সাহা। ২ মার্চ ফল ঘোষণা হয়। সেই উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস জয়ী হন। এদিন ঘাটালে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্যাম্প অফিসে গিয়ে তিনি তৃণমূলে যোগদান করেন। বাইরন বলেন, “আরও বেশি করে উন্নয়ন করতেই আমি তৃণমূলে (TMC) যোগ দিয়েছি। সাগরদিঘির মানুষের কথা ভেবেই আমি দল বদলের এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি বরাবরই তৃণমূলে ছিলাম। টিকিট না পেয়ে কংগ্রেসে গিয়েছি। আর তৃণমূলের লোকজন ভোট দিয়েছে বলেই এত বিপুল ভোটে আমি জয়ী হয়েছি।” তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, সাগরদিঘি তথা রাজ্যজুড়েই তাঁকে নিয়ে এই চর্চা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আমি বিশ্বাসঘাতকতা করে থাকলে সেটা সময় বলবে। আমার বিশ্বাস, পরে আবার ভোট হলে আমি বেশি ভোটে জিতব। আর কংগ্রেসে থেকে এলাকার মানুষের জন্য কাজ করতে পারছিলাম না। আমি তো কংগ্রেসের ভোটে জয়ী হইনি। আগে মানুষের জন্য কাজ করেছি। তাঁদের ভোটে আমি জয়ী হয়েছি।”

    কী বললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি?

    প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, “কংগ্রেস দল বাইরন বিশ্বাসকে চিনিয়েছে। আগে তৃণমূল (TMC) তোমার কাছে যায়নি। তোমার বাজারদর তৈরি করার পর তোমাকে নিয়ে বেচাকেনা হয়েছে। তাই, তুমি কংগ্রেস ছেড়ে চলে গিয়েছ। তাতে আমাদের আপত্তি নেই। তবে, কংগ্রেসকে গালিগালাজ কোরো না। আর বাইরনের মতো এই জেলা তথা রাজ্যের অনেক বিধায়ক তৃণমূলে গিয়েছে, তাতে কংগ্রেস শেষ হয়ে যায়নি। তৃণমূলের নগ্ন চেহারা আরও প্রকট হয়ে গেল। আর এতে আমাদের আরও বেশি জেদ চেপে গেল। কংগ্রেসের অবস্থা এখন অনেক ভালো। আমাদের এখন আর কেউ থামাতে পারবে না।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Karnataka Election 2023: কর্নাটকে হেরেও অক্ষত বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক, মমতা বলে দিলেন ‘শেষের শুরু’?

    Karnataka Election 2023: কর্নাটকে হেরেও অক্ষত বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক, মমতা বলে দিলেন ‘শেষের শুরু’?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনের (Karnataka Election 2023) ফলাফলে কংগ্রেস যত না উল্লসিত, তার থেকেও বেশি লম্ফ-ঝম্ফ করতে দেখা যাচ্ছে বিরোধীদের। এ রাজ্যে অন্তত ছবিটা তেমনই। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো এই একটি রাজ্যের ফলাফলের ভিত্তিতে বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দলের ‘শেষের শুরু’ দেখতে শুরু করে দিয়েছেন। যা তিনি তৃণমূল সর্বভারতীয় দলের তকমা হারানোতেও দেখতে পাননি, দেখতে পাননি ত্রিপুরায় দলের শোচনীয় ফলাফলেও! তিনি একইসঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণীও করে দিয়েছেন, সামনে ছত্তিসগড়, রাজস্থান ও মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার নির্বাচনেও বিজেপির নাকি এমনই হাল হবে। কেমন হাল? আসুন একবার চোখ বোলানো যাক, কর্নাটকে বিজেপির ফলাফল এবার ঠিক কেমন হয়েছে। মমতার আশামতো কতখানি তারা ‘নিশ্চিহ্ন’ হয়ে গেছে!

    কর্নাটকে হেরেও অক্ষত বিজেপির ভোটব্যাঙ্ক

    নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, কর্নাটকে ২০২৩ বিধানসভা নির্বাচনে (Karnataka Election 2023) বিবাদমান মূল তিনটি দলের প্রাপ্ত আসন সংখ্যা হল: কংগ্রেস ১৩৫, বিজেপি ৬৬ এবং জনতা দল সেকুলার ১৯। ভোটপ্রাপ্তির হার শতাংশের হিসাবে হল এইরকম: কংগ্রেস ৪২.৮৮ শতাংশ, বিজেপি ৩৬ শতাংশ এবং জনতা দল সেকুলার ১৩.২৯ শতাংশ। এবার দেখা যাক, এর আগের বিধানসভা নির্বাচনে এই তিন মূল প্রতিপক্ষ কতগুলি করে আসন পেয়েছিল এবং ভোটপ্রাপ্তির হারই বা কেমন ছিল। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আসন সংখ্যা ছিল এইরকম: বিজেপি ১০৪, কংগ্রেস ৮০ এবং জনতা দল সেকুলার ৩৭। ভোটপ্রাপ্তির হার এইরকম: বিজেপি ৩৬ শতাংশ, কংগ্রেস ৩৮ শতাংশ এবং জনতা দল সেকুলার ১৮ শতাংশ। ভোট বিশেষজ্ঞরা দুটি বিধানসভা নির্বাচনের ওই অঙ্কের হিসাবের তুলনামূলক বিশ্লেষণ করে বলছেন, বিজেপির আসন সংখ্যা মারাত্মকভাবে কমেছে, একথা ঠিক। কিন্তু এটাও ঠিক, তাদের ভোটপ্রাপ্তির হার এতটুকু কমেনি। ২০১৮ সালে যা ছিল ৩৬ শতাংশ, ২০২৩ সালে এসেও তা সেই ৩৬ শতাংশই রয়েছে। তাহলে প্রশ্ন উঠতেই পারে, কংগ্রেস যে বিপুলভাবে এবং রেকর্ড সৃষ্টি করে জিতল, তা কীভাবে সম্ভব হল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাও ওই ছোট্ট অঙ্কের হিসাব থেকেই পরিষ্কার। ২০১৮ সালের তুলনায় ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস যে পাঁচ শতাংশ ভোট বেশি পেয়েছে, তার পুরোটাই এসেছে জনতা দল সেকুলারের বদান্যতায়। ওই দলের ভোটপ্রাপ্তির হার ১৮ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ১৩ শতাংশ। পাশাপাশি কংগ্রেসের ভোটপ্রাপ্তির হার ৩৮ শতাংশ থেকে বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪৩ শতাংশ। 
    লিঙ্গায়েত, ভোক্কালিগার সঙ্গে সংখ্যালঘু এবং দলিত ‘অহিন্দা’ সম্প্রদায়ের লড়াই, হিজাব নিষিদ্ধকরণ এবং সর্বোপরি বজরংবলী ইসু নাকি বিজেপিকে এই রাজ্যে ধরাশায়ী করে দিয়েছে। অনেকে আবার বলছেন, রাহুল গান্ধীর পদযাত্রাই গেরুয়া শিবিরের পায়ের তলার মাটি আলগা করে দিয়েছে। কারণ যাই হোক, কংগ্রেস যে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ওই রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরেছে, এ নিয়ে কোনও সংশয়ের অবকাশ নেই। কিন্তু তাই বলে বিজেপি শেষ হয়ে গেল, পরিসংখ্যান কিন্তু সে কথা বলছে না। সংখ্যাতত্ত্বের হিসাবে পরিষ্কার, বিজেপির ভোটব্যাঙ্কে এতটুকুও চিড় ধরেনি। ফলে ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন নিয়ে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো যাঁরা বলে বেড়াচ্ছেন বিজেপির শেষের দিন শুরু, তারা কিন্তু তা করছেন বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে নয়, বরং পুরোপুরি অবিবেচকের মতোই, এমনটাই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    ত্রিপুরায় খাতাই খুলতে পারেনি তৃণমূল!

    এবার দেখে নেওয়া যেতে পারে, যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির এই ফলাফল (Karnataka Election 2023) নিয়ে উল্লসিত, তাঁর দল তৃণমূল ত্রিপুরায় কী ফল করেছে। তৃণমূল চেয়েছিল উত্তর-পূর্ব ভারতে সম্প্রসারণ ঘটাতে। তার জন্য দলের তাবড় নেতারা ত্রিপুরায় গিয়ে পড়ে থেকেছেন, দলের হয়ে লাগাতার প্রচার করেছেন। কিন্তু সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনের ফলে দেখা গেল, সব চেষ্টাই জলে গিয়েছে। সেখানে তৃণমূলের প্রাপ্তি শূন্য। একমাত্র মুখ রক্ষা করেছে মেঘালয়। অর্থাৎ সাম্প্রতিক ভোটের ফলে পরিষ্কার, তৃণমূল এখনও কুয়োর ব্যাঙ হয়েই রয়ে গিয়েছে, সাগরে ঘুরে বেড়ানোর স্বাদ তার মেটেনি। কর্নাটকের কথাই ধরা যাক। সেখানে কি তৃণমূল কংগ্রেসের একজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যও আছেন? প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে তাঁদের এত উল্লাস কীজন্য? আর সিপিএম? কর্নাটকে এই দলটি তো নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়েছে। তারপরেও কংগ্রেসের জয়ে তারা বাংলায় বিজয় মিছিল বের করে দিয়েছে। এসব দেখে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা আড়ালে হাসাহাসিই করছেন।

    বেঙ্গালুরু শহরাঞ্চলে এখনও দাপট বিজেপিরই

    ভোটের (Karnataka Election 2023) ফলাফল পর্যালোচনা করে আরও একটি জিনিস পরিষ্কাের, কর্নাটকে শহরাঞ্চলের মানুষ এখনও বিজেপির প্রতি তাদের আস্থা বজায় রেখেছে। আর সেই কারণেই খোদ বেঙ্গালুরু শহরে বিজেপির ভোট বেড়েছে প্রায় ৬ শতাংশ। সেখানে জনতা দল সেকুলারের ভোট কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। যদিও উল্টো ঘটনাই ঘটেছে দক্ষিণ কর্নাটকে। সেখানেও জনতা দল সেকুলারের ভোট কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। কিন্তু তার পুরোটাই গিয়েছে কংগ্রেসের ঝুলিতে। আরও লক্ষণীয় বিষয় হল, যে উপকূল এলাকায় বিজেপির লড়াই ছিল মূলত হিজাব এবং হালাল ইসুতে, সেখানে তাদের ভোটব্যাঙ্ক কার্যত অক্ষুন্ন রয়েছে এবং ভোটপ্রাপ্তির হার প্রায় ৪৭ শতাংশ।

    বরাবরই পরিবর্তনের পক্ষে কর্নাটক

    দক্ষিণের এই রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গকে অনেকেই এক আসনে বসাচ্ছেন। ইতিহাস কিন্তু সে কথা বলছে না। এই রাজ্য আগাগোড়া পরিবর্তনপন্থী। মনে রাখতে হবে, দক্ষিণের এই রাজ্য আসলে কংগ্রেসেরই মূল ঘাঁটি। ১৯৮৩ সালে প্রথম জনতা পার্টি সেই একাধিপত্যে আঘাত হেনেছিল এবং কংগ্রেসকে সরিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসেছিলেন রামকৃষ্ণ হেগড়ে। ২০০৪ এবং ২০১৮ বাদ দিলে এই রাজ্যে সরকার বদল হয়েছে বারবার। বিজেপির পথ চলা শুরু হয় ১৯৯১ সালে, মাত্র ৪ টি আসন দিয়ে। ১৯৯৪ সালে এটাই এক ধাক্কায় দশগুণ বেড়ে হয় ৪০। এরপর আর বিজেপিকে ফিরে তাকাতে হয়নি। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা ভোটের এই ফল দেখে বলছেন, ভারতের বৃহৎ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যে এখনও অক্ষুন্ন রয়েছে, তা এ থেকেই পরিষ্কার। রিগিং, ছাপ্পা, বুথ দখল এসব কিছুই শোনা যায়নি এই রাজ্যের ভোটে।
    ধরা যাক, ভোট-পরবর্তী হিংসার কথাও। ২০২১ সালের ২ মে ফলাফলে যখনই পরিষ্কার হয়ে গেল বাংলায় ফের ক্ষমতায় আসছে তৃণমূল, তখন বিরোধী বিশেষত বিজেপি সমর্থকদের ওপর যে আক্রমণ নেমে এসেছিল, তার ভুরি ভুরি উদাহরণ এখনও আমাদের চোখের সামনে। এখনো বহু মানুষ ঘরছাড়া, নিজের সামান্য দোকানটুকুও খুলতে পারছেন না। কিন্তু দক্ষিণের ওই রাজ্য বিজেপির মতো একটি সর্বভারতীয় এবং বৃহৎ দলের কাছে যে বিপর্যয় (Karnataka Election 2023) ডেকে আনল, তার কোনও বিরূপ প্রভাব সমাজে কিন্তু পড়েনি। রাজ্য চলেছে তার স্বাভাবিক ছন্দে। এই পরাজয়কে মেনে নিয়েই এগিয়ে চলেছে বিজেপি। নেই কোনও আক্রোশ, নেই কোনও হামলাবাজির ঘটনা। 

    কী বলেছিলেন বিজেপির মুখপাত্র?

    বিজেপির মতো একটি সর্বভারতীয় দল এই ফলকে যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবেই দেখছে, তা দলের মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্যের কথাতেও পরিষ্কার। কর্নাটকের পরাজয় (Karnataka Election 2023) নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “একটা সর্বভারতীয় দলের কাছে এটা টি-টোয়েন্টি ম্যাচ ছিল। তাতে হেরেছে। আর লোকসভা নির্বাচন একদিনের ম্যাচ নয়, পাঁচদিনের টেস্ট। তৃণমূল দল তো রাজনীতিকে খেলা মনে করে। ওরা খেলুক। ২০২৪ পর্যন্ত দলটা থাকবে কিনা, সেটাই সন্দেহ।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share