Tag: congress

congress

  • JP Nadda: “অবিচার দূর করার চেষ্টা না করে ন্যায়যাত্রা করছে”, কংগ্রেসকে কটাক্ষ নাড্ডার

    JP Nadda: “অবিচার দূর করার চেষ্টা না করে ন্যায়যাত্রা করছে”, কংগ্রেসকে কটাক্ষ নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘ভারত জোড় যাত্রা’র পর এবার ‘ন্যায়যাত্রা’য় বেরিয়েছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তাকে নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা (JP Nadda)। রবিবার তিনি বলেন, “সমাজের অবিচার দূর করতে কোনও চেষ্টা যারা করে না, তারা এখন ন্যায়যাত্রার আয়োজন করছেন।” উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ে আয়োজিত এক কর্মসূচিতে নাড্ডা ইন্ডি জোটকেও একহাত নিয়েছেন।

    ইন্ডি জোটকে নিশানা 

    তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যখন দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন, তখন এই জোট দেশকে পিছন দিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে।” নাড্ডা এদিন যোগ দিয়েছিলেন বিজেপির ‘ভিকসিট ভারত সংকল্প যাত্রা’ কর্মসূচিতে। লোকসভা নির্বাচনের আগে দেশবাসীকে কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পগুলি সম্পর্কে অবহিত করতেই পদ্ম-শিবিরের তরফে আয়োজন করা হয়েছে এই যাত্রার। মহিলাদের জন্য হাফ-ম্যারাথন দৌড়ের সূচনাও করেন নাড্ডা।

    আক্রমণ কংগ্রেসকে 

    বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, “যেসব লোক ভারত ভাগ রুখতে কোনও চেষ্টা করেনি এত বছর দেশ শাসন করেও, তারাই পথে নেমেছিল ভারত জোড় যাত্রা করতে। সমাজে ঘটে যাওয়া নানা অবিচারের প্রতিকার করার চেষ্টা যারা করেনি, তারাই এখন ন্যায় যাত্রায় বেরিয়েছে। সেই সব মানুষ যারা পরিবারের বাইরে কিছু ভাবতেই পারেনি, তারাই আজ দেশের কথা বলছে।”

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই কংগ্রেসের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল দলের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ভারত ন্যায় যাত্রা হবে। মণিপুর থেকে মুম্বই পর্যন্ত যাত্রা করবেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। এই যাত্রায় ১৪টি রাজ্য কভার করা হবে। পূর্ব থেকে পশ্চিমের ৮৫টি জেলা কভার করা হবে ৬৭ দিনে। ১৪ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে যাত্রা। আগামী বছর মাঝ-এপ্রিলে হওয়ার কথা লোকসভা নির্বাচন। তার (JP Nadda) আগেই ভারত ন্যায় যাত্রা শেষ করে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, ভারত ন্যায় যাত্রায় কভার করা হবে ৬ হাজার ২০০ কিমি রাস্তা। দেশবাসীর সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক বিচারের দাবিতে ওই যাত্রা হবে।

    আরও পড়ুুন: “আত্মবিশ্বাসে ভরপুর ভারত, নতুন বছরেও যেন থাকে”, ‘মন কি বাতে’ বললেন মোদি

    বিজেপি-বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে ইন্ডি জোট। এই জোটে রয়েছে কংগ্রেসও। এদিন তাকেও একহাত নিয়েছেন নাড্ডা। নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, “এক দিকে, আমাদের রয়েছেন মোদিজি। যিনি দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। আর অন্যদিকে, আমাদের আছে ইন্ডি জোট। যারা দেশকে উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে দিতে চাইছে। তারা দেশকে টেনে নীচে নামাতে চাইছে। আর আমরা মোদিজির নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Priyanka Gandhi: ইডির চার্জশিটে প্রিয়ঙ্কার নাম! আর্থিক তছরুপ মামলায় চাপে কংগ্রেস নেত্রী

    Priyanka Gandhi: ইডির চার্জশিটে প্রিয়ঙ্কার নাম! আর্থিক তছরুপ মামলায় চাপে কংগ্রেস নেত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর্থিক প্রতারণা মামলায় (money laundering case) এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট বা ইডির দাখিল করা চার্জশিটে এবার উঠে এল কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর নাম। এনআরআই ব্যবসায়ী সিসি থাম্পির সঙ্গে যুক্ত আর্থিক তছরুপ মামলায় প্রিয়ঙ্কা ও তাঁর স্বামী রবার্টের যুক্ত থাকার দাবি করে ইডির তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।

    চার্জশিটে ইডির দাবি

    ইডির দাবি, ২০০৬ সালে প্রিয়ঙ্কা এবং রবার্ট দিল্লির রিয়েল এস্টেট এজেন্ট এইচএল পাহওয়ালের মাধ্যম হরিয়ানার ফরিদাবাদে পাঁচ একর কৃষি জমি কিনেছিলেন। এরপর সেই জমি ২০১০ সালে এনআরআই ব্যবসায়ী সিসি থাম্পিকে বিক্রি করার ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা নিয়েছিলেন প্রিয়ঙ্কা গান্ধী। সূত্রের খবর, ওই চার্জশিটে প্রিয়ঙ্কাকে অভিযুক্ত হিসাবেই দেখানো হয়েছে। রবার্ট বঢরাও ওই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। রবার্টের নাম অবশ্য এই মামলায় আগেও জড়িয়েছে।

    অভিযুক্ত প্রিয়ঙ্কার স্বামী

    ইডির তরফে মঙ্গলবার ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয় ব্যবসায়ী সিসি ওরফে চেরুভাতুর চাকুট্টি থাম্পি এবং সুমিত চড্ডাকে বেনামে সম্পত্তি কেনাবেচার মামলায় ‘অভিযুক্ত’ করে একটি চার্জশিট পেশ হয়। প্রিয়ঙ্কা এবং রবার্ট হরিয়ানায় তাঁদের একটি জমি থাম্পিকে বিক্রি করেছিলেন বলেও চার্জশিটে জানানো হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ইডি দাবি করেছিল, অগুস্তা ওয়েস্টল্যান্ডকে ভিভিআইপি হেলিকপ্টারের বরাত এবং একটি বিদেশি সংস্থাকে তেল মন্ত্রকের বরাত পাইয়ে দেওয়ার ঘুষ হিসেবেই লন্ডনের সম্পত্তি পেয়েছিলেন রবার্ট।

    আরও পড়ুন: নিয়োগ ‘দুর্নীতি’র তদন্তে সকালেই বড়বাজার-মানিকতলা সহ ৯ জায়গায় ইডির তল্লাশি

    লন্ডনে রবার্ট বঢরার সম্পত্তি আছে বলে দাবি করেছে ইডি। মানি লন্ডারিং মামলার তদন্ত করার সময় সেই সম্পত্তির কথা জানা যায় বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থাটি। তারা জানিয়েছে, থাম্পির সঙ্গে রবার্টের সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে মানি লন্ডারিং মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছিল থাম্পিকে। প্রিয়ঙ্কার স্বামীর সঙ্গে তাঁর ১০ বছরের বেশি বন্ধুত্বের সম্পর্ক জিজ্ঞাসাবাদের সময় থাম্পি জানিয়েছিলেন বলে দাবি করেছেন ইডির তদন্তকারীরা। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • BJP:  “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    BJP:  “ওরা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ হতে নয়”, রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে খোঁচা বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছর খানেক আগে তিনি বেরিয়েছিলেন ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায়। এবার ফের নামছেন পথে। লোকসভা নির্বাচনের আগে আবারও একবার যাত্রা শুরু করছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এই যাত্রার পোশাকি নাম ‘ন্যায় যাত্রা’। রাহুলের যাত্রা শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি, মণিপুর থেকে। ১৪টি রাজ্যের ৮৫টি জেলা পেরিয়ে যাত্রা শেষ হবে ২০ মার্চ। কংগ্রেসের প্রাক্তন এই সভাপতির ‘ন্যায় যাত্রা’কে কটাক্ষ করেছে বিজেপি (BJP)।

    ‘আসল ন্যায় করছেন মোদি’

    দলের মুখপাত্র নলীন কোহলি বলেন, “আসল ন্যায় করছেন নরেন্দ্র মোদি। আর তা তিনি করছেন ২০১৪ সাল থেকে।” মোদির আমলে দেশজুড়ে উন্নয়নের বন্যা বয়ে যাচ্ছে দাবি করে তিনি বলেন, “এসবের কারণ প্রধানমন্ত্রী মোদি মানুষের কথা ভাবেন। যা দিয়ে কারওর লক্ষ্যকে ভাল করা যায় বা ভাল নীতি কার্যকর করা যায়, তা-ই করছেন প্রধানমন্ত্রী।” এই প্রসঙ্গেই তিনি তুলে ধরেন বিনামূল্যে রেশন প্রকল্প, ভর্তুকিযুক্ত বাড়ি, মুদ্রা ঋণের বিষয়গুলি।

    ন্যায় বিচার দেবে কীভাবে? 

    রাহুলের ‘ন্যায় যাত্রা’কে নিশানা করেছেন বিজেপির (BJP) আর এক নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও। সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, “যারা ধর্ম এবং সম্প্রদায়ের নামে দেশ ভাগ করছে, তারা কীভাবে ন্যায় বিচার দেবে? ১৯৮৪ সালে শিখ-বিরোধী হিংসায় যারা এখনও বিচার দিতে পারেনি, তারা কীভাবে ন্যায় বিচার দেবে? ওই হিংসার শেকড়ে পৌঁছতে সিট গঠন করেছে মোদি সরকার।” অনুরাগ বলেন, “ইন্ডি-জোট, যাতে কংগ্রেসও রয়েছে, তারা ভাগ করতে জানে, ঐক্যবদ্ধ করতে নয়। সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনগুলিতে হেরে গিয়ে পরাজয় স্বীকার না করে তারা দুষছে ইভিএমকে! অন্য দিকে দৃষ্টি ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। ধর্ম এবং সম্প্রদায়িক বিভাজনের নামে রাজনীতি করছে।”

    আরও পড়ুুন: বাংলার ৬০ শতাংশ মানুষ মোদিকেই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চাইছেন, ইঙ্গিত সমীক্ষায়

    তিনি বলেন, “আজ দেশ খুব দ্রুত এগোচ্ছে। বৃহত্তম অর্থনীতির দেশেগুলির তালিকায় ভারতের স্থান পাঁচে। অচিরেই দেশ পরিণত হবে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে। উন্নয়নের এই ধারা থেকে মানুষের নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে এরা। এরা হয়ত জানেন না, যে ১৪০ কোটি ভারতবাসী রয়েছেন মোদিজির পাশে।” অনুরাগ বলেন (BJP), “কংগ্রেস শ্রী রামকেও কাল্পনিক বলছে। তাদের সহযোগী দলগুলি সবসময় সনাতন ধর্মকে অসম্মান করার চেষ্টা করে চলেছে। উল্টো দিকে দেখুন, মোদি সরকারের একমাত্র পাখির চোখ – দেশের উন্নয়ন, দরিদ্রদের কল্যাণ। মোদির নেতৃত্বেই দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

     

      দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

  • Karnataka Hijab Row: “মুসলিম তোষণের জন্যই প্রত্যাহার হিজাব নিষেধাজ্ঞা”, সিদ্দারামাইয়াকে তোপ বিজেপির

    Karnataka Hijab Row: “মুসলিম তোষণের জন্যই প্রত্যাহার হিজাব নিষেধাজ্ঞা”, সিদ্দারামাইয়াকে তোপ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে ফের মুসলিম তোষণের পথেই হাঁটল কংগ্রেস! কর্নাটকে তারা ফের ফিরিয়ে আনল হিজাব প্রথা (Karnataka Hijab Row)। ঘটনায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ কর্নাটক বিজেপি। তাদের দাবি, নিষিদ্ধ সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’র গুন্ডাদের তুষ্ট করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কংগ্রেস সরকার।

    কংগ্রেসের ঘোষণা

    বর্তমানে কর্নাটকে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী পদে আসীন সিদ্দারামাইয়া। তাঁর নির্দেশে হিজাবের ওপর তুলে নেওয়া হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। এর আগে কর্নাটকে ছিল বিজেপি সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা (Karnataka Hijab Row) জারি করেছিল পদ্ম-সরকার। শুক্রবার কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “কে, কোথায় কী পোশাক পরবেন, সেটা তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ।” এদিন মাইসুরুতে এক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি বলেন, “আর কোনও বাধা রইল না। এবার হিজাব পরে যে কোনও জায়গায় যাওয়া যেতে পারে।”

    হিজাব বিতর্ক

    ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি কর্নাটকের উদুপিতে এক প্রি-ইউনিভার্সিটিতে হিজাব পরা কয়েকজনকে ক্লাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। কলেজ উন্নয়ন সমিতির সভাপতি রঘুপতি ভট্ট সাফ জানিয়ে দেন, হিজাব পরে ক্লাসে ঢোকা যাবে না। তার জেরে ব্যাপক শোরগোল রাজ্যে। হিজাবের পাল্টা হিসেবে গেরুয়া উত্তরীয় পরে আন্দোলনে নামে হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন। তার জেরে ওই বছরেরই ২২ জানুয়ারি কর্নাটক সরকারের শিক্ষা দফতর একটি কমিটি গঠন করে। ঘোষণা করা হয়, কমিটি নির্দিষ্ট সুপারিশ করার আগে পর্যন্ত ছাত্রীরা কেবল ইউনিফর্ম পরেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসতে পারবেন। হিজাব কিংবা গেরুয়া উত্তরীয় কিছুই পরা যাবে না।

    আরও পড়ুুন: বাইক থেকে নামিয়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মারলেন দলেরই কর্মীরা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    সিদ্দারামাইয়ার সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেছে বিজেপি। দলের তরফে বলা হয়েছে, “সিদ্দারামাইয়ার গ্যারান্টি স্কিমে সর্বধর্মের একটি সুন্দর বাগানে বিষবৃক্ষের বীজ বুনে দেওয়া হল। স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়েদের মধ্যে সমতা আনতে পোশাক বিধি চালু করা হয়েছিল।” পদ্ম শিবিরের অভিযোগ, পোশাকবিধির মাধ্যমে স্কুলের সুকুমারমতি পড়ুয়াদের মধ্যে বিদ্বেষ সৃষ্টি করতে চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, গত অক্টোবর মাসে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি হেমন্ত গুপ্ত ও বিচারপতি সুধাংশু ধুলিয়ার বেঞ্চ খণ্ডিত রায় দেওয়ায় হিজাব সংক্রান্ত (Karnataka Hijab Row) মামলাটি এখন শীর্ষ আদালতেরই উচ্চতর বেঞ্চে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Congress: দলীয় সাংসদের বাড়িতে নোটের পাহাড়! ধীরজকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস!

    Congress: দলীয় সাংসদের বাড়িতে নোটের পাহাড়! ধীরজকে ঝেড়ে ফেলতে চাইছে কংগ্রেস!

    মাধ্যম নিউড ডেস্ক: ২০১০ সাল থেকে তিনি কংগ্রেসের (Congress) টিকিটে রাজ্যসভার সাংসদ। অথচ তাঁর বাড়িতে যে নগদ টাকার পাহাড়, তা জানেন না কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব! এখন যখন ঝুলি থেকে বিড়াল বের হচ্ছে, তখনই ঝাড়খণ্ডের সাংসদ ধীরজ সাহুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করল কংগ্রেস।

    কী বলছে কংগ্রেস

    শনিবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ বলেন, “এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। কেবল তিনিই এ ব্যাপারে বলতে পারবেন। তাঁরই উচিত এর ব্যাখ্যা দেওয়া। তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত বিভিন্ন জায়গা থেকে আয়কর দফতর এই টাকা উদ্ধার করেছে। তাঁর সম্পত্তির বহর সম্পর্কে ব্যাখ্যা তাঁকেই দিতে হবে।” প্রসঙ্গত, ধীরজ ঝাড়খণ্ডের সাংসদ। বাংলা, ওড়িশা ও ঝাড়খণ্ডের বিভিন্ন জায়গায় হানা দিয়ে প্রায় ৩০০ কোটি টাকা উদ্ধার করেছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকরা।

    টাকা গুণতে ৪০টি মেশিন

    এই টাকার মধ্যে ২৫০ কোটি টাকাই উদ্ধার হয়েছে ওড়িশার বলঙ্গির জেলায় অবস্থিত ডিস্টিলারি সংস্থার অফিস থেকে। এই সংস্থাটি ধীরজেরই। এছাড়াও অন্যান্য জায়গা থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও প্রচুর নগদ। বুধবার শুরু হওয়া আয়কর দফতরের অভিযান চলেছে শনিবার রাত পর্যন্ত। টাকার পরিমাণ জানতে আয়কর দফতর ছোট-বড় ৪০টি টাকা গোণার মেশিন বসিয়েছে। টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য বেশ (Congress) কয়েকটি বড় গাড়িও নিয়ে আসা হয়েছে। কংগ্রেস যখন ধীরজকে ঝেড়ে ফেলতে ব্যস্ত, তখন সোনিয়া গান্ধীর দলকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভারতের অর্থনৈতিক বৃদ্ধির সঙ্গেই জুড়ে তামাম বিশ্বের অগ্রগতি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    তিনি বলেন, “যেখানেই দুর্নীতি, সেখানেই রয়েছেন একজন কংগ্রেস নেতা। এমন নয় যে, এই প্রথম কোনও কংগ্রেস নেতা কোনও দুর্নীতিতে জড়ালেন।” তিনি বলেন, “কেবল মানুষ নয়, টাকা গুণতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছে মেশিনও। দুর্নীতিতে যুক্ত এক কংগ্রেস সাংসদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হচ্ছে কোটি কোটি টাকা! এই গান্ধী পরিবারের এটিএম কে, উত্তরের অপেক্ষায় (Congress) রইলাম।” এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি লিখেছেন, “দেশবাসীর দেখা উচিত এই নোটের স্তূপ। তার পর তাঁদের নেতাদের কাছে সততার বাণী শুনুন। জনগণের কাছ থেকে যা লুট করা হয়েছে, প্রত্যেক পাই-পয়সা ফেরত দেওয়া হবে। এটা মোদির গ্যারান্টি।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Congress: ২৫০ কোটি পার…! কে এই ধীরজ সাহু, যার বাড়িতে মিলল ‘যকের ধন’!

    Congress: ২৫০ কোটি পার…! কে এই ধীরজ সাহু, যার বাড়িতে মিলল ‘যকের ধন’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার পর এবার ঝাড়খণ্ড। তৃণমূল কংগ্রেসের পর এবার কংগ্রেস। ঝাড়খণ্ডের সাংসদের ডিস্টিলারি সংস্থায় হানা আয়কর দফতরের। উদ্ধার নগদ ২৫০ কোটি টাকা। ঘটনায় জড়িয়েছে কংগ্রেসের নাম। জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ড থেকে জিতে রাজ্যসভায় গিয়েছেন কংগ্রেসের ধীরাজ প্রসাদ সাহু।

    উদ্ধার কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা

    এই ডিস্টিলারি সংস্থাটি তাঁরই। ওড়িশার বলঙ্গির জেলায় একটি অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে নগদ ২০০ কোটি টাকা। ওড়িশার সম্বলপুর, সুন্দরগড়, ঝাড়খণ্ডের বোকারো এবং রাঁচিতে অবস্থিত ধীরাজের বাড়ি ও সংস্থার বিভিন্ন অফিস থেকে উদ্ধার হয়েছে আরও কয়েক কোটি টাকা। আয়কর দফতর সূত্রে খবর, আলমারি ও একাধিক বাক্সে থরে থরে সাজানো ছিল টাকা। সব মিলিয়ে ঠিক কত টাকা উদ্ধার হয়েছে, তা এখনও জানা যায়নি। 

     প্রসঙ্গত, গত বছর এ রাজ্যেও উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর নগদ টাকা। নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে তদন্তে নেমে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করার পর তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিপুল পরিমাণ নগদ টাকা। অভিযোগ, বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোটা টাকার বিনিময়ে নিয়োগ করা হয়েছি অযোগ্যদের। এই টাকা সেই ‘চাকরি বিক্রি’র টাকা, যা গচ্ছিত রাখা হয়েছিল অর্পিতার বাড়িতে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পার্থ।

    কে এই ধীরাজ?

    ধীরাজের বাড়ি ও সংস্থার অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা গুণতে ৩৬টি মেশিন আনা হয়েছিল বলে আয়কর দফতর সূত্রে খবর। তার মধ্যে কয়েকটি আবার নোট গুণতে গুণতে বিকল হয়ে যায়। প্রশ্ন হল, কে এই ধীরাজ? ১৯৫৫ সালের নভেম্বরে জন্ম ধীরাজের। তাঁর বাবা ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। বলদেব সাহু ইনফ্রা প্রাইভেট লিমিটেড কোম্পানির সঙ্গে যোগ রয়েছে বৌধ ডিস্টিলারিজের। এর সঙ্গেই যুক্ত ধীরাজ। রাঁচি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি কলেজ থেকে স্নাতক হন ধীরাজ। তার পরেই জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে।  

    ১৯৭৭ সালে রাজনীতিতে আসেন। লাহরডাগা জেলা যুব কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। তাঁর ভাই শিবপ্রসাদ কংগ্রেসের টিকিটে জিতে দু’ বার লোকসভার সাংসদ হয়েছিলেন। ২০১০ সাল থেকে রাজ্যসভার সাংসদ ধীরাজ। ২০১৮ সালে সাংসদ নির্বাচিত হওয়ার সময় ধীরাজ জানিয়েছিলেন তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ ৩৪.৮৩ কোটি টাকা। তাঁর ২.৪ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বলেও জানিয়েছিলেন (Congress) ধীরাজ।

     

    আরও পড়ুুন: আশাতীত বৃদ্ধি জিডিপি-র, মোদি জমানাতেই বিশ্বের তৃতীয় বৃত্ততম অর্থনীতি হচ্ছে ভারত!

     

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Assembly Elections 2023: কংগ্রেস হারতেই বেসুরো মমতা, ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন

    Assembly Elections 2023: কংগ্রেস হারতেই বেসুরো মমতা, ‘ইন্ডি’ জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বড় প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Elections 2023) ফল ঘোষণা হতেই ঘেঁটে ঘ ‘ইন্ডি’ জোট! হারের কারণ অনুসন্ধান করতে ৬ ডিসেম্বর বৈঠকে বসছেন ‘ইন্ডি’ জোটের নেতারা। সেই জোটের বৈঠক সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলেই জানিয়ে দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজস্থান সহ চার রাজ্যে বিজেপির কাছে কংগ্রেস পরাস্ত হতেই গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

    কী বললেন মমতা?

    নভেম্বর মাসেই নির্বাচন হয়েছে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভার। এর মধ্যে রবিবার ঘোষণা হয়েছে চার রাজ্যের ফল। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিসগড়ে জয় পেয়েছে বিজেপি। গোহারা হেরেছে কংগ্রেস। সোনিয়া গান্ধীর দল পেয়েছে তেলঙ্গানার রাশ। এর পরেই কংগ্রেসকে কাঠগড়ায় তুলেছে তৃণমূল। সোমবার বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা কংগ্রেসের (Assembly Elections 2023) হার, মানুষের পরাজয় নয়।” বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। দেশের সেই সাধারণ নির্বাচনে বিজেপিকে কুর্সি-ছাড়া করতে জোট বেঁধেছে ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছে ‘ইন্ডি’।

    ইন্ডির ভবিষ্য

    কংগ্রেসের পাশাপাশি সেই ‘ইন্ডি’তে রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূলও। তিন রাজ্যে কংগ্রেস ধরাশায়ী হতেই মমতা দূরত্ব তৈরি করতে শুরু করেছেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কংগ্রেসের ডাকা ‘ইন্ডি’ জোটের বৈঠকে যে তৃণমূল সুপ্রিমো যাচ্ছেন না, তা জানিয়েছেন নিজেই। বলেন, “৬ তারিখের বৈঠক সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি। আমি কিছুই জানি না। অভিষেকও উত্তরবঙ্গে চলে গিয়েছে। আমিও যাব। আমার সঙ্গে কারও কোনও কথা হয়নি।”

    আরও পড়ুুন: মিছিলে মেজাজ হারালেন শোভনদেব! ধাক্কা দিলেন দলীয় নেতাকে, কেন জানেন?

    ইন্ডি জোট প্রসঙ্গে মমতা বলেন, “ইন্ডিয়া জোটের শরিকরা কেউ না কেউ ভোট কেটেছে। তাই বলছি, আসন সমঝোতা করতে। আসন সমঝোতা করলে এটা হত না।” এদিন বিধানসভায়ও মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি এখনও মনে করি আসন সমঝোতা করলে ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে বিজেপি আসবে না। ইন্ডি জোট এক সঙ্গে কাজ করবে। কিছু ভুল থাকলে শুধরে নেবে।” তৃণমূল নেত্রী বলেন, “বাবুরা একটা বেশি পেয়েছে। আর কংগ্রেস একটায় হেরেছে, একটা পেয়েছে। কংগ্রেসের থেকে ছত্তিসগড় আর রাজস্থান নিয়ে নিয়েছে। আবার কংগ্রেস তেলঙ্গানায় জিতেছে (Assembly Elections 2023)।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Venkatesh Prasad: ‘‘সনাতন ধর্মকে সম্মান না জানানোর পরিণতি’’! কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ ভেঙ্কটেশ প্রসাদের

    Venkatesh Prasad: ‘‘সনাতন ধর্মকে সম্মান না জানানোর পরিণতি’’! কংগ্রেসকে তীব্র কটাক্ষ ভেঙ্কটেশ প্রসাদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতের চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটের ফলে গেরুয়া ঝড়। তিন রাজ্য রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তীসগড়ে বিজেপি বাজিমাত করেছে। গো-বলয়ের এই রাজ্যগুলিতে এক প্রকার পদ্ম-শিবিরের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে জাতীয় দল কংগ্রেস। এই জয়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জয় হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ। একই সঙ্গে সনাতন ধর্মকে অসম্মান করার ফল ভোগ করছে কংগ্রেস, এমনই অভিমত প্রসাদের (Venkatesh Prasad)। 

    কী বলেছেন প্রাক্তিন ক্রিকেটার?

    প্রাক্তন ক্রিকেটার ভেঙ্কটেশ প্রসাদ (Venkatesh Prasad) রবিবার বিধানসভা নির্বাচনে হতাশাজনক পারফরম্যান্সের পরে কংগ্রেস এবং জোটের অংশীদারদের তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তিনি কংগ্রেসের বেশিরভাগ রাজ্যে এই শোচনীয় অবস্থার জন্য দায়ী করেছেন কংগ্রেসের সঙ্গী উদয়নিধি স্ট্যালিনের ‘সনাতন ধর্ম এরিডিকেশন সম্মেলনে’-এ সামিল হওয়ার ঘটনাকে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অমিত শাহের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে প্রসাদ লিখেছেন, “সনাতন ধর্মকে সম্মান না করলে তার এমন পরিণতি হতে বাধ্য। এই বিপুল ব্যবধানে জয় পাওয়ার জন্য বিজেপিকে অনেক অভিনন্দন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং অমিত শাহের আশ্চর্যজনক নেতৃত্বর আরেকটি প্রমাণ এবং তৃণমূল স্তরে দলের ক্যাডাররা দুর্দান্ত কাজ করেছে।”

    রবিবার চার রাজ্যের ভোটের ফলে ৩-১ ব্যবধানে জিতেছে বিজেপি। মধ্যপ্রদেশে ক্ষমতা ধরে রাখার পাশাপাশি পদ্ম শিবির সরকার গড়তে চলেছে রাজস্থান ও ছত্তিসগড়েও। টানা ৫ বার মধ্যপ্রদেশে জিতেছে বিজেপি। রাজস্থান, ছত্তিসগড় থেকে কংগ্রেসকে হারিয়ে ফের ক্ষমতা দখল করেছে বিজেপি। মোদি ম্যাজিকে একেবারে ধরাশায়ী কংগ্রেস শিবির। কংগ্রেস জিতেছে শুধুমাত্র তেলঙ্গানায়। চার রাজ্যের ফলের পর দেশে বিজেপির একক শক্তিতে চলা সরকারের সংখ্যা বেড়ে হল ১২।  বিশাল জয়ের জন্য বিজেপিকে অভিনন্দন জানিয়েছে ক্রীড়া মহলও।

    আরও পড়ুন: প্রবল বেগে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম! রাজ্যে বৃষ্টির পূর্বাভাস, ল্যান্ডফল কখন?

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Acharya Pramod Krishnam: “কংগ্রেস অভিশাপে নিমজ্জিত”! শীর্ষ নেতত্বকে তোপ দলেরই নেতার

    Acharya Pramod Krishnam: “কংগ্রেস অভিশাপে নিমজ্জিত”! শীর্ষ নেতত্বকে তোপ দলেরই নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সনাতন ধর্মকে অবহেলার করার জন্যই কংগ্রেসের এই পরাজয়। এই ট্যুইট-বার্তা যাঁর, তিনি বিজেপির কোনও নেতা নন। গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির বিরুদ্ধে এই তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা তথা ধর্মগুরু আচার্য প্রমোদ কৃষ্ণম (Acharya Pramod Krishnam)। রবিবারই ফল ঘোষণা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, রাজস্থান ও তেলঙ্গানা বিধানসভা নির্বাচনের। এর মধ্যে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও ছত্তিশগড়ে উড়েছে গেরুয়া নিশান। আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী হয়েছে কংগ্রেস। তার পরেই গর্জে উঠেছেন দলের ধর্মগুরু নেতা।

    কংগ্রেসকে তোপ ধর্মগুরুর

    রবিবাসরীয় সন্ধেয় কংগ্রেসের লাভ বলতে কেবলই তেলঙ্গনার রাশ। বাকি তিন রাজ্যে ভূলুণ্ঠিত হয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দল। লোকসভা নির্বাচনের আগে যাকে অশনি সঙ্কেত হিসেবেই দেখছেন কংগ্রেস নেতারা। চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের এই ফল সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে কৃষ্ণম লিখেছেন, “কংগ্রেস অভিশাপে নিমজ্জিত। সনাতন ধর্মের বিরোধিতা করতে গিয়ে দলটি ডুবেছে।” কংগ্রেসের বিরুদ্ধে জাতপাতের রাজনীতির অভিযোগও করেন তিনি। তার ফলই কংগ্রেসকে ভুগতে হচ্ছে বলে মনে করেন কৃষ্ণম। তাঁর মতে, যাঁরা সনাতন ধর্মের বিরোধিতা করেন, তাঁরা ভারত বিরোধী। সনাতন ধর্ম ছাড়া হিন্দুদের কল্পনা করা যায় না। সনাতন ধর্ম বিরোধীদের রাবণের বংশধর বলেও কটাক্ষ করেছিলেন এই কংগ্রেস নেতা। সনাতন ধর্মের বিরোধিতা করায় তাঁদের ধ্বংস যে নিশ্চিত, সেই ভবিষ্যৎবাণীও করেছিলেন কৃষ্ণম (Acharya Pramod Krishnam)।

    রাজনাথের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন কৃষ্ণম

    প্রসঙ্গত, উনিশের লোকসভা নির্বাচনে লখনউ কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী রাজনাথ সিংহের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন কংগ্রেসের এই ধর্মগুরু নেতা। রাজনাথের কাছে গোহারা হারেন তিনি। তবে বিজেপির এই হেভিওয়েট প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ময়দানে নেমে খবরের শিরোনামে চলে এসেছিলেন কৃষ্ণম। তার পর থেকে কংগ্রেসের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে নেতাদের সঙ্গে দেখা যায় তাঁকে। মাঝে মধ্যে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে জায়গা করে নেন মিডিয়ায়।

    আরও পড়ুুন: রাজস্থানের যোগী! বালকনাথ কি বসতে চলেছেন মরুরাজ্যের কুর্সিতে?

    যেমন করেছিলেন এই তো সেপ্টেম্বর মাসে। সেই সময় সনাতন ধর্ম নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনের ছেলে দয়ানিধি। সেই সময় কৃষ্ণম তাক করেছিলেন কংগ্রেস নেতাদেরও। দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে রাম ও হিন্দুদের ঘৃণা করার অভিযোগ এনেছিলেন এই ধর্মগুরু। হিন্দু ধর্মীয় গুরুদেরও অপমান করা হচ্ছে বলে আক্রমণ শানিয়েছিলেন দলের বিরুদ্ধে। তিন রাজ্যে কংগ্রেস হারতেই ফের সরব হলেন কৃষ্ণম (Acharya Pramod Krishnam)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Assembly Election Result: পদ্মময় গোবলয়ের তিন রাজ্য, কেবল দক্ষিণেই মুখরক্ষা কংগ্রেসের

    Assembly Election Result: পদ্মময় গোবলয়ের তিন রাজ্য, কেবল দক্ষিণেই মুখরক্ষা কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি ম্যাজিকে আরও একবার বেআব্রু হয়ে গেল কংগ্রেসের হাঁড়ির হাল। সবে মাত্র গান্ধী পরিবারের প্রত্যক্ষ ছত্রছায়া থেকে বেরিয়ে নয়া সভাপতি পেয়েছে দল। দলীয় নেতা-কর্মীদের ভোটে মল্লিকার্জুন খাড়গে হয়েছেন সভাপতি। তার পরেও যে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির স্বাস্থ্যের বিশেষ উন্নতি হয়নি, রবিবাসরীয় সন্ধেয় ফের একবার প্রমাণ মিলল তার।

    চার রাজ্যের ফল

    এদিন গণনা হয়েছে চার রাজ্যের ফল। তাতে দেখা গিয়েছে তিনটি রাজ্যের রশি যাচ্ছে বিজেপির (Assembly Election Result) হাতে। মাত্র একটির রাশ যাচ্ছে ‘হাতে’। আগামী বছরের মার্চ-এপ্রিলে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেসের এই হালে কর্মী-সমর্থকরা হতাশ হবেন, তা বলাই বাহুল্য। কংগ্রেসের এহেন ফলের পর বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের ‘ইন্ডি’ জোট আদৌ টিকবে কিনা, সে প্রশ্নও উঠে গেল।

    পাশা উল্টেছে রাজস্থানেও

    গোবলয়ের তিন রাজ্যের রাশই গিয়েছে পদ্ম শিবিরের হাতে। মধ্যপ্রদেশ বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৩০। ম্যাজিক ফিগার ১১৬। এর মধ্যে বিজেপি এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে ১৬৭টি আসনে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটা ৬২টি। আর অন্যদের ক্ষেত্রে একটি। পাশা উল্টেছে রাজস্থানেও। সেখানেও কংগ্রেসের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়েছে বিজেপি। ২০০ আসনের এই রাজ্যে নির্বাচন হয়েছিল ১৯৯টিতে। কংগ্রেস প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায় নির্বাচন হয়নি একটি আসনে। এখানে আপাতত সরকার গড়তে প্রয়োজন ১০০টি আসন। এর মধ্যে বিজেপি (Assembly Election Result) এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে ১১৫টি আসনে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ৬৯। বিএসপির ক্ষেত্রে সংখ্যাটি ২।

    রাজ্যের নাম মোট আসন নিরঙ্কুশ সংখ্যা বিজেপি এগিয়ে/জয়ী

    কংগ্রেস

    এগিয়ে/ জয়ী

    বিআরএস

    এগিয়ে/ জয়ী

    অন্যান্য
    রাজস্থান ২০০ ১০১ ১১৫ ৬৯  
    মধ্য প্রদেশ ২৩০ ১১৬ ১৬৭ ৬২
    ছত্তিসগড় ৯০ ৪৬ ৫৪ ৩৬
    তেলঙ্গানা ১১৯ ৬০ ৬৪ ৩৯

     

    ৯০ আসনের ছত্তিশগড়েও ধরাশায়ী কংগ্রেস। সরকার গড়তে এখানে প্রয়োজন ৪৬টি আসন। অথচ বিজেপি এগিয়ে কিংবা জিতে গিয়েছে ৫৪টি আসনে। কংগ্রেসের ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি ৩৬। অন্য কেউই দাঁত ফোটাতে পারেনি এ রাজ্যে।

    কংগ্রেসের মুখরক্ষা কেবল তেলঙ্গনায়। এ রাজ্যে বিধানসভার আসন সংখ্যা ১১৯। ম্যাজিক ফিগার ৬০। এর মধ্যে ৬৪টি কেন্দ্রে কংগ্রেস এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে। শাসক দল ভারত রাষ্ট্র সমিতি (বিআরএস)-র ক্ষেত্রে এই সংখ্যাটি ৩৯। বিজেপি এগিয়ে কিংবা জয়ী হয়েছে ৮টি আসনে। এআইএমআইএম এগিয়ে বা জয়ী হয়েছে ৭টি কেন্দ্রে। অন্যরা একটিতে। দলের এহেন ফলে গেরুয়া শিবিরে (Assembly Election Result) যেখানে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের ছবি, সেখানে মুখ ব্যাজার করে রয়েছে সোনিয়ার দল।

    কে যেন বলেছিলেন, “মোদি হ্যায় তো মুমকিন হ্যায়!”

    আরও পড়ুুন: ‘‘জনতা জনার্দনের সামনে মাথানত করি’’, তিন রাজ্যে জয়ের পর ট্যুইট বার্তা মোদির

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share