Tag: congress

congress

  • BJP: “চিনের কাছে অর্থ নিয়ে ভারতকে ভাগ করতে চায় কংগ্রেস”, তোপ বিজেপি সাংসদের

    BJP: “চিনের কাছে অর্থ নিয়ে ভারতকে ভাগ করতে চায় কংগ্রেস”, তোপ বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (Congress) চিনা যোগ নিয়ে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে নিশানা বিজেপির (BJP)। সাড়ে চার মাস পরে মঙ্গলবারই সংসদে পা রেখেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। প্রত্যাশিতভাবেই উৎসাহিত ছিল কংগ্রেস শিবির। তবে লোকসভার সাংসদ বিজেপির নিশিকান্ত দুবের আক্রমণের সামনে দৃশ্যতই হতাশ দেখায় কংগ্রেসকে। সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে নিউজক্লিকের কর্ণধার নেভিল রয় সিঙ্ঘম চিনের কমিউনিস্ট পার্টির কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের মতবাদ প্রচার করে। একেই হাতিয়ার করে বিরোধীদের তাক করেন বিজেপি সাংসদ।

    “রাহুলের বিদ্বেষের দোকান”

    নিশিকান্ত (BJP) বলেন, “রাহুলের বিদ্বেষের দোকান চিনা সামগ্রীতে ভরে গিয়েছে। কংগ্রেস পার্টির নীতি আর লক্ষ্য হল ভারতকে ভেঙে দেওয়া। আর সেজন্য চিনের সহযোগিতা চায় তারা। চিন থেকে কংগ্রেস পার্টির অর্থায়নের তদন্ত করুক ভারত সরকার ও জাতীয় নির্বাচন কমিশন।” নিশিকান্ত বলেন, “নরেন্দ্র মোদি সরকারের বিরোধিতা করতে কংগ্রেস নেতারা ২০১৬ সালে চিনের এক ব্যক্তির সঙ্গে দেখা করেছিলেন।” তাঁর অভিযোগ, ডোকলাম নিয়ে অচলাবস্থার সময় রাহুল গান্ধী তৎকালীন চিনা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করেছিলেন।

    “চিন থেকে অর্থ পেয়েছে কংগ্রেস”

    বিজেপি সাংসদ বলেন, “তারা (কংগ্রেস) চিনা বাহিনী ও কিছু মিডিয়ার সাহায্যে ভারতকে ভাগ করতে চায়। ২০০৫ সাল থেকে ২০১৪, সঙ্কটের সময় চিন থেকে অর্থ পেয়েছে কংগ্রেস। ২০০৮ সালে তারা সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধী দুজনকেই আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।” তিনি বলেন, “কীভাবে মাওবাদী ও সিনিয়র সাংবাদিকদের টাকা দেওয়া হয়েছিল, তা ব্যাখ্যা করা হয়েছে নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টে।” নিউইয়র্ক টাইমসের ওই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বিজেপির (BJP) অনুরাগ ঠাকুরও।

    আরও পড়ুুন: ভয় দেখাচ্ছে তৃণমূল! জয়ী বিরোধী প্রার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের

    তিনি বলেন, “নিউইয়র্ক টাইমস বলার বহু আগে ভারত গোটা বিশ্বকে বলেছিল নিউজক্লিক আসলে চিনা মতবাদ প্রচারের একটি হাতিয়ার। নেভিল এই হাতিয়ার ব্যবহার করে ভারত বিরোধী মনোভাবকে ছড়িয়ে দিচ্ছে। ২০২১ সালে কংগ্রেস এই নিউজক্লিকের হয়েই গলা ফাটিয়েছিল। নিউজক্লিক ও নেভিলকে সমর্থন জানানো কংগ্রেসের পক্ষে স্বাভাবিক। কারণ এই দলটার কাছে জাতীয় স্বার্থের কোনও দাম নেই। চিনা মতবাদের প্রসার ঘটানোর জন্য চিনের কমিউনিস্ট পার্টির সঙ্গে ২০০৮ সালে চুক্তি করেছিল এই দলটা। রাজীব গান্ধী ফাউন্ডেশনের জন্য তারা দান গ্রহণ করেছিল চিনা দূতাবাস থেকে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: মোদি পদবি বিতর্কে খোয়ানো সাংসদ পদ ফিরে পেলেন রাহুল, অক্সিজেন পেল কংগ্রেস!

    Rahul Gandhi: মোদি পদবি বিতর্কে খোয়ানো সাংসদ পদ ফিরে পেলেন রাহুল, অক্সিজেন পেল কংগ্রেস!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খুশির খবর কংগ্রেসের (Congress) অন্দরে। চার মাস পরে সাংসদ পদ ফিরে পেলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। স্পিকার ওম বিড়লার সচিবালয় থেকে আজ, সোমবার সকালে এ বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করা হয়। এদিন দুপুর ১২টা নাগাদ সংসদে আসার কথা রাহুলের। প্রসঙ্গত, শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টের তরফে শাস্তি স্থগিত করা হয়েছিল রাহুলের। তার আটচল্লিশ ঘণ্টার মধ্যেই কেরলের ওয়েনাড়ের সাংসদ রাহুলকে ফিরিয়ে দেওয়া হল তাঁর পদ।

    রাহুলের সাজা

    মঙ্গলবার সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছে বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’। সাংসদ পদ ফিরে পাওয়ায় সে সংক্রান্ত বিতর্কে যোগ দিতে পারবেন রাহুল। মোদি পদবি অবমাননা মামলায় মার্চ মাসে রাহুলকে (Rahul Gandhi) দোষী সাব্যস্ত করেছিল গুজরাটের সুরাট আদালত। তাঁকে দু বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর জেরেই সাংসদ পদ খারিজ হয় রাহুলের। কারণ, নিয়ম অনুযায়ী, কোনও সাংসদ বা বিধায়কের দু বছর কিংবা তার বেশি মেয়াদের কারাদণ্ড হলে তাঁর সাংসদ বা বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যায়। সেই মতো স্পিকার ওম বিড়লা সাংসদ পদ খারিজ করে দেন রাহুলের। যার জেরে সাংসদ হিসেবে পাওয়া বাংলোও খোয়াতে হয় রাহুলকে।

    কংগ্রেসের আবেদন

    শুক্রবার সুপ্রিম কোর্ট ওই সাজায় স্থগিতাদেশ দিতেই রাহুলকে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানায় কংগ্রেস। কেসি বেণুগোপাল বলেন, “আমরা আশা করব স্পিকার যেমন দ্রুততার সঙ্গে রাহুলজির পদ খারিজ করেছিলেন, তেমনিই সক্রিয়তা দেখা যাবে সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রেও।”

    লোকসভায় কংগ্রেসের নেতা অধীর চৌধুরীও রাহুলের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। সোমবার সকালেই রাহুলের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে স্পিকারের সচিবালয়। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে মোদি পদবি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন রাহুল (Rahul Gandhi)। সেই কারণে ২৩ মার্চ রাহুলকে সাজা দেয় গুজরাটের আদালত।

    আরও পড়ুুন: ‘‘ভাইপো অ্যান্ড কোম্পানির হাত ধরে অসমে গরু পাচার হচ্ছে’’, বিস্ফোরক শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    Love Jihad: ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য, ক্ষমা প্রার্থনা অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘মহাভারতে’ ‘লাভ জিহাদ’ (Love Jihad) ছিল বলে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি ভূপেন বোরা। তাঁর এই মন্তব্যে বিস্তর হইচই হয় রাজ্যে। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য ভূপেনকে গ্রেফতার করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলায় এফআইআর দায়ের হয় ভূপেনের বিরুদ্ধে। এর পরেই সুর নরম করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। চান নিঃশর্ত ক্ষমাও। ক্ষমা প্রার্থনা করে ভূপেন বলেন, “আমার এই মন্তব্যের জন্য কোনও সম্প্রদায় যদি আঘাত পেয়ে থাকে, তার জন্য আমি দুঃখিত। ধর্মকে আঘাত করার মতো কোনও পরিকল্পনা আমার ছিল না।” মন্তব্যের জন্য শ্রীকৃষ্ণের কাছেও ক্ষমা চাইবেন বলে জানান তিনি। বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদের অভিযোগও তোলেন ভূপেন।

    ‘লাভ জিহাদ’

    ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার। এদিন হিন্দু স্ত্রী সহ শ্বশুরবাড়ির বেশ কয়েকজন সদস্যকে খুন করার অভিযোগ ওঠে জনৈক নাজিবুর রহমান বোরার বিরুদ্ধে। পরে থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি। এই ঘটনার পিছনে ‘লাভ জিহাদে’র (Love Jihad) তত্ত্ব খাড়া করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারেই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন অসম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তিনি দাবি করেছিলেন, মহাভারতেও ‘লাভ জিহাদ’ ছিল। এ ব্যাপারে তিনি ধৃতরাষ্ট্র ও গান্ধারী এবং শ্রীকৃষ্ণ ও রুক্মিনীর বিয়ের উদাহরণ দেন।

    ভূপেনের আলটপকা মন্তব্য

    তাঁর দাবি, মহাভারতের এই চরিত্রদের বিয়েও ছিল ‘লাভ জিহাদ’। ভূপেনের আলটপকা মন্তব্যের জেরে শোরগোল পড়ে যায় রাজ্যে। ঘরে-বাইরে বিপাকে পড়ে যায় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিও। প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে হিন্দু ধর্মকে অপমান করার অভিযোগ ওঠে। এ নিয়ে সরব হয় হিন্দুত্ববাদী বিভিন্ন সংগঠন। গ্রেফতারির হুঁশিয়ারি দেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ফের মুখ পুড়ল তৃণমূলের! বিজেপি নেতাদের বাড়ি ঘেরাও কর্মসূচিতে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের

    বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির এহেন আলটপকা মন্তব্যে বিপাকে পড়তে পারে দল। বিজেপি ভূপেনের এই বিতর্কিত মন্তব্যকেই (Love Jihad) হাতিয়ার করতে পারে। সূত্রের খবর, এসব চিন্তা করেই ভূপেনের ওপর চাপ বাড়াতে থাকেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রাজনৈতিক মহলের মতে, সেই কারণেই তড়িঘড়ি ‘লাভ জিহাদ’ নিয়ে মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন ভূপেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে পাত্তা নয়, তৃতীয় দফায় জয় নিয়ে নিশ্চিত মোদিও

    PM Modi: ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবকে পাত্তা নয়, তৃতীয় দফায় জয় নিয়ে নিশ্চিত মোদিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংখ্যাতত্ত্বের হিসেব বলছে বিরোধীদের আনা অনাস্থা প্রস্তাব কোনও প্রভাবই ফেলবে না মোদি সরকারের (PM Modi) ওপর। তা সত্ত্বেও মোদি সরকারের প্রতি অনাস্থা প্রস্তাব আনল বিজেপি-বিরোধী ২৬টি দলের জোট ‘ইন্ডিয়া’। ওই প্রস্তাবকে কার্যত পাত্তা না দিয়ে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দিলেন, “আগামী বছর যে লোকসভা নির্বাচন হতে চলেছে, তাতে বিজেপির জয় নিয়ে কোনও দুশ্চিন্তাই নেই গেরুয়া শিবিরের।”

    তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ

    বুধবার সন্ধ্যায় দিল্লির প্রগতি ময়দানের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার তৃতীয় দফার কার্যক্রমে আপনারা দেখবেন চোখের সামনে আপনাদের স্বপ্ন পূরণ হতে।” বিজেপির সংসদীয় দলের বৈঠকেও প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমার লক্ষ্য হল, ২০২৭ সালের মধ্যে ভারতকে একটি উন্নত দেশে পরিণত করা এবং তৃতীয় মেয়াদে ভারতকে তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত করা।”

    গুরুত্বপূর্ণ বিল পাশ 

    এদিকে, বিরোধীদের তৈরি হট্টগোলের আবহেই একাধিক বিল পাশ করিয়ে নিয়েছে বিজেপি (PM Modi)। এর মধ্যে রয়েছে বহু-রাষ্ট্রীয় সমবায় সমিতি (সংশোধন) বিল, ২০২২ এবং জৈবিক বৈচিত্র্য (সংশোধন) বিল, ২০২২-র মতো গুরুত্বপূর্ণ বিল। সোমবার জাতীয় নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কমিশন বিল, ২০২৩ জাতীয় ডেন্টাল কমিশন বিল, ২০২৩ এবং সংবিধান (তফশিলি উপজাতি) আদেশ (পঞ্চম)-ও পেশ করা হয়েছে।

    এদিকে, কংগ্রেস সহ ‘ইন্ডিয়া’র আনা অনাস্থা প্রস্তাবের জবাবে কংগ্রসের অস্ত্রেই কংগ্রেসকে বধ করতে চাইছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের মতে, অনাস্থা প্রস্তাব আনলেও, সরকার ফেলার সামর্থ্য বিরোধীদের নেই জেনেও, মণিপুর নিয়ে বিতর্কে দেশবাসীর মন জিততেই অনাস্থা এনেছে তারা। লোকসভার আসন সংখ্যা ৫৪৩। এর মধ্যে পাঁচটি আসন শূন্য রয়েছে। বাকি আসনের মধ্যে এনডিএর (PM Modi) মধ্যে রয়েছে ৩৩০টি আসন। বিরোধীদের হাতে রয়েছে ১৪০টি আসনের রাশ। তাই সংখ্যাতত্ত্বের হিসেবে সরকার পতনের কোনও সম্ভাবনাই নেই।

    আরও পড়ুুন: ‘শ্যালিকার মত উনিও দেশের বাইরে পালাতে চাইছেন..’, অভিষেককে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    ২০১৮ সালের ২০ জুলাইও অনাস্থা এনেছিলেন বিরোধীরা। সেবারও ৩২৫-১২৫ এর ব্যবধানে গোহারা হেরেছিল তারা। সূত্রের খবর, অনাস্থা বিতর্কে বিজেপি কংগ্রেস জমানায় নারী নির্যাতনের বিষয়গুলি তুলে ধরার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। স্বাধীনতার পর থেকে নারী সুরক্ষা নিয়ে কংগ্রেস কতটা উদাসীন, সেই তথ্যও লোকসভায় পেশ করবে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রীর জবাবি ভাষণেও তুলে ধরা হবে কংগ্রেসের ব্যর্থতার দিক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

     

  • Siliguri: সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, গ্রেফতার ৪, এলাকায় শোরগোল

    Siliguri: সালিশি সভায় আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে মার, গ্রেফতার ৪, এলাকায় শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাওড়া, মালদার ছায়া এবার শিলিগুড়িতে। সালিশি সভায় পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে এক আদিবাসী মহিলাকে বিবস্ত্র করে নিগ্রহের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার বাগডোগরা থানার ভুজিয়াপানি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এই ঘটনায় পুলিশ চারজনকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের নাম প্রদীপ সরকার, গৌরী সরকার, শিবা বাল্মিকী, ললিতা বাল্মিকী। মঙ্গলবার শিলিগুড়ি আদালতে তাদের তোলা হয়। পাশাপাশি গোটা ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে আদিবাসী কল্যাণ সমিতির রাজ্য নেতৃত্ব এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে।

     ঠিক কী হয়েছিল?

    ভুজিয়াপানির বাসিন্দা প্রদীপ সরকারের সঙ্গে এলাকার এক মহিলার পরকীয়া সম্পর্ক ছিল। এনিয়ে গত ১৯ জুলাই এলাকায় সালিশি সভা বসে। সেখানে প্রদীপ সরকারের স্ত্রী ও অপর এক মহিলার সঙ্গে হাতাহাতি হয়। তাদের ছাড়াতে গেলে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন ওই নির্যাযিতা মহিলাও। ঘটনার পরের দিন আবার ওই ঘটনা নিয়ে সালিশি সভা ডাকা হয়। উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বুলবুলি সিংহ। শিলিগুড়ির (Siliguri) এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

     কী বললেন নির্যাতিতা মহিলা?

    নির্যাতিতা আদিবাসী মহিলা বলেন, সালিশি সভার প্রথম দিন প্রদীপ সরকারের সঙ্গে যে মহিলার পরকীয়া চলছিল, তার সঙ্গে গৌরিদেবীর হাতাহাতি শুরু হয়। গৌরিদেবী প্রদীপ সরকারের স্ত্রী।  আমি হাতাহাতি থামাতে গেলে আমাকে মারধর করা হয়। তারপর সবাই মিটমাট করে দিলে বাড়ি চলে আসি। পরের দিন আবার সালিশি সভা ডাকা হয়। আমি যাইনি। আমাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়। পৌঁছতেই অভিযুক্ত মহিলা আমার উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে মারধর শুরু করে। পঞ্চায়েত সদস্যের সামনে এই ঘটনা ঘটে। তারপর আরও কয়েকজন আমাকে মারধর করে। সকলের সামনেই আমাকে বিবস্ত্র করেই হামলা চলে। আমি মাটিতে পড়ে যেতেই সকলে চলে যায়। কয়েকজন এসে আমাকে গামছা চাপা দিয়ে লজ্জা নিবারণ করে। খবর পেয়ে আমার ছেলে বাড়ি থেকে নাইটি নিয়ে যায়। সেই নাইটি পরে বাড়িতে ফিরে আসি। বাড়িতে ফেরার পর রবিবার রাতে আমার নড়ার ক্ষমতা ছিল না। সেই সঙ্গে লজ্জায় বাড়ির বাইরে বের হইনি। বাড়িতে শুয়েই ছিলাম। সোমবার স্থানীয় কয়েকজনের পরামর্শে আমি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করি। 

    কী বললেন পঞ্চায়েত সদস্য?

    কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য বুলবুলি সিংহ সালিশি সভা ও আদিবাসী  মহিলাকে নিগ্রহের ঘটনা স্বীকার করেছেন। তবে তিনি বলেন, ওই মহিলাকে মারধর করা হলেও বিবস্ত্র করা হয়নি।

    নিন্দায় সরব আদিবাসি কল্যাণ সমিতি

    এই খবর পেয়ে এদিন ওই নির্যাতিতা মহিলার সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনা শোনে আদিবাসি কল্যাণ সমিতির নেতৃত্ব। সমিতির অন্যতম সদস্য মন্টু বরাইক বলেন,  আদিবাসী কল্যাণ সমিতির  রাজ্য নেতৃত্ব এই ঘটনার রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে। হাওড়া, মালদার পর শিলিগুড়িতে এধরনের ঘটনা ঘটায় আমরা উদ্বিগ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “নিজেদের কর্মীদেরও মরার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন বাম-কংগ্রেস নেতারা”, বিস্ফোরক মোদি   

    PM Modi: “নিজেদের কর্মীদেরও মরার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন বাম-কংগ্রেস নেতারা”, বিস্ফোরক মোদি   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলায় নিজেদের কর্মীরা মার খেলেও, বেঙ্গালুরু বৈঠকে হাজির হওয়া বাম-কংগ্রেস নেতারা মুখে কুলুপ এঁটেছেন।” মঙ্গলবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। এদিন ভার্চুয়াল মাধ্যমে পোর্ট ব্লেয়ারের বীর সাভারকর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নয়া একটি ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠানে ভাষণও দেন তিনি। সেখানেই আক্রমণ শানান বাম এবং কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী জোটে শামিল হওয়া দলগুলিকে।

    ঠিক কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিছুদিন আগেই পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়েছে। সেখানে প্রকাশ্যে হিংসা হয়েছে, লাগাতার খুনখারাপি হচ্ছে। এ নিয়ে এঁদের মুখ বন্ধ। কংগ্রেস ও বাম কর্মীরা ওখানে নিজেদের কী করে বাঁচাবেন, ভাবছেন। কিন্তু তাঁদের নেতারা ব্যক্তিগত স্বার্থে নিজেদের কর্মীদেরও মরার জন্য ছেড়ে দিয়েছেন।”  

    ট্যুইট-বাণ শুভেন্দুর

    বিজেপি বিরোধী দলগুলির জোটের উদ্যোগকে কটাক্ষ করে ট্যুইট-বাণ হেনেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও। তিনি লিখেছেন, “বাংলায় কুস্তি, বেঙ্গালুরুতে দোস্তি!!! কর্মীরা খাবে পেটো, গুলি, রড-লাঠি; আর নেতাদের বরাদ্দ মুচমুচে ফিশ ফ্রাই? কী রাজনীতি রে ভাই!” সিপিএম এবং কংগ্রেস নেতৃত্ব তাঁদের কর্মীদের দিকে দেখেন না বলেও কটাক্ষ করেন শুভেন্দু।

    বছর ঘুরলেই লোকসভা (PM Modi) নির্বাচন। এই নির্বাচনকে পাখির চোখ করে একজোট হতে চাইছে বিজেপি বিরোধী দলগুলি। সেই কারণে বেঙ্গালুরুর হোটেলে আজ, মঙ্গলবার হাজির হয়েছেন কংগ্রেস সহ ২৬টি দলের নেতানেত্রী। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, তৃণমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিহারের লালুপ্রসাদ যাদব, নীতীশ কুমার, মহারাষ্ট্রের শারদ পাওয়ারের মতো হেভিওয়েট নেতারা। মহাজোটের বন্ধন শক্তপোক্ত করতে সোমবার নৈশভোজের আয়োজন করা হয়েছিল ওই হোটেলে। সেদিন উপস্থিত ছিলেন না এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। অবশ্য মঙ্গলবার সাত সকালেই হাজির হয়ে যান তিনি।

    আরও পড়ুুন: ‘স্বচ্ছ নির্বাচন হয়নি’, গোটা জেলায় ফের ভোট চেয়ে আদালতে বিজেপি সাংসদ

    মঙ্গলবারের বৈঠকের সঞ্চালক ছিলেন কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গের পরেই ভাষণ দিতে তিনি আমন্ত্রণ জানান মমতাকে। বক্তৃতার শুরুতে খাড়্গে সহ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের শুভেচ্ছা জানান তিনি। তবে আশ্চর্যজনকভাবে সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির নামই নেননি তৃণমূল সুপ্রিমো। তবে রাহুলকে তিনি প্রিয় রাহুল গান্ধী বলে সম্বোধন করেন। আবার (PM Modi) ভাষণ দিতে উঠে রাহুল মমতার নাম নিলেও, উচ্চারণ করেননি আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়ালের নাম।

    জোটের অন্দরে বইছে মতানৈক্যের চোরাস্রোত!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Digvijaya Singh: আরএসএসের প্রাক্তন প্রধানকে নিয়ে বিতর্কিত ট্যুইট দিগ্বিজয়ের, মধ্যপ্রদেশে বিপাকে কংগ্রেস

    Digvijaya Singh: আরএসএসের প্রাক্তন প্রধানকে নিয়ে বিতর্কিত ট্যুইট দিগ্বিজয়ের, মধ্যপ্রদেশে বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটমুখী মধ্যপ্রদেশে ফ্যাসাদে কংগ্রেস! সৌজন্যে প্রবীণ কংগ্রেস (Congress) নেতা দিগ্বিজয় সিংহ (Digvijaya Singh)। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে মধ্যপ্রদেশ পুলিশ। কংগ্রেসের দাবি, হাত শিবিরের কণ্ঠরোধ করতে চাইছে বিজেপি।

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে অভিযোগ

    ঘটনাটি তাহলে খুলেই বলা যাক। দিন কয়েক আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ট্যুইট করেন দিগ্বিজয়। ট্যুইটটি আরএসএসের প্রাক্তন প্রধান এমএস গোলওয়ালকরকে নিয়ে। তাঁকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করতেই শুরু হয় বিতর্ক। মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহানের অভিযোগ, কংগ্রেস নেতারা সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুল তথ্য এবং মিথ্যে পোস্ট ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিক বিদ্বেষ সৃষ্টির চেষ্টা করছেন। তাঁর দাবি, সামাজিক পার্থক্য দূর করতে ও সমাজে সম্প্রীতি গড়ে তুলতে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছিলেন গোলওয়ালকর।

    শিবরাজের ট্যুইট-বাণ

    ট্যুইট-বার্তায় শিবরাজ লেখেন, সত্যিটা না জেনে ভুল তথ্য ও ঘৃণা ছড়ানো কংগ্রেস নেতাদের (Digvijaya Singh) অভ্যাস। শ্রদ্ধেয় শ্রী গোলওয়ালকর গুরুজি সামাজিক বৈষম্য দূর করতে এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ এক সমাজ গড়তে সারা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন। গুরুজি সম্পর্কে এই ধরনের মিথ্যা প্রচার আসলে কংগ্রেস নেতাদের হতাশার বহিঃপ্রকাশ। গুরুজির একটি মিথ্যা ছবি দিয়ে সামাজিক বিদ্বেষ সৃষ্টির এই চেষ্টা নিন্দনীয়। যদিও কংগ্রেসের দাবি, একটি ইংরেজি বই থেকে বিতর্কিত তথ্যগুলি ভাগ করে নিয়েছেন দিগ্বিজয়। ইন্দোরের পুলিশ কমিশনার মকরন্দ দেউস্কার জানান, রাজেশ জোশী নামে একজনের অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের করা হয়েছে দিগ্বিজয়ের বিরুদ্ধে। তদন্তের পর এ বিষয়ে আরও পদক্ষেপ করা হবে।

    প্রসঙ্গত, শনিবার (Digvijaya Singh) গোলওয়ালকর সম্পর্কে লেখা একটি বইয়ের একটি পৃষ্ঠার ছবি ট্যুইট করেছিলেন দিগ্বিজয়। সেখানে গোলওয়ালকর সম্পর্কে বিতর্কিত মন্তব্য ছিল। কড়া প্রতিক্রিয়া দেয় আরএসএস এবং বিজেপি। আরএসএসের প্রচার বিভাগের প্রধান সুনীল আম্বেকর বলেন, দিগ্বিজয় সিংহের পোস্ট করা ছবিটি ফটোশপের কারিকুরিতে বানানো। সামাজিক বৈষম্য সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এটা করা হয়েছে। তিনি জানান, কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে ধর্ম, জাতি এবং জন্মস্থানের ভিত্তিতে বিভিন্ন গোষ্ঠীর মধ্যে শত্রুতা প্রচার করা সহ ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছেন আরএসএস কর্মী পেশায় আইনজীবী রাজেশ জোশী।

    আরও পড়ুুন: ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস! আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গেলেন সুকান্ত

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “কংগ্রেস মানেই লুঠের দোকান, মিথ্যের বেসাতি”, রাজস্থানের জনসভায় বললেন মোদি

    PM Modi: “কংগ্রেস মানেই লুঠের দোকান, মিথ্যের বেসাতি”, রাজস্থানের জনসভায় বললেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস (Congress) মানেই লুঠের দোকান, মিথ্যের বেসাতি।” শনিবার রাজস্থানের এক জনসভায় কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। চলতি বছরই রাজ্যের পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। সেই উপলক্ষে দু দিনের সফরে প্রচারে গিয়েছেন মোদি। শনিবার রাজস্থানের এক জনসভায় কংগ্রেসকে নিশানা করেন তিনি।

    প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় কংগ্রেস

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ৪ বছরে কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রীরা অন্তর্কলহে ব্যস্ত ছিলেন। রাজ্যের জন্য কিছু করেননি। রাজ্যস্থানবাসীর জন্য কেন্দ্রীয় প্রকল্প থাকলেও, তা বাস্তবায়িত করেনি রাজ্য সরকার। বিজেপি নাগরিক সুবিধার পরিকল্পনা করেছে, কংগ্রেস রাজ্যবাসীর ক্ষতি করেছে।” এর পরেই তিনি বলেন, “কংগ্রেসের অর্থ লুঠের দোকান, মিথ্যের বেসাতি।” প্রসঙ্গত, কিছু দিন আগেই অশান্ত মণিপুরে গিয়ে নাম না করে বিজেপিকে নিশানা করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। তিনি বলেছিলেন, “ঘৃণার বাজারে ভালবাসার দোকান খুলতে এসেছে কংগ্রেস। আমাদের ভালবাসার শক্তি হয়ে উঠতে হবে, ঘৃণার নয়।” রাজস্থানের জনসভায় রাহুলের ওই বক্তব্যেরই পাল্টা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজস্থানের কৃষকরা কংগ্রেস সরকারের জন্য অনেক কষ্ট পেয়েছেন। ক্ষমতায় আসার পর থেকে কংগ্রেস রাজস্থানের জন্য কী করেছে? তারা কেবল নিজেদের মধ্যে লড়াই করেছে। একে কেবলই অন্যের পা ধরে টানছে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজস্থানের গরিব ভাই-বোনদের প্রায় ২০ লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে। আমরা সারা দেশে প্রায় ৫০ কোটি দরিদ্র মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলেছি। এর ফলে রাজস্থানের ৩ কোটি গরিব মানুষ প্রথমবারের মতো ব্যাঙ্কিংয়ের সুবিধা পেয়েছে।” তিনি (PM Modi) বলেন, “আজ দেশে ১৩০টিরও বেশি জেলা রয়েছে, যেখানে একশো শতাংশ বাড়িতে কলের জল পৌঁছেছে, তবে এর একটিও রাজস্থানে নেই। রাজস্থানে উন্নয়ন দরকার, পরিবারতন্ত্র নয়।”

    উন্নয়নের সুবর্ণ সুযোগ

    এদিন তেলঙ্গনার ওয়ারাংগেলের এক জনসভায়ও ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। এই রাজ্যেও রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। ৬ হাজার কোটি টাকা মূল্যের একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “ভারতের উন্নয়নের জন্য এটা একটা সুবর্ণ সময়। গত ৯ বছরে তেলঙ্গানায় সড়ক পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। যেসব রাস্তা তেলঙ্গানার মধ্যে দিয়ে গিয়েছে, সেগুলিকে দেশের ইকনোমিক হাবগুলির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে।”

    আরও পড়ুুন: ঝরল রক্ত, পড়ল লাশ, সি-ভোটারের সমীক্ষায় তৃণমূলের সর্বনাশের ইঙ্গিত!

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোট পূর্ববর্তী মৃত্যুমিছিলে ১৮ তম সংযোজন মুর্শিদাবাদের অরবিন্দ মণ্ডল

    Murshidabad: ভোট পূর্ববর্তী মৃত্যুমিছিলে ১৮ তম সংযোজন মুর্শিদাবাদের অরবিন্দ মণ্ডল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইসলামপুর (Murshidabad) থানার অন্তর্গত হেরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রায়পুর এলাকায় পতাকা ছেঁড়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় বিশ্বনাথ মণ্ডল নামে এক কংগ্রেস কর্মীর মাথা ফাটে এবং অরবিন্দ মণ্ডল নামে আরও এক কংগ্রেস কর্মীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। ভোটের আগের দিন এই রাজনৈতিক সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচন।

    কী অভিযোগ (Murshidabad)?

    পরিবারের (Murshidabad) অভিযোগ, গতকাল রাতে তৃণমূলের লোকেরা অরবিন্দেরকে মারধর করে, সেকারণেই শুক্রবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও পুলিশ জানিয়েছে অরবিন্দ মণ্ডলের হৃদযন্ত্রে সমস্যা ছিল। আর সেজন্যই গন্ডগোলের খবর শুনে আতঙ্কিত হয়ে মারা গিয়েছেন। একই কথা বলে হত্যাকে অস্বীকার করেছে শাসক দল তৃণমূল। কিন্তু নিহত পরিবারের লোক মানতে নারাজ, তাঁরা বলেছেন শাসকদলের লোকেদের হাতে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয়েছে অরবিন্দ মণ্ডলের।

    পরিবারের বক্তব্য

    মৃত কংগ্রেস কর্মী অরবিন্দ মণ্ডলের স্ত্রী অন্নপূর্ণা মণ্ডল (Murshidabad) বলেন, আমরা কংগ্রেস দল করি, শুধু মাত্র কংগ্রেস করবার জন্যই আমার স্বামীকে বাড়িতে ঢুকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এই হত্যাকাণ্ড তৃণমূল দুষ্কৃতীরা করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাত থেকেই ঝামেলা শুরু হয়েছে, রাতেই তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা প্রশান্তের নেতৃত্বে প্রথমে আক্রমণ করে। আর তারপর আজ সকালে, বাড়ির উঠানের সামনে ২০ জন দুষ্কৃতী প্রাশান্তের নেতৃত্বেই লাঠি-বাঁশ দিয়ে প্রচণ্ড পেটায় আর তারপরেই আরবিন্দবাবুর মৃত্যু হয় বলে জানান অন্নপূর্ণাদেবী। মৃত অরবিন্দ বাবুর মেয়ে বলেন, এই ভোটের জন্য আমার বাবাকে কেন রাজনৈতিক হত্যার শিকার হতে হল?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (Murshidabad) এক তৃণমূলের নেতা বলেন বলন এই হত্যা কাণ্ডের পেছেনে তৃণমূলের কোনও ভূমিকা নেই। তিনি আরও বলেন, গতকাল রাতে কংগ্রেসের কর্মীরা আমাদের উপর আক্রমণ করে। আজ আমরা থানায় আক্রমণের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি।

    হিংসা এবং হত্যা নিয়ে অধীর রঞ্জন চৌধরির মন্তব্য

    কংগ্রেস নেতা অধীর রঞ্জন চৌধুরি (Murshidabad) শুক্রবার সাংবাদিকদের বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনে রক্তপাত করে ভোটকে কার্যত প্রহসনে পরিণত করা হয়েছে। অথচ, মা মাটি মানুষের সরকারের শাসনে পঞ্চায়েত নির্বাচন অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ চলছে! সমস্ত পুলিশ প্রশাসন অত্যন্ত সক্রিয় হয়ে উঠেছে। আইসি অফিসাররা কংগ্রেস কর্মীদের বার বার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। হাইকোর্টের আদেশে বাহিনী কীভাবে মোতায়েন করা হয়েছে? পর্যবেক্ষকরা কীভাবে কাজ করছে? তা আমাদের কাছে এখনও স্পষ্ট নয়।” তিনি আরও বলেন, রাজ্য নির্বাচন কমিশন, রাজ্য প্রশাসনকে ভোটের পূর্বে ঘটা এই হিংসার দায়িত্ব নিতে হবে।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rahul Gandhi: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    Rahul Gandhi: গুজরাট হাইকোর্টেও বহাল নিম্ন আদালতের রায়, জেলে যাচ্ছেন রাহুল গান্ধী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাংসদ পদ তো ফিরে পাচ্ছেন না-ই, তার ওপর তৈরি হয়েছে জেলে যাওয়ার আশঙ্কাও। কারণ ‘অপরাধমূলক অবমাননা’ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) দু বছরের যে সাজা দিয়েছিল গুজরাটের সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত, তা-ই বহাল রইল গুজরাট হাইকোর্টেও। শুক্রবার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি হেমন্ত প্রচ্ছক বলেন, “নিম্ন আদালত রাহুল গান্ধীর সাজার যে রায় দিয়েছে, তা সঠিক।” গুজরাট হাইকোর্টের এই রায়ের ফলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে রাহুল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন কিনা, তা নিয়েও তৈরি হয়েছে সংশয়।

    ‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে কর্নাটকের কোলারে ‘মোদি’ পদবি নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। এর পরেই বিজেপি বিধায়ক ও গুজরাটের প্রাক্তন মন্ত্রী পূর্ণেশ মোদি দ্বারস্থ হন আদালতের। ২৩ মার্চ সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এইচএইচ বর্মা দু বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন রাহুলকে। তবে জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে আবেদনের জন্য বিচারক তাঁকে ৩০ দিন সময়ও দিয়েছিলেন।

    আদালতের দুয়ারে রাহুল 

    আদালতের এই রায়ের ভিত্তিতে ২৪ মার্চ রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। এর পর রাহুল আবেদন করেন সুরাটেরই দায়রা আদালতে। সেখানেও বহাল থাকে সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায়। এর পর সুরাট দায়রা আদালতের সাজা কার্যকর করার নির্দেশের ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাট হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রাহুল (Rahul Gandhi)। বিচারপতি গীতা গোপীর বেঞ্চে শুনানির জন্য নথিভুক্ত হয়েছিল রাহুলের আবেদন। তবে আচমকাই মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন বিচারপতি গোপী।

    আরও পড়ুুন: চিনের ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পে আপত্তি ভারতের, এসসিও-র বিবৃতিতে সই নেই নয়াদিল্লির

    মামলা যায় প্রচ্ছকের বেঞ্চে। প্রাথমিক শুনানির পরে রাহুলের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন বহাল রেখেছিলেন বিচারপতি, যদিও রায়ের ওপর স্থগিতাদেশ দেননি। শুক্রবার নিম্ন আদালতের রায়ই বহাল রাখেন বিচারপতি প্রচ্ছক। আদালত আরও জানিয়েছে, “সাজা স্থগিত করার কোনও যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। আদেশটি সঠিক ও আইনি। অযোগ্যতা শুধুমাত্র সাংসদ ও বিধায়কদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এছাড়াও, আবেদনকারীর বিরুদ্ধে প্রায় ১০টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share