Tag: congress

congress

  • Kaustav Bagchi: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ

    Kaustav Bagchi: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে আদালতে কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের বিরুদ্ধে অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন কংগ্রেস (Congress) নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচি (Kaustav Bagchi)। ৩ মার্চ মধ্য রাতে তাঁর বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। মঙ্গলবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করেন তিনি। মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে আদালত। বুধবার শুনানি হতে পারে এই মামলার।

    কৌস্তুভ বাগচির (Kaustav Bagchi) বিরুদ্ধে অভিযোগ…

    সাগরদিঘি উপনির্বাচনে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। তার পরেই প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে কিছু মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেছিলেন, অধীরের কন্যার আত্মহত্যা ও তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে অনেক কথা তিনি জানেন। তিনি মুখ খুললে বিপদ হবে। এর পরেই পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কৌস্তুভ (Kaustav Bagchi)। সেই সময় তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে কৌস্তুভ মুখ্যমন্ত্রীকে ব্যক্তি আক্রমণ করেন বলে অভিযোগ। কৌস্তুভের মন্তব্য প্ররোচনামূলক বলে উল্লেখ করে বড়তলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন এক তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ দায়ের হয় ৩ মার্চ রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ।  

    আরও পড়ুুন: নিয়োগ কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত শান্তনু-কুন্তলকে ছেঁটে ফেলল তৃণমূল, বহাল তবিয়তে মানিক, পার্থ

    ওই দিন মধ্য রাতে কৌস্তুভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দেয় কলকাতার বড়তলা থানার পুলিশ। অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে পরের দিন সকালে গ্রেফতার করা হয় কংগ্রেসের এই আইনজীবী নেতাকে। গ্রেফতারির পর তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করে পুলিশ। বিনা কারণে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে বলে দাবি করেন কৌস্তুভ। ওই দিন বিকেলেই অবশ্য জামিন পান তিনি। ১০০০ টাকার বন্ডে কৌস্তুভকে জামিন দেন বিচারক। জামিন পাওয়ার পর মস্তক মুণ্ডন করেন এই কংগ্রেস নেতা। বলেন, যত দিন না মমতার সরকারকে উৎখাত করছি, ততদিন মাথায় চুল রাখব না।

    প্রসঙ্গত, ওই দিন কৌস্তুভের (Kaustav Bagchi) হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। কংগ্রেসের আইনজীবী নেতার জামিনের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, পুলিশ মাঝরাতে বাড়ি চলে যাচ্ছে। এ বার তো বিচারকদের বাড়িও চলে যাবে। আগাম কোনও নোটিশ ছাড়াই পুলিশ কীভাবে কৌস্তুভকে গ্রেফতার করল, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন বিকাশ। সুপ্রিম কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ মধ্যরাতে অভিযুক্তের বাড়ি গেল কীভাবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    Parliament: জেপিসি নিয়ে বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে মুলতুবি সংসদ, একলা চলো নীতি তৃণমূলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আদানিকাণ্ডে বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি (JPC) গড়ার দাবিকে ঘিরে সরকার ও বিরোধীদের হট্টগোলের জেরে উত্তপ্ত সংসদের (Parliament) দুই কক্ষ। মঙ্গলবার বিরোধীদের যৌথ সংসদীয় কমিটি গড়ার দাবির পাল্টা হাতিয়ার হিসেবে বিজেপি প্রয়োগ করে ইংল্যান্ডে দাঁড়িয়ে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীর মোদি সরকারের সমালোচনাকে। তার জেরে দু পক্ষে ব্যাপক হইচই হয়। যার জেরে মুলতুবি হয়ে যায় সংসদ। কংগ্রেস সহ বিজেপি বিরোধী কয়েকটি দল যখন সংসদে হইহট্টগোল করছে, সেই সময় ওই একই দাবিতে সংসদ ভবনের বাইরে গান্ধী মূর্তির সামনে ধর্না দেন তৃণমূল সাংসদরা।

    উত্তপ্ত সংসদ (Parliament)…

    এদিন অধিবেশনে রাহুলকে নিশানা করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পীযূষ গয়াল। তিনি বলেন, এক সংসদ সদস্য (পড়ুন রাহুল গান্ধী) যেভাবে বিদেশের মাটিতে দাঁড়িয়ে ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে কথা বলছেন, তাতে সংসদ (Parliament) চুপ থাকতে পারে না। রাহুলের ক্ষমা চাওয়ার দাবিও জানিয়েছে বিজেপি। দেশের সমস্ত সাংসদ যাতে রাহুলের মন্তব্যের নিন্দা করেন, সেই আবেদনও জানানো হয়েছে পদ্ম শিবিরের তরফে। পাল্টা কটাক্ষ করেছে কংগ্রেসও। বিজেপির উদ্দেশে সোনিয়া গান্ধীর দলের কটাক্ষ, গণতন্ত্রের হত্যাকারীর মুখে আজ এ কী কথা শুনি! এ নিয়ে দু পক্ষে হইহট্টগোলের জেরে মুলতুবি করে দেওয়া হয় সংসদের দুই কক্ষের অধিবেশন।

    আরও পড়ুুন: ‘‘সিপিএমকে সাফ করেছি, পিসি-ভাইপোকেও গ্যারাজ করব’’, নন্দীগ্রামে হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর

    এদিকে, দ্বিতীয় দফার (Parliament) অধিবেশন শুরুর আগে বিরোধীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। এই বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের সাংসদরা। সংসদ চত্বরে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তাঁরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে সিপিএম, আরজেডি, জেডিইউ, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে শিবির, এনসিপি সহ ১৬টি দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। কংগ্রেস বিরোধী আম আদমি পার্টিও উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেসের ডাকা ওই বৈঠকে। এদিন সংসদ ভবন থেকে বিজয় চক পর্যন্ত মিছিল করেন বিরোধীরা। তাতে যোগ দেয় কংগ্রেস বিরোধী দল হিসেবে পরিচিত বিআরএসও। তবে এখানেও তৃণমূলের কাউকে দেখা যায়নি। লোকসভার দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, বিরোধী ঐক্য যেন না থাকে, মোদির যেন সুবিধে হয়, এটাই করছে তৃণমূল। বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের কটাক্ষ, বিরোধীদের কোনও ঐক্য নেই। কখনও হবেও না। মোদিই থাকবেন। ওরা নিজেদের ঘর বাঁচানোর চেষ্টা করছে।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kiran Reddy: ফের কংগ্রেস ছাড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে?

    Kiran Reddy: ফের কংগ্রেস ছাড়লেন অন্ধ্রপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী, যোগ দিচ্ছেন বিজেপিতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোর বিপদে কংগ্রেস (Congress)। ফের দল ছাড়লেন আরও একজন। তেলঙ্গানা গঠনের আগে অন্ধ্রপ্রদেশের (Andhra Pradesh) শেষ মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন কিরণ কুমার রেড্ডি (Kiran Reddy)। ২০১০ সাল থেকে টানা তিন বছর তিনি কংগ্রেসের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন। সেই তিনিই ফের ছেড়ে দিলেন কংগ্রেস। ১১ মার্চ কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে এক লাইনের একটি পদত্যাগপত্র পাঠান রেড্ডি। তাতে তিনি লেখেন, এই চিঠিটিকে জাতীয় কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে ইস্তফাপত্র হিসেবে গণ্য করা হোক। মাত্র পাঁচ বছর আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন রেড্ডি। পরে হয়েছিলেন অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি ছাড়লেন কংগ্রেস সঙ্গ।

    রাজ্য ভাগের বিরোধিতা করেন কিরণ রেড্ডি (Kiran Reddy)…

    ২০১৪ সালে একবার কংগ্রেস ছেড়েছিলেন রেড্ডি (Kiran Reddy)। তখন ইউপিএ সরকার অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যকে ভাগ করার সিদ্ধান্ত নেয়। ঠিক হয়, একটি রাজ্য হবে অন্ধ্রপ্রদেশ, অন্যটি হবে তেলঙ্গানা। কিরণ রেড্ডি রাজ্য ভাগের বিরোধিতা করেছিলেন। বিধানসভায় এ নিয়ে বিস্তর হইচইও করেছিলেন। ইউপিএ সরকারের রাজ্য ভাগের এই সিদ্ধান্তের বিস্তর মূল্য চোকাতে হয় কংগ্রেসকে। সেই সময় বেশ কয়েকজন নেতা কংগ্রেস ছেড়ে দেন। যার জেরে এ পর্যন্ত অন্ধ্রপ্রদেশে একটির বেশি লোকসভা আসন পায়নি সোনিয়া গান্ধীর দল।

    কংগ্রেস ছেড়ে রেড্ডি নিজেই গড়েন রাজনৈতিক দল। নাম দেন জয় সামাইক অন্ধ্র পার্টি। ২০১৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের ময়দানে হাজির হয় রেড্ডির দল। যদিও গোহারা হারে। তার পর ২০১৮ সালে ফের কংগ্রেসে ফেরেন। তার আগে অবশ্য কংগ্রেসের সঙ্গে বিস্তর দর কষাকষি করেন। এহেন রেড্ডি ফের ছাড়লেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সঙ্গ। জানা গিয়েছে, এক সময়ের দাপুটে কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী রেড্ডি শীঘ্রই নাম লেখাতে চলেছেন বিজেপিতে। তেলঙ্গনায় দারুণ শক্তিশালী হলেও, অন্ধ্রে বিজেপি এখনও বেশ দুর্বল। রাজনৈতিক মহলের মতে, কিরণ রেড্ডির হাত ধরে জগমোহন রেড্ডির রাজ্যে পদ্ম ফোটানোর কাজ শুরু করে দিল গেরুয়া শিবির। প্রসঙ্গত, কিরণ রেড্ডি (Kiran Reddy) ছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের ১৬তম মুখ্যমন্ত্রী। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁর হাত ধরেই রাজ্যে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে পদ্ম শিবির।

    আরও পড়ুুন:মুকুলের বিধায়কপদ খারিজের দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ শুভেন্দু

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
  • Suvendu Adhikari: ‘নো ভোট টু তৃণমূল বললে এই দিন দেখতে হত না’, অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘নো ভোট টু তৃণমূল বললে এই দিন দেখতে হত না’, অধীরকে কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের পাশাপাশি এবারে বাম-কংগ্রেসকেও নিশানা করতে ছাড়লেন না বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সাগরদিঘি উপনির্বাচন বঙ্গ রাজনীতিকে এক অন্য পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছে। তার মধ্যে কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারি তাতে এক অন্যমাত্রা যোগ করেছে। কৌস্তভের গ্রেফতারিতে রাজ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী ঐক্য গড়ে তোলার ডাক দিলেও, এ বার বাম-কংগ্রেসকে একযোগে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বাম-কংগ্রেসকে মনে করিয়ে দিলেন, ২০২১-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ স্লোগান। তাঁর মন্তব্য, তখন ‘নো ভোট টু তৃণমূল’ বললে আজ এই দিন দেখতে হত না।

    অধীরকে তোপ শুভেন্দুর

    রবিবার মহিষাদল ব্লকের ইটামগরা-২ অঞ্চল বিজেপির কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় কেশবপুর জালপাই বাজার সংলগ্ন ময়দানে। সেই সম্মেলন থেকেই বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করে তোপ দেগেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তাঁর বক্তব্য, “মীনাক্ষী, কৌস্তভকে এখন জেলে ভরছে। তখন সিপিএম, কংগ্রেস বলেছিল নো ভোট টু বিজেপি। সেই সময় নো ভোট টু তৃণমূল বললে আজ এই দিন দেখতে হতো না।”

    আরও পড়ুন:ইডি না আসানসোল পুলিশ! আজ আদালতই ঠিক করবে অনুব্রতকে কারা নিয়ে যাবে দিল্লি?

    অধীরকে কটাক্ষ করে শুভেন্দু বলেন, “নন্দীগ্রামে হারিয়েছি মমতাকে। ভবানীপুরে শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে ভোটে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন। ভবানীপুরে অধীর চৌধুরী কংগ্রেসের প্রার্থী দিলেন না। আজ সেই অধীর চৌধুরীকেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে বড় গদ্দার।”

    তিনি সেদিন আরও বলেন, “সিপিএম-কংগ্রেস বেরিয়ে পড়েছে। ২০১১ সাল থেকে বিরোধী দল ছিল সিপিএম। ২০১৬ সাল থেকে বিরোধী আসনে ছিল কংগ্রেস। কখনও কোনও কিছু প্রতিবাদ করেছে? চোর ধরা পড়েছে? ফাঁদ পাতবে বিজেপি আর খই খাব আমি! সেগুড়ে বালি, এটা হবে না। সিপিএম ও কংগ্রেস কয়েনের এপিঠ আর ওপিঠ। বামফ্রন্ট নন্দীগ্রামে গুলি চালিয়ে কৃষক মেরেছে আর তৃণমূল বগটুইয়ে মুসলমান পুড়িয়েছে। তাই বিজেপি ছাড়া গতি নেই।” 

    শুভেন্দুর নিশানায় রাজ্য

    গতকাল বাম-কংগ্রেসকে নিশানা করার পাশাপাশি শুভেন্দু কটাক্ষ করেছে রাজ্যকেও। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের নাম পরিবর্তন করে রাজ্যের নামে চালানো হচ্ছে এই নিয়ে ফের সরব হয়েছেন শুভেন্দু। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার পর এবার কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাতের কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনা। প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা ও প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার মতই প্রধানমন্ত্রী অন্ন সুরক্ষা যোজনার নাম পরিবর্তন করা হয়েছে বলে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পঞ্চায়েত ভোটের আগে কেন্দ্রের কৃতিত্ব খাটো করে দেখাতেই রাজ্য সমস্ত কেন্দ্রীয় প্রকল্পের নাম বদল করছে বলে তাঁর অভিযোগ।

    আবার আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী এবং কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতার করা নিয়েও রাজ্যকে একহাত নেন বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari)। তাঁদের গ্রেফতারের ক্ষেত্রে শীর্ষ আদালতের নিয়ম মানা হয়নি অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, “ইতিমধ্যে বিচার ব্যবস্থা এ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ করেছে। জামিন অযোগ্য ধারা লাগলে হয় না। বিচার ব্যবস্থা নিরাপত্তা দিচ্ছে। পুলিশ অপদস্ত হচ্ছে। পুলিশের গরিমা মান সম্মান নষ্ট হচ্ছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহার করা হচ্ছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

    PM Modi: ‘ইডি-সিবিআইয়ের অপব্যবহার করা হচ্ছে’, প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি নীতি মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (AAP) নেতা মনীশ সিসোদিয়া। সেই সিসোদিয়ার হয়ে সওয়াল করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) চিঠি লিখলেন দেশের ৮টি রাজনৈতিক দলের ৯ জন নেতা। প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ইডি (ED)-সিবিআইয়ের (CBI) মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলির অপব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন তাঁরা। তবে যে ৮টি রাজনৈতিক দল প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছে, তাতে আশ্চর্যজনকভাবে নেই কংগ্রেস। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রয়েছেন।

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)…

    নরেন্দ্র মোদিকে (PM Modi) লেখা ওই চিঠিতে সই করেছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা বিআরএস প্রধান কে চন্দ্রশেখর রাও। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল ও পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মানও রয়েছেন ওই চিঠিতে স্বাক্ষরকারীদের তালিকায়। এঁরা ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীকে লেখা ওই চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁরা হলেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লা, ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির প্রধান শারদ পাওয়ার, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব এবং বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব।

    স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে কংগ্রেস নেই। যদিও কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী ও রাহুল গান্ধীকে আর্থিক তছরুপের অভিযোগে জেরা করেছে ইডি। মা ও ছেলেকে গত বছরই জেরা করেছে এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চিঠিতে (PM Modi) বলা হয়েছে, আমরা আশা করি, আপনি আমাদের সঙ্গে একমত হবেন যে ভারত এখনও গণতান্ত্রিক দেশ। বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে কাজে লাগিয়ে আদতে সেগুলির অপব্যবহার করা হচ্ছে। যা থেকে মনে হচ্ছে দেশে গণতন্ত্র নেই, রয়েছে স্বৈরতন্ত্র। চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে, উপযুক্ত প্রমাণ ছাড়াই সিবিআই গ্রেফতার করেছে মনীশ সিসোদিয়াকে। তার আগে তাঁর বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়। বিরোধী দলের সদস্যদের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলির নির্লজ্জ আচরণ চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়, আমরা গণতন্ত্র থেকে স্বৈরাচারে পরিণত হয়েছি।

    আরও পড়ুুন: মাত্র ৫ আসনে জয়, নাগাল্যান্ডে টাকা উড়িয়ে জয়োৎসব এনপিপি-র

    চিঠিতে (PM Modi) আরও লেখা হয়েছে, প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, গ্রেফতার করা হয়েছে, বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এটা হয়ে আসছে। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছে, তাঁদের সিংহভাগই বিরোধী দলের নেতা। তবে যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে ধীর গতিতে। উদাহরণ হিসেবে তাঁরা অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার নামোল্লেখ করেছেন। বছর কয়েক আগে কংগ্রেসে ছেড়ে বিজেপিতে গিয়ে যোগ দিয়েছেন হিমন্ত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     
  • Suvendu Adhikari: মমতা সরকার স্বৈরাচারী! কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: মমতা সরকার স্বৈরাচারী! কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে মুখর হলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বগটুই গণহত্যা, আনিস খান খুন কিংবা পুরুলিয়ার ঝালদার কংগ্রেস কাউন্সিলর খুনের ইস্যুর মতোই কৌস্তভ বাগচীর গ্রেফতারির প্রতিবাদে রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতার বাইরে বেরিয়ে আন্দোলন জোরদার করার ডাক দিলেন শুভেন্দু।

    শুভেন্দু যা বললেন

    শুভেন্দু বলেন, ‘সম্প্রতি মমতা সরকারের দুর্নীতি, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে যে কয়েকজন যুবক সোচ্চার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে কৌস্তভ অন্যতম। তাঁর দ্রুত মুক্তির দাবি করি। পুলিশ যে কায়দায় রাত তিনটের সময় ওঁর বাড়িতে গিয়ে হামলা চালিয়েছে তার প্রতিবাদ করছি। আমরা সোচ্চার হব।’ একই সঙ্গে কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘‘কংগ্রেসকে স্মরণ করাতে চায়, ২০২১ সালে নন্দীগ্রামের জনগণ যখন আমাকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাজিত করেছিল, তার পরে ভবানীপুরের উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কম্পার্মেন্টাল চিফ মিনিস্টার হিসেবে প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলেন, এমএলএ হওয়ার জন্য, মুখ্যমন্ত্রীত্ব পদ বাঁচানোর জন্য৷ তখন এই প্রদেশ কংগ্রেস প্রকাশ্যে প্রার্থী না দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন ঘোষণা করেছিল৷ সঠিক সময়ে তৃণমূল নেত্রী কংগ্রেসকে সেই প্রতিদান ফিরিয়ে দিচ্ছেন!’’

    কেন গ্রেফতার কৌস্তভ

    উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপনির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পরে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর আত্মহত্যা এবং তাঁর গাড়িচালকের মৃত্যু নিয়ে ‘অনেক কথা’ জানেন, বলে মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার জেরেই শুক্রবার পাল্টা সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচী। সেখানে তিনি তৃণমূলের প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন আমলা দীপক ঘোষের একটি বইয়ের প্রসঙ্গ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে ‘ব্যক্তি আক্রমণ’ করেন বলে অভিযোগ। এরপরই শুক্রবার গভীর রাতে কৌস্তভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে বড়তলা থানার পুলিশ গিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করে।

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতে ভোট দেবে না কালনার এই আদিবাসী গ্রাম, কেন জানেন?

    কৌস্তভের পাশে থাকার কথা বললেও এ প্রসঙ্গে শুভেন্দুর দাবি, ‘‘কংগ্রেসের সর্বভারতীয় নেতা কপিল সিব্বল এবং মনু সিংভি যেভাবে প্রতিদিন মমতার সরকারকে সাহায্য করছেন, ঠিক একইভাবে কৌস্তভ বাগচীকেও নিজেদের সহকর্মী হিসেবে তাঁরা সাহায্য করবেন, দ্রুত জামিনের বিষয়ে লড়বেন এটা আমি ওনাদের কাছে আশা করব৷’’

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • PM Modi: ‘‘ওরা বলছে মর যা মোদি, দেশ বলছে মৎ যা মোদি’’, একথা কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    PM Modi: ‘‘ওরা বলছে মর যা মোদি, দেশ বলছে মৎ যা মোদি’’, একথা কেন বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্বের লোকেরা বুঝতে পেরেছেন যে তাঁদের উপেক্ষা করা হয় না। বিজেপি শাসনে তাঁদের সমান গুরুত্ব দেওয়া হয়। আমি খুশি যে আমরা তাঁদের হৃদয়ে জায়গা পেয়েছি। ত্রিপুরা (Tripura), নাগাল্যান্ড ও মেঘালয়ে বিজেপির (BJP) জয়ের পর একথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। উত্তর পূর্বের তিন রাজ্যজয়ের পর যে বিজেপির আত্মবিশ্বাস একলপ্তে অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে, এদিন তা প্রকাশ পেয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কথায়ও। তিনি বলেন, এই নির্বাচনে আরও আত্মবিশ্বাসী হয়েছে বিজেপি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু কট্টর লোক বলছেন, মর যা মোদি (মরে যা মোদি)। আর দেশ বলছে, মৎ যা মোদি (চলে যাস না মোদি)।

    নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) বলেন…

    বৃহস্পতিবার ৩৩ মিনিট ২৫ সেকেন্ড ধরে ভাষণ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, এমন একটা সময়ে কিছু লোক মোদির কবর খোঁড়ার চেষ্টা করছেন। কিন্তু যেখানেই সুযোগ রয়েছে, সেখানেই পদ্মফুল ফুটেই চলেছে। মোদি বলেন, উত্তর পূর্ব ভারত দিল্লির থেকে দূরে নেই। হৃদয়েরও দূরে নেই। ভোটে জেতার থেকেও হৃদয় জিতেছি, এটা বড় পাওয়া। তিনি বলেন, এটা বিজেপি কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফল। আজকের রায় ভারতের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ভরসা জুগিয়েছে।

    পদ্ম শিবিরের এহেন সাফল্যের নেপথ্যে কী রয়েছে, এদিন তাও স্পষ্ট করেছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। তিনি বলেন, শিবের যেমন ত্রিনয়ন রয়েছে, তেমনি আমাদের কাছে রয়েছে ত্রিবেণী, তিন শক্তি। প্রথম শক্তি হল, বিজেপি সরকারের কাজ, দ্বিতীয় শক্তি হল বিজেপি সরকারের কর্মসংস্কৃতি এবং তৃতীয় শক্তি হল বিজেপি কর্মীদের সেবাদান। তিনি বলেন, তাঁদের সেবা, শ্রম, সমর্পণ অতুলনীয়। এই তিন শক্তি মিলেই বিজেপি এগিয়ে চলেছে। এদিন কংগ্রেসকে নিশানা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগের সরকার কোনও কাজ করেনি। গরিবদের কথা ভাবেনি। শুধু ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করেছে। যার জন্য দেশ ভুগেছে। ছোট রাজ্যকে ঘৃণার চোখে দেখার কারণেই কংগ্রেসের ভরাডুবি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।

    আরও পড়ুুন: ত্রিপুরা জয়ের খোয়াব ভেঙে খান খান, অতঃ কিম? ভাবছে তৃণমূল

    বাম-কংগ্রেসের জোটকেও এদিন কটাক্ষ করেছেন তিনি। বলেন, কিছু দল পর্দার পিছনে জোট করছে। সেটা জনতা দেখছে। তিনি বলেন, এক রাজ্যে কুস্তি, অন্য রাজ্যে দোস্তি। প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) বলেন, সংখ্যালঘুদের কয়েক বছর ধরে বিজেপি সম্পর্কে ভয় দেখানো হচ্ছিল। কিন্তু নাগরিকরা আসল ঘটনা ধরে ফেলেছেন। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও তিন রাজ্যে বিজেপির জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। এই দিনটিকে তিনি ঐতিহাসিক আখ্যা দিয়েছেন। বাংলায় তাঁর ট্যুইট, উন্নয়নমুখী রাজনীতির পক্ষে ভোট দিয়েছেন সকলে। এই জয় উন্নয়নের জয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     

     

  • Tripura Election: ত্রিপুরায় জয়ী বিজেপি, নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়ে মুখ পোড়াল তৃণমূল

    Tripura Election: ত্রিপুরায় জয়ী বিজেপি, নোটার চেয়েও কম ভোট পেয়ে মুখ পোড়াল তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রত্যাশা মতোই ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে (Tripura Election) জয়ী বিজেপি। একটি আসনও না পেয়ে মুখ পুড়িয়েছে তৃণমূল (TMC)। বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটে পর্যন্ত ১৬টি আসনে জয়ী হয়েছে বিজেপি (BJP)। এগিয়ে রয়েছে আরও ৫৪টি আসনে। হাজারের কিছু বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন ত্রিপুরার বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা। টাউন বড়দোয়ালি কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। নোটার থেকেও কম ভোট পাওয়ায় তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি ত্রিপুরা বিজেপির সহ সভাপতি রথীন্দ্র বোস। এদিকে ত্রিপুরেশ্বরীর রাজ্যে সরকার গড়ার পথে এগোতেই আগরতলায় পার্টি অফিসে ভিড় করেন বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা, প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব, বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র প্রমুখ। ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভার সিংহভাগ আসন বিজেপির ঝুলিতে গেলেও, ১৩টি আসনে জয় পেয়েছে ত্রিপুরার রাজকুমারের দল তিপ্রা মথা। বাম-কংগ্রেস জোট পেয়েছে ১৪টি আসন।

    ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচন (Tripura Election)…

    এদিন সকালে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে গিয়ে পুজো দিয়ে আসেন মানিক। তার পর কার্যত নিজেকে গৃহবন্দি করে ফেলেন ত্রিপুরার (Tripura Election) বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী। সারাক্ষণ চোখ রেখেছিলেন টিভির পর্দায়। তারপর যখন নিজের জয়ের খবরটা পেলেন, তখন বাড়ির সবাইকে নিয়ে উৎসবে মেতে ওঠেন মানিক। জয়ের পরেই রাজ্যবাসীর কাছে তাঁর আবেদন, ভোটের ফল যাই হোক না কেন, কোনও অশান্তি, গোলমাল করা চলবে না। রাজ্যে বজায় রাখতে হবে শান্তির পরিবেশ। দলের জয়ের খবর আসতেই বেরিয়ে পড়েন পার্টি অফিসের দিকে। সেখানে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব ও বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্রকে নিয়ে আবির খেলায় মেতে ওঠেন মানিক। একে অপরকে লাড্ডুও খাইয়ে দেন তাঁরা।

    আরও পড়ুুন: সাগরদিঘিতে গোহারা তৃণমূল, বিপুল ভোটে জয়ী কংগ্রেস

    প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া থাকা সত্ত্বেও কোন জাদুবলে সম্ভব হল ত্রিপুরা (Tripura Election) জয়? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্রিপুরায় পালাবদলের পর প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের জমানায় তীব্র হয়ে ওঠে প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া। নির্বাচনের মাত্র ৯ মাস আগে বিপ্লবকে সরিয়ে দিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির মানিককে মুখ্যমন্ত্রী পদে বসিয়ে দেন বিজেপি নেতৃত্ব। তাতেই বদলে যায় পাশার দান।

    বিপ্লবের রাজত্বকালে ত্রিপুরা বিজেপিতে জন্ম হয় একাধিক গোষ্ঠীর। যা নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছিলেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রিসভা রদবদল করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। যদিও তার পরেও বিপ্লবের বিরুদ্ধে ধূমায়িত হতে থাকে ক্ষোভের আগুন। মানিক মুখ্যমন্ত্রী হতেই আমূল বদলে যায় ছবিটা। সেই কারণেই ত্রিপুরার কুর্সিতে ফের আসীন হতে চলেছে বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

  • Sagardighi By Election: সাগরদিঘিতে গোহারা তৃণমূল, বিপুল ভোটে জয়ী কংগ্রেস

    Sagardighi By Election: সাগরদিঘিতে গোহারা তৃণমূল, বিপুল ভোটে জয়ী কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে (Sagardighi By Election) ধরাশায়ী তৃণমূল (TMC)। ঘাসফুল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারালেন বাম সমর্থিত কংগ্রেস (Congress) প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে একটি আসনও পায়নি বাম-কংগ্রেস জোট। তবে সাগরদিঘি উপনির্বাচনে জয়ী হওয়ায় বিধানসভায় খাতা খুলল কংগ্রেস। একুশের বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে ৫০ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূলের প্রার্থী সুব্রত সাহা। তাঁর প্রয়াণে শূন্য হয়েছিল আসনটি। সেই আসনেই গোহারা হারল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল।

    সাগরদিঘি উপনির্বাচন (Sagardighi By Election)…

    সাগরদিঘি উপনির্বাচনে (Sagardighi By Election) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন ৯ জন প্রার্থী। যদিও মূল লড়াই হয়েছে কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন বিশ্বাস, তৃণমূল প্রার্থী দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি প্রার্থী দিলীপ সাহার মধ্যে। এদিন গণনার শুরু থেকেই এগিয়ে ছিলেন কংগ্রেস প্রার্থী বাইরন। গণনা শেষে দেখা যায় তৃণমূল প্রার্থীকে ২২ হাজার ৯৮০ ভোটে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন তিনি। বাইরন জয়ী হতেই অকাল হোলিতে মেতে ওঠেন সাগরদিঘির বাম ও কংগ্রেস কর্মীরা। বহরমপুরে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের কার্যালয়ের সামনে বাজি পোড়াতে থাকেন কংগ্রেস কর্মীরা।

    তৃণমূল আমাকে কিনতে পারবে না…

    সাগরদিঘি কেন্দ্রে জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত ছিলেন বাইরন। ফল ঘোষণার ঢের আগেই তিনি বলেছিলেন, জয় শুধু সময়ের অপেক্ষা। আমি জয়ী হব। মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, পরিবর্তন হবে সাগরদিঘি থেকেই। এদিন দুপুর পৌনে তিনটে নাগাদ বাইরনকে জয়ী ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তারপরেই বাইরন বলেন, লিখে রেখে দিন, তৃণমূল আমাকে কিনতে পারবে না। দরকারে তৃণমূলকে কিনে নেব।

    আরও পড়ুুন: নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ঝুলিতে কত কোটি টাকা এসেছে জানেন?

    দলীয় প্রার্থীর জয়ে (Sagardighi By Election) দৃশ্যতই খুশি কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে এর প্রভাব পড়বে কিনা, এ প্রশ্নের জবাবে অধীর বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন হলে তো প্রভাব পড়বে। যদি পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় থাকবেই না। এটাই তার প্রমাণ। তিনি বলেন, তৃণমূল ভোট লুঠের জন্য ক্রিমিনালদের জড়ো করেছিল। কেন্দ্রীয় বাহিনী সেই চেষ্টা ভেস্তে দিয়েছে। বাম-কংগ্রেস কর্মীরা ঝাঁপিয়ে পড়ে ভোট করেছে। অধীর বলেন, এখানকার সংখ্যালঘুরা বুঝিয়ে দিয়েছেন দ্বিচারিতাকে কীভাবে ধাক্কা দিতে হয়। খেলা এখনও অনেক বাকি আছে। 

    রাজনৈতিক মহলের মতে, রাজ্যের নানা কেলেঙ্কারিতে তৃণমূলের জড়িয়ে পড়াটা ভালো চোখে দেখেননি ভোটাররা। তার ফলেই ৫০ হাজারে জেতা আসনে প্রায় ২৩ হাজার ভোটে হারতে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
  • ADR: নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ঝুলিতে কত কোটি টাকা এসেছে জানেন?

    ADR: নির্বাচনী বন্ডে তৃণমূলের ঝুলিতে কত কোটি টাকা এসেছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের মোট আয়ের ৯৬ শতাংশেরও বেশি অর্থ এসেছিল নির্বাচনী বন্ড থেকে। এই হিসেবে ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বিজেপিকেও ছাপিয়ে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। নির্বাচনী বন্ড থেকে অর্থ পাওয়া মানে কর্পোরেট সংস্থা বা বড় প্রতিষ্ঠানের থেকে আসা চাঁদা। এই চাঁদার বেশিরভাগই এসে জমা হয়েছে তৃণমূলের (TMC) ঝুলিতে।

    এডিআর (ADR)…

    নির্বাচন নিয়ে গবেষণা করে অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস, সংক্ষেপে এডিআর (ADR)। বৃহস্পতিবার ২০২১-২২ অর্থবর্ষে জাতীয় রাজনৈতিক দলগুলির আয়-ব্যয়ের খতিয়ান প্রকাশ করেছে এই সংস্থা। তাতেই দেখা গিয়েছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের বছরে আয়ের নিরিখে তৃণমূল ছিল বিজেপির (BJP) পরেই। কংগ্রেসকে তৃতীয় স্থানে ঠেলে দিয়েছে তৃণমূল। আগের অর্থবর্ষের তুলনায় ২০২১-২২ অর্থবর্ষে তৃণমূলের আয় বেড়েছিল প্রায় ৬৩৩ শতাংশ। এই আয়ের ৯৬ শতাংশেরও বেশি অর্থ এসেছিল নির্বাচনী বন্ড থেকে। বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, নির্বাচনী বন্ডের বেশিরভাগ চাঁদাই বিজেপির ঝুলিতে যাচ্ছে। এডিআরের রিপোর্টে কিন্তু প্রকাশ, সিংহভাগ চাঁদা গিয়েছে তৃণমূলের ঝুলিতে।

    আরও পড়ুুন: নির্বাচন কমিশনকে ‘কলঙ্ক’মুক্ত করতে ঐতিহাসিক রায় সুপ্রিম কোর্টের

    জানা গিয়েছে, অরুণ জেটলি যখন অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তখন নির্বাচনী বন্ড (ADR) চালু করে মোদি সরকার। ওই সময় নির্বাচনী বন্ডে স্বচ্ছতা আনার দাবি করেছিল তৃণমূল। তাদের দাবি ছিল, কোন কর্পোরেট সংস্থা কোন দলকে চাঁদা দিচ্ছে, তা আনা হোক তথ্যের অধিকার আইনের আওতায়। এডিআরের রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ২০২১-২২ অর্থবর্ষে বিজেপির মোট আয় ছিল প্রায় ১৯১৭ কোটি টাকা। তৃণমূলের আয় ছিল ৫৪৫.৭৫ কোটি টাকা। আর কংগ্রেসের আয় ছিল ৫৪১.২৭ কোটি টাকা। এই টাকার শতকরা ৭৪ ভাগ অর্থই খরচ করে ফেলেছে কংগ্রেস। যদিও অর্ধেক টাকা খরচ করতে হয়নি বিজেপি এবং তৃণমূলকে। নির্বাচনী বন্ডের মাধ্যমে আয়েও কংগ্রেসকে পিছনে ফেলে দিয়েছে তৃণমূল। ওই অর্থবর্ষে এই খাতে বিজেপি আয় করেছে ১০৩৩ কোটি টাকা। তৃণমূলের আয় ছিল ৫২৮ কোটি টাকা। আর কংগ্রেস পেয়েছিল মাত্র ২৩৬ কোটি টাকা। এডিআরের (ADR) ওই রিপোর্ট থেকেই জানা গিয়েছে, দেশের আটটি জাতীয় দলের সম্মিলিত আয় ৩,২৮৯.৩৪ কোটি টাকা। এর ৫৮.২৮ শতাংশই গিয়েছে গেরুয়া ঝুলিতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

     
     

     

LinkedIn
Share