Tag: congress

congress

  • Jharkhand Politics: পদত্যাগ করছেন না হেমন্ত সোরেন! রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জানাল ঝাড়খণ্ডের শাসকজোট

    Jharkhand Politics: পদত্যাগ করছেন না হেমন্ত সোরেন! রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর সিদ্ধান্ত জানাল ঝাড়খণ্ডের শাসকজোট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিচ্ছেন না হেমন্ত সোরেন (Hemanta Soren)। বৃহস্পতিবার রাতে একথা স্পষ্ট জানিয়ে দেয় ঝাড়খন্ডের (Jharkhand) শাসকজোট। খনি মামলার জেরে বর্তমানে রাজ্যের নেতৃত্বে থাকাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে হেমন্ত সোরেনের। মুখ্যমন্ত্রী সহ ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা-কংগ্রেসের জোট সরকারকে একহাত নিয়েছে বিজেপি (BJP)। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের অফিস থেকে তথ্য ফাঁস করা হচ্ছে বলে রাজ্যপাল রমেশ বাইসকে চিঠি দিল ইউপিএ (UPA)। জোট সরকারকে অপদস্থ করার চেষ্টায় মিথ্যা প্রচার চালানো হচ্ছে বলে দাবি করেন ইউপিএ নেতারা।

    বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ রাজ্যপাল রমেশ বাইসের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে দেখা করে ইউপিএ জোটের বিধায়কদের প্রতিনিধি দল। তবে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন  সেই দলে ছিলেন না বলেই খবর। কংগ্রেস ইতিমধ্যেই পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছে, সোরেনের ইস্তফা দেওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বৈঠকের পর রাজ্য কংগ্রেসের সভাপতি বান্ধু তিরকে  জানিয়েছেন, “মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা দিচ্ছেন না। রাজ্যপাল আশ্বাস দিয়েছেন আর দু’দিনের মধ্যে পরিস্থিতি পরিষ্কার হয়ে যাবে। তাঁর কাছে আমরা জানতে চেয়েছি কী করে কিছু বিশেষ তথ্য এভাবে ফাঁস হয়ে গেল। তিনি দাবি করেছেন, তাঁর অফিস থেকে কোনও খবর বাইরে যায়নি।”

    আরও পড়ুন: নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগে কাঠগড়ায় হেমন্ত সোরেন, বিধায়ক পদ খারিজের সুপারিশ

    প্রসঙ্গত, খনি দুর্নীতি মামলায় হেমন্ত সোরেনকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন রিপোর্ট পেশ করার পর থেকেই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এই পরিস্থিতিতে দুর্নীতিমুক্ত সরকারের দাবি জানায় বিজেপি। ৮১ সদস্যের ঝাড়খণ্ড বিধানসভায় জেএমএম বিধায়ক ৩০ জন। এছাড়াও কংগ্রেসের ১৮ বিধায়ক ও একজন আরজেডি বিধায়ক রয়েছেন সরকারে। ইতিমধ্যেই বিজেপি দাবি করেছে, হেমন্ত সোরেনের উচিত নৈতিক দিক বিবেচনা করে নির্বাচনের দিকে যাওয়া। এখনই বিধানসভা ভেঙে ৮১টি কেন্দ্রেই নির্বাচন হোক। 

    অন্যদিকে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে ঝাড়খণ্ডে পুরনো পেনশন স্কিম কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। রাজনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে ৫ সেপ্টেম্বর একদিনের জন্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশন ডাকার কথা  ভাবা হয়েছে। সূত্রের খবর, হেমন্ত সোরেনের সরকার আস্থা ভোট আনার কথা ভাবছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     
  • Sonia Gandhi: প্রয়াত সোনিয়া গান্ধীর মা, শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির 

    Sonia Gandhi: প্রয়াত সোনিয়া গান্ধীর মা, শোকজ্ঞাপন প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রয়াত হলেন কংগ্রেসের (Congress) অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) মা পাওলা মেইনো (Paola Maino)। ২৭ অগাস্ট প্রয়াত হন তিনি। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ৩০ অগাস্ট, মঙ্গলবার। ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi), রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (Draupadi Murmu)।

    বয়স হয়েছিল ৯০। ভুগছিলেন বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায়। সে খবর পেয়ে মাকে দেখতে রাহুল ও প্রিয়ঙ্কাকে নিয়ে সোনিয়া গান্ধী ইটালি উড়ে যান ২৩ অগাস্ট। ২৭ অগাস্ট মৃত্যু হয় তাঁর মায়ের। এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক জয়রাম রমেশ ট্যুইট বার্তায় জানান, শ্রীমতি সোনিয়া গান্ধীর মা শ্রীমতি পাওলা মেইনো শনিবার ২৭ অগাস্ট ইটালিতে নিজের বাড়িতে প্রয়াত হয়েছেন। শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে গতকাল।

    ঘটনায় শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, প্রয়াত হয়েছেন সোনিয়া গান্ধীজির মা পাওলা মেইনো। শোকের সময় তাঁকে সমবেদনা জানাই। সোনিয়াজির মায়ের আত্মার শান্তি কামনা করি। এই শোকের সময় আমার চিন্তা তাঁর পুরো পরিবারকে নিয়ে।

    শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুও। ট্যুইট বার্তায় তিনি লিখেছেন, কংগ্রেস সভাপতি সোনিয়া গান্ধীর মা পাওলা মেইনো মারা গিয়েছেন শুনে দুঃখিত। তাঁকে ও তাঁর পরিবারকে আন্তরিক সমবেদনা জানাই। এই অপূরণীয় ক্ষতি সহ্য করার শক্তি ভগবান  তাঁকে দিন।

    আরও পড়ুন : জবাব সন্তোষজনক নয়, সোনিয়া-রাহুলকে ফের জেরা করতে পারে ইডি

  • Congress President Poll: ভোটে অংশ নিতে বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেসের জি-২৩!

    Congress President Poll: ভোটে অংশ নিতে বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেসের জি-২৩!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে (Congress President Poll) লড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসছে কংগ্রেসের (Congress) বিক্ষুব্ধ অংশ জি-২৩ (G-23)। অক্টোবরে নির্বাচন হওয়ার কথা ওই পদে। গত রবিবারই বৈঠকে বসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি (Congress Working Committee)। সেখানেই ঠিক হয় প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে হবে অক্টোবরে।    

    দীর্ঘদিন ধরে খালি পড়ে রয়েছে কংগ্রেস (Congress) সভাপতির পদ। উনিশের লোকসভা নির্বাচনের আগে ওই পদে বসানো হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। ভোটে বিজেপির (BJP) কাছে গোহারা হারে সোনিয়া গান্ধীর দল। হারের দায় ঘাড়ে নিয়ে পদত্যাগ করেন রাহুল। তার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। বয়সজনিত কারণে তিনি আর দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। দায়িত্ব নিতে রাজি নন রাহুলও। তাই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখে নির্বাচনী নোটিফিকেশন জারি করা হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শুরু হবে সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখে। চলবে ওই মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত। ৮ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ভোট হলে হবে ১৭ তারিখ সকাল ১০ থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। গণনা এবং ফল ঘোষণা হবে ১৯ তারিখে। 

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পর্যন্ত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিচ্ছে জি-২৩!

    কংগ্রেসের বিক্ষুদ্ধ অংশ যারা জি-২৩ নামে পরিচিত, আগামী সপ্তাহে নয়া দিল্লিতে বৈঠকে বসতে চলেছেন তাঁরা। সেখানেই ভোটে লড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। জি-২৩ এর এক নেতা বলেন, আমরা দেখব এটা প্রকৃত নির্বাচন নাকি সাজানো। তিনি বলেন, আমরা প্রথমে ভোটার তালিকা খুঁটিয়ে দেখব। যদি সাজানো হয়, তাহলে ভোটে অংশ নেওয়ার কোনও মানে হয় না। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহান রয়েছেন জি-২৩ শিবিরে। তিনি বলেন, দলে অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র চেয়ে দু বছর আগে আমরা চিঠি লিখেছিলাম সোনিয়া গান্ধীকে। তাই ভোটের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র কোনও একটি রাজনৈতিক দলের প্রাণবন্ততার প্রতীক। ইদানিং সব ক্ষেত্রে পার্টি হারছে। দলের অভ্যন্তরে ভোট হয়নি, মনোনীত কয়েকজন অফিস বেয়ারারই সব সিদ্ধন্ত নিচ্ছেন। জি-২৩ এর এক নেতা বলেন, কংগ্রেসের সব পদের ক্ষেত্রে নির্বাচন হওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেবল পার্টির প্রেসিডেন্ট নয়, পার্টির নিচুতলায় নির্বাচনও গুরুত্বপূর্ণ। তাঁর প্রশ্ন, নির্বাচনে অংশ নিলে ভুল কী হবে? এটা তো গণতন্ত্র!

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Congress: ফের ধস জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে, আড়ে বহরে বাড়ছে আজাদ শিবির!

    Congress: ফের ধস জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসে, আড়ে বহরে বাড়ছে আজাদ শিবির!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ধস জম্মু-কাশ্মীর (Jammu Kashmir) কংগ্রেসে (Congress)!

    দলীয় নেতৃত্বের প্রশ্নে ভিন্ন অবস্থানের জন্য  শুক্রবার কংগ্রেস ছেড়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ (Gulam Nabi Azad)। নয়া দল গড়ার পরিকল্পনাও করেছেন তিনি। সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই মঙ্গলবার আজাদের সমর্থনে কংগ্রেস ছাড়লেন জম্মু-কাশ্মীরের ৬০ জনেরও বেশি নেতা। প্রত্যাশিতভাবেই ভূস্বর্গে ফের একবার জোর ধাক্কা খেল সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) দল।

    কংগ্রেসের বিক্ষুদ্ধ গোষ্ঠী জি-২৩ (G-23) হিসেবে পরিচিত। এই জি-২৩ এর সদস্য ছিলেন গুলাম নবি আজাদ। দলে গণতন্ত্রের দাবিতে সরব হয়েছিলেন জি-২৩ এর নেতারা। এনিয়ে দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মনান্তরের জেরে সম্প্রতি দল ছাড়েন জম্মু-কাশ্মীরের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর সমর্থনে এদিন দল ছাড়লেন উপত্যকার এই ৬০ জন নেতাও। যাঁরা কংগ্রেস ছেড়ে আজাদ শিবিরে নাম লিখিয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তারা চাঁদও। কংগ্রেস আমলে মন্ত্রী এবং বিধায়ক ছিলেন এমন অনেক নেতাও দল ছেড়েছেন এদিন।

    গণইস্তফাপত্রে স্বাক্ষর করেছেন ৬৪ জন। এদিন এই ইস্তফাপত্র পাঠ করে শুনিয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক কংগ্রেসের বলবন সিং। তাতে বলা হয়েছে, কংগ্রেসে এই মুহূর্তে চলছে নেতৃত্বের সংকট। দল চলছে অগোছালভাবে। কয়েক দশক ধরে আমরা পার্টির সঙ্গে ছিলাম। জম্মু-কাশ্মীরে দলীয় সংগঠনের ভিত শক্ত করতে আমরা আমাদের সমস্ত শক্তি এবং সম্পদ ব্যয় করেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত আমরা দেখলাম  আমাদের অপমান করা হচ্ছে। ইস্তফাপত্রে এও বলা হয়েছে, আমাদের নেতা এবং অভিভাবক গুলাম নবি আজাদ দিন কয়েক আগে আপনাকে (সোনিয়া) চিঠি লিখে কংগ্রেস ছেড়েছিলেন। আমরা বিশ্বাস করি, আমাদেরও কংগ্রেস ছেড়ে বেরনোর সময় হয়েছে। একটি ইতিবাচক রাজনৈতিক সমাজ গঠনের জন্যই এটা প্রয়োজন।

    আরও পড়ুন : ভোটে অংশ নিতে বৈঠকে বসতে চলেছে কংগ্রেসের জি-২৩!

    প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারের আগে সোমবারও কংগ্রেস ছেড়েছিলেন চার নেতা। এর মধ্যে জম্ম-কাশ্মীর বিধানসভার প্রাক্তন ডেপুটি স্পিকারও রয়েছেন। দিনের পর দিন আজাদ শিবিরে যে ভিড় বাড়ছে, তারও আঁচ মিলেছে এদিন। একটা বিরাট সংখ্যক পঞ্চায়েত এবং পার্টি কর্মী কংগ্রেস ছেড়ে আজাদ শিবিরে নাম লেখাবেন বলে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন। আজাদেরও দাবি, তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কংগ্রেসের ৯৫ শতাংশ পঞ্চায়েত এবং ডিস্ট্রিক্ট কাউন্সিল সদস্য। জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের প্রধান বিকার রসুল (Vikar Rasool) বলেন, যাঁরা কংগ্রেস ছেড়েছেন, আমরা তাঁদের ছাঁট বলেই মনে করি। নয়া দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে দলে নতুন মুখ নিয়ে আসব আমরা।  

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Congress President Poll: কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়ছেন শশী থারুর? আর কে লড়ছে জানেন?

    Congress President Poll: কংগ্রেস সভাপতি পদে লড়ছেন শশী থারুর? আর কে লড়ছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস সভাপতি পদে (Congress President Poll) নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন শশী থারুর (Shashi Tharoor)। অন্তত একটি সূত্রে এমন খবরই মিলেছে। যদি তা হয়, তাহলে গান্ধী (Gandhi) পরিবারের কোনও সদস্য কিংবা ওই পরিবারের কোনও মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে লড়াই করবেন থারুর। যদিও এ ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট করে কিছু বলেননি থারুর।

    বছর দুয়েক ধরে খালি পড়ে রয়েছে কংগ্রেস (Congress) সভাপতির পদ।  উনিশের ভোটের আগে ওই পদে বসানো হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। ভোটে বিজেপির (BJP) কাছে গোহারা হারে কংগ্রেস। হারের দায় ঘাড়ে নিয়ে পদত্যাগ করেন রাহুল। তার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। বয়সজনিত কারণে তিনি আর দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। দায়িত্ব নিতে রাজি নন রাহুলও। তাই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ১৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন হবে ওই পদে।

    সূত্রের খবর, ওই পদে লড়তে চলেছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুর। যদিও তিনি বলেন, কিছুদিন অপেক্ষা করা যাক। কেবল থারুর নন, মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী পৃথ্বীরাজ চৌহানও প্রার্থী হতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের একটা অংশ এখনও রাহুল গান্ধীকে ওই পদে বসানোর মরিয়া চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও রাহুল রাজি নন। তিনি রাজি না হলে গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠ অশোক গেহলট প্রার্থী হতে পারেন বলে খবর। সেক্ষেত্রে তাঁর বিরুদ্ধে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশ, যারা জি-২৩ নামে পরিচিত।

    আরও পড়ুন : রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন?

    থারুর বলেন, আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে। কেবল তখনই আমি আপনাদের ব্যাখ্যা দিতে পারব। এখনই মন্তব্য করার জায়গায় আমি নেই। তিনি বলেন, আমি প্রার্থী হচ্ছি কিনা, তা এখনই বলব না। শুধু বলব, একটি গণতান্ত্রিক দলে নির্বাচন সব সময়ই ভাল। থারুরের প্রার্থী হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই তাকে স্বাগত জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। দলের তরফে জানানো হয়েছে, ভোটে যে কেউই লড়তে পারেন। প্রসঙ্গত, কংগ্রেস সভাপতি পদে শেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০০০ সালে। সেবার সোনিয়া গান্ধীর (Sonia Gandhi) বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছিলেন জিতেন্দ্র প্রসাদ। যদিও সোনিয়ার কাছে হেরে গিয়েছিলেন তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Congress President Polls: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন ১৭ অক্টোবর, ফল ঘোষণা কবে জানেন?

    Congress President Polls: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন ১৭ অক্টোবর, ফল ঘোষণা কবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে থাকা কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন (Congress President Polls) হতে চলেছে নবরাত্রি উৎসবের শেষে। অক্টোবরের ১৭ তারিখে ওই নির্বাচন হওয়ার কথা। ফল ঘোষণা হবে ১৯ তারিখে। রবিবার এই ঘোষণা করা হয় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির (Grand Old Party) তরফে।

    দীর্ঘদিন ধরে খালি পড়ে রয়েছে কংগ্রেস (Congress) সভাপতির পদটি। উনিশের ভোটের আগে ওই পদে বসানো হয়েছিল রাহুল গান্ধীকে। ভোটে বিজেপির (BJP) কাছে গোহারা হারে কংগ্রেস। হারের দায় ঘাড়ে নিয়ে পদত্যাগ করেন রাহুল। তার পর থেকে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ চালাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী। বয়সজনিত কারণে তিনি আর দায়িত্ব নিতে চাইছেন না। দায়িত্ব নিতে রাজি নন রাহুলও। তাই প্রয়োজন হয়ে পড়েছে নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন।

    এদিন দুপুরে বৈঠক বসে কংগ্রেস ওয়ার্কি কমিটির। মিনিট তিরিশেকের ওই বৈঠকের শেষে দলের সেন্ট্রাল ইলেকশন অথরিটির চেয়ারম্যান মধুসূদন মিস্ত্রি জানান, সেপ্টেম্বরের ২২ তারিখে নির্বাচনী নোটিফিকেশন জারি করা হবে। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কাজ শুরু হবে সেপ্টেম্বরের ২৪ তারিখে। চলবে ওই মাসের ৩০ তারিখ পর্যন্ত। ৮ অক্টোবর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। ভোট হলে হবে ১৭ তারিখ সকাল ১০ থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত। গণনা এবং ফল ঘোষণা হবে ১৯ তারিখে।  

    শুক্রবারই কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছেন বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ। কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী আজাদ কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ শিবির হিসেবে পরিচিত জি-২৩ গোষ্ঠীর অন্যতম মুখ ছিলেন। শুক্রবার দল ছাড়ার কারণ দর্শিয়ে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি লেখেন তিনি। ওই চিঠিতে কংগ্রেসের মেকানিজম ধ্বংস করার জন্য রাহুল গান্ধীকে নিশানা করেন তিনি।

    আরও পড়ুন : রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন?

    প্রসঙ্গত, গত বছরের অক্টোবরে কংগ্রেসের তরফে জানানো হয়েছিল পার্টির নয়া প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হবে ২০২২ সালের ২১ অগাস্ট থেকে ২০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে। পরে কংগ্রেসের একটা অংশ ভোটাভুটি এড়িয়ে রাহুলকেই ওই পদে বসানোর মরিয়া চেষ্টা করে বলে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির একটি সূত্রের খবর। ওই সূত্র মারফতই জানা গিয়েছে, এদিন পর্যন্তও ওই পদে বসতে রাজি হননি রাহুল। তাই ভোটাভুটি অনিবার্য বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Ghulam Nabi Azad: জম্মু-কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ! জানেন কী বললেন তাঁর অনুগামী

    Ghulam Nabi Azad: জম্মু-কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ! জানেন কী বললেন তাঁর অনুগামী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সেপ্টেম্বর মাসেই নতুন দল গড়ার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবেন গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। নতুন দল গঠন করে জম্মু ও কাশ্মীরের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচবনে লড়বেন তিনি। এমনকি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীও হবেন গুলাম, এমনই দাবি করলেন জম্মু-কাশ্মীরের যুব কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন বিধায়ক আমিন ভাট (Amin Bhat)। তিনি বলেন, ‘আমি আজাদের সঙ্গে দেখা করেছি। কীভাবে এগোব তা আলোচনা করব। আমরা ভারতীয় জনতা পার্টির বি-টিম নই।’

    কংগ্রেসের ইতিহাসে এখনও পর্যন্ত যে নেতা বা নেত্রীরা সবথেকে জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী হিসাবে পরিচিত, তাঁদের মধ্যে গুলাম নবি আজাদ অন্যতম ৷ বিশেষ করে জম্মু-কাশ্মীরে তাঁর নিজস্ব জনভিত্তি রয়েছে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। তাই আজাদের দলত্যাগের পরেই পদত্যাগের হিড়িক পড়ে যায় জম্মু ও কাশ্মীর কংগ্রেসে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রশাসিত ওই অঞ্চলের আট জন কংগ্রেস নেতা দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন তিন প্রভাবশালী প্রাক্তন মন্ত্রী— আব্দুল রশিদ, জিএম সরুরি এবং আরএস চিব। রয়েছেন আমিন ভট, গুলজার আহমেদ ওয়ানি, মহম্মদ আক্রমের মতো প্রাক্তন বিধায়কেরা। তাঁরা সকলেই আজাদের নয়া দলে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসে থাকবেন কেবল গান্ধীরাই, ভবিষ্যদ্বাণী অসমের মুখ্যমন্ত্রীর

    কংগ্রেসের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে (Sonia Gandhi) পাঠানো পদত্যাগপত্রে চিব লিখেছেন, জম্মু-কাশ্মীরের ভবিষ্যতের স্বার্থে কংগ্রেসের যে অবদান থাকা দরকার, তার জন্য যে গতিতে কাজ করা দরকার, দল সেই গতি হারিয়ে ফেলেছে ৷ এই পরিস্থিতিতে আজাদ-অনুগামী আমিন শনিবার  বলেন, ‘‘জম্মু ও কাশ্মীরের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হবেন গুলাম নবি আজাদ। অনেক দলের সমর্থনই পাবেন তিনি।’’ জম্মু ও কাশ্মীর বিধান পরিষদের প্রাক্তন সদস্য তথা আজাদ অনুগামী কংগ্রেস নেতা নরেশ গুপ্তও একই দাবি করেছেন। প্রসঙ্গত,শুক্রবার কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদে ইস্তফা দেওয়ার পরেই নতুন দল গড়ে জম্মু ও কাশ্মীরে পরবর্তী বিধানসভা ভোটে লড়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন আজাদ। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • GN Azad Quits Congress: দল চালাচ্ছে রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তারক্ষী এবং আপ্তসহায়ক! বিস্ফোরক মন্তব্যের  পর কংগ্রেসের হাত ছাড়লেন আজাদ

    GN Azad Quits Congress: দল চালাচ্ছে রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তারক্ষী এবং আপ্তসহায়ক! বিস্ফোরক মন্তব্যের পর কংগ্রেসের হাত ছাড়লেন আজাদ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের ‘হাত’ ছাড়লেন বর্ষীয়ান নেতা গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। কংগ্রেসের সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তিনি। শুধু সব পদ ছাড়াই নয়, কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার আগে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে রীতিমতো বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন তিনি। আজাদের দাবি, রাহুল সহ-সভাপতি হওয়ার পর দলের গঠনতন্ত্র ভেঙে গিয়েছে। যে সিনিয়র নেতাদের পরামর্শে ইউপিএ (UPA) সরকার সফল হয়েছিল, সেই সিনিয়রদেরই উপেক্ষা করেছেন রাহুল। তিনি লিখেছেন রাহুলের নেতৃত্বে, ‘দেশের জন্য যা ভাল, তা করতে ব্যর্থ হয়েছে কংগ্রেস।’ তাঁর মতে, “এখন দল চালাচ্ছে রাহুল গান্ধীর নিরাপত্তারক্ষী এবং আপ্তসহায়ক।”

    পাঁচ পাতার পদত্যাগপত্রে গুলাম নবি লিখেছেন, ‘গোটা সাংগঠনিক নির্বাচনী প্রক্রিয়াই একটা প্রহসন। দেশের কোথাও সংগঠনের কোনও পর্যায়ের নির্বাচনই হয়নি।’বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা পদত্যাগপত্রে দাবি করেছেন, ২০১৪ সালে ইউপিএ সরকারের হারের অন্যতম কারণ, রাহুল গান্ধীর অপরিণতমনস্কতা এবং ছেলেমানুষি। যেভাবে তিনি কেন্দ্রীয় সরকারের পাশ করানো একটি অর্ডিন্যান্স প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলেছিলেন, তাতেই প্রচারের হাতিয়ার পেয়েছিল বিরোধীরা।

    এখানেই থামেননি আজাদ। দীর্ঘ চিঠিতে তিনি আরও দাবি করেছেন, “২০১৪ সালের পর রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে কংগ্রেস দুটি লোকসভা নির্বাচনে লজ্জাজনকভাবে হেরেছে। ৪৯টি রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে ৩৯টি হেরেছে। এর মধ্যে কংগ্রেস নিজের দমে মাত্র ৪টি রাজ্যের বিধানসভা ভোটে জিতেছে। আর ৬ বার জোটসঙ্গীদের সঙ্গে ক্ষমতায় এসেছে। দুঃখজনকভাবে আজ কংগ্রেস মাত্র দুটি রাজ্যে ক্ষমতায়। আর দুটি রাজ্যে শাসক জোটের প্রান্তিক শক্তি।”

    আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে ৫জি, চলতি দশকের শেষে ৬জি! জানুন দেশে প্রযুক্তি বিপ্লব নিয়ে কী বললেন প্রধানমন্ত্রী

    চিঠিতে কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের কথা যেমন পদত্যাগপত্রে তুলে ধরেছেন গুলাম নবি, তেমনই দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে ‘নিবিড় সম্পর্কের’ প্রসঙ্গও উল্লেখ করেছেন। কয়েক দিন আগে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রচার কমিটি এবং রাজনৈতিক বিষয়ক প্যানেল থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন গুলাম নবি। ২০২০ সালের অগস্টে যে ২৩ জন নেতা সনিয়াকে চিঠি দিয়ে দলীয় নির্বাচন এবং স্থায়ী সভাপতি নিয়োগের দাবি জানিয়েছিলেন, তাঁদের মধ্যে ছিলেন আজাদ। পাঁচ পাতার পদত্যাগপত্রে তাঁর দাবি, ৮ বছরে নেতৃত্বের অপদার্থতায় কংগ্রেস এমন জায়গায় পৌঁছে গিয়েছে, যেখান থেকে আর ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব নয়।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Jaiveer Shergill : নেতৃত্বকে দায়ী করে কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা জয়বীর শেরগিলের

    Jaiveer Shergill : নেতৃত্বকে দায়ী করে কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা জয়বীর শেরগিলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (Congress) জাতীয় মুখপাত্রের (National Spoke Person) পদে ইস্তফা (Resign) দিলেন জয়বীর শেরগিল (​Jaiveer Shergill)! বুধবার পদত্যাগের আগে গান্ধি পরিবারের বিরুদ্ধে চিঠিতে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। পদত্যাগের পর সাংবাদিক বৈঠকে জয়বীর জানান, তিন গান্ধিই এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ রাখেননি। তিনি বলেন, “দলের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা কখনই বাস্তবায়িত হয় না। আমি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাহুল গান্ধি, সনিয়া গান্ধি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধির কাছে সময় চাইছি, কিন্তু অফিসে আমাদের ঢুকতেই দেওয়া হয় না।” 

    আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন?

    তিনি আরও বলেন, “গত আট বছরে, আমি কংগ্রেসের কাছ থেকে কিছুই নিইনি, কেবল দিয়ে গিয়েছি। আজ আমাকে জনগণের সামনে মাথা নত করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে, সেটা মেনে নিতে পারব না।” পদত্যাগপত্রে এই কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেছেন ‘তোষামদকারীদের’ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে নেতৃত্ব। চিঠিতে জয়বীর লেখেন, “এটা বলতে আমার কষ্ট হচ্ছে যে, দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ আর জনসাধারণের এবং দেশের স্বার্থের জন্য নয়, তোষামদকারীদের স্বার্থ দেখা হচ্ছে। বাস্তবতাকে উপেক্ষা করছে নেতৃত্ব। এসব আমি নৈতিকভাবে মেনে নিতে পারি না।”  

     

    ৩৯ বছর বয়সী এই আইনজীবী কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ এবং সবচেয়ে বিশিষ্ট মুখপাত্রদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। দুই প্রবীণ নেতা, গুলাম নবী আজাদ এবং আনন্দ শর্মা নিজ রাজ্যে তাঁদের দলীয় পদ ছেড়ে দেওয়ার পর এই মাসে এই নিয়ে কংগ্রেসে এটি তৃতীয় হাইপ্রোফাইল পদত্যাগ। ‘

    আরও পড়ুন: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে জয়বীরকে সংবাদ সম্মেলন করতে দেওয়া হচ্ছিল না। জয়বীরের পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এসেছে। সামনেই রয়েছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। এর আগে জয়বীরের পদত্যাগ কংগ্রেসের জন্যে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    পদত্যাগের পর, ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকেও কংগ্রেসের নাম সরিয়ে দিয়েছেন জয়বীর শেরগিল। গত কয়েক মাস ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল ওই নেতার। গত কয়েক মাসে তাঁকে একটিও সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেখা যায়নি। বছর শেষেই হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগে দলের স্টিয়ারিং কমিটির প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আনন্দ শর্মা। তিনি জানিয়েছিলেন, দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাঁকে যুক্ত করা হচ্ছে না। আত্মসম্মানের সঙ্গে আপোস করবেন না বলেই পদ ছাড়ছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • PIL: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    PIL: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস-সহ রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলের প্রথম সারির ১৭ জন নেতার নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় সবরকম সহোযোগিতার আশ্বাস দিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের আইনজীবী। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সময় সিপিএমের দুই নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য এবং মহম্মদ সেলিমের আইনজীবীরা জানান, তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তাঁদের মক্কেলরা। কিন্তু তদন্ত করাতে হবে যে কোনও নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে। আইনজীবীরা এদিন স্পষ্টই জানান, মামলায় সবরকম সহযোগিতা করবেন তাঁরা। তবে মামলার নথি আদান প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় শুনানিপর্ব পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগামী মঙ্গলবার ৩০ অগাস্ট ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    এর আগে শাসকদলের ১৯ জন নেতামন্ত্রীর নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছিল। যে মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তারই পাল্টা বিরোধীদের ১৭ নেতার বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে জনৈক সুজিত গুপ্ত এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলাকারী জানান, ১৭ জন বিজেপি বিধায়ক-সাংসদ এবং অন্যান্য দলের নেতার আয় ও সম্পত্তি বৃদ্ধি নজরে রাখা উচিত। কারও কারও সম্পত্তি দ্বিগুণ বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন মামলাকারী।

    আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম

    এই মামলায় নাম রয়েছে তৃণমূলের কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। এছাড়া রয়েছে, বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের নামও। নাম রয়েছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সিনহার (রাহুল সিনহা)। নাম রয়েছে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল মান্নান, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের।

LinkedIn
Share