Tag: congress

congress

  • Jaiveer Shergill : নেতৃত্বকে দায়ী করে কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা জয়বীর শেরগিলের

    Jaiveer Shergill : নেতৃত্বকে দায়ী করে কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্রের পদ থেকে ইস্তফা জয়বীর শেরগিলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (Congress) জাতীয় মুখপাত্রের (National Spoke Person) পদে ইস্তফা (Resign) দিলেন জয়বীর শেরগিল (​Jaiveer Shergill)! বুধবার পদত্যাগের আগে গান্ধি পরিবারের বিরুদ্ধে চিঠিতে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি। পদত্যাগের পর সাংবাদিক বৈঠকে জয়বীর জানান, তিন গান্ধিই এক বছরেরও বেশি সময় ধরে তাঁর সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ রাখেননি। তিনি বলেন, “দলের বৈঠকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তা কখনই বাস্তবায়িত হয় না। আমি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে রাহুল গান্ধি, সনিয়া গান্ধি এবং প্রিয়াঙ্কা গান্ধির কাছে সময় চাইছি, কিন্তু অফিসে আমাদের ঢুকতেই দেওয়া হয় না।” 

    আরও পড়ুন: রাহুল গান্ধী রাজি না হলে কংগ্রেস সভাপতি পদে কে জানেন?

    তিনি আরও বলেন, “গত আট বছরে, আমি কংগ্রেসের কাছ থেকে কিছুই নিইনি, কেবল দিয়ে গিয়েছি। আজ আমাকে জনগণের সামনে মাথা নত করার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে, সেটা মেনে নিতে পারব না।” পদত্যাগপত্রে এই কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেছেন ‘তোষামদকারীদের’ দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছে নেতৃত্ব। চিঠিতে জয়বীর লেখেন, “এটা বলতে আমার কষ্ট হচ্ছে যে, দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ আর জনসাধারণের এবং দেশের স্বার্থের জন্য নয়, তোষামদকারীদের স্বার্থ দেখা হচ্ছে। বাস্তবতাকে উপেক্ষা করছে নেতৃত্ব। এসব আমি নৈতিকভাবে মেনে নিতে পারি না।”  

     

    ৩৯ বছর বয়সী এই আইনজীবী কংগ্রেসের সর্বকনিষ্ঠ এবং সবচেয়ে বিশিষ্ট মুখপাত্রদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। দুই প্রবীণ নেতা, গুলাম নবী আজাদ এবং আনন্দ শর্মা নিজ রাজ্যে তাঁদের দলীয় পদ ছেড়ে দেওয়ার পর এই মাসে এই নিয়ে কংগ্রেসে এটি তৃতীয় হাইপ্রোফাইল পদত্যাগ। ‘

    আরও পড়ুন: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    জানা গিয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে জয়বীরকে সংবাদ সম্মেলন করতে দেওয়া হচ্ছিল না। জয়বীরের পদত্যাগের মধ্যে দিয়ে কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্ব আবারও প্রকাশ্যে এসেছে। সামনেই রয়েছে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। এর আগে জয়বীরের পদত্যাগ কংগ্রেসের জন্যে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    পদত্যাগের পর, ট্যুইটার হ্যান্ডেল থেকেও কংগ্রেসের নাম সরিয়ে দিয়েছেন জয়বীর শেরগিল। গত কয়েক মাস ধরেই দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল ওই নেতার। গত কয়েক মাসে তাঁকে একটিও সাংবাদিক সম্মেলন করতে দেখা যায়নি। বছর শেষেই হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। ঠিক তার আগে দলের স্টিয়ারিং কমিটির প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আনন্দ শর্মা। তিনি জানিয়েছিলেন, দলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাঁকে যুক্ত করা হচ্ছে না। আত্মসম্মানের সঙ্গে আপোস করবেন না বলেই পদ ছাড়ছেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি।     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

  • PIL: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    PIL: বাম-বিজেপি নেতাদের সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে নয়া মোড়! কী হল আদালতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি, সিপিএম, কংগ্রেস-সহ রাজ্যের সমস্ত বিরোধী দলের প্রথম সারির ১৭ জন নেতার নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলায় সবরকম সহোযোগিতার আশ্বাস দিলেন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমের আইনজীবী। মঙ্গলবার মামলার শুনানির সময় সিপিএমের দুই নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য এবং মহম্মদ সেলিমের আইনজীবীরা জানান, তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করবেন তাঁদের মক্কেলরা। কিন্তু তদন্ত করাতে হবে যে কোনও নিরপেক্ষ এবং স্বাধীন সংস্থাকে দিয়ে। আইনজীবীরা এদিন স্পষ্টই জানান, মামলায় সবরকম সহযোগিতা করবেন তাঁরা। তবে মামলার নথি আদান প্রদানের প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ না হওয়ায় শুনানিপর্ব পিছিয়ে দেওয়া হয়। আগামী মঙ্গলবার ৩০ অগাস্ট ফের এই মামলার শুনানি হবে।

    এর আগে শাসকদলের ১৯ জন নেতামন্ত্রীর নামে সম্পত্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি মামলা হয়েছিল। যে মামলায় ইডিকে পার্টি করার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। তারই পাল্টা বিরোধীদের ১৭ নেতার বিরুদ্ধে অস্বাভাবিক সম্পত্তি বৃদ্ধির অভিযোগে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। গত সপ্তাহেই কলকাতা হাইকোর্টে জনৈক সুজিত গুপ্ত এই জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন। আদালতে মামলাকারী জানান, ১৭ জন বিজেপি বিধায়ক-সাংসদ এবং অন্যান্য দলের নেতার আয় ও সম্পত্তি বৃদ্ধি নজরে রাখা উচিত। কারও কারও সম্পত্তি দ্বিগুণ বেড়েছে বলেও উল্লেখ করেন মামলাকারী।

    আরও পড়ুন: ভিনরাজ্য থেকে আসা ইমাম ও মাদ্রাসা শিক্ষকদের পুলিশ ভেরিফিকেশন বাধ্যতামূলক! অসমে কেন এই নয়া নিয়ম

    এই মামলায় নাম রয়েছে তৃণমূলের কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী ও তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও। এছাড়া রয়েছে, বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী, বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের নামও। নাম রয়েছে বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ, কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজকুমার ওরাওঁ, কোচবিহার দক্ষিণের বিধায়ক মিহির গোস্বামী, আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল, বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত, বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য, বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা, বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি, বিজেপি নেতা বিশ্বজিৎ সিনহার (রাহুল সিনহা)। নাম রয়েছে কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা আব্দুল মান্নান, সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম ও সিপিএম নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের।

  • G 23: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পর্যন্ত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিচ্ছে জি-২৩!

    G 23: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন পর্যন্ত ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ নীতি নিচ্ছে জি-২৩!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন (Congress President Polls) পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় দলের বিক্ষুব্ধ অংশ। পুরো পরিস্থিতির ওপর নজরও রাখছেন ওই গোষ্ঠীর নেতারা। সভাপতি নির্বাচন শেষ হলেই পরবর্তী পদক্ষেপ করবেন কংগ্রেসের (Congress) এই বিক্ষুব্ধ অংশ। দলে যাঁরা জি-২৩ (G 23) নামেই পরিচিত।

    উনিশের লোকসভা নির্বাচনে পদ্ম শিবিরের কাছে গোহারা হারে কংগ্রেস। বিপুল শক্তি নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফেরে বিজেপি (BJP)। ফের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। লোকসভা নির্বাচনে দলের ভরাডুবির দায় ঘাড়ে নিয়ে জাতীয় সভাপতির পদে ইস্তফা দেন রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তার পর থেকে পদটি ফাঁকাই পড়ে রয়েছে। বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বয়সজনিত কারণে তিনি আর সভাপতির পদে বসতে চান না। এর পরে দলের একটা অংশ রাহুলকেই ওই পদে বসাতে উদ্যোগী হয়। তবে তিনি যে ওই পদে বসতে চান না তাও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন। সেই কারণেই শুরু হয়েছে নির্বাচন। পুরো প্রক্রিয়াটি শেষ হবে ২০ সেপ্টম্বরের মধ্যে। শেষমেশ কে ওই পদে বসেন, তা দেখেই পরবর্তী পদক্ষেপ স্থির করবে জি-২৩ গোষ্ঠী।

    আরও পড়ুন : দুটো নামে সীমাবদ্ধ নয় কংগ্রেস! জানেন গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে কি বললেন আনন্দ শর্মা

    গত বছরই প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন শুরু হয়েছিল। তবে করোনা পরিস্থিতি এবং তার পর কয়েকটি রাজ্যে ভোটের কারণে তা স্থগিত হয়ে যায়। চলতি বছর ফের ভোট প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে নতুন করে। কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ অংশের এক প্রবীণ নেতা বলেন, সভাপতি নির্বাচনের চেয়েও আশু প্রয়োজন কংগ্রেস ওয়ার্কি কমিটি এবং পার্লামেন্টারি বোর্ডের নির্বাচন। কারণ কংগ্রেসে এই দুটিই হল ক্ষমতার ভরকেন্দ্র। কংগ্রেসে এই মুহূর্তে প্রয়োজন তৃণমূল স্তরের নেতার। তিনি বলেন, কংগ্রেসের সিংহভাগ পদ দখল করে বসে রয়েছেন গান্ধী পরিবারের ঘনিষ্ঠরা। দলের কাজকর্ম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেই এই নেতারা চুপ করিয়ে দেন। অথচ এঁদের সঙ্গে দলের তৃণমূল স্তরের কোনও সম্পর্কই নেই।

    আরও পড়ুন : সভাপতি পদে রাহুলের ‘না’, গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা পাচ্ছে কংগ্রেস?

    সম্প্রতি দল রাজ্য ইউনিটের দায়িত্ব দিয়েছিল বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর গুলাম নবি আজাদ এবং আনন্দ শর্মাকে। দুজনেই তা প্রত্যাখ্যান করেছেন। জি-২৩-র ওই প্রবীণ নেতা বলেন, তাঁরা ওই পদ গ্রহণ করেননি, কারণ দল হারলেই বলির পাঁঠা করা হত তাঁদের। বিক্ষুব্ধ শিবির সূত্রে খবর, সেই কারণেই ‘ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ’ পলিসি নিয়েছে জি-২৩।

     

  • Sushil Modi: ’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির  

    Sushil Modi: ’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি (BJP) সঙ্গ ছেড়ে জেডিইউ (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar) কংগ্রেস (Congress) এবং আরজেডিকে (RJD) নিয়ে গড়েছেন মহাজোট। নীতিশের নেতৃত্বে শপথও নিয়েছে নয়া মন্ত্রিসভা। তার পরেই নীতীশকে তোপ বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীলকুমার মোদির (Sushil Kumar Modi)। সংবাদ মাধ্যমকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেন, নীতীশের লক্ষ্য প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    অষ্টমবারের জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন নীতীশ। তার পরেই তাঁকে নিশানা করেন সুশীল মোদি। তিনি বলেন, নীতীশকুমার দীর্ঘদিন ধরে মনের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন লালন করছিলেন। কিন্তু বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধেও সেরকম কোনও সুযোগ মেলেনি তাঁর। কারণ বিজেপিতে উঁচু দরের অনেক নেতা রয়েছেন। নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহ সহ অন্যরা রয়েছেন। আঠারো বছর ধরে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদ সামলানোর পরে তিনি চাইছিলেন একটি ঝাঁপ দিতে। তিনি বলেন, নীতীশ কুমারের লক্ষ্য, লালন সিংয়ের লোভ এবং লালু যাদবের ক্ষমতায় ফিরতে বেপরোয়া হওয়া এই তিন কারণের জেরে বিহারের এই পট পরিবর্তন।

    আরও পড়ুন : বিজেপি-সঙ্গ ত্যাগ নিছক উপলক্ষ, নীতীশের লক্ষ্য কি প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি?

    বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, নীতীশকে উপরাষ্ট্রপতি পদে বসানোর একটা ভাবনা জেডিইউয়ের তরফে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বের কানে। তবে বিজেপি সেটা গ্রহণ করেনি। কিছু বিষয় ছিল। তার পরেও তাঁর লাগাম পরানো যায়নি তাঁর লক্ষ্যে। সুশীল মোদি বলেন, নীতীশের জনপ্রিয়তা প্রশ্নের মুখে পড়েছিল। ২০১০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তিনি পেয়েছিলেন ১১৫টি আসন। ২০১৫তে কমে তা দাঁড়ায় ৭১এ। আর ২০২০ সালের নির্বাচনে তাঁর দল পায় মাত্রই ৪৩টি আসন। যেটা বেড়ে এখন ৪৫ হয়েছে। তিনি বলেন, নীতীশ যে ক্রমেই তেজস্বী যাদব শিবিরের দিকে ঝুঁকছেন, তা আমরা জানতাম। কিন্তু আমরা ভাবতে পারিনি তিনি তাঁর পুরানো শত্রু লালুর দলের সঙ্গে হাত মেলাবেন। ১৯৯৪ সালে নিজে দল গড়বেন বলে লালুকে প্রত্যাখান করেছিলেন নীতীশ। সেই থেকে ’১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বিজেপির সঙ্গেই ছিলেন। প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, একটা জিনিস পরিষ্কার। বিহার বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচনে আমরা নরেন্দ্র মোদির নামেই ভোট চাইব। তিনি বলেন, বিহার বিধানসভার পরবর্তী নির্বাচনে কী হবে তা বলতে পারব না। তবে ’২৪ সালে মানুষ মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন। সুশীল মোদি বলেন, বিহারে বিজেপির বুথ স্তর পর্যন্ত শক্তপোক্ত নেটওয়ার্ক রয়েছে এবং আমরা সব শ্রেণিকে নিয়ে কাজ করছি। বিহারে নরেন্দ্র মোদি পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের প্রতিনিধির প্রতীক। তাই বলতেই পারি, মণ্ডলও (মণ্ডল কমিশন) আমাদের সঙ্গে রয়েছে, রয়েছে কমন্ডলুও (হিন্দু ভোট ব্যাংক)।

    আরও পড়ুন : বিজেপি ছেড়ে আরজেডি! মুখ্যমন্ত্রী নীতীশই, জানুন কী বলছে বিহারের নয়া সমীকরণ

  • Bihar Cabinet: নব কলেবরে নীতীশ মন্ত্রিসভা, আরজেডি পেল কোন কোন দফতর?  

    Bihar Cabinet: নব কলেবরে নীতীশ মন্ত্রিসভা, আরজেডি পেল কোন কোন দফতর?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহ আগে বিহারে (Bihar) শপথ নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ও উপমুখ্যমন্ত্রী। সপ্তাহ পার হতে সম্প্রসারিত হল বিহারের নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)  মন্ত্রিসভা। এদিন সব মিলিয়ে শপথ নিলেন ৩১ জন মন্ত্রী (Minister)।

    এনডিএ (NDA) জোট ছিন্ন করে বেরিয়ে আসে জনতা দল ইউনাইটেড (JDU)। মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন জেডিইউ সুপ্রিমো নীতীশ কুমার। এর পরেই কংগ্রেস (Congress) এবং আরজেডির (RJD) সঙ্গে জোট বেঁধে মহাজোট গঠনের কথা ঘোষণা করা হয় জনতা দল ইউনাইটেডের তরফে। সেই মতো গত মঙ্গলবারই মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন নীতীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী হন আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব। তার পর এদিন সম্প্রসারিত হল নীতীশ মন্ত্রিসভা।

    আরও পড়ুন :নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    এদিন রাজ্যপাল ফাগু চৌহানের কাছে শপথ নেন ৩১ জন মন্ত্রী। জানা গিয়েছে, তাঁদের সিংহভাগই আরজেডির। মহাজোটের মোট ৩০ জন বিধায়ক ঠাঁই পেয়েছেন বিহারের নয়া মন্ত্রিসভায়। এর মধ্যে আরজেডি পেয়েছে ১৬টি দফতর। জেডিইউয়ের হাতে রয়েছে ১১টি দফতর। কংগ্রেসের দুই বিধায়ক, জিতিন রাম মাঝির হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার এক বিধায়ক এবং একমাত্র নির্দল বিধায়ক সুমিত কুমার সিং-ও শপথ নিয়েছেন। নীতীশ তাঁর দলের বিজয়কুমার চৌধুরী, অশোক চৌধুরী, সঞ্জয় ঝা, মদন সাহনি, জয়ন্ত রাজ, শীলা মণ্ডল, বিজেন্দ্র যাদব, শ্রাবণ কুমার, সুনীর কুমার ও জামা খান সহ তাঁর দলের বেশিরভাগ মন্ত্রীদের নয়া মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়েছেন। এদিন আরজেডির যাঁরা শপথ নিয়েছেন, তাঁরা হলেন তেজ প্রতাপ যাদব, সুরেন্দ্র যাদব, ললিত যাদব, কুমার সর্বজিৎ, সুরেন্দ্র রাম, শাহনওয়াজ আলম, সমীর মহাশেঠ, ভারত মণ্ডল, অনিতা দেবী ও সুধাকর সিং। কংগ্রেসের আফাক আলম, মুরারি লাল গৌতমকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার সন্তোষ সুমনও শপথ নিয়েছেন এদিন। বিহারের মন্ত্রিসভায় মুখ্যমন্ত্রী সহ মোট মন্ত্রীর জায়গা হতে পারে ৩৬ জনের। ভবিষ্যৎ সম্প্রসারণের কথা মাথায় রেখে কিছু দফতর খালি রাখা হবে। ২৪ অগাস্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে পারে নীতিশ সরকার।

    জানা গিয়েছে, নীতীশের হাতে থাকছে স্বরাষ্ট্র, প্রশাসনিক, ক্যাবিনেট সচিবালয় ও নির্বাচন দফতর।  তেজস্বীর হাতে থাকছে— স্বাস্থ্য, রাস্তা নির্মাণ, নগরোন্নয়ন, হাউসিং ও গ্রামোন্নয়ন। তেজস্বীর দাদা, তেজ প্রতাপ যাদব পেয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন দফতরের দায়িত্ব। বিজয় কুমার চৌধুরীর হাতে গিয়েছে অর্থ, বাণিজ্যিক রাজস্ব ও সংসদ বিষয়ক দফতর। বিজেন্দ্র যাদব পেয়েছেন শক্তি, প্ল্যানিং ও ডেভেলপমেন্ট।

    আরও পড়ুন : পাটনায় পালাবদল! নীতীশ মুখ্যমন্ত্রী হলেও বেশি ক্ষমতা থাকবে লালু-পুত্রর হাতে?

     

  • Bihar Politics: পাটনায় পালাবদলের পট তৈরি করেন সনিয়া! কবে জানেন

    Bihar Politics: পাটনায় পালাবদলের পট তৈরি করেন সনিয়া! কবে জানেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাটনায় পালাবদলের প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন বহুদিন আগে থেকেই। কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী যখন করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তখনই তাঁকে ফোন করেন জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার। সনিয়াকে ফোন করে নীতীশ দাবি করেন, বিজেপি তাঁর দল ভাঙার চেষ্টা করছে। তাঁকে যদি কংগ্রেস সাহায্যের আশ্বাস দেয় তাহলে তিনি বিকল্প ভাবতে পারেন বলে জানিয়েছিলেন নীতীশ। সূত্রের খবর, তখনই তাঁকে রাহুল গান্ধীর সঙ্গে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন সনিয়া। সেই মতোই তেজস্বী যাদবের সাহায্য নিয়ে রাহুলের সঙ্গে কথা বলেন নীতীশ। তৈরি হয় পালাবদলের পট।

    বিজেপির সঙ্গে বিরোধ-দূরত্বের মাঝেই কয়েকদিন আগেও কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে ফোন করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। জেডিইউ নেতার হঠাৎ এই ফোনেই বিহারে নতুন জোট ও সরকার গঠনের জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরসিপি সিং আনুষ্ঠানিকভাবে জেডিইউ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই বিজেপি-জেডিইউ জোটের অন্দরে বিরোধ আরও বাড়ে। বিজেপি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন নীতীশ। বুধবার কংগ্রেস, আরজেডির সঙ্গে মিলে নতুন সরকার গঠন করে জেডিইউ।

    আরও পড়ুন: ‘পল্টুরাম’ হলেন ‘কাল্টুরাম’, নীতীশকে বেনজির আক্রমণ গিরিরাজের

    ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের সময় থেকেই নীতীশ কুমার যে বিজেপির উপরে অসন্তুষ্ট ছিলেন, তা ঘনিষ্ট সূত্রেই জানা গিয়েছিল। সম্প্রতি নানা অনুষ্ঠানে তেজস্বী যাদব ও নীতীশ কুমরকে এক মঞ্চে দেখা যাওয়ায় এবং ইফতারের নিমন্ত্রণ রক্ষায় দুই নেতাই একে অপরের বাড়ি যাওয়ায় ফের একবার আরজেডি-জেডিইউয়ের কাছাকাছি আসার জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরমধ্যে সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে কথোপকথন অগ্নিতে ঘৃতহুতির কাজ করে। ২০২০ সালের ভোটের ফল অনুযায়ী বিহারের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি। যদি জেডিইউ ফের একবার আরজেডির সঙ্গে হাত মেলায় এবং কংগ্রেসও সেই জোটে যোগ দেয়, তবে এনডিএ সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারের মতো বিপুল জনসংখ্যা ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সরকার বদল হলে তা মোদি সরকারের কাছে বড় ধাক্কা হবে।

     

  • Ghulam Nabi Azad: দায়িত্ব পেয়েই ইস্তফা গুলাম নবি আজাদের, ‘ক্ষোভের আঁচে’ বিপাকে কংগ্রেস  

    Ghulam Nabi Azad: দায়িত্ব পেয়েই ইস্তফা গুলাম নবি আজাদের, ‘ক্ষোভের আঁচে’ বিপাকে কংগ্রেস  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দলের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরেই পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস (Congress) নেতা গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। যার জেরে বেকায়দায় কংগ্রেস। প্রবীণ এই কংগ্রেস নেতা জানিয়েছেন, শারীরিক কারণেই নতুন দায়িত্ব নেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

    জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu Kashmir) শুরু হয়ে গিয়েছে ভোটের প্রস্তুতি। কেন্দ্রীয় বিভিন্ন মন্ত্রীর বক্তব্য থেকে এটা স্পষ্ট, ভূস্বর্গে নির্বাচন হতে পারে নভেম্বরে কিংবা নতুন বছরের গোড়ায়। এই সময় সীমার মধ্যে ভোট রয়েছে আরও কয়েকটি রাজ্যেও। তাই সংগঠন ঢেলে সাজাতে শুরু করেছে অগোছাল কংগ্রেস। সেই মতো গুলাম নবিকে দেওয়া হয় প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। সেই পদেই ইস্তফা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এই কংগ্রেস নেতা। 

    কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে গুলাম নবির ক্ষোভ নতুন নয়। নেতৃত্ব বদলের দাবিতে ২০২০ সালে যে ২৩ জন জন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন, তার অন্যতম শরিক ছিলেন গুলাম নবিও। দলের অন্দরে একাধিক পরিবর্তনের দাবিতে বারবার সোচ্চার হয়েছিলেন তিনি। বিক্ষুব্ধ নেতাদের সঙ্গে একাধিকবার বৈঠকও করেছিলেন। তার পরেও দলীয় সংগঠনে কোনও বদল আসেনি বলে অভিযোগ। এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার তাঁকে ওই পদ দেওয়া হয়। দায়িত্ব দেওয়ার ঘণ্টা দুই পরেই ইস্তফা দেন জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।  ইস্তফার কারণ হিসেবে গুলাম নবি শারীরিক কারণ দর্শালেও, তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে খবর, তাঁর মতো প্রবীণ এবং ‘হেভিওয়েট’ একজন নেতাকে প্রচার কমিটির চেয়ারম্যান করায় যারপরনাই ক্ষুব্ধ গুলাম। তাঁর মতো নেতার ক্ষেত্রে পদটি অসম্মানজক তো বটেই, রাজনৈতিক অবনতির দ্যোতকও বটে। সেই কারণেই পদ পাওয়ার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ইস্তফা দেন গুলাম নবি।

    আরও পড়ুন : দ্বিতীয়বার ইডির সামনে সোনিয়া! রাহুল-সহ ১৭ জন কংগ্রেস সাংসদ আটক

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি গুলাম নবি ঘনিষ্ট গুলাম আহমেদ মীরকে জম্মু-কাশ্মীর কমিটি থেকে সরিয়ে দেয় কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁর বদলে ওই পদে বসানো হয় ভিকর রসুল ওয়ানিকে। সেটা নিয়েও জম্মু-কাশ্মীরের এই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ ছিল বলেও একটি সূত্রের খবর। সব মিলিয়েই ক্ষোভে ফুঁসছিলেন প্রবীণ রাজনীতিবিদ গুলাম। পদ পেয়েও ইস্তফা দেওয়া যে ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

    আরও পড়ুন : ৩৭০ ধারা রদের তিন বছর পূর্তি, ভূস্বর্গ জুড়ে উন্নয়নের জোয়ার

  • Anand Sharma: দুটো নামে সীমাবদ্ধ নয় কংগ্রেস! জানেন গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে কি বললেন আনন্দ শর্মা

    Anand Sharma: দুটো নামে সীমাবদ্ধ নয় কংগ্রেস! জানেন গান্ধী পরিবারকে নিশানা করে কি বললেন আনন্দ শর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গান্ধী পরিবারই কংগ্রেস (Congress) নয়। এর বাইরেও ভাবতে হবে কংগ্রেসকে, স্টিয়ারিং কমিটি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা আনন্দ শর্মা (Anand Sharma)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদি বারবার কংগ্রেসের পরিবারতন্ত্র নিয়ে সমালোচনা করেছেন। এবার কংগ্রেসের অন্দরেই সেই বিরোধ দেখা দিল।

    আনন্দ শর্মা বলেন, “গান্ধী পরিবারের বাইরেও ভাবা উচিত কংগ্রেসের। বিশেষত, এখন যখন দলের জাতীয় সভাপতি হতে অস্বীকার করেছেন রাহুল গান্ধী, সেখানে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য বিকল্প মুখ ভাবা উচিত”। ১৯৭৮ সালে ইন্দিরা গান্ধী ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে হাতে গোনা কয়েকজন নেতার জন্যই টিকে ছিল কংগ্রেস, এমনটাই দাবি করেন তিনি। বিক্ষুব্ধ নেতা বলেন, “আমার মতো কয়েকজনই সেই সময় থেকে দলকে টিকিয়ে রেখেছে…এই দল আমাদের সবার।” দলের শীর্ষ পদ শুধুমাত্র সনিয়া গান্ধী বা রাহুল ও প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা উচিত নয় বলেই জানান বিক্ষুব্ধ এই প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। এর সপক্ষে তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, “কংগ্রেস কী দুটি নামেই সীমাবদ্ধ? আমরা কী কংগ্রেসের ইতিহাস ভুলে যাচ্ছি না?”

    আরও পড়ুন: সভাপতি পদে রাহুলের ‘না’, গান্ধী পরিবারের বাইরের নেতা পাচ্ছে কংগ্রেস?

    সামনে হিমাচলপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে আনন্দ শর্মাকে হিমাচল প্রদেশ কংগ্রেসের স্টিয়ারিং কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ সেই পদ ছেড়ে দিলেন প্রবীণ নেতা। সূত্রের খবর, কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia Gandhi) চিঠি লিখে আনন্দ জানিয়েছেন, নিজের আত্মসম্মানের সঙ্গে কোনওভাবেই আপস করতে রাজি নন তিনি। দীর্ঘদিন ধরে তাঁকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। তবে পদ ছাড়লেও হিমাচল প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীদের হয়ে তিনি প্রচারপর্ব চালিয়ে যাবেন বলেই জানিয়েছেন আনন্দ।

    আরও পড়ুন: ইডির দফতরে হাজিরা এড়ালেন জ্ঞানবন্ত! কীসের ভয়

    দিন কয়েক আগে একইভাবে জম্মু-কাশ্মীর কংগ্রেসের প্রচার কমিটির চেয়ারম্যানের পদ ছেড়েছিলেন গুলাম নবি আজাদ (Ghulam Nabi Azad)। এবার আজাদের পথই ধরলেন আনন্দ। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা কপিল সিব্বল দলত্যাগ করেছেন। সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসাবে রাজ্যসভায় মনোনীত হয়েছেন তিনি। আনন্দ শর্মা সিব্বলের বেশ ঘনিষ্ঠ। সিব্বল যে বিক্ষুব্ধ জি-২৩ গ্রুপের সদস্য ছিলেন, গুলাম নবি আজাদ এবং আনন্দ শর্মাও সেই গ্রুপেরই অংশ ছিলেন। 

  • Bihar Politics: বিহারে নীতীশ মন্ত্রিসভার ৭২ শতাংশ মন্ত্রীই দুর্নীতিগ্রস্ত! 

    Bihar Politics: বিহারে নীতীশ মন্ত্রিসভার ৭২ শতাংশ মন্ত্রীই দুর্নীতিগ্রস্ত! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের (Bihar) নয়া মন্ত্রিসভার অন্তত ৭২ শতাংশ মন্ত্রীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা (Criminal Case) রয়েছে আদালতে। এর মধ্যে আবার ১৭ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি মামলা। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) এর রিপোর্টেই উঠে এসেছে এই তথ্য। রিপোর্টে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা গিয়েছে, বিহার মন্ত্রিসভায় শপথ নেওয়া ৩৩ জন মন্ত্রীর (Minister) মধ্যে ২৭ জনের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা রয়েছে। শতাংশের হিসেবে যা দাঁড়ায় ৭২।

    এনডিএ (NDA) সঙ্গ ছেড়ে কংগ্রেস (Congress) এবং আরজেডির (RJD) সঙ্গে জোট গড়ে সরকার গড়েন জেডিইউ (JDU) সুপ্রিমো নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। অষ্টমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেন তিনিই। দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন নীতীশ। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন আরজেডি নেতা তথা লালু প্রসাদ যাদবের ছেলে তেজস্বী যাদব। সম্প্রতি শপথ নেন ওই মন্ত্রিসভার আরও ৩১ জন মন্ত্রী। নয়া এই সরকারে আরজেডির ১৭ জন মন্ত্রী রয়েছেন। এঁদের মধ্যে ১৫ জনের বিরুদ্ধেই ফৌজদারি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে আবার ১১ জনের বিরুদ্ধে রয়েছে গুরুতর ফৌজদারি মামলা।

    আরও পড়ুন :নীতীশ ‘পরজীবী’, তোপ বিহার বিজেপির

    প্রসঙ্গত, এদিন যে ৩১ জন মন্ত্রী শপথ নেন, তাঁদের মধ্যে আরজেডি এবং জেডিইউ ছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেসের দুই এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চার একজন। এক নির্দলও মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন এদিন। কংগ্রেসের এই দুই মন্ত্রীর বিরুদ্ধেও রয়েছে ফৌজদারি মামলা। নীতীশের এই মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছে জেডিইউয়ের ১১ জনের। এঁদের মধ্যে ফৌজদারি মামলা রয়েছে ৪ জনের বিরুদ্ধে। ফৌজদারি মামলায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী এবং উপমুখ্যমন্ত্রীও।

    আরও পড়ুন : নতুন সঙ্গী আরজেডি! বিজেপির সঙ্গ ত্যাগ নীতীশের, ফের ‘মহাজোট’-এর পথে বিহার?

    এদিকে, নীতীশের নেতৃত্বে মহাজোটের এই সরকারে আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন আরজেডির কার্তিকেয় সিংহ (Kartikeya Singh)। তিনি যেদিন আইনমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছেন, সেদিনই তাঁর হাজির হওয়ার কথা ছিল আদালতে। একটি অপহরণের মামলায় বিহারের দানাপুর আদালতে আত্মসমর্পণের কথা ছিল তাঁর। ওই দিনই ছিল শেষ দিন। আদালতের দেওয়া সময়সীমার শেষ দিনেও সেখানে হাজিরা না দিয়ে তিনি অংশ নিয়েছেন শপথ গ্রহণের অনুষ্ঠানে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস এর রিপোর্টে প্রকাশ্যে আসতেই হইচই রাজ্যজুড়ে। বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপিও। পদ্ম শিবিরের দাবি, মহাজোট সরকারের সিংহভাগ মন্ত্রীই দুর্নীতিগ্রস্ত।

        

  • By Elections: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    By Elections: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও, মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অশান্তির আঁচ উপনির্বাচনেও!  রবিবার উপনির্বাচন (By Elections) হয় আসানসোল পুরনিগম ও বনগাঁ (Bongaon) পুরসভার দুই ওয়ার্ডে। সকাল থেকে কিছুক্ষণের জন্য নির্বিঘ্নে ভোট হলেও, অশান্তি শুরু হয় তার পরেই। কোথাও বিজেপি (BJP) কর্মীদের মারধর, কোথাও আবার শাসক দলের বাধায় বুথেই বসতে পারলেন না বিজেপির এজেন্ট। আসানসোলে (Asansole) এক বিজেপি কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ।

    এদিন উপনির্বাচন হয় আসানসোল পুরনিগমের ছ নম্বর ওয়ার্ডে। এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী পুর নিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। জানা গিয়েছে, কোনও কারণ ছাড়াই বিজেপি কর্মীদের মারধর ও কয়েকজন এজেন্টকে বুথে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলে জেকে নাগার মোড়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে পদ্ম শিবির। উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুরের বিধায়ক বিজেপির লক্ষ্ণণ ঘোড়ই। বিজেপির অভিযোগ, বাবলু পাসওয়ান নামে তাদের এক কর্মীর মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে তৃণমূল। লক্ষ্ণণের অভিযোগ, উপনির্বাচনেও শাসক দল সন্ত্রাস চালাচ্ছে, বুথ লুঠ করছে। কিছুক্ষণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের পরে লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দেয় পুলিশ। এদিকে, মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮২ নম্বর বুথে বিজেপির এজেন্টকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

    অশান্তি হয়েছে বনগাঁ পুরসভার উপনির্বাচনেও। এদিন ভোট হয় ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে। এই ওয়ার্ডের একটি বুথের বাইরে বনগাঁ দক্ষিণের বিধায়ক বিজেপির স্বপন মজুমদারকে নিগ্রহের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁর নিরাপত্তারক্ষীকেও ধাক্কা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের অভিযোগ, নিরাপত্তা রক্ষী নিয়ে বিধায়ক এলাকায় ভয়ের পরিবেশ সৃষ্টি করছেন। শনিবার বিভিন্ন বাড়িতে ফোন করে তিনি ভয় দেখিয়েছেন বলেও অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে এদিন বনগাঁ মহকুমা শাসকের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয় তৃণমূল।

    আরও পড়ুন : ’২৪ সালে মানুষ নরেন্দ্র মোদির পক্ষেই ভোট দেবেন, দাবি সুশীল মোদির

    এদিকে, ওই ওয়ার্ডেরই কেশবলাল বিদ্যাপীঠে ভোট দেখতে যান বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক বিজেপির অশোক কীর্তনীয়া। তাঁকে দেখা মাত্রই চিৎকার জুড়ে দেন তৃণমূল কর্মীরা। অশোকের দাবি, তিনি ওই বুথেরই ভোটার। উত্তেজনা চরমে পৌঁছলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এদিকে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেসও (Congress)। ঘটনার প্রতিবাদে কংগ্রেস প্রার্থী প্রভাস পালের নেতৃত্বে এদিন দুপুরে বাজার মোড় এলাকায় পথ অবরোধ করে সোনিয়া গান্ধির দল। সন্ত্রাসের অভিযোগে পাটার মোডে পথ অবরোধ করে বিজেপিও। ওই একই অভিযোগে রামনগর রোড সংলগ্ন এলাকায় যশোর রোড অবরোধ করে সিপিএম-ও (CPM)।

    আরও পড়ুন : গুজরাট, হিমাচল প্রদেশের সঙ্গেই নভেম্বরে ভোট হবে জম্মু-কাশ্মীরেও?

LinkedIn
Share