Tag: congress

congress

  • Rahul Gandhi: পুলিশের উর্দি ধরে টান রেণুকার! রাহুল ইস্যুতে বিক্ষোভ কংগ্রেসের

    Rahul Gandhi: পুলিশের উর্দি ধরে টান রেণুকার! রাহুল ইস্যুতে বিক্ষোভ কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) জেরা করা হচ্ছে কংগ্রেস (Congress) সাংসদ রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। গত তিন দিনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে প্রায় ৩০ ঘণ্টা ধরে। শুক্রবার ফের চলছে জেরা। এদিকে, ওই ঘটনার প্রতিবাদে সোমবার থেকে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। এই আন্দোলন করতে গিয়েই হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরীর (Renuka Chowdhury) বিরুদ্ধে উঠল পুলিশের (police) কলার চেপে ধরার অভিযোগ। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রেণুকা।

    আরও পড়ুন : ইডি-র ম্যারাথন জেরার মুখে ফের রাহুল, হাজিরা বুধেও

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় আর্থিক তছরুপের অভিযোগে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে তলব করে ইডি। করোনা সংক্রমিত হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি সোনিয়া। তাই হাজিরা দিতে পারেননি ইডির দফতরে। রাহুলকে অবশ্য টানা তিন দিন জেরা করেছে ইডি। শুক্রবার ফের চলছে জেরা।

    রাহুলকে ‘হেনস্থা’র প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। তেলঙ্গানার রাজধানী হায়দরাবাদে কংগ্রেস নেত্রী রেণুকা চৌধুরী পুলিশের কলার চেপে ধরেন বলে অভিযোগ। ঘটনায় শুরু হয়েছে বিতর্ক। যদিও রেণুকার দাবি, ভারসাম্য বজায় রাখতেই ওই পুলিশ কর্মীর কলার চেপে ধরেছিলেন তিনি। কংগ্রেস নেত্রী বলেন, আমি ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছিলাম। আমার হাত ফসকে যায়। আর তাই আমি ওঁর কলার চেপে ধরেছিলাম। রেণুকার সাফাই, আপনারা ভিডিও দেখলেই বুঝতে পারবেন, কীভাবে আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। কীভাবে ধাক্কা দেওয়া হয়েছে।

    [tw]


    [/tw]

    এদিকে, রাহুলকে জেরার প্রতিবাদে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে বিক্ষোভ। রাজনৈতিক মহলের মতে, কংগ্রেসের হাতে এই মুহূর্তে কোনও ইস্যু নেই, যা নিয়ে আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারেন নেতাকর্মীরা। রাহুলের ইডি জেরাকে কেন্দ্র করে সারা দেশে আন্দোলন করে চব্বিশের লোকসভা ভোটের আগে ঘুরে দাঁড়াতে চাইছে সোনিয়ার দল। রাহুল গ্রেফতার হয়ে গেলে খান খান হয়ে যাবে কংগ্রেস।এই আশঙ্কা থেকেও আন্দোলন বলে মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    এদিকে, ইডি জেরার মুখে প্রয়াত কংগ্রেস নেতা মতিলাল ভোরার নাম নিয়েছেন রাহুল। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তাঁর ছেলে অরুণ ভোরা। তাঁর মতে, অভিযোগ ভিত্তিহীন। তবে মতিলাল সম্পর্কে রাহুল এমন মন্তব্য করেননি বলেই বিশ্বাস করেন অরুণ।

     

  • Presidential Polls: মমতার বৈঠকে গরহাজির ৫ দল, বিরোধী ঐক্য বিশবাঁও জলে?  

    Presidential Polls: মমতার বৈঠকে গরহাজির ৫ দল, বিরোধী ঐক্য বিশবাঁও জলে?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোড়ায় গলদ। তাই তাল কাটল শুরুতেই। তৃণমূল (TMC) সুপ্রিমো মমতা (Mamata) বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিজেপি (BJP)-বিরোধী বৈঠকে হাজিরই হলেন না আম আদমি পার্টির (AAP) কেউ। আসেননি টিআরএসের (TRS) কেউও। গরহাজির ছিল শিরোমণি অকালি দলও (SAD)। বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআরসিপি-র তরফেও কেউ উপস্থিত হননি বৈঠকে। তার পরেও অবশ্য বৈঠক হয়েছে। তবে হয়েছে বিতর্কও। শেষ মুহূর্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করানোর চেষ্টা করেন তৃণমূল নেত্রী। তখনই হয় অশান্তি। বিরোধী দলগুলি সাফ জানিয়ে দেয়, বৈঠক হচ্ছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন (Presidential Polls) নিয়ে। সেখানে মোদির বিরুদ্ধে প্রস্তাব কেন?

    আরও পড়ুন : হাঁসখালি ধর্ষণ-কাণ্ডের তদন্তভারও পেল সিবিআই, প্রবল চাপে মমতা-প্রশাসন

    রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধীদের এককাট্টা করতে দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে বুধবার বৈঠক ডাকেন মমতা। চিঠি দেওয়া হয়েছিল ২২ জন বিরোধী নেতা ও মুখ্যমন্ত্রীকে। কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট সোনিয়া (Sonia) গান্ধী, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আম আদমি পার্টির অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Kejriwal) এবং সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি (Sitaram Yechury) সহ বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে বৈঠকে থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছিল। প্রথমে বৈঠকে উপস্থিত হওয়ার আশ্বাস দিলেও, শেষ মুহূর্তে কেজরিওয়াল হাজির হননি বৈঠকে। কংগ্রেস থাকায় বৈঠকে গরহাজির ছিল টিআরএস এবং শিরোমণি দলও। আসেনি বিজু জনতা দল এবং ওয়াইএসআরসিপি-র কেউও। 

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদের একছাতার তলায় আনতে উদ্যোগী হয়েছিলেন মমতা। তবে সে চেষ্টা যে বিষম কঠিন, এদিন তা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বৈঠকের একেবারে শেষ মুহূর্তে মোদির বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করাতে উদ্যোগী হন মমতা। তবে তাঁর সে চেষ্টাও বৃথা যায়। কারণ উপস্থিত নেতারা জানিয়ে দেন, বৈঠকের মূল বিষয় যেখানে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, সেখানে অন্য কোনও বিষয় নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই।

    আরও পড়ুন : এবার কয়লা পাচারকাণ্ডে তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লাকে তলব সিবিআইয়ের

    এদিকে, বিরোধী শিবিরে রাষ্ট্রপতি পদে তিনজনের নাম নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। এঁদের মধ্যে এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ার (Sharad Pawar) আগেই জানিয়ে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি পদের দৌড়ে তিনি নেই। তাঁকে এখনও রাজি করানোর চেষ্টা চলছে বলছে সূত্রের খবর। তিনি নিতান্তই রাজি না হলে পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধী (Gopal Krishna Gandhi) ও জম্মু-কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আবদুল্লার (Farooq Abdullah) নাম বিবেচনা করা হবে বলে সূত্রের খবর।

  • Rajya sabha elections: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় জয়ী ৪১ 

    Rajya sabha elections: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভায় জয়ী ৪১ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাজ্যসভা নির্বাচনে (Rajya sabha elections) জয়ী হলেন ৪১ জন। এর মধ্যে কংগ্রেসের (congress) কয়েকজন প্রার্থী যেমন রয়েছেন, তেমনি রয়েছে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিরও (bjp)। রয়েছেন নির্দল এবং আঞ্চলিক দলের প্রার্থীও। শুক্রবার তাঁদের নির্বাচিত হওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়।

    আরও পড়ুন : শিয়রে রাজ্যসভা ভোট, বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রাখছে আতঙ্কিত কংগ্রেস?

    ১০ জুন রাজ্যসভা নির্বাচন। দেশের ১৫টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের ৫৭ আসনে হবে ওই নির্বাচন। ইতিমধ্যেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন বিভিন্ন দলের ৪১ জন। জানা গিয়েছে, উত্তর প্রদেশে ১১ জন,  তামিলনাড়ুতে ছ’জন, বিহারে পাঁচজন, অন্ধ্রপ্রদেশে চারজন, মধ্যপ্রদেশ ও ওড়িশায় তিনজন করে, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, তেলঙ্গানা ও ঝাড়খণ্ডে দুজন করে এবং উত্তরাখণ্ডে একজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছেন।বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় যাঁরা জয়ী হয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেসের পি চিদম্বরম এবং রাজীব শুক্ল, বিজেপির সুমিত্রা বাল্মীকি এবং কবিতা পতিদার। সদ্য কংগ্রেস ছেড়ে আসা কপিল সিবালও জয়ী হয়েছেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছেন তিনি। আরজেডির মিশা ভারতী এবং আরএলডির জয়ন্ত চৌধুরীও জয়ী হয়েছেন। মিশা বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদবের মেয়ে।  হরিয়ানা, রাজস্থান, কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্রে প্রবল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার কথা। কারণ প্রার্থীরা কেউই তাঁদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি৷

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    রাজ্যসভার নির্বাচন নিয়ে টানটান উত্তেজনা দেশ জুড়ে। এই নির্বাচনের পরে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের এক লপ্তে আসন সংখ্যা কমে যাবে অনেকখানি। শক্তি বাড়বে বিজেপির। ইতিমধ্যেই কংগ্রেসকে মাত দিতে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন পদ্ম শিবিরের ভোট ম্যানেজারেরা। যেহেতু হরিয়ানা, রাজস্থান, কর্নাটক এবং মহারাষ্ট্র এই চার রাজ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা হওয়ার কথা, সেহেতু ওই চার রাজ্যের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। বিজেপি দলীয় বিধায়কদের ভাঙাতে পারে বলে আশঙ্কা কংগ্রেসের। তাই যে দুই রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে সোনিয়া গান্ধীর দল, সেই রাজস্থান এবং ছত্তীশগড়ের বিধায়কদের রিসর্ট-বন্দি রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছে হাত শিবির। সূত্রের খবর, রাজস্থানের বিধায়কদের ছত্তিশগড় এবং ছত্তিশগড়ের বিধায়কদের রাজস্থানের উদয়পুরের কোনও হোটেলে রাখা হবে আপাতত। ভোটপর্ব সাঙ্গ হলে তবেই তাঁরা ফিরবেন স্ব স্ব রাজ্যে।

     

     

  • Sonia Gandhi: ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে  উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

    Sonia Gandhi: ইডির দফতরে হাজির সোনিয়া, কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভে উত্তাল সংসদ থেকে রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ইডি (ED) দফতরে হাজিরা দিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা নাগাদ দিল্লিতে ইডি দফতরে হাজির হন সোনিয়া। এর আগে তিনবার ইডির তরফে সনিয়াকে তলব করা হয়। কিন্তু করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকার কারণে আগের বার ইডির মুখোমুখি হতে পারেননি তিনি। এদিন সনিয়ার সঙ্গে ছিলেন তাঁর মেয়ে তথা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী (Priyanka Gandhi)। সোনিয়া ইডি দফতরে যাওয়ার আগে মায়ের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন সনিয়া পুত্র রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi)।

    ইডি সূত্রের খবর, রাহুলের মতো সোনিয়াকেও দীর্ঘক্ষণ জেরা করা হতে পারে। কংগ্রেস সভানেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ মহিলা আধিকারিকের একটি দল গঠন করেছে ইডি। শেষ মুহূর্তে সোনিয়ার সঙ্গে আইনজীবী এবং একজন চিকিৎসককে ইডি দফতরে পাঠানোর দাবি জানিয়েছিল কংগ্রেস (Congress)। যদিও ইডি দফতরে সোনিয়ার সঙ্গে কোনও চিকিৎসক ছিলেন না।

    আরও পড়ুন: চাল, ডাল, আটা, গম খোলা কিনলে বাড়তি জিএসটি লাগু হবে না! ট্যুইট করে ব্যাখ্যা অর্থমন্ত্রীর

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এর আগে সনিয়া-পুত্র রাহুল গান্ধীকে একাধিকবার ঘণ্টার পর ঘণ্টা জেরা করেছে ইডি। তখন কংগ্রেসের সমস্ত নেতা দিল্লির রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন। এদিনও একইভাবে পথে নেমেছে কংগ্রেস। এবারে প্রতিবাদ কর্মসূচি আরও বড় হবে বলে দলের তরফে জানানো হয়েছে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে কংগ্রেস নেতাকর্মীরা এদিন ইডি দফতর ঘেরাও অভিযানে নেমে পড়েছেন। অনেক রাজ্যেই পুলিশের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়ছেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। 

    এদিন সংসদে কেন্দ্রীয় স্তরে প্রতিবাদ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। আজ সংসদ অধিবেশনের আগেই রাজ্যসভার দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গের ঘরে বিরোধী দলগুলির বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে ১৩টি বিরোধী দল সম্মিলিতভাবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছে। সংসদের অধিবেশন শুরুর পরই সোনিয়াকে ইডির তলব নিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন বিরোধী সাংসদরা। যার জেরে সংসদের দুই কক্ষেই অধিবেশন মূলতুবি হয়ে যায়। কংগ্রেসের বিক্ষোভ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, “যদি কোনও ভুল না থাকবে, তাহলে এত চিৎকার, বিরোধিতা কেন? তদন্তকারীদের প্রশ্নের উত্তর দিয়ে তদন্তে সাহায্য করলেই সত্যিটা সামনে এসে যাবে।”

     

  • President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?  

    President Poll: রাষ্ট্রপতি নির্বাচন, কার আস্তিনে কোন অস্ত্র?  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘোষণা হয়ে গিয়েছে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের (Presidential Election) নির্ঘণ্ট। আস্তিন গোটাতে শুরু করেছে শাসক বিজেপি (BJP) এবং বিরোধীরা (Opposition)। কে যাবেন আগামী পাঁচ বছরের জন্য রাইসিনা হিলসে (Raisina Hill)?

    ২০১৭ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে পদ্ম শিবিরে ঘোরাফেরা করছিল অনেকগুলো নাম। তার পর বর্তমান রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকে প্রার্থী করে চমক দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোবিন্দ তখন ছিলেন বিহারের রাজ্যপাল। পদ্ম শিবির এবারও সেরকম কোনও চমক দিতে পারে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।

     ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি নাম নিয়ে বিজেপি শিবিরে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। সেই তালিকায় রয়েছেন বর্তমান উপ রাষ্ট্রপতি বেঙ্কাইয়া নাইডু। আছেন তেলেঙ্গানার তামিলিসাই সুন্দররাজন, আসামের জগদীশ মুখী, ছত্তিশগড়ের অনুসুইয়া উইকে এবং কেরলের আরিফ মহম্মদ খান। পাশাপাশি ভেসে উঠছে ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন রাজ্যপাল দ্রৌপদী মুর্মুর নামও ।

    আরও পড়ুন : লাদাখে নদীতে পড়ল সেনার গাড়ি, মৃত ৭ জওয়ান, শোকপ্রকাশ রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    সংসদীয় রাজনীতির অন্যতম প্রবীণ মুখ কংগ্রেসের গুলাম নবি আজাদ। তিনি হতে পারেন দু পক্ষেরই বাজি। গুলাম রাজ্যসভা থেকে যেদিন অবসর নেন, সেদিন চোখে জল দেখা গিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্রে মোদির। আজাদের সঙ্গে কেবল বিজেপি নয়, সব রাজনৈতিক দলেরই সম্পর্ক মধুর। তাই কংগ্রেসের পাশাপাশি তাঁকে নিয়ে ভাবছে পদ্ম নেতৃত্ব। গুলামকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী ঘোষণা করলে বিরোধীরাও বিরোধিতা করতে পারবেন না। তাই তাঁকে রাইসিনা হিলসে পাঠিয়ে চমক দিতে পারেন মোদি।

    গুলামের পাশাপাশি কংগ্রেস শিবিরে ভাসছে আরও দুটি নাম। একজন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার, অন্যজন মীরা কুমার। পাওয়ার বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ। সংসদীয় রাজনীতির সব কিছু তাঁর নখদর্পণে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন তিনবার। ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও। কংগ্রেস ছেড়ে তিনি তৈরি করেন এনসিপি। শিবসেনা এবং কংগ্রেসের সঙ্গে মহারাষ্ট্রে ক্ষমতায় রয়েছে তাঁর দল। তাই তিনিও হতে পারেন বিরোধীদের প্রার্থী। পাওয়ার প্রার্থী হলে তৃণমূল কিংবা অখিলেশেরও কোনও আপত্তি থাকবে না বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। 

    বাংলায় ৩৫৬ ধারা জারির দাবি নিয়ে রাষ্ট্রপতি ভবনে বিজেপি প্রতিনিধিদল

    লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার মীরা কুমারকেও প্রার্থী করতে পারে কংগ্রেস। মীরা তফশিলি সম্প্রদায়ভুক্ত। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীও ছিলেন। তাই বিজেপির কোনও দলিত প্রার্থীর পাল্টা বাজি হতে পারেন মীরাই।  বেঙ্কাইয়া নাইডুকেও প্রার্থী করতে পারে বিজেপি। তিনিও দক্ষ রাজনীতিবিদ। অন্ধ্রপ্রদেশ বিধানসভার বিধায়ক ছিলেন। পরে আসেন রাজ্যসভায়। অটল বিহারী বাজপেয়ী মন্ত্রিসভার সদস্যও ছিলেন তিনি। মন্ত্রী ছিলেন মোদি মন্ত্রিসভার। উপরাষ্ট্রপতির অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। তাই তিনিও হতে পারেন বিজেপির বাজি।

    কেরলের রাজ্যপাল আরিফ খানকেও রাইসিনা হিলসে পাঠাতে পারে গেরুয়া শিবির। তিনি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। সর্বোপরি, মোদি-নীতির সমর্থক। প্রধানমন্ত্রীর প্রায় সব সিদ্ধান্তেই গলা মিলিয়েছেন তিনি। তাঁকে প্রার্থী করা হলে ভোঁতা হয়ে যাবে বিরোধীদের সমস্ত হাতিয়ার।

    তবে শেষ হাসি হাসবেন কে? তা বলবে সময়।

     

  • Sonia Gandhi: হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত সোনিয়া, অবস্থা স্থিতিশীল, জানাল কংগ্রেস

    Sonia Gandhi: হাসপাতালে করোনা সংক্রমিত সোনিয়া, অবস্থা স্থিতিশীল, জানাল কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid) সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। ২ জুন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রীর করোনা সংক্রমিত হওয়ার খবর প্রকাশ্যে আসে। রাখা হয়েছিল হোম আইসোলেসনে। পরে অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় রবিবার তাঁকে ভর্তি করা হয় দিল্লির (Delhi) গঙ্গারাম হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, কংগ্রেস হাইকমান্ডের অবস্থা স্থিতিশীল।

    রাহুল গান্ধী বিদেশে থাকাকালীন সময়েই অসুস্থ হয়ে পড়েন সোনিয়া। নানা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় জানা যায় তিনি করোনা সংক্রমিত। এর পরেই হোম আইসোলেশনে রাখা হয় গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির সর্বময় কর্ত্রীকে। পরে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজওয়ালা জানান, করোনা সংক্রমিত কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধিকে দিল্লির গঙ্গারাম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাঁর শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। পর্যবেক্ষণের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে তাঁকে। যাঁরা ওঁর শারীরিক সুস্থতা কামনা করেছেন, তাঁদের আমরা ধন্যবাদ জানাই।

    আরও পড়ুন : ইডি দফতরে হাজিরার আগেই করোনা পজিটিভ সোনিয়া

    এদিকে, সোনিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনা করে ট্যুইট করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে দুদিন আগেই মমতার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন সোনিয়া। কথা বলার সময় সোনিয়া কাশছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দেন। ১৫ জুন দিল্লির কনস্টিটিউশন হলে বিজেপি বিরোধী দলগুলির নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন মমতা। সেখানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সোনিয়াকেও। সেই বৈঠকের আগেই তাঁকে ভর্তি হতে হল হাসপাতালে।

    আরও পড়ুন : সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    প্রসঙ্গত, ১ জুন ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় রাহুল ও সোনিয়াকে তলব করেছিল ইডি। ৮ জুন ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়ার কথা ছিল সোনিয়ার। করোনা সংক্রমিত হয়ে পড়ায় তিনি আপাতত হাজিরা দিতে পারছেন না। তবে সোমবার ইডি দফতরে গিয়ে হাজিরা দিয়েছেন রাহুল গান্ধী। পায়ে হেঁটে গিয়ে ইডি দফতরে যান তিনি। তার আগে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস কর্মীরা।

     

     

  • Rajya Sabha Polls: শিয়রে রাজ্যসভা ভোট, বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রাখছে আতঙ্কিত কংগ্রেস?

    Rajya Sabha Polls: শিয়রে রাজ্যসভা ভোট, বিধায়কদের ‘লুকিয়ে’ রাখছে আতঙ্কিত কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসে (Congress) ফিরল রিসর্ট সংস্কৃতি! বিধায়করা যাতে দল ভেঙে বিজেপিতে (BJP)  গিয়ে না ভিড়ে যান, তার জন্য তাঁদের বিভিন্ন হোটেলে ‘লুকিয়ে’ রেখেছিলেন রাজস্থান কংগ্রেস। প্রায় সেই একই ছবির রিমেক হতে চলেছে এবারও। সৌজন্যে রাজ্যসভা নির্বাচন (Rajya Sabha Polls)।

    একের পর এক রাজ্যে ক্ষমতা হারাতে হারাতে প্রায় প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি। দেশের মাত্র দুটি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে সোনিয়া (Sonia) গান্ধীর দল। এই দুই রাজ্য হল রাজস্থান ও ছত্তিশগড়। ১০ জুন রাজ্যসভা নির্বাচন। দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে হবে এই নির্বাচন। ইতিমধ্যেই ২২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে বিজেপি। কংগ্রেস ১০।

    আরও পড়ুন :রাজ্যসভা নির্বাচনে ২২ আসনে প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির, দেখুন তালিকা

    এই প্রার্থীরাও যে গেরুয়া-কূলে গিয়ে তরী ভেড়াবেন না, তা কে বলতে পারে? গেরুয়া খাতায় নাম লেখাতে পারেন বিধায়করাও। অতএব, ‘বন্দি’ করো বিধায়কদের! কংগ্রেস সূত্রে খবর, হরিয়ানার কংগ্রেস বিধায়কদের ছত্তীশগড়ের রায়পুরের একটি হোটেলে রাখা হতে পারে। আর ছত্তীশগড়ের বিধায়কদের রাখা হতে পারে রাজস্থানের উদয়পুরের এক হোটেলে।

    রাজ্যসভায় ক্রমেই শক্তিহীন হতে চলেছে কংগ্রেস। এমতাবস্থায় কংগ্রেসকে মাত দিতে তৈরি বিজেপি। হরিয়ানা, রাজস্থান, কর্নাটক ও মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসকে একটিও বাড়তি আসন ছাড়তে রাজি নন পদ্ম নেতৃত্ব। তাই এই চার রাজ্যের রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রয়োজনীয় ‘ভোট’ জোগাড়ের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে চার কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর হাতে।

    দুশো আসনের রাজস্থান বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ১০৮। বিজেপির ৭১। এই রাজ্যে রাজ্যসভার একটি আসন জিততে হলে কোনও প্রার্থীকে ৪১ জনের ‘ভোট’ পেতে হবে। সেই হিসেবে কংগ্রেসের দুই প্রার্থীর জেতার পরে বাড়তি ভোট থাকছে ২৬টি। আবার বিজেপির প্রথম প্রার্থীকে জেতানোর পরে হাতে থাকছে ৩০টি ভোট। বিজেপির এক নেতার কথায়, তৃতীয় প্রার্থীকে জেতাতে কংগ্রেসের প্রয়োজন ১৫টি ভোট। আর পদ্ম শিবিরের দ্বিতীয় প্রার্থীকে জেতাতে দরকার ১১টি ভোট। স্বভাবতই এগিয়ে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    হরিয়ানাতেও কংগ্রেসকে মাত দিতে সক্রিয় বিজেপি নেতৃত্ব। হরিয়ানা বিধানসভার আসন সংখ্যা ৯০। সেরাজ্যে ভোট হবে রাজ্যসভার দুটি আসনে। একজন প্রার্থীকে জেতাতে প্রয়োজন ৩১টি ভোট। সেখানে কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যাও ৩১। এঁদের অনেকেই সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক দলীয় বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন। এতেই সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাঁদের আশঙ্কা বিজেপি ভাঙিয়ে নিতে পারে ওই বিধায়কদের। তাই ঝুঁকি না নিয়ে দলীয় বিধায়কদের রায়পুর কিংবা রাজস্থানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাত শিবির।

    দল বাঁচাতে আর উপায়ই বা কি!

     

  • Rajya sabha election: আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    Rajya sabha election: আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জারি হয়েছে রাজ্যসভা নির্বাচনের (Rajya sabha election) বিজ্ঞপ্তি। ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে হবে নির্বাচন। ভোট ১০ জুন। রাজ্যসভার এই নির্বাচনে শক্তিবৃদ্ধি হবে কেন্দ্রের ক্ষমতাশীন দল বিজেপির (bjp)। আর শক্তিহীন হয়ে পড়বে কংগ্রেস (congress)। আগামী লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha elections 2024) আগে গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির পক্ষে যা অশনি সংকেত। রাজ্যসভায় শক্তি বৃদ্ধি হলে জুন-জুলাই মাসে রাষ্ট্রপতি ও উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনেও অ্যাডভান্টেজ পাবে গেরুয়া শিবির।

    পশ্চিমবঙ্গ, তেলঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, দিল্লি, পাঞ্জাব এবং তামিলনাড়ুর মতো রাজ্যগুলি শাসন করে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল। এই পাঁচটি রাজ্যের মধ্যে শেষ তিনটি রাজ্যে রয়েছে জোট সরকার। রাজ্যসভার নির্বাচনে সব চেয়ে বেশি লাভবান হবে আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party)। দিল্লি ও পাঞ্জাবের ক্ষমতায় রয়েছে তারা। তারা জয়ী হবে পাঁচটি আসনে। স্বভাবতই শক্তিবৃদ্ধি হবে আঞ্চলিক দলগুলির।

    আরও পড়ুন : লক্ষ্য চব্বিশের নির্বাচন, বুথ-স্তরে নীল-নকশা তৈরির পথে বিজেপি, গঠিত বিশেষ কমিটি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) প্রথম মেয়াদে রাজ্যসভায় শক্তিশালী ছিল কংগ্রেস। শক্তিক্ষয় হওয়ায় এবার এক ধাক্কায় তাদের আসন সংখ্যা কমবে বেশ খানিকটা। আর ২০১২ সালে রাজ্যসভায় বিজেপির সদস্য সংখ্যা ছিল ৪৭। বর্তমানে তিন অঙ্ক ছুঁয়েছে তারা। সংখ্যাতত্ত্বের জেরে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা রদ সহ বিভিন্ন হার্ডল বিজেপি পেরিয়েছে অনায়াসে।

    আরও পড়ুন : লক্ষ্য ২০২৪ নির্বাচন, “এক পরিবার এক টিকিট” নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের

    যাঁরা রাজ্যসভা থেকে অবসর নিচ্ছেন, তাঁদের সংখ্যা ৫৯। এর মধ্যে ২৫ জন গেরুয়া শিবিরের। এই ৫৯ জনের মধ্যে এনডিএ-র (NDA) আসন ৩১টি। আসন্ন নির্বাচনে তারা হারাতে পারে ৭ থেকে ৯টি আসন।

    অন্ধ্রপ্রদেশে চারটি আসনের মধ্যে বিজেপি হারাবে তিনটি আসন। চারটি আসনেই জয়লাভ করবে ওয়াইএসআরসিপি (YSR Congress)। দুটি আসনে জিতবে তেলঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (TRS)। বিজেডি ধরে রাখবে তিনটি আসনই। আসন বাড়বে আরজেডির। এক থেকে রাজ্যসভায় তারা বেড়ে হবে দুই।

    অন্যদিকে, প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস আরও সংকুচিত হতে পারে। চোদ্দ ও উনিশের লোকসভা নির্বাচনে পর্যুদস্ত হওয়ার পর তারা হেরেছে একের পর এক রাজ্যে। যার জেরে রাজ্যসভায় তাদের ব্যাপক শক্তিক্ষয় হবে। কংগ্রেস অন্ধ্রপ্রদেশে একটিও আসন পাবে না। রাজস্থানে পাবে দুটি, আগে ছিল চারটি। ঝাড়খণ্ড এবং ছত্তিশগড়েও একটি করে আসন হারাবে তারা। এখন থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে রাজ্যসভার ৬৫টি আসনে নির্বাচন হবে। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষীণতর হবে কংগ্রেস।

    উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে (Chintan Shivir) কংগ্রেস পাশ করা প্রস্তাব অনুযায়ী, তরুণদের ৫০ শতাংশ আসনে মনোনয়ন দেবে কংগ্রেস। সেই কারণেও বেশ কিছু বর্ষীয়ান নেতাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না বলেই কংগ্রেস সূত্রে খবর। পি চিদাম্বরম, কপিল সিবাল, জয়রাম রমেশ এবং অম্বিকা সোনির মতো বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতাদের মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। মেয়াদ শেষ হতে চলেছে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ, বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রী মুখতার আব্বাস নকভি সহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরও। এঁরা প্রত্যেকেই রাজ্যসভা থেকে অবসর নেবেন। রাজ্যসভায় ফিরে আসার সম্ভাবনা রয়েছে এঁদের প্রায় প্রত্যেকেরই।

    কংগ্রেসকে হারিয়ে একের পর এক রাজ্যের রশি হাতে নিয়েছে বিজেপি। কংগ্রেসের অস্তিত্ব রয়েছে কেবল রাজস্থান ও ছত্তিশগড়ে। মহারাষ্ট্র ও ঝাড়খণ্ডে জোট সরকারে শামিল হয়েছে তারা। ১৭টি রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল থেকে রাজ্যসভায় কংগ্রেসের হয়ে গলা ফাটানোর এবার আর কেউ থাকবে না।

     

  • Rajyasabha Election: রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রথম ১৬ জনের তালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা পেলেন জায়গা?

    Rajyasabha Election: রাজ্যসভা নির্বাচনে প্রথম ১৬ জনের তালিকা প্রকাশ বিজেপির, কারা পেলেন জায়গা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যসভা নির্বাচনের প্রথম দফার প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। প্রথম কিস্তিতে ১৬ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রের শাসক দল। রবিবার ওই তালিকা প্রকাশিত হয়। এদিন ১০টি কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে বিরোধী দল কংগ্রেসও।

    ১০ জুন রাজ্যসভার নির্বাচন। দেশের ১৫টি রাজ্যের ৫৭টি আসনে নির্বাচন হবে ওই দিন। এদিন ১৬ জনের নামের তালিকা প্রকাশ করেছে বিজেপি। এতে নাম রয়েছে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের। নির্মলা প্রার্থী হয়েছেন কর্নাটক থেকে। আর পীযূষ মনোনীত হয়েছেন মহারাষ্ট্র থেকে। অর্থ মন্ত্রকের পাশাপাশি কর্পোরেট বিভাগ সামলান নির্মলা। পীযূষ রাজ্যসভায় বিজেপি দলনেতা। গ্রাহক পরিষেবা এবং বস্ত্র মন্ত্রকের দায়িত্বও তাঁর ওপর।

    আরও পড়ুন : আসন্ন রাজ্যসভা নির্বাচনে অ্যাডভান্টেজ বিজেপি, শক্তি খোয়াবে কংগ্রেস?

    এবার রাজ্যসভায় সব চেয়ে বেশি আসন উত্তর প্রদেশে। সেখানে ভোট হবে ১১টি আসনে। গেরুয়া শিবিরের মনোনীত প্রার্থী হলেন লক্ষ্মীকান্ত বাজপেয়ী, রাধামোহন আগরওয়াল, সুরেন্দ্র নিষাদ, দর্শনা সিংহ, সঙ্গীতা যাদব। মহারাষ্ট্রে পীযূষের পাশাপাশি অনিল দেশমুখ বোন্দের নামও মনোনীত হয়েছে। গোরক্ষপুর বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন রাধামোহন। পরে মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে আসনটি ছেড়ে দেন তিনি। সেই কারণেই তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পদ্ম-শিবির। রাজস্থান থেকে মনোনীত হয়েছেন ঘনশ্যাম তিওয়ারি। তবে তামিলনাড়ুর ৬টি আসনে সোমবার বিকেল পর্যন্তও কাউকে মনোনীত করেনি পদ্মশিবির।

    এই রাজ্যগুলি ছাড়াও বিহারের পাঁচটি, কর্নাটক, রাজস্থান এবং অন্ধ্রপ্রদেশের তিনটি করে আসনেও নির্বাচন হবে ওই তারিখে। মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং পঞ্জাবের দুটি করে আসনেও নির্বাচন হবে। একটি করে আসনে নির্বাচন হবে ঝাড়খণ্ড, হরিয়ানা, ছত্তিশগড়, তেলঙ্গানা এবং উত্তরাখণ্ডে। হরিয়ানা থেকে মনোনীত হয়েছেন প্রাক্তন বিধায়ক কৃষ্ণলাল পানওয়ার, মধ্যপ্রদেশ থেকে কবিতা পতিদার। তারকা-রাজনীতিবিদ যজ্ঞেশ মনোনীত হয়েছেন কর্নাটক থেকে।  

    আরও পড়ুন : জিটিএ নির্বাচন অবৈধ, রুখবই! সাফ জানালেন রাজু বিস্ত

    শাসক দলের পাশাপাশি এদিন প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে বিরোধী দল কংগ্রেসও। ১০টি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে তারা। এই তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি চিদম্বরম, জয়রাম রমেশ, অজয় মাকেন এবং দলের প্রধান মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা।

    চিদম্বরমকে মনোনীত করা হয়েছে তামিলনাড়ু থেকে। কর্নাটক থেকে মনোনীত হয়েছেন জয়রাম রমেশ। মাকেন মনোনীত হয়েছেন হরিয়ানা থেকে। আর সুরজেওয়ালাকে মনোনীত করা হয়েছে রাজস্থান থেকে। রাজস্থান থেকে মুকুল ওয়াসনিক এবং প্রমোদ তিওয়ারির নামও রয়েছে। মধ্যপ্রদেশে মনোনীত হয়েছেন বিবেক তানখা। রাজীব শুক্লা এবং রঞ্জিত রঞ্জন মনোনীত হয়েছেন ছত্তিশগড় থেকে। মহারাষ্ট্রে প্রার্থী হয়েছেন ইমরান প্রতাপগড়ি।

    প্রসঙ্গত, আগামী দু’মাসে রাজ্যসভায় যে ৫৫টি শূন্যপদ সৃষ্টি হবে, তার মধ্যে কংগ্রেসের রয়েছেন সাতজন। এঁরা হলেন চিদম্বরম, রমেশ, অম্বিকা সোনি, বিবেক তানখা, প্রদীপ টামটা, কপিল সিবাল এবং ছায়া ভার্মা। এর মধ্যে সিবাল অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির সমর্থনে প্রার্থী হচ্ছেন রাজ্যসভায়।  

     

     

  • Hardik patel: “মোদির নেতৃত্বে একজন ছোট সৈনিক…”, বিজেপিতে হার্দিক প্যাটেল

    Hardik patel: “মোদির নেতৃত্বে একজন ছোট সৈনিক…”, বিজেপিতে হার্দিক প্যাটেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্বঘোষণা মতো পদ্ম শিবিরে নাম লেখালেন গুজরাতের (Gujarat) পতিদার আন্দোলনের অন্যতম মুখ হার্দিক প্যাটেল (Hardik Patel)। বৃহস্পতিবার সকালেই একটি ট্যুইট করেন তিনি। লেখেন, জীবনের নয়া অধ্যায় শুরু হচ্ছে আজ থেকে। নরেন্দ্র মোদির (Modi) নেতৃত্বে কাজ করব। এরপর গান্ধীনগরে হার্দিক আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন বিজেপিতে (BJP)।

    এক সময় গুজরাত প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন হার্দিক। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে মতান্তরের জেরে দিন কয়েক আগে কংগ্রেস ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। এদিন যোগ দেন বিজেপিতে। রাজস্থানের উদয়পুরে কংগ্রেসের চিন্তন শিবির (Chintan Shivir) হয় দিন কয়েক আগে। সেই শিবিরে যোগ দেননি গুজরাতের পতিদার নেতা। ১৮ মে ছাড়েন কংগ্রেস (Congress)। তার ঢের আগে থেকেই হার্দিকের মুখে শোনা যাচ্ছিল বিজেপি-প্রশস্তি। বিভিন্ন সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূয়সী প্রশংসাও শোনা যায় হার্দিকের গলায়।

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল!

    কংগ্রেস ছাড়ার পর হার্দিক বিজেপি নাকি অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) আম আদমি পার্টিতে (Aam Aadmi Party) যোগ দেবেন, তা নিয়ে ছড়িয়েছিল নানা জল্পনা। তিনি নিজেও প্রথমে জানিয়েছিলেন, এখনও এব্যাপারে তিনি কোনও সিদ্ধান্ত নেননি। তবে যা করবেন, তা ভেবেচিন্তে জনগণের স্বার্থেই করবেন বলেও জানিয়েছিলেন। দিনদুয়েক আগে হার্দিক জানিয়ে দেন, গেরুয়া শিবিরেই নাম লেখাচ্ছেন তিনি। সেই মতো এদিন যোগ দেন মোদি ব্রিগেডে। এদিন সকালে এক ট্যুইট বার্তায় হার্দিক লেখেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে একজন ছোট সৈনিক হিসেবে সমাজের স্বার্থে কাজ করতে চলেছেন।

    আরও পড়ুন : বৃহস্পতিবারই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল? জোর জল্পনা

    চলতি বছরের শেষের দিকেই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন (2022 Gujarat Assembly polls)। তার আগে হার্দিক গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ায় আদতে বিজেপিই লাভবান হল বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের। কেননা, গত বিধানসভা নির্বাচনে হার্দিকের প্রচার সভার পতিদার (Patidar) সম্প্রদায়ের লোকজনের ব্যাপক ভিড় হয়েছিল। হার্দিক গেরুয়া শিবিরে ভিড়ে যাওয়ায় তাঁর পতিদার ভোটের একটা বিরাট অংশ পদ্ম-ঝুলিতে পড়বে বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। গুজরাতের ১২.৩ শতাংশ ভোট পতিদার সম্প্রদায়ের। এর একটা বড় অংশ গেরুয়া ঝুলিতে গেলেই কেল্লাফতে। ২০১৯ সালে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন হার্দিক। তার সুফল ঘরে তুলেছিল সোনিয়া গান্ধীর দল। এবার হার্দিক পদ্ম শিবিরে। তাই পাকা ফসল ঘরে তোলার অপেক্ষায় গুজরাত বিজেপি (Gujarat BJP)।

     

LinkedIn
Share