Tag: congress

congress

  • Sidhu Moosewala: তিন মাসেই পাঞ্জাবে আপ-সরকারের বিরুদ্ধে জমছে ক্ষোভ!

    Sidhu Moosewala: তিন মাসেই পাঞ্জাবে আপ-সরকারের বিরুদ্ধে জমছে ক্ষোভ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্রুত জনপ্রিয়তা কমছে পঞ্জাবের আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party) সরকারের। কংগ্রেসকে হারিয়ে তিন মাসেরও কম সময়ে পঞ্জাবের (Punjab) ক্ষমতায় এসেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল। তার পরেই নানা কারণে দলের বিরুদ্ধে ধূমায়িত হচ্ছে ক্ষোভের আগুন। পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসেওয়ালা (Sidhu Moosewala) খুনের পর যা বিশাল আকার ধারণ করেছে।

    দিনকয়েক আগে খুন হন সিধু। তদন্তে নেমে পুলিশ উত্তরাখণ্ড থেকে গ্রেফতার করে মনপ্রীত সিং নামে একজনকে। মাদক পাচারকারী মনপ্রীতের বিরুদ্ধে অস্ত্র পাচার, খুনের চেষ্টার অভিযোগ, গোষ্ঠী সংঘর্ষের অভিযোগ রয়েছে।

    আরও পড়ুন :আইনের ফাঁসে আরেক আপ নেতা! হাওয়ালাকাণ্ডে গ্রেফতার দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী

    মনপ্রীতকে গ্রেফতার করা হলেও জনতার ক্ষোভের আঁচ নেভেনি একটুও। তার কারণ ভগবান মানের (Bhagwan Mann)  সরকার। মাস তিনেক আগে কংগ্রেসকে ক্ষমতাচ্যুত করে পঞ্জাবের কুর্সিতে বসে আম আদমি পার্টি। বিপুল জনাদেশ নিয়ে দিল্লির বাইরে প্রথম পঞ্জাবে পা রাখে তারা। সরকার হয় ভগবান মানের নেতৃত্বে।

    কুর্সিতে বসেই ভিআইপিদের নিরাপত্তা প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেন মান। তাঁর যুক্তি ছিল, এতে লাভ হবে দু’দিক থেকে। এক, ভিআইপিদের নিরাপত্তায় অকারণে টাকা খরচ করতে হবে না। দুই, ওই পুলিশ কর্মীদের লাগানো যাবে প্রশাসনিক কাজে। ভিআইপি নয়, পুলিশ সেবা করবে আম আদমির। সেই মতো সিধু সহ ৪২৪ জন ভিআইপির নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে মান সরকার। সিদ্ধান্তের ২৪-ঘণ্টার মধ্যেই খুন হন সিধু। তার পরেই ক্ষোভের আগুন জ্বলতে থাকে পঞ্জাবজুড়ে। সরকারের ওপর ব্যাপক ক্ষোভ উগরে দিয়েছে তরুণরা। সাধারণ মানুষেরও বক্তব্য, পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে মান সরকার।

    পঞ্জাবে বিশেষত তরুণ সমাজের কাছে সিধুর জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। তাই আপ বিধায়ক, কর্মী এবং সরকারি কর্মীরা যাতে সিধুর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ না দেন, সে ব্যাপারে তাঁদের সতর্ক করে দিয়েছেন গোয়েন্দারা। কারণ তাঁরা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিলে পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।

    আরও পড়ুন : সংসদের বাদল অধিবেশনেই পেশ হচ্ছে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ বিল?

    এদিকে সিধু খুনে এনআইএ (NIA) কিংবা সিবিআই (CBI) তদন্ত দাবি করেছে কংগ্রেস। বুধবার পঞ্জাব কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদল রাজ্যপাল বনোয়ারিলাল পুরোহিতের সঙ্গে দেখা করে এই দাবি জানায়।প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে ছিলেন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সভাপতি অমরিন্দর সিং রাজা ওয়ারিং। মান যে সরকার চালাতে ব্যর্থ, এদিন তা দাবি করেছেন কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও। তাঁরা বলেন, ভগবন্ত মান কেবল অযোগ্যই নন, পঞ্জাবে কি ঘটছে, সে সম্পর্কে তাঁর কোনও ধারণাই নেই। তিনি কাজ করছেন দিল্লির নির্দেশে।

     

     

  • Congress Chintan Shivir: বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, চিন্তন শিবিরে বার্তা সোনিয়ার

    Congress Chintan Shivir: বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে, চিন্তন শিবিরে বার্তা সোনিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। শুক্রবার রাজস্থানের উদয়পুরে চিন্তন শিবিরে (Chintan Shivir) একথা বললেন কংগ্রেস (Congress) সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia)। কংগ্রেস কর্মীদের ঋণ মেটানের আহ্বানও জানান তিনি।

    এদিন থেকে তিন দিনের চিন্তন শিবির শুরু হয়েছে কংগ্রেসের। উদ্বোধনী ভাষণ দেন সোনিয়া। সেখানেই জানান, বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে। বছর কয়েক ধরে একের পর এক নির্বাচনে গোহারা হেরেছে কংগ্রেস। হাতছাড়া হয়েছে একাধিক রাজ্যের রশি। এক সময় যে রাজ্যগুলির একচেটিয়া রাশ ছিল কংগ্রেসের হাতে, সেগুলিতে থাবা বসিয়েছে বিজেপি।

    পরপর দু-টার্মে কেন্দ্রের তখ্তে বসেছে বিজেপি (BJP)। প্রত্যাশিতভাবেই শতাব্দী প্রাচীন দলে শুরু হয়েছে ক্ষয় রোগ। ধরেছে ভাঙন। এমতাবস্থায় দলকে খাদ থেকে ডাঙায় টেনে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। সেই প্রসঙ্গেই তিনি বলেছেন বিশেষ পরিস্থিতিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার কথা। সোনিয়া বলেন, দলের দৈনন্দিন কার্যকারিতায় পরিবর্তন আনা প্রয়োজন। একটি বড়, সম্মিলিত প্রচেষ্টার প্রয়োজন। চিন্তন শিবির সেই দিকেই একটি পদক্ষেপ।  

    আরও পড়ুন: উদয়পুরে আজ শুরু চিন্তন শিবির, ‘রাহুল ফেরাও’ ডাক দিতে চলেছে কংগ্রেস?

    দলকে বাঁচাতে হলে পার্টির সদস্যদের ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্খার ঊর্ধ্বে ওঠার মন্ত্রেও কংগ্রেস কর্মীদের দীক্ষিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কংগ্রেসের অন্তর্বতীকালীন সভানেত্রী। কংগ্রেস কর্মীরা দলের কাছে ঋণী। সেই ঋণ শোধ করার ডাকও উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে দিয়েছেন সোনিয়া। উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কংগ্রেস আমাদের সব কিছু দিয়েছে। এবার সেই ঋণ শোধ করতে হবে।

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের (2024 Loksabha election) কথা মাথায় রেখে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে বলেও জানান কংগ্রেস সভানেত্রী। তিনি বলেন, দল জনগণের প্রত্যাশার প্রতি উদাসীন নয়। দেশের রাজনীতিতে দল যে ভূমিকা পালন করেছে, তা আবারও পূরণ করুন।  

    কংগ্রেসের এই চিন্তন শিবিরে অংশ নিয়েছেন ৪৩০ জন প্রতিনিধি। রাজনীতি, অর্থনীতি, সংগঠন, যুব ও কৃষক এই ছটি বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। এজন্য প্রতিনিধিদের ছটি দলে ভাগ করা হয়েছে। দল যে ফের ঘুরে দাঁড়াবে, এদিন সেই আশাও ব্যক্ত করেন সোনিয়া। বলেন, আমি আশা করি যে আমরা যখন এখান থেকে বের হব, আমরা নতুন আত্মবিশ্বাস, শক্তি এবং সংকল্পের সঙ্গে তা করব।

      আরও পড়ুন : করোনায় মৃত্যু নিয়ে রাহুলের বিপরীতে গিয়ে হু-র দাবি খারিজ কংগ্রেসের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

      

  • Hardik Patel: বৃহস্পতিবারই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল? জোর জল্পনা

    Hardik Patel: বৃহস্পতিবারই বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল? জোর জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্ভাবনা ছিলই। সেই মতো বৃহস্পতিবারই সম্ভবত বিজেপিতে (BJP) যোগ দিচ্ছেন গুজরাতের (Gujarat) বছর আঠাশের পতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল (Hardik Patel)। সংবাদ সংস্থা সূত্রেই এ খবর মিলেছে। ওই দিন গান্ধীনগরে গুজরাতের বিজেপি সভাপতি সি আর প্যাটেলের (CR Patel) উপস্থিতিতে পদ্ম শিবিরে যোগ দেবেন তিনি।

    ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের (2019 Loksabha elections) ঠিক আগে কংগ্রেসে (Congress) যোগ দিয়েছিলেন হার্দিক। গতকয়েক সপ্তাহ ধরে তিনি লাগাতার আক্রমণ করেছিলেন কংগ্রেসকে। মন্তব্য করেছিলেন, “আমি যেন নাসবন্দি হওয়া বর!” হার্দিক যখন গুজরাত কংগ্রেসের সভাপতি ছিলেন, তখনও তাঁর মুখে বিজেপি-প্রশস্তি শোনা গিয়েছে। বলেছিলেন, “বিজেপির যে কিছু ভালো দিক রয়েছে, তা মানতেই হবে।”

    এর পরেই জল্পনা ছড়ায়, কংগ্রেস ছেড়ে পদ্মশিবিরেই যোগ দিচ্ছেন হার্দিক। এক বার শোনা যায়, অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম-আদমি পার্টিতে যোগ দিচ্ছেন গুজরাতের এই পতিদার নেতা। ওই দুই জল্পনাই অস্বীকার করেছিলেন হার্দিক। তিনি বলেছিলেন, আমি এখন পর্যন্ত কোনও রাজনৈতিক দলে যোগদানের বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি, তা বিজেপি বা আপ যাই হোক না কেন। আমি যে সিদ্ধান্তই নেব, তা হবে জনগণের স্বার্থে।

    আরও পড়ুন : কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন হার্দিক প্যাটেল!

    দিনকয়েক আগে ফের একবার মোদি-ঘনিষ্ঠ আম্বানি-আদানিস্তুতিও শোনা গিয়েছিল হার্দিকের মুখে। এর পর থেকেই তাঁর গেরুয়া শিবিরে যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা আরও জোরালো হয়। শেষমেশ সেটাই সত্যি হতে চলেছে বৃহস্পতিবার। হার্দিক নিজের মুখে স্বীকারও করেছেন একথা।

    হার্দিক দল ছাড়ার পরে পরেই তাঁকে ‘সুবিধাবাদী’ বলে কটাক্ষ করেছিল কংগ্রেস। সোনিয়ার দলের দাবি, গত ছ’বছর ধরেই বিজেপির সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ রেখে গিয়েছিলেন তরুণ পতিদার নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া অভিযোগগুলি থেকে মুক্তি পেতেই দীর্ঘদিন ধরে তিনি বিজেপি-সঙ্গ করছেন বলে দাবি হাত শিবিরের।

    চলতি বছরের শেষেই গুজরাত বিধানসভা নির্বাচন (2022 Gujarat Assembly Election)। তার আগে দলের প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির পদ্ম শিবিরে যোগদান যে কংগ্রেসকে বেশ খানিকটা বেকায়দায় ফেলল, তাতে কোনও সন্দেহ নেই। রাজস্থানের উদয়পুরে তিনদিন ব্যাপী চিন্তন শিবির হয় কংগ্রেসের। সেখানে ঘুরে দাঁড়ানোর বার্তা দেন গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টির অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী। সেই শিবির শেষ হওয়ার তিন দিনের মধ্যেই হাত শিবির ছেড়ে দিয়েছিলেন হার্দিক। এবার চড়ছেন পদ্ম-পানসিতে। 

    আরও পড়ুন : হিজাব পরে বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকতে বাধা, মুখ্যমন্ত্রী বললেন, পড়াশোনায় মন দাও

  • Congress Chintan Shivir: “এক পরিবার, এক টিকিট” নীতির ভাবনা কংগ্রেসে, ছাড় পাবে গান্ধী-পরিবার?

    Congress Chintan Shivir: “এক পরিবার, এক টিকিট” নীতির ভাবনা কংগ্রেসে, ছাড় পাবে গান্ধী-পরিবার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha election) বিজেপির (BJP) বিজয়রথ কীভাবে থামানো যাবে, সেই নিয়ে আলোচনা-বিশ্লেষণ করতে ১৩ মে থেকে রাজস্থানের উদয়পুরে বসছে কংগ্রেসের (congress) চিন্তন শিবির (chintan shivir)।

    কংগ্রেসের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। অতীতে, পরিবার-তন্ত্রকে ইস্যু করে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে বিজেপি। বিরোধীদের এই অস্ত্রেই বিভিন্ন নির্বাচনে ঘায়েল হয়েছে কংগ্রেস। শুধু বিরোধী নয়, দলের অভ্যন্তরেও এই নিয়ে অনেক অপ্রিয় প্রশ্ন উঠেছে। দলের অন্দরে ও বাইরে উভয়ক্ষেত্রেই একাধিকবার, এই পরিবারতন্ত্রের জন্য বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে হাত-শিবিরকে। 

    আগামী লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরকে টেক্কা দিতে এবার আগে থেকে কোমর বেঁধে নামতে চলেছে শতাব্দী-প্রাচীন দলটি। এবার তাই পরিবারতন্ত্রে ইতি টানতে চাইছে কংগ্রেস। সূত্রের খবর, বিরোধীদের জবাব দিতে এবার এক পরিবার এক টিকিট নীতি (one family, one ticket) চালু করতে পারেন কংগ্রেস হাইকমান্ড। 

    সম্প্রতি, ভোটকূশলী প্রশান্ত কিশোর কংগ্রেসকে চাঙা করার একগুচ্ছ খসড়া পেশ করেন হাইকমান্ডের কাছে। ওই খসড়ায়ই ছিল এক পরিবার, এক টিকিট নীতি লাগু করার কথা। পিকে কংগ্রেসে যোগ দেননি। তবে তাঁর প্রস্তাব নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে আলোচনা। 

    সূত্রের খবর, দলের মধ্যেই প্রস্তাব উঠেছে, দলকে জেতাতে অবিলম্বে চালু হোক এক পরিবার এক টিকিট নীতি।  ইতিমধ্যেই দলের শীর্ষস্তরে এই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা ও পর্যালোচনা হয়েছে। আসন্ন চিন্তন শিবিরেই প্রস্তাবে পড়তে পারে হাইকমান্ডের শিলমোহর। 

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    তবে সূত্রের খবর, এই নীতি-রূপায়ণের ক্ষেত্রে একটি ব্যতিক্রম রাখা হয়েছে! আর সেই ব্যতিক্রমের নাম গান্ধী পরিবার। অর্থাৎ, এক পরিবার এক টিকিট নীতি বাকি সকলের জন্য কার্যকর হলেও, গান্ধী পরিবারের ক্ষেত্রে নয়। অর্থাৎ, গান্ধী পরিবারকে এই নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে বলেই খবর।

    সূত্রের খবর, আলোচনার সময়, গান্ধী পরিবারের ক্ষেত্রে এই নিয়ম মানা সম্ভব নয় বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে হাইকমান্ডের পক্ষ থেকে। স্বাস্থ্যের কারণে হয়তো এবার আর রায়বেরিলি থেকে ভোটে লড়বেন না সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। তবে আমেঠি থেকে রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)  লড়বেন বলেই খবর। এক পরিবার এক নীতি লাগু হলে প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার টিকিট পাওয়ার কথা নয়। যদিও প্রিয়ঙ্কাও লড়বেন বলে এখনও পর্যন্ত খবর।

    পরপর দু’দফায় দিল্লির তখতে বসেছে বিজেপি সরকার। দীর্ঘদিন ক্ষমতা থেকে দূরে শতাব্দী প্রাচীন দল কংগ্রেস। স্বাভাবিকভাবেই ক্ষয় শুরু হয়েছে দলে। যার ফলশ্রুতিতে একের পর এক রাজ্যে ধরাশায়ী হচ্ছে দল। এমতাবস্থায় দলকে চাঙা করার একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে ওই চিন্তন শিবিরে। তার মধ্যেই একটি হতে চলেছে, এক পরিবার এক টিকিট নীতি।

    কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর, বিজেপি যাতে ফের পরিবারতন্ত্রের অভিযোগ করতে না পারে, সেই জন্যই এই নীতি চালু করার ভাবনা। তবে রাজনৈতিক মহলের মতে, যদি গান্ধী পরিবারকে এই নীতি থেকে “ফ্রি পাস” দেওয়া হয়, তাহলে কংগ্রেসের দ্বিচারিতা আরও প্রকট হবে। সেক্ষেত্রে, নির্বাচনের আগে, বিজেপির হাতে নতুন অস্ত্র উঠে আসবে। 

    শুধু তাই নয়। দলের কংগ্রেসেরই অন্দরে এই নিয়ে আরও অসন্তোষ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ, ইতিমধ্য়েই, দলের একাংশ রাহুলের নেতৃত্ব নিয়ে খুশি নয়। অনেকেই মনে করেন, পুনরুজ্জীবনের জন্য গান্ধী পরিবারের ছায়া থেকে বেরিয়ে আসতে হবে কংগ্রেসকে। কিন্তু, তা আখেরে কতটা হয়, তা আসন্ন চিন্তন শিবিরেই বোঝা যাবে। 

  • Rahul Gandhi: কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    Rahul Gandhi: কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চর্চায় রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হল রাহুল গান্ধীর প্রতিবেশী দেশের নাইট ক্লাবে (Night Club) পার্টি করার ভিডিও। ভিডিওয় ক্লাবের আলো আধারিতে হঠাৎই মুখ ভেসে ওঠে কংগ্রেস সাংসদের। নেপালের (Nepal) রাজধানী কাঠমান্ডুর (Kathmandu) একটি নাইট ক্লাবে বন্ধুর সঙ্গে দেখা গিয়েছে কংগ্রেসের (Congress) প্রাক্তন সভাপতিকে। মঙ্গলবার ভিডিওটি নেটমাধ্যমে ভাইরাল (viral video) হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।     

    বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য (Amit Malviya) প্রথম টুইটারে ভিডিওটি শেয়ার করেন। টুইটে তিনি লেখেন, “গোটা মুম্বই যখন অবরুদ্ধ তখন  রাহুল গান্ধী ছিলেন নাইট ক্লাবে। তাঁর দলে যখন একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটছে, তখন তাঁকে উল্লাসে মাততে দেখা গেল।” 

    [tw]


    [/tw]

    যদিও এখনও পর্যন্ত ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করা যায় নি। তবে সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুসারে, ভিডিওটি কাঠমান্ডুর একটি নাইট ক্লাবের। সোমবার এক সাংবাদিক বন্ধু সুমনিমা দাসের বিয়েতে গিয়েছিলেন গান্ধী পরিবারের এই সদস্য। বিয়ের অনুষ্ঠান হচ্ছিল ম্যারিয়ট (Mariott) হোটেলে।  

    এদিন রাহুল (Rahul) গান্ধীর ভিডিও সামনে আসতেই আক্রমণ শানায় ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) জার্মানি, ডেনমার্ক, ফ্রান্স সফরকেও রেয়াত করেনি হাত শিবির। কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়, “দেশে যখন একটা সঙ্কটময় পরিস্থিতি চলছে, তখন সাহেব বিদেশ ভ্রমণে ব্যস্ত।” এরপরই রাহুল গান্ধীর নাইট ক্লাবের ভিডিও প্রকাশ্যে এলে কংগ্রেসকে (Congress) খোঁচা মারতে এক মূহূর্তও দেরি করেনি বিজেপি।

     

     

  • Congress Chintan Shivir: লক্ষ্য ২০২৪ নির্বাচন, “এক পরিবার এক টিকিট” নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের

    Congress Chintan Shivir: লক্ষ্য ২০২৪ নির্বাচন, “এক পরিবার এক টিকিট” নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে (2024 Loksabha Election) বিজেপির (BJP) মোকাবিলা করার আগে হারানো জমি কীভাবে ফিরে পাওয়া সম্ভব, সেই রোডম্যাপ তৈরি করতে উদয়পুরে চিন্তন শিবিরের (Chintan Shivir) আয়োজন করেছিল কংগ্রেস (Congress)। লক্ষ্য, আগামী নির্বাচনের আগে দেশজুড়ে দলীয় সংগঠনকে মজবুত করে তোলা। এই মর্মে, তিনদিনের সম্মেলন শেষে একাধিক বড় সিদ্ধান্তের ঘোষণা করল শতাব্দী-প্রাচীন দলটি।

    সাম্প্রতিক বছরগুলিতে কংগ্রেস থেকে বেশ কয়েকজন তরুণ নেতা বেরিয়ে গিয়েছেন। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল পার্টির পুরনো ও নব্য নেতাদের মধ্যে মত-পার্থক্য প্রকট হয়ে পড়া। ফলে তরুণ নেতাদের আকাঙ্ক্ষাগুলি পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে দল৷ সেই কথা মাথায় রেখে কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তরুণ প্রজন্মকে তুলে আনতে সংগঠনের সব স্তরে ৫০ শতাংশ পদে ৫০ বছরের কমবয়সিদের প্রার্থী করা হবে। পাশাপাশি ২০২৪-এর নির্বাচন থেকে শুরু করে তার পরে লোকসভা, বিধানসভা নির্বাচনেও ৫০ শতাংশ আসনে ৫০ বছরের কম বয়সীদের প্রার্থী করা হবে। সংগঠন ও প্রার্থী তালিকায় দলিত, সংখ্যালঘু, আদিবাসী এবং মহিলাদের যুক্তিসঙ্গত প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

    চিন্তন শিবির, যাকে কংগ্রেস উল্লেখ করেছে ‘নব সংকল্প শিবির’ (Nav Sankalp Shivir) হিসেবে, তার শেষ দিন দলীয় সংগঠনে একাধিক সংস্কার আনতে তিনদিনের সম্মেলন শেষে “উদয়পুর নব-সংকল্প ঘোষণাপত্র” (Udaipur Nav Sankalp Declaration) গৃহীত হল কংগ্রেসে। সেখানে দলের অন্তর্বর্তী সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) স্বীকার করে নেন, কংগ্রেস এখন খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। তবে তাঁর দাবি,  এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে দল। তিনি জানান, জনজাগরণ অভিযানের মাধ্যমে মানুষকে যুক্ত করা হবে। তারপর দেশজুড়ো অভিযান চালানো হবে। রাহুল গান্ধীও (Rahul Gandhi) একইসঙ্গে তিনি স্বীকার করে নিলেন, সাধারণ মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে কংগ্রেস নেতাদের। তাঁর মতে, সাধারণ মানুষের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগের বিষয়টি পুনরুদ্ধার করতে হবে এবং এর কোন সহজ রাস্তা নেই।

    বস্তুত, চিন্তন শিবিরে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১৫ জুন থেকে দ্বিতীয় পর্বের ‘জনজাগরণ অভিযান’ (Janajagaran Abhiyan) চালাবে কংগ্রেস। এরপর আগামী ২ অক্টোবর মহাত্মা গান্ধীর জন্মদিনে কংগ্রেস শুরু করতে চলেছে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ (Bharat Jodo Yatra)।  কংগ্রেস বলেছে, ঠিক ৮০ বছর আগে,  সালে, মহাত্মা গান্ধী “ভারত ছাড়ো” স্লোগান দিয়েছিলেন এবং ২০২২ সালে, “জোড়ো ভারত” (এক ভারত) স্লোগানটি গ্রহণ করা উচিত।

    বেশ কিছুদিন ধরেই কংগ্রেসে “এক পরিবার এক টিকিট” চালু করার দাবি উঠেছে। সেই কারণে দীর্ঘ দিনের দাবি মেনে ‘এক ব্যক্তি এক পদ ও এক পরিবার ও একটি টিকিট’ এই নীতি চালু করতে চলেছে। উদয়পুরের সাংবাদিক সম্মেলনে তা ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দিয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তিনি বলেন, ‘এক ব্যক্তি এক পদ’ ও ‘এক পরিবার এক টিকিট’ তখনই বাদ দেওয়া হবে যখন কোনও একটি পরিবারের একাধিক সদস্য টানা পাঁচ বছরেও বেশি সময় কংগ্রেসের জন্য কাজ করেছেন। সেই অর্থে এক পরিবার একাধিক টিকিট পেতে পারে। যার অর্থ গান্ধী পরিবারের তিন জনই কংগ্রেসের টিকিটে লড়াই করতে পারবেন। 

    চিন্তন শিবিরে কংগ্রেসের নেওয়া অন্য বড় সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে জনমত গ্রহণের জন্য পৃথক বিভাগ গঠন। কর্পোরেট ধাঁচে জনতার মন বুঝতে জনসমীক্ষার জন্য ‘পাবলিক ইনসাইট’ শাখা, পদাধিকারীদের কাজের মূল্যায়নে ‘অ্যাসেসমেন্ট’ বিভাগ তৈরি হবে। তার ভিত্তিতেই নেতাদের পদোন্নতি, পদচ্যুত করা হবে। এআইসিসি ও প্রদেশ স্তরে রাজনৈতিক বিষয়ক কমিটি গঠন হবে।

    এছাড়া, কংগ্রেস সিদ্ধান্ত নিয়েছে, ব্লক কংগ্রেস কমিটির নীচে মণ্ডল কমিটি গঠন করা হবে। দলের কর্মীদের প্রশিক্ষণের জন্য জাতীয় প্রশিক্ষণ কেন্দ্র তৈরি হবে। কেরালার ‘রাজীব গান্ধী ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ’ থেকে তার সূত্রপাত হবে। আরেকটি গৃহীত সিদ্ধান্ত হল, কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির (Congress Working Committee) বাছাই করা সদস্যদের নিয়ে একটি উপদেষ্টা গোষ্ঠী তৈরি হবে। কংগ্রেস সভানেত্রীর নেতৃত্বে সেই কমিটি নিয়মিত রাজনৈতিক বিষয় ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনায় বসবে।

     

     

  • Rahul Gandhi Remarks: চিন্তন শিবিরে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য রাহুলের, ক্ষুব্ধ আঞ্চলিক দলের নেতারা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে কংগ্রেস

    Rahul Gandhi Remarks: চিন্তন শিবিরে ‘বেফাঁস’ মন্তব্য রাহুলের, ক্ষুব্ধ আঞ্চলিক দলের নেতারা, ড্যামেজ কন্ট্রোলে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরোধীদের কোনও আদর্শ নেই। উদয়পুরের চিন্তন শিবিরে(chintan shivir) এহেন মন্তব্য করে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের(Opposition parties) বিরাগভাজন হলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী(Rahul gandhi)। কংগ্রেসকে তাঁদের নয়, বরং আঞ্চলিক দলগুলিকে(regional parties) প্রয়োজন কংগ্রেসেরই, সাফ জানিয়ে দিলেন আঞ্চলিক দলগুলির নেতারা। রাহুলকে চালকের আসনে বসিয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট গঠনের চেষ্টা হচ্ছিল। রাহুলের মন্তব্যে তা ধাক্কা খেল বলেই ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। এদিকে, আঞ্চলিক দলগুলির ‘ক্ষোভ’ সামাল দিতে তড়িঘড়ি ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামল কংগ্রেস।

    রাজস্থানের উদয়পুরে তিনদিন ব্যাপী চিন্তন শিবির হয়ে গেল কংগ্রেসের। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনের রণকৌশল তৈরি করতেই বসেছিল শিবির। এই শিবিরে বক্তৃতা দিতে গিয়ে রাহুল বলেন, বিজেপি শুরু কংগ্রেসকে নিয়েই কথা বলবে, কোনও আঞ্চলিক দল নয়, কংগ্রেস নেতা, কংগ্রেস কর্মীদের কথাই ঘুরেফিরে উঠে আসবে তাদের মুখে। কারণ স্ব স্ব ক্ষেত্রে শক্তিশালী হলেও, আদর্শ না থাকায় আঞ্চলিক দলগুলির যে তাদের হারানোর ক্ষমতা নেই, সে কথা জানে বিজেপি। যদিও এই শিবিরেই সমমনস্ক আঞ্চলিক দলগুলির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়ার পক্ষে মত প্রকাশ করেন খোদ সোনিয়া গান্ধি। 

    রাহুলের এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া আসতে শুরু করেছে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের নেতৃত্বের কাছ থেকে। ঝাড়খণ্ডে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার সঙ্গে জোট রয়েছে কংগ্রেসে। যৌথভাবে চলছে সরকারও। ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চার নেতা সুপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ঝাড়খণ্ড ও বিহারে যথাক্রমে ঝাড়খণ্ড মুক্তি মোর্চা ও রাষ্ট্রীয় জনতা দলের হাত ধরে টিকে রয়েছে কংগ্রেস। আমাদের নীতি না থাকলে বিজেপির মতো পার্টির বিরুদ্ধে মানুষ আঞ্চলিক দলকে বেছে নিচ্ছে কেন?

    বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে সমঝোতা রয়েছে কংগ্রেসের। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারে রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সঙ্গে জোট বেঁধেই লড়াই করেছিল রাহুল গান্ধির দল। বিহারের ওই দলের তরফে রাহুলকে সেকথা স্মরণও করিয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে, ১৯৯৯ সালে নেতৃত্বের প্রশ্নে নিজের দলের নেতাদের পাশে না পেলেও, লালুপ্রসাদ যাদবকে পাশে পেয়েছিলেন সোনিয়া। রাহুলের মন্তব্যের কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে আম-আদমি পার্টি, টিআরএস এবং ওয়াইএসআর কংগ্রেস।

    আরও পড়ুন : “আপনি কি ‘ভোট সময়ের হিন্দু’?” রাহুলকে প্রশ্ন বিজেপির

    বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের কড়া প্রতিক্রিয়া দৃশ্যতই জেরবার কংগ্রেস নেতৃত্ব। তড়িঘড়ি  ড্যামেজ কন্ট্রোলে নামানো হয় শশী তারুরকে(Shashi Tharoor)। তারুর বলেন, রাহুল বলতে চেয়েছেন যে, জাতীয় রাজনীতিতে আমাদের সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য রয়েছে। আমাদের ভাবনা গোটা দেশকে নিয়ে। আঞ্চলিক দলগুলিকে নির্দিষ্ট অঞ্চলে নিজেদের স্বার্থ বুঝে চলতে হয়। তিনি বলেন, আমার তো মনে হয়, তৃণমূল, রাষ্ট্রীয় জনতা দল, সমাজবাদী পার্টি এমনকি ডিএমকের সঙ্গেও কংগ্রেসের আদর্শের মিল রয়েছে।

    তারুরের কথায় রাজনীতির চিঁড়ে ভেজে কিনা, তাই দেখার!

     

     

     

     

     

  • Punjab: দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলা, বরখাস্ত মন্ত্রিসভা থেকেও

    Punjab: দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার পাঞ্জাবের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলা, বরখাস্ত মন্ত্রিসভা থেকেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার পাঞ্জাবের (Punjab) স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলা (Vijay Singla)। মঙ্গলবার গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা মাত্রই স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে মন্ত্রিসভা থেকে বরখাস্ত করেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান (Punjab CM Bhagwant Mann)।

    কংগ্রেসকে (congress) হঠিয়ে মাস দুয়েক আগে পাঞ্জাবের ক্ষমতায় আসে আম আদমি পার্টি (AAP)। ভোটের আগে দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের আশ্বাস দিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল অরবিন্দ কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) পার্টি। কংগ্রেস শাসনকালে পাঞ্জাবে নানা কেলেঙ্কারির অভিযোগ আসছিল। স্বভাবতই দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি মনে ধরে ভোটারদের। তার জেরেই বিপুল জনাদেশ নিয়ে পাঞ্জাবের তখ্তে বসে কেজরিওয়ালের দল। মুখমন্ত্রী হন ভগবন্ত মান।

    মান মন্ত্রিসভার বয়স ১০ সপ্তাহের কাছাকাছি। এখনই উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগ। কাঠগড়ায় রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিজয় সিংলা (vijay singla)। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠা মাত্রই তাঁকে বরখাস্ত করেন মান। সিংলার বিরুদ্ধে অভিযোগ, সরকারি কাজ পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে এক শতাংশ কমিশন নিচ্ছিলেন তিনি। তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন শাখা। তার পরেই প্রথমে বরখাস্ত এবং তারই কিছুক্ষণ পরে গ্রেফতার করা হয় সিংলাকে। পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, সিংলার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখে প্রমাণ মেলার পরেই বরখাস্ত করা হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন : দুর্নীতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ,ইস্তফা দিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী[tw]



    [/tw]

    পঞ্জাবের কোনও নেতা, মন্ত্রী, আমলা বা যে কোনও সরকারি কর্মচারীকে দুর্নীতিতে জড়িত থাকতে দেখলেই, তা ভিডিও করে বা প্রমাণ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মানের ব্যক্তিগত হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে পাঠিয়ে দিলেই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দুর্নীতি রুখতে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর রাজ্যের মানুষের সঙ্গে শেয়ারও করেছেন মান।

    পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ারে বসেই মান জানিয়ে দিয়েছিলেন, দুর্নীতি রুখতে কাউকেই রেয়াত করা হবে না। দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় ইতিমধ্যেই কয়েকজন সরকারি কর্মচারীকে শাস্তিও দিয়েছেন। এবার শাস্তির খাঁড়া পড়ল তাঁরই মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রীর ঘাড়ে। মন্ত্রীকে বরখাস্ত করে মন্ত্রিসভার পাশাপাশি সরকারি কর্মীদেরও মান বার্তা দিলেন বলে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা।

    আরও পড়ুন : দুর্নীতি ধামাচাপা দিতে তড়িঘড়ি ৭ হাজার পদ তৈরি এসএসসি-তে?

    মান সরকারের এই সিদ্ধান্তের সমর্থনে ট্যুইট করেছেন আপ নেতামন্ত্রীরা। দলের তরফে পাঞ্জাবের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা তথা রাজ্যসভার সাংসদ রাঘব চাড্ডা ট্যুইট করে বলেন, আম আদমি পার্টিই একমাত্র রাজনৈতিক দল, যারা অখণ্ডতা, সাহস এবং সৎ পথে চলার কথা শুধু মুখেই নয়, কাজেও করে দেখানোর ক্ষমতা ধরে। তাঁর সংযোজন, আমরা এটা দিল্লিতেও দেখেছি। এবার পাঞ্জাবেও একই ঘটনার সাক্ষী হলাম।

    প্রসঙ্গত, স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার এমন ঘটনা ঘটল, যেখানে মুখ্যমন্ত্রী তাঁরই মন্ত্রিসভার কোনও সদস্যকে বরখাস্ত করলেন। ২০১৫ সালে দুর্নীতির অভিযোগে তাঁর এক মন্ত্রীকে বরখাস্ত করেছিলেন কেজরিওয়াল স্বয়ং। এবার পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীকে ট্যুইট কেজরিওয়াল লিখেছেন, ভগবন্ত তোমায় নিয়ে গর্বিত। তোমার কাজ আমার চোখে জল এনে দিয়েছে। আজ গোটা জাতি আপকে নিয়ে গর্ব অনুভব করবে।

     

  • Karti Chidambaram: ঘুষ নিয়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা! সিবিআই দফতরে কার্তি চিদম্বরম

    Karti Chidambaram: ঘুষ নিয়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা! সিবিআই দফতরে কার্তি চিদম্বরম

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বেআইনি ভিসা মামলায় বিপাকে কংগ্রেস নেতা পি চিদম্বরমের (P Chidambaram) ছেলে তথা তামিলনাড়ুর সাংসদ কার্তি চিদম্বরম (Karti Chidambaram)। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কার্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে সিবিআই। টাকার বিনিময়ে চিনা নাগরিকদের ভিসা দেওয়ার অভিযোগে কার্তিকে তলব করেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদিন সকালে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হওয়ার জন্য সিবিআই সদর দফতরে ঢোকার সময় কার্তি বলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতিটি মামলাই ভুয়ো। তার মধ্যে এটি সবচেয়ে ভুয়ো।’’

    সিবিআই সূত্রের খবর, চিদম্বরম এবং তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধে ২০১০ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে বিদেশে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। অভিযোগ, চিদম্বরম কেন্দ্রীয় মন্ত্রী থাকাকালীন ২০১১ সালে পঞ্জাবে বেদান্ত গোষ্ঠীর একটি প্রকল্পে কাজের জন্য ২৬৩ জন চিনা নাগরিককে টাকার বিনিময়ে ভিসা দেওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন তাঁর ছেলে কার্তি।

    এই অভিযোগের জেরে গত সপ্তাহে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই ও তামিলনাড়ুতে চিদম্বরমের বাড়ি ও কার্যালয়ে জোরদার তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই (CBI)। শুধু তাই নয়, কার্তির ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং সহযোগী এস ভাস্করমণকে ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সূত্রের দাবি, ভাস্করমণকে জেরা করে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতেই কার্তিকে তলব করা হয়েছে। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হতে পারে।

    যদিও কংগ্রেস (Congress) সাংসদের সাফ কথা, এই ধরনের কোনও ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নন। এদিন সিবিআই দফতরে হাজিরা দেওয়ার সময় তিনি স্পষ্ট বলে দেন, “আমি জীবনে একজন চিনা নাগরিককেও ভিসা পাইয়ে দিতে সাহায্য করিনি।” কার্তির অভিযোগ, শুধুমাত্র রাজনৈতিক দিক থেকে বিরোধী বলেই কেন্দ্র সরকার তাঁকে ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্তা করছে।

    আরও পড়ুন: গমের পর চিনি রফতানিতে রাশ টানল সরকার

    প্রসঙ্গত, এর আগে আইএনএক্স মিডিয়া দুর্নীতি মামলায় নাম জড়িয়েছিল প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী চিদম্বরমের। ২০১৯ সালে তাঁকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। পরে জামিনে ছাড়া পান তিনি। তার আগে ২০১৭ সালে সিবিআই ওই মামলায় কার্তিকেও গ্রেফতার করেছিল।

  • P Chidambaram High Court: রাজ্যের হয়ে মামলা লড়তে এসে হাইকোর্টে বিক্ষোভের মুখে চিদম্বরম 

    P Chidambaram High Court: রাজ্যের হয়ে মামলা লড়তে এসে হাইকোর্টে বিক্ষোভের মুখে চিদম্বরম 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল সরকারের হয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা লড়তে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন পি চিদম্বরম (P Chidambaram)। এমনকি চারবারের এই প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীকে এক আইনজীবী ”মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দালাল” বলেও কটাক্ষ করেন। আদালত চত্বরে তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান  কংগ্রেসি আইনজীবীরা। ধাক্কাধাক্কি এবং হেনস্থারও অভিযোগ ওঠে। জানা গিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) সরকারের তরফে মেট্রো ডেয়ারির (Metro Dairy) শেয়ার বিক্রির মামলা লড়তে কলকাতায় আসেন পি চিদম্বরম (P Chidambaram News)। মামলাটি দায়ের করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী (Adhir Chowdhury)। কংগ্রেসি আইনজীবীদের অভিযোগ, মেট্রো ডেয়ারিতে (Metro dairy) কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। মানুষের টাকা নিয়ে কেন তৃণমূলের হয়ে লড়ছেন চিদম্বরম? বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে ‘গো ব্যাক’ স্লোগানও ওঠে হাইকোর্ট চত্বরে।      

    ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন কোর্ট চত্বরে? মেট্রো ডেয়ারির মামলায় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে সওয়াল করায় পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কংগ্রেস আইনজীবী সেলের সদস্যরা। কোর্ট চত্বরের বাইরেই তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন আইনজীবীরা। অধীরের আইনজীবী কৌস্তভ বাগচি চিদম্বরমকে ‘মমতার দালাল’বলে কটাক্ষ করেন। একইসঙ্গে এক মহিলা আইনজীবীর বিরুদ্ধে প্রাক্তন মন্ত্রীর 
    কালো কোটটি কেড়ে নেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। সুমিত্রা নিয়োগী নামে ওই মহিলা আইনজীবী প্রথমে চিদম্বরমের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বলেও অভিযোগ। সেই থেকে আদালত চত্বরে সমস্যার সূত্রপাত। 

    উল্লেখ্য, মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রির মামলায় এর আগে CBI-এর তরফে জানানো হয়েছিল, আদালতের নির্দেশ থাকলে তারা স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা লড়তে প্রস্তুত। ২০১৮ সালে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করে অধীর চৌধুরীর অভিযোগ ছিল, মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার সস্তায় বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন, কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি করে নামমাত্র দামে মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে সিঙ্গাপুরের সংস্থার কাছে। মেট্রো ডেয়ারির প্রায় ৪৭ শতাংশ শেয়ার বেআইনিভাবে বিক্রি করার অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। আর এদিকে অধীর চৌধুরীর বিরুদ্ধে কলকাতা হাইকোর্টে সওয়াল করায় পি চিদম্বরমের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন কংগ্রেসের আইনজীবীরা। আদালত চত্বরেই তাঁর উপর চড়াও হয় একদল কংগ্রেসি আইনজীবী। এই ঘটনায় নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। বর্ষীয়ান আইনজীবীর বিরুদ্ধে এই ধরণের আচরণে ক্ষুব্ধ রাজনৈতিক মহল।   

LinkedIn
Share