Tag: congress

congress

  • Kapil Sibal: সৌহার্দ্যপূর্ণ বিদায়! দলত্যাগী কপিল সিব্বলকে নিয়ে চুপ কংগ্রেস হাইকমান্ড

    Kapil Sibal: সৌহার্দ্যপূর্ণ বিদায়! দলত্যাগী কপিল সিব্বলকে নিয়ে চুপ কংগ্রেস হাইকমান্ড

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কংগ্রেসের (congress) সঙ্গে ৩০ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে দল ছেড়েছেন বিশিষ্ট আইনজীবী তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ কপিল সিব্বল (kapil sibal)। সমাজবাদী পার্টির (samajwadi party) সমর্থনে স্বতন্ত্র পার্থী হিসেবে রাজ্যসভায় মনোনয়নপত্র পেশ করেছেন তিনি। দিনদশেক আগে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে (Sonia gandhi) পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছিলেন সিব্বল। তবে সেটি প্রকাশ্যে এসেছে বুধবারই, মনোনয়নপত্র দাখিলের পর।

    ’১৪ সালে কংগ্রেস দিল্লিতে ক্ষমতা হারাতেই বেসুরো গাইতে থাকেন সিব্বল। কংগ্রেসের শীর্ষ পদে বদলের দাবিতে দলের মধ্যে একটি উপদলও গজিয়ে ওঠে সিব্বলের নেতৃত্বে। কংগ্রেসের অন্দরে ভুঁইফোড় ওই উপদল জি-২৩ (G-23) নামে পরিচিত। সেই জি-২৩ এর কেউই ঘূনাক্ষরেও জানতে পারেননি যে কংগ্রেসের পাট চুকিয়ে ফেলেছেন সিব্বল। স্বভাবতই ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের বিক্ষুব্ধ এই শিবিরও।

    আরও পড়ুন : “আলবিদা কংগ্রেস”, ফেসবুক লাইভ করে সোনিয়া-সঙ্গ ছাড়লেন সুনীল জাখর

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, ১৬ মে সোনিয়ার কাছে সিব্বল তাঁর সংক্ষিপ্ত পদত্যাগপত্র পাঠান। সেখানে উল্লেখ করেছেন, দলের সঙ্গে তাঁর বিচ্ছেদ “সৌহার্দ্যপূর্ণ”। দলীয় নেতৃত্ব তাঁকে সুযোগ দিয়েছিলেন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে পদত্যাগপত্রে। একইসঙ্গে এখনই তাঁর এগিয়ে যাওয়ার সময় বলেও জানিয়েছেন বর্ষীয়ান এই রাজনীতিবিদ।

    সিব্বল যে দল ছেড়ে নতুন কিছু করতে যাচ্ছেন, কেবল জি-২৩ নয়, টের পাননি কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতারাও। তাঁরাও জানতে পারলেন দেশের আমজনতার সঙ্গে। যেহেতু কংগ্রেসের সঙ্গে সিব্বলের বিচ্ছেদ সৌহার্দ্যপূর্ণ, তাই সিব্বল স্বয়ং কিংবা কংগ্রেস, কেউই কাউকে খুব একটা আক্রমণ করেননি। প্রবীণ এক কংগ্রেস নেতার ভাষায়, এটি কংগ্রেস এবং সিব্বলের একটি বন্ধুত্বপূর্ণ বিচ্ছেদ ছিল। তাঁর মতে, সিব্বলের কংগ্রেস ত্যাগ জি-২৩ শিবিরেও বিশাল প্রভাব ফেলবে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তারিক আনোয়ার বলেন, সিব্বল দীর্ঘদিন কংগ্রেসের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কংগ্রেস তাঁকে সম্মান ও পদমর্যাদা দিয়েছে। তিনি বলেন, প্রত্যেকেরই উচ্চাকাঙ্খা থাকে। তিনি তাঁর ভবিষ্যৎ সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারেও স্বাধীন। আনোয়ার বলেন, কংগ্রেস সত্তর বছর ক্ষমতায় ছিল। এখন যখন ক্ষমতায় নেই, তখন অনেকেই যাঁরা সংগ্রাম করতে চান না, শুধুই ক্ষমতা চান, তাঁরা চলে যাচ্ছেন।

    আরও পড়ুন :কংগ্রেস ছাড়া অ-বিজেপি জোট অসম্ভব, পাওয়ারের মন্তব্যে সিঁদুরে মেঘ তৃণমূলের আকাশে

    কংগ্রেস কর্মীরা যে দলের কাছে ঋণী, তা মনে করিয়ে দিয়েছেন কংগ্রেসের মুখপাত্র পবন খেরা। বলেন, আমাদের উপলব্ধি করা উচিত যে আমরা কংগ্রেসের মন্ত্রী বা মুখপাত্র যাই হই না কেন, আমরা দলের কাছে অনেক ঋণী। দল আমাদের কাছে ঋণী নয়। এআইসিসি ইনচার্জ ত্রিপুরা অজয় ​​কুমার বলেন, প্রশ্ন হল, যে বা যাঁরা দলত্যাগ করছেন, তাঁরা কি (জনসাধারণের) ইস্যুতে লড়াই করতে প্রস্তুত নাকি তাঁরা কেবল তাঁদের ব্যক্তিগত উচ্চাকাঙ্ক্ষা চরিতার্থ করতে চলে যাচ্ছেন?

    সিব্বল বলেন, আমি ১৬ মে নিজেই কংগ্রেস থেকে ইস্তফা দিয়েছিলাম। আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আমার কাগজপত্র জমা দিয়েছি। সংসদে একটি স্বাধীন কণ্ঠস্বর হতে হবে, এটাই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আমি সমাজবাদী পার্টির প্রধানের কাছে কৃতজ্ঞ। অখিলেশ যাদব আমায় সমর্থন করেছেন।

    ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। তার আগে কংগ্রেস কীভাবে সিব্বল-ক্ষত সামলায়, এখন তাই দেখার।

     

  • Congress: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    Congress: সোনিয়া, রাহুলকে সমন ইডি-র! ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বিপাকে কংগ্রেস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার কংগ্রেসের অন্তর্বতীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi) এবং রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) নোটিস পাঠাল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। বেআইনিভাবে অর্থ লেনদেনে (money laundering case) জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁদের নোটিস পাঠানো হয়েছে। বুধবার কেন্দ্রীয় তদন্তাকারী সংস্থার তরফেই এ খবর জানানো হয়েছে।

    ইডি-র (ED) তরফে জানানো হয়েছে, ন্যাশনাল হেরাল্ড (National Herald) মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাহুলকে ২ জুন আর সোনিয়াকে ৮ জুন ইডি-র দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের দুই হেভিওয়েট নেতাকে যে ডেকে পাঠানো হয়েছে, তা স্বীকারও করেছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, সোনিয়া গান্ধীকে ৮ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে ইডি। তবে তাঁরা যে এতে ভয় পাচ্ছেন না, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হাত শিবিরের নেতা রণদীপ সুরজেওয়ালা। তিনি বলেন, আমরা এই নোটিসে ভয় পাই না। মাথা নতও করব না।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    আইনজীবী তথা কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিংভি বলেন, এটি বেআইনি অর্থ লেনদেন মামলার এক অদ্ভুত নোটিস, যার সঙ্গে কোনও আর্থিক লেনদেন জড়িত নেই। এটি পুরোপুরি প্রতিহিংসার রাজনীতি। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এর মোকাবিলা করব। সিংভি বলেন, সোনিয়া, রাহুল তদন্তে সহযোগিতা করবেন। রাহুল আপাতত বিদেশে রয়েছেন। ফিরে এলে তিনি তদন্তকারীদের মুখোমুখি হবেন। অন্যথায় ইডির কাছে আরও সময় চাওয়া হবে।

    তদন্তে সহযোগিতা করার আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি এদিন প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রণদীপ বলেন, পুরো ষড়যন্ত্রের পিছনে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর পোষা সংস্থা ইডি। মোদি (Modi) সরকার প্রতিশোধের জন্য অন্ধ হয়ে গিয়েছে। ইডির নোটিসকে নয়া কাপুরুষোচিত কাজ বলে তোপ দাগেন তিনি। রণদীপ জানান, ন্যাশনাল হেরাল্ড ১৯৪২ সালের একটি সংবাদপত্র। তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার তা দমনের কাজ করেছিল। এখন মোদি সরকার ইডিকে হাতিয়ার করে এসব করছে।

    আরও পড়ুন : “আলবিদা কংগ্রেস”, ফেসবুক লাইভ করে সোনিয়া-সঙ্গ ছাড়লেন সুনীল জাখর

    জওহরলাল নেহরু প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল হেরাল্ড পত্রিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ বিজেপি (BJP) তুলেছিল মনমোহন সিং (Manmohan Singh)-এর জমানায়ই। ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিষয়টি নিয়ে নতুন করে জলঘোলা শুরু হয়। যার মূল হোতা ছিলেন বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী।

    তাঁর অভিযোগ, অ্যাসোসিয়েটেড জার্নালস লিমিটেড নামে যে সংস্থার হাতে সংবাদপত্রটির মালিকানা ছিল, বাজারে ৯০ কোটি টাকা দেনা ছিল তাদের। সংবাদপত্রটির সম্পত্তি বিক্রি করে কেন কংগ্রেস নেতৃত্ব ঋণের টাকা মেটালেন না, সেই প্রশ্ন তুলে আদালতে অভিযোগ করেন ঘুরপথে আয়কর মুক্ত পুরো টাকা নিজেদের পকেটে ভরেছেন সোনিয়া, রাহুল সহ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

     

  • Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ম্যারাথন জেরা রাহুলকে, আজ ফের তলব

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১০ ঘণ্টার বেশি জেরা করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi)। সোমবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ ছেড়ে দেওয়া হয় তাঁকে। মঙ্গলবার ফের ইডি (Ed) দফতরে তলব করা হয়েছে রাহুলকে।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) সোমবার রাহুলকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি। প্রথম দফায় জেরা করা হয় টানা তিন ঘণ্টা।দ্বিতীয় দফায় সাত ঘণ্টারও বেশি। রাহুলের ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে এদিন পথে নেমে পড়ে কংগ্রেস। বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলে অবস্থান-বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন কংগ্রেস কর্মীরা। কংগ্রেস কর্মীদের আটকাতে ধরপাকড় শুরু করে পুলিশ। ঘটনার জেরে দিল্লির বিভিন্ন রাস্তা কার্যত হয়ে ওঠে রণক্ষেত্র। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে এদিন সকাল থেকেই রাহুল গান্ধীর বাসভবন, কংগ্রেস সদর দফতর এবং ইডি দফতরের বাইরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

    আরও পড়ুন : রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    সূত্রের খবর, এদিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ প্রিয়ঙ্কা গান্ধী বঢরার বাড়িতে পৌঁছান রাহুল। সেখান থেকে দুজনে এসে পৌঁছান কংগ্রেসের সদর দফতরে। পরে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে মিছিল করে, পায়ে হেঁটে ইডি দফতরের দিকে রওনা দেন রাহুল। কিছুটা দূরেই মিছিল আটকে দেয় দিল্লি পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমের বুকের হাড়ে চিড় ধরেছে বলে দাবি কংগ্রেসের। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, চিদম্বরমের হাড় ভেঙেছে। ২০১৫ সালে এই মামলা বন্ধ করেছিল ইডি। এখন বিজেপির কাছে কিছু না থাকায় ভিতু মোদি সরকার এই ধরনের অঘোষিত জরুরি অবস্থা জারি করছে।

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    এদিন প্রথম দফার জেরা শেষে ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে রাহুল হাসপাতালে যান করোনা সংক্রমিত সোনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে। ফের যান ইডি দফতরে। শুরু হয় দ্বিতীয় দফার জিজ্ঞাসাবাদ। এ প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মহিলা ও শিশু কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি বলেন, কংগ্রেসের তরফে যে প্রতিরোধ করা হচ্ছে, এটা দেশের গণতন্ত্র নয়। কংগ্রেসের গান্ধী পরিবারের দু হাজার কোটি টাকার সম্পত্তি বাঁচানোর প্রয়াস।

     

  • Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    Rahul Gandhi: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় টানা তিন ঘণ্টা ধরে জেরা রাহুলকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে জেরা করা হল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে। ইডি সূত্রে খবর, ডেটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাঁকে। ইডি সূত্রে খবর, তাঁকে ফের তলব করা হতে পারে। সোমবার রাহুল গান্ধীর ইডি দফতরে হাজিরা দেওয়াকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে সত্যাগ্রহ মিছিলের আয়োজন করেছিল কংগ্রেস (Congress)। পুলিশ তাদের পথ আগলায় বলে অভিযোগ। কংগ্রেস ও পুলিশ কর্মীদের বচসার জেরে ধুন্ধুমার পরিস্থিতি রাজধানীতে। প্রসঙ্গত, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় (National Herald Case) এদিন ইডি (ED) দফতরে হাজির হন রাহুল। পায়ে হেঁটেই তিনি পৌঁছান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে। 

    রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    এদিন বেলা ১২টা নাগাদ ইডি দফতরে হাজির হন রাহুল। ডটেক্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সেল কোম্পানির বিষয়ে রাহুল কিছু জানেন কিনা, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। তাঁর কাছ থেকে পাওয়া উত্তরের প্রেক্ষিতেই পরে জেরা করা হবে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে। এদিন সকাল থেকেই দিল্লির রাজপথে রাহুলের সমর্থনে স্লোগান দিতে শুরু করেন কংগ্রেস কর্মীরা। ঘটনার জেরে কংগ্রেস সদর দফতরের সামনে মোতায়েন করা হয় প্রচুর পুলিশ কর্মী। অশান্তির আঁচ যাতে না লাগে, তাই জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছিল ইডি দফতরেও। নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছিল ইডি অফিস। 

    কংগ্রেসের এই সত্যাগ্রহ মিছিলের অনুমতি না থাকায় পুলিশ একাধিক বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে। কংগ্রেস সদর দফতরের বাইরে থেকেই প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীকে। দিল্লি পুলিশের সঙ্গে কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয় বলেও অভিযোগ। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, কংগ্রেস কর্মীরা শান্তিপূর্ণভাবেই আন্দোলন করছিলেন। তাঁরা রাহুল গান্ধীর সমর্থনে জড়ো হয়েছিলেন। অধীরের প্রশ্ন, আমরা কী কোনও বেআইনি কাজ করেছি? এদিকে, রাহুলের ইডি দফতরে হাজিরাকে কেন্দ্র করে কংগ্রেসের প্রতিবাদ প্রদর্শনকে কংগ্রেসের ‘ভুয়ো সত্যাগ্রহ’ বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি।

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    এদিন সকাল থেকেই কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভের জেরে গোলমিঠি জংশন, তুঘলক রোড জংশন, মৌলানা আজাদ রোড জংশন, ক্ল্যারিজেস জংশন, কিউ পয়েন্ট জংশন, সুনহেরি মসজিদ জংশন, মান সিং রোড জংশনের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাগুলি বেলা পর্যন্ত এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছিল সাধারণ মানুষকে। গোল ডাকখানা জংশন, প্যাটেল চক, উইন্ডসর প্লেস, তিন মূর্তি চক, পৃথ্বীরাজ রোড দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বাস চলাচল।

    ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় বেআইনি আর্থিক লেনদেনের অভিযোগে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী ও দলের হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধীকে নোটিস পাঠিয়েছে ইডি। ২ জুন রাহুলকে এবং ৮ জুন সোনিয়াকে ইডি দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। বিদেশে থাকায় ওই দিন হাজিরা দিতে পারেননি রাহুল। সেই কারণেই ১৩ জুন জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয় রাহুলকে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা অভিষেক মনু সিংভি লেন, এজেন্সি লাগিয়ে কেন্দ্রের প্রতিহিংসার রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে কংগ্রেস।  

     

  • KS Eshwarappa: দুর্নীতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ,ইস্তফা দিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী

    KS Eshwarappa: দুর্নীতি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ,ইস্তফা দিলেন কর্নাটকের মন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি এবং আত্মহত্যার ঘটনায় নাম জড়িয়ে যাওয়ায় শেষমেশ পদত্যাগ করলেন কর্নাটকের (Karnataka) মন্ত্রী তথা বিজেপি (BJP) বিধায়ক কে এস ঈশ্বরাপ্পা (KS Eshwarappa)। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্বাইয়ের (Basavaraj Bommai) সঙ্গে দেখা করে তাঁর হাতে পদত্যাগপত্র তুলে দেন তিনি। তবে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে আসার আগে নিজের নির্বাচনী কেন্দ্র শিবমোগ্গায় (Shivamogga) সমর্থকদের উদ্দেশে তিনি বলেন,”আবার ফিরে আসব।”

    সন্তোষ পাটিল (Santosh Patil) নামে এক ঠিকাদারকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ ঘিরে বিপাকে পড়েছিলেন ঈশ্বরাপ্পা। তিনি আর মন্ত্রী থাকবেন কি না, তা নিয়ে জল্পনা চলছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় ঈশ্বরাপ্পা নিজের বাড়ি থেকে বেরনোর পরেই সমর্থকরা তাঁকে ঘিরে ধরেন। মন্ত্রীকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হচ্ছে, এই দাবি তুলে প্রতিবাদও করেন অনেকে। তাঁদের উদ্দেশে ঈশ্বরাপ্পার বার্তা,”আমি দলের ক্ষতি করতে চাই না। তাই,মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আজই পদত্যাগপত্র জমা দেব। আমি নিশ্চিত, সমস্ত অভিযোগ থেকেই মুক্ত হব আমি। এ রাজ্যের বহু দলীয় কর্মী থেকে শুরু করে নেতা-বিধায়কেরা আমায় সমর্থন করছেন।”

    ঈশ্বরাপ্পার বিরুদ্ধে ৪০ শতাংশ কমিশন (40 per cent commission) চাওয়ার অভিযোগ তুলে কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক প্রিয়ঙ্ক খড়্গে বলেছেন, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের দুর্নীতি-কাণ্ডে আরও অনেকেই জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তুলেছেন প্রিয়ঙ্ক। 

    কর্নাটকের উদুপির একটি লজে বুধবার আত্মহত্যা করেন ৩৭ বছরের সন্তোষ। মৃত্যুর আগে তিনি হোয়াটসঅ্যাপে তাঁর বন্ধু ও পরিজনকে জানান, তাঁর মৃত্যুর জন্য মন্ত্রী ঈশ্বরাপ্পাই দায়ী। মৃত ঠিকাদারের অভিযোগ, তিনি পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের কাজ করেছিলেন। বিল হয়েছিল চার কোটি টাকা। তার ৪০ শতাংশ কমিশন চেয়েছিলেন ঈশ্বরাপ্পা। তাঁর স্ত্রী ও সন্তানকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কর্নাটকের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদুরাপ্পার কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সন্তোষ। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে সন্তোষের মৃত্যুর পর তাঁর ভাই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেন। তাতে প্রথম অভিযুক্তের নাম ঈশ্বরাপ্পা। যদিও প্রাক্তন মন্ত্রীর বক্তব্য, “ওই সুইসাইড নোট মিথ্যে। তার কোনও ভিত্তি নেই। হোয়াটসঅ্যাপকে সুইসাইড নোট হিসাবে ধরা হয় নাকি? অন্য কেউ তো টাইপ করে দিতে পারে।”

     

  • Rahul Gandhi: রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    Rahul Gandhi: রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছাড়াই লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল গান্ধী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রিটেনে গিয়েছিলেন। অথচ সফরের আগে কেন্দ্রীয় বিদেশমন্ত্রক থেকে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক ছাড়পত্র (political clearance) নেননি কংগ্রেস (congress) সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বুধবার কেন্দ্রীয় সরকারের একটি সূত্রেই এই দাবি করা হয়েছে। ওই সূত্র জানাচ্ছে, লোকসভা ও রাজ্যসভার সাংসদদের বিদেশের কোনও কর্মসূচি বা অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে বিদেশ মন্ত্রক থেকে রাজনৈতিক ছাড়পত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু রাহুল সেই নিয়ম না মেনেই চলতি সপ্তাহে লন্ডনে সফরে (London trip) গিয়েছিলেন।

    আইডিয়াস ফর ইন্ডিয়া (Ideas for India) সম্মেলনে যোগ দিতে লন্ডন গিয়েছিলেন রাহুল। সেখানে তিনি তীব্র ভাষায় বিজেপিকে (BJP) আক্রমণ শানান। পরে বিতর্কিত ব্রিটিশ লেবার পার্টির এক নেতার সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন। সরকারের একটি সূত্র জানাচ্ছে, রাহুল রাজনৈতিক ছাড়পত্র না নিলেও, জাতীয় জনতা দলের আর এক সাংসদ অধ্যাপক মনোজ ঝা, যিনি লন্ডনের ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়েছিলেন, তাঁর কাছে রাজনৈতিক ছাড়পত্র ছিল। রাহুলের একদিন আগেই কেমব্রিজের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তৃতা দিয়েছিলেন ওই অধ্যাপক।

    অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার পর ব্রিটেনের লেবার পার্টির প্রাক্তন নেতা জেরেমি করবিনের (Jeremy Corbyn) সঙ্গেও দেখা করেন কংগ্রেস সাংসদ। এই জেরেমি করবিন তাঁর ভারত-বিরোধী (Anti-India), হিন্দুত্ব-বিরোধী (Anti-Hindu) অবস্থানের জন্য পরিচিত। ইন্ডিয়ান ওভারসিজ কংগ্রেস (আইওসি) দ্বারা শেয়ার করা একটি ছবিতে জেরেমি করবিনকে আইওসির চেয়ারম্যান স্যাম পিত্রোদা (Sam Pitroda) ও রাহুল গান্ধীর সঙ্গে পোজ দিতে দেখা যায়। প্রসঙ্গত, জেরেমি করবিনকে তাঁর ‘অর্থবিরোধী’ দৃষ্টিভঙ্গির জন্য লেবার পার্টির নেতৃত্ব দল থেকে বহিষ্কার করেছিল। জেরেমি করবিন জম্মু-কাশ্মীরে পাকিস্তানের প্রত্যক্ষ সমর্থকও।  

    আরও পড়ুন : কাঠমান্ডুর নাইটক্লাবে রাহুল গান্ধীর ভিডিও ভাইরাল, নিন্দায় সরব বিজেপি

    ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের প্রশ্ন, কংগ্রেস নেতা ব্রিটিশ রাজনীতিকের সঙ্গে কী করছেন, যে ব্রিটিশ নেতা প্রকাশ্যে ভারত থেকে কাশ্মীরকে আলাদা করার পক্ষে সওয়াল করেন? বিজেপির জাতীয় মুখপাত্র শেহজাদ পুনাওয়ালার প্রশ্ন, জেরেমি করবিনের মতো ভারত-বিরোধী মানুষের সঙ্গে দেখা করা হোক কিংবা ডোকলামের (Doklam) সময় চিনাদের সঙ্গে দেখা করা কেন রাহুল গান্ধীর হাত সবসময় তাঁদের সঙ্গে থাকে, যাঁদের হাত ভারতের বিরুদ্ধে? যদিও কংগ্রেসের বক্তব্য, রাহুলের বিদেশ সফরের জন্য সরকারি অনুমতির কোনও প্রয়োজনই নেই।

     

  • Amit Shah: ‘সেদিন দেশবাসীর অধিকার…’, ৭৫-এর জরুরি অবস্থা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    Amit Shah: ‘সেদিন দেশবাসীর অধিকার…’, ৭৫-এর জরুরি অবস্থা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্ষমতার জন্য কংগ্রেস (Congress) ভারতীয়দের সাংবিধানিক অধিকার (Constitutional Rights) কেড়ে নিয়েছিল। এমনই অভিযোগ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। দেশে জরুরি অবস্থার ৪৭ বর্ষপূর্তি। ১৯৭৫ সালের এই দিনেই দেশে জরুরি অবস্থা জারি করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। সেই কারণেই এদিন কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ শানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    এদিন সকালে একট ট্যুইটবার্তায় শাহ বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে কংগ্রেস ক্ষমতার জন্য প্রত্যেক ভারতবাসীর সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়ে জরুরি অবস্থা জারি করেছিল। তিনি বলেন, কংগ্রেস শাসন বর্বরতার দিক থেকে বিদেশি শাসনকে পিছনে ফেলে দিয়েছে। তিনি সেই দেশপ্রেমিকদের শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন, যাঁরা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে এবং স্বৈরাচারী মানসিকতাকে পরাস্ত করতে সর্বস্ব উৎসর্গ করেছিলেন।

    আরও পড়ুন : ‘শিবের মতো বিষপান করেছেন মোদি’, গুজরাট হিংসা প্রসঙ্গে অমিত শাহ

    ১৯৭৫ সালের ২৫ জুন মধ্যরাতে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ফকরুদ্দিন আলি আহমেদ সংবিধানের ৩৫২ অনুচ্ছেদের অধীনে জরুরি অবস্থা জারি করেন। ১৯৭১ সালের লোকসভা নির্বাচনে ইন্দিরার জয়কে অবৈধ ঘোষণার পরে তাঁর পদত্যাগের দাবিতে সোচ্চার হয় দেশ। ব্যাপক বিক্ষোভের মুখে পড়ে জারি করা হয় জরুরি অবস্থা। সেই সময় মানবাধিকার লঙ্ঘন, সেন্সরশিপ ছাড়াও বহু মানুষকে জেলবন্দি করা হয়েছিল। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর জরুরি অবস্থা জারির এই সিদ্ধান্তকে দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে একটি অন্ধকারময় সময় বলে বিবেচনা করা হয়। ১৮ মাস পরে প্রত্যাহার করা হয় জরুরি অবস্থা। ১৯৭৭ সালে নির্বাচনে হেরে যায় কংগ্রেস।

    দিনটিকে অন্ধকারময় চ্যাপ্টার বলে উল্লেখ করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি বলেন, ৪৭ বছর আগে দেশজুড়ে জরুরি অবস্থা জারির সিদ্ধান্ত একটি অন্ধকারময় অধ্যায়। এটা কখনওই ভোলা যাবে না।বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা বলেন, বিজেপি সেই সব বীরদের স্মরণ করে, যাঁরা ভারতের গণতন্ত্র এবং সাংবিধানিক মূল্যবোধ রক্ষার জন্য লড়াই করেছিলেন।

    আরও পড়ুন : আতঙ্কে ঘর ছাড়ছেন পণ্ডিতরা, জরুরি বৈঠক ডাকলেন অমিত শাহ

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী বলেন, ২৫ জুন দিনটি ভারতের গণতন্ত্রে একটি কালো দিন। ক্ষমতার জন্য শাসক নাগরিক স্বাধীনতা খর্ব করেছিলেন।গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে ধ্বংস করেছিলেন। দুর্বল করেছিলেন বিচার বিভাগকেও।

    অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা বলেন, জরুরি অবস্থা ভারতের গণতন্ত্রের ভয়াবহ অন্ধকার দিনগুলির কথা মনে করিয়ে দেয়।

     

     

  • Rahul Gandhi: উদয়পুরে আজ শুরু চিন্তন শিবির, ‘রাহুল ফেরাও’ ডাক দিতে চলেছে কংগ্রেস?

    Rahul Gandhi: উদয়পুরে আজ শুরু চিন্তন শিবির, ‘রাহুল ফেরাও’ ডাক দিতে চলেছে কংগ্রেস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের ‘রাহুল ফেরাও’ স্লোগান উঠল কংগ্রেসে (Congress)! আজ থেকে রাজস্থানের উদয়পুরে (Udaipur) শুরু হচ্ছে কংগ্রেসের তিনদিন ব্যাপী চিন্তন শিবির (chintan shivir)। ওই শিবিরেরই সোনিয়ার (Sonia Gandhi) বদলে রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) ফেরানোর তোড়জোড় করছেন কংগ্রেস নেতারা।

    কংগ্রেস সূত্রে খবর, উদয়পুরে চিন্তন শিবির শুরু হবে দলের হাইকমান্ড সোনিয়া গান্ধীর ভাষণ দিয়ে। তার পরেই আলোচনা হবে দলীয় সংগঠন নিয়ে। ২০২৪ দেশে সাধারণ নির্বাচন (2024 Loksabha Elections)। ওই নির্বাচনে বিজেপিকে (BJP) পরাস্ত করতে চিন্তন শিবির থেকেই কোমর কষে নামতে চলেছে সোনিয়া গান্ধীর দল।

    এর আগে সোনিয়ার নেতৃত্বে তিনবার চিন্তন শিবির হয়েছে কংগ্রেসে। ১৯৯৮, ২০০৩ এবং ২০১৩ সালে। এর মধ্যে ২০০৩ সালের চিন্তন শিবিরের পর লাভের কড়ি ঘরে তোলে কংগ্রেস। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে কেন্দ্রের কুর্সিতে ফেরে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় ছিল টানা ১০ বছর।

    ২০১৪ সালের পর থেকে প্রায় প্রতিটি নির্বাচনে হেরে চলেছে কংগ্রেস। বেহাল দলের হাল ফেরাতে দলের সর্বাধিনায়ক করা হয় রাহুল গান্ধীকে। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বেই ভোটে যায় কংগ্রেস। ওই ভোটে গোহারা হয় রাহুলের দল। এরপরেই দলের শীর্ষ পদ থেকে ইস্তফা দেন রাহুল। দলের ভাঙা হাল ধরার দায়িত্ব ফের এসে পড়ে সোনিয়ার (Sonia Gandhi) ঘাড়ে। অন্তবর্তীকালীন প্রসিডেন্ট পদে বসানো হয় তাঁকে।

    আরও পড়ুন : “এক পরিবার, এক টিকিট” নীতির ভাবনা কংগ্রেসে, ছাড় পাবে গান্ধী-পরিবার?

    তবে এবারের চিন্তন শিবিরে ফের রাহুল ফের দাবি উঠতে চলেছে বলে কংগ্রেসের একটি সূত্রের খবর। এই সূত্রেই এও জানা গিয়েছে, রাহুল স্বয়ং ওই পদে যোগ দিতে রাজি হয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরীও (Adhir Ranjan Chowdhury) বলেন, লোকসভা ভোট বৈতরণী পার হতে দলের হাল ধরা উচিত রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi)। অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন (Congress President election) হওয়ার কথা। ওই নির্বাচনেই কংগ্রেস রাহুলকেই ফেরাতে চান স্বপদে। তবে বিষয়টিকে কংগ্রেসের জি-২৩ এর নেতা কীভাবে নেন, সেটাই দেখার। কারণ গান্ধী-মুক্ত কংগ্রেসের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই দলের অন্দরে লড়াই করছেন ওই গোষ্ঠীর নেতারা।

     

  • Mohali blast: নেপথ্যে জঙ্গি-যোগ? পঞ্জাবে পুলিশের সদর দফতরে গ্রেনেড হামলার তদন্ত পেতে পারে এনআইএ

    Mohali blast: নেপথ্যে জঙ্গি-যোগ? পঞ্জাবে পুলিশের সদর দফতরে গ্রেনেড হামলার তদন্ত পেতে পারে এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোহালিতে পঞ্জাব পুলিশের (Punjab police) গোয়েন্দা বিভাগের সদর দফতরে গ্রেনেড হামলার তদন্তভার বর্তাতে পারে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র(NIA) ওপর। অন্তত এমনই খবর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে। যদিও গ্রেনেড হানার ঘটনাটিকে ছোট ঘটনা বলে মনে করছে পঞ্জাব সরকার।

    মোহালির (Mohali) সেক্টর ৭৭-এ রয়েছে পঞ্জাব পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সদর দফতর। সোমবার রাত আটটা নাগাদ দফতরের বিল্ডিংয়ে আছড়ে পড়ে গ্রেনেড। প্রাণহানির কোনও ঘটনা না ঘটলেও, গ্রেনেড হামলার জেরে ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে যায় সদর দফতরের কাচের জানালা। এই হামলার আগে পঞ্জাব পুলিশের কাছে হুমকি চিঠি এসেছিল বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর।

    যদিও ঘটনাটি ছোট ঘটনা বলে জানায় পঞ্জাবের আম আদমি পার্টির (APP) সরকারের প্রধান ভগবন্ত মান। রাজ্য সরকার যতই ঘটনাটি ছোট করে দেখাক না কেন, তবে রকেট হামলার এই ঘটনাটি মোটেই হালকাভাবে নিচ্ছে না কেন্দ্রীয় সরকার। মোহালির এই বিস্ফোরণের সঙ্গে জঙ্গি যোগের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছে না অমিত শাহের মন্ত্রক। তদন্তের ভার দেওয়া হতে পারে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র হাতে। গোয়েন্দা দফতরের সামনে গ্রেনেড হামলার ঘটনাকে জঙ্গি কার্যকলাপের অংশ হিসেবেই তারা দেখছে বলে সূত্রের খবর।

    কংগ্রেস সরকারকে পরাস্ত করে পঞ্জাবের কুর্সিতে আসে আম আদমি পার্টি। মুখ্যমন্ত্রী হন ভগবন্ত মান। আপ ক্ষমতার আসার পর থেকে প্রায়ই অশান্তির খবর আসছে পঞ্চনদের রাজ্য থেকে। অথচ বিধানসভা নির্বাচনের আগে আম আদমি পার্টির প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দাবি করেছিলেন, পঞ্জাবের ক্ষমতায় আপ এলে বদলে যাবে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি। বিপুল জনসমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় এসেছে আপ। তবে ভোল বদলায়নি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির।

    পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের সদর দফতরের সামনে গ্রেনেড হামলার ঘটনা প্রসঙ্গে আপ সুপ্রিমো কেজরিওয়াল বলেন, পরিকল্পিতভাবে পঞ্জাবের শান্তি নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। মোহালি বিস্ফোরণ একেবারে কাপুরুষোচিত কাজ। আমরা কিছুতেই পঞ্জাবের শান্তি বিঘ্নিত হতে দেব না।

     

  • Jodhpur Violence: সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে উত্তপ্ত যোধপুর, ধৃত ৯৭, জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট

    Jodhpur Violence: সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষে উত্তপ্ত যোধপুর, ধৃত ৯৭, জারি কারফিউ, বন্ধ ইন্টারনেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইদ (Eid) ও অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshay Tritiya) আগের দিন দুই সম্প্রদায়ের সংঘর্ষে (communal clash) অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে রাজস্থানের (Rajasthan) যোধপুর (Jodhpur)। সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে রাজস্থান পুলিশ। পতাকা উত্তোলনকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যোধপুরের জালোরি গেট (Jalori gate) এলাকা। দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে পাথর ছোঁড়ার ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মী। একই সঙ্গে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে পাথরের আঘাতে আহত হয়েছেন বেশ কিছু সাংবাদিকও।     

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট (Ashok Gehlot) এই ঘটনায় পুলিশকে ইতিমধ্যেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে তিনি বলেন, “ধর্ম, বর্ণ বা শ্রেণি নির্বিশেষে ঘটনায় জড়িতদের রেয়াত করা হবে না।” আর তার বক্তব্যের ২৪ ঘণ্টা পার হতে না হতেই ৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি সংঘর্ষের ঘটনায় ইন্ধন দেওয়ার জন্য বিজেপিকেও আক্রমণ শানিয়েছেন তিনি।    

    পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সোমবার সকালে ঘটনার সূত্রপাত হয়। বেলা বাড়তেই এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী নামাতে হয়। ঘটনা প্রসঙ্গে যোধপুর পুলিশের এডিজি (আইন শৃঙ্খলা) এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, “ইদের অনুষ্ঠান উপলক্ষে পতাকা উত্তোলন নিয়ে দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এই ঘটনায় বেশ কয়েক জন পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। পরে বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় শান্তি বজার রাখার জন্য বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। ১০টি পুলিশ থানা এলাকায় কারফিউ জারি রয়েছে। আপাতত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অঞ্চলের সমস্ত স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে।”   

    রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট এক টুইট বার্তায় লিখেছেন, “যোধপুরের জালোরি গেট এলাকার ঘটনা দুর্ভাগ্যজনক। পুলিশ প্রশাসনকে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” পাশাপাশি এলাকার শান্তি বজায় রাখার জন্য তিনি সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।  

    অন্যদিকে, এই ঘটনার জন্য বর্তমান কংগ্রেস শাসিত প্রশাসনের দিকেই আঙুল তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া (Vasundhara Raje Scindia)। তিনি বলেন, কংগ্রেসের তোষণের নীতির ফলেই এই ঘটনা ঘটেছে। ইতিমধ্যেই বিজেপি (BJP) রাজস্থানের রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া (Satish Poonia) এই ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্তের আর্জি জানিয়ে রাজ্যপাল কালরাজ মিশ্রকে (Kalraj Mishra) চিঠি লিখেছেন। 

    [tw]


    [/tw]

     

LinkedIn
Share