Tag: contempt of court

contempt of court

  • SSC Scam: চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে সুপ্রিম-নির্দেশের অবমাননা! মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আইনি  নোটিশ

    SSC Scam: চাকরি বাতিল প্রসঙ্গে সুপ্রিম-নির্দেশের অবমাননা! মুখ্যমন্ত্রী মমতাকে আইনি নোটিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি বাতিল (SSC Scam) প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে ‘মন্তব্য’ করায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠাল ‘আত্মদীপ’ নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। মুখ্যমন্ত্রীকে আইনি নোটিস পাঠিয়েছেন দিল্লির আইনজীবী সিদ্ধার্থ দত্ত। নোটিসে তিনি জানিয়েছেন, দেশের শীর্ষ আদালতের রায় সকলকেই মেনে নিতে হবে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী এই রায় কার্যকর করবেন না বলেই দাবি ওই আইনজীবীর। তাঁর হুঁশিয়ারি, মুখ্যমন্ত্রী যদি নিজের মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, তা হলে তাঁর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করা হবে।

    নোটিশে কী বলা হয়েছে

    নোটিশে দাবি করা হয়েছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার মন্তব্যের মাধ্যমে ইচ্ছাকৃত, পরিকল্পিত ভাবে ভারতের সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রতি অবমাননা করেছেন। নোটিশে বলা হয়েছে, আইনগতভাবে বাধ্য থাকা সত্ত্বেও মুখ্যমন্ত্রী সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন করবেন না। যা স্পষ্টতই একটি ইচ্ছাকৃত কাজ। মুখ্যমন্ত্রী যে বক্তব্য রেখেছেন, তা সরাসরি আদালত অবমাননার শামিল। তিনি তাঁর বক্তব্যে সুপ্রিম কোর্টকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করেছেন মমতা। আইনি নোটিসে বলা হয়েছে, নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘শিক্ষা ব্যবস্থাকে ভেঙে ফেলার জন্য… একটা চক্রান্ত চলছে… একটা পরিকল্পনা চলছে। ৯, ১০, ১১, ১২-তে যাঁরা শিক্ষক, গেটওয়ে অফ হায়ার এডুকেশন তৈরি করছেন, তাঁরা অন্যদের খাতা দেখছেন, তাঁদের মধ্যে গোল্ড মেডেলিস্ট আছেন। তাঁদের জীবনেও ভাল রেজাল্ট ছিল। তাঁদের সবাইকে চোর বলে দিচ্ছেন। সবাইকে অযোগ্য বলে দিচ্ছেন। এই বলার অধিকার আপনাকে কে দিল? আমি সরাসরি চ্যালেঞ্জ করছি।’’

    কী বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী

    ২০১৬ সালের এসএসসির সম্পূর্ণ প্যানেল সম্প্রতি বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যার জেরে চাকরিহারা প্রায় ২৬ হাজার জন। এই পরিস্থিতিতে চাকরিহারাদের একাংশকে নিয়ে নেতাজি ইন্ডোরে সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। সেখানে সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ‘‘আমি এই রায় মানতে পারছি না।’’ মুখ্যমন্ত্রীকে আদালত অবমাননার যে নোটিস পাঠানো হয়েছে, তাতে নেতাজি ইন্ডোরের সভায় মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতার কিছু অংশ তুলে দেওয়া হয়েছে। নোটিসে লেখা হয়েছে, গত ৭ এপ্রিলের ভাষণে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ‘‘কারও চাকরি কাড়ার এই অধিকার কারও নেই। আমাদের প্ল্যান— এ রেডি, বি রেডি, সি রেডি, ডি রেডি আর ই রেডি। এই কথা বলার জন্য আমাকে জেলে, হ্যাঁ, ভরে দেওয়া হতে পারে। কিন্তু আই ডোন্ট কেয়ার (আমি পরোয়া করি না)। আপনারা আপনাদের কাজ করুন। কে আপনাদের আটকাচ্ছে? সুপ্রিম কোর্ট? সে ক্ষেত্রে মনে রাখবেন যা-ই বিকল্প হোক, আমরা করব।’’ এরপরই দেশের শীর্ষ আদালতকে অবমাননার দায়ে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে ও নবান্নে নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

  • Justice Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার রুল জারির রায়, হাইকোর্টে গঠিত তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ

    Justice Rajasekhar Mantha: বিচারপতি মান্থার রুল জারির রায়, হাইকোর্টে গঠিত তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিক্ষোভ দেখিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) আইনজীবীদের একাংশ। তার জেরে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা (Justice Rajasekhar Mantha)। ওই ঘটনায় শুক্রবার তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ তৈরি হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। এই বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাশ। এদিকে, হাইকোর্ট সূত্রে খবর, দিল্লি যাচ্ছেন বিচারপতি মান্থা। আইনজীবীদের একাংশের অনুমান, গত কয়েক দিনের ঘটনা নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের সঙ্গে দেখা করতে পারেন তিনি।

    বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা…

    গত সোমবার থেকে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে বিক্ষোভ শুরু করেন আইনজীবীদের একাংশ। মঙ্গলবার পরিস্থিতি চরমে ওঠে। দফায় দফায় বিক্ষোভের জেরে উত্তাল হয়েছিল হাইকোর্ট চত্বর। ডাক দেওয়া হয়েছিল বিচারপতি মান্থার এজলাসও। কিছু মামলায় তাঁর পর্যবেক্ষণ ও নির্দেশে অসন্তুষ্ট আইনজীবীদের একাংশ। তার জেরে শুরু হয় বিক্ষোভ প্রদর্শন। মান্থার এজলাস বয়কটের পাশাপাশি পোস্টার পড়ে তাঁর বাড়ির সামনেও। আইনজীবীদের টানা বিক্ষোভের জেরেই গত বুধবার স্বতঃপ্রণোদিতভাবে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছিলেন বিচারপতি মান্থা। তাঁর পর্যবেক্ষণ, আদালত কক্ষ অবরোধ করে বিচার করতে না দেওয়া অপরাধের সমতুল্য। কারণ এর ফলে বিচারব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সেই প্রেক্ষিতেই গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ। এভাবে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রুল জারি করা যায় কিনা, তা খতিয়ে দেখতেই গঠিত হয়েছে বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বিশেষ বেঞ্চ।  

    আরও পড়ুুন: ‘‘নিরপেক্ষ থাকুন, না হলে পদপিষ্ট হতে হবে’’! পুলিশকে সতর্কবার্তা সুকান্তর

    এদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। ঘটনার তদন্ত করতে বাংলায় তিন সদস্যের দল পাঠাচ্ছে তারা। বার কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার তরফে জানানো হয়েছে, তাদের পাঠানো দল বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে যাবেন। যেখানে ঘটনা ঘটেছিল, সেই জায়গাও পরিদর্শন করবেন। তাঁরা কথা বলতে পারেন বিচারপতি মান্থার সঙ্গেও। অন্যদিকে, বিক্ষোভ প্রদর্শন বন্ধ হলেও, অচল হয়ে রয়েছে বিচারপতি মান্থার ১৩ নম্বর এজলাস। হাইকোর্ট সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত ৪০টি মামলায় যোগ দেননি সরকারি আইনজীবীরা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

     
     
LinkedIn
Share