Tag: corona in india

corona in india

  • Covid 19 in Bengal: ৭ দিনে সংক্রমণ বৃদ্ধি ২৬ গুণ, রাজ্যে ফের বাড়ছে করোনা! ২৪ ঘণ্টায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যায় দ্বিতীয় পশ্চিমবঙ্গ

    Covid 19 in Bengal: ৭ দিনে সংক্রমণ বৃদ্ধি ২৬ গুণ, রাজ্যে ফের বাড়ছে করোনা! ২৪ ঘণ্টায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যায় দ্বিতীয় পশ্চিমবঙ্গ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাড়ছে করোনা (Covid 19 in Bengal) আক্রান্তের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গে। গোটা দেশের নিরিখে দ্বিতীয়। কোভিড সংক্রমণ এড়াতে বয়স্ক ও শিশুদের সতর্ক থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

    রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি

    জুনের প্রথম দিনেই ফের লাফিয়ে বাড়ল সংক্রমণ (Covid 19 in Bengal)। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনার অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা বেড়ে হল ৪৪ জন। একদিনে অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। বাংলায় এই মুহূর্তে ৩৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন। ২৬ মে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১২ জন। শেষ সাত দিনে এক ধাক্কায় ২৬ গুণ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা। গত এক সপ্তাহে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৯ জন।

    দেশে করোনা পরিস্থিতি

    সোমবার দেশে করোনা (Covid 19 in Bengal) রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ছুঁতে চলেছে। ২ জুন দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,৯৬০। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত আরও ২০৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা সংক্রমিতের সংখ্যা ২০৩ জন। ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৩২। স্বাস্থ্য ও পরিবার মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সবথেকে বেশি করোনা রোগীর খোঁজ মিলেছে দিল্লিতে। সেখানে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৪৭ জন। তার মধ্যে নতুন করে মৃত্যু হয়েছে আরও একজনের। এর ফলে কোভিডে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল চার। অন্যদিকে, শুধু দিল্লিতে বর্তমানে কোভিড রোগীর সংখ্যা ৪৮৩।

    কেরলে অবস্থা খারাপ

    করোনা (Covid 19 in Bengal) রোগীর সংখ্যার নিরিখে শোচনীয় কেরলের অবস্থা। সেখানে ১৪৩৫ জন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর খোঁজ মিলেছে। দ্বিতীয় স্থানে মহারাষ্ট্র। সেখানে ৪৮৩ জনের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। এর পর করোনা রোগীর সংখ্যা দিল্লিতে ৪৮৩, বাংলায় ৩৩৮ এবং গুজরাটে ৩৩৮ জন। ৩১ মে পর্যন্ত দেশে কোভিডের সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছিল ৩ হাজার ৩৯৫। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৮৫ জন। ২২ মে দেশে সক্রিয় কোভিড রোগীর সংখ্যা ছিল মাত্র ২৫৭। ২৬ মে তা বেড়ে দাঁড়ায় ১ হাজার ১০ জন। সেই সংখ্যায় ৩১ মে পর্যন্ত বেড়ে ৩ হাজার ৩৯৫-এ পৌঁছল। তার আগের সপ্তাহের তুলনায় গত সপ্তাহ প্রায় ১২০০ শতাংশ বেড়েছে। কর্ণাটকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৫৩, তামিলনাডুতে ১৮৯, উত্তরপ্রদেশে ১৫৭।

    নতুন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ

    করোনার (Covid 19 in Bengal) নতুন ঢেউয়ের মাঝেই, ভারতে খোঁজ মিলেছে এই সংক্রমণের নতুন ভ্যারিয়েন্টের। শনিবার এনবি.১.৮.১ এবং এলএফ.৭-এর চার ধরনের ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে । ২০২৫ সালের মে পর্যন্ত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এলএফ.৭ এবং এনবি.১.৮.১ সাবভেরিয়েন্টগুলিকে ভ্যারিয়েন্ট আন্ডার মনিটরিং হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করেছে, ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন বা ভ্যারিয়েন্ট অফ ইন্টারেস্ট হিসেবে নয়। কিন্তু চিন এবং এশিয়ার নানা জায়গায় এই ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে ইতিমধ্যে।

    সাম্প্রতিক কোভিডের লক্ষণ

    চিকিৎসকরা বলছেন, এখন কোভিড ১৯ (Covid 19 in Bengal)সংক্রমিত হয়ে যাঁরা হাসপাতালে আসছেন, তাঁদের মধ্যে ক্রমাগত কাশি , গলা ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং বমির মতো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। এর সঙ্গে কারও কারও কনজাংটিভাইটিসও হচ্ছে। তবে এখনও পর্যন্ত বেশিরভাগই বাড়িতেই ওষুধ-পত্র ও বিশ্রামে সুস্থ হয়ে উঠছেন। তবে যাঁদের অন্তর্নিহিত কোনও স্বাস্থ্যগত সমস্যা রয়েছে বা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম তাদের ক্ষেত্রে কোভিডের লক্ষণগুলি আরও খারাপ দিকে যেতে পারে।

    চিকিৎসকদের পরামর্শ

    চিকিৎসকদের কথায়, এখনও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে। তবে সতর্ক থাকা উচিত। তাই মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা উচিত। এটি কেবল ভাইরাস (Covid 19) থেকে রক্ষা করে না বরং চারপাশের মানুষকেও নিরাপদ রাখে। বয়স্ক এবং শিশুদের এখনই মাস্ক ব্যবহার শুরু করা দরকার। বাইরে থেকে এসে হাত ধোয়া, হাত ধুয়ে খাওয়া, ইত্যাদি অভ্যাসগুলি ছাড়লে চলবে না। সাবান বা স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে। যেখানেই যান না কেন, রেস্তোরাঁ হোক বা বাজার-দোকান, ভিড় থেকে কিছুটা দূরত্ব বজায় রাখুন। এটি একটি ছোট অভ্যাস যা আপনাকে বড় সমস্যা থেকে বাঁচাতে পারে। যদি কারো কাশি, সর্দি, জ্বরের মতো লক্ষণ থাকে, তাহলে তার বাড়িতে থাকা উচিত এবং বিশ্রাম নেওয়া উচিত এবং ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত।

  • Corona in India: এখনই মাস্ক-যুগ ফিরছে না ভারতে, আশার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

    Corona in India: এখনই মাস্ক-যুগ ফিরছে না ভারতে, আশার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে করোনা। ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্ট BF.7-এর তাণ্ডবে সে দেশে প্রতিদিন ১০ লক্ষের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন এবং সরকারি রিপোর্ট অনুযায়ী গড়ে প্রতিদিন ৫ হাজার মানুষের মৃত্যু ঘটছে। চিনের এই করোনা পরিস্থিতিতে নড়ে চড়ে বসেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ইতিমধ্যে আগামী মঙ্গলবার দেশের সমস্ত সরকার এবং বেসরকারি হাসপাতাল গুলিতে মহড়া চলবে, করোনা (Corona in India) মোকাবিলায় পরিকাঠামো কতটা রয়েছে সেই বিষয়গুলোই জানা হবে মহড়াতে। দুদিন আগেই  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি করোনা পরিস্থিতি (Corona in India) নিয়ে একটি রিভিউ মিটিং করেছেন এবং কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইতিমধ্যে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে দেশের সমস্ত রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের নির্দেশ দিয়েছেন যে রাজ্যগুলিতে করোনা মোকাবিলায় (Corona in India) কেমন পরিকাঠামো রয়েছে তা যেন প্রতিটি রাজ্যের স্বাস্থ্য মন্ত্রীরা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পর্যবেক্ষণ করেন। দেশের সমস্ত বিমানবন্দরগুলোতে এখন করোনা পরীক্ষা চলছে। বিশেষত চিন, জাপান, কোরিয়া থেকে আগত যাত্রীদের করোনা পরীক্ষা অনিবার্য করা হয়েছে। এরকম অবস্থায় ভারতীয়রা ভাবছেন যে লকডাউনের স্মৃতি কী আবার ফিরে আসবে? গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২০১ জন।

    বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন?

     আশার কথা শোনাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন যে এখনই কোনও রকম মাস্ক ব্যবহারের প্রয়োজন নেই। কারণ চিন এবং ভারত দুই দেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে আলাদা। বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনে করোনার খুব কম কেসও যখন পাওয়া যেত তখনও সম্পূর্ণভাবে লকডাউন শুরু করে দিত চিন সরকার। যারফলে ৩৫ মাসব্যাপী লকডাউনে চিনা নাগরিকদের মধ্যে সেভাবে ন্যাচারাল ইমিউনিটি তৈরি হয়নি। বিশেষজ্ঞরা এও বলছেন যে চিনের যে ভ্যাকসিন তা বিশ্বের অন্যান্য ভ্যাকসিনের থেকে গুণগতভাবে অনেক বেশি পিছিয়ে। তাই সেটা করোনা থেকে কতটা সুরক্ষা দিতে পারবে সে বিষয়ে প্রশ্ন তুলছে বিশেষজ্ঞ মহল। ভারতবর্ষে এখনই তাই কোনও মাস্কযুগ ফিরে আসছে না। এটাই বিশেষজ্ঞদের অভিমত। অন্যদিকে, ভারতবর্ষের কোভ্যাকসিন যারা তৈরি করেছে, সেই সিরাম-এর কর্ণধার পর্যন্ত কয়েকদিন আগে ট্যুইট করে বলেছেন যে আমরা যেন আমাদের কোভ্যাকসিনের (Corona in India) উপরে ভরসা রাখি এবং উদ্বেগ থেকে দূরে থাকি। এই মুহূর্তে আমরা যেন দেশের সরকারের উপরে আস্থা না হারাই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Nasal Vaccine: বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর নেজাল ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে না, জানালেন কোভিড টাস্ক ফোর্স প্রধান

    Nasal Vaccine: বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর নেজাল ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে না, জানালেন কোভিড টাস্ক ফোর্স প্রধান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন করে করোনা মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে। বিশ্বের একাধিক দেশে বাড়ছে কোভিড। এই পরিস্থিতিতে দেশে বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নেওয়ার উপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ভারত বায়োটেকের নেজাল ভ্যাকসিন (Nasal Vaccine) iNCOVACC-কে। নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিতেই কোভিড চিকিৎসার অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে নেজাল ভ্যাকসিনকে। জানানো হয়েছে, করোনার দুটি টিকা ও বুস্টার ডোজ নেওয়ার পর এই নেজাল ভ্যাকসিন নেওয়ার আর দরকার নেই। যারা শুধুমাত্র দু’টি টিকা নিয়েছেন, সেই সমস্ত প্রাপ্তবয়স্করাই এটিকে বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারেন।

    কারা নিতে পারবেন নেজাল ভ্যাকসিন?

    গত শুক্রবার ভারত বায়োটেকের ইন্ট্রানাসাল কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনকে ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। এরপর কোউইন অ্যাপে তা যুক্ত করা হয়। এর দামও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তবে কারা এই ভ্যাকসিন নিতে পারবেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে দেশবাসীর। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য জানান, বুস্টার ডোজ হিসেবে এই টিকা (Nasal Vaccine) নেওয়া যাবে। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স যাঁদের, আর যাঁরা আগের দু’টি টিকা কোভ্যাকসিন (Covaxin) বা কোভিশিল্ড (Covishield) নিয়েছেন, তাঁরাই বুস্টার ডোজ হিসেবে এটি নিতে পারবেন। আবার ভ্যাকসিন টাস্ক ফোর্সের প্রধান জানিয়েছেন, যাদের বুস্টার ডোজও নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তাঁরা এই নেজাল ভ্যাকসিন নিতে পারবেন না।

    আরও পড়ুন: এখন থেকে বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন নেজাল ভ্যাকসিন, দাম কত জানেন?

    বুস্টার ডোজের পর কেন নেওয়া যাবে না নেজাল ভ্যাকসিন?

    কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান ডাঃ এনকে অরোরা বলেছেন, “নাকের মাধ্যমে টিকা, এটিকে প্রথম বুস্টার হিসাবে সুপারিশ করা হয়েছে। যদি কোনও ব্যক্তি আগেই বুস্টার ডোজ নিয়ে থাকেন, তবে এটি সেই ব্যক্তির জন্য সুপারিশ করা হয় না। এটি তাদের জন্য, যাঁরা এখনও সতর্কতামূলক ডোজ বা বুস্টার ডোজ নেননি।” তিনি জানিয়েছেন, যদি কেউ চতুর্থ ডোজ নিতে চায়, তবে এতে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর এটিকে ‘অ্যান্টিজেন সিঙ্ক’ বলা হয়। যদি একজন ব্যক্তিকে বারবার একটি নির্দিষ্ট ধরণের অ্যান্টিজেন দিয়ে টিকা দেওয়া হয়, তবে শরীর রেসপন্ড করা বন্ধ করে দেয়, বা নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর এর জন্যই ভ্যাকসিন ছয় মাসের ব্যবধানে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে, যদিও মানুষ তিন মাসের ব্যবধানে নিয়েছে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে এটি খুব বেশি সাহায্য করেনি। তাই এই মুহূর্তে চতুর্থ ডোজ নেওয়ার কোনও কারণ নেই।

    কীভাবে কাজ করবে এই নেজাল ভ্যাকসিন?

    ডাঃ অরোরা জানিয়েছেন, এই ভ্যাকসিন (Nasal Vaccine) প্রতিটি নাসারন্ধ্রে চার ফোঁটা, মোট ০.৫ মিলি ড্রপ দিতে হবে। এটি প্রথমে নাক এবং মুখের মাধ্যমে ভাইরাসের প্রবেশে বাধা সৃষ্টি করবে। এছাড়াও কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াই করার পাশাপাশি সমস্ত শ্বাসযন্ত্রের ভাইরাস এবং সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে খুব কার্যকর হতে চলেছে। কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় কিনা তার জন্য এই ভ্যাকসিন নেওয়ার পর ১৫ থেকে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে।

    ডাঃ অরোরাকে জিজ্ঞেস করা হয়, এই নেজাল ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়ার পর আর কোনও বুস্টার ডোজ পরবর্তীতে নিতে হবে কি না। তখন তিনি জানান, এই মুহুর্তে এমন কোনও প্রমাণ নেই যে পরবর্তীতে আরও ভ্যাকসিনের প্রয়োজন হবে কিনা।

  • Mock Drill: অতিমারি মোকাবিলায় প্রস্তুত দেশ? দেশজুড়ে হাসপাতালগুলোতে চলল কোভিড ‘মক ড্রিল’

    Mock Drill: অতিমারি মোকাবিলায় প্রস্তুত দেশ? দেশজুড়ে হাসপাতালগুলোতে চলল কোভিড ‘মক ড্রিল’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা ফের নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। করোনার নতুন সাব ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বিগ্ন ভারত। চিনে কোভিডের সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েই চলেছে। এছাড়াও দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান, আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্সেও সংক্রমণ বৃদ্ধি হয়েছে। আর এবারে দেশেও যাতে করোনার বাড়বাড়ন্ত না হয়, তার জন্যই কেন্দ্রের তরফে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কোভিড মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে এদিন দেশের সবকটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ‘মক ড্রিল’ (Mock Drill) করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য মঙ্গলবার দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মক ড্রিল চলাকালীন উপস্থিত ছিলেন।

    কী এই ‘মক ড্রিল’?

    কেন্দ্রের উদ্যোগে আজ দেশজুড়েই চলবে নজরদারি, আর একেই বলা হচ্ছে ‘মক ড্রিল’ (Mock Drill)। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় সরকারের পরামর্শ অনুসারে, কোভিড ১৯ সম্পর্কিত যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হাসপাতালগুলি তৈরি কিনা তার নজরদারিই হল মক ড্রিল। করোনার সঙ্গে মোকাবিলা করতে সমস্ত প্রস্তুতি যে একেবারে পাকা, তা নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার বেশ কয়েকটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের হাসপাতালে মক ড্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: রাজ্যে করোনা টিকার ভাঁড়ার শূন্য! সাফাই শাসকদলের, তীব্র কটাক্ষ বিজেপির

    মক ড্রিলে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মান্ডব্য নিজে সকাল ১০টা ৪৫ মিনিট নাগাদ দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান। এরপর ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (IMA) ডাক্তারদের সঙ্গে আজ বৈঠকও আছে তাঁর। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আজ স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন – বিশ্বব্যাপী কোভিড পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।” তিনি আরও বলেন, “আমাদের প্রস্তুতি নিশ্চিত করতে হবে। দিল্লির সফদরজং হাসপাতাল যেভাবে প্রস্তুত, আমরা চাই অন্যান্য হাসপাতালগুলিও প্রস্তুত থাকুক। রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা যাতে নিশ্চিত করেন যে সর্বত্র প্রোটোকল অনুসরণ করা হচ্ছে।”

    কী কী বিষয় খতিয়ে দেখা হবে মক ড্রিলে?

    এই মক ড্রিলে (Mock Drill) দেখা হবে আইসোলেশন বেডের সংখ্যা, অক্সিজেনযুক্ত বেডের সংখ্যা, আইসিইউ এবং ভেন্টিলেটর যুক্ত বেডের সংখ্যা। এছাড়া চিকিৎসক, নার্স, প্যারামেডিক্যাল, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সর্বোচ্চ কতসংখ্যক ফ্রন্টলাইন কর্মী রয়েছেন, তাও খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও মক ড্রিলে জোর দেওয়া হচ্ছে কোভিড মোকাবিলায় পেশাদাররা কতটা প্রশিক্ষিত তার ওপরে। গুরুতর পরিস্থিতির ক্ষেত্রে স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রশিক্ষিতরা কতটা ভেন্টিলেটরি ম্যানেজমেন্ট করতে পারছেন তাও খতিয়ে দেখা হবে। পাশাপাশি অ্যাডভান্স এবং বেসিক লাইফ সাপোর্ট, পিএসএ প্ল্যান্টের পরিচালনায় কর্মীরা কতটা দক্ষ তাও খতিয়ে দেখা হবে। এছাড়াও অ্যাম্বুলেন্স, পরীক্ষার সরঞ্জাম, প্রয়োজনীয় ওষুধের ওপরেও নজর রাখা হবে।

LinkedIn
Share