Tag: Coronavirus

Coronavirus

  • Covid-19 India Update: দৈনিক আক্রান্ত ১২ হাজারের গণ্ডি পেরলো, চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?

    Covid-19 India Update: দৈনিক আক্রান্ত ১২ হাজারের গণ্ডি পেরলো, চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশে ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা (Coronavirus)। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস! ফেব্রুয়ারি মাসের পর এই প্রথমবার দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গেল। নতুন করে দেশের প্রায় সব প্রান্তেই ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। বিশেষ করে মুম্বাই, দিল্লির মতো শহরে আক্রান্ত বাড়ছে হু হু করে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পজিটিভিটি রেট। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বিশেষজ্ঞদের কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে।

    [tw]


    [/tw]

    বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ২১৩ জন। যা গত প্রায় চারমাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে শুধু মুম্বাইয়েই আক্রান্তের সংখ্যা ২২৯৩। মহারাষ্ট্রজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। শুধু মুম্বাই নয়, আরেক জনবহুল শহর দিল্লির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৭৫ জন।       

    তামিলনাড়ুতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭৬। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩০ জন। তেলেঙ্গানায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২০৫ জন। গুজরাতে একদিনে আক্রান্ত ১৮৪ জন।  

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ

    বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫৮ হাজার ২১৫ জন। গতকালের থেকে ৪ হাজার ৫৭৮ বেশি। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ০.১৩  শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২.৩৫ শতাংশের কাছাকাছি। একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮০৩ জন।  

    আরও পড়ুন: ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন

    এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭১২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৬২৪ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৬৫ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯৫ কোটি ৬৭ লক্ষের বেশি টিকা (Corona Vaccine) দেওয়া হয়েছে। গতকাল টিকা পেয়েছেন ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ।     

     

  • Covid-19 Symptoms: আপনি কি কোভিডে আক্রান্ত? জানা যাবে হাতের নখ দেখেই!

    Covid-19 Symptoms: আপনি কি কোভিডে আক্রান্ত? জানা যাবে হাতের নখ দেখেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  করোনা (Coronavirus) আতঙ্ক এখনও পুরোপুরিভাবে কেটে উঠতে পারেনি বিশ্বব্যাপী মানুষ। ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় করোনা রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতদিনে করোনার বিভিন্ন প্রজাতি (covid variant) আসার সঙ্গে সঙ্গে কোভিডের লক্ষণেও অনেক পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আগে কোভিড (Covid-19) হলে সাধারণ উপসর্গ ছিল সর্দি-কাশি, জ্বর, স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া ইত্যাদি। কিন্তু এখন নতুন রিপোর্টে কোভিডের নতুন লক্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এখন কোনও ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত কিনা তা বোঝা যাবে হাতের নখ দেখেই।

    সম্প্রতি একটি উপসর্গের কথা তুলে ধরছেন বিশেষজ্ঞরা। তা হলো হাতের আঙুলের নখের কিছু পরিবর্তন। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, নখের আকার ও রঙ বদলে যাচ্ছে, আবার নখের উপরে একটি রেখা ফুটে উঠছে। সেই উপসর্গ দেখা দিলেই বোঝা যাচ্ছে যে ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত। ইতিমধ্যেই এই ধরনের উপসর্গ অনেকের শরীরেই দেখা দিয়েছে। যা থেকে চিকিৎসকরা দ্রুত বুঝতে পারছেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ব্যক্তিটি। এই লক্ষণকে চিকিৎসার ভাষায় বলা হচ্ছে কোভিড নেইল (Covid Nail)। এতে দেখা যাচ্ছে, কারো ক্ষেত্রে লাল রঙের অর্ধেক চাঁদের মতো দাগ দেখা যাচ্ছে। বাকি অংশ সাদা হয়ে রয়েছে। হঠাৎই এমন পরিবর্তন দেখা দিলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নখের লাল অংশ গাঢ় হওয়ার অর্থ আপনার শরীরের ভাইরাসের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে।

    আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী করোনারগ্রাফ, দেশজুড়ে ১৯৫ কোটি টিকাকরণ

    কোভিডে আক্রান্ত হলে কী কী পরিবর্তন দেখা যাবে নখে?

    • হাত-পায়ের নখে দাগ।
    • হাতের নখে সাদা দাগ।
    • নখের কিছু অংশ কমলা রঙ হয়ে যাওয়া।
    • হাতে ও পায়ে জ্বালা।
    • নখ আলগা হয়ে যাওয়া।

    তবে কোভিড রোগীদের মধ্যে নখে লাল রঙের অর্ধেক চাঁদের মতো দাগ এই উপসর্গই বেশি দেখা গিয়েছে। যদিও এই বিশেষ লক্ষণের কোনও কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। যদিও মনে করা হচ্ছে, ইনফেকশনের ফলে রক্তের শিরা-ধমনী নষ্ট হয়েও নখের এমন অবস্থা হতে পারে। সুতরাং যেহেতু কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এমন নখ প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, তার জন্য এইদিকে বিশেষ নজর রাখা দরকার। নখের মধ্যে এসব উপসর্গ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কারণ চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের উপসর্গ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।

    আরও পড়ুন: কেরলে আক্রান্ত ২, করোনা-মাঙ্কিপক্সের পর নয়া আতঙ্ক নোরোভাইরাস?

  • Bill Gates: ভারতের করোনা টিকাকরণ অভিযান নিয়ে বড় মন্তব্য বিল গেটসের

    Bill Gates: ভারতের করোনা টিকাকরণ অভিযান নিয়ে বড় মন্তব্য বিল গেটসের

    নিউজ মাধ্যম ডেস্ক: করোনা টিকাকরণ অভিযানে ভারতের সাফল্যকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস (Bill Gates)। করোনা ভ্যাকসিনেশন ড্রাইভ নিয়ে তিনি বলেছেন ভারত প্রায় সমস্ত জনসাধারণের কাছে ভ্যাকসিন পৌঁছে দিতে সফল হয়েছে। এর জন্য ভারত বিশ্বব্যাপী এক উদাহরণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

    গত সপ্তাহে সুইৎজারল্যান্ডের দাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামে বিল গেটস ও ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী মানসুখ মাণ্ডব্যর সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয়। এর পর মাণ্ডব্য টুইট করে বলেন, “বিল গেটসের সঙ্গে কথা বলে আমি আনন্দিত। কোভিডের ব্যবস্থাপনা এবং বিশাল টিকাকরণ প্রচেষ্টায় ভারতের সাফল্যের প্রশংসা করেছেন তিনি।”

    তিনি আরও বলেন, “আমরা ডিজিটালে স্বাস্থ্যের প্রচার, রোগ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা, এমআরএনএ আঞ্চলিক হাব তৈরি এবং কম মূল্যের এবং ভালো ডায়াগনস্টিকস ও চিকিৎসা করার বিভিন্ন যন্ত্রের উন্নয়নকে শক্তিশালী করা সহ স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করেছি।”

    বিল গেটসও তাঁর উত্তরে ট্যুইটারে লেখেন, “মানসুখ মাণ্ডব্যর সঙ্গে দেখা করে ও বিশ্বের স্বাস্থ্য নিয়ে আলোচনা করে আমি আনন্দিত। ভারতের টিকাকরণ অভিযান ও চিকিৎসায় বিভিন্ন প্রযুক্তির ব্যবহার, এক সাফল্য এনে দিয়েছে এবং বিশ্বব্যাপী এক বার্তা পৌঁছে দিতে পেরেছে।”

    বিল গেটসের মতে, বিশ্বজুড়ে দারিদ্রতা দূর করার জন্য যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল তা করোনার জন্য সম্পূর্ণ হতে পারেনি। তাই এইসময়ে বিশ্বব্যাপী উন্নয়ন খুবই দরকার।

    গত বছরের জানুয়ারিতে কোভিডের বিরুদ্ধে বিশ্বের বৃহত্তম টিকাদান অভিযান শুরু করার পর ভারত দেশের প্রায় ৮৮ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের সম্পূর্ণরূপে টিকা দিয়েছে। ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউটের (Serum Institute)  মাধ্যমে ভারতের জনসংখ্যার একটি বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশকে কোভিশিল্ড (Covishield) এবং কোভ্যাক্সিন (Covaxin)  টিকা দেওয়া হয়েছে।

    বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের ( Bill & Melinda gates Foundation) বিশ্ব উন্নয়ন রিপোর্ট (Global Development Report) অনুসারে, এরা ২০০৩ সাল থেকে ভারতে কাজ করছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় ভারতে বেশি বিনিয়োগ করেছে।

  • Monkeypox: করোনার মতোই কি ছোঁয়াচে মাঙ্কিপক্স? বিশেষজ্ঞরা বললেন…

    Monkeypox: করোনার মতোই কি ছোঁয়াচে মাঙ্কিপক্স? বিশেষজ্ঞরা বললেন…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইতিমধ্যেই ২০টি দেশে মাঙ্কিপক্সে (Monkeypox) আক্রান্তদের হদিশ মিলেছে। যদিও ভারতে (India) এখনও থাবা বসাতে পারেনি এই বিরল ভাইরাল রোগ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনাভাইরাসের (Coronavirus) মতো ছোঁয়াচে নয় এই রোগ। তাই গোটা বিশ্বের এই রোগের কবলে পড়ার সম্ভাবনাও নেই।

    কোভিড (Covid-19) কার্যকরী কমিটি এনটাগি-র (NTAGI) চেয়ারপার্সন ডাঃ এনকে আরোরা এবিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “মাঙ্কিপক্স কোভিডের মতো ছোঁয়াচে নয়। কিন্তু যে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে এই রোগ তা চিন্তার বিষয়। যদিও ভারতে এই রোগে কেউ আক্রান্ত হয়েছে এমন খবর মেলেনি।”

    আরও পড়ুন: ছড়াচ্ছে নয়া ভাইরাস! সতর্কতা জারি স্বাস্থ্যমন্ত্রকের, জরুরি বৈঠকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা

    বিশেষজ্ঞরা জানান, ভারতে মাঙ্কিপক্সে কেউ আক্রান্ত হচ্ছেন কি না সেদিকে নজর রাখতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। ডাঃ আরোরা বলেন, “কোভিড ১৯- এর মতো এই রোগের ওপর নজরদারি চালাতেও বিশেষ কমিটি গঠন করেছে কেন্দ্র। যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম বা অন্য কোনও রোগ আছে তাদের জন্যে মারাত্মক হয়ে দেখা দিতে পারে এই রোগ।” 

    মাঙ্কিপক্স ছড়িয়েছে এমন কোনও দেশ থেকে ভারতে আসছেন যাঁঁরা, তাঁদের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ডাঃ আরোরা। তিনি বলেন, “মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত এমন দেশ থেকে যাঁরা এদেশে আসছেন তাঁদের বিষয়ে আমাদের সাবধান হতে হবে।” 

    আরও পড়ুন: মাঙ্কিপক্সই কী ডেকে আনবে পরবর্তী মহামারী? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

    ধীরে ধীরে ‘কোভিড’ নামের অভিশাপ থেকে সেরে উঠছে বিশ্ব। তার মধ্যেই আবার এক নতুন আলোচনার জন্ম হয়েছে। বিশ্বের একাধিক দেশে ছড়িয়ে পড়েছে মাঙ্কিপক্স। বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলিতে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ বাড়ছে।

    সম্প্রতি বেশ কিছু দেশে এই ভাইরাস দেখা গিয়েছে। স্পেন, পর্তুগাল, কানাডা, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও এই মাঙ্কিপক্সের দেখা মিলেছে। মাঙ্কিপক্সের প্রথম কেসটি ধরা পড়েছিল ৭ মে। লন্ডনে এক ব্যক্তির শরীরে মাঙ্কিপক্সের ভাইরাস পাওয়া গিয়েছিল। আক্রান্ত ওই ব্যক্তি নাইজেরিয়ায় গিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। সেখান থেকেই কোনওভাবে সংক্রমণ ছড়িয়েছে কি না তা নিয়ে এখনও কোনও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি। এই কেসটি ধরা পড়ার পর থেকেই বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই রোগের আক্রান্তের খবর আসতে শুরু করে। প্রাথমিকভাবে এই রোগ আফ্রিকায় দেখা গেলেও তা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে পড়া নিয়ে ফের করোনার মতোই ত্রাসের সঞ্চার হয়েছে। 

     

  • Covid-19: বদ্ধ ঘরেই বেশি ছড়ায় করোনা, বলছে গবেষণা

    Covid-19: বদ্ধ ঘরেই বেশি ছড়ায় করোনা, বলছে গবেষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি, করোনাভাইরাস নিয়ে একটি বিশেষ গবেষণা চালিয়েছেন ভারতের একদল বিজ্ঞানী। ওই গবেষণাপত্রটি প্রকাশিত হয় ‘জার্নাল অফ অ্যারোজল সায়েন্স’ পত্রিকায়। তাতে এটা নিশ্চিত করা হয়েছে যে করোনা (SARS CoV-2) বায়ুবাহিত (Airborne) রোগ। 

    গবেষকদের মতে, হাসপাতালের জেনারাল বেড, আইসিইউ বা হোম আইসোলেশনে থাকা করোনা রোগীর ঘরের বায়ুর নমুনা সংগ্রহ করে গবেষকরা দেখেছেন করোনা রোগীর পারিপার্শ্বিক বায়ুমণ্ডলে বেশি মাত্রায় কোভিড ১৯ (covid 19) ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। একটি নির্দিষ্ট স্থানে করোনা রোগীর সংখ্যা যত বাড়ছে বায়ুতে করোনা ভাইরাসের পরিমাণও ততই বাড়ছে।

    গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কোভিড রোগীর আশেপাশের বায়ুমণ্ডলে করোনা ভাইরাসের পরিমাণ এতই বেশি থাকে যে খুব সহজেই সুস্থ মানুষ তাতে আক্রান্ত হতে পারেন। এমনকি, অনেক দূর থেকেও আক্রমণ করতে পারে এই মারণ ভাইরাস। তাই করোনা রোগীর সামনে সবসময় মাস্ক পরার পরামর্শই দিচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। 

    গবেষকদের মধ্যে অন্যতম ডাঃ শিবরঞ্জনী মোহারির বলেন, “আমাদের গবেষণা থেকে প্রমাণিত যে করোনা ভাইরাস হাওয়ায় বেশ কিছুক্ষণ জীবিত থাকতে পারে। বিশেষ করে বদ্ধ জায়গায় ভাইরাসটির বেঁচে থাকার প্রবণতা বেশি। আমরা দেখেছি দুই বা তার বেশি করোনা রোগী একটি ঘরে থাকলে হাওয়ায় ৭৫% অবধি করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি লক্ষ করা যাচ্ছে। কিন্তু একজন রোগী থাকলে সেই পরিমাণ অনেকটাই কম, ১৫.৮%।”

    গবেষক দলের আরেক সদস্য ডাঃ রেকেশ মিশ্র বলেন, যেহেতু আমরা আবার পুরনো জীবনে ফিরে যাচ্ছি। সব কাজই আবার অফলাইনে হওয়া শুরু হয়েছে, তাই এখন বাতাসের ওপর নজরদারি চালানো খুব গুরুত্বপুর্ণ হয়ে পড়েছে। এর ফলে সংক্রমণে রাশ টানা যাবে।

     

     

  • Coronavirus: হাসপাতালই দায়ী! রোগী-ভর্তির সঠিক ব্যাখ্যা নেই, তাই মিলছে না করোনা-বিমার টাকা

    Coronavirus: হাসপাতালই দায়ী! রোগী-ভর্তির সঠিক ব্যাখ্যা নেই, তাই মিলছে না করোনা-বিমার টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দুটো বছর ধরে চলছে করোনা (Coronavirus) পরিস্থিতি। সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ এই মারণ ভাইরাসে (Covid19) আক্রান্ত হয়েছেন। ওমিক্রন, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট, ফ্লোরিনা ভ্যারিয়েন্টের হানায় সাঁড়াশি চাপের মতো অবস্থা গিয়েছে মানুষের। ইতিমধ্যেই করোনার চিকিৎসার জন্য বহু মানুষ বিমা (Covid Health Insurance) করিয়ে রেখেছেন। কিন্তু বিমা করিয়ে রেখেও মেলেনি টাকা। অনেক ক্ষেত্রেই করোনা বিমাতে টাকা পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে হাসপাতালগুলোকে দায়ী করছে বিমা সংস্থাগুলি।

    বিমা সংস্থাগুলির তরফে বলা হয়েছে, অনেককেই হাসপাতালে দেখে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা করার পরামর্শ দেওয়া যেত, কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বহু ব্যক্তিকে হাসপাতালে কেন ভর্তি করা হয়েছে বা তাঁদের কী বিশেষ চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া হয়েছে, তা বিশদে ব্যাখ্যা করতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাই অনেকক্ষেত্রেই বিমার টাকা পাননি রোগী বা তাঁর পরিবার। সহজে বিমার টাকা পেতে হলে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ভালভাবে রোগীর বিষয়ে জানাতে হয় নাহলেই সমস্যা দেখা দেয়,বলে দাবি বিমা সংস্থাগুলির।

    আরও পড়ুন: ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা-গ্রাফ, বাড়ছে উদ্বেগও, কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?

    বিমার টাকা মেলেনি কোভিড টিকাকরণের ক্ষেত্রেও। কোভিড -টিকা না নেওয়া থাকলে বা যথাযোগ্য শর্ত না মানা হলে বিমার টাকা দেওয়া যায়নি। হোটেলে বা কোনও বিশেষ কোরেন্টাইন সেন্টারে থাকলে বিমা সংস্থা সে টাকাও দিতে পারেনি। কারণ হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোনও জায়গার টাকা মেটানো বিমা-বিধির আওতায় নয়।

    প্রসঙ্গত, দেশে আবারও বাড়ছে করোনা ভাইরাসের দাপট। যদিও শুক্রবারের তুলনায় শনিবার দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুসারে জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন ১৫ হাজার ৯৪০ জন। শুক্রবারের থেকে ৮.১ শতাংশ কমল সংক্রমণ। এই মুহূর্তে ভারতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯১ হাজার ৭৭৯। দৈনিক সুস্থতার হার ৪.৩৯ শতাংশ। এক দিনে ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়েছেন ১২ হাজার ৪২৫ জন। দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৫৮ শতাংশ।

     

  • Covid Update: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ 

    Covid Update: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাড়ল করোনায় (Coronavirus) দৈনিক সংক্রমণ। ৯ হাজারের গণ্ডি পেরনো আর পলকের অপেক্ষা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে (Covid-19) আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৮২২ জন। গতকাল সেই সংখ্যা ছিল ৬ হাজারের কিছুটা বেশি। একদিনে কিছুটা কমেছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫৩,৬৩৭। দৈনিক পজিটিভিটি রেট বেড়েছে ২ শতংশ। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দৈনিক সংক্রমণ। 

    আরও পড়ুন: ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন

    সংক্রমণ সবচেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। ইতিমধ্যেই চার রাজ্যে সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তালিকায় মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটক এবং দিল্লি। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। মুম্বাইয়ে বেশ কয়েকজনের ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। মুম্বাইয়ের বাইরেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৫৬ জন। মারা গিয়েছেন ৪ জন। এই মুহূর্তে মুম্বাইয়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৮০০০।       

    মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি করোনা দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে কেরল এবং কর্নাটকে। এদিকে নোরোভাইরাসের (Norovirus) সংক্রমণও দেখা দিয়েছে কেরলে। দক্ষিণী এই রাজ্যকে সব রকমের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কর্নাটক সরকারকেও সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন: আপনি কি কোভিডে আক্রান্ত? জানা যাবে হাতের নখ দেখেই!

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমবারই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে পরীক্ষা এবং নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য নতুন করে করোনা বিধিতে (Covid guidelines) কড়াকড়ি করেছে। মাস্ক পরা নিয়েও বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে ফ্লাইটে। করোনার টিকাকরণেও (Corona vaccination) জোর দিয়েছে কেন্দ্র। বিশেষ করে বুস্টার ডোজের (Booster dose) টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। জুন মাসেই করোনার চতুর্থ ঢেউ (Fourth wave) আছড়ে পড়তে পারে, এমনটা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন গবেষকরা। দেশের দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। 

  • Covid Update: করোনার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার

    Covid Update: করোনার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমাগত বেড়ে চলেছে করোনা (Covid 19) সংক্রমণ। দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ছুঁতে চলেছে ১৩ হাজারের গণ্ডি। রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। সংক্রমণের  নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কেরল ও কর্নাটক। দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে। সংক্রমণ বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। সার্বিকভাবে গোটা দেশেই করোনার গ্রাফ (Corona Graph) ঊর্ধ্বমুখী।

    গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে ১২ হাজার ৮৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকালের থেকে এই সংখ্যা সামান্য বেশি। দেশে এই অবধি মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৩২ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৭৭ জন।

    আরও পড়ুন: শরীরের এই জায়গায় ব্যথা হলেই সাবধান হয়ে যান, হতে পারে করোনা

    সবথেকে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। শুধু মহারাষ্ট্রেই সংক্রমণ চার হাজারের বেশি। দিল্লির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সংক্রমণ বেড়েছে কেরল ও কর্নাটকের মতো দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও। কেরলে একদিনে ৩ হাজার ৪১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণে তারপরেই রয়েছে দিল্লি। দিল্লিতে ১৩২৩ জন নতুন আক্রান্ত হয়েছেন। আর কর্নাটকে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮৩৩ জন। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১৯৮ জন। 

    আরও পড়ুন: কোভিডের ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর কার্যকর কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ!

    বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৬৩ হাজার ৬৩ জন। এই সংখ্যা দৈনিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিনে দেশে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। গতকালের থেকে আজ ৪ হাজার ৮৪৮ জন সক্রিয় রোগী বৃদ্ধি হয়েছে। একইসঙ্গে দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে গিয়েছে আড়াই শতাংশের কাছাকাছি।   

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health and Social Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এই অবধি দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮১৭ জন। করোনা থেকে একদিনে সেরে উঠেছে ৭ হাজার ৯৮৫ জন। এযাবৎ দেশে মোট করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৮২ হাজার জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৬৪ শতাংশ।

    করোনাকে রুখতে টিকাকরণেই বেশি জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এখন পর্যন্ত দেশে ১৯৫ কোটি ৮৪ লক্ষ ডোজের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। গতকাল টিকা পেয়েছেন ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ। 

     

  • India Covid-19 deaths: করোনায় মৃত্যু নিয়ে রাহুলের বিপরীতে গিয়ে হু-র দাবি খারিজ কংগ্রেসের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    India Covid-19 deaths: করোনায় মৃত্যু নিয়ে রাহুলের বিপরীতে গিয়ে হু-র দাবি খারিজ কংগ্রেসের স্বাস্থ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাহুল গান্ধীর(Rahul Gandhi) দাবি খারিজ করে দিলেন দলেরই এক নেতা! সম্প্রতি করোনা নিয়ে একটি তথ্য প্রকাশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তাতে দাবি করা হয়, করোনায় (coronavirous) ভারতে (India) মৃত্যু হয়েছে ৪৭ লক্ষ মানুষের। যদিও কেন্দ্রের দাবি, ৪৭ লক্ষ নয়, দেশে কোভিডে মৃত্যু (India Covid-19 deaths) হয়েছে ৪.৮ লক্ষ মানুষের।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার রিপোর্ট যে ঠিক নয়, তেমন দাবি করেছেন কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী টিএস সিং দেও। কেবল তিনিই নন, এই একই দাবি করেছেন সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ হেল্থ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার কনফারেন্স (central council of health and family welfare conference)। এই কনফারেন্সে রয়েছেন ২০টি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা, যার মধ্যে কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা রয়েছেন।

    করোনায় বিশ্বজুড়ে বহু মানুষের মৃত্যু হয়। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত এক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে কোভিডে ভারতে মোট ৪৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যদিও সরকারি হিসেবে মৃত্যু হয়েছে মাত্র ৪.৮ লক্ষ মানুষের। এর পরেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) রিপোর্টকে হাতিয়ার করে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এক ট্যুইট বার্তায় তিনি লেখেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি অনুযায়ী, ৪.৮ লক্ষ নয়, বরং কোভিড অতিমারীতে ৪৭ লক্ষ ভারতীয় মারা গিয়েছেন। বিজ্ঞান মিথ্যা বলে না। মোদি বলেন। প্রিয়জন হারিয়েছে এমন পরিবারকে সম্মান করুন। বাধ্যতামূলক ৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে তাঁদের সাহায্য করুন। এর আগেও নানা সময় বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে ভারতে করোনা নিয়ে নানা রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছিল। সেগুলিতে দাবি করা হয়েছিল, ভারতে করোনার বলি হয়েছে সরকারি হিসেবের কয়েকগুন বেশি মানুষ। যদিও প্রতিবারই সেই দাবি খণ্ডন করা হয়েছে ভারতের তরফে।

    এবার রাহুলের দাবিও খারিজ করে দিল বিভিন্ন রাজ্যের ২০ জন স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে নিয়ে গঠিত সেন্ট্রাল কাউন্সিল অফ হেল্থ অ্যান্ড ফ্যামিলি ওয়েলফেয়ার কনফারেন্স। এই কনফারেন্সে যে ২০টি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীরা রয়েছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন কংগ্রেস শাসিত ছত্তিশগড়ের স্বাস্থ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের টিএস সিং দেও। কনফারেন্সে বক্তৃতা দিতে গিয়ে তিনি বলেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অতিরঞ্জিত। তারা এটাকে সিরিয়াসলি নিচ্ছে না। 

  • Covishield: দেশে চতুর্থ ঢেউয়ের ভ্রুকুটির মধ্যেই কোভিশিল্ড তৈরি বন্ধ করল সেরাম!

    Covishield: দেশে চতুর্থ ঢেউয়ের ভ্রুকুটির মধ্যেই কোভিশিল্ড তৈরি বন্ধ করল সেরাম!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর থেকেই তাঁর সংস্থা করোনার টিকা (Covid Vaccine) উৎপাদন বন্ধ করে দিয়েছে। শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানের মঞ্চ থেকে একথা জানান সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া (Serum Institute of India)-র কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা (Adar Poonawalla)। তাঁর বক্তব্য, টিকা (কোভিশিল্ড) যাতে কোনওভাবেই নষ্ট না হয়, তা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে তাঁর দাবি, শুধুমাত্র টাকার জন্য তাঁর সংস্থা টিকা তৈরি করে না।

    এই অনুষ্ঠানেই টিকা সংক্রান্ত বেশ কিছু সমালোচনার জবাব দেন পুনাওয়ালা। তিনি বলেন, করোনার টিকাকরণ (vaccination) নিয়ে বাণিজ্যিক মানসিকতা থাকলে চলবে না। এটা ঠিক যে অতিমারি (pandemic) আর আমাদের পিছনে তাড়া করে বেড়াচ্ছে না। কিন্তু, তা বলে “একজন নাগরিকের জীবনের জন্য কোনও দাম ধার্য করা যায় না।”

    প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই টিকাকরণের মাঝের দূরত্ব কমানোর পক্ষে সওয়াল করতে শুরু করেছেন আদর পুনাওয়ালা। বর্তমান নিয়ম অনুসারে, টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার নয় মাস পর বুস্টার ডোজ নিতে হয়। কিন্তু, আদর এই ব্যবধান কমিয়ে ছয় মাস করতে চাইছেন। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অনেকেরই অভিযোগ, শুধু ব্যবসায়িক লাভের জন্যই এমনটা করছেন আদর পুনাওয়ালা।

    এদিন তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা এই অভিযোগ একেবারেই নস্যাৎ করে দিয়েছেন আদর। তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন, শুধুমাত্র আর্থিক লাভের আশায় তাঁর সংস্থা করোনার টিকা তৈরি করেনি। তাঁর মতে, প্রথম ও বিশেষ করে অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় ভারতবাসীকে যে ভয়াবহতার সাক্ষী হতে হয়েছে, তার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না ঘটে, তা নিশ্চিত করতেই দ্বিতীয় ডোজের সঙ্গে বুস্টার ডোজের ব্যবধান কমানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন তিনি। যদিও কোভিশিল্ড তৈরি এবং বিক্রি করে তাঁর সংস্থা যে অনেক টাকা রোজগার করেছে, এ নিয়ে কোনও দ্বিমত থাকতে পারে না।

    তারপরও আদর পুনাওয়ালার বক্তব্য, “অপচয়ের পথ পুরোপুরি বন্ধ করতে আমি বিনামূল্যেও টিকা দেওয়ার কথা বলেছি। আমার লক্ষ্য যদি শুধুই টাকা রোজগার করা হত, তাহলে কখনই এমনটা করতাম না। আমি বলতে চাই, দেশের কোনও নাগরিকের জীবনের মূল্য টাকা দিয়ে নির্ধারণ করা সম্ভব নয়। তা তিনি কোনও প্রাপ্তবয়স্ক হন, কিংবা কোনও নাবালক। তাই এই বিষয়ে আমাদের সময় থাকতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বুস্টার ডোজ (booster dose) দেওয়ার ক্ষেত্রেই হোক, কিংবা নাবালকদের টিকাকরণ (child vaccination), আমাদের সঠিক সময় সিদ্ধান্ত নিতে হবে।”

    সেরামের (SII) কর্ণধারের অভিযোগ, নাগরিকদের জীবন বাঁচাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং পদক্ষেপ করা দরকার। কিন্তু, যাঁদের উপর সেই দায়িত্ব রয়েছে, তাঁরা অযথা সময় নষ্ট করছেন বলেও অভিযোগ করেন আদর পুনাওয়ালা।

     

LinkedIn
Share