Tag: court

court

  • Calcutta High Court: মিলল হাইকোর্টের ছাড়পত্র, মঙ্গলবারেই মহেশতলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু

    Calcutta High Court: মিলল হাইকোর্টের ছাড়পত্র, মঙ্গলবারেই মহেশতলায় যাচ্ছেন শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শর্তসাপেক্ষে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) মহেশতলা নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। কেবল শুভেন্দুই নন, তাঁর সঙ্গে যেতে পারবেন আরও দু’জন। সোমবার এমনই নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য।

    রাজ্যকে প্রশ্ন (Calcutta High Court)

    এদিন এই মামলার শুনানিতে শুভেন্দুর হয়ে সওয়াল করেন আইনজীবী সূর্যনীল দাস। আদালতে তিনি জানান, এসপির কাছে অনুমতি চাওয়া হয়েছে। রবীন্দ্রনগর থানায়ও জানানো হয়েছে। ওই এলাকায় ভারতীয় সংহিতার ১৬৩ (পূর্বতন ১৪৪) ধারা জারি রয়েছে। আজ, সোমবার পর্যন্ত এই ধারা জারি থাকবে। শুভেন্দুর আইনজীবীর কাছ থেকে এই তথ্য জানার পরেই বিচারপতি রাজ্যকে প্রশ্ন করেন, “আজ যদি উঠে যায়, তাহলে কীসের অসুবিধা? যদি আদালত অনুমতি দেয়, তাহলে কী আশঙ্কা করছেন?”

    ‘উনি আদালতে এলেন কেন?’

    বিচারপতির প্রশ্ন শুনে রাজ্যের তরফে এজি বলেন, “যেখানেই কোনও অশান্তির ঘটনা ঘটে, বিরোধী দলনেতা সেখানেই কেন যেতে চান? উনি আদালতে এলেন কেন? নিজেই তো চলে যেতে পারতেন!” এর পরেই বিচারপতির উদ্দেশে এজি বলেন, “আদালতকে রাজনৈতিক কারণে ব্যবহৃত হতে দেবেন না।” এদিন আদালতের হাজির ছিলেন আইনজীবী তথা তৃণমূলের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতা আসলে পাবলিসিটি পেতে চান (Calcutta High Court)।” এজির প্রশ্ন শুনে পাল্টা প্রশ্ন করেন বিচারপতি। তিনি বলেন, “বিরোধী দলনেতাকে যদি আটকে দেন, তাহলে সাধারণ মানুষের কী হবে?” এর পরেই তিনি নির্দেশ দেন, মঙ্গলবার মহেশতলায় যাবেন শুভেন্দু। তবে কোনও সমাবেশ কিংবা মিছিল করা যাবে না। করা যাবে না বিতর্কিত মন্তব্যও।

    প্রসঙ্গত, গত ১১ জুন মহেশতলার আক্রা সন্তোষপুর এলাকায় একটি ফলের দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে শুরু হয় অশান্তি। প্রথমে বচসা, পরে শুরু হয় সংঘর্ষ। দুই গোষ্ঠীর এই সংঘর্ষের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয় এলাকার বেশ (Suvendu Adhikari) কয়েকটি বাড়ি এবং দোকানদানি। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জখম হন কয়েকজন পুলিশ কর্মীও (Calcutta High Court)।

  • Shimla Court: ‘‘সম্পূর্ণ কাঠামো অবৈধ’’, সানজৌলি মসজিদ ভেঙে ফেলার নির্দেশ শিমলা আদালতের

    Shimla Court: ‘‘সম্পূর্ণ কাঠামো অবৈধ’’, সানজৌলি মসজিদ ভেঙে ফেলার নির্দেশ শিমলা আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমাচল প্রদেশের রাজধানী শিমলার সানজৌলি অঞ্চলে (Shimla Court) অবস্থিত মসজিদের সম্পূর্ণ কাঠামো অবৈধ (Sanjauli Mosque)। তাই এটি ভেঙে ফেলতে হবে। এমনই রায় দিয়েছে শিমলার পুর আদালত। শিমলা পুর কমিশনার ভূপিন্দর আত্রীর নেতৃত্বে আদালত বিস্তারিত শুনানির পর এই রায় দেয়। মসজিদটি যে জমিতে দাঁড়িয়ে রয়েছে, তার মালিকানার যথাযথ প্রমাণ আদালতে জমা দিতে পারেনি ওয়াকফ বোর্ড। নির্মাণ সংক্রান্ত অনুমোদিত নকশা বা পুর অনুমোদনের কোনও প্রমাণপত্রও দাখিল করতে পারেনি ওয়াকফ বোর্ড। তার জেরেই সম্পূর্ণ মসজিদটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

    মসজিদ কমিটি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি (Shimla Court)

    এর আগে ২০২৪ সালের ৫ অক্টোবর আদালত মসজিদের শীর্ষ তিন তলা ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিল। ওই নির্দেশের দু’মাসের নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে মসজিদ কমিটি কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। দুটি অতিরিক্ত সময়সীমা দেওয়া সত্ত্বেও কমিটি অবৈধ নির্মাণ সম্পূর্ণ ধ্বংস করার কাজ করেনি। যার ফলে মসজিদটির একটি তলা ও বেশ কয়েকটি স্তম্ভ-সহ কাঠামোর কিছু অংশ অক্ষত রয়ে যায়।

    মসজিদের সম্পূর্ণ কাঠামোটিই অবৈধ

    সম্প্রতি শুনানিতে আদালত কঠোর অবস্থান নিয়ে অবশিষ্ট দুটি তলা — গ্রাউন্ড ফ্লোর ও ফার্স্ট ফ্লোর-সহ — অবৈধ বলে ঘোষণা করে। ওয়াকফ বোর্ডের আইনজীবী যুক্তি দেন যে মসজিদটি ১৯৪৭ সালের আগে থেকেই বিদ্যমান ছিল এবং বর্তমান ভবনটি কেবল একটি পুনর্নির্মাণ। আদালত প্রশ্ন তোলে, যদি এটি সত্যিই পূর্ববর্তী কাঠামোর সংস্কার হয়, তবে সঠিক পদ্ধতিতে পুরসভার অনুমতি কেন নেওয়া হয়নি। ৪৫ মিনিটের বিতর্কের পর আদালত তাদের সিদ্ধান্ত সংরক্ষণ করে এবং শেষে বিকাল ১টার পর রায় ঘোষণা করে। কমিশনার ভূপিন্দর আত্রি রায় দেন, মসজিদের সম্পূর্ণ কাঠামোটিই অবৈধ (Shimla Court) এবং এটি ভেঙে ফেলতে হবে।

    প্রসঙ্গত, শিমলার মালিয়ানা অঞ্চলে ২০২৪ সালের ২৯ অগাস্ট দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের পর সানজৌলি মসজিদ মামলাটি জনসাধারণের নজর কাড়ে। ওই সংঘর্ষে এক ব্যক্তি জখম হন। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয় ১ সেপ্টেম্বর, যখন সানজৌলি মসজিদের (Sanjauli Mosque) বাইরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে এবং অবৈধ নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। এদিন সেই নির্মাণই ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দিল আদালত (Shimla Court)।

  • Hush Money Case: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    Hush Money Case: পর্নস্টারকে ঘুষ মামলায় নিঃশর্ত রেহাই ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টের, কী বলল আদালত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মসনদে বসার দিন দশেক আগে বড় স্বস্তি পেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পর্নস্টারকে ঘুষ দিয়ে মুখ বন্ধ করার চেষ্টার মামলায় (Hush Money Case) নিঃশর্ত রেহাই পেলেন আমেরিকার হবু প্রেসিডেন্ট। পর্নস্টার স্টর্মি ড্যানিয়েলসকে ঘুষ দেওয়ার ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন তিনি (Donald Trump)। তার পরেই শুরু হয়েছিল আদালত কী সাজা দেয় ভাবী মার্কিন প্রেসিডেন্টকে, তা নিয়ে জল্পনা। শেষমেশ স্বস্তির শ্বাস ফেললেন রিপাবলিকান পার্টির এই নেতা।

    কী বলল আদালত? (Hush Money Case)

    আদালত জানিয়ে দিয়েছে, জেল কিংবা জরিমানা, কিছুই হচ্ছে না তাঁর। ট্রাম্পকে যে জেলে যেতে হবে না, এক একপ্রকার জানাই ছিল। কারণ মার্কিন আইন অনুয়ায়ী, ট্রাম্পের কারাদণ্ডের সম্ভাবনা প্রায় ছিলই না। তবে আর্থিক জরিমানা হওয়ার আশঙ্কা করছিলেন ট্রাম্পের অনুগামীদের একাংশ। শেষ পর্যন্ত নিঃশর্ত রেহাই মেলায় স্বস্তির শ্বাস ফেললেন ট্রাম্প ও তাঁর অনুগামীরা। শুক্রবার ফ্লোরিডা থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে হাজিরা দেন ট্রাম্প। জানান, তিনি নির্দোষ (Hush Money Case)। এর পরেই বিচারক জুয়ান মার্চান বলেন, “এই আদালত নির্ধারণ করেছে যে, দেশের সর্বোচ্চ পদের ওপর হস্তক্ষেপ না করেই রায় বা দোষী সাব্যস্ত হওয়ার একমাত্র আইনসঙ্গত শাস্তি হল নিঃশর্ত অব্যাহতি।”

    স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ

    ২০১৬ সালে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে স্টর্মিকে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। গত মে মাসে নিউ ইয়র্কের আদালতে দোষী সাব্যস্ত হন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তাতে অবশ্য ট্রাম্পের রাজনৈতিক কেরিয়ারের কোনও ক্ষতি হয়নি। কারণ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য সাজা ঘোষণা স্থগিত রেখেছিল আদালত (Hush Money Case)। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জো বাইডেনের দলের প্রার্থীকে কার্যত ধরাশায়ী করে জয়ী হন ট্রাম্প।

    আরও পড়ুন: “হিন্দুরা জোটবদ্ধ না হলে এখানেও বাংলাদেশের মতো সংখ্যালঘু হয়ে পড়বেন”, বার্তা শুভেন্দুর

    এর পরেই মামলার (Hush Money Case) শাস্তি থেকে অব্যাহতি চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি। ভাবী প্রেসিডেন্টের সেই আর্জি খারিজ করে আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, প্রেসিডেন্ট পদে বসলেও, রক্ষাকবচের কোনও প্রশ্নই নেই। তার পরেই গুঞ্জন ছড়ায়, তাহলে কি দ্বিতীয়বারের জন্য প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগেই অস্বস্তিতে পড়তে চলেছেন ট্রাম্প। শুক্রবার সেই জল্পনায় জল ঢেলে দিল আদালত। স্বস্তি পেলেন ট্রাম্প। প্রসঙ্গত, আগামী ২০ জানুয়ারি ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদে শপথ নেবেন ট্রাম্প (Donald Trump)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chinmoy Krishna Das: ফের খারিজ জামিন, চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলেই মারতে চাইছে ইউনূস প্রশাসন! কীসের ভয়?

    Chinmoy Krishna Das: ফের খারিজ জামিন, চিন্ময় কৃষ্ণকে জেলেই মারতে চাইছে ইউনূস প্রশাসন! কীসের ভয়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে (Chinmoy Krishna Das) কি জেলেই পচিয়ে মারতে চাইছে বাংলাদেশের (Bangladesh) ইউনূস প্রশাসন? বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামের মহানগর দায়রা আদালতে তাঁর জামিন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর এই প্রশ্নটাই উঠল। এদিন প্রায় আধ ঘণ্টা ধরে শুনানি চলে। চিন্ময়ের জামিনের সওয়াল করে আইনজীবী অপূর্বকুমার ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের ১১ জন আইনজীবীর একটি দল।

    জামিনের আবেদন খারিজ (Chinmoy Krishna Das)

    গ্রেফতারি এড়াতে দীর্ঘদিন আত্মগোপন করে রয়েছেন চিন্ময়ের প্রথম আইনজীবী শুভাশিস শর্মা। বুকে ব্যথা নিয়ে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আর এক আইনজীবী রবীন্দ্র দাস। তাঁদের পরিবর্তে এদিন ওই আইনজীবীরা লড়াই করেন চিন্ময়ের হয়ে। শুনানি শেষে সরকারি আইনজীবী মফিজুর হক ভুঁইয়ার আবেদন মেনে দায়রা বিচারক মহম্মদ সফিকুল ইসলাম চিন্ময়ের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। বিচারক জানান, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় গ্রেফতার চিন্ময়ের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত হলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা হতে পারে। তাই জামিন দেওয়া সম্ভব নয়।

    আরও পড়ুন: মাও ‘দমনে’ বিরাট সাফল্য, আত্মসমর্পণ কিষেনজির ভাইবউ বিমলা-সহ ১১ মাওবাদীর

    ইউনূসের স্বজাতি প্রেম!

    বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের স্বজাতি প্রেমের কথা কারও অজানা নয়। দিন কয়েক আগেই জামিন পেয়েছে ২০০৪ সালের গ্রেনেড হত্যা মামলার ফাঁসির আসামী বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুস সালাম পিন্টু। তার আগে এই একই মামলায় জামিন পেয়েছেন প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমান। শুধু তাই নয়, ইউনূসের আমলে ফাঁসির সাজা মকুব হয় খোদ উলফা প্রধান জঙ্গি পরেশ বড়ুয়ার। ব্লগার রাজীব হায়দার খুনের মামলায় জামিন পায় আনসারুল্লা বাংলা টিমের চাঁই জসিমউদ্দিন রহমানি। অথচ হিন্দু সন্ন্যাসীকে গারদে রাখা হয়েছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ তুলে!

    চিন্ময় বাংলাদেশের সংখ্যালঘু সংগঠন (Chinmoy Krishna Das) সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের অন্যতম নেতা। চিন্ময় ওই সংগঠনেরই মুখপাত্র। এদিকে, এদিন আদালত চত্বরে জামাতপন্থী আইনজীবীরা চিন্ময়ের জামিন না দেওয়ার দাবিতে স্লোগান দেন। চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময়কে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করে ইউনূস প্রশাসন। ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম (Bangladesh) আদালতে খারিজ হয়ে যায় তাঁর জামিনের আবেদন। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত চত্বর (Chinmoy Krishna Das)।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • RG Kar Rape Case: এক মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে আরজি কর ধর্ষণ মামলার শুনানি!

    RG Kar Rape Case: এক মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে আরজি কর ধর্ষণ মামলার শুনানি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক মাসের মধ্যেই নিম্ন আদালতে (Sealdah Court) শেষ হয়ে যেতে পারে আরজি কর ধর্ষণ (RG Kar Rape Case) মামলার শুনানি। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানিতে ভারতের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না জানান, সিবিআই স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিয়েছে। ৪৩ জন সাক্ষীর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে।

    ধর্ষণ মামলার শুনানি (RG Kar Rape Case)

    সোম থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রতিদিন নিম্ন আদালতে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ধর্ষণ মামলার শুনানি হচ্ছে। সেই শুনানি প্রক্রিয়া আগামী মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই মামলায় মোট ৫২ জন সাক্ষী রয়েছেন বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত। শিয়ালদা আদালতে ওই মামলার বিচার শেষ হওয়ার পরে অভিযুক্ত বা অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করা হবে। তার পরেই সাজা ঘোষণা করবে আদালত।

    কী বলল সিবিআই?

    এদিন সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়, আরজি কর মামলার ক্ষেত্রে তিনটি দিক রয়েছে। এক, ধর্ষণ ও খুনের মামলা, দুই তথ্যপ্রমাণ লোপাট এবং তিন, দুর্নীতি। খুন হওয়া তরুণী চিকিৎসকের পরিবারের আইনজীবীর আশা (RG Kar Rape Case), সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট দাখিল করা হবে। তিনি জানান, মৃতের বাবা-মা ন্যায়বিচারের অপেক্ষায় রয়েছেন। আশা করা হচ্ছে, অন্য কারও ভূমিকা থাকলে তার স্বরূপ ফাঁস করে দিতে পারবে সিবিআই। আর্থিক কেলেঙ্কারি মামলার তদন্তের ক্ষেত্রে দুজন সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে পদক্ষেপের জন্য রাজ্য সরকারের অনুমতির অপেক্ষা করা হচ্ছে। গত ২৭ নভেম্বর সেই অনুমতি চাওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুন: হিন্দুদের ওপর অত্যাচার! ইউনূসকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ কৈলাস সত্যার্থীর

    সিবিআইয়ের প্রত্যাশা মতো যদি শিয়ালদা আদালতে বিচারপ্রক্রিয়া শেষ হয়ে যায়, তাহলে সুপ্রিম কোর্টের পরবর্তী শুনানির আগে পুরো প্রক্রিয়াটা শেষ হয়ে যেতে পারে। ২০২৫ সালের ১৭ মার্চ ফের আরজি কর মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, সেই সময়ের মধ্যে যদি কারও মনে হয় যে নিম্ন আদালতে ট্রায়াল প্রক্রিয়ায় দেরি হচ্ছে, তাহলে (Sealdah Court) তিনি সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতে পারবেন (RG Kar Rape Case)।

     

      দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ৬ বছর পর মিলল বিচার, তান্ত্রিকের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

    Arambagh: শিশুকন্যাকে ধর্ষণ-খুনে ৬ বছর পর মিলল বিচার, তান্ত্রিকের মৃত্যুদণ্ড দিল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে চিকিৎসক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে দেশজুড়ে আন্দোলন হয়েছে। এখনও জুনিয়র ডাক্তাররা বিচারের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এই আবহের মধ্যে এবার চার বছরের শিশুকন্যাকে খুন করে ধর্ষণ করার ঘটনায় ঐতিহাসিক রায় দিল আরামবাগ আদালত। ঘটনায় অভিযুক্ত তান্ত্রিকের স্ত্রীকে মৃত্যুদণ্ড দিল আরামবাগ (Arambagh) আদালত। পাশাপাশি খুনের ঘটনায় সহযোগিতা করার অভিযোগে শিশুকন্যার দিদিমা সুশীলা মাঝিকে আজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক কিষেণ কুমার আগরওয়াল। অপরদিকে, অভিযুক্ত তান্ত্রিকের জেল হেফাজতে থাকাকালীন মৃত্যু হয়েছে। আদালতে এই রায়দান নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Arambagh)

    তন্ত্রসাধনার বলি হয়েছিল এক শিশুকন্যা। ঘটনাটি ২০১৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারির। খানাকুলের (Arambagh) বাসিন্দা ওই শিশুকন্যার বাবা তাঁর চার বছরের মেয়ের নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন খানাকুল থানায়। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। নিখোঁজ শিশুকন্যার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। অবশেষে খানাকুলেই প্রতিবেশী এক ব্যক্তির বাড়ির শৌচালয়ের চেম্বারের মধ্যে থেকে মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় ওই শিশুকন্যাকে উদ্ধার করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মৃত শিশুকন্যার দিদিমা স্থানীয় ওই তান্ত্রিকের তন্ত্রসাধনার জন্য তাঁর নিজের নাতনিকে দিয়ে দেন। জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই তান্ত্রিক ও তাঁর স্ত্রী প্রথমে ওই শিশুকন্যাকে ধর্ষণ করে। পরে, তার মৃতদেহ স্থানীয় এক ব্যক্তির বাড়ির শৌচালয়ের চেম্বারের মধ্যে ফেলে দেয়। শিশুকন্যাকে খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঘটনার পরেই অভিযুক্ত তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তারপর থেকে টানা প্রায় ছ’বছর ধরে এই ঘটনার বিচার-প্রক্রিয়া চলে। এই ঘটনায় একাধিক সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। এদিন এই অভিযোগের রায়দান করেন বিচারক। ইতিমধ্যেই শুনানি চলাকালীন জেল হেফাজতেই শারীরিক অসুস্থতার জেরে মৃত্যু হয় অভিযুক্ত তান্ত্রিকের।

    আরও পড়ুন: ‘দেবীপক্ষ চলে এল, অসুর নিধন হবেই’, আরজি কর-কাণ্ডে বললেন নির্যাতিতার মা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: সিসিটিভি বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    Supreme Court: সিসিটিভি বসানোর কাজ কতদূর এগিয়েছে, জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিসিটিভি বসানোর কাজে কতদূর এগিয়েছে রাজ্য। সোমবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে এই তথ্যই জানতে চাইল সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। এদিন আরজি করকাণ্ড (RG Kar case) মামলার শুনানি হচ্ছিল শীর্ষ আদালতে। সেখানেই সিসিটিভি ইনস্টলেশনের বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়।

    রাজ্যের জবাব (Supreme Court)

    শীর্ষ আদালতের প্রশ্নের উত্তরে রাজ্যের তরফে জানানো হয়, কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। বাকি কাজও শেষ হয়ে যাবে ১০ অক্টোবরের মধ্যে। রাজ্যের আইনজীবী বলেন, যা প্রস্তাব ছিল, তার ২৬ পারসেন্ট সিসিটিভি লাগানো হয়েছে। ১০ অক্টোবরের মধ্যে বাকিটা লাগানো হবে। রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির জন্যই যে কাজে কিছুটা দেরি হচ্ছে, এদিন তাও জানান রাজ্যের আইনজীবী। গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুনানির দিন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নির্দেশ ছিল, রাজ্য সরকারের বক্তব্য অনুযায়ী টেন্ডার বেরনোর ১৪দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে হবে।

    কাজ শেষের আশ্বাস

    এদিন রাজ্যের আইনজীবী জানান, ১৫ অক্টোবরের মধ্যে ২৮টি হাসপাতালে সিসিটিভি বসানো ও শৌচাগার নির্মাণ ও সংস্কারের কাজ হয়ে যাবে। প্রধান বিচারপতির (Supreme Court) নির্দেশ, রাজ্যকে নিশ্চিত করতে হবে যাতে ৩১ অক্টোবরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ হয়। এর প্রেক্ষিতে রাজ্যের আইনজীবী বলেন, “পরিকাঠামোগত কিছু সমস্যার জন্য কাজ শেষ করতে সময় লাগছে।” তিনি আরও বলেন, “৩১ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ হয়ে যাবে। আমরা চেষ্টা করছি ১৫ অক্টোবরের মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফেলব।” রাজ্যের তরফে আইনজীবী জানান, আরজি কর হাসপাতালের ডিউটি রুমের টেন্ডার হওয়ার পরেও কাজ আটকে রয়েছে। সিবিআই ছাড়পত্র দিলেই কাজ শুরু করা যাবে। সিবিআইয়ের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, ঘটনার পরে পাঁচ দিন কাজ হয়েছে। তাই এখন আর তাদের কোনও আপত্তি নেই।

    আরও পড়ুন: মামলার পথে ইডি! কেজরি, সোরেনের পর এবার কি সিদ্দারামাইয়ার জেলে যাওয়ার পালা?

    এদিকে, সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ দ্রুত শুরু হবে বলে দিন দুই আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগম। প্রসঙ্গত, শুক্রবার রাতে ওই হাসপাতালের কয়েকজন জুনিয়র চিকিৎসককে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তার পরেই (RG Kar case) সিসিটিভি বসানোর সিদ্ধান্ত হয় (Supreme Court)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dhruv Rathee: বিজেপির মানহানি মামলায় আপপন্থী ইউটিউবার ধ্রুব রাঠিকে তলব দিল্লি আদালতের

    Dhruv Rathee: বিজেপির মানহানি মামলায় আপপন্থী ইউটিউবার ধ্রুব রাঠিকে তলব দিল্লি আদালতের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউটিউবার ধ্রুব রাঠিকে (Dhruv Rathee) তলব করল দিল্লির আদালত। ধ্রুব আপপন্থী ইউটিউবার। তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে মানহানির মামলা। মামলাটি দায়ের করেছেন বিজেপির স্বেচ্ছাসেবক ও সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়র বিকাশ পান্ডে। চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অঙ্কিত গর্গ ধ্রুবকে ১৯ নভেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত জানিয়েছে, শুনানির সময় তাঁর উপস্থিতি অত্যন্ত প্রয়োজন। তাই তিনি অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না।

    কী বলছেন বিকাশ? (Dhruv Rathee)

    ধ্রুবর উদ্দেশে ট্যুইট-বার্তা দিয়েছেন বিকাশ স্বয়ং। লিখেছেন, “প্রিয় ধ্রুব রাঠি, তুমি সদ্য বাবা হয়েছো বলে খারাপ খবর দিতে ঘৃণা হচ্ছে। কিন্তু তোমাকে আমার বিরুদ্ধে করা ভুয়ো ভিডিওগুলি নিয়ে আদালতে হাজির হওয়ার নোটিশ পাঠানো হয়েছে। এখন সময় হয়েছে আইন থেকে পালানো বন্ধ করে আদালতে হাজির হওয়ার।” ঘটনার সূত্রপাত ২০১৮ সালে। সেই সময় ধ্রুব একটি ভিডিও সিরিজ প্রকাশ করেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, বিকাশ সংস্কৃত্যায়ন, যিনি বিকাশ পাণ্ডে নামেও পরিচিত, তিনি বিজেপি আইটি সেলের সদস্য ছিলেন। তিনি মহাবীর প্রসাদ নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ লাখ টাকা ঘুষ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। যিনি নিজেকে বিজেপির আইটি সেলের প্রাক্তন সদস্য বলে দাবি করেছিলেন তাঁর বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য।

    রাঠির স্বীকারোক্তি

    ভিডিও সিরিজটি (Dhruv Rathee) প্রকাশিত হয় তিন পর্বে। তাঁর বিরুদ্ধে ১৫ লাখ টাকার মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন বিকাশ। রাঠি দাবি করেছিলেন, মহাবীর প্রসাদের কাছে এমন একটি ফোন কলের রেকর্ডিং ছিল, যেখানে পান্ডে তাঁকে রাঠির বিরুদ্ধে কথা বলার জন্য ঘুষ দিয়েছিলেন। অবশ্য মামলা দায়ের হওয়ার পর অন্য একটি ভিডিওতে রাঠি (Dhruv Rathee) স্বীকার করেন, ৫০ লাখ ঘুষ দেওয়ার প্রস্তাবের রেকর্ডিং তাঁর কাছে নেই।

    আরও পড়ুন: “ভূস্বর্গে যে পরিবর্তন হয়েছে, এই নির্বাচনই তার প্রমাণ”, বললেন শাহ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীর মুখ থেঁতলে খুন, মুসলিম যুবককে ফাঁসির সাজা দিল শিলিগুড়ি আদালত

    Siliguri: ধর্ষণের পর স্কুলছাত্রীর মুখ থেঁতলে খুন, মুসলিম যুবককে ফাঁসির সাজা দিল শিলিগুড়ি আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়ির (Siliguri) মাটিগাড়ায় নাবালিকা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ফাঁসির সাজা দিল দার্জিলিং জেলা আদালত। ঠিক এক বছর ১৪ দিনের মাথায় সাজা ঘোষণা করা হল। শনিবার শিলিগুড়ির অতিরিক্ত নগর দায়রা আদালতের বিচারক অনিতা মেহেত্রা মাথুর এই সাজা ঘোষণা করেন। পক্সো আইনে মামলা হয়েছিল। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি মৃতার পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। শনিবার সাজা শোনার জন্য মৃতার পরিবার এবং প্রতিবেশীরা আদালতে হাজির হয়েছিলেন। অপরাধীকে পুলিশ আদালতে নিয়ে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন তাঁরা।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Siliguri)

    আদালত (Court) সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে একদিন বিকেলের দিকে একাদশ শ্রেণির ওই ছাত্রী স্কুল থেকে বাড়ি ফিরছিল। পথে মহম্মদ আব্বাস নামে এক যুবক তাকে ফুসলিয়ে নিয়ে যায়। তাকে মাটিগাড়ার (Siliguri) জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল ওই মুসলিম যুবকের বিরুদ্ধে। নির্যাতিতাকে যাতে চেনা না যায়, সে জন্য ইট দিয়ে থেঁতলে দেওয়া হয়েছিল তার মুখ। ওই ঘটনায় রাজ্য জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার পর পরই বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, সাংসদ রাজু বিস্তা, স্থানীয় বিধায়ক আনন্দ বর্মন সহ দলীয় নেতৃত্ব নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করে সব রকম ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। এমনকী রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে দোষীর শাস্তি হওয়ার আশ্বাস দিয়ে এসেছিলেন।

    আরও পড়ুন: চিনা রাষ্ট্রদূতের মুখে জামাত প্রশস্তি, বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা বেজিংয়ের!

    আদালতে কী হল?

    খুনের মামলায় একাধিক সাক্ষ্যগ্রহণ করে আদালত (Siliguri)। অবশেষে সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে আব্বাসকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। সরকারি পক্ষের আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বিভিন্ন ঘটনার নজির তুলে ধরে অপরাধীর ফাঁসির পক্ষে সওয়াল করেন। অন্যদিকে, অপরাধীর আইনজীবী বুলা রায় জানান, তাঁর মক্কেলের বাড়িতে বৃদ্ধা মা রয়েছেন। তাঁর পরিবারের কথা ভেবে ফাঁসির আবেদন বিবেচনা করার আর্জি রাখেন তিনি। আব্বাসের বিরুদ্ধে ওঠা স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ এবং খুনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় বৃহস্পতিবারই। এরপরই শনিবার বিচারক ফাঁসির রায় দেন। সরকারি আইনজীবী বিভাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “খুব গুরুত্ব সহকারে প্রতিটি হাজিরায় আদালতে বোঝাবার চেষ্টা করেছি যে, এটা অন্যান্য মামলার তুলনায় ভিন্ন একটি মামলা। এই মামলায় দোষীর ফাঁসি হওয়া উচিত। আমরা ফাঁসির আবেদন জানিয়েছিলাম। আদালত মূলত দুটি বিষয়েব ওপর নজর দিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিল। প্রথমত খুন এবং দ্বিতীয়ত নাবালিকাকে ধর্ষণ।”

    নির্যাতিতার মা কী বললেন?

    সাজা ঘোষণার পরে নির্যাতিতার মা বলেন, “আদালতের এই রায়ে আমরা খুশি। আমার মেয়ে শান্তি পাবে। ওই লোকটির (দোষী) দু’জন স্ত্রী এবং সন্তান রয়েছেন। তার পরেও এমন কাজ! ওর ফাঁসিই হওয়া উচিত। প্রথম থেকেই মাটিগাড়া থানা এবং আদালতের উপর আমাদের ভরসা ছিল। সেই ভরসাই আমার মেয়েকে আজ বিচার পাইয়ে দিল।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • RG Kar Scam: ‘আরজি করে সন্দীপের হাত ধরে হওয়া দুর্নীতি বিগ স্ক্যাম’, বলল আদালত

    RG Kar Scam: ‘আরজি করে সন্দীপের হাত ধরে হওয়া দুর্নীতি বিগ স্ক্যাম’, বলল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজি করে (RG Kar Scam) চিকিৎসক পড়ুয়ার খুনের পাশাপাশি এই হাসপাতাল দুর্নীতির আঁতুড়ঘর। প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষের হাত ধরে এই হাসপাতালে বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। তাঁর হাত ধরেই কাজের বরাত পেয়েছেন ঘনিষ্ঠরা। ইতিমধ্যেই সেই দুর্নীতির তদন্ত করছে সিবিআই। আর এই দুর্নীতি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন আলিপুর আদালতের বিচারক সুজিত কুমার ঝা।

    আদালতে কী জানাল সিবিআই? (RG Kar Scam)

    এক সরকারি হাসপাতাল (RG Kar Scam) থেকে আরেক সরকারি হাসপাতাল। সন্দীপ ঘোষের সহচর ছিলেন বিপ্লব সিং, সুমন হাজরা-রা। সন্দীপের সঙ্গেই হাসপাতাল বদল হত বিপ্লব-সুমনদের। আরজি কর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতিতে এবার ত্রিফলা যোগের দাবি করল সিবিআই। আলিপুর আদালতে তাদের দাবি, মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে থাকাকালীন সন্দীপের সঙ্গে পরিচয় হয় ভেন্ডর বিপ্লব সিংয়ের। সন্দীপ ন্যাশনাল মেডিক্যালের সুপার পদে বদলি হতেই, সেখানে কাজ পেতে শুরু করেন বিপ্লব। তাঁর সূত্র ধরেই আরেক ভেন্ডর সুমন হাজরার সঙ্গে পরিচয় হয় সন্দীপের (Sandip Ghosh)। সুমনও ন্যাশনাল মেডিক্যালে বরাত পেতে শুরু করেন। এরপর সন্দীপ আরজি কর মেডিক্যালের অধ্যক্ষ হওয়ার পর যাবতীয় টেন্ডার যেত বিপ্লব-সুমনের কাছে। আর জি কর মেডিক্যালে দুর্নীতির জাল তৈরিতে প্রত্যক্ষ যোগ ছিল সন্দীপ-বিপ্লব-সুমনের। আদালতে নথি পেশ করে দাবি করেছে সিবিআই। সিবিআইয়ের আইনজীবী আরও দাবি করেন, ধৃত তিন জনের সঙ্গে সন্দীপ ঘোষের গভীর ষড়যন্ত্র ছিল। সেটা সামনে আসা দরকার।

    আরও পড়ুন: ‘বিচার চাই’! বাংলার ইতিহাসে দীর্ঘতম মানব বন্ধন, অভিনব প্রতিবাদের সাক্ষী কলকাতা

    আরজি করে ‘বিগ স্ক্যাম’

    আলিপুর বিশেষ সিবিআই (CBI) আদালতের বিচারক সন্দীপ ঘোষকে সিবিআই হেফাজতে পাঠানোর আদেশনামায় লিখেছেন, ‘‘কেস ডায়েরি যত্ন সহকারে খুঁটিয়ে পড়ার পর বোঝা যাচ্ছে এই কেস একটি বড় স্ক্যাম। এজেন্সিকে এই দুর্নীতির মানি ট্রেল ও কীভাবে অপরাধ সংঘটিত হয়েছে তা খুঁজে বের করতে হবে।’’ মঙ্গলবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর আরজি করের (RG Kar Scam) আর্থিক দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া সন্দীপ ঘোষ-সহ তিন জনকে আলিপুর আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক সুজিত কুমার ঝা-এর এজলাসে মামলাটি ওঠে। তবে সন্দীপের আইনজীবী জামিনের আর্জি জানাননি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার তাঁদের আদালত চত্বরে দেখা মাত্রই ক্ষোভ উগরে দিলেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে আইনজীবীদের একটা বড় অংশ। নিজাম প্যালেস থেকে আলিপুর আদালতে শোনা গেল চোর-চোর ও ধিক্কার স্লোগান। আদালত কক্ষ থেকে সন্দীপ-সহ চারজনকে বের করার সময়েও, ফের বিক্ষোভে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত চত্বর। স্লোগানের পাশাপাশি সন্দীপ ঘোষকে চড়ও মারেন একজন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share