Tag: court

court

  • Sukanta Majumdar: ট্রেনে করে বসিরহাট, বাইকে চেপে অলি-গলি দিয়ে এসপি অফিসে সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ট্রেনে করে বসিরহাট, বাইকে চেপে অলি-গলি দিয়ে এসপি অফিসে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বসিরহাটের পুলিশ সুপারের অফিস ঘেরাওয়ের কর্মসূচি রয়েছে বিজেপির। সেই কর্মসূচির নেতৃত্ব দেবেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। যদিও কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ সুপারের অফিসের আশপাশে জারি রয়েছে ১৪৪ ধারা। বসিরহাট জেলা পুলিশের অফিস চত্বর অর্থাৎ সংগ্রামপুর এলাকার ৫০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে। সকাল থেকে এলাকায় মাইকিং করে অবৈধ জমায়েত করলে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়। সড়কপথে গেলে পুলিশ আগেই আটকে দিতে পারে। তাই হৃদয়পুর স্টেশন থেকে লোকাল ট্রেনে চেপে বসিরহাটের উদ্দেশে তিনি রওনা দেন। মোট ৩০ জনের টিকিট কাটা হয়েছে। সুকান্ত বলেন, আইনভঙ্গ করা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু, পুলিশের হাত এড়িয়ে আমরা যে করে হোক বসিরহাট পৌঁছাব। তাই গাড়ির বদলে লোকাল ট্রেন। এদিন দুপুরে বসিরহাট স্টেশন পৌঁছান বিজেপির রাজ্য সভাপতি। স্টেশন থেকে বাইক মিছিল করে এসপি অফিসের উদ্দেশে রওনা দেন তিনি। সঙ্গে বিজেপি কর্মী, সমর্থকেরা। পুলিশের চোখ এড়াতে বড় রাস্তা নয়, বসিরহাট স্টেশন থেকে গলি দিয়ে এসপি অফিসের দিকে রওনা দেন সুকান্ত। 

    সন্দেশখালিতে জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা (Sukanta Majumdar)

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বসিরহাট যাওয়ার পাশাপাশি এদিন সন্দেশখালিতে পৌঁছলেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। সেখানে গ্রামে ঘুরে ঘুরে মহিলাদের সঙ্গে কথা বলছেন কমিশনের দুই প্রতিনিধি। মহিলারাও শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের কথা কমিশনের সদস্যদের সামনে তুলে ধরেন।

    বসিরহাটে পুলিশের বিরুদ্ধে আইনজীবীদের মিছিল

    বসিরহাট মহকুমা আদালতের আইনজীবীদের পুলিশের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল। সোমবার বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহকে যখন পুলিশ আদালতের বাইরে থেকে গ্রেফতার করে তখন সেখানে উপস্থিত আইনজীবীদেরও ধাক্কাধাক্কি করা হয় এবং মহিলা আইনজীবীকে শ্লীলতাহানি করা হয় বলে অভিযোগ। তারই প্রতিবাদে মঙ্গলবার কর্মবিরতির ডাক দিয়েছেন আইনজীবীরা। এখনও পর্যন্ত যা সিদ্ধান্ত যে, এই কর্মবিরতি লাগাতার চলবে।

    আটকানো হল কংগ্রেসকে

    উত্তর ২৪ পরগনার ধামাখালির রামপুরে যুব কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলকে আটকে  দেয় পুলিশ। ব্যারিকেড ভেঙে এগোনোর চেষ্টা করেন যুব কংগ্রেস কর্মী, সমর্থকেরা। এ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যুব কংগ্রেস কর্মীদের ধস্তাধস্তি বেধে যায়। তার পরে বিক্ষোভকারীদের বাসে তুলে নিয়ে চলে যায় পুলিশ।

    বসিরহাট আদালতে তোলা হল বিকাশ, উত্তমকে

    বিজেপি নেতা বিকাশ সিংহ এবং তৃণমূল নেতা উত্তম সর্দারকে বসিরহাট আদালতে তোলা হয়। আদালতে ঢোকার সময় বিজেপি নেতা বিকাশ বলেন, ‘‘সন্দেশখালিকে বাঁচান, সন্দেশখালির মহিলাদের বাঁচান, আমাকে আবার ফাঁসানো হয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: রানাঘাট সেনকো গোল্ডে ডাকাতি, চার দুষ্কৃতীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা

    Dacoits: রানাঘাট সেনকো গোল্ডে ডাকাতি, চার দুষ্কৃতীর যাবজ্জীবন সাজা ঘোষণা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনে দুপুরে নদিয়া রানাঘাটে সেনকো গোল্ড এর শোরুমে ভয়াবহ ডাকাতির (Dacoits) ঘটনার দুই মাস পর অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করল আদালত। বৃহস্পতিবার রানাঘাট মহকুমা আদালতের বিচারপতি চার অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। অনাদায়ে আরও একমাস কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Dacoits)

    আদালত ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই মাস আগে বিকাল তিনটে নাগাদ কয়েকজনের ডাকাত (Dacoits) আচমকা সেনকো গোল্ড এর শোরুমে হানা দেয়। রিভলভার দেখিয়ে লুটপাট করতে থাকে গয়না। কিছুক্ষণের পরেই খবর পৌঁছায় রানাঘাট থানায়। রানাঘাট থানার সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। এরপরই শুরু হয় প্রকাশ্যে ওই দুষ্কৃতীদের সঙ্গে গুলির লড়াই। দিনের বেলায় দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশের গুলি বিনিময়ের দৃশ্য সংবাদ মাধ্যমের সৌজন্যে দেখেছিলেন রাজ্যবাসী। পুলিশের গুলিতে জখম হয় এক দুষ্কৃতী। বাকিরা ঘটনাস্থল ছেড়ে পালিয়ে যায়। সোনার দোকান থেকে কয়েক কোটি টাকার গয়না হাতিয়ে নিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। জানা গিয়েছে, এরপরই পুলিশ জখম ওই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরবর্তীকালে পুলিশ তদন্তে নেমে আরও চারজনকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে প্রত্যেককে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, তারা ভিন রাজ্যের বাসিন্দা। অভিযুক্তদের নাম নন্দন কুমার যাদব, রাজকুমার পাশওয়ান, ছোট্ট পাশওয়ান এবং রিক্কি পাসওয়ান। দীর্ঘ দুই মাস ধরে বিচার চলতে থাকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। ২৫ জন সাক্ষীর জবানবন্দি নেওয়া হয়। এই ঘটনায় বুধবার বিচারপতি অভিযুক্তদের দোষী সাব্যস্ত করেন। বৃহস্পতিবার আদালতের বিচারক ওই চার অভিযুক্তের সাজা ঘোষণা করেন।

    আসামীপক্ষের আইনজীবী কী বললেন?

    এ বিষয়ে আসামীপক্ষের আইনজীবী বাসুদেব মুখোপাধ্যায় বলেন, এর আগে আমরা দেখেছিলাম চার্জশিটে মৃত ব্যক্তির নাম দেওয়া হয়েছিল। আমরা বেশকিছু বিষয় নিয়ে আসামীর হয়ে আদালতে প্রশ্ন করেছিলাম। কিন্তু, এদিন আদালত তাদের বিরুদ্ধে এই সাজা ঘোষণা করেছে। আগামী দিনে আমরা এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চতর আদালতে যাব কিনা সেটা পরবর্তীকালে আসামীপক্ষের সঙ্গে কথা বলেই সিদ্ধান্ত নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ‘আমার বিরুদ্ধে পুলিশ চক্রান্ত করছে’, কেন বললেন অর্জুন সিং?

    Arjun Singh: ‘আমার বিরুদ্ধে পুলিশ চক্রান্ত করছে’, কেন বললেন অর্জুন সিং?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্দলের তৃণমূল বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে নিষেধ করেছে রাজ্য নেতৃত্ব। দলের রাজ্য নেতা সুব্রত বক্সির নির্দেশ মেনে সোমনাথ ইস্যুতে আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছেন অর্জুন সিং (Arjun Singh)। তবে, বুধবার বারাকপুর মহকুমা আদালতে এসে ভাইপো পাপ্পু সিংকে গ্রেফতার ও বার বার হেফাজতে নেওয়া ইস্যুতে পুলিশকে তুলোধনা করলেন তিনি। পাশাপাশি অর্জুন অনুগামীরা এদিন ফের সোমনাথ শ্যামের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দেন।

    সোমনাথের চক্রান্তেই গ্রেফতার, বিস্ফোরক অর্জুন ভাইপো

    তৃণমূল কর্মী ভিকি যাদব খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) ভাইপো পাপ্পু সিংকে কয়েকদিন আগে পুলিশ গ্রেফতার করে। পাঁচদিন হেফাজতে থাকার পর বুধবার তাঁকে ফের বারাকপুর আদালতে তোলা হয়। দাপুটে এই তৃণমূল নেতাকে আদালতে তোলা হবে বলে এদিন সকাল থেকেই পুলিশি তৎপরতা ছিল তুঙ্গে। আদালত চত্বরে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ড্রোন দিয়ে গোটা এলাকার নজরদারি করা হয়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৯ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে আদালতের কাছে দরবার করা হয়। বিচারক ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় পাপ্পু সিং বলেন, সোমনাথ শ্যামের চক্রান্তেই আমাকে গ্রেফতার হতে হয়েছে। পাপ্পু সিংয়ের আইনজীবী রাকেশ সিং বলেন, পাঁচ দিন হেফাজতে থাকার পর তার কাছ থেকে কোনও কিছু পুলিশ পায়নি। ভিকি যাদব খুনে ধৃত পঙ্কজের সঙ্গে আটমাস আগে কথা হয়েছিল পাপ্পুর। সেই সূত্র ধরেই পুলিশ এসব করছে। পুলিশের একাংশে চক্রান্তের শিকার হয়েছে পাপ্পু।

    পুলিশকে তুলোধোনা করলেন অর্জুন (Arjun Singh)

    এদিন অর্জুন সিং (Arjun Singh) আদালতে এসে বলেন, আমার উপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য পুলিশ চক্রান্ত করছে। পাঁচ দিনে পাপ্পুর কাছে কিছু পাওয়া যায়নি,  সাত দিন তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হল। চক্রান্ত ছাড়া আর কিছু নয়। আসলে পাপ্পু আমার সমস্ত কিছু দেখাশোনা করত। নির্বাচনটাও করত। ও সামনে আসত না। আমার অফিস ও সামলাত। তাই, এভাবে ওকে হেনস্থা করা হচ্ছে। আমরা উচ্চ আদালতে যাব। সেখানেই আসল সত্য প্রমাণ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: শিশুকে ধর্ষণ করে খুন! এই প্রথম ফাঁসির নির্দেশ দিল বারুইপুর আদালত

    South 24 Parganas: শিশুকে ধর্ষণ করে খুন! এই প্রথম ফাঁসির নির্দেশ দিল বারুইপুর আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে এক নাবালিকাকে ধর্ষণ করে খুন করেছিল এক যুবক। এর পরেই পকসো-সহ একাধিক ধারায় মামলা শুরু হয় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার তাকে দোষী সাব্যস্ত করে আদালত। এ দিন ফাঁসির নির্দেশ দেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) বারুইপুর আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (১) সন্দীপকুমার মান্না। আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, সাজাপ্রাপ্ত ওই যুবকের নাম আজগর আলি খাদি মুন্সারি (৩৮)। আজগরের আইনজীবী বিপ্লব রায়মণ্ডল বলেন, আজগর নির্দোষ। এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (South 24 Parganas)

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, খুন হওয়া শিশুর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) নরেন্দ্রপুর থানা এলাকায়। ধর্ষণ করে খুন করা শিশুর বাবার সহকর্মী ছিল সাজাপ্রাপ্ত আজগর। এলাকাতেই একটি প্রকল্পে কাজ করত সে। সেই সূত্রে বাচ্চাটির বাড়িতে যাতায়াত ছিল আজগরের। তার বাড়িও নরেন্দ্রপুর থানা এলাকাতেই। ২০১৯ সালের ১৫ জুলাই ঘটনার দিন আজগর বছর ছয়েকের ওই শিশুটির বাড়িতে গিয়ে তাকে তার বাবার কাছে নিয়ে যাওয়ার কোলে করে তুলে নিয়ে যায়। এরপরে প্রকল্পের পাঁচিল-ঘেরা একটি জায়গায় নিয়ে গিয়ে তাকে ধর্ষণ করে খুন করে সে। পরে জঙ্গলে দেহ ফেলে পালিয়ে যায়। আজগর যখন বাড়ি থেকে শিশুটিকে কোলে নিয়ে বেরোচ্ছিল, তখন তা চোখে পড়ে যায় এক জনের। মেয়ের খোঁজ না পেয়ে তাই তার মা-বাবা ওই যুবকের বিরুদ্ধেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিল আজগর। তাকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখান এলাকাবাসী। শেষমেশ ঘটনার ছ’দিন পর ২১ জুলাই আজগরকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সে দিনই তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে শিশুটির দেহ উদ্ধার করা হয়।

    সরকারি আইনজীবী কী বললেন?

    সরকারি আইনজীবী রুনুরাজ মণ্ডল বলেন, শিশুকে ধর্ষণ করে খুনের অপরাধে ফাঁসিই উপযুক্ত সাজা। আদালতের রায়ে আমরা খুশি। বারুইপুর আদালতে পকসো মামলায় এই প্রথম ফাঁসির আদেশ হল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের তদন্তে প্রশ্ন তুলে আন্দোলনের ডাক শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের তদন্তে প্রশ্ন তুলে আন্দোলনের ডাক শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের অন্যতম নেতা নিশিকান্ত মণ্ডল খুনের ঘটনার মামলায় ৮ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়েছেন। এবার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিশিকান্তের পরিবারের লোকজন। নন্দীগ্রামের বিধায়ক তথা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাওয়ার পক্ষে সওয়াল করেছেন।

    কী বলেছেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    জমি আন্দোলনের নেতা নিশিকান্তের ছেলে সত্যজিৎ মণ্ডল বিজেপির পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। অনেকে আদালতের এই রায়ের জন্য নিশিকান্তের পরিবারের লোকজনের দিকে আঙুল তুলেছেন। অনেক সমালোচনাও শুনতে হয়েছে তাঁর পরিবারের সদস্যদের। রবিবার নন্দীগ্রামের হরিপুরে দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সেই সত্যজিৎ মণ্ডলকে পাশে বসিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমালোচনার ঝড় সামলানোর চেষ্টা করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জমি আন্দোলনে নিশিকান্তের ভূমিকা তুলে ধরে শুভেন্দু বলেন, ‘কামদুনি কাণ্ডের ওই রকম রায়ের পর এবার নিশিকান্ত মণ্ডল হত্যা মামলার অভিযুক্তদের বেকসুর খালাস করে দেওয়া হল। যারা রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিল। আদালতের এই রায়ের জন্য দায়ী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। সাড়ে ৩ বছরের জেল খাটা এক তৃণমূল নেতার অঙ্গুলিহেলনে সবটা হয়েছে।’  তবে, আদালতের এই রায় মাথা পেতে নেওয়ার পক্ষে তাঁর মত নেই। বরং, সঠিক বিচারের জন্য তিনি বলেন, ‘আগামীদিনে আমার এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে যাব।’

    আন্দোলনের ডাক বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, হলদিয়া আদালতে রায়ের সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন জানানো হবে। তার পর নিশিকান্তর পরিবারের তরফে কলকাতা আদালতে রায় পুনর্বিবেচনার দাবি জানানো হবে। সেই সঙ্গে কালো পতাকা নিয়ে বৃহস্পতিবার ভাঙাবেড়া থেকে সোনাচূড়া বাজার পর্যন্ত ধিক্কার মিছিলের ডাক দিয়েছেন শুভেন্দু। ফলে, এই ইস্যুতে পথে নেমে সোচ্চার হওয়ার কথা বলেছেন বিরোধী দলনেতা। নিশিকান্ত মণ্ডলের ছেলে সত্যজিৎ মণ্ডলও এ দিন দাবি করেন, সঠিক ভাবে তদন্ত করা হলে এ রকম রায় হত না। উচ্চ আদালতে আমরা আপিল করব।

    সরকারি আইনজীবী কী বলেছিলেন?

    আদালতে রায় বের হওয়ার পর সরকারি আইনজীবী জানিয়েছিলেন, ‘উপযুক্ত সাক্ষ্যের অভাবে প্রায় ১৪ বছর ধরে মামলা চলার পর জমি আন্দোলন পর্বে তৃণমূল নেতা নিশিকান্ত মণ্ডল হত্যা মামলার ৮ অভিযুক্ত বেকসুর খালাস পেয়েছে। এমনকী, মৃত নিশিকান্তের পরিবারের লোকেরাও জোড়াল সাক্ষ্য দেননি।’ এসব নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। নিশিকান্ত মণ্ডলের ছেলেকে পাশে বসিয়ে আদালতের রায় নিয়ে ঠিক কী অবস্থান তা জানিয়ে দিলেন বিরোধী দলনেতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: মুর্শিদাবাদ আদালতে বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগম, কেন জানেন?

    Murshidabad: মুর্শিদাবাদ আদালতে বাংলাদেশের সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগম, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগীত শিল্পী তথা বাংলাদেশের আওয়ামী লিগের জাতীয় সংসদের সদস্য মমতাজ বেগম হাজির মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে। তাঁর বিরুদ্ধে চুক্তিভঙ্গ এবং প্রতারণার অভিযোগ তুলে মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা আদালতে মামলা করা হয়।

    আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন সংগীত শিল্পীর বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ?

    আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, শক্তিশংকর বাগচী নামে এক ব্যক্তি ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টের কাজ করতেন। মমতাজ বেগমের সঙ্গে ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত কাজ করেছিলেন। কোনও একবার অনুষ্ঠানে কথা দিয়েও তিনি আসেননি বলে শংকরবাবুর অভিযোগ। তিনি এনিয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, অনুষ্ঠানে আসার জন্য শক্তি শক্তিশংকর বাগচী সংগীত শিল্পী মমতাজ বেগমকে বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলেন। সঙ্গীত অনুষ্ঠানে না আসা সত্ত্বেও সেই টাকা ফেরত দেননি। ২০০৯ সালে তিনি সংগীত শিল্পীর বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন। মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা আদালতের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলকেশ দাস সংগীত শিল্পীকে ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন।

    সংগীত  শিল্পীর আইনজীবীর কী বক্তব্য?

    মমতাজ বেগমের আইনজীবী দেবাংশু সেনগুপ্ত বলেন, শংকরবাবু যে অভিযোগ করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। টাকা দেওয়ার কথা বলেছেন তার কোনও প্রমাণ আদালতে দেখাতে পারেননি। ওই সময় তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন এবং দুর্ঘটনাজনিত কারণে তাঁর পায়ের হার ভেঙ্গে যায়। তাই, তিনি অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি। মামলা করার পর বিদেশে থাকার কারণে তিনি আদালতে আসতে পারেননি। ফলে, বিচারক তাঁর নামে ওয়ারেন্ট ইস্যু করেছিলেন। ৮ সেপ্টেম্বর সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেই নির্দেশ মতো তিনি মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) জেলা আদালতে হাজির হন। এর আগে তাঁর না আসতে পারার কারণে সমস্ত প্রমাণপত্র কোর্টকে জমা দেওয়া হয়। এরপরই বিচারক মমতাজ বেগমকে জামিন দেন। একইসঙ্গে তাঁকে নির্দেশ দেওয়া হয়, যদি আগামীদিনে আদালত তাঁকে ডেকে পাঠালে তিনি যেন সেই দিনে আদালতে হাজির হন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Raiganj: তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীর ‘উইনিং সার্টিফিকেট’ বাতিল করল রায়গঞ্জ আদালত, কেন জানেন?

    Raiganj: তৃণমূলের জেলা পরিষদ প্রার্থীর ‘উইনিং সার্টিফিকেট’ বাতিল করল রায়গঞ্জ আদালত, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের এক জেলা পরিষদ প্রার্থীর ‘উইনিং সার্টিফিকেট’ বাতিল করল রায়গঞ্জ (Raiganj) জেলা আদালত। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল রাজনৈতিক মহলে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার হেমতাবাদের ২০ নম্বর জেলা পরিষদ আসনে। এই আসনে জয়ী হন তৃণমূলের প্রার্থী সেলিমা খাতুন। এই আসনের বিজেপি প্রার্থী রমা বর্মন তৃণমূলের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

    কেন তৃণমূল প্রার্থীর বিরুদ্ধে মামলা?

    জানা গিয়েছে, তৃণমূল প্রার্থী সেলিমা খাতুন জলসম্পদ দফতরের (গ্রুপ ডি) চুক্তিভিত্তিক কর্মচারি। পঞ্চায়েত আইনে কোনও সরকারি দফতরের গ্রুপ ডি পদে চুক্তিভিত্তিক কর্মীরা ভোটে দাঁড়াতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিজেপি নেতৃত্ব। সেই মতো বিজপির পক্ষ থেকে রায়গঞ্জ (Raiganj) জেলা আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়। শুক্রবার রায়গঞ্জ জেলা আদালতের বিচারপতি পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী ওই তৃণমূল প্রার্থীর ‘উইনিং সার্টিফিকেট’ কোথাও দেখাতে কিংবা জমা করতে পারবে না বলে রায় দেন। আইনজীবী উৎপল কুমার বাগচী বলেন, ‘হেমতাবাদ ২০ নং জেলা পরিষদ আসনের তৃণমূল প্রার্থী সেলিমা খাতুন জলসম্পদ দফতরের গ্রুপ ডি ক্যাজুয়াল স্টাফ। সে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না, এই মর্মে মামলা দায়ের করে রমা বর্মন। জেলা আদালতের বিচারপতি ওই প্রার্থীর উইনিং সার্টিফিকেট কোথাও ব্যবহার করতে পারবে না বলে রায় দিয়েছেন। কার্যত তা বাতিল করা হল।’

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য অভিজিৎ যোশি বলেন, ‘মনোনয়ন জমা করার সময় আমরা জানতে পারি নির্বাচন কমিশনের যে গাইডলাইন, তাতে বলা আছে কোনও সরকারি কর্মচারি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না। আমরা জানতে পারি তৃণমূল প্রার্থী একজন গ্রুপ ডি কর্মী। সরকারি কর্মচারি হয়ে নমিনেশন ফাইল করেছেন, তখন আমরা রায়গঞ্জে (Raiganj) আদালতের দ্বারস্থ হই। তারই স্থগিতাদেশ হয়েছে। নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্ক্রুটিনিতেও কি করে বিষয়টি ধরা পড়লো না এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে তৃণমূলের যোগ-সাজসের অভিযোগ আনেন তিনি।

    তৃণমূলের জয়ী প্রার্থীর স্বামী কী বললেন?

    সেলিমা খাতুনের স্বামী মজিবুর রহমান বলেন, আমার কাছে এ ধরনের কোনও তথ্য এখনও পৌঁছায়নি। এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। আমার স্ত্রীর নমিনেশন যদি অবৈধ হত তাহলে তা  স্ক্রুটিনিতেই ধরা পড়ত। তাঁকে উইনিং সার্টিফিকেট নির্বাচন কমিশন দিয়ে দিয়েছে। বিজেপি যেখানে ভোটে লড়াই জিততে পারে না সেখানে হয়তো আমাদেরই কিছু লোক তাদের সঙ্গে মিলে এ সমস্ত অপপ্রচার ছড়াচ্ছে। আর যদি সত্যিই কোর্টের এমন কোনও নির্দেশ আমার কাছে আসে তাহলে আমরাও আইনি পথে লড়ব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ghatal: স্বামী কার? একজনকে নিয়ে দুই বউয়ের টানাটানি ঘাটাল আদালতে, এলাকায় উত্তেজনা

    Ghatal: স্বামী কার? একজনকে নিয়ে দুই বউয়ের টানাটানি ঘাটাল আদালতে, এলাকায় উত্তেজনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বামী কার? এক স্বামীকে নিয়ে দুই বউয়ের টানাটানি আদালত চত্বরেই। আদালত চত্বরেই শাশুড়ি ও বউ মিলে গুণধর স্বামীর জামার কলার ধরে টানা টানাটানি করছে, কখনও আবার দুই বউ এর স্বামীকে নিয়ে টানাটানি।  এমন নাটকীয় ঘটনার সাক্ষী থাকল ঘাটাল (Ghatal) মহকুমা আদালত। আর এই ঘটনা দেখতে আদালত চত্বরে ভিড় জমে যায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘাটাল (Ghatal) মহকুমার চন্দ্রকোণার ছোটবালা গ্রামের প্রশান্ত কয়ারির সঙ্গে ২০১৯ সালে বিয়ে হয় দাসপুরের খেপুত উত্তরবাড়ের মৌসুমী চক্রবর্তীর। বিয়ের কয়েকমাস পরেই তাঁদের ডিভোর্স হয়ে যায়। ডিভোর্সের পর প্রশান্তবাবু আবার বিয়ে করে ঘাটাল থানার হরেকৃষ্ণপুরের বনানী হড়কে। এদিকে বনানী যখন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা তখন প্রশান্ত মারধর করে বলে অভিযোগ তুলে তিনি বাপের বাড়ি চলে যান। সেখানে তাঁর একটি পুত্র সন্তানও হয়, এখন তার বয়স ৭ মাস। এদিকে ডিভোর্সের পর প্রশান্তর আগের স্ত্রী মৌসুমী চলতি বছরে গত ৭ জুন দাসপুরের সীতাপুরের যুবক প্রসেনজিৎ রায়কে বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর ২৩ জুন মৌসুমী বাপের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে আর ফিরে আসেনি। এদিকে প্রসেনজিৎ এর অভিযোগ  মৌসুমী আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। এমনকী তার প্রাক্তন স্বামী প্রশান্তর কাছে সে চলে যায়। মৌসুমীকে ডিভোর্স দিয়ে দিতে তারা বলে। মঙ্গলবার সেই ডিভোর্সের আবেদনের জন্যই সবাই আদালতে উপস্থিত হয়। খবর পেয়ে প্রশান্তর স্ত্রী বনানী ও তাঁর মা আদালতে হাজির হন। সেখানেই ঘটে এই নাটকীয় ঘটনা। আদালতের ভিতর থেকেই বনানীর মা ও বনানী প্রশান্ত এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে টেনে নিয়ে গিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেন।

    কী বললেন গুণধর স্বামী?

    প্রশান্তবাবু বলেন, মৌসুমী আমার প্রথম পক্ষের স্ত্রী। সে চলে যাওয়ার পর আমি দ্বিতীয়বার বিয়ে করেছিলাম। তবে, মৌসুমী ফিরে আসার তাঁর সঙ্গে আমি ফের বিয়ে করি। ও ফের বিয়ে করেছিল তা জানতাম না। তাই, মৌসুমী এদিন ঘাটাল (Ghatal) আদালতে তার স্বামীকে ডিভোর্স দেওয়ার জন্য এসেছিল। আর বনানী এবং তার পরিবার ভাল না। ওর সঙ্গে থাকতে চাই না।

    স্বামীর বিরুদ্ধে কী বললেন বনানীদেবী?

    বনানীদেবী বলেন, আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। আমি ওর শাস্তি চাই। ওর সঙ্গে অভিযুক্ত মহিলারও আমি শাস্তি দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: পিংলায় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন! দোষীদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত

    Paschim Medinipur: পিংলায় ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুন! দোষীদের ফাঁসির সাজা ঘোষণা করল আদালত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পিংলা (Paschim Medinipur) থানা এলাকায় এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্তদের দু’জনের ফাঁসি এবং একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের সাজা ঘোষণা করল মেদিনীপুর আদালত। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ৩ মে এক ২১ বছর বয়সী কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণ করার পর, অন্তর্বাস গলায় জড়িয়ে তাঁকে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। ঘটনার দিনেই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয় এবং দু’ বছর পর আজ আদালতে শাস্তি ঘোষণা হল।

    কীভাবে শাস্তি ঘোষণা হল (Paschim Medinipur)?

    ছাত্রীকে গণধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগে দু’জনকে ফাঁসি এবং এক মহিলাকে যাবজীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতের বিচারপতি কুসুমিকা দে (মিত্র)। ধর্ষণ করে খুনের আসামীদের নাম হল, ঝাড়খণ্ডের পূর্ব সিংভূমের ছোটু মুন্ডা, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদার বাসিন্দা বিকাশ মুর্মু (তখন বয়স ২৭), পিংলার তেমাথানির তপতী পাত্র। পর্যাপ্ত তথ্যপ্রমাণের সাপেক্ষে মঙ্গলবার দোষীদের সাজা শোনানো হয় আদালতের তরফ থেকে।

    পরিবারের বক্তব্য

    দোষীদের শাস্তি ঘোষণা হওয়ায় এই রায়ে খুশি মৃতের পরিবার। পিংলায় (Paschim Medinipur) ধর্ষণকাণ্ডে মৃত তরুণীর বাবা চাষ করেন আর মা আশা কর্মী। তরুণীর মা বলেন, করোনা পরিস্থিতির সময় কলেজ বন্ধ থাকায় বাড়িতে অনলাইনে পড়াশুনা করত মেয়ে। ডেবরা মহাবিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিল আমার মেয়ে। মৃতের মা আরও জানান, মেয়েকে তো আর ফেরত পাব না। কিন্তু দোষীরা শাস্তি পেল, এতে কিছুটা খুশি।

    সরকারি আইনজীবীদের বক্তব্য

    সরকারি আইনজীবী (স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর) দেবাশিষ মাইতি বলেন, “২০২১ সালের পিংলা থানার ঘটনায় ২৭ জন সাক্ষ্য দেন। এই ঘটনায় দুজনের ফাঁসির নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও মামালায় অভিযুক্ত এক মহিলার যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। ঘটনাটির দিনই পিংলা (Paschim Medinipur) থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। মূল অভিযোগ ছিল তরুণীকে গণধর্ষণের পর খুন করে দোষীরা” ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে আদালতে তুলে ইডি-র মুখে কৃষ্ণনাম কেন?

    ED: শান্তনু ঘনিষ্ঠ অয়ন শীলকে আদালতে তুলে ইডি-র মুখে কৃষ্ণনাম কেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ সোমবার ভোরে শান্তনু ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অয়ন শীলকে ইডি (ED) গ্রেপ্তার করেছে। ৩৭ ঘণ্টা ধরে তাঁকে জেরা করার পর নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি (ED)  তাঁকে গ্রেপ্তার করে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে এসেছে বলে দাবি ইডি-র তদন্তকারীদের। প্রচুর নথিও উদ্ধার করেছেন তাঁরা। শুধুমাত্র শিক্ষক নিয়োগ নয়, পুরসভা ও দমকলের নিয়োগেও দুর্নীতি হয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। অভিযোগ, তাঁর কাছে থেকে হাজার হাজার প্রার্থীর তথ্য মিলেছে। চাকরি দেওয়ার নামে অয়ন ৫০ কোটি টাকা তুলেছেন বলেও অভিযোগ । সোমবারই তাঁকে পেশ করা হয়েছে আদালতে। কেন্দ্রীয় সংস্থার মতে, দুর্নীতি এত চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে একমাত্র শ্রীকৃষ্ণই বাঁচাতে পারে বাংলাকে। কেন্দ্রীয় এজেন্সির আরও দাবি, এখনও পর্যন্ত যা তথ্য তারা অয়নের অফিস ও বাড়ি থেকে পেয়েছে তার ভিত্তিতে এই দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু, এর বাইরেও বিপুল পরিমাণ দুর্নীতি হয়েছে বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় এজেন্সির গোয়েন্দারা। শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইলে এত তথ্য মিলেছিল, যাকে সোনার খনি বলে উল্লেখ করেছিল ইডি। এবার অয়ন শীলকে আদালতে পেশ করার পর ইডির (ED)  বক্তব্য, আমরা সোনার খনির খোঁজ পেয়েছি। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে, তাতে এই ব্যক্তির হাত গোটা রাজ্য জুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, এই ব্যক্তির কোম্পানি ওএমআর শিট ছাপানোর দায়িত্বে ছিল। পুরসভার পরীক্ষায় প্রভাব খাটানো হত প্রভাবশালীদের দিয়ে, এমনটাও অভিযোগ কেন্দ্রীয় সংস্থার। ইডির (ED)  তরফে বলা হয়েছে, এই দুর্নীতি এতটা নীচে নেমেছে যে মজদুর ও টাইপিস্ট পদেও দুর্নীতি হয়েছে। রাজ্যের ৬০ টির বেশি পুরসভার নিয়োগে অয়নের ক্ষমতা ছিল বলেও জানতে পেরেছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। শুধু প্রাইমারি, আপার প্রাইমারি, গ্রুপ ডি নয়, রাজ্যু জুড়ে দুর্নীতির জাল ছড়িয়ে আছে বলে অভিযোগ।

    এদিন আদালতে কী বলেছে ইডি ? ED

     এটা শুধু এসএসসি বা টেটে নিয়োগের দুর্নীতির বিষয় নয়। এই দুর্নীতি রাজ্য সরকারের সব দপ্তরে হয়েছে। এ ব্যাপারে একটি পরিসংখ্যান খোলা আদালতেই বলে ইডি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, রাজ্যের ৬০টি পুরসভায় অন্তত পাঁচ হাজার বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। যার জন্য ৫০ কোটি টাকা তুলেছিলেন এই অয়ন শীল। ইডি এও বলেছে, সবটা এখানে বলা যাচ্ছে না। কেস ডায়েরিতে সবটা রয়েছে। বিচারকের উদ্দেশে ইডি-র আইনজীবী বলেন, সবটা দেখলে আপনি শিউরে উঠবেন। এদিন কেন্দ্রীয় এজেন্সির মুখে কৃষ্ণনামও শোনা গিয়েছে। আদালত কক্ষে ইডি বলে, মহাভারতে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় যেমন অর্জুনকে পথ দেখিয়েছিলেন ভগবান কৃষ্ণ, তেমন এখানেও শ্রীকৃষ্ণ ছাড়া কেউ পথ দেখাতে পারবেন না। এর আগে শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের মোবাইল ফোনকে সোনার খনি বলেছিল ইডি। এদিন সেই প্রসঙ্গ টেনেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি বলে, সেই ফোন থেকেই শান্তনু ও অয়নের চ্যাটের সন্ধান পান গোয়েন্দারা। কিন্তু, কেন্দ্রীয় এজেন্সির তরফে এও জানানো হয়, সেই খনি থেকে দুর্নীতি যোগের মাত্র ১০ শতাংশ খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। ৯০ শতাংশ এখনও বাকি।

    কী বলেছেন অয়নের আইনজীবী?

    অয়নের আইনজীবী আদালতে দাবি করেন, একজন অভিযুক্তের কথায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাঁক মক্কেলকে, কোনও টাকা উদ্ধার হয়নি। আর নিয়োগ প্রক্রিয়ার জন্য পুরসভা অনুমতি দিয়েছিল, সরকার অনুমোদিত কোম্পানি দ্বারা নিয়োগ করা হত।  ইডি-র (ED)  পাল্টা প্রশ্ন, স্যর ওঁদের জিজ্ঞেস করুন ওএমআর শিটে দাগ দেওয়ার অনুমতি ছিল? সরকারের ওপর থেকে নীচ পর্যন্ত দুর্নীতিতে ভরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share