Tag: Covid 19

Covid 19

  • Covid 4th Wave: আসতে চলেছে করোনার চতুর্থ ঢেউ? আশঙ্কার কথা শোনালেন হু-এর বিজ্ঞানী 

    Covid 4th Wave: আসতে চলেছে করোনার চতুর্থ ঢেউ? আশঙ্কার কথা শোনালেন হু-এর বিজ্ঞানী 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখনই নিস্তার নেই করোনার (Covid 19) হাত থেকে। আরো বেশ কিছু ছোট-ছোট ঢেউ প্রত্যক্ষ করবে বিশ্ব। এমন আশঙ্কার কথাই শোনাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু (WHO)।  

    হু-এর প্রধান বিজ্ঞানী ডাঃ সৌম্যা স্বামীনাথন (Dr Soumya Swaminathan) বলেন, “করোনার আরও একটা ছোট ঢেউয়ের সম্ভাবনা যে একেবারেই নেই তা এই পরিস্থিতিতে বলা যাচ্ছে না। রোজই বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও। এমন পরিস্থিতিতে বয়স্কদের বুস্টার ডোজ যে বাধ্যতামূলক। ৬০ বছরের ওপরের সকলের বুস্টার ডোজ গ্রহণ এবং কোভিড বিধি মেনে চলা দেশে পরবর্তী ঢেউকে আটকাতে পারে। সংক্রমণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানুষকেও সচেতন হতে হবে। অনেকে বাড়িতেই করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন সেক্ষেত্রে সংখ্যার হের-ফের হওয়া স্বাভাবিক। পাশাপাশি আমাদের হাসপাতালে ভর্তি এবং সার্বিক মৃত্যুহারের ওপর বিশেষ নজর রাখা প্রয়োজন।”    

    আরও পড়ুন: আশা কর্মীদের কুর্নিশ জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রীর  

    এর আগে আইআইটি কানপুরের ম্যাথমেটিক্স এবং স্ট্যাটিসটিক্স বিভাগের গবেষণায় করোনার চতুর্থ ঢেউয়ের সম্ভবনার কথা বলা হয়েছিল। গবেষণায় উঠে আসে, চলতি বছর জুন থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতে করোনার চতুর্থ ঢেউ দেখা যাবে। সংক্রমণ শিখর ছুঁতে পারে ১৫ থেকে ৩১ অগাস্টের মধ্যে। এই তরঙ্গের প্রকোপ কমবে অক্টোবরে। এই তরঙ্গের ভয়াবহতা নির্ভর করবে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়্যান্টের চরিত্রের উপর। এছাড়া দেশের কত মানুষ টিকা পেয়েছেন ও কতজন বুস্টার ডোজ পেলেন, তার উপরেও ভাইরাসের ভয়াবহতা নির্ভর করবে। এবার কী তাহলে সেই সম্ভবনাই সত্যি হতে চলেছে? 

    গত এক সপ্তাহে ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়েছে আক্রান্তের সংখ্যা।  

    আরও পড়ুন: ভারতে করোনার বলি ৪৭ লক্ষ মানুষ, অনুমান হু-র, ‘তথ্যের ভিত্তি কী?’ পাল্টা কেন্দ্র

    গত ডিসেম্বরেই দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণের প্রকোপ দেখা গিয়েছিল। নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপটে ফের চার দেওয়ালে আটকে পড়েছিল গোটা দেশ। তাকে করোনার তৃতীয় ঢেউ বলেছিলেন বিজ্ঞানীরা। পরিস্থিতি সবেমাত্র নিয়ন্ত্রণে আসতে শুরু করেছিল। তার মধ্যেই ফের চতুর্থ ঢেউ-য়ের আশঙ্কা। 

    প্রায় রোজই দেশজুরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আক্রান্তের সংখ্যা সাতহাজারেরও গণ্ডি পেরিয়েছে। সক্রিয়  রোগীর সংখ্যাও ৩০ হাজার পার করেছে। 

    বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, “প্রতি চার থেকে ছমাস পরপর একের পর এক নতুন স্ট্রেন আসবে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও বাড়বে। তবে যদি কেউ টিকা এবং বুস্টার ডোজ নিয়ে থাকেন এবং কোভিড বিধি যতটা সম্ভব মেনে চলেন তাহলে তার অযথা আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। তৃতীয় ঢেউয়ের মত নয়া এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তের সংখ্যা প্রথমে কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও ধীরে ধীরে তা কমতে থাকবে। তবে আমাদেরকে সাবধান হতে হবে।”      

     

  • Covaxin: শিশুদের জন্যে কতটা নিরাপদ কোভ্যাক্সিন? পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই বা কী?

    Covaxin: শিশুদের জন্যে কতটা নিরাপদ কোভ্যাক্সিন? পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াই বা কী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাদের নির্মিত করোনা টিকা (Covid-19 vaccine) “কোভ্যাক্সিন” শিশুদের জন্যও সম্পূর্ণভাবে নিরাপদ। দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের গবেষণায় এমনটাই প্রমাণিত হয়েছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এটি নিরাপদ, সহনীয় এবং রোগকে প্রতিরোধ করে। এই দ্বিতীয় এবং তৃতীয় ট্রায়াল হয়েছিল গত বছরের জুন থেকে সেপ্টেম্বর অবধি। এমনটাই দাবি করল ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)।

    সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, কোভ্যাক্সিনের (Covaxin) দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়ালে ২-১৮ বছর বয়সি শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের উপর টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করা হয়েছিল। তাতে টিকার নিরাপত্তা এবং রোগ প্রতিরোধের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: শেষ হল নেজাল ভ্যাকসিনের তৃতীয় ট্রায়াল, শীঘ্রই মিলবে ছাড়পত্র?

    ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও ম্যানেজিং ডিরেক্টর কৃষ্ণা এল্লা (Dr. Krishna Ella) এবিষয়ে বলেন,”শিশুদের ওপর কোভ্যাক্সিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল খুবই ভালোভাবে সফল হয়েছে।” তিনি আরও বলেন, “শিশুদের ওপর কোভ্যাক্সিনের নিরাপত্তা এবং রোগ প্রতিরোধের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। আমরা প্রাপ্তবয়স্ক এবং শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ ও কার্যকরী কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন তৈরির লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছি। দেশের ৫ কোটি শিশুকে এই টিকা দেওয়া হয়েছে।”

    ইতিমধ্যেই ‘ইউনিভার্সাল ভ্যাকসিন’ (Universal Vaccine)- এর তকমা পেয়েছে কোভ্যাক্সিন। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের শরীরেও সমান কার্যকর এই টিকা। বাচ্চাদের শরীরে ভ্যাকসিনটি নিরাপদ হলেও, এই টিকা নেওয়ার পরে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে শিশু এবং কিশোরদের। এমনকি টিকা প্রস্তুতকারী সংস্থাও এরকম কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার তালিকা প্রকাশ করেছে।

    আরও পড়ুন: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    সংস্থার দাবি, এই টিকা নেওয়ার পর মাথা ব্যথা, হালকা জ্বর, ইঞ্জেকশনের জায়গায় ব্যথা, গা ব্যথা, বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। কিন্তু তাতে ভয়ের কোনও কারণ নেই বলেই দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারত বায়োটেক গবেষণায় জানিয়েছে, বিশেষ কোনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার খবর মেলেনি। মোট ৩৭৪টি কেসে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টি রিপোর্ট করা হয়েছিল, কিন্তু বেশিরভাগ ঘটনাই হালকা প্রকৃতির এবং এক দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করা হয়েছে। ইঞ্জেকশন নেওয়ার জায়গাতে ব্যথার কথাই সবচেয়ে বেশি জানা গিয়েছে। সংস্থাটির দাবি, তাদের কাছে ৫ কোটিরও বেশি ডোজের কোভ্যাক্সিন মজুত রয়েছে।

     

  • Covid Updates: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    Covid Updates: করোনায় একদিনে আক্রান্ত ১৩ হাজারেরও বেশি, স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের করোনা (Covid 19) দুশ্চিন্তায় ফেলেছে দেশবাসীকে। টানা দুদিন দেশে কোভিডে (Covid in India) আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজারের গণ্ডির মধ্যে থাকলেও শনিবার এই সংখ্যা ১৩ হাজার পার করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩,২১৬। শুক্রবার এই সংখ্যা ছিল ১২,৮৪৭। দেশে এখনও দৈনিক সংক্রমণে শীর্ষে মহারাষ্ট্র। ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা ৪,১৬৫। সংক্রমণের নিরিখে এর পরেই রয়েছে কেরল। কেরলে একদিনে আক্রান্ত ৩,১৬২। কেরলের পরেই তালিকায় রয়েছে দিল্লি (১,৭৯৭), হরিয়ানা (৬৮৯) ও কর্নাটক (৬৩৪)।

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার       

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দৈনিক কোভিড বুলেটিন (Covid Bulletin) অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮,১৪৮ জন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। এখনও পর্যন্ত দেশ জুড়ে মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৯০ হাজার ৮৪৫ জন। বর্তমানে দেশে সুস্থতার হার ৯৮.৬৩ শতাংশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৩ জনের। এর মধ্যে কেরলেই মৃত্যু সবচেয়ে বেশি। একদিনে কেরলে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। এ ছাড়া মহারাষ্ট্রে তিন জন, কর্নাটকে দুজন এবং উত্তর প্রদেশ, দিল্লি, পঞ্জাব ও উত্তরাখণ্ডে মোট পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দেশজুড়ে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১৪। 

    [tw]


     [/tw]

    পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮৪০। গত ২৪ ঘণ্টায় দৈনিক সংক্রমণের হার ২.৭৩ শতাংশ। সারা দেশে এখনও পর্যন্ত ১৯৬ কোটি ৪২ হাজার ৭৬৮ টিকাকরণ হয়েছে।

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ   

    পুরো বিষয়টির মধ্যে একটিই আশার আলো। আর তা হল সুস্থতার হার। স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯৬ কোটির বেশি করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল টিকা পেয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ। টিকাকরণের পাশাপাশি করোনা পরীক্ষাতে জোর দিচ্ছে কেন্দ্র। গতকাল দেশে ৪ লক্ষ ৮৪ হাজার ৯২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে।    

     

  • Mask Mandatory in Flights: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ? 

    Mask Mandatory in Flights: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও একবার আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনা (Covid 19)। প্রায় দুবছর ধরে লড়াইয়ের পর সংক্রমণ কমলেও এখনও মহামারীর অভিশাপ থেকে পুরোপুরি মুক্তি পায়নি  দেশ।  যদিও শিথিল হয়েছে কোভিড বিধি (Covid Protocol)। কিন্তু ফের দেশের কিছু অংশে কোভিড সংক্রমণের সংখ্যা ফের বাড়তে শুরু করায় কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে বিমান মন্ত্রক (DGCA)। বিমানবন্দরে এবং বিমানে মাস্ক (Mask) আবার বাধ্যতামূলক (Mandatory) করা হয়েছে। সিভিল এভিয়েশন নিয়ন্ত্রক,  ডিজিসিএ বুধবার নির্দেশিকা জারি করে জানিয়েছে, যারা মাস্ক পরবেন না তাঁদের টেক অফের আগে ডি-বোর্ড করা হতে পারে। সিআইএসএফ কর্মীরা মাস্ক বিধি প্রয়োগের দায়িত্বে থাকবেন। 

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিমানে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক

    ডিসিজিএ আরও বলেছে, উড়ানে থাকাকালীন খুব প্রয়োজন ছাড়া কেউ মাস্ক খুলতে পারবেন না। যাত্রীরা যাতে মাস্ক পরে থাকেন তা নিশ্চিত করতে হবে বিমান কর্তৃপক্ষকে। 

    কীরকম মাস্ক উড়ানের জন্যে আদর্শ? 

    বিশেষজ্ঞরা মাল্টি লেয়ারড মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন। নাক এবং মুখকে শক্ত করে ঢাকবে এবং কোথাও ফাঁকা থাকবে না এমন মাস্ক পরুন। ডিসপোসেবেল থ্রি লেয়ার মাস্ক, এন-৯৫, মাল্টি লেয়ার কটনের মাস্ক পরার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি সম্ভব হয়, তাহলে দুটি করে মাস্ক পরার অভ্যেস করতে বলছেন তাঁরা। লেসের ফেব্রিক দিয়ে তৈরি মাস্ক এড়িয়ে চলুন। এমনটাই মত চিকিৎসকদের। 

    বদ্ধ জায়গায় মাস্ক খোলা নিরাপদ? 

    চিকিৎসকরা বলছেন মাস্ক কখনোই খোলা উচিত না। শ্বাসকষ্টের সমস্যা না থাকলে যাত্রায় কখনই মাস্ক খুলবেন না।  মাস্ক যেন টাইট হয়ে মুখে বসে। অন্যথা অন্য মাস্ক পরুন। 

    আরও পড়ুন: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনা, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ কেন্দ্রের

    যদিও দেশজুড়ে টিকাকরণ চলছে। তাও করোনাকে আটকানোর একমাত্র উপায় কোভিডবিধি মেনে চলা। এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। হাতধোয়া, স্যানিটাইজার ব্যবহার থেকে মাস্ক পরা, আগের মতো সব নিয়মই মেনে চলুন অক্ষরে অক্ষরে। তাহলেই আপনার ধারেকাছে ঘেঁষবে না করোনা।   

     

  • Covid-19 in India: দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনাগ্রাফ, চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?

    Covid-19 in India: দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনাগ্রাফ, চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের দেশজুড়ে বিষ নিঃশ্বাস ছড়াচ্ছে করোনা (Covid-19)। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ হাজারের গণ্ডিও পেরিয়ে গেল। বুধবার দেশে নতুন করে মোট ৭,২৪০ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। গত মার্চের পর থেকে যা একদিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। একদিনে মৃত্যু হয়েছে আট জনের। বৃহস্পতিবার দৈনিক সংক্রমণের হার দাঁড়িয়েছে ২ শতাংশের বেশি।

    করোনা সবচেয়ে দ্রুত ছড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রে। এতদিন এরকমই খবর ছিল। কিন্তু আচমকা কেরলেও খুব দ্রুত বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত দেশে মোট করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে চার কোটি। এই মুহূর্তে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ২৮,৮৫৭। মহারাষ্ট্রে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২০০০ জন। এছাড়াও করোনার ঊর্ধ্বমুখী গ্রাফ লক্ষ্য করা যাচ্ছে কেরলসহ কর্নাটক, তেলেঙ্গানা এবং তামিলনাড়ুতে। 

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিমানে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক

    চতূর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?

    বিশেষজ্ঞদের মতে চতূর্থ ঢেউ (4th Wave) আসছে এখনই এরকমটা ভাবার কোনও কারণ নেই। এই মুহূর্তে কোভিডের যে ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তা হল ওমিক্রন। বছরের শুরুতেই এই ভ্যারিয়েন্টটি নিজের দাপট দেখিয়েছে। দ্বিতীয়বার এই একই ভ্যারিয়েন্টের দাপট দেখানোর সম্ভবনা খুব কম। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, “সংক্রমণের থেকেও সবচেয়ে বেশি ভয় থাকে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে। সেদিক থেকে এখনও ভয়ঙ্কর কোনও পরিস্থিতি দেখা যায়নি। এই ধরনের ভাইরাস খুব দ্রুত শেষ হয়ে যায় না। বহুদিন অবধি এরা টিকে থাকবে এবং সংক্রমণ ছড়াবে। কিন্তু আমরা ধীরে ধীরে সুস্থতার দিকে এগোচ্ছি। এই মুহূর্তে আমাদের দেশের পরিস্থিতি যথেষ্ট ভালো।”

    আরও পড়ুন: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    কীভাবে বুঝবেন আক্রান্ত হয়েছেন কি না?

    হাঁচি, কাশি, জ্বর, ক্লান্তি, মাথা ব্যথা, বমি, ঘুম-ঘুম ভাব, গা ব্যথা এই লক্ষণগুলি ২-৩ দিনের বেশি থাকলে অবশ্যই পরীক্ষা করিয়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। খাবারে অনীহা, মনযোগের অভাব, খিটখিটে মেজাজ, ঘুমে ঘাটতি, বুকে ব্যথা, র‍্যাশ, হাতে-পায়ে ব্যথা মূলত এগুলিই করোনার লক্ষণ।  

    কেউ করোনা পজিটিভ হলে, তার সংস্পর্শে আসা সকলকে বিষয়টি জানানো উচিত এবং তাদেরও পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া উচিত এবং কোভিডবিধি মেনে নিভৃতবাসে যাওয়া উচিত।

     

     

     

     

  • Covid 19: স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে ভিড় এড়িয়ে চলুন, সতর্ক করল কেন্দ্র

    Covid 19: স্বাধীনতা দিবসের উৎসবে ভিড় এড়িয়ে চলুন, সতর্ক করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  সামনেই স্বাধীনতা দিবস (Independence Day)। ৭৫তম স্বাধীনতা দিবসের আনন্দে সামিল হবে গোটা দেশ। কিন্তু তার আগেই গোটা দেশকে কোভিড (Covid 19) নিয়ে সাবধান করল কেন্দ্র। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে যাতে কোনওভাবেই একসঙ্গে বেশি মানুষ একত্রিত (Gathering) না হন, সেদিকে রাজ্যগুলিকে খেয়াল রাখার পরামর্শ দিল কেন্দ্রীয় সরকার। দেশে করোনাগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। এই অবস্থায় দেশের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্য়ে জনবহুল জায়গায় যাতে কেউ না যান, সেই অনুরোধও জানানো হয় কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে। স্বাধীনতা দিবসের আনন্দ যাতে কোনওভাবেই করোনা সংক্রমণকে প্রভাবিত না করে সে দিকে নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে কোভিড নিয়ম বিধিও প্রত্য়েককে মানতে হবে বলে কড়া নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে।  

    আরও পড়ুন: কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের পর বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কর্বেভ্যাক্সও, অনুমোদন কেন্দ্রের    

     

    দিল্লিতে ওমিক্রনের নয়া ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে। সম্প্রতি ওমিক্রনের BA 2.75 ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে রাজধানীতে। দিল্লিতে যে ব্যক্তির শরীরে ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মেলে, তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওমিক্রনের আগের ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় BA 2.75 ভ্যারিয়েন্ট অনেক বেশি সংক্রামক হতে পারে বলে মনে করছেন গবেষকরা। এই নিয়ে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শহরে। 

    আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে করোনা, দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৬,০৪৭ জন, মৃত্যু ৫৪ জনের

    দিল্লিতে (Delhi) ফের মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক ঘোষণা করা হয়েছে। মাস্ক না পরে কেউ জনবহুল জায়গায় গেলে, ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে বলেও সতর্ক করা হয়েছে দিল্লি সরকারের তরফে। দিল্লির পাশপাশি কর্ণাটকেও কোভিড সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়ছে। করোনা নিয়ে কেন্দ্রের তরফে দক্ষিণের রাজ্যগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে।  

  • Maharashtra Covid: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    Maharashtra Covid: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে করোনা (Coronavirus)। ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত হতেই রাজ্যে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক (Mask wearing compulsory) করল মহারাষ্ট্র (Maharashtra) সরকার। এপ্রিলের পর শুক্রবার রাজ্যে একদিনে তিনজনের মৃত্যু হয়, আক্রান্তের সংখ্যাও এদিন হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে যায়। আর তারপরেই নড়েচড়ে বসে সরকার।

    ইতিমধ্যেই কোভিড সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকা (Covid guidelines) জারি করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। রাজ্যের সব জেলাগুলিকে এই নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন খোদ রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব প্রদীপ ব্যাস। সেই নির্দেশিকাতেই বলা হয়েছে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।

    আরও পড়ুন: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই?

    মহারাষ্ট্রের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব বলেন, “ভিড় জায়গায়, ট্রেন, বাস, সিনেমা, অডিটোরিয়াম, অফিস, হাসপাতাল, স্কুল এবং কলেজে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক।” সংবাদমাধ্যমকে প্রদীপ ব্যাস জানান, রাজ্যে ফের কোভিড সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায়, তাই আগাম সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে মাস্ক পরাকে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।   

    অতিরিক্ত মুখ্যসচিব আরও জানান, “গত কয়েক মাস সংক্রমণ অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে ছিল। ফের রুদ্ররূপ ধারণ করতে শুরু করেছে করোনা। তিন মাস পর ফের দৈনিক সংক্রমণ এক হাজার পার করেছে। যা চিন্তার বিষয়। গত সপ্তাহে রাজ্যের নয় জেলায় সংক্রমণে বাড়বাড়ন্ত দেখা গিয়েছে। কোভিডের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বিএ.৪ এবং বিএ.৫ কয়েক জনের দেহে পাওয়া গিয়েছে। সরকার কোনও ঝুঁকি নিতে রাজি নয়।”  

    আরও পড়ুন: সোনিয়ার আরোগ্য কামনা মোদির, এবার করোনা আক্রান্ত প্রিয়ঙ্কাও

    দেশজুড়ে আবার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ছুঁয়ে ফেলেছে ৪ হাজারের গণ্ডি। বেড়েছে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও। 

    মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray) এবিষয়ে বলেছেন, “সম্ভবত এটাই করোনার চতূর্থ ঢেউ (Corona 4th wave)। ভারত সরকার নিশ্চিত না করা অবধি কিছু বলা যাচ্ছে না।” রাজ্যবাসীকে সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “এখনই ভয় পাওয়ার কিছু হয়নি। সরকার অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেবে।” 

    রবিবারই মহারাষ্ট্রে একদিনে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ১,৪৯৪। এদিন একজনের মৃত্যু হয়েছে। এযাবৎ এরাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্ত হয়েছেন ৭৮,৯৩,১৯৭ জন, মৃত্যু হয়েছে ১,৪৭,৮৬৬ জনের।

     

     

     

     

     

     

     

  • Covid 19: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনা, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ কেন্দ্রের

    Covid 19: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনা, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক : ফের আশঙ্কা বাড়াচ্ছে দেশের করোনা (Covid 19) পরিস্থিতি। দেশজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল সাত হাজারের গণ্ডি। শুক্রবারের স্বাস্থ্য বুলেটিনে রীতিমতো কপালে ভাঁজ  বিশেষজ্ঞদের। এই মুহূর্তে দেশজুড়ে করোনাবিধি লাগু করার পরামর্শ দিলেন তাঁরা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৭ হাজার ৫৮৪ জন। গতকাল আক্রান্ত হয়েছইলেন  ৭ হাজার ২৪১ জন।

    আরও পড়ুন: দেশজুড়ে করোনার বাড়বাড়ন্ত, বিমানে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক

    করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যাও দ্রুত গতিতে বাড়ছে। এই মুহূর্তে দেশে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৩৬ হাজার ২৬৭। গতকাল এই সংখ্যা ছিল ৩২ হাজার ৪৯৮ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সেরে উঠেছেন ৩ হাজার ৭৯১ জন। দেশজুড়ে একদিনে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৪ জনের। দেশে পজিটিভিটি রেট ২.২৬ শতাংশ। যদিও এই মুহূর্তে সাপ্তাহিক পজিটিভিটি রেট এক দশমিক ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে এই মুহূর্তে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ৫,২৪,৭৪৭।

    [tw]


    [/tw]

    মারণ ভাইরাসের বাড়বাড়ন্তে চিন্তিত স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare)। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে সমস্ত রকম স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে সংক্রমণ প্রবণ রাজ্যগুলিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কর্তারা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন রাজ্যগুলির সঙ্গে। ভাইরাসের মোকাবিলায় রাজ্যগুলিকে সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাসও দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। এই মুহূর্তে মহারাষ্ট্র নিয়ে সবচেয়ে চিন্তিত মোদি সরকার। চিন্তা বাড়াচ্ছে বাণিজ্য নগরী মুম্বাই।  

    আরও পড়ুন: মাথা চাড়া দিচ্ছে করোনা, মহারাষ্ট্রে ফের বাধ্যতামূলক মাস্ক!

    এছাড়াও রাজধানী দিল্লি, কেরল, কর্নাটকেও সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী। যদিও সংক্রমণের মোকাবিলা করতে আগেভাগেই তৈরি ভারত সরকার।   

     

  • COVID vaccine: কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন টিকাপ্রাপকেরা বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন কর্বেভ্যাক্স

    COVID vaccine: কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন টিকাপ্রাপকেরা বুস্টার ডোজ হিসেবে নিতে পারবেন কর্বেভ্যাক্স

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিশিল্ড (Covishield) অথবা কোভ্যাক্সিন (Covaxin) টিকাপ্রাপকদের বায়োলজিক্যাল ই-র তৈরি কর্বেভ্যাক্সের (Corbevax) বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে বলে জানাল, ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI)। কেন্দ্র নিযুক্ত বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত এই কমিটি জানিয়েছে, যে সব ১৮ ঊর্ধ্ব ইতিমধ্যেই কোভিশিল্ড অথবা কোভ্যাকসিনের দু’টি ডোজ নিয়েছেন, তাঁদের কর্বেভ্যাক্সের বুস্টার ডোজ দেওয়া যাবে।

    এ ব্যাপারে সম্প্রতি বৈঠকে বসেছিল এনটিএজিআই। সেখানেই বুস্টার ডোজ হিসেবে অন্য ভ্যাকসিন ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (DCGI) কর্বেভ্যাক্সকে ছাড়পত্র দিয়েছিল গত ৪ জুন। ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সিদের বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করার অনুমোদন পেয়েছিল বায়োলজিক্যাল ই-র তৈরি ভারতের প্রথম আরবিডি প্রোটিন সাব-ইউনিট ভ্যাকসিন। বর্তমানে এই ভ্যাকসিন ১২-১৪ বছর বয়সিদের জন্য ব্যবহৃত হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: জানেন কি, কয়েকটি সহজ পদ্ধতি মেনেই আপনি হারাতে পারেন ফুসফুসের ক্যান্সারকে?

    ভিন্নধর্মী বুস্টার (Heterologous Booster) হিসেবে আগেই ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (DCGI) এর অনুমোদন পেয়েছিল বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেডের (Biological E Ltd) তৈরি কোভিড টিকা কর্বেভ্যাক্স (Corbevax)। কর্বেভ্যাক্সই ভারতের প্রথম কোভিড টিকা, যা ভিন্নধর্মী বুস্টার ডোজ হিসেবে অনুমোদন পেল। টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার ছয় মাস পরে কর্বেভ্যাক্স বুস্টার নেওয়া যেতে পারে। কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন (Covaxin)-র সম্পূর্ণভাবে টিকা পাওয়া প্রাপ্তবয়স্করা তাদের তৃতীয় বা বুস্টার ডোজ হিসেবে কর্বেভ্যাক্স নিতে পারেন।

    এনটিএজিআইয়ের এক আধিকারিকের মতে, বিশেষজ্ঞরা ছাড়পত্র দিয়েছে। এখন যদি কেন্দ্র কোভিশিল্ড অথবা কোভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ হিসেবে কর্বেভ্যাক্সকে ব্যবহার করার অনুমতি দেয় তাহলে টিকাকরণ নয়া দিশা পাবে। উল্লেখ্য, ১৮-৫৯ বছর বয়সিদের বিনামূল্যে সতর্কতামূলক কোভিড টিকার ডোজ (বুস্টার ডোজ) দেওয়া শুরু হয়েছে দেশ জুড়ে। ১৫ জুলাই থেকে পরবর্তী ৭৫ দিন কোভিডের বুস্টার ডোজ পাওয়া যাবে বিনামূল্যে। স্বাধীনতার ৭৫তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজাদি কী অমৃত মহোৎসব কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৭৫ দিন ধরে চলবে এই বিনামূল্যের বুস্টার ডোজ টিকাকরণ।

  • Covid-19 India Update: দৈনিক আক্রান্ত ১২ হাজারের গণ্ডি পেরলো, চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?

    Covid-19 India Update: দৈনিক আক্রান্ত ১২ হাজারের গণ্ডি পেরলো, চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশে ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা (Coronavirus)। লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস! ফেব্রুয়ারি মাসের পর এই প্রথমবার দেশের দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ১২ হাজারের গণ্ডি পেরিয়ে গেল। নতুন করে দেশের প্রায় সব প্রান্তেই ছড়াচ্ছে সংক্রমণ। বিশেষ করে মুম্বাই, দিল্লির মতো শহরে আক্রান্ত বাড়ছে হু হু করে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পজিটিভিটি রেট। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বিশেষজ্ঞদের কপালে ভাঁজ বাড়াচ্ছে।

    [tw]


    [/tw]

    বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় (Covid 19) আক্রান্ত হয়েছেন ১২ হাজার ২১৩ জন। যা গত প্রায় চারমাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর মধ্যে শুধু মুম্বাইয়েই আক্রান্তের সংখ্যা ২২৯৩। মহারাষ্ট্রজুড়ে আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজারের বেশি। শুধু মুম্বাই নয়, আরেক জনবহুল শহর দিল্লির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। রাজধানীতে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৩৭৫ জন।       

    তামিলনাড়ুতে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৭৬। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২৩০ জন। তেলেঙ্গানায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২০৫ জন। গুজরাতে একদিনে আক্রান্ত ১৮৪ জন।  

    আরও পড়ুন: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ

    বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫৮ হাজার ২১৫ জন। গতকালের থেকে ৪ হাজার ৫৭৮ বেশি। দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ০.১৩  শতাংশে পৌঁছে গিয়েছে। দৈনিক পজিটিভিটি রেট ২.৩৫ শতাংশের কাছাকাছি। একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮০৩ জন।  

    আরও পড়ুন: ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন

    এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭১২ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭ হাজার ৬২৪ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৬৫ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ১৯৫ কোটি ৬৭ লক্ষের বেশি টিকা (Corona Vaccine) দেওয়া হয়েছে। গতকাল টিকা পেয়েছেন ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ।     

     

LinkedIn
Share