Tag: Covid 19

Covid 19

  • Covid-19 Symptoms: আপনি কি কোভিডে আক্রান্ত? জানা যাবে হাতের নখ দেখেই!

    Covid-19 Symptoms: আপনি কি কোভিডে আক্রান্ত? জানা যাবে হাতের নখ দেখেই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  করোনা (Coronavirus) আতঙ্ক এখনও পুরোপুরিভাবে কেটে উঠতে পারেনি বিশ্বব্যাপী মানুষ। ইতিমধ্যেই ভারতের বিভিন্ন জায়গায় করোনা রোগীদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এতদিনে করোনার বিভিন্ন প্রজাতি (covid variant) আসার সঙ্গে সঙ্গে কোভিডের লক্ষণেও অনেক পরিবর্তন দেখা গিয়েছে। আগে কোভিড (Covid-19) হলে সাধারণ উপসর্গ ছিল সর্দি-কাশি, জ্বর, স্বাদ ও ঘ্রাণশক্তি চলে যাওয়া ইত্যাদি। কিন্তু এখন নতুন রিপোর্টে কোভিডের নতুন লক্ষণ সম্পর্কে বলা হয়েছে যে, এখন কোনও ব্যক্তি কোভিডে আক্রান্ত কিনা তা বোঝা যাবে হাতের নখ দেখেই।

    সম্প্রতি একটি উপসর্গের কথা তুলে ধরছেন বিশেষজ্ঞরা। তা হলো হাতের আঙুলের নখের কিছু পরিবর্তন। কিছু ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, নখের আকার ও রঙ বদলে যাচ্ছে, আবার নখের উপরে একটি রেখা ফুটে উঠছে। সেই উপসর্গ দেখা দিলেই বোঝা যাচ্ছে যে ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত। ইতিমধ্যেই এই ধরনের উপসর্গ অনেকের শরীরেই দেখা দিয়েছে। যা থেকে চিকিৎসকরা দ্রুত বুঝতে পারছেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ব্যক্তিটি। এই লক্ষণকে চিকিৎসার ভাষায় বলা হচ্ছে কোভিড নেইল (Covid Nail)। এতে দেখা যাচ্ছে, কারো ক্ষেত্রে লাল রঙের অর্ধেক চাঁদের মতো দাগ দেখা যাচ্ছে। বাকি অংশ সাদা হয়ে রয়েছে। হঠাৎই এমন পরিবর্তন দেখা দিলে কোভিড পরীক্ষা করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। নখের লাল অংশ গাঢ় হওয়ার অর্থ আপনার শরীরের ভাইরাসের পরিমাণ ক্রমশ বাড়ছে।

    আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী করোনারগ্রাফ, দেশজুড়ে ১৯৫ কোটি টিকাকরণ

    কোভিডে আক্রান্ত হলে কী কী পরিবর্তন দেখা যাবে নখে?

    • হাত-পায়ের নখে দাগ।
    • হাতের নখে সাদা দাগ।
    • নখের কিছু অংশ কমলা রঙ হয়ে যাওয়া।
    • হাতে ও পায়ে জ্বালা।
    • নখ আলগা হয়ে যাওয়া।

    তবে কোভিড রোগীদের মধ্যে নখে লাল রঙের অর্ধেক চাঁদের মতো দাগ এই উপসর্গই বেশি দেখা গিয়েছে। যদিও এই বিশেষ লক্ষণের কোনও কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। যদিও মনে করা হচ্ছে, ইনফেকশনের ফলে রক্তের শিরা-ধমনী নষ্ট হয়েও নখের এমন অবস্থা হতে পারে। সুতরাং যেহেতু কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের এমন নখ প্রায়ই দেখা যাচ্ছে, তার জন্য এইদিকে বিশেষ নজর রাখা দরকার। নখের মধ্যে এসব উপসর্গ দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে করোনা পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কারণ চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের উপসর্গ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে থাকে।

    আরও পড়ুন: কেরলে আক্রান্ত ২, করোনা-মাঙ্কিপক্সের পর নয়া আতঙ্ক নোরোভাইরাস?

  • Covid-19 Maharashtra: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই?

    Covid-19 Maharashtra: জরুরী বৈঠকের ডাক উদ্ধব ঠাকরের, ফের লকডাউনের পথে মুম্বাই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠছে করোনা (Covid-19)। মুম্বাইয়ে (Mumbai) একদিনে আক্রান্ত ৭৩৯ জন। ৪ ফেব্রুয়ারির পর থেকে এই প্রথম এত বেশি সংক্রমণ নথিভুক্ত হল। কোভিডের এই বাড়বাড়ন্তে ফের লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র সরকার। আশঙ্কায় ঘুম উড়েছে মুম্বাইবাসীর। এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে কোভিড টাস্ক ফোর্সের বৈঠকের ডাক দিলেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। যাতে লকডাউনের সম্ভাবনা আরও জোরালো হল। 

    মঙ্গলবার মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন ৫০৬ জন। বুধবারে আক্রান্তের সংখ্যা ৭৩৯ জন। একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ল ২৩৩। এই নিয়ে পরপর দু’দিন মুম্বাইয়ের কোভিড সংক্রমণ ছিল ৫০০-র উপরে। বিষয়টিতে রীতিমতো উদ্বিগ্ন প্রশাসন। 

    বিশেষজ্ঞদের মতে, মাস্ক পরায় অনীহা এবং কোভিড বিধিনিষেধ মেনে না চলা এই সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের একটা বড় কারণ হতে পারে। এই মুহূর্তে স্বপ্ননগরীতে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৩০০০। বহুদিন পরে প্রায় ১০০ জন কোভিডের কারণে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। টানা চার মাস এই দৃশ্য দেখেনি শহর।

    আরও পড়ুন: একবারও ছুঁতে পারেনি করোনা? অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা নাকি নিপাট বিজ্ঞান?

    আরও চিন্তার খবর, বুধবারই ধারাভি বস্তিতে ১০ জনের আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। এই মুহূর্তে সেই বস্তিতে ৩৭ টি অ্যাক্টিভ কেস রয়েছে। এই অবধি মুম্বাইয়ে মোট ১০,৬৬,৫৪১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ১৯,৫৬৬ জনের। গত ২৪ ঘণ্টার কোনও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। 

    মুম্বাইয়ে এই মুহূর্তে করোনায় সুস্থতার হার ৯৮%। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২৯৫ জন। এযাবৎ ১০,৪৪,০০৫ জন করোনা থেকে সেরে উঠেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮,৭৯২ জনের টেস্ট করানো হয়েছে।

    আরও পড়ুন: ১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির জন্যে উপলব্ধ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক   

    আকস্মিক কোভিডের এই বাড়বাড়ন্তে স্বাভাবিক ভাবেই উদ্বিগ্ন বৃহন্মুম্বাই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন (BMC) কর্তারা। কোভিডের মোকাবিলায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় টিকাকরণের নির্দেশ জারি করেছে বিএমসি। বুধবার সংবাদমাধ্যমে বিমএসি জানিয়েছে, শহরে কোভিডের দৈনিক সংক্রমণ হার বেড়েছে ৬ শতাংশ। মহারাষ্ট্রের স্বাস্থ্য দফতরের হিসাব অনুযায়ী,  চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৫৩৬। তবে গত ২৪ ঘণ্টায় তা ৭০০-র ঘর ছাড়িয়েছে।

    সংক্রমণ রুখতে কোভিড টেস্টের সংখ্যা বাড়াতে উদ্যোগী হয়েছে বিএমসি এবং রাজ্য প্রশাসন। পাশাপাশি, মুম্বইয়ের হাসপাতালগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে প্রস্তুত থাকারও নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তাঁদের আশঙ্কা, ‘‘বর্ষা প্রায় আসন্ন। এর মধ্যেই আক্রান্তের সংখ্যা অত্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। উপসর্গ আছে এমন রোগীদের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়তে পারে।’’    

    কোভিডের সংখ্যায় রাশ টানতে ১২-১৮ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়ার কর্মসূচিতে গতি আনতে চায় মহারাষ্ট্র। পাশাপাশি, বয়স্কদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার জন্য তৎপর হয়েছে সরকার।       

    হাসপাতালগুলিকে ইতিমধ্যেই সমস্ত ব্যবস্থা নিয়ে সজাগ থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সগুলিকেও সক্রিয় থাকার নির্দেশ দিয়েছে সে রাজ্যের সরকার। 

    গত সপ্তাহেই মুম্বাইয়ের গার্ডিয়ান মিনিস্টার আসলাম শেখ বলেছিলেন, কোভিডের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে আবার লকডাউনের পথে হাঁটতে পারে মহারাষ্ট্র সরকার। আসলাম বলেন, “যেভাবে ব্যপকহারে কোভিডের সংক্রমণ বাড়ছে আবার জনগণের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে হতে পারে। প্লেনে যাতায়াতে এখনও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। বাড়বাড়ন্ত হলে আরও নিষেধাজ্ঞা চাপাতে হতে পারে।” 

     

  • India Covid Deaths: ভারতে করোনার বলি ৪৭ লক্ষ মানুষ, অনুমান হু-র, ‘তথ্যের ভিত্তি কী?’ পাল্টা কেন্দ্র

    India Covid Deaths: ভারতে করোনার বলি ৪৭ লক্ষ মানুষ, অনুমান হু-র, ‘তথ্যের ভিত্তি কী?’ পাল্টা কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে (India) করোনা অতিমারীতে (Corona pandemic) প্রায় ৪৭ লক্ষ মানুষের মৃত্যু (covid deaths) হয়েছে। এমনটাই অনুমান করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারণা, অনেক দেশই করোনায় (Covid-19) মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা প্রকাশ করেনি। বিশ্বে মাত্র ৫৪ লক্ষ মানুষের মৃত্যুর রিপোর্ট এসেছে। কিন্তু আদতে সেই সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি বলে আশঙ্কা করছে ‘হু’।    

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, সরকারি হিসেবের চেয়ে মৃত্যুর সঠিক সংখ্যা ১০ গুণ বেশি। করোনায় মৃত্যুর তালিকায় বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। সম্প্রতি রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (Registrar General of India) তাদের রিপোর্টে করোনায় ৫ লক্ষ দেশবাসীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। আর সেই রিপোর্টেরই বিরোধীতা করছে হু- এর দেওয়া সংখ্যাতত্ত্ব।    

    সরাসরি কোভিডের কারণে মৃত্যু না হলেও, এর প্রভাবে হাসপাতালে যেতে না পেরে যেসব মানুষের মৃত্যু হয়েছে সেসব মৃত্যুও এই গণনায় অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, অতিরিক্ত ৯৫ লক্ষ মৃত্যুর মধ্যে ৫৪ লক্ষের বেশি মৃত্যু হয়েছে সরাসরি ভাইরাসের প্রভাবেই। 
     
    দেশে করোনভাইরাস-সম্পর্কিত মৃত্যুর বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশিত পরিসংখ্যানের তীব্র বিরোধিতা করেছে ভারত। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে যে ভারতে ১ জানুয়ারি, ২০২০ থেকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ এর মধ্যে ৪৭ লক্ষ অতিরিক্ত মৃত্যু কোভিডের কারণে হয়েছে। কিন্তু ভারত সরকার সেই পরিসংখ্যানকে স্বীকৃতি দেয়নি!  
      
    কেন্দ্রের (Central Government) পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, এই কোভিড মৃত্যুর সংখ্যা নির্ধারণে যে মডেলিং অনুশীলন প্রক্রিয়া (World Health Organisation on excess mortality estimates) ব্যবহার করা হয়েছে তার পদ্ধতি এবং ফলাফলের প্রতি ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও এই তথ্য প্রকাশ করেছে হু৷ এমনকি পুরো প্রক্রিয়াতে ভারতের তরফে তোলা প্রশ্নের সমাধান না করেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অতিরিক্ত মৃত্যুর অনুমান প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছে দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare)। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার জেনারেলের (Registrar General of India) সহযোগিতায় সিভিল রেজিস্ট্রেশন সিস্টেম-এর মাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যের বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে আগেই জানানো হয়েছিল।

    কেন্দ্র সরকার, হু-কে স্পষ্ট জানিয়েছে ভারতে (India) জন্ম ও মৃত্যুর তথ্য অত্যন্ত পরিকল্পিত এবং বিধিবদ্ধভাবে সংগ্রহ করা হয়। তাই সেই ব্যবস্থায় ভুলের সুযোগ কম। ভারত সরকারের মতে, ৩ মে পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯- এ মৃত্যুর সংখ্যা ৫২২৭৬৭। 

  • Covid 19 Vaccine: ১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির জন্যে উপলব্ধ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক 

    Covid 19 Vaccine: ১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির জন্যে উপলব্ধ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্কঃ প্রায় ১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকার (Unused Covid 19 Vaccine) ডোজ রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির জন্যে উপলব্ধ করা হল। এমনটাই জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Ministry of Health and Family Welfare)। মন্ত্রক একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, “১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির ব্যবহারের জন্যে উপলবদ্ধ করা হয়েছে।” স্বাস্থ্য মন্ত্রক আরও জানিয়েছে, এই অবধি কেন্দ্রের বিভিন্ন মাধ্যম মারফৎ রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলিকে ১৯৩.৫৩ কোটিরও বেশি টিকা বিনামূল্যে সরবরাহ করা হয়েছে। 

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রেস রিলিজে বলা হয়েছে, “এতদিন দেশব্যাপী টিকাদান অভিযানের (Vaccination Drive) অংশ হিসাবে, ভারত সরকারের তরফ থেকে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত  অঞ্চলগুলিকে বিনামূল্যে কোভিড ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হয়েছে।” করোনা টিকাকরণ অভিযানের  সর্বজনীনীকরণের নতুন পর্যায়ে, কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি দেশের  ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারকদের দ্বারা উৎপাদিত ভ্যাকসিনের ৭৫ শতাংশ বিনামূল্যে সংগ্রহ করতে পারবে।

    গত ১৬ মার্চ থেকে ১২-১৪ বছর বয়সীদের টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। ৩.০৬ কোটি কিশোর-কিশোরীকে টিকার প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে। 

    দেশে আবারও বাড়ছে করোনা সংক্রমণ! চতুর্থ ওয়েভের আশঙ্কার কথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা! এই অবস্থায় করোনার তৃতীয় বুস্টার ডোজের উপর জোর দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক জানিয়েছে যে, দেশে রাজ্য ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির কাছে ১৯.৯০ কোটিরও বেশি অব্যবহৃত করোনা টিকার ডোজ মজুত রয়েছে৷   

    ১৬ জানুয়ারি ২০২১ এ দেশব্যাপি করোনা টিকা দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছিল৷ যদিও প্রথমে কোভিড যোদ্ধাদেরই করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছিল৷ পরে ২১ জুন ২০২১ থেকে সবার জন্য করোনা টিকা চালু হয়৷ পরবর্তীতে ভ্যাকসিনের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায়, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ভ্যাকসিনের প্রয়োজনীয়তার অগ্রিম পরিমাপ করে ভ্যাকসিন সরবরাহ করে কেন্দ্র৷ কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে দেশে সফলভাবে কোভিডকালীন টিকা সরবরাহ করা হয়েছে৷ যার মাধ্যমে দেশে টিকাকরণ অভিযানকে ত্বরান্বিত করা গিয়েছে।   
     

  • Asian Games 2022: চিনে ফের মাথা চাড়া দিয়েছে করোনা, স্থগিত হয়ে গেল ১৯তম এশিয়ান গেমস

    Asian Games 2022: চিনে ফের মাথা চাড়া দিয়েছে করোনা, স্থগিত হয়ে গেল ১৯তম এশিয়ান গেমস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে (China) করোনার (Covid-19) বাড়বাড়ন্তে স্থগিত হয়ে গেল এশিয়ান গেমস (2022 Asian Games)। চলতি বছরেই ১০ ​​থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর ১৯তম এশিয়ান গেমসের আসর বসার কথা ছিল চিনের হাংজুতে (Hangzhou)। এএফপি-র রিপোর্ট অনুযায়ী, করোনার প্রকোপে সে প্রতিযোগিতায় স্থগিতাদেশ দিল অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া (Olympic Council of Asia)।    
     
    [tw]


    [/tw]

    চিনের সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত । তাসখন্দে সংস্থার এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গেমসের আয়োজন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত রাখার কথা জানানো হয়েছে হাংজু প্রশাসনের তরফেও।

    [tw]


    [/tw]

    একটি আন্তর্জাতিক প্রতিবেদন অনুসারে, অলিম্পিক কাউন্সিল অফ এশিয়া শুক্রবার জানিয়েছে, চিনের হাংজুতে ১৯তম এশিয়ান গেমস অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। তা স্থগিত করা হবে। কতদিনের জন্যে স্থগিত করা হয়েছে প্রতিযোগিতাটি সে বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।  

    করোনার প্রকোপে এশিয়ান গেমস বাতিল হতে পারে এমন জল্পনা বেশ কিছুদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। চিনে করোনা সংক্রমণ ফের ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে মৃত্যুও হয়েছে বেশ কিছু মানুষের। পরিস্থিতি সামাল দিতে সে দেশের একাধিক শহরে লকডাউন করতে হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে চিনে গিয়ে এশিয়ান গেমসে অংশগ্রহণ করা নিয়ে কিছু দেশ আপত্তি জানিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত অনির্দিষ্টকালের জন্য গেমস স্থগিত হওয়ায় স্বস্তি পেলেন অনেকেই।
      

  • Register General of India: কোভিডের বলি পাঁচ লক্ষাধিক দেশবাসী, বলছে সরকারি রিপোর্ট  

    Register General of India: কোভিডের বলি পাঁচ লক্ষাধিক দেশবাসী, বলছে সরকারি রিপোর্ট  

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেজিস্ট্রার জেনারেল অফ ইন্ডিয়ার (Register General of India) দেওয়া  তথ্য অনুসারে, ২০২০ সালে ভারতে ৮১.২ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯- এ সেই সংখ্যা ছিল ৭৬.৪ লক্ষ, অর্থাৎ ৬.২% কম।  
     
    ২০২০ সালে কোভিডের (Covid 19) কারণে প্রাণ হারিয়েছেন ১.৪৮ লক্ষ মানুষ। পরের বছর সেই সংখ্যাকেও ছাপিয়ে মহামারির প্রকোপে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৩.৩২ লক্ষ মানুষের।  

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুসারে ২০২০ থেকে এই মারণ রোগে প্রাণ হারিয়েছেন মোট ৫,২৩,৮৮৯ জন। মহারাষ্ট্র, হরিয়ানা, বিহার, গুজরাত, পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্ণাটকের মতো কিছু রাজ্যে ২০১৯ এবং ২০২০ সালের মধ্যে মৃত্যুর সংখ্যায় ব্যবধান ছিল সবথেকে বেশি।  সরকারি আধিকারিকদের মতে, এই রাজ্যগুলিতে করোনার কারণেই এই বাড়তি মৃত্যুগুলি হয়েছে।   

    ২০২০ সালে জন্মের নিবন্ধীকরণের সংখ্যাও, বিহার, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, সিকিম, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ, জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ ছাড়া প্রায় সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই হ্রাস পেয়েছে। তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ এর তুলনায় ২০২০ সালে জন্ম নিবন্ধীকরণ সংখ্যা ২.৪% হ্রাস পেয়েছে।   

    ১১ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মৃত্যুর ২১ দিনের প্রদত্ত সময়সীমার মধ্যে ৯০%- এর বেশি নিবন্ধীকরণ হয়েছে। সাতটি রাজ্যে সেই সংখ্যা ৮০%- এর কিছু বেশি কিন্তু ৯০%- এর সমান বা কম, সাতটি রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%-৮০%। বাকি নয় রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%- এর নীচে।     

    ১৫ টি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে জন্মের ২১ দিনের প্রদত্ত সময়সীমায় জন্ম নিবন্ধীকরণের সংখ্যা ৯০% -এর বেশি।  আরও দুটি রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সেই সংখ্যা ৮০%- এর বেশি কিন্তু ৯০%- এর কম বা সমান। ৯ রাজ্যে সেই সংখ্যা ৫০%- এর বেশি কিন্তু ৮০%- এর সমান বা কম। বাকি সাত রাজ্যে প্রদত্ত সময়সীমা, জন্মের ২১ দিনের মধ্যে নিবন্ধীকরণের সংখ্যা ৫০%- এরও কম।   

  • Covid 19: করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া নয়, জানাল হু

    Covid 19: করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়া নয়, জানাল হু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনায় (Corona) আক্রান্ত হওয়া মানেই করোনার বিরুদ্ধে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হবে, এমনটা নাও হতে পারে, জানাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওরফে হু (WHO)। হু-এর বিজ্ঞানী ডেভিড নোবারোর (David Nabarro) মতে বার বার করোনায় আক্রান্ত হলে, পরবর্তীতে দীর্ঘ সময়ের জন্যে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।

    নোবারো বলেন, “করোনায় আক্রান্ত হলেই, পরবর্তী সংক্রমণে আপনি সুরক্ষিত এটা ভাবার কোনও কারণ নেই। কারণ করোনা বার বার এর প্রকৃতি বদলাচ্ছে। তাই আগে থেকে তৈরি হওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা করোনার নতুন ভেরিয়েন্টকে আটকাতে পারবে না।”

    আরও পড়ুন: দেশের করোনাগ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী, নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে বাংলা-তামিলনাড়ু

    তিনি আরও বলে, “যতবার আপনার কোভিড হবে ততবার শরীরের ক্ষতি হবে এবং দীর্ঘমেয়াদী কোভিড হওয়ার আশঙ্কাও বেশি থাকবে। তাই করোনা যত কম হবে ততই মঙ্গল।” চার সপ্তাহের বেশি সময় ধরে করোনার লক্ষণ যদি শরীরে থাকে, তাহলে তাকে দীর্ঘমেয়াদী করোনা ধরা যায়। এই সংক্রমণের রেশ কয়েক মাস থেকে এক বছরও থাকতে পারে।

    আরও পড়ুন: সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এক লক্ষ পার, ফের ভয় ধরাচ্ছে করোনা!

    কিছুদিন আগে ডেভিড বলেছিলেন, করোনা আস্তে আস্তে এর তেজ হারাচ্ছে। এতে প্রাণনাশের আশঙ্কা আর নেই। তিনি এবার জানান, ভাইরাস আবার এর প্রকৃতি বদলাচ্ছে। তাই করোনার ভয় এখনই কাটছে না।

    তিনি আরও জানান, যারা টিকা নিচ্ছেন না তাঁদের আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা বেশি। এই মুহূর্তে করোনার বিএ৪ এবং বিএ৫- ভেরিয়েন্ট বিশ্বজুড়ে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। নোবারো আরও বলেন, মানুষকে অনেক বেশি সতর্ক হতে হবে। টিকাই এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়। 

    দিন দিন ঊর্ধ্বমুখী দেশের করোনা গ্রাফ (Corona Graph)। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও কিছুটা বাড়ল সংক্রমণ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭ হাজার ৯২ জন। গতকাল এই সংখ্যাটা ছিল ১৭ হাজার ৭০ জন।

    এর পাশাপাশি বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের (Health Ministry) বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। আগের দিনে এই সংখ্যাটা ছিল ২৩ জন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনামুক্ত হয়েছেন ১৪ হাজার ৬৮৪ জন। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৯ হাজার ৫৬৮ জন। দৈনিক পজিটিভিটির হার ৪.১৪ শতাংশ।

  • Covid 19: একবারও ছুঁতে পারেনি করোনা? অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা নাকি নিপাট বিজ্ঞান? 

    Covid 19: একবারও ছুঁতে পারেনি করোনা? অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা নাকি নিপাট বিজ্ঞান? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Coronavirus) অতিমারীর  করালগ্রাসে যখন গোটা বিশ্ব হাসফাঁস করছে, যাচ্ছে একের পর এক প্রাণ, তখনও কিছু এমন মানুষকে আমরা সবাই চিনি যাঁদের করোনা স্পর্শ করতে পারেনি। অনেকেই তাঁদের ভাগ্যকে হিংসে করেছেন। অনেকেরই মনে হয়েছে তাঁদের কী কোনও অতিপ্রাকৃতিক ক্ষমতা আছে? যখন ভাইরাসের বাড়বাড়ন্ত তখনও কী উপায়ে তারা মারণরোগের হাত থেকে পার পেয়ে গেলেন? 

    ব্রিটেনের ৬০% মানুষই এই রোগে একবার না একবার আক্রান্ত হয়েছিলেন। সূত্র মতে আসলে সেই সংখ্যা আরও বেশি। কিন্তু তা সত্বেও  এমন অনেকেই আছেন যাঁদের কোভিড ১৯ (Covid-19) ছুঁতে পর্যন্ত পারেনি। এর কারণ কী? 

    অতিপ্রাকৃতিক শক্তি থাকার সম্ভাবনাকে প্রথমেই উড়িয়ে দেওয়া উচিত। এই ব্যক্তিদের সুস্থতার পেছনে দুটি বিষয় ছিল। বিজ্ঞান এবং ভাগ্য। প্রথম সম্ভাবনা হল, এনারা কখনও ভাইরাসের সংস্পর্শে আসননি। এটা একপ্রকার তাঁদের ভাগ্যই বলা যায়। আবার অনেকেই নিজেকে সুরক্ষিত রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন। মহামারীকে আটকানোর সমস্ত সাবধানতা অবলম্বন করেছেন।  

    আরও পড়ুনঃ ১৮.১৫ কোটি অব্যবহৃত টিকা রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলির জন্যে উপলব্ধ করল স্বাস্থ্য মন্ত্রক

    গবেষণায় জানা গিয়েছে, টিকা শুধু যে কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা কমায় তাই না, টিকা নেওয়ার ফলে সংক্রমণের ভয়ও অনেকটা কমে যায়। 
     
    বিশেষজ্ঞদের মতে অনেকের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা (immunity) বেশি হওয়ায় বা জিনগত কারণেও তাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। 

    বয়স এবং জিনের ধরনের ওপর অনেকটাই নির্ভর করে, কে আক্রান্ত হবেন, আর কে আক্রান্ত হবেন না। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কমিয়ে দেয়। আমরা জানি, শরীরে ভিটামিন ডি-এর অভাব হলে এইরোগ খুব সহজেই আক্রমণ করতে পারে। ঘুম কম হওয়াও এই ক্ষেত্রে আক্রান্ত হওয়ার বড় কারণ। 

    রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কতক্ষণ স্থায়ী হবে তা নিয়ে চিন্তিত বিশেষজ্ঞরা। কারণ দেখা গিয়েছে যাঁরা করোনার প্রথম ঢেউ থেকে নিষ্কৃতি পেয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ থেকে পরিত্রাণ পাননি। 

    তাই আপনি যদি মনে করেন আপনার পাশের মানুষটি কেন বারবার নিষ্কৃতি পেয়ে যাচ্ছেন এই রোগ থেকে, সত্যিই কি কোনও অতিপ্রাকৃতিক শক্তি আছে তাঁর? তাহলে জেনে রাখুন ‘রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা’ নামক একটি শক্তি সত্যিই তাঁর আছে। অথবা কোভিডের বিরুদ্ধে বরাবর সমস্তরকম সাবধানতা অবলম্বন করে এসেছেন তিনি।  

     

  • Covid Update: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ 

    Covid Update: করোনার ঊর্ধ্বগতি, ৯ হাজারের গণ্ডি ছোঁয়ার পথে দেশের দৈনিক সংক্রমণ 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাড়ল করোনায় (Coronavirus) দৈনিক সংক্রমণ। ৯ হাজারের গণ্ডি পেরনো আর পলকের অপেক্ষা। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে কোভিডে (Covid-19) আক্রান্ত হয়েছেন ৮,৮২২ জন। গতকাল সেই সংখ্যা ছিল ৬ হাজারের কিছুটা বেশি। একদিনে কিছুটা কমেছিল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। কিন্তু ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা গ্রাফ। এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৫৩,৬৩৭। দৈনিক পজিটিভিটি রেট বেড়েছে ২ শতংশ। সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ বাড়াচ্ছে দৈনিক সংক্রমণ। 

    আরও পড়ুন: ২ বছর পর ভারতীয়দের জন্য কোভিড ভিসা নিষেধাজ্ঞা তুলল চিন

    সংক্রমণ সবচেয়ে দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রে (Maharashtra)। ইতিমধ্যেই চার রাজ্যে সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তালিকায় মহারাষ্ট্র, কেরল, কর্নাটক এবং দিল্লি। মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। মুম্বাইয়ে বেশ কয়েকজনের ওমিক্রনে আক্রান্ত হওয়ার খবর সামনে এসেছে। মুম্বাইয়ের বাইরেও সংক্রমণ ছড়াচ্ছে ওমিক্রন। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৯৫৬ জন। মারা গিয়েছেন ৪ জন। এই মুহূর্তে মুম্বাইয়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১৮০০০।       

    মহারাষ্ট্রের পাশাপাশি করোনা দ্রুত গতিতে ছড়াচ্ছে কেরল এবং কর্নাটকে। এদিকে নোরোভাইরাসের (Norovirus) সংক্রমণও দেখা দিয়েছে কেরলে। দক্ষিণী এই রাজ্যকে সব রকমের স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র। কর্নাটক সরকারকেও সতর্ক করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। 

    আরও পড়ুন: আপনি কি কোভিডে আক্রান্ত? জানা যাবে হাতের নখ দেখেই!

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী সোমবারই সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করে পরীক্ষা এবং নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। ইতিমধ্যেই একাধিক রাজ্য নতুন করে করোনা বিধিতে (Covid guidelines) কড়াকড়ি করেছে। মাস্ক পরা নিয়েও বিধি নিষেধ আরোপ করা হয়েছে ফ্লাইটে। করোনার টিকাকরণেও (Corona vaccination) জোর দিয়েছে কেন্দ্র। বিশেষ করে বুস্টার ডোজের (Booster dose) টিকাকরণে জোর দেওয়া হয়েছে। জুন মাসেই করোনার চতুর্থ ঢেউ (Fourth wave) আছড়ে পড়তে পারে, এমনটা আগেই আশঙ্কা করেছিলেন গবেষকরা। দেশের দৈনিক সংক্রমণ বৃদ্ধি সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। 

  • What is AYUSH visa: আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করাতে চাইলে বিদেশিদের দেওয়া হবে সুযোগ, ভারত চালু করবে আয়ুষ ভিসা

    What is AYUSH visa: আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করাতে চাইলে বিদেশিদের দেওয়া হবে সুযোগ, ভারত চালু করবে আয়ুষ ভিসা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আয়ুর্বেদ শাস্ত্র ভারতের ঐতিহ্য। আয়ুর্বেদ চিকিৎসার গুরুত্ব অপরিসীম। বিভিন্ন জটিল এবং দুরারোগ্য অসুখেও আয়ুর্বেদ কাজ করে। ভারতে এসে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা করাতে চাইলে এবার থেকে বিদেশিরা বিশেষ সুযোগ পাবেন। এ ক্ষেত্রে নতুন ভিসা দেওয়ার কথা ভাবছে কেন্দ্র। খুব শীঘ্রই ভারত চালু করতে চলেছে আয়ুষ ভিসা। সম্প্রতি গান্ধীনগরে তিন দিনের জন্য চলা গ্লোবাল আয়ুষ ইনভেস্টমেন্ট এবং ইনোভেসন সামিট (Global AYUSH Investment and Innovation Summit)-এর উদ্বোধন করতে এসে এই কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন,”নতুন এই ভিসার বিষয়ে এগোচ্ছে ভারত।” ভারতের প্রাচীন আয়ুর্বেদ চিকিৎসাকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরার জন্য এটি একটি অভিনব প্রচেষ্টা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

    AYUSH কাকে বলা হয়?
    ভারতের প্রাচীন পাঁচটি চিকিৎসা পদ্ধতিকে একসঙ্গে আয়ুষ বলা হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৬টি শাস্ত্র। আয়ুর্বেদ,যোগাসন, নেচারোপ্যাথি, ইউনানি, সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি।

    প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে এই আয়ুষ নিয়ে দেশের তো বটেই বিদেশের মানুষের মধ্যেও আকর্ষণও অনেকখানি বেড়ে গিয়েছে। ফলে এই বিদ্যাচর্চার জন্য এবং এগুলির সাহায্য নিতে এখন বহু মানুষ ভারতে আসছেন। আর সেই কারণেই এই ভিসার কথা ভাবা হয়েছে সরকারের তরফে। কোভিড-কালে এই ধরনের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির গুরুত্ব আরও বেড়ে গিয়েছে বলে জানান মোদী। এই সময়ে ‘আয়ুষের কাড়হা’ এবং অন্যান্য অনুরূপ পণ্যগুলি মানুষকে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করেছে। দেশ থেকে হলুদ রপ্তানিও করা হয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রীর কথায়, প্রত্যেক বছর বহু মানুষ কেরলে যান এই ধরনের প্রাচীন চিকিৎসা পদ্ধতির সাহায্য নিতে। এগুলি ভারতের নিজস্ব বিদ্যা। এগুলিকে ঠিক করে পৃথিবীর সামনে তুলে ধরা গেলে দেশের উপকার হবে, সুনাম বাড়বে, বিদ্যাগুলি বহু মানুষের কাজে লাগবে এবং এগুলি নিয়ে ভবিষ্যতে চর্চা বাড়বে। এদিন তাঁর ভাষণে, প্রধানমন্ত্রী মোদী জানান, যে আয়ুষের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ এবং উদ্ভাবনের সম্ভাবনা সীমাহীন। তিনি আরও যোগ করেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই আয়ুষ ওষুধ, পুষ্টিপরিপূরক এবং প্রসাধনী উৎপাদনে একটি অভূতপূর্ব বৃদ্ধি প্রত্যক্ষ করছি। এবার আমরা একটি বিশেষ আয়ুষ হলমার্ক তৈরি করার পথে রয়েছি। এই হলমার্কটি ভারতে তৈরি সর্বোচ্চ মানের আয়ুষ পণ্যগুলিতে প্রয়োগ করা হবে।’ঔষধি গাছের চাষের সঙ্গে জড়িত কৃষকদের সহজেই বাজারের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার সুবিধা পাওয়া উচিত বলে মনে করেন মোদী। এর জন্য, সরকার আয়ুষ ই-মার্কেটপ্লেসের আধুনিকীকরণ এবং সম্প্রসারণের জন্যও কাজ করছে।

LinkedIn
Share