Tag: Covid 19

Covid 19

  • Covid 19 in India: ঊর্ধ্বমুখী করোনারগ্রাফ, দেশজুড়ে ১৯৫ কোটি টিকাকরণ

    Covid 19 in India: ঊর্ধ্বমুখী করোনারগ্রাফ, দেশজুড়ে ১৯৫ কোটি টিকাকরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  তৃতীয়  ঢেউয়ের পর করোনায় (Covid 19) সর্বোচ্চ সংক্রমণ দেখল ভারত। ফের বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ। একদিনে আক্রান্ত সাড়ে আট হাজার। গত কয়েকদিন ধরেই টানা বেড়ে চলেছে কোভিডের দৈনিক সংক্রমণের হার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৫৮২ জন। তার আগের দিন আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৩২৯। দেশে এখন সক্রিয় করোনারোগী (Active Covid Case) ৪৪ হাজার ৫১৩ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৪ জনের।    

    তার এক দিন আগে মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ১০।  এখনও পর্যন্ত দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৭৬১ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে কোআরও পড়ুন: দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনাগ্রাফ, চতুর্থ ঢেউয়ের পূর্বাভাস?ভিড সংক্রমণ মুক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৯১ জন। ভারতে এখন সুস্থ হওয়ার হার ৯৮.৬৬ শতাংশ। রবিবারের বুলেটিন অনুযায়ী দেশে এখন করোনা পজিটিভিটি রেট ২.৭১ শতাংশ।  

    আরও পড়ুন: আশঙ্কা বাড়াচ্ছে করোনা, রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে প্রস্তুত থাকার নির্দেশ কেন্দ্রের  

    করোনা সংক্রণ ঠেকাতে দেশজুড়ে জোরকদমে চলছে টিকাকরণ (Vaccination)। পাশাপাশি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতে এখন বুস্টার ডোজ(Booster Dose) দেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে। গবেষকদের দাবি, জুনেই ভারতে চতুর্থ ঢেউ আসতে পারে। ইতিমধ্যেই দেশজুড়ে মোট ১৯৫ কোটি ৭ লক্ষ ৮ হাজার ৫৪১ ডোজ টিকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ডোজ দেওয়া হয়েছে ৯১.৬৯ কোটি এবং দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে ৮৩.৩৭ কোটি। ১৮-৫৯ বছরের মধ্যে ৩.৫৪ কোটি জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে মোট ১৩,০৪,৪২৭ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে ৪৫,৩০০ জনকে প্রথম ডোজ এবং ৫.১১ লক্ষ জনকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮-৫৯ বছর বয়সীদের ১.৪৮ লক্ষ জনকে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। ৬০ বছরের ঊর্ধ্বে ১.৬৭ লক্ষ জনকে একদিনে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে।  

       

    রাজ্যভিত্তিক টিকাকরণের দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh)। সে রাজ্যে এযাবৎ মোট ৩৩.২৭ কোটি ডোজ দেওয়া হয়েছে। এরপরেই রয়েছে মহারাষ্ট্র। মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) মোট ১৬.৭৮ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে। তারপরে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। এরাজ্যে মোট ১৪.৭ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে।  

     

     

     

     

     

  • Covid 19 Booster Dose: বিদেশ ভ্রমণে গেলে সময়ের আগেই মিলবে বুস্টার ডোজ, সুপারিশ কেন্দ্রীয় কমিটির

    Covid 19 Booster Dose: বিদেশ ভ্রমণে গেলে সময়ের আগেই মিলবে বুস্টার ডোজ, সুপারিশ কেন্দ্রীয় কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যদি আপনি বিদেশ ভ্রমণ করেন, তাহলে আপনি কোভিডের দ্বিতীয় ডোজের পরবর্তী নির্দিষ্ট সময়সীমা ৯ মাসের আগেই বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। এই সপ্তাহের শুরুতে টিকা সংক্রান্ত জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গ্রুপের (NTAGI) বৈঠকে এমনই সুপারিশ করেছে কোভিড ১৯ (COVID-19) ওয়ার্কিং গ্রুপ । কিন্তু বাকিদের বুস্টার ডোজের ব্যবধান কমানোর বিষয়ে কোন সুপারিশ করা হয়নি।  

    বেশ কয়েকটি গবেষণায় দেখা গেছে যে প্রাথমিক এবং তৃতীয় টিকার মধ্যে ব্যবধান দীর্ঘ হলে মানুষের মধ্যে অর্জিত প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। IMA-এর সহ সভাপতি ডাঃ রাজীব জয়দেবনের বক্তব্য, “একটি ডোজ নেওয়ার অল্প দিনের মধ্যেই দ্বিতীয় বা তৃতীয় ডোজটি নিলে তাতে কোন লাভ হয় হয় না। ওই সময় আপনি এমনিতেই সুরক্ষিত।”

    দেশে বছরের শুরুতে, ১০ জানুয়ারি থেকে প্রথম সারির কর্মী, স্বাস্থ্য কর্মী এবং ৬০ বছরের বেশি বয়স্ক যারা কমোর্বিডিটিসে  আক্রান্তদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়েছে। পরবর্তীতে, ১৬ মার্চ থেকে ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয় । পরে ১০ এপ্রিল ১৮ বছরের উর্দ্ধে সকলকে বুস্টার ডোজ দেওয়ার অনুমতি দেয় কেন্দ্র সরকার।          

    এখন, যাদের বয়স ১৮ বছরের বেশি এবং দ্বিতীয় ডোজ গ্রহণের ৯ মাস পূর্ণ হয়েছে তারা বুস্টার ডোজ নিতে পারবেন। সরকারি  তথ্য অনুসারে, ১৮ বছরের বেশি বয়সীদের ভারত সরকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার অনুমতি দিলেও খুব কম সংখ্যক মানুষই টিকার তৃতীয় ডোজটি নিয়েছেন।  

     

  • Covid Update: করোনার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার

    Covid Update: করোনার ঊর্ধ্বগতি অব্যাহত, দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৩ হাজার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ক্রমাগত বেড়ে চলেছে করোনা (Covid 19) সংক্রমণ। দেশের দৈনিক করোনা সংক্রমণ ছুঁতে চলেছে ১৩ হাজারের গণ্ডি। রাজ্যগুলিকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। সংক্রমণের  নিরিখে সবচেয়ে এগিয়ে আছে মহারাষ্ট্র, দিল্লি, কেরল ও কর্নাটক। দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে। সংক্রমণ বেড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। সার্বিকভাবে গোটা দেশেই করোনার গ্রাফ (Corona Graph) ঊর্ধ্বমুখী।

    গত ২৪ ঘণ্টায় দেশজুড়ে ১২ হাজার ৮৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। গতকালের থেকে এই সংখ্যা সামান্য বেশি। দেশে এই অবধি মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪ কোটি ৩২ লক্ষ ৭০ হাজার ৫৭৭ জন।

    আরও পড়ুন: শরীরের এই জায়গায় ব্যথা হলেই সাবধান হয়ে যান, হতে পারে করোনা

    সবথেকে বেশি সংক্রমণ ছড়িয়েছে মহারাষ্ট্রে। শুধু মহারাষ্ট্রেই সংক্রমণ চার হাজারের বেশি। দিল্লির অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সংক্রমণ বেড়েছে কেরল ও কর্নাটকের মতো দক্ষিণের রাজ্যগুলিতেও। কেরলে একদিনে ৩ হাজার ৪১৯ জন আক্রান্ত হয়েছেন। দৈনিক সংক্রমণে তারপরেই রয়েছে দিল্লি। দিল্লিতে ১৩২৩ জন নতুন আক্রান্ত হয়েছেন। আর কর্নাটকে ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমিত হয়েছেন ৮৩৩ জন। পশ্চিমবঙ্গে একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ১৯৮ জন। 

    আরও পড়ুন: কোভিডের ডেল্টা, ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের উপর কার্যকর কোভ্যাক্সিন বুস্টার ডোজ!

    বর্তমানে দেশে সক্রিয় রোগী রয়েছেন ৬৩ হাজার ৬৩ জন। এই সংখ্যা দৈনিক বৃদ্ধি পাচ্ছে। একদিনে দেশে করোনায় সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বেড়েছে প্রায় পাঁচ হাজার। গতকালের থেকে আজ ৪ হাজার ৮৪৮ জন সক্রিয় রোগী বৃদ্ধি হয়েছে। একইসঙ্গে দেশের দৈনিক সংক্রমণের হার বেড়ে গিয়েছে আড়াই শতাংশের কাছাকাছি।   

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Ministry of Health and Social Welfare) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, করোনায় একদিনে মৃত্যু হয়েছে ১৪ জনের। এই অবধি দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৫ লক্ষ ২৪ হাজার ৮১৭ জন। করোনা থেকে একদিনে সেরে উঠেছে ৭ হাজার ৯৮৫ জন। এযাবৎ দেশে মোট করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ কোটি ২৬ লক্ষ ৮২ হাজার জন। সুস্থতার হার কমে দাঁড়িয়েছে ৯৮.৬৪ শতাংশ।

    করোনাকে রুখতে টিকাকরণেই বেশি জোর দিচ্ছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। এখন পর্যন্ত দেশে ১৯৫ কোটি ৮৪ লক্ষ ডোজের বেশি টিকা দেওয়া হয়েছে। গতকাল টিকা পেয়েছেন ১৫ লক্ষের বেশি মানুষ। 

     

  • Covid 19 Vaccine: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঠিক কতটা জরুরি বুস্টার ডোজ? 

    Covid 19 Vaccine: বাড়ছে করোনা সংক্রমণ, ঠিক কতটা জরুরি বুস্টার ডোজ? 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  দেশজুড়ে ফের ফণা তুলছে করোনা (Covid 19)। সংক্রমণে লাগাম টানতে টিকাকরণে (Vaccination) গতি এনেছে কেন্দ্র। জোড় দেওয়া হচ্ছে বুস্টার ডোজে (Booster Jab)। কোভিড টিকার তৃতীয় ডোজকে বুস্টার ডোজ বলা হয়। ভারতে একে পূর্ব সতর্কতা ডোজও বলা হয়ে থাকে। দ্বিতীয় টিকা নেওয়ার ৯ মাসের মাথায় দেওয়া হয় এই বুস্টার শট। 

    চলতি বছর ১০ এপ্রিল থেকে বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু করেছে কেন্দ্র সরকার। প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের সময় যে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই টিকারই বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়ে থাকে। অর্থাৎ কেউ যদি কোভিশিল্ডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নেন, তাহলে তিনি সেরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার টিকাই বুস্টার ডোজ হিসেবে পাবেন। ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে সবাই নিতে পারবেন এই বুস্টার ডোজ। 

    এপ্রিল মাসে প্রতি সপ্তাহে ১০-১৫ লক্ষ করে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। তারপর চাহিদা খানিকটা কমলেও, মে-র দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে করোনা সংক্রমণ ফের বাড়তে শুরু করলে আবার বুস্টার ডোজের ঘাটতি দেখা দিতে শুরু করে। মে মাসের শেষ সপ্তাহে ২১.০৮ লক্ষ বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: ঊর্ধ্বমুখী করোনারগ্রাফ, দেশজুড়ে ১৯৫ কোটি টিকাকরণ

    বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের দ্বিতীয় টিকার কারণে করোনার তৃতীয় ঢেউয়ের সাথে অনেকটাই লড়তে সক্ষম হয়েছে দেশ। কিন্তু এখন আবার সেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করেছে। তাই চতুর্থ ঢেউকে প্রতিহত করতে বুস্টার ডোজ নেওয়া পরামর্শ দিচ্ছেন বিজ্ঞানীদের একাংশ। যদিও এনিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে বিজ্ঞানীদের মধ্যে।   

    আরও পড়ুন: বিমানে মাস্ক বাধ্যতামূলক, কেমন মাস্ক উড়ানে আদর্শ?

    কোনও কোনও বিজ্ঞানীর মতে এই মুহূর্তে করোনার যে ভ্যারিয়েন্টটি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তার শক্তি খুব বেশি নয়। বুস্টার ডোজ এই দুর্বল ভ্যারিয়েন্টে নিজের ক্ষমতা দেখাতে খুব বেশি সক্ষম নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে শরীর নিজে থেকে রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে নিতে পারে। অ্যান্টিবডি হ্রাস পাচ্ছে মানেই রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে উঠবে না এমনটা ভাবার কোনও কারণ নেই।  
    রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠার নেপথ্যে থাকে টি-সেল এবং বি-সেল। টি-সেল রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতারই একটি অংশ। কোনও ভাইরাসে আক্রান্ত কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে এই টি-সেল। কেউ কেউ বলেছেন করোনার এই ভ্যারিয়েন্টের জন্যে বুস্টার ডোজের কোনও প্রয়োজন নেই। একমাত্র নতুন কোনও ভ্যারিয়েন্ট এলেই বুস্টার ডোজের কথা ভাবা যেতে পারে।   

    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বুস্টার ডোজ এই মুহূর্তে তাঁদেরই প্রয়োজন যারা এখন অবধি করোনায় একবারও আক্রান্ত হননি। তাঁদের সেই রোগের কোনও রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও গড়ে ওঠেনি। তাঁরা বুস্টার ডোজ নিতে পারেন। অল্প বয়স্কদের এখনই প্রয়োজন নেই বুস্টার ডোজ। বয়স্করা নিতে পারেন।  

    বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ আবার সমস্ত প্রাপ্ত বয়স্কদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, বুস্টার ডোজ নেওয়ায় কোনও ভয় নেই। বরং নেওয়া থাকলে অনেকটা নিশ্চিন্ত থাকা যায়। বুস্টার ডোজ নেওয়া থাকলে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো খারাপ পরিস্থিতিতে যেতে পারে না এই মারণ ভাইরাস। জানাচ্ছেন, ৬০% রোগী ভর্তি আছে হাসপাতালে। তাঁদের মাত্র ৬% বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকের প্রশ্ন, কিছু দিনের মধ্যেই করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট হাজির হবে। তখন কেন হাসপাতালে বুস্টার ডোজ নিতে দৌড়ব? আগে থেকে নিয়ে কেন প্রস্তুত থাকব না? বুস্টার ডোজ ভয়ঙ্কর পরিস্থিতিতে বাড়তি সুরক্ষা দিয়ে থাকে। বিশেষ করে যারা কোমর্বিলিটির রোগী, অর্থাৎ যাদের হৃদরোগ, ডায়েবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা আছে তাদের বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন ডাক্তাররা। 

    ভেলোরের খ্রীষ্টান মেডিক্যাল কলেজের একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, বুস্টার ডোজ হিসেবে কোভিশিল্ডই সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। যদিও ভারতে এই মুহূর্তে সেই ব্যবস্থা নেই। অর্থাৎ আপনাকে প্রথম দুই ডোজে যে টিকা দেওয়া হয়েছে, সেই টিকাই দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ হিসেবে। 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এই মুহূর্তে যে টিকাগুলি দেওয়া হচ্ছে তা করোনার প্রথম ভ্যারিয়েন্টের জন্যে বানানো হয়েছিল। ভাইরাস এখন মিউটেশনের মাধ্যমে প্রকৃতি বদলেছে। তাই এই ভ্যারিয়েন্টে খুব বেশি কার্যকর হবে না এই টিকা বলে মত তাঁদের।
    তাই যাদের বিপদের আশঙ্কা সব থেকে বেশি একমাত্র তাঁদেরকেই বুস্টার ডোজ নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন এই বিশেষজ্ঞরা। 

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

     

  • Corona In West Bengal: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে কোভিডও! পুজোর মুখে ফের সংক্রমণের আতঙ্ক

    Corona In West Bengal: ডেঙ্গির পাশাপাশি রাজ্যে বাড়ছে কোভিডও! পুজোর মুখে ফের সংক্রমণের আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগে ফের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা (Corona)। একদিকে ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ তো রয়েছেই, তার উপর করোনা। করোনা একেবারে চলে না গেলেও কিছুদিন আগেই কোভিডে আক্রান্তের সংখ্যা কম ছিল রাজ্যে। কিন্তু একেবারে পুজোর মুখে নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে। এই জোড়া আতঙ্কের ফলে নাজেহাল রাজ্যবাসী। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে সংক্রমিত হয়েছে সাড়ে তিনশোর কাছাকাছি। ফলে রাজ্য সরকারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে কোভিড পজিটিভিটি রেট দ্বিগুণ বেড়ে গিয়েছে।

    রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩৭ জন, যা আগের দিন ছিল ৩৬৫। যদিও আক্রান্তের সংখ্যা আগের দিনের থেকে কিছু কমেছে, কিন্তু তাতে কোনও আতঙ্কের কম হচ্ছে না। রাজ্যে মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২১,১২,১৯৪ জন। মোট সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০,৮৮,০৩৬ জন। শতকরা হিসেবে ৯৮.৮৬ শতাংশ।

    আরও পড়ুন: পুজোর মুখে ভয় ধরাচ্ছে ডেঙ্গি, রাজ্যে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় হাজার ছুঁইছুঁই

    হঠাৎ করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে যাওয়ার পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা নিয়ে আলোচনা করা শুরু হয়েছে। এরপর স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, পুজোর আগে কেনাকাটার জন্য ভিড় বাড়ছে, ফলে করোনা সংক্রমের হার লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে চলছে। তবে এই নিয়ে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই সময়ে ভয় না পেয়ে সতর্ক থাকাটাই বেশি প্রয়োজনীয়। তবে এও জানানো হয়েছে, এই পরিস্থিতিতে এখন থেকেই সতর্ক হতে হবে ও করোনার বিধিনিষেধ মেনে চলতে হবে, নয়তো ফের বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে সাধারণ মানুষ।

    রাজ্যের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ১ সেপ্টেম্বর রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২১০। এক সপ্তাহ পর সেই আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ২৩০। আরও এক সপ্তাহ পরে অর্থাৎ ১৪ সেপ্টেম্বর করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ২৭৫। এরপর সেপ্টেম্বরের চতুর্থ সপ্তাহে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৬৫ এবং পজিটিভিটি রেট বেড়ে হয়েছে ৪.৬২ শতাংশ। এই মুহূর্তে রাজ্যে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ২৬৬৫। ফলে উৎসবের মরশুমে সামান্য অসাবধানতা বড়সড় বিপদ ডেকে আনতে পারে। তাই মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারের কথা বারবার বলা হচ্ছে ও রাজ্যবাসীকে সতর্ক করা হচ্ছে।

LinkedIn
Share