Tag: Covid 19

Covid 19

  • Covid 19: ফের করোনার চোখরাঙানি, কোভিড আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু বর্ধমান মেডিক্যালে

    Covid 19: ফের করোনার চোখরাঙানি, কোভিড আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু বর্ধমান মেডিক্যালে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Covid 19) ভীতি অনেকটাই কেটে গিয়েছে রাজ্যবাসীর। রাস্তাঘাটে, বাজারে মাস্ক পরে আর খুব বেশি মানুষকে দেখা যায় না। করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও এখন নেই বললেই চলে। স্বাস্থ্য দফতরও করোনা নিয়ে কোনও উদ্বেগের কথা বলেনি। বরং, নতুন করে এখন চোখ রাঙাতে শুরু করেছে ডেঙ্গি। রাজ্যে কয়েকশো মানুষ এখন ডেঙ্গিতে আক্রান্ত রয়েছেন। অনেকের মৃত্যু পর্যন্ত হচ্ছে। ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে করোনা নিয়ে নতুন করে ফের আতঙ্ক শুরু হয়েছে। পূর্ব বর্ধমান জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।

    করোনা (Covid 19) আক্রান্ত হয়ে দুজনের কোথায় মৃত্যু হল?

    রবিবার সন্ধ্যা এবং সোমবার সকালে দু’দিনে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দু’জন কোভিড (Covid 19) আক্রান্তের মৃত্যু হয়েছে। করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি রয়েছেন আরও কয়েকজন।হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যায় ভাতারের ৬০ বছরের এক বৃদ্ধ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। তিনি দীর্ঘদিন কিডনির সমস্যায় ভুগছিলেন। হাসপাতালে কোভিড পরীক্ষার পর তাঁর রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রবিবার সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। অন্যদিকে, সোমবার সকালে মারা যান দেওয়ানদিঘি থানা এলাকার ৬১ বছরের এক বৃদ্ধ। তিনি কয়েকদিন আগে বর্ধমান মেডিক্যালে ভর্তি হন। পরবর্তী সময়ে তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। সোমবার তাঁর মৃত্যু হয়।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কী বক্তব্য?

    বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী ভর্তি রয়েছেন। করোনার (Covid 19) উপসর্গ নিয়ে অনেকে ভর্তি হয়েছেন। অনেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। তবে, করোনা আক্রান্ত হয়ে গত দুদিনে পর পর দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্বেগ অনেকটাই বেড়েছে। হাসপাতালের এক আধিকারিক বলেন, করোনা আক্রান্ত হয়ে যে দুজন মারা গিয়েছেন, তাঁরা অন্যান্য উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দু’জনেই অন্যান্য রোগে দীর্ঘদিন ধরে ভুগছিলেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • H3N2 Virus: দেশে আরও এক মারণ ভাইরাসের হদিশ, প্রতিরোধ কীভাবে?

    H3N2 Virus: দেশে আরও এক মারণ ভাইরাসের হদিশ, প্রতিরোধ কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশে করোনার প্রকোপ কমতে না কমতে ফের এক মারণ ভাইরাসের (H3N2 Virus) হদিশ পাওয়া গিয়েছে। কোভিডের পর নতুন আতঙ্কের নাম এইচ৩এন২। বিশেষ করে পুদুচেরিতে এই ভাইরাসের প্রকোপ সব থেকে বেশি দেখা গিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফ থেকে ইনফ্লুয়েঞ্জা পরিস্থিতির ওপর বিশেষ নজরদারি চালানো হচ্ছে ‘ইন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিল্যান্স প্রোগ্রাম নেটওয়ার্কের’ মাধ্যমে। গবেষণায় পাওয়া গিয়েছে, এই ভাইরাস অনেকটাই ক্ষতিকারক ও মানব শরীরে খুব তাড়াতাড়ি প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম। সাধারণ জ্বর-কাশির মতো উপসর্গ থাকলেও তা আস্তে আস্তে মারণ রোগের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে মানব শরীরকে।

    কী কী উপসর্গ রয়েছে এই H3N2 Influenza A Virus এ?

    এটি ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসের একটি সাবটাইপ। এমনটাই গবেষণার মাধ্যমে জানিয়েছে মেডিক্যাল সংস্থা আইসিএমআর। আরও জানানো হয়েছে, এই ভাইরাস (H3N2 Virus) ডিসেম্বর থেকেই প্রভাব বিস্তার শুরু করেছে। সাধারণত ঠান্ডার সময় থেকেই এই ভাইরাসের প্রকোপের হার বেড়েছে। আইসিএমআর-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, এই ভাইরাসের লক্ষণগুলি হল জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট। আবার কিছু মানুষের মধ্যে নিউমোনিয়া, খিচুনি, ডায়ারিয়া ও বমি ভাব থাকছে। বৃদ্ধ এবং শিশুদের সব থেকে বেশি আক্রমণ করছে এই ভাইরাস। উপসর্গগুলি প্রায় এক বা দুই সপ্তাহ ধরে চলতে থাকছে। যদিও মৃত্যুর হার অনেকটাই কম। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের ১০ই মার্চের যে হিসেব পাওয়া গিয়েছে, তাতে দেখা যাচ্ছে, এই ভাইরাসের আক্রমণে দেশে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। এঁদের মধ্যে একজন হলেন কর্ণাটকের এবং অন্যজন হরিয়ানার। এখনও পর্যন্ত মোট ৩০৩৮ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। তারমধ্যে ১২৪৫ জন জানুয়ারিতে, ১৩০৭ জন ফেব্রুয়ারিতে এবং ৪৮৬ জন মার্চে।

    এই ভাইরাস প্রতিরোধের উপায় কী?

    যেহেতু এটি করোনার মতোই ছোঁয়াচে একটি ভাইরাস (H3N2 Virus), তাই এই রোগের প্রতিরোধের একমাত্র উপায় ভ্যাকসিন নেওয়া। বারবার সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। মুখে সব সময় মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যাদের জ্বর ও ইনফ্লুয়েঞ্জা জাতীয় লক্ষণ রয়েছে, তাদের থেকে দূরত্ব বজায় রাখাই ভালো। কোনও রকম সন্দেহজনক উপসর্গ দেখলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া ভালো। প্রয়োজনে ডাক্তারের দেওয়া ওষুধ খাওয়াই শ্রেয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • School Hygiene: অনেক স্কুলেই নেই শৌচালয়, হাইজিন উইক-এ কাঠগড়ায় রাজ্যের পরিকাঠামো! 

    School Hygiene: অনেক স্কুলেই নেই শৌচালয়, হাইজিন উইক-এ কাঠগড়ায় রাজ্যের পরিকাঠামো! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সুস্থ থাকার প্রথম শর্ত পরিচ্ছন্নতা! হাত-পা পরিষ্কার করা, নিয়মিত স্নান, শৌচালয়ের ব্যবহার, শৌচাগারে পর্যাপ্ত জলের ব্যবহার আর মেয়েদের ঋতুস্রাব হলে নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা, এগুলি সম্পর্কে স্কুলেই পাঠ দেওয়া হোক শিশুদের। স্বাস্থ্যবিধি (School Hygiene) নিয়ে সতর্কতা তৈরি হলে জনস্বাস্থ্য নিয়েও সচেতনতা তৈরি হবে। এমনই পরিকল্পনা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। মে মাসে তাই হাইজিন উইক পালন করা হয়। কিন্তু যে রাজ্যের একাধিক জেলায় স্কুলে একটিও শৌচালয় নেই, সেখানে স্বাস্থ্যবিধির পাঠ অনেকটাই সোনার পাথরবাটি বলেই মনে করছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

    কী অবস্থায় রয়েছে রাজ্যের স্কুলগুলি? 

    সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক সংস্থা বিহার, ঝাড়খণ্ড, পশ্চিমবঙ্গ, অসম সহ পূর্ব ভারতের একাধিক রাজ্যের স্কুল নিয়ে সমীক্ষা চালায়। স্কুলের স্বাস্থ্যবিধির (School Hygiene) পরিকাঠামো নিয়েই মূলত ওই সমীক্ষা হয়। তার রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় বহু স্কুল ‘নো-টয়লেট’! অর্থাৎ, স্কুলে একটিও শৌচালয় নেই। ওই রিপোর্ট অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূমের অবস্থা এরমধ্যে সবচেয়ে শোচনীয়! জলপাইগুড়ি ও উত্তর দিনাজপুরের ২২ শতাংশ স্কুল ‘নো-টয়লেট’ অর্থাৎ, ২২ শতাংশ স্কুলে একটিও শৌচালয় নেই। বীরভূমের ১৭ শতাংশ স্কুল ও পুরুলিয়ার ১২ শতাংশ স্কুলে একটিও শৌচালয় নেই। 

    স্কুলে শৌচালয় না থাকায় কোন সমস্যা বাড়ছে?

    স্কুলে শৌচালয় (School Hygiene) না থাকার জেরে বাড়ছে স্কুলছুটের সংখ্যা। বিশেষত মেয়েরা স্কুলছুট হচ্ছে। কারণ, ঋতুস্রাবের সময় তাদের শৌচালয়ের বিশেষ প্রয়োজন হয়। কিন্তু সেই ন্যূনতম পরিকাঠামো না থাকায়, তাদের সমস্যা হয়। তাই ঋতুস্রাব হলে অধিকাংশ গ্রামীণ এলাকায় মেয়েরা স্কুলেই যায় না। তাছাড়া, তাদের স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার সম্পর্কেও সচেতন করা হয় না। ফলে, নানান রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও থাকে। স্কুলে শৌচালয় না থাকা এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বলেই জানাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা। স্কুলপড়ুয়ারা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে তখনই ওয়াকিবহাল হবে, যখন তারা অন্তত শৌচালয় ব্যবহারের সুযোগ পাবে। সেই পরিকাঠামো না থাকলে, স্বাস্থ্যবিধি বা হাইজিন, এই শব্দগুলি শুধু বইয়ের পাতার শব্দ হয়েই থেকে যাবে। জীবনে তার প্রয়োগ করতে তারা শিখবে না। স্কুলে শৌচালয় না থাকার জন্য নানা রোগের শিকার হচ্ছে পড়ুয়ারা। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, করোনা মহামারির সময় মানুষ টের পেয়েছেন, হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি কতখানি জরুরি। রোগ সংক্রমণ ঠেকাতে স্বাস্থ্যবিধি কতখানি সাহায্য করে। কিন্তু যেখানে রাজ্যের অধিকাংশ স্কুলে শৌচালয়, জলের কল নেই, সেখানে নানা সংক্রামক রোগ শক্তি বাড়াবে এবং পড়ুয়ারাও নানা ভাইরাসঘটিত রোগে ভুগবে, এই আশঙ্কা অমূলক কিছু নয়। কলেরা, ডায়ারিয়ার মতো রোগের ঝুঁকি তাই সব সময় গ্রামীণ এলাকায় বেশি হচ্ছে। বিশেষত এ রাজ্যের শিশুদের মধ্যে ডায়ারিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা প্রায়ই জানা যায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, স্কুলে শৌচালয় না থাকার জেরেই এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

    কী বলছে ইউনিসেফ? 

    করোনা মহামারির প্রথম পর্ব শেষ হতেই আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল ইউনিসেফ (United Nations children’s Funds)। তারা এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল, করোনা মহামারি থেকে শিক্ষা নিয়ে অন্তত সজাগ হোক সমস্ত স্কুল কর্তৃপক্ষ। শিশুদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে স্বাস্থ্যবিধির তালিম দেওয়া হোক। বিশেষত হাত ধোয়ার উপরে বাড়তি জোর দেওয়া হোক। কীভাবে সাবান দিয়ে দু’হাত ঘষে ধুতে হবে, তা নিয়ে তাদের সচেতন করতে হবে। তবে, সেই বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানিয়েছিল, অধিকাংশ স্কুলে পর্যাপ্ত জল নেই। তাই কতখানি স্বাস্থ্যবিধি (School Hygiene) বজায় থাকবে, তা নিয়ে আশঙ্কা থেকেই যাবে। রাজ্যের কয়েক হাজার স্কুলপড়ুয়া নিয়মিত স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে, রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়েই পড়াশোনা করছে। মহামারির একাধিক ঢেউ পেরিয়েও হুঁশ ফেরেনি রাজ্য সরকারের। নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি, মিড-ডে মিল নিয়ে গড়মিলের ভিড়ে হারিয়ে যাচ্ছে শিশুদের নূন্যতম সুরক্ষা কবচ। এমনটাই মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা, মাস্ক ও ভ্যাকসিনের প্রয়োজন কি শেষ হয়ে গেল? 

    Covid 19: করোনা নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঘোষণা, মাস্ক ও ভ্যাকসিনের প্রয়োজন কি শেষ হয়ে গেল? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    কয়েক সপ্তাহ আগেই দেশজুড়ে করোনা সংক্রমণ (Covid 19) চিন্তার ভাঁজ ফেলেছিল। রাজ্যে পরিস্থিতি ছিল উদ্বেগজনক! পজিটিভিটি রেট ১৮ শতাংশ পেরিয়ে গিয়েছিল রাজ্যে! কিন্তু ৪ মে-র ঘোষণার পর সব হিসাব কি গোলমাল হয়ে গেল? করোনা কি শেষ? তাহলে দিন কয়েক আগে কীসের উদ্বেগের কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য মন্ত্রক? ৪ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ঘোষণা করেছে, করোনা মহামারি বা কোভিড-১৯ আর আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় নয়। ২০১৯ সালে চিনে করোনা সংক্রমণ শুরু হয়। তারপরে এই রোগ মহামারির আকার নিয়েছিল। গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিল। ভারতেও এই মহামারি তীব্র আকার নিয়েছিল। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগকে আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিপর্যয় বা গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি বলে ঘোষণা করেছিল। কিন্তু ২০২৩ সালের ৪ মে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, করোনা আর আন্তর্জাতিক বিপর্যয় নয়। এই মহামারিকে মোকাবিলা করা গিয়েছে। 

    তাহলে কি আমরা বিপদমুক্ত? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এই রোগকে আন্তর্জাতিক বিপর্যয় আর বলছে না। কারণ, এই রোগের (Covid 19) প্রকোপ অনেক কমেছে। কিন্তু আমরা পুরোপুরি বিপদমুক্ত, এ কথা বলা যায় না। কারণ, কয়েক সপ্তাহ আগেও ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনা আবার দাপট বাড়িয়েছিল। করোনার নতুন প্রজাতি আর্কটুরাস সংক্রমণের ক্ষমতা বাড়াচ্ছিল। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভারতের মতো জনবহুল দেশে যে কোনও সংক্রামক রোগ বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে। তাই করোনা থেকে পুরোপুরি বিপদ আমাদের কাটেনি। 

    করোনার বিপদ কাটাতে কোন দুই দাওয়াইয়ে ভরসা করতে হবে? 

    করোনার বিপদ (Covid 19) থেকে মুক্তি দিতে পারে দুটি দাওয়াই। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, মাস্ক আর ভ্যাকসিন-এই দুইয়েই ভরসা রাখতে হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা যে বার্তা দিন দুয়েক আগে দিয়েছে, তার অর্থ কখনই এটা নয় যে, করোনা পুরোপুরি শেষ হয়ে গিয়েছে। তারা জানিয়েছে, করোনার শক্তি কমেছে। তাই সচেতনতা বজায় রাখতেই হবে। করোনার শক্তি হ্রাস করতে ও সুস্থ থাকতে ভিড় এলাকায় মাস্ক অবশ্যই পরতে হবে। মাস্কের ঠিকমতো ব্যবহার সংক্রমণ ছড়ানো আটকাতে পারে। বিশেষজ্ঞদের আরেকটি ভরসা টিকা। করোনা ভ্যাকসিন রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। তাই ভ্যাকসিন অবশ্যই নিতে হবে। একদিকে প্রাপ্তবয়স্ক প্রবীণ নাগরিকদের সময়মতো টিকার ডোজ নিতে হবে, আরেকদিকে স্কুল পড়ুয়াদের টিকা নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের নজর দিতে হবে। করোনা টিকাই পারবে এই রোগের শক্তি কমাতে। তাই করোনা টিকার উপরই সবচেয়ে বেশি ভরসা করছেন চিকিৎসকরা। তাছাড়া, ভিড় জায়গা এড়িয়ে চলা, শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা কিংবা হাত ধোয়ার মতো স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। 

    সতর্কতা এড়ালেই বিপদ! 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বার্তার অপব্যাখ্যা হলেই বিপদ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কখনই সচেতনতা কমাতে বলেনি। বরং এই পরিস্থিতিতে করোনা (Covid 19) নিয়ে আরও বেশি সতর্কতা জরুরি। কারণ, এখন অতিরিক্ত সংক্রমণের জেরে নতুন কোনও প্রজাতি তৈরি হলে ফের বিশ্ব জুড়ে আরেক স্বাস্থ্য বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। দিন কয়েক আগেই রাজ্যে করোনার নতুন প্রজাতি চোখ রাঙাচ্ছিল। তাই বাড়তি সতর্কতা জরুরি বলেই পরামর্শ জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: তিন ধাক্কার পরেও করোনা মোকাবিলায় পরিকাঠামোর অভাব রাজ্যে, বাড়ছে ভোগান্তি! 

    Covid 19: তিন ধাক্কার পরেও করোনা মোকাবিলায় পরিকাঠামোর অভাব রাজ্যে, বাড়ছে ভোগান্তি! 

     

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতি শক্তি বাড়িয়েছে। আর তাতেই ফের প্রশ্নের মুখে সরকারি পরিকাঠামো! দিন দুয়েক আগে উত্তর চব্বিশ পরগনার কামারহাটির এক সত্তরোর্ধ্ব নাগরিক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। নানান শারীরিক জটিলতা থাকায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন চিকিৎসক। কিন্তু পরিবারের অভিযোগ, সাগর দত্ত হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁদের জানানো হয়, ওখানে চিকিৎসা হবে না। তাঁদের বেলেঘাটা আইডি-তে নিয়ে যাওয়ার কথা বলা হয়। তারপরে রোগীকে বেলেঘাটা আইডি-তে নিয়ে গেলে জানানো হয়, আসন নেই। অপেক্ষা করতে হবে। করোনা আক্রান্তকে গাড়িতে বসিয়েই দীর্ঘক্ষণ হাসপাতালের বাইরে অপেক্ষা করে রোগীর পরিবার। দিনভর ভোগান্তির পরে করোনা রোগীকে ভর্তি নেওয়া হয়।

    কী জানাচ্ছে চিকিৎসক মহল?

    এই ঘটনায় চিকিৎসক মহল জানাচ্ছে, মহামারির একের পর এক ঢেউ পেরিয়েও পরিকাঠামো গড়তে পারল না রাজ্য সরকার। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত দেড় সপ্তাহে করোনা (Covid 19) অ্যাক্টিভ রোগী কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে। দু’সপ্তাহ আগে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১৩ জন। কিন্তু গত চব্বিশ ঘণ্টায় করোনা অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা হয়েছে ৩০৬ জন। করোনার জন্য নির্দিষ্ট বিভাগ সপ্তাহ দুয়েক আগে ফাঁকা থাকলেও, এই কদিন প্রায় শ’খানেক রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

    সমস্যা কোথায়? 

    স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছে, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পর্যাপ্ত শয্যা নেই হাসপাতালে। অন্য রোগের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে থাকা রোগীর করোনা হলে, কোথায় তার চিকিৎসা হবে, সে নিয়েও নানান জটিলতা হয়। কীভাবে তা সমাধান করা যাবে, সে উত্তর এখনও স্পষ্ট নয়। করোনা (Covid 19) সংক্রমণ বাড়লেই প্রশাসনের শীর্ষ মহল জানায়, বেড বাড়ানো হল। কিন্তু সরকারি হাসপাতালের যে পরিকাঠামো, তাতে অন্যান্য পরিষেবা স্বাভাবিক রেখে কীভাবে বেড বাড়ানো হবে, সেই পরিকল্পনা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অস্বচ্ছ থাকে। তার ফলে একদিকে যেমন হাসপাতালের নিয়মিত স্বাভাবিক পরিষেবায় সমস্যা হয়, আরেক দিকে করোনা রোগীদের ভর্তি নিয়েও জটিলতা তৈরি হয়। 

    রোগীর পরিজনদের অভিজ্ঞতা কী?

    করোনা রোগীর ভর্তি নিয়ে একাধিক ভোগান্তির অভিযোগ তুলেছেন রোগীর (Covid 19) পরিজনেরা। মহামারির তিনটি ঢেউ পেরিয়েও ভোগান্তির অভিযোগ অব্যাহত। করোনা আক্রান্তকে কোন সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা যাবে, সে সম্পর্কে রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য দফতরের ওয়েবসাইটে তথ্য থাকে। কিন্তু রোগীর পরিজনদের অভিজ্ঞতা বলছে সম্পূর্ণ অন্য কথা। তাঁরা জানাচ্ছেন, ওয়েবসাইটে যে হাসপাতালে যত সংখ্যক কোভিড আসন ফাঁকা দেখায়, হাসপাতালে গিয়ে কিন্তু জানা যায়, বেড নেই। তাই অন্য হাসপাতালে যেতে হবে। করোনা আক্রান্ত রোগীকে নিয়েই এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে ছুটতে হয়। করোনা সংক্রমণ বাড়তেই সেই প্রবণতা শুরু হয়ে গিয়েছে। 

    বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কতখানি প্রস্তুত? 

    এ রাজ্যে চিকিৎসা পরিষেবার জন্য একটা বড় অংশ বেসরকারি হাসপাতালের উপরই নির্ভর করে। শহরের একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানাচ্ছে, তারা করোনা (Covid 19) মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে। আমরি হাসপাতালের সিইও রূপক বড়ুয়া জানান, বহু রোগীই অন্য রোগের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে আসছেন। তারপরে করোনা পরীক্ষা করে জানা যাচ্ছে, তিনি সংক্রমিত। ফলে, উপসর্গহীন রোগী যে বাড়ছে, সেই আন্দাজ করা যাচ্ছে। সেই মতো প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। মনিপাল হাসপাতালের অধিকর্তা অরিন্দম বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “কয়েক সপ্তাহ আগেও একজনও করোনা রোগী ছিলেন না। এখন কিন্তু কয়েকজন ভর্তি আছেন। সেই মতো আমরা প্রস্তুতি রাখছি, রোগী পরিষেবা যাতে ঠিকমতো দেওয়া যায়।”

    স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা কী বলছেন? 

    স্বাস্থ্যভবনের কর্তারা অবশ্য আশ্বাস দিয়েছেন। তাঁরা জানাচ্ছেন, সরকারি ওয়েবসাইট নিয়মিত আপডেট (Covid 19) করা হবে। যাতে মানুষ কোন হাসপাতালে গেলে পরিষেবা পাবে, সে বিষয়ে জানতে পারেন। কোনও বিভ্রান্তি যাতে না ছড়ায়, সে দিকেও নজর দেওয়া হবে। তারপরেও কোথাও পরিষেবা নিয়ে কোনও অভিযোগ উঠলে, তা খতিয়ে দেখা হবে। তবে সরকারি হাসপাতাল প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid New Variant: করোনার নতুন রূপ ‘আর্কটুরাস’! কতখানি মারাত্মক এই ভ্যারিয়েন্ট?

    Covid New Variant: করোনার নতুন রূপ ‘আর্কটুরাস’! কতখানি মারাত্মক এই ভ্যারিয়েন্ট?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০-২০২১ এ ভয়ঙ্কর কোভিডের প্রকোপে ভারতবর্ষ মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছিল। চারদিকে শুধু কোভিড আক্রান্তদের খবর। অনাহারে মানুষের দুঃসহ অবস্থার খবর ছাড়া তখন যেন আর কিছুই ছিল না। মানুষ মুখে তুলে নিয়েছিল মাস্ক। কিন্তু তারপর থেকে অর্থাৎ ২০২১ এর শেষদিক থেকে আস্তে আস্তে করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করে। কিন্তু তারপরেও যে তা একেবারে কমে গেছে, তা নয়। থেকে গেছে এই মারণ ভাইরাসের চিহ্ন। নতুন খবর হল, অনেক নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট (Covid New Variant) ধরা পড়ছে, যেগুলো অত্যন্ত মারাত্মক না হলেও মানুষের বেশ কিছুটা ক্ষতি করতে পারে, বিশেষ করে শিশুদের বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। 

    আজও আমরা কোভিডমুক্ত নই

    আজ ২০২৩ এ দাঁড়িয়ে কোভিড কি একেবারে কমে গেছে? উত্তর হল “না”। অর্থাৎ আজও আমরা কোভিডমুক্ত নই। ভারতবর্ষের ধরা পড়েছে কোভিডের নতুন রূপ, (Covid New Variant) যার নাম আর্কটুরাস (Arcturus)। হাসপাতালগুলিতে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে এবং অনেক রাজ্যে আবার মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। তবে এটা ভারতের জন্য অনেকটাই চিন্তার বিষয়। বর্তমানে ভারতে ক্রমাগত ছড়িয়ে পড়ছে করোনার এই নতুন ভ্যারিয়েন্ট আর্কটুরাস বা XBB.1.16।

    কী এই আর্কটুরাস বা XBB.1.16?

    এটি Omicron-এর একটি সাব-ভ্যারিয়েন্ট। এখনও পর্যন্ত সবথেকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভ্যারিয়েন্ট (Covid New Variant)। এটি Omicron এর ৬০০ টিরও বেশি উপ-ভ্যারিয়েন্টের একটি অংশ, যা অনেকটাই মারাত্মক। ভারতে এই ভ্যারিয়েন্টটি প্রথম ধরা পড়ে। এই প্রজাতির মাধ্যমে সংক্রমণ ১৩ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কেরলে এই XBB.1.16 তে আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি বলে জানা গেছে। যা আস্তে আস্তে সমগ্র ভারতবর্ষে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।  

    কী কী উপসর্গের দেখা মিলছে কোভিডের এই নতুন XBB .1.16 তে?

    WHO এর রিপোর্ট অনুযায়ী বেশিরভাগ শিশুর মধ্যে এই ভ্যারিয়েন্টের (Covid New Variant) প্রভাব বেশি লক্ষ্য করা গেছে। এর লক্ষণ শিশুদের মধ্যে যা দেখা গেছে, তা আগে অন্য কোনও ভ্যারিয়েন্টের মধ্যে দেখা যায়নি। উচ্চ মাত্রায় জ্বর, চোখ চুলকানি, চোখ গোলাপি হওয়া এবং কাশির লক্ষণ রয়েছে এই আর্কটুরাস ভ্যারিয়েন্টে। শুধু তাই নয়, কনজাংটিভাইটিস এত পরিমাণে বৃদ্ধি পাচ্ছে যে চোখের বিশেষ করে বেশি ক্ষতি হচ্ছে। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে, সর্দি, কাশি, শরীরে অস্বস্তি এবং ডায়ারিয়ার মতো উপসর্গ থাকে। শরীরে অক্সিজেনের ঘাটতি হচ্ছে। ফলে শ্বাসকষ্টও দেখা যাচ্ছে।

    এর চিকিৎসা কী?

    যদি প্রথমে কোনও সন্দেহ হয়, তাহলে সর্বপ্রথম নিজেকে সবার থেকে আলাদা করে ফেলতে হবে। তারপর সাধারণ করোনার (Covid New Variant) চিকিৎসার মতোই চিকিৎসা শুরু করতে হবে চটজলদি। কোনও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে প্রয়োজনীয় ওষুধ নিতে হবে। মুখে মাস্ক ব্যবহার শুরু করতে হবে। বাড়ির বাকি সদস্যকেও মাস্ক ব্যাবহার করতে হবে। যেহেতু সাধারণ ফ্লু-এর মতোই এর  লক্ষণ, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েই চিকিৎসা শুরু করা দরকার। এছাড়া পাবলিক প্লেসে যাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। ঘন ঘন হাত ধোয়া, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Temperature: তাপমাত্রার ব্যাপক ওঠানামায় বাড়ছে জ্বর-কাশি! করোনা নয় তো?

    Temperature: তাপমাত্রার ব্যাপক ওঠানামায় বাড়ছে জ্বর-কাশি! করোনা নয় তো?

     

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    সোম থেকে বৃহস্পতি। সপ্তাহের প্রথম চারদিনের তাপমাত্রার রকমফেরে বাড়ছে বিপদ। তীব্র তাপদাহের পর সোমবারের বৃষ্টির জেরে কলকাতা ও আশপাশের তাপমাত্রা এক ধাক্কায় ৭ ডিগ্রি কমে গিয়েছিল। চল্লিশের চৌকাঠ পেরনো তাপমাত্রা ২৭-২৮ ডিগ্রিতে এসে ঠেকেছিল। কিন্তু মঙ্গলবার বেলা বাড়তেই পারদ উর্ধ্বমুখী হয়। বুধবার অস্বস্তি বাড়ে। বৃহস্পতিবারও সেই অস্বস্তি অব্যাহত ছিল। ফের চড়েছিল তাপমাত্রার পারদ। পরে বিকেলের ঝড়বৃষ্টিতে সেই অস্বস্তির গরমও অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু ঘন ঘন আবহাওয়ার এই পরিবর্তনে বাড়ছে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা। আর সেটাই তৈরি করছে নতুন উদ্বেগ (Covid 19)।

     কী বলছেন চিকিৎসকরা? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, আবহাওয়ার সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার সুযোগ শরীর পাচ্ছে না। দ্রুত তাপমাত্রার বদলের জেরে নানান ভাইরাস ঘটিত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যাচ্ছে। বিশেষত শিশুরা জ্বর-সর্দি-কাশিতে বেশি ভুগছে। তবে বাদ নেই বড়রাও। তাদেরও জ্বর, গলা ব্যথা, সর্দির মতো উপসর্গ দেখা দিচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, করোনার (Covid 19) প্রকোপ রাজ্যে বেড়েছে। তাই সর্দি-কাশির উপসর্গে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। অনেকেই সাধারণ জ্বরে কাবু হচ্ছেন। কিন্তু ঠিকমতো পরীক্ষা না করলে নিশ্চিত হওয়া যাবে না। তাই সর্দি-কাশি কিংবা জ্বরের উপসর্গ দেখা দিলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকের পরামর্শ মতো পরীক্ষা করাতে হবে। অবহেলা বাড়তি বিপদ তৈরি করতে পারে। 

    কীভাবে সতর্ক থাকবেন? 

    তাপমাত্রার এই রকমফেরে সুস্থ থাকতে কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। প্রথমত, এসির ব্যবহারে সতর্ক হতে হবে। ঘরের ভিতরে অতিরিক্ত কম তাপমাত্রা সমস্যা তৈরি করতে পারে। দীর্ঘক্ষণ এসি ঘরে থাকলেও ঠান্ডা লেগে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। দ্বিতীয়ত, ঠান্ডা জল কিংবা ঠান্ডা পানীয় এড়িয়ে চলতে হবে। বিশেষত বাইরে রোদ থেকে এসে ঠান্ডা জল খাওয়া যাবে না। এতে আপার রেসপিরেটরি ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ে। তৃতীয়ত, শিশুদের রোদে না নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বিশেষত দুপুর বারোটার পর শিশুদের বাড়িতে থাকাটাই ভালো। চতুর্থত, হাত-মুখ বারবার জল দিয়ে ধুতে হবে। এতে যেমন শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে, তেমন যে কোনও জীবাণু থেকেও মুক্ত থাকা যায়। পঞ্চমত, তরমুজ, ডাব, লেবুর মতো ফল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। যাতে শরীরে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম পর্যাপ্ত থাকে। তার ফলে একদিকে গরমে দেহের ক্লান্তি দূর হবে, আবার শরীর সুস্থ থাকবে। জ্বর দুদিনের বেশি থাকলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ মতো করোনা পরীক্ষা করাতে হবে। কারণ, পরীক্ষা ছাড়া কোনও ভাবেই বোঝা যাবে না, জ্বর সাধারণ ভাইরাস ঘটিত নাকি করোনা (Covid 19)!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: কেন্দ্রের পাঠানো করোনার বুস্টার ডোজ স্টোরে থেকে নষ্ট হয়েছে, বাড়তি উদ্বেগ রাজ্যে! 

    Covid 19: কেন্দ্রের পাঠানো করোনার বুস্টার ডোজ স্টোরে থেকে নষ্ট হয়েছে, বাড়তি উদ্বেগ রাজ্যে! 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের স্টোররুমে থেকে নষ্ট হয়েছে করোনা (Covid 19) টিকার ৫০ হাজার ডোজ। কিন্তু এখন করোনার সংক্রমণ বাড়তেই টিকাকরণে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। আর সময়মতো বুস্টার ডোজ না মেলায় বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে করোনার নতুন প্রজাতি। রাজ্যের সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে করোনার টিকার ভান্ডার প্রায় শূন্য। তাই বিশেষজ্ঞ মহল করোনার নতুন প্রজাতির মোকাবিলা নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন। 

    করোনার নতুন প্রজাতির প্রকোপ কীভাবপ বাড়ছে রাজ্যে?

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতির প্রকোপ বাড়ছে। করোনার পজিটিভিটি রেট ১৮ শতাংশ ছাড়িয়েছে। বিশেষত কলকাতা, উত্তর চব্বিশ পরগনা, হাওড়া, হুগলির মতো জেলাগুলির সংক্রমণের হার চিন্তা বাড়াচ্ছে। কিন্তু পরিস্থিতি মোকাবিলার মূল হাতিয়ার যে করোনা টিকা, তা আপাতত পর্যাপ্ত নেই রাজ্যের কাছে। স্বাস্থ্য দফতরের একাংশ জানাচ্ছে, সময়মতো বুস্টার ডোজ দিতে না পারায় এই পরিস্থিতি। করোনার বুস্টার ডোজ নেওয়ার জন্য কোনওরকম উদ্যোগ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে নেওয়া হয়নি। যার ফলে দীর্ঘদিন রাজ্যের বিভিন্ন সেন্টারে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাকসিন পড়ে ছিল। 

    কীভাবে নষ্ট হল করোনার টিকা?

    স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানান, রাজ্যের ভান্ডারে কয়েক লাখ করোনা (Covid 19) টিকা ছিল। কিন্তু সেগুলি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে ৩১ মার্চের মধ্যে সেই টিকা নষ্ট হয়ে যেত। একদিকে যেমন এত টিকা নষ্ট হলে বিশাল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতি হত, তেমনি বহু মানুষ স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হতেন। তাই দিল্লির তরফে জানানো হয়, টিকা অন্য রাজ্যে পাঠানো হোক। রাজ্য ব্যবহার করতে না পারায়, কয়েক মাস আগে ১০ লাখ কোভিশিল্ড পাটনায় পাঠানো হয়েছে। আর আড়াই লাখ কোভিশিল্ড গিয়েছে হায়দরাবাদ। কিন্তু তারপরেও ৫০ হাজার টিকার ডোজ রাজ্যের স্টোররুমে পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে। 

    টিকা দেওয়ার তৎপরতাই নেই

    করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতি শক্তিশালী হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়ার পরেও রাজ্যের তরফে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বিশেষ তৎপরতা নজরে আসেনি বলেই অভিযোগ করছে একাংশ। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকেই রাজ্যে করোনা টিকাকরণের হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। ফেব্রুয়ারি মাস থেকে গোটা রাজ্যে দৈনিক করোনা বুস্টার নেওয়ার সংখ্যা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মাত্র ২০০-২৫০ জন। অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে আপাতত করোনা টিকার ভান্ডার প্রায় খালি। বেসরকারি হাসপাতালগুলিতেও যে সংখ্যক ডোজ রয়েছে, তা চলতি সপ্তাহেই শেষ হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ঠিক সময়ে টিকাকরণ কর্মসূচি চললে এবং প্রয়োজনীয় টিকা পাওয়ার জন্য আবেদন করলে পরিস্থিতি মোকাবিলা সহজ হতে পারত। 

    কী জানালেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা?

    যদিও রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা সিদ্ধার্থ নিয়োগী জানান, কেন্দ্রের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। টিকা পাঠানোর আবেদনও করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞ মহল অবশ্য মনে করছে, রাজ্যের টিকাকরণের বিষয়ে আরও বেশি তৎপরতা জরুরি ছিল। করোনার মতো মহামারি রুখতে টিকা নেওয়ার জন্য লাগাতার প্রচার জরুরি। জনস্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে, এ তো স্পষ্ট। তাই করোনার (Covid 19) টিকা ও বুস্টার ডোজ নেওয়া কতখানি জরুরি, সে বিষয়ে মানুষকে বোঝানোর দায়িত্ব সরকারের। ঠিক সময়ে বুস্টার ডোজ নিলে মোকাবিলা আরও সহজ হত বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Covid 19: করোনার ফের বাড়বাড়ন্তে নজরে থাকুক বাচ্চাদের টিফিনের মেনু, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

    Covid 19: করোনার ফের বাড়বাড়ন্তে নজরে থাকুক বাচ্চাদের টিফিনের মেনু, পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের

     

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তীব্র তাপপ্রবাহের জন্য বন্ধ হয়ে গিয়েছিল রাজ্যের অধিকাংশ সরকারি ও বেসরকারি স্কুল। সাতদিন বন্ধ থাকার পরে ফের সোমবার থেকে রাজ্যের অধিকাংশ স্কুল খুলছে। তাপমাত্রার পারদ কিছুটা কমলেও চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাপমাত্রার পারদ কয়েকদিন কম। তাই আপাতত তাপপ্রবাহের জেরে অসুস্থ হওয়ার ঝুঁকিও কিছুটা কমেছে। হয়তো চলতি সপ্তাহে সাময়িক স্বস্তি পাওয়া যাবে। তবে, চিকিৎসক মহলের চিন্তা করোনার (Covid 19) নতুন প্রজাতি। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ওমিক্রমের থেকেও দেড়গুণ বেশি সংক্রমণ ছড়ানোর শক্তি আছে এর। তাই সচেতনতা আরও বেশি জরুরি। 

    কতখানি নিরাপদ পড়ুয়ারা?

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, গত সপ্তাহে যেমন তীব্র দাবদাহ ছিল, তাতে অনেকেই অসুস্থ। তারপরে তাপমাত্রার পারদ ওঠানামার জেরে সর্দি-কাশি-জ্বর লেগেই আছে। ফলে অনেকের শরীর দুর্বল। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই করোনার (Covid 19) এই নতুন প্রজাতিতে সংক্রমণের ঝুঁকি থাকছে। তাছাড়া স্কুল পড়ুয়াদের বড় অংশের টিকাকরণ হয়নি। তাই তাদের জন্য দুশ্চিন্তা আরও বেশি। 

    কীভাবে করবেন মোকাবিলা? 

    বিশেষজ্ঞ মহলের পরামর্শ, সর্দি-কাশি থাকলে স্কুলে পাঠানো উচিত নয়। কারণ, যে কোনও ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ ছড়াতে পারে। এক্ষেত্রে রোগীর যেমন পরিস্থিতি জটিল হতে পারে, তেমনি অন্যদের রোগ ছড়ানোর আশঙ্কাও বেড়ে যায়। তাই পড়ুয়া অসুস্থ বোধ করলে বা সর্দি-কাশির মতো উপসর্গ দেখা দিলে, অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিশেষ নজর দেওয়া জরুরি। পড়ুয়াদের স্কুল চলাকালীন মাস্ক (Covid 19) পরার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। শুধু স্কুল চত্বরে নয়, যাতায়াতের পথেও মাস্ক জরুরি। স্কুলে যতটা সম্ভব শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা। তাঁদের পরামর্শ, পড়ুয়াদের বারবার হাত ধোয়ার অভ্যাস যেন থাকে, সে দিকে অভিভাবকদের নজর দিতে হবে।

    টিফিন নিয়ে কী পরামর্শ?

    সবচেয়ে জরুরি স্কুলের টিফিন পর্ব! কারণ ওই বিরতিতে যেমন চলে খাওয়া, আবার শিশুরা খেলাধূলার সুযোগ পায়। তখন শারীরিক দূরত্ব ও মাস্ক বিধি কতখানি বজায় থাকবে, সে নিয়ে সংশয় থাকে। বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ায় সুস্থ রাখতে, শিশুদের টিফিনে অতিরিক্ত তেলমশলা যুক্ত খাবার কিংবা পিৎজা, বার্গার, হটডগের মতো প্রিজারভেটিভ খাবার একেবারেই দেওয়া উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ঘরের তৈরি হাল্কা, সহজপাচ্য খাবার থাকুক টিফিনের মেনুতে। তার উপরে করোনা (Covid 19 সংক্রমণ রুখতে, স্কুলে খাওয়ার আগে পড়ুয়ারা যাতে ভালোভাবে হাত পরিষ্কার করে, সেদিকেও যেন নজর দেওয়া হয়। খাবার ভাগ করে এই সময়ে না খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল। 
    তবে, চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সবচেয়ে জরুরি টিকাকরণ। যে সব স্কুলপড়ুয়া টিকা নেওয়ার উপযুক্ত, তাদের টিকাকরণ হওয়া জরুরি। টিকা না নিলে এই রোগ প্রতিরোধ কঠিন হয়ে উঠবে। তাই পড়ুয়াদের টিকাকরণ নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • H3N2: এইচথ্রিএনটু-র আবহেই বাড়ছে করোনার দাপট, রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র

    H3N2: এইচথ্রিএনটু-র আবহেই বাড়ছে করোনার দাপট, রাজ্যগুলিকে সতর্ক করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে ক্রমেই বাড়ছে এইচথ্রিএনটু (H3N2) ইনফ্লুয়ে়ঞ্জার দাপট। এটি হংকং ফ্লু নামেও পরিচিত। এই আবহে দেশের কয়েকটি রাজ্যে বাড়ছে মারণ ভাইরাস করোনার (Covid 19) দাপটও। শনিবার এ ব্যাপারে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে ওই রাজ্যগুলিকে। এদিন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ (Rajesh Bhushan) দেশের সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে ইনফ্লুয়েঞ্জা-লাইক ইলনেস কিংবা শ্বাসকষ্টজনিত সংক্রমণের ব্যাপারে কড়া নজরদারি চালানোর অনুরোধও করেছেন চিঠি লিখে।

    এইচথ্রিএনটু (H3N2) ইনফ্লুয়ে়ঞ্জার দাপট…

    শুধু তাই নয়, হাসপাতালগুলিতে যাতে প্রয়োজনীয় ওষুধ, মেডিক্যাল অক্সিজেন মজুত থাকে, সেই ব্যবস্থাও করতে বলা হয়েছে। কোভিড ১৯ এবং ইনফ্লুয়েঞ্জার টিকাকরণ করানোর অনুরোধও করা হয়েছে। রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পাঠানো ওই চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব জানিয়েছেন, যখন কোভিড ১৯ এর প্রদুর্ভাব কমছে, তখন গত কয়েক মাসে করোনা পরীক্ষায় কিছু রাজ্যে পজিটিভ রিপোর্ট মিলেছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। যদিও নতুন করে সংক্রমিতের (H3N2) সংখ্যা খুবই কম, এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যাও কম, তা সত্ত্বেও টিকাকরণের ওপর জোর দিতে হবে বলে জানান রাজেশ ভূষণ। টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিটের মতো ফাইভ ফোল্ড স্ট্র্যাটেজির ওপরও জোর দিতে বলা হয়েছে।

    প্রেস বিবৃতিতে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দাবি, অল্পবয়সি শিশু ও কো-মর্বিডিটি থাকা বয়স্কদের মরশুমি জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। মরশুমি জ্বর বেশ কয়েক মাস ধরেই ছড়াচ্ছে। ভারত প্রতি বছর মরশুমি জ্বরের দুটো পর্যায় দেখতে পায়। প্রথমটি জানুয়ারি থেকে মার্চ ও দ্বিতীয়টি বর্ষা পরবর্তী মরশুমে। সেক্ষেত্রে মার্চের পর মরশুমি ইনফ্লুয়েঞ্জা (H3N2) সংক্রমণের হার কমবে বলেই আশা করা হচ্ছে। পরিস্থিতির মোকাবিলায় সংশ্লিষ্ট দফতরগুলিকে নিয়ে সম্প্রতি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকও হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: বরাদ্দ প্রায় ৯০ হাজার কোটি টাকা, তার পরেও কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ?

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিবের চিঠিতে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, এইচওয়ানএনওয়ান, এইচথ্রিএনটু এবং অ্যাডিনো ভাইরাসের কথা। কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ, এই সব ভাইরাসে শিশু এবং বয়স্করা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। জ্বর, সর্দি-কাশি ছাড়াও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছেন। এসব ক্ষেত্রে হাসপাতালে রেখে চিকিৎসা করার যথাযথ পরিকাঠামো রয়েছে কি না, সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে সেদিকে বিশেষ নজর দিতে বলা হয়েছে স্বাস্থ্যসচিবের পাঠানো ওই চিঠিতে। এই জাতীয় ইনফ্লুয়েঞ্জা প্রতিরোধে জোর দেওয়া হয়েছে জনসেচতনতা বাড়ানোর ওপরও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share