Tag: Covid 19

Covid 19

  • Bharat Jodo Yatra: করোনা আবহেও ভারত জোড় যাত্রা! রাহুলকে বিঁধল বিজেপি

    Bharat Jodo Yatra: করোনা আবহেও ভারত জোড় যাত্রা! রাহুলকে বিঁধল বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন (China) সহ একাধিক দেশে চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Corona)। ভারতেও (India) খবর মিলেছে  সংক্রমণের। পরিস্থিতির মোকাবিলায় বৈঠকে বসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে জনসভা বাতিল করেছেন তিনি। সংসদ সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে যেখানে ভিড় হচ্ছে, সেখানেই মাস্ক পরে যাচ্ছেন তিনি। এমতাবস্থায় করোনা বিধি না মেনেই ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) করে চলেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। করোনা সংক্রমণের আবহে তাঁর এই কর্মসূচি কতটা প্রাসঙ্গিক, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি।

    ভারত জোড় যাত্রা…

    কন্যাকুমারিকা থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত ভারত জোড় যাত্রা কর্মসূচি পালন করছে কংগ্রেস। এই পদযাত্রায় শামিল হয়েছেন খোদ রাহুল গান্ধী। বর্তমানে হরিয়ানায় পালিত হচ্ছে এই কর্মসূচি। তার আগে হয়েছে রাজস্থানে। রাহুলের ভারত জোড় যাত্রা যখন রাজস্থানে, তখনই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনশুখ মাণ্ডব্য রাহুলকে চিঠি লিখে করোনা বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন। না হলে আপাতত যাত্রা স্থগিত রাখার নিদান দেন। তার পরেও ভারত জোড় যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছেন রাহুল। আগামিকাল, শনিবার ভারত জোড় যাত্রা ঢুকবে দিল্লিতে। বড়দিন ও নববর্ষ উপলক্ষে শনিবারের পর থেকে ২ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ থাকবে এই কর্মসূচি।

    রাহুলের এই ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) কর্মসূচিতে অনড় থাকার সিদ্ধান্তে তাঁকে আক্রমণ শানিয়েছেন বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেন, মাসাধিক কাল ধরে চলছে ভারত জোড় যাত্রা। এর মধ্যে ফের হানা দিয়েছে করোনা। করোনার মোকাবিলায় ভারত সরকার পদক্ষেপ করছে। তাহলে কংগ্রেস কেন বিরোধিতা করছে? করোনাবিধি সকলের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী এনএস তোমর বলেন, গোটা দেশেই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়েছে কংগ্রেস। দল বাঁচাতে হচ্ছে ভারত জোড় যাত্রা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে যে নিউ ইন্ডিয়া নির্মাণ হচ্ছে, তা হজম করতে পারছে না কংগ্রেস। করোনা বিধিকে রাজনীতির দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনা না করাই ভাল। আর এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি জোশী বলেন, আমি চাই রাহুল গান্ধী ভারত জোড় যাত্রা (Bharat Jodo Yatra) কর্মসূচি পালন করুন। তাঁর একটা রেকর্ড রয়েছে। সেটি হল, যেখানেই তিনি যান, সেখানেই কংগ্রেস পরাজিত হয়। তবে আমি আশা করব, তিনি করোনাবিধি মেনে চলবেন।

     

  • Covid in China: চিনে আগামী এক সপ্তাহে শিখরে পৌঁছবে করোনা সংক্রমণ, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    Covid in China: চিনে আগামী এক সপ্তাহে শিখরে পৌঁছবে করোনা সংক্রমণ, দাবি বিশেষজ্ঞদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার (Covid in China) চোখ রাঙানি কমার লক্ষণই নেই। ফি বছর নতুন ঢেউ নিয়ে হাজির হচ্ছে এই মারণ ভাইরাস। করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ চিন। চিনে সংক্রমণ কমার কোনও নাম নেই। বরং দিন দিন বেড়েই চলেছে। প্রতিবেশী দেশে ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা। সরকারের দেওয়া পরিসংখ্যানের থেকে মৃত্যুর সংখ্যা অনেকটাই বেশি বলে অভিযোগ করেছে সে দেশের জনগণ। অভিযোগ, করোনার জেরে চিনে লাগাতার মানুষ মারা যাচ্ছে। তবে তা স্বীকার করতে রাজি নয় জিনপিং সরকার।

    আরও পড়ুন: উদয়পুর দরজি খুন নিয়ে চার্জশিট পেশ এনআইএ- র, পাক যোগ?

    কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা? 

    এরই মধ্যে মহামারি বিশেষজ্ঞদের দাবিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে চিনে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, চিনে আগামী ২ মাসে ৩ টি করোনার (Covid in China) ঢেউ আছড়ে পড়বে। যাতে বহু মানুষ মারা যেতে পারেন। আগামী এক সপ্তাহে করোনা সংক্রমণ শিখরে পৌঁছবে বলে দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছবে ৫ হাজারে। বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, এখন যে ঢেউ আছড়ে পড়েছে সেটি আসলে প্রথম। এরপর আরও ২টি ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে। প্রাথমিকভাবে মহামারি বিশেষজ্ঞদের অনুমান, রাজধানী বেজিংয়ে প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ করোনায় সংক্রমিত। লক্ষ লক্ষ মানুষ ঘরবন্দি। হাসপাতালগুলিতেও বাড়ছে করোনা আক্রান্তদের ভিড়।   

    সংক্রমণ এতটাই বেড়েছে যে, সোমবার রাজধানী বেজিংয়ে ২ জনের মৃত্যুও হয়েছে। যদিও করোনায় চিনে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ মারা গিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। 

    স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, চিনের শহরগুলোতে করোনা সংক্রমণ বাড়ার মূল কারণ করোনা (Covid in China) ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন। ওমিক্রনের দুটি উপ-ভ্যারিয়েন্ট, BA.5.2 এবং BF.7 দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। রাজধানী বেজিং BF.7-এর সংক্রমণ বেড়েই চলেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, BF.7 কে সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে পড়া ভাইরাসের আখ্যা দিয়েছে। 

    বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, ওমিক্রনের উপ-ভ্যারিয়েন্টই দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে, তবে তারা ডেল্টা রূপের মতো বিপজ্জনক নয়। নতুন সাব-ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত হলে গলায় মারাত্মক সংক্রমণ, শরীরে ব্যথা, হালকা বা খুব বেশি জ্বর হতে পারে। ২২ ডিসেম্বর দেশজুড়ে আক্রান্ত (Covid in China) হয়েছেন প্রায় ৪ হাজার চিনবাসী।

    চিন প্রশাসনের দাবি, টিকাকরণের জেরে চিনে (Covid in China) মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। তবে আগামী বছর সে দেশে ১০ লক্ষ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হতে পারে বলে দাবি করেছেন আমেরিকার এক গবেষক। তাঁর দাবি, ২০২৩ সালে চিনে করোনা বিস্ফোরণ হতে পারে।

    চিন প্রশাসনের দেওয়া তথ্য (Covid in China) অনুসারে, এখনও পর্যন্ত ৬০ বছরের বেশি জনসংখ্যার ৮৭% সম্পূর্ণরূপে টিকা দেওয়া হয়েছে। তবে ৮০ বছরের বেশি বয়সী বয়স্কদের মধ্যে মাত্র ৬৬.৪ শতাংশ টিকা দেওয়া হয়েছে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid 19: ফের বাড়তে পারে করোনা! পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ কেন্দ্রের

    Covid 19: ফের বাড়তে পারে করোনা! পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের চোখ রাঙাচ্ছে মারণ ভাইরাস করোনা (Covid 19)। নিত্যদিন সংক্রমণ বাড়ছে চিন (China), জাপান (Japan), মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কোরিয়া এবং ব্রাজিলে। সেই কারণে মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকার প্রতিটি রাজ্যকে করোনা পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ দিয়েছে।

    স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বক্তব্য…

    এদিন স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানায়, হঠাৎ করেই জাপান আমেরিকা, কোরিয়া, ব্রাজিল, চিনে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়া যথেষ্ঠ উদ্বেগের। চিনের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে ভারত (India)। পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করতে হবে। এতে করোনার প্রজাতি ট্র্যাক করা সম্ভব। এতে বোঝা যাবে ভারতে করোনার নতুন কোনও প্রজাতি এসেছে কী না। যদি জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে নয়া কোনও প্রজাতি ধরা পড়ে, তবে শীঘ্রই পদক্ষেপ করা সম্ভব হবে।

    কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ, অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি এবং প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি প্রতিটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের স্বাস্থ্য সচিবদের চিঠি লিখে জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে করোনার (Covid 19) যে প্রজাতি রয়েছে, তার স্বভাববিধির ওপর নজর রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজেশ ভূষণ চিঠিতে উল্লেখ করেছেন, ভারত ফাইফ ফোল্ড স্ট্র্যাটেজি মেনে করোনার মোকাবিলা করে এসেছে। এই ফাইভ ফোল্ড স্ট্র্যাটেজি হল, টেস্ট, ট্র্যাক, ট্রিট, ভ্যাক্সিনেশন এবং কোভিডবিধি মেনে চলা।  

    প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২৬ মার্চ প্রথম করোনা (Covid 19) সংক্রমিতের খোঁজ মেলে এ রাজ্যে। এর পর তিন বছর ধরে দাপিয়ে বেড়িয়েছে করোনা। শেষমেশ রবিবার দৈনিক সংক্রমণ পৌঁছে যায় শূন্যে। তার পর আটচল্লিশ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই চলে এল কেন্দ্রের সতর্কবার্তা।

    আরও পড়ুন: ‘ডাকাতকে বাঁচাতে সরকার যা করছে, তাতে বিপদ বাড়ছে’ অনুব্রত প্রসঙ্গে শুভেন্দু

    এদিকে, চিনের করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হলেও, এ নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই ভারতে। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্যানেলই এ কথা জানিয়েছে। তারা এও জানিয়েছে, চিনের কোভিড পরিস্থিতির ওপর সর্বদা নজর রাখা হচ্ছে। কোভিড ওয়ার্কিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এনকে অরোরা সংবাদ সংস্থাকে জানান, দেশে বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে রয়েছে করোনা পরিস্থিতি। এদিকে, আজ, বুধবার পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করতে পদস্থ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনশুখ মাণ্ডব্য।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Bharat Jodo: হয় কোভিড-বিধি মানুন, নয়তো ভারত জোড় যাত্রা বন্ধ করুন, রাহুলকে চিঠি মাণ্ডব্যর

    Bharat Jodo: হয় কোভিড-বিধি মানুন, নয়তো ভারত জোড় যাত্রা বন্ধ করুন, রাহুলকে চিঠি মাণ্ডব্যর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিনে (China) চোখ রাঙাচ্ছে করোনা (Corona)। কেবল চিন নয়, বিশ্বের আরও কয়েকটি দেশেও থাবা বসিয়েছে করোনা। ভারতে অবশ্য এখনও পর্যন্ত করোনার তেমন প্রকোপ দেখা যায়নি। তবে কথায় বলে, সাবধানের মার নেই। তাই সাবধানে থাকাই উচিত। সেজন্য রাজ্যগুলিকে সচেতন করে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্র। এমতাবস্থায় লোকলস্কর নিয়ে যথারীতি ভারত জোড় (Bharat Jodo) যাত্রা চালিয়ে যাচ্ছেন কংগ্রেস (Congress) নেতা রাহুল গান্ধী।

    মনশুখ মাণ্ডব্য…

    এবার রাহুলকে সচেতন করে চিঠি লিখলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনশুখ মাণ্ডব্য। ভারত জোড় যাত্রা চলা কালে রাহুল যাতে কোভিড ১৯ বিধি মেনে চলেন, সেজন্য রাহুলের পাশাপাশি রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটকেও চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার লেখা হয়েছে চিঠিটি। তাতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ভারত জোড় যাত্রা কর্মসূচি পালন করার সময় কোভিড গাইডলাইন মেনে চলুন কঠোরভাবে। বর্তমানে ভারত জোড় (Bharat Jodo) যাত্রা যাচ্ছে রাজস্থান দিয়ে। মাস্ক এবং স্যানিটাইজার ব্যবহারে জোর দিতে হবে। যাঁরা করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছেন, কেবলমাত্র তাঁরাই এই যাত্রায় যোগ দিতে পারবেন। যদি এই নিয়মবিধি একান্তই মেনে চলা না যায়, তাহলে যেন আপাতত স্থগিত করে দেওয়া হয় ভারত জোড় যাত্রা। ওই চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী লিখেছেন, যদি একান্তই করোনাবিধি মেনে চলা না যায়, তাহলে যেন আপাতত স্থগিত রাখা হয় ভারত জোড় যাত্রা। জাতীয় স্বার্থেই এটা করা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

    আরও পড়ুন: ফের বাড়তে পারে করোনা! পজিটিভ নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সিং করার নির্দেশ কেন্দ্রের

    এ প্রসঙ্গে কড়া প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে কংগ্রেস। দলের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, আমি বিজেপিকে জিজ্ঞাসা করতে চাই গুজরাট নির্বাচনের সময় কী প্রধানমন্ত্রী মোদি কোভিড বিধি অনুসরণ করেছিলেন? তিনি বলেন, আমার মনে হয় মনশুখ মাণ্ডব্য রাহুল গান্ধীর ভারত জোড় (Bharat Jodo) যাত্রা পছন্দ করছেন না। কিন্তু মানুষ পছন্দ করছেন। এবং এই যাত্রায় যোগ দিচ্ছেন। অধীর বলেন, মানুষের দৃষ্টি ঘোরাতেই মাণ্ডব্যকে নিয়োগ করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, কন্যাকুমারিকায় শুরু হয়েছে ভারত জোড় যাত্রা। যাবে কাশ্মীর পর্যন্ত। মঙ্গলবার এই পদযাত্রা হয়েছে রাজস্থানে, অশোক গেহলটের রাজ্যে। বুধবার সেটি প্রবেশ করে হরিয়ানায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid-19 in China: আগামী বছর চিনে কোভিডে মৃতের সংখ্যা হবে ১০ লক্ষের বেশি! চাঞ্চল্যকর দাবি বিশেষজ্ঞের

    Covid-19 in China: আগামী বছর চিনে কোভিডে মৃতের সংখ্যা হবে ১০ লক্ষের বেশি! চাঞ্চল্যকর দাবি বিশেষজ্ঞের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিড ঘিরে ভয়াবহ পরিস্থিতি অব্যাহত চিনে (Covid-19 in China)। হু হু করে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। ফলে নতুন করে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনা। চিনে সদ্য কোভিডের কঠোর বিধি তুলে নেওয়া হয়েছে। ‘জিরো কোভিড’ নীতি আরও কিছুটা শিথিল করা হচ্ছে। তারপর থেকেই এক লাফে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে চিনে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, যদি চিন কঠোর কোভিড বিধি তুলে নেয়, তাহলে সম্ভবত ২০২৩ সালের শেষে গিয়ে ১০ লক্ষের বেশি কোভিডে মৃতের সংখ্যা হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা আরও জানিয়েছেন, মাত্র তিন মাসের মধ্যেই চিনের ৬০ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হবেন।

    চিনে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি

    সূত্রের খবর অনুযায়ী, গতকাল, ১৯ ডিসেম্বর নতুন করে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা হয়েছে ৪,৬৬৬। যেখানে ১৮ ডিসেম্বরই এই সংখ্যা ছিল ১,৯৫৯। বর্তমানে চিনের মোট অ্যাক্টিভ রোগীর সংখ্যা ৩,৮৩,১৭৫। আক্রান্তের সংখ্যার পাশাপাশি বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। কোভিড নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর ডিসেম্বর মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত কোভিডে সেদেশে কোনও মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কিন্তু এরপরেই গতকাল ৭ জনের মৃত্যুর খবর জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর অনুযায়ী, সেদেশে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ৫,২৪২ (Covid-19 in China)।

    চিনে করোনায় মৃতের সংখ্যা হতে পারে ১০ লক্ষ!

    মার্কিন প্রতিষ্ঠান ‘হেলথ মেট্রিক্স অ্যান্ড ইভোলিউশন’ জানিয়েছে, চিনে জিরো কোভিড (COVID 19) পলিসি এবং লকডাউন শুরু না করলে আগামী বছরের মধ্যে মৃতের সংখ্যা হতে পারে ১০ লক্ষেরও বেশি। আরও জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের ১ এপ্রিলের মধ্যে ৩,২২০০০ জনের মৃত্যু হতে পারে শুধু কোভিডে। পরিসংখ্যান বলছে, চিনে ওই সময়ে বেড়ে যেতে পারে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা। সেই সময়ই কোভিডের ‘পিক’ হতে পারে। আইএইচএমই ডিরেক্টর ক্রিস্টোফার মারে বলছেন, কেউ ভাবতে পারেনি যে জিরো কোভিড নীতিতে এতদিন পর্যন্ত তাঁরা আটকে থাকবেন (Covid-19 in China)।

    আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ ম্যান মেড! উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছিল ভাইরাস, দাবি বিজ্ঞানীর

    উল্লেখ্য, চিনের জিরো কোভিড পলিসি শুরু করার পরেই তীব্র প্রতিবাদ, আন্দোলনে নামে সেদেশের সাধারণ মানুষ। তাই শেষ পর্যন্ত চিনা প্রশাসনের তরফে লকডাউনের সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়। আর লকডাউন এবং জিরো কোভিড পলিসি শিথিল করার পরেই ফের নতুন করে কোভিড সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে বলে খবর।

    চিনের জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা

    আরও এক বিশেষজ্ঞের মতে, চিনের মোট ১.৪ বিলিয়ন জনসংখ্যার ৬০ শতাংশই কোভিডে আক্রান্ত হবে। চিনের সবথেকে যা উদ্বেগের কারণ তা হল ভ্যাকসিন। সূত্রের খবর অনুযায়ী, চিন সরকার কোভিড ভ্যাকসিনের বুস্টার ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ নিলেও সেদেশের মানুষরা তা নিতে অনিচ্ছুক। যার মধ্যে রয়েছে ৮০ বছর ও ৮০-র বেশি বয়সী বয়স্করা। ফলে এই আবহে চিনের বয়স্করা কোভিডে বেশি প্রভাবিত হবে বলে জানা গিয়েছে (Covid-19 in China)।

  • Covid Vaccine: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    Covid Vaccine: “কোভিড মৃত্যুর জন্যে দায়ী নয় সরকার”, সুপ্রিম কোর্টে জানাল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোভিডে মৃত্যুর দায় নিতে পারে না সরকার। সুপ্রিম কোর্টে এমনটাই জানাল কেন্দ্র। সুপ্রিম কোর্টকে এদিন কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, কোভিডের ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) নেওয়া নিয়ে কোনও আইনি বাধ্যবাধকতা নেই। শুধু তাই নয়, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কোনও মৃত্যু হলে তার জন্য দায়ী সরকার নয়। কেন্দ্র জানিয়েছে, সরকার শুধু জনস্বার্থে ভ্যাকসিন নিয়ে উৎসাহ প্রদান করছে।  

    প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় এক কিশোরীর মৃত্যুতে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয় আদালতে। সেই মামলার নিরিখেই কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়, “যেকোনও মৃত্যুই মর্মান্তিক। তবে তাতে সরকারকে দোষী করা ঠিক নয়।” কেন্দ্রের তরফে দায়ের করা ২৩ নভেম্বরের হলফনামায় জানানো হয়, “যেখানে কেন্দ্রীয় সরকার ভ্যাকসিনেশনে উৎসাহ দিচ্ছে মাত্র। এটাও জানানো হচ্ছে যে, ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে কোনও আইনি বাধ্যতা নেই।”

    আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত ভোটে বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে, ব্লক প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের পথে শুভেন্দু

    প্রসঙ্গত, ভ্যাকসিন (Covid Vaccine) সংক্রান্ত মৃত্যু মামলায় গত ২৯ অগাস্ট কেন্দ্রকে একটি নোটিস পাঠায় শীর্ষ আদালত। এই মৃত্যুতে একটি নিরপেক্ষ কমিটি গড়ে তার দ্বারা তদন্তের কথা বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে অটোপসির রিপোর্টও পেশ করতে বলে আদালত।

    কী বলেছে আদালত? 

    মামলায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়, ভ্যাকসিনের জেরে মৃত্যু হয় এক বালিকার। এই কেন্দ্রের তরফে মৃত্যুর পর ক্ষতিপূরণের দাবি করে মৃতের বাবা-মা। এছাড়াও ভ্যাকসিনের (Covid Vaccine) পার্শ্বপ্রক্রিয়ায় অসুস্থতা ঘিরে সরকারের গাইডলাইনও সামনে আনার দাবি করেছেন মামলাকারী। কেন্দ্র উত্তরে জানিয়েছে, AEFI- এর তথ্য অনুযায়ী, মেডিসিনের মতো সমস্ত ভ্যাকসিনেরও কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে গ্রহীতার কাছে এমন অপশনও রয়েছে যেখানে তিনি ভ্যাকসিন সম্পর্কে সম্পূর্ণ খোঁজ নিয়ে তারপরে তা গ্রহণ করার। এ বিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথাও বলে কেন্দ্র। কেন্দ্র বলে, “কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে সমস্ত তথ্য ‘পাবলিক ডোমেনে’ রয়েছে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

     

     

  • Dengue and Covid: কোভিড না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?

    Dengue and Covid: কোভিড না ডেঙ্গি, বুঝবেন কী করে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবহাওয়া পরিবর্তনের সময় জ্বর হওয়া খুব স্বাভাবিক বিষয়। জ্বর মানেই ডেঙ্গি বা কোভিডই (Dengue or Covid) হবে এমনটা নাও হতে পারে। তবে এই ভয় একেবারেই নেই এটা ভাবারও কোনও কারণ নেই। কী করে বুঝবেন ডেঙ্গি না কোভিড হয়েছে? তাই জ্বর হলে ডেঙ্গি বা কোভিড বুঝতে হলে, সব উপস্বর্গগুলিই (Symptoms) জানতে হবে। তবে এই মুহূর্তে কোভিড সংক্রমণের প্রবণতা কমলেও, ডেঙ্গির বাড়বাড়ন্ত। তাই থাকতে হবে সতর্ক। কোনও উপসর্গ দেখলেই অবহেলা করা যাবে না। সঙ্গে সঙ্গেই করিয়ে নিন পরীক্ষা।

    ডেঙ্গি এবং কোভিডের উপসর্গ 

    ডেঙ্গি হলে, জ্বরের সঙ্গে চোখের পিছনে ব্যথা হবে। জ্বরের সঙ্গে পেশিতে ব্যাথা হবে। বমিবমি ভাবে, মাথা যন্ত্রনা, হাড়ে ব্যাথাও হতে পারে। কোভিডের ক্ষেত্রেও শরীরে ব্যাথা হব এবং মাথা ভার হয়ে থাকবে। গলা খুসখুস, সর্দি জমা, এমনকি শ্বাসকষ্ট অবধি হতে পারে। এরকম অবস্থা হলে বাড়ি বসে না থেকে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। দরকারে কোভিড হয়েছে কিনা বুঝতে আরটি-পিসিআর কিংবা ডেঙ্গি হয়েছে কিনা বুঝতে এনএস ১ পরীক্ষা করালেই ধরা পড়বে ঠিক কোন রোগ হয়েছে। তবে সবসময় জ্বর মানেই কোভিড না ডেঙ্গি হয়েছে এরকম ভাবারও কোনও কারণ নেই? সাধারণ ইনফ্লুয়েঞ্জাও হতে পারে। তাই জ্বর হলে সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। সরকারি গাইড লাইন মেনে চলুন।

    আরও পড়ুন: ইসলাম, খ্রিস্টানে ধর্মান্তরিত দলিতদের তফসিলি আওতাভুক্ত করা যাবে না, সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র

    রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি 

    রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতির দিন দিন অবনতি হচ্ছে। মৃত্যুর সংখ্যাও আশঙ্কাজনক। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য সচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন মুখ্যসচিব। বৈঠকে থাকবেন অন্যান্য স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। ডেঙ্গি সংক্রমণ সামাল দিতে মুখ্য সচিব নবান্নে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন। বৈঠকে স্বাস্থ্য সচিব-সহ স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকদের জরুরি তলব করা হয় নবান্নে। জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক হয় নবান্নের। ডেঙ্গি সংক্রমণের পিছনের এই বাড়বাড়ন্তর কারণ কী? সেই উত্তর খুঁজতেই আলোচনায় বসেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা। এদিকে ইতিমধ্যেই রাজ্যের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্যকে চিঠি লিখেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি ট্যুইট করে জানিয়েওছেন সে কথা। ট্যুইটে তিনি লেখেন, “রাজ্যের ডেঙ্গি-পরিস্থিতি অযোগ্য সরকারের হাতের বাইরে। আর্থিক সঙ্কটের কারণেই পরিস্থিতি এত ভয়াবহ। দেউলিয়ার পথে রাজ্য সরকার। এর ফল ভুগছে জনস্বাস্থ্য। প্রাণ হারাচ্ছেঞ মানুষ, পরিস্থিতি ভয়াবহ।” 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid Wave: শীতের শুরুতে আরেকটা করোনার প্রকোপ? সতর্কতা জারি করল ‘হু’

    Covid Wave: শীতের শুরুতে আরেকটা করোনার প্রকোপ? সতর্কতা জারি করল ‘হু’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শীতের শুরুতে ফের করোনার প্রকোপ (Covid Wave) বাড়ায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সতর্কতা জারি করেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (World Health Organisation) করোনার এই প্রকোপ থেকে বাঁচতে বুস্টার ডোজ নেবার জন্য আহ্বান জানিয়েছে। ভারতে এখন এক্টিভ কেসের সংখ্যা ২৫ হাজার ৫১০ থেকে কমে ২৫ হাজার ৩৭ জন হলেও ২৪ ঘন্টার মধ্যে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু ঘটেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক।

    বর্তমানে চীনে নতুন করে মাথা চাড়া দিয়েছে করোনাভাইরাস। চিনের মঙ্গোলিয়ায় করোনা ভাইরাসের নতুন একটি প্রজাতির খোঁজ মিলেছে। চিকিৎসকদের মতে, ওমিক্রনের বিএ.৫.১.৭ (Omicron BA 5.1.7) এবং বিএফ.৭ প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় অনেক গুণ বেশি। তাই করোনা টিকা নেওয়ার পর বা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, তা নতুন এই প্রজাতিটিকে ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    ইতিমধ্যেই চিনের বেশ কিছু জেলায় ছড়িয়ে (Covid Wave) পড়েছে এই ভাইরাস। আমেরিকা, ব্রিটেন, জার্মানি এবং ফ্রান্সের ক্ষেত্রেও সংক্রমণের হার বেশ দ্রুত। ভারতে এই ভ্যারিয়েন্টের নাম এক্সবিবি ( XBB variant)। এই ভ্যারিয়েন্টটিও শরীরের অ্যান্টিবডিকে কাটিয়ে উঠতে পারে। করোনার  ঢেউ যাতে পুনরায় না উঠতে পারে তা নিশ্চিত করতে বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের ট্র্যাকিং করতে হবে পাশাপাশি, ভারতে এর আগে করোনায় (Covid Wave) সবচেয়ে বেশী বয়স্ক ব্যক্তিরা সংক্রমিত হয়েছিল। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বয়স্কদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই বুস্টার ডোজটি নিতে বলেছে।

    উৎসবের মরসুমে করোনার বিধি-নিষেধে ছাড় এবং মানুষের লাগামছাড়া মনোভাব, নতুন করে সংক্রমণের ভয় উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা আরও এক বার মনে করিয়ে দিয়েছেন যে, সংখ্যাটি এক হলেও নতুন প্রজাতিটি কিন্তু দেশে ঢুকে পড়েছে। তার উপর শীতকাল আসছে। এটি এমনিই ফ্লুয়ের সময়। তাই অতিরিক্ত সাবধানতা থাকতেই হবে। করোনা থিতু হতেই ভাইরাস প্রতিরোধে সুরক্ষাবিধি কেউই প্রায় মানছেন না। আমজনতার একটা বড় অংশ করোনার সুরক্ষাবিধি ছাড়াই ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অধিকাংশ মানুষের মুখেই মাস্ক থাকছে না। তা ছাড়া শারীরিক দুরত্ববিধিরও বালাই নেই। আবার, কোথাও কোথাও মাস্ক পরা নিয়ে কড়াকড়ি শিথিলও করা হয়েছে।তাই সব কিছু বন্ধ করে ঘরে বসে থাকা কোনও সমাধান হতে পারে না।এ ক্ষেত্রে সচেতনতা গড়ে তোলাই একমাত্র হাতিয়ার বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Covid 19: ফের দীপাবলিতে মাথা চাড়া দেবে করোনার নতুন ঢেউ?

    Covid 19: ফের দীপাবলিতে মাথা চাড়া দেবে করোনার নতুন ঢেউ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে মেতে রয়েছে গোটা দেশ। সদ্য শেষ হয়ে দুর্গা পুজো। সামনেই আসছে দীপাবলি বা কালী পুজো। কিন্তু করোনার (Covid 19) ভয়ভীতি এক্কেবারে বিদায় নিয়েছে সকলের মন থেকে। এই পরিস্থিতিতে করোনা সংক্রান্ত আরও একটি দুঃসংবাদ সামনে এসেছে। ওমিক্রনের (Omicron) নতুন দুটি সাবভ্যারিয়েন্টে সামনে উঠে আসছে-BF.7 এবং BA.5.1.7। আর এই দুই ভাইরাস সামনে আসার পরই ভয় বাড়ছে বিজ্ঞানী মহলে। তাই প্রতিটি মানুষকে অবশ্যই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক হয়ে যেতে হবে। এর মধ্যে  BF.7 – এই সাবভ্যারিয়েন্টটির অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছে ভারতেই। গুজরাটের বায়োটেকনোলজি রিসার্চ সেন্টারে শনাক্ত করা হয়েছে। এই দুটি সাবভ্যারিয়েন্ট আতঙ্ক ছড়িয়েছে বিশ্বজুড়ে। বিশেষজ্ঞরাও এই স্টেনগুলিকে খুবই সংক্রামক (Highly Infectious) বলে দাবি করায় চিন্তা আরও বাড়ছে সাধারণ মানুষের।

    আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, চিনের মেনল্যান্ড এলাকায় প্রথম এই সংক্রামক স্ট্রেনের খবর পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে এই ভ্যারিয়েন্টটিকে খুবই সংক্রামক বলে সতর্ক করা হয়েছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, “ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে সতর্ক হয়ে যাওয়া জরুরি। মনেই শীতকাল। এই সময়ে করোনা যে অনেকটাই বাড়তে পারে, এটা বুঝে নিতে হবে।” বিশেষ করে উৎসবের মরশুমে করোনা নিয়ে বেশি করে সাবধান হওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। 

    চিকিৎসকচিকিৎসকদের মতে, ওমিক্রনের BF.7 এবং BA.5.1.7 প্রজাতির ভাইরাসের সংক্রমণ ক্ষমতা অন্যান্য প্রজাতির তুলনায় অনেক গুণ বেশি। তাই করোনা টিকা নেওয়ার পর বা এই ভাইরাস দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর শরীরে যে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে, তা নতুন এই প্রজাতিটিকে ঠেকানোর জন্য যথেষ্ট নয় বলেই মনে করছেন চিকিৎসকরা। 

    সামনেই দীপাবলি, তার পরেই ভাইফোঁটা। প্রসাশনের তরফে করোনা সংক্রান্ত বিধি-নিষেধে কড়াকড়ি না থাকলেও, নিজেদের স্বার্থে বাধ্যতামূলক ভাবে মাস্ক পরতেই হবে এবং সংক্রমণের সামান্যতম লক্ষণ দেখা দিলেই নিজেকে অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখতে হবে। বিশেষ করে যাঁদের বাড়িতে বয়স্ক মানুষ, শিশু, ক্যানসারে আক্রান্তরা আছেন, তাঁরা অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে।

    আরও পড়ুন : বিদায় নিচ্ছে বর্ষা? রাজ্যজুড়ে কমল তাপমাত্রা

    স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৪০১ জন। গতকালও সংখ্যাটা কমবেশি একইরকম ছিল। তবে সংক্রমণের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় বেড়েছে অ্যাকটিভ কেসও। দেশের সক্রিয় করোনা রোগী বর্তমানে ২৬ হাজার ৬২৫ জন। আগের দিনের থেকে সামান্য বেশি অ্যাকটিভ কেস। 

    ভারতে একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ২১ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৮ হাজার ৮৯৫ জন। মারণ ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে দেশজুড়ে বাড়ছে সুস্থতার হার। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এখনও পর্যন্ত দেশে ৪ কোটি ৪০ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮ জন করোনা থেকে মুক্ত হয়েছেন। বর্তমানে সুস্থতার হার ৯৮.৭৬ শতাংশ। অর্থাৎ সার্বিকভাবে দেশের পরিসংখ্যানে স্বস্তি মিলেছে। এদিকে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের কোভিড পরিসংখ্যান বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৭৩ জন। যা আগের দিন ছিল ১৬৬। অর্থাৎ সংক্রমণ খানিকটা বেড়েছে। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ২১, ১৬, ৮৫৯। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। মোট মৃত্যু ২১, ৫১৬। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

     

     

  • Covid Mask: বাতাসে উপস্থিত করোনা ভাইরাস শনাক্ত করবে বিশেষ মাস্ক! এবিষয়ে কী জানালেন বিজ্ঞানীরা?

    Covid Mask: বাতাসে উপস্থিত করোনা ভাইরাস শনাক্ত করবে বিশেষ মাস্ক! এবিষয়ে কী জানালেন বিজ্ঞানীরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই জানা গিয়েছিল যে, আপনি কোভিডে আক্রান্ত কিনা তা বলে দেবে মোবাইলের অ্যাপ। আর এখন জানা গিয়েছে, বাতাসে করোনা ভাইরাস আছে কিনা তা শনাক্ত করবে বিশেষ পদ্ধতিতে তৈরি করা একটি মাস্ক। আর ১০ মিনিটের মধ্যেই সেই বিষয়ে জানতে পারবেন আপনার মোবাইল থেকে।

    প্রায় তিনবছর ধরে বিশ্বব্যাপী মানুষ এই মারণ ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে চলেছে। আগের থেকে এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেক কমে গিয়েছে। তবুও মাঝে মাঝেই করোনা সংক্রমণের গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী দেখা যায়। আবার এমনটাও দেখা গিয়েছে যে, বর্তমানে করোনার উপসর্গ দেখেও পরীক্ষা করাতে চান না অনেকেই। ফলে এবারে জনতার সুবিধার্থে এই ধরণের মাস্ক তৈরি করা হল যা বাতাসে উপস্থিত করোনা ভাইরাসকে শনাক্ত করতে পারবে।

    আরও পড়ুন: এবার মোবাইল অ্যাপই বলে দেবে আপনি কোভিড আক্রান্ত কি না

    জানা গিয়েছে, এই মাস্ক শুধুমাত্র বাতাসে উপস্থিত করোনা ভাইরাসই শনাক্ত করবে না, ইনফ্লুয়েঞ্জার মত ভাইরাসের উপস্থিতিও জানিয়ে দেবে মোবাইলে। সাংহাই টংজি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বিজ্ঞানী ইয়িন ফাং জানিয়েছেন, আগের স্টাডিতে দেখা গিয়েছে, মাস্কই করোনা ভাইরাস ছড়ানো ও সংক্রামিত হওয়ার ঝুঁকি কমাতে পারে। তাই তাঁরা এমন একটি মাস্ক তৈরি করতে চেয়েছিলেন যা বাতাসে ভাইরাসের উপস্থিতি শনাক্ত করতে পারবে ও যে মাস্ক পরে আছে তাকে সতর্ক করতে পারবে। তিনি আরও জানিয়েছেন যে তাদের তৈরি করা মাস্ক বদ্ধ জায়গায়, যেখানে সংক্রামিত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি, সেখানে ভালো কাজ করতে পারে।

    তিনি আরও জানিয়েছেন, তাঁর দলের পরবর্তী লক্ষ্য হল মাস্কের পলিমার এবং ট্রানজিস্টরগুলির নকশাকে অপ্টিমাইজ করা ও সেন্সরের সেন্সিটিভিটিকে বৃদ্ধি করা, যাতে মাস্কের ভাইরাস শনাক্ত করতে বেশি সময় না লাগে। তাঁরা এই মাস্কে অ্যাপটামারস নামে এক সেন্সর ব্যবহার করেছে, এটি এক ধরেণের সিন্থেটিক অণু যা ভাইরাসকে শনাক্ত করতে পারে। এই অ্যাপটামারস বাতাসে ভাইরাসের সংস্পর্শে এলে সংশ্লিষ্ট আয়ন-গেটেড ট্রানজিস্টর সিগন্যালকে বুস্ট করবে এবং ফোনের মাধ্যমে মাস্ক পরা ব্যক্তিকে সতর্ক করবে। বিজ্ঞানীরা এই সেন্সরের আরও পরিবর্তন করতে চলেছে, যাতে ভবিষ্যতে করোনা ভাইরাসের পাশাপাশি মাস্কটি H5N1 এবং H1N1 ভাইরাসকেও শনাক্ত করতে পারে। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

LinkedIn
Share