Tag: Covid 19

Covid 19

  • Mohammed Shami:অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও ছিটকে গেলেন শামি, কেন জানেন?

    Mohammed Shami:অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ থেকেও ছিটকে গেলেন শামি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট সিরিজে ফিরে আসতে আর কিছু দিন সময় লাগবে মহম্মদ শামির। দীর্ঘ ১০ মাস টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে অনুপস্থিত থাকার পর টিম ইন্ডিয়ার হয়ে খেলার সুযোগটিও হাতছাড়া হয়ে গেল ভারতের অভিজ্ঞ পেস বোলার শামির। ২০ সেপ্টেম্বর থেকে মোহালিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা অস্ট্রেলিয়া সিরিজে অংশ নিতে পারবেন না তিনি। কারণ করোনা সংক্রমিত হয়েছেন এই পেস বোলার। তাঁর পরিবর্তে মাঠে নামানো হচ্ছে উমেশ যাদবকে। উমেশ ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শেষ টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন। বেঙ্গালুরুর জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ইংলিশ কাউন্টি ম্যাচ খেলতে গিয়ে পেশিতে চোট পাওয়ার পর থেকে রয়েছেন রিহ্যাবে।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিসিসিআইয়ের এক সিনিয়র আধিকারিক জানান, উমেশকে শীঘ্রই দলে যোগ দিতে বলা হয়েছে। তিনি আরও জানান, শামির কোভিডের লক্ষণগুলি সাধারণ হওয়ায় তা নিয়ে বিশেষ চিন্তার কিছু নেই। তবে তাঁকে নিভৃতবাসে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্ট নেগেটিভ হলেই শামি পুনরায় দলে যোগ দিতে পারবেন। ওই আধিকারিক জানান, তিনি আশাবাদী যে শামি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরের সিরিজে মাঠে নামতে পারবেন। সেই সিরিজ শুরু হতে ১০ দিন বাকি। তাই আশা করা যায় যে, বল হাতে ওই সিরিজগুলিতে চেনা ছন্দেই ফের মাঠে দেখা যাবে শামিকে।

    আরও পড়ুন : তুমিই শিখিয়েছ কত ভালভাবে টেনিস খেলা যায়! ফেডেরারের অবসরে আবেগপ্রবণ আগাসি

    এশিয়া কাপে ভারতীয় দলের হারের পর থেকেই জাতীয় দলে শামির অনুপস্থিতি নিয়ে উঠতে থাকে প্রশ্ন। এমনকি ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ রবি শাস্ত্রীও বলেছিলেন, “শামির মতো খেলোয়াড় যদি বসে থাকে, তা আমাকে অবাক করে”। ভারতীয় এই পেশ বোলার গত নভেম্বরে ভারতীয় দলের হয়ে শেষবারের মতো টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন। ২০২২ সালে আইপিএল জয়ী গুজরাট লায়ন্সের হয়ে আইপিএলের ১৬টি ম্যাচে ২০টি উইকেট নিয়েছিলেন শামি। আইপিএলে পাওয়ার প্লে-র সময় ৬.৬২ ইকোনমিক রেটে সবচেয়ে বেশি উইকেট (১১টি) নিয়েছিলেন অভিজ্ঞ এই পেস বোলার।

    এদিকে, বছর পঁয়ত্রিশের উমেশ যাদবের টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তনও রূপকথার থেকে কম কিছু নয়। কারণ, মিডলসেক্সের সঙ্গে তার কাউন্টি সিরিজ শেষ হওয়ার আগেই চোটের কারণে মাঝ পথে ফিরে আসতে হয়েছিল তাঁকে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।  

     

  • Covid-19: পুজোর আগেই স্বস্তির খবর! ‘করোনা মহামারীর শেষ দেখা যাচ্ছে’, ঘোষণা ‘হু’ প্রধানের

    Covid-19: পুজোর আগেই স্বস্তির খবর! ‘করোনা মহামারীর শেষ দেখা যাচ্ছে’, ঘোষণা ‘হু’ প্রধানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই এক স্বস্তির খবর পাওয়া গেল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে। বুধবার হু (WHO) থেকে জানানো হয়েছে যে, কোভিড (Covid-19) এখনও পর্যন্ত পুরোপুরিভাবে চলে না গেলেও করোনাভাইরাসের শেষ হওয়ার কিছু আশা দেখা যাচ্ছে। কারণ হু থেকে দাবি করা হয়েছে যে, গত সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনভাইরাসে মৃতের সংখ্যা, ২০২০ সালের মার্চের পর থেকে সবচেয়ে কম রিপোর্ট করা হয়েছে, ফলে এটি গোটা বিশ্বের জন্য একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। কারণ প্রায় তিনবছর ধরে বিশ্বব্যাপী মানুষ লড়াই করে চলছে করোনা মহামারীর সঙ্গে।

    জেনেভায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচওর প্রধান টেড্রোস গেব্রেইসাস (Tedros Adhanom Ghebreyesus) বলেছেন, ‘মহামরারী ইতি টানার ক্ষেত্রে এর থেকে আর কখনও ভালো জায়গায় ছিলাম না। আমরা এখনও শেষ পর্যায়ে পৌঁছায়নি। কিন্তু শেষটা দেখা যাচ্ছে।’ হু-এর থেকে জানানো হয়েছে, গত সপ্তাহে মৃত্যুর হার ২২ শতাংশ কমেছে। আগের সপ্তাহে বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৩১ লাখ।

    আরও পড়ুন: “করোনা ভাইরাস ক্লান্ত নয়, আগামী মাসে ফের বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা”, সতর্কবার্তা ‘হু’ প্রধানের

    হু থেকে আরও জানানো হয়েছে যে, বিশ্বের অনেক দেশেই করোনা পরীক্ষা করার হার কমে গিয়েছে, করোনার টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রেও সব জায়গায় সমান নয়। ফলে এখন থেকেই করোনার বিরুদ্ধে লড়তে বিভিন্ন বিধিনিষেধ মেনে চলাতে হবে। কারণ শীতকাল চলে আসলেই করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করার কথা জানিয়েছে হুর প্রধান। টেড্রোস আধানম ঘেব্রেয়েসাস বলেন, ‘আমরা যদি এখন সেই সুযোগ না নিই, আমাদের সামনে আরও ভ্যারিয়েন্ট, আরও মৃত্যু, আরও বিপদ এবং আরও বেশি অনিশ্চয়তার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।’

    ফলে শীত আসার আগেই এক আগাম সতর্কতা হু-এর তরফে গোটা বিশ্ববাসীকে দেওয়া হল। আপাতত বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬১০,০৯২,৪৮২। মৃত্যু হয়েছে ৬,৫১৯,০৩২ জনের। যদিও অনেক মহলের দাবি যে, করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং মোট মৃতের সংখ্যা আরও অনেক বেশি, এবং আসল তথ্য গোপন রাখা হচ্ছে।

  • Antibody: করোনার সমস্ত ভেরিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করবে SP1-77 অ্যান্টিবডি! কী জানালেন গবেষকরা?

    Antibody: করোনার সমস্ত ভেরিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করবে SP1-77 অ্যান্টিবডি! কী জানালেন গবেষকরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস (CoronaVirus) আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, যে কোনো সময় এর সংখ্যা বাড়তে পারে। এই ভাইরাস প্রতিরোধের জন্য ভ্যাকসিনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে, তবে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমবর্ধমান বেড়ে চলার ক্ষেত্রে একটি বড় কারণ হল এর বিভিন্ন ভেরিয়েন্ট।

    কিন্তু, এরই মধ্যে গবেষকরা এক বিস্ময়কর আবিষ্কার করেছেন। তাঁরা এমন একটি অ্যান্টিবডি আবিষ্কার করেছেন যা করোনার প্রতিটি ভেরিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করতে সক্ষম। এর নাম SP1-77 (sp1-77 অ্যান্টিবডি)। SP1-77 নামক এই অ্যান্টিবডিটি বোস্টন চিলড্রেন’স হাসপাতাল এবং ডিউক ইউনিভার্সিটির গবেষকরা (Researchers at Boston Children’s Hospital and Duke University) আবিষ্কার করেছেন। এই আবিষ্কারের গবেষণাটি সায়েন্স ইমিউনোলজি জার্নালে (journal Science Immunology) প্রকাশিত হয়েছে।

    আরও পড়ুন: পটাপট খান অ্যাজিথ্রোমাইসিন! শুধু আপনি নন দেশের অনেকেই স্বচ্ছন্দ অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণে, দাবি ল্যানসেটের

    কী এই SP1-77 অ্যান্টিবডি?

    SP1-77 অ্যান্টিবডি গবেষকদের দ্বারা তৈরি একটি অ্যান্টিবডি যা এখনও পর্যন্ত করোনা ভাইরাস SARS-CoV-2-এর সমস্ত ভেরিয়েন্টকে নিষ্ক্রিয় করতে পারে। এটি মূলত এইচআইভি ভাইরাস নিষ্ক্রিয় করার জন্য আবিষ্কার করা হয়েছিল। পরে এই অ্যান্টবডি একটি মাউস মডেলের উপর ভিত্তি করে গবেষকরা তৈরি করেছেন।

    এখন এটি মিউটেশন করা হয়েছে। গবেষণায় ব্যবহৃত ইঁদুরের মানুষের মতো একই প্রতিরোধ ব্যবস্থা ছিল এবং তারপরে তাদের উপর অ্যান্টিবডি ব্যবহার করা হয়েছিল। গবেষকরা ইঁদুরের মধ্যে দুটি মানব জিন প্রবেশ করান, যা তারপরে একটি অ্যান্টিবডি তৈরি করে, যেটি মানুষও তৈরি করতে পারে। ইঁদুরগুলি তখন SARS-CoV-2 এর স্পাইক প্রোটিনের সংস্পর্শে আসে এবং গবেষকরা দেখতে পান যে এটি নয়টি ভিন্ন পরিবারের অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে যা করোনার অনেক স্পাইক প্রোটিনকে নিষ্ক্রিয় করে।  তারপরে এটি করোনার বিভিন্ন স্পাইক প্রোটিনের উপর পরীক্ষা করা হয়েছে এবং দেখা গেছে যে এটি SP1-77- COVID-19-এর ডেল্টা এবং ওমিক্রনের সমস্ত ভেরিয়েন্টেও কাজ করে।

    আরও পড়ুন: শিশুদের মধ্যেই ক্যান্সারের প্রবণতা বেশি দেখা যাচ্ছে, গবেষণায় উঠে এল নতুন তথ্য

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

  • Virus Like Particle: করোনার নতুন টিকা যা হতে পারে বেশি কার্যকরী! ঘোষণা আইআইএসসি-এর

    Virus Like Particle: করোনার নতুন টিকা যা হতে পারে বেশি কার্যকরী! ঘোষণা আইআইএসসি-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার (Corona) জন্য এবারে আরও এক টিকার খোঁজ দিলেন আইআইএসসি (Indian Institute of Science) ব্যাঙ্গালোরের বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন সারস কোভিড-২-এর ভাইরাসের ন্যায় কৃত্রিম উপায়ে একটি টিকা তৈরি করা হয়েছে যা কোভিড আক্রান্ত রোগীদের ক্ষেত্রে কার্যকরী। এক্ষেত্রে তাঁরা ‘ভাইরাস লাইক পার্টিকেল’ তৈরি করেছে।

    SARS-CoV-2 ভাইরাস গবেষণা করার জন্য ভাইরাসটির একটি স্যাম্পেল নিয়ে আলাদা রাখতে হবে ও এর একাধিক কপি তৈরি করতে হবে এবং কোনও জীবন্ত কোষে প্রবেশ করার সময় এটি রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে পারে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করা হবে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন এই ধরনের একটি অত্যন্ত সংক্রামক ভাইরাস নিয়ে কাজ করা বিপজ্জনক এবং এর জন্য একটি বায়ো সেফটি লেভেল-3 (BSL-3) ল্যাব প্রয়োজন। ফলে এই ভাইরাস নিয়ে মোকাবিলা করার পরিবর্তে বিজ্ঞানীদের একটি দল নভেল ভাইরাস-জাতীয় কণা (VLP) তৈরি করেছে এবং পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে এটি একটি অ-সংক্রামক ন্যানোস্কেল অণু যা SARS-CoV-2 ভাইরাসের মতো এবং ভাইরাসের মতই আচরণ করে কিন্তু এর স্থানীয় জেনেটিক উপাদান নেই। এই ধরণের ভাইরাস জাতীয় কণা আমাদের দেহে ইমিউনিটি তৈরি করতে একটি গবেষকরা বলেছেন। তাঁরা আরও বলেছেন, এই ভিএলপি গুলি ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।

    আরও পড়ুন: মুখ থুবড়ে পড়েছে চিনের ‘জিরো কোভিড নীতি’, ফের লকডাউনে জিনপিং- এর দেশ

    এক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, যখন মহামারী শুরু হয় তখন তেকেই  তাঁর দল SARS-CoV-2-এর জন্য একটি VLP-তে কাজ শুরু করেছে। তাঁদের প্রথমে কৃত্রিমভাবে একটি VLP সংশ্লেষিত করতে হয়েছিল, যেখানে চারটি কাঠামোগত প্রোটিন – স্পাইক, এনভেলপ, মেমব্রেন এবং নিউক্লিওক্যাপসিড যা প্রকৃত ভাইরাসেও দেখা যায়।

    দেখা গিয়েছিল, ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে এবং ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসে (মানুষের স্বাভাবিক তাপমাত্রা) কোষে প্রবেশ করতে সক্ষম হয়েছিল। গবেষকদের মতে দলটি যখন ইঁদুরের মধ্যে VLP-এর উচ্চ মাত্রার ইনজেকশন দেয়, তখন এটি লিভার, ফুসফুস বা কিডনি টিস্যুতে কোনও প্রভাব ফেলেনি। এরপর ১৫ দিনের ব্যবধানে ইঁদুরের মডেলগুলিতে একটি প্রাথমিক শট এবং দুটি বুস্টার শট দেওয়া হয়েছে, তারপরেই তাঁরা দেখেছেন যে, এটি ইঁদুরের রক্তের সিরামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবডি তৈরি করেছে। এই অ্যান্টিবডিগুলি ভাইরাসকে নিরপেক্ষ করতেও সক্ষম ছিল। অর্থাৎ যে এটি প্রাণীদের রক্ষা করছে।

    গবেষকরা তাদের ভিএলপির জন্য একটি পেটেন্টের জন্য আবেদন করেছেন এবং এই ভ্যাকসিন কোভিডে আক্রান্ত রোগীদের জন্য কার্যকরী হতে পারে। ফলে তাঁরা পরবর্তীতে অন্যান্য প্রাণী এবং অবশেষে মানুষের উপর VLP এর প্রভাব পর্যবেক্ষণ করার পরিকল্পনা করেছেন। গবেষকরা বলেছেন যে ভিএলপি ওমিক্রন এবং কোভিডের অন্যান্য ভেরিয়েন্টের বিরুদ্ধে সুরক্ষা দিতেও সক্ষম হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।    

  • Tomato Flu: কোভিড এবং টোম্যাটো জ্বরের উপসর্গে অনেকটাই মিল, পার্থক্য বুঝবেন কীভাবে?

    Tomato Flu: কোভিড এবং টোম্যাটো জ্বরের উপসর্গে অনেকটাই মিল, পার্থক্য বুঝবেন কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Corona), মাঙ্কি পক্সের (Monkey Pox) আতঙ্ক তো ছিলই এখন আবার নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে টোম্যাটো জ্বর (Tomato Fever)। আগের ভাইরাসগুলোর সঙ্গে সামলে ওঠার আগেই এবার ভারতে হানা দিয়েছে টোম্যাটো ফ্লু। কেরালা, ওড়িশা সহ বিভিন্ন রাজ্যে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে বহু শিশু। সাধারণত ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদেরকেই এই জ্বরে বেশি আক্রান্ত হতে দেখা যাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত ৮২ জন শিশু এই জ্বরে আক্রান্ত বলে জানা গিয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সূত্রে খবর, অধিকাংশ আক্রান্ত কেরালার কোল্লাম (Kollam) জেলায় দেখা গিয়েছে। এই ভাইরাসের ক্ষেত্রে শিশুদেহে লাল ফোসকা দেখা যায় ও এর সঙ্গে ত্বকে জ্বালাও অনুভূত হয়।

    আরও পড়ুন: মাঙ্কি পক্সের পর এবারে চোখ রাঙাচ্ছে টোম্যাটো ফ্লু! কী এর উপসর্গ, জানুন…

    তবে অনেকেই টোম্যাটো ফ্লু বা টোম্যাটো জ্বরের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে পারেন না। তাই এই দুই ভাইরাসের কী কী উপসর্গ আছে তা ভালো করে জেনে রাখা দরকার। যদিও করোনা ও টোম্যাটো ফ্লু-এর কিছু উপসর্গ এক হতে পারে। যেমন- জ্বর, গা ব্যথা, ক্লান্তি। আবার কোভিডে আক্রান্ত রোগীদেরও গায়ে ফোসকা মত দেখা গিয়েছিল। কিন্তু টোম্যাটো ফ্লু-এর সঙ্গে সারস-কোভিড-২ এর কোনও সম্পর্ক নেই। টোম্যাটো ফ্লু একটি বিরল প্রকৃতির ভাইরাল ইনফেকশন এবং এটি আবার হাত-পা-মুখের রোগের (hand-foot-and-mouth disease) (HFMD) নতুন ভ্যারিয়েন্ট হতে পারে। হাত-পা-মুখের রোগে সাধারণত শিশুদের মুখে ঘা, হাতে পায়ে ফোসকা হয়। তবে, এই ভাইরাসের প্রধান লক্ষণগুলো হল গায়ে টোম্যাটোর মতো লাল রঙের ফোসকা (Blister)। এছাড়াও জ্বর, ত্বকে জ্বালা, সর্দি, কাশি, ডায়রিয়া, বমি, পেট ব্যথা ও শরীরে ব্যথা হয়। তবে কোভিডের ক্ষেত্রে আক্রান্তের গায়ে টোম্যাটোর মতো লাল রঙের বড় বড় ফোসকা দেখা যায়না।

    আরও পড়ুন: “করোনা ভাইরাস ক্লান্ত নয়, আগামী মাসে ফের বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা”, সতর্কবার্তা ‘হু’ প্রধানের

    আবার টোম্যাটো জ্বরের সঙ্গে অন্যান্য রোগের উপসর্গও এক হতে পারে। যেমন- তীব্র জ্বর, ফোসকা, জয়েন্টে ব্যথা ইত্যাদি চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর ক্ষেত্রেও দেখা যায়। অন্যদিকে জ্বর, ডায়রিয়া, বমি, পেট ব্যথা, ক্লান্তি ও শরীরে ব্যথা ইত্যাদি টোম্যাটো জ্বরের লক্ষণ ডেঙ্গুর ক্ষেত্রেও দেখা যায়।

     

  • Tomato Flu: করোনা, মাঙ্কি পক্সের পরে এবারে নতুন আতঙ্ক টোম্যাটো ফ্লু, নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র

    Tomato Flu: করোনা, মাঙ্কি পক্সের পরে এবারে নতুন আতঙ্ক টোম্যাটো ফ্লু, নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনা (Corona), মাঙ্কি পক্সের (Monkey Pox) পর নতুন করে আতঙ্কের সৃষ্টি করছে টোম্যাটো ফ্লু (Tomato Flu)। ‘হ্যান্ড, ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ’ (HFMD) বা টোম্যাটো ফ্লু (Tomato Flu) নিয়ে নির্দেশিকা জারি করল কেন্দ্র। এবার ক্রমবর্ধমান এই উদ্বেগের মধ্য়েই কেন্দ্রের তরফে নির্দেশিকা পাঠানো হল দেশের সমস্ত রাজ্যে। টোম্য়াটো ফ্লু নিয়ে সমস্ত রাজ্যকে সতর্ক করল কেন্দ্র। কারণ এখনও পর্যন্ত এর কোনও ওষুধ নেই। 

    এই নির্দেশিকাতে বলা হয়েছে, এই রোগ সাধারণত ১-১০ বছরের বাচ্চাদের মধ্যে হচ্ছে এবং কিছু প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যেও দেখা গিয়েছে। সাধারণত ফ্লু-এর মতই এই রোগের লক্ষণ যেমন- জ্বর, গা হাত পা ব্যথা, ক্লান্তি, ত্বকে র‌্যাশ হওয়া ইত্যাদি।  কিন্তু এটির সঙ্গে সারস কোভ-২, মাঙ্কিপক্স, ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। এই রোগ থেকে মুক্তির প্রথম উপায় হল চারপাশে স্যানিটাইজ করা ও পরিস্কার রাখা। এই রোগে আক্রান্ত হলে রোগীকে কমপক্ষে ৫-৭ দিনের জন্য আইসোলেশনে থাকতে হবে। এই নির্দেশিকাতে আরও বলা হয়েছে, সংক্রমিত শিশুর সংস্পর্শে আসা উচিত নয়। জ্বর হয়েছে এবং ব়্যাশ দেখা গিয়েছে এরকম শিশুদের আলিঙ্গন করতে বারণ করুন নিজের সন্তানকে। এই রোগের জন্য এখনও কোনও ওষুধ, ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়নি।

    আরও পড়ুন: কোভিড এবং টোম্যাটো জ্বরের উপসর্গে অনেকটাই মিল, পার্থক্য বুঝবেন কীভাবে?

    গত ৬মে ২০২২- এ প্রথম এই রোগটি কেরলার কোল্লামে দেখা যায়। পাঁচ বছরের নীচের বয়সের ৮২টি শিশু এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এছাড়া ওড়িশাতেও ২৬ জনের শরীরে এই রোগের জীবাণু পাওয়া যায়। তবে কেরালা, তামিলনাড়ু, ওড়িশা ছাড়া আর কোনও রাজ্যে এই রোগটি মেলেনি।

    কী এই টোম্যাটো ফ্লু

    এটি একটি ছোঁয়াচে রোগ। এই রোগের প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ত্বকের বিভিন্ন জায়গায় টোম্যাটো আকৃতির লাল ফোসকা। এর সঙ্গে ত্বকে জ্বালাও অনুভূত হয়। অন্যান্য ফ্লুয়ের মতই এই রোগের লক্ষণ। জ্বর, গায়ে হাত পায়ে ব্যথা, ত্বকের ওপর র‌্যাশ ইত্যাদি। এছাড়া ক্লান্তি, বমিভাব, দুর্বলতা, ডায়েরিয়া, ডিহাইড্রেশন ইত্যাদি। প্রথমে জ্বর, মুখের ভিতর জ্বালা এবং ত্বকের ওপর র‌্যাশ দিয়ে শুরু হয়। অনেকসময় হাল্কা জ্বর, খিদে না থাকা এবং গলা ব্যাথাও হতে পারে। জ্বর হওয়ার দু-তিন দিনের মধ্যেই ফোসকা পরে এবং তারপর সেগুলি বড় হয় এবং ঘা হয়ে যায়। এগুলি সাধারণত জিভে, মাড়িতে, গালের ভেতর এবং হাতের তালুতে হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ। 

  • Covid 19: ভয় ধরাচ্ছে করোনা, দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৬,০৪৭ জন, মৃত্যু ৫৪ জনের 

    Covid 19: ভয় ধরাচ্ছে করোনা, দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৬,০৪৭ জন, মৃত্যু ৫৪ জনের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  ফের ঊর্ধ্বমুখী করোনা সংক্রমণ (Covid 19)। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬,০৪৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এই নিয়ে এযাবৎ দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪,৪১,৯০,৬৯৭। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৫৪ জনের। এই অবধি এ দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৫,২৬,৮২৬ জনের। 

    এই মুহূর্তে দেশে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১,২৮,২৬১। এই মুহূর্তে সুস্থতার হার ৯৮.৫%। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯,৫৩৯ জন। এই অবধি গোটা দেশে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৪,৩৫,৩৫,৬১০ জন।

    আরও পড়ুন: কোভিডের এই ১৩টি উপসর্গকে কখনই অবহেলা করবেন না, অবিলম্বে পরীক্ষা করান

    মুম্বইয়ে (Mumbai) বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। একদিনে সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ৭৯ শতাংশ। স্বপ্ননগরী মুম্বইয়ে করোনার এই বাড়বাড়ন্ত রীতিমতো উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় মুম্বইয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৫২ জন। এই সময়ে সেখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছে সাত জনের। ১ জুলাইয়ের পর থেকে এটাই মুম্বইয়ে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। ১ জুলাই মুম্বইয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭৮ জন এবং সেখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছিল দুই জনের। 

    দিল্লিতেও (Delhi) বাড়ছে সংক্রমণ। একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ২,১৪৬ জন। ১৮০ দিনের মধ্যেই এটাই সর্বোচ্চ সংক্রমণ। পজিটিভিটি রেট ১৭.৮৩%। মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এর আগে ১৩ ফেব্রুয়ারি দিল্লিতে ১২ জনের মৃত্যু হয়েছিল।

    আরও পড়ুন: ফের নয়া ভাইরাস-আতঙ্ক চিনে! করোনার থেকেও বেশি প্রাণঘাতী ‘ল্যাংয়া হেনিপাভাইরাস’? 

    পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) করোনা সংক্রমণ সামান্য কমেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫১৯ জন। মঙ্গলবার এই পরিসংখ্যানটা ছিল ৫২৫। রাজ্য়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা প্রাণ কেড়েছে ৫ জনের। বর্তমানে রাজ্যে কোভিড পজিটিভিটির হার ৯৮.৬৬ শতাংশ। করোনা মহামারী শুরুর দিন থেকে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২১ লাখ ৪৭৭। তাঁদের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২০ লাখ ৭২ হাজার ৪২১ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৪১০ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৯ হাজার ২১৪ জনের।

  • Bangladesh: চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

    Bangladesh: চিনা ঋণের ফাঁদ থেকে সাবধান! সতর্কবার্তা বাংলাদেশি মন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জ্বালানির দাম (Fuel Price) লাগামছাড়া। তার জেরে প্রতিবাদে মুখর হয়েছে ভারতের (India) প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ (Bangladesh)। দেশের বিভিন্ন পেট্রল পাম্পে চলছে বিক্ষোভ প্রদর্শন। উঠেছে দাম কমানোর দাবিও। আর্থিক সঙ্কট থেকে মুক্তি পেতে শেখ হাসিনার দেশ দ্বারস্থ হয়েছে আইএমএফের (IMF)। বাংলাদেশকে ঋণ দিতেও রাজি হয়েছে আইএমএফ। করোনা (Covid 19) সঙ্কট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে ২ হাজার ৮৪৫ কোটি ৮০ লক্ষ টাকা ঋণ দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। এমতাবস্থায় চিনের মাধ্যমে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের উন্নয়নশীল দেশগুলিকে সতর্ক করলেন বাংলাদেশের অর্থমন্ত্রী এএইচএম মুস্তাফা কামাল। কিছুদিন আগেই ঢাকা সফরে এসে হাসিনার সঙ্গে দেখা করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। তার পরেই কামালের এই ‘সতর্কতা’ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ।

    আরও পড়ুন :দেশভাগ যন্ত্রণার! এক হোক ভারত-পাকিস্তান-বাংলাদেশ, চান হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী

    কামাল বলেন, বিশ্বজুড়েই বাড়ছে মুদ্রাস্ফীতি। তাই এই সময় ঋণ নিলে উন্নয়নের গতি কমে গিয়ে চাপ পড়বে বাজারে। এর পরেই শ্রীলঙ্কার প্রসঙ্গ টানেন তিনি। চিনের কাছেও পরিকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ঋণ নিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। চিনা ঋণের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গিয়েছে দ্বীপরাষ্ট্র। বাধ্য হয়েছিল নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণা করতে। কামাল বলেন, অন্য গরিব দেশগুলিকে ঋণ দিয়ে আরও চাপে ফেলার আগেই আগামী দিনের অবস্থা কী হবে, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করতে হবে চিনকে। তিনি বলেন, বিশ্ব অর্থনীতির এই হালের জন্য সবাই দায়ী করছে চিনকে। আর এই দায় অস্বীকারও করতে পারে না চিন। কামাল বলেন, শ্রীলঙ্কার এই সঙ্কট দেখার পরে আমাদেরও বেশি এবং ভালো করে চিন্তাভাবনা করতে হচ্ছে। কারণ কোনও দেশকে ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনও প্রকল্প ভালো করে খুঁটিয়ে দেখা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে চিনকে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে। কারণ এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

    আরও পড়ুন : চরম বিদ্যুৎ সংকটে বাংলাদেশ! নিয়মিত লোডশেডিংয়ের সিদ্ধান্ত

    প্রসঙ্গত, গত মাসেই আইএমএফের কাছে ঋণ চেয়েছে বাংলাদেশ। এই জন্যই জ্বালানি সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ভর্তুকি তুলে নেওয়ার জন্য শর্ত দিয়েছে আন্তর্জাতিক ওই সংস্থা। তার পরেই জ্বালানির দাম বাড়িয়েছে বাংলাদেশ সরকার। যার প্রতিবাদে শুরু হয়েছে দেশজুড়ে বিক্ষোভ।

     

  • Covid Booster Dose: পুজোর আগেই ৫ কোটি বুস্টার ডোজ দেওয়া সারতে হবে, নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের 

    Covid Booster Dose: পুজোর আগেই ৫ কোটি বুস্টার ডোজ দেওয়া সারতে হবে, নির্দেশ স্বাস্থ্য দফতরের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর আগেই রাজ্যের সমস্ত যোগ্য প্রাপককে  কোভিড টিকার বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শেষ করতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর (Health Department)। নবান্নে (Nabanna) আজ রাজ্যের সাস্থ্য সচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের নেতৃত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য সচিব সহ দফতরের অন্যান্য আধিকারিক,সব জেলাশাসক ও জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিকেরা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে এখনও পর্যন্ত রাজ্যে ছ কোটির বেশি মানুষ কোভিডের প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন। এদের মধ্যে ১ কোটি ২১ লক্ষ ৬৫ হাজার মানুষ বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। বাকি ৫ কোটির বেশি মানুষের এখনও পর্যন্ত এই বুস্টার ডোজ বকেয়া রয়েছে। তাঁরা যাতে পুজোর আগেই বুস্টার ডোজ পান তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আশা কর্মীদের এই কাজে নিযুক্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে রাজ্যে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মিশনের দেওয়া টাকা সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে নির্দিষ্ট খাতে খরচ করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: “করোনা ভাইরাস ক্লান্ত নয়, আগামী মাসে ফের বাড়বে আক্রান্তের সংখ্যা”, সতর্কবার্তা ‘হু’ প্রধানের

    প্রসঙ্গত, স্বাস্থ্য মিশনের টাকা ইতিমধ্যেই রাজ্যগুলিকে পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আশাকর্মী নিয়োগের কাজ শেষ করার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। 

    শনিবার স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের (Ministry of Health and Family Welfare) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছেন ১৩,২৭২ জন। গতকাল যে সংখ্যাটা ছাপিয়েছিল ১৫ হাজারের গণ্ডি। সংক্রমণের পাশাপাশি গত ২৪ ঘণ্টায় খানিকটা কমেছে অ্যাকটিভ কেস। দেশের সক্রিয় রোগী বর্তমানে ১ লক্ষ ১ হাজার ১৬৬ জন। গোটা দেশে অ্য়াকটিভ কেসের হার কমে হয়েছে ০.২৩ শতাংশ। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের বুলেটিন অনুযায়ী, ভারতে একদিনে করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬ জন। দেশে এখনও পর্যন্ত কোভিডে মোট মৃতের সংখ্যা ৫ লক্ষ ২৭ হাজার ২৮৯।

    আরও পড়ুন: হু হু করে বাড়ছে দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনে আক্রান্ত ১২ হাজারের বেশি

    এই পরিস্থিতিতে করোনা নিয়ে আগে থেকেই সতর্ক থাকতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাই পুজোর উৎসবে, জমায়েতের কারণে যাতে কোনওভাবেই রোগের বাড়বাড়ন্ত না হয়, সেই দিকে খেয়াল রাখতেই তড়িঘড়ি এই ব্যবস্থা।  

  • Corbevax Booster Dose: কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের পর বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কর্বেভ্যাক্সও, অনুমোদন কেন্দ্রের

    Corbevax Booster Dose: কোভিশিল্ড-কোভ্যাক্সিনের পর বুস্টার ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে কর্বেভ্যাক্সও, অনুমোদন কেন্দ্রের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুস্টার ডোজ (Booster Dose) নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত কেন্দ্রের। এতদিন কোভিডের টিকা হিসেবে কোভিশিল্ড (Covishield) ও কোভ্যাক্সিন (Covaxin) ব্যবহার করা হত। করোনা (Corona) প্রতিষেধক হিসেবে বুস্টার ডোজেও অনুমোদন পেয়েছিল কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ড। এবার কোভ্যাক্সিন ও কোভিশিল্ডের সঙ্গে অনুমোদন পেল কর্বেভ্যাক্সও (Corbevax)। দেশে এই প্রথম বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা হবে কর্বেভ্যাক্সকে। এই টিকা এতদিন প্রাথমিক ডোজ হিসেবে ব্যবহৃত হত। এই প্রথমবার যে, করোনা প্রতিরোধে ব্যবহৃত প্রথম ভ্যাকসিন থেকে অন্য ভ্যাকসিন বুস্টার ডোজ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।

    কেন্দ্রের স্বাস্থ্য দফতর থেকে কর্বেভ্যাক্সকে এই ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য প্রফিল্যাকটিক ডোজ হিসেবে বায়োলজিক্যাল ই কর্বেভ্যাক্স (Biological E’s Corbevax) ব্যবহার করা যাবে। অর্থাৎ যেসব ব্যক্তিরা কোভিড ভ্যাক্সিনে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন দুটি ডোজ নিয়েছেন তারা এখন থেকে তৃতীয় ডোজে কর্বেভ্যাক্স নিতে পারবেন।

    আরও পড়ুন: ভয় ধরাচ্ছে করোনা, দেশে একদিনে আক্রান্ত ১৬,০৪৭ জন, মৃত্যু ৫৪ জনের

    জাতীয় প্রযুক্তিগত উপদেষ্টা গ্রুপের (NTAGI) সুপারিশ মেনে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সিদ্ধান্তে বলা হয়েছে, ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার তারিখ থেকে ছয় মাস বা ২৬ সপ্তাহ শেষ হওয়ার পর কর্বেভ্যাক্স সতর্কতামূলক ডোজ হিসেবে নেওয়া যাবে।

    সূত্রের খবর, এই কর্বেভ্যাক্স হল ভারতের প্রথম দেশীয়ভাবে তৈরি আরবিডি প্রোটিন সাবুনিট ভ্যাকসিন যা ১২ থেকে ১৪ বছর বয়সি শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০ জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত একটি বৈঠকে কোভিড-১৯ ওয়ার্কিং গ্রুপ একটি ডাবল ব্লাইন্ড ব়্যান্ডমাইজড ফেজ-৩ ক্লিনিক্যাল স্টাডি থেকে তথ্য নিয়ে পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, করোনার সতর্কতামূলক বুস্টার ডোজ হিসেবে এই কর্বেভ্যাক্স মানব শরীরে ইমিউনিটি গড়ে তুলতে পারছে। এমনকি অ্যান্টিবডি গঠনেও সাহায্য করছে। ১৮ থেকে ৮০ বছর বয়সি স্বেচ্ছাসেবক যাঁরা আগে কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিন ডোজ পেয়েছিলেন, তাঁদের শরীর এই টিকা প্রয়োগ করে দেখা হয়, এর ফলে তাদের শরীরে ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল (Drugs Controller General of India) বা ডিজিসিআই কর্বেভ্যাক্সকে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের জন্য প্রফিল্যাকটিক ডোজ হিসেবে অনুমোদন দিয়েছে। উল্লেখ্য ১০ এপ্রিল থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়সিদের কোভিড ১৯ টিকার প্রফিল্যাকটিক ডোজ বা বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হয়।

     

     

LinkedIn
Share