Tag: cow milk

cow milk

  • Non Veg Milk: ভারতে ‘আমিষ দুধ’ পাঠাতে চান ট্রাম্প, না মোদি সরকারের! তাই কি থমকে বাণিজ্যচুক্তি?

    Non Veg Milk: ভারতে ‘আমিষ দুধ’ পাঠাতে চান ট্রাম্প, না মোদি সরকারের! তাই কি থমকে বাণিজ্যচুক্তি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-আমেরিকা বাণিজ্য চুক্তির অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছে ‘নন-ভেজ দুধ’ (Non Veg Milk)। দুধ আবার আমিষ! মহাদেবের অভিষেক থেকে শুরু করে নানা পুজোয় দুধ লাগে। হোমে আহুতি দিতে অত্যাবশ্যক ঘি। তা-ও যদি আমিষ হয় তাহলে তা হবে ভারতীয় তথা হিন্দু সংস্কৃতির উপর আঘাত। বেশি দুধ উৎপাদনের জন্য গরুকে মাংস বা প্রাণীর চর্বি খাওয়ানোর রেওয়াজ রয়েছে আমেরিকায়। এই দুধকেই বলা হচ্ছে নন-ভেজ মিল্ক। যা নিয়ে আপত্তি ভারতের। তাই আমেরিকার “নন-ভেজ দুধ”-এ নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মোদি সরকার। আর তাতেই চটেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

    কী এই ‘নন-ভেজ দুধ’?

    বেশি দুধ উৎপাদনের জন্য গরুকে মাংস বা প্রাণীর চর্বি খাওয়ানো হয় অনেক দেশেই। সেই সব গরু যে দুধ দেয় তাকেই বলা হয় নন ভেজ দুধ। ২০০৪ সালে সেটল পোস্ট ইন্টালিজেন্সর (Seattle Post-Intelligencer)-এর একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, মার্কিন গরুর খাদ্যে ব্যবহৃত হয় মৃত পশুর রক্ত, চর্বি ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গ। এই প্রথা এখনও যুক্তরাষ্ট্রে বৈধ, বিশেষত প্রাণিসম্পদ দ্রুত মোটা করার জন্য। ভারতীয় নিয়ম অনুযায়ী, গরুদের শুধুমাত্র উদ্ভিজ্জ খাদ্য দেওয়া হয়। পশুজাত খাদ্য গ্রহণ করা গরুর দুধ হিন্দু ও জৈন ধর্মাবলম্বীদের কাছে অশুচি ও অগ্রহণযোগ্য। এ-দেশে বহু নিরামিষভোজী মানুষ দুধ এবং দুগ্ধজাত খাবার খান। আবার কখনও পুজোআচ্চাতেও দুধ ব্যবহার করা হয়। তাই দুধ আমিষ হলে খাদ্য-সংস্কৃতিই বিপন্ন হবে। ঠিক এই গেরোতেই আটকে আছে ভারত-মার্কিন বাণিজ্যচুক্তি।

    সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সংবেদনশীলতা

    ভারতের একটি বিরাট অংশের মানুষ নিরামিষ খান। ওয়ার্ল্ড অ্যাটলাস ২০২৩ (World Atlas 2023) অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৩৮ শতাংশ মানুষ নিরামিষভোজী। তাঁদের কাছে দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্য নিরামিষ হিসেবেই বিবেচিত। কিন্তু গোরুকে যদি আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়, তা হলে সেটি নিরামিষ থাকবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। হিন্দু ধর্মে গোরুকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মানা হয়। দিল্লির গ্লোবাল ট্রেড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের এক কর্তা অজয় শ্রীবাস্তব সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, ‘একবার ভেবে দেখুন তো, এমন একটি গোরুর দুধ থেকে তৈরি মাখন খাচ্ছেন যাকে অন্য কোনও প্রাণীর মাংস বা আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়েছে। ভারতবাসী কখনওই এটা অনুমোদন করবে না।’

    অর্থনৈতিক প্রভাব

    ভারত বিশ্বের বৃহত্তম দুধ উৎপাদক ও ভোক্তা হিসেবে পরিচিত। দেশের ৮ কোটিরও বেশি মানুষ এই জীবিকার উপরে নির্ভরশীল। অধিকাংশই ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২৩৯ মিলিয়ন মেট্রিক টন দুধ উৎপন্ন হয়েছে ভারতে। যার বাজার মূল্য ₹৭.৫ থেকে ₹৯ লাখ কোটি। অন্য দিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি প্রধান দুধ রফতানিকারক দেশ। ভারতের দাবি, এই চুক্তি ভারতের বাজারের ক্ষতি করতে পারে। এর ফলে দুধের দাম কমে যেতে পারে অন্তত ১৫%, এমনটাই বলছে স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার (State Bank of India) এক বিশ্লেষণ। এতে কৃষকদের বছরে ₹১.০৩ লাখ কোটি টাকার ক্ষতি হতে পারে। ভারতের দুগ্ধশিল্প গ্রামীণ অর্থনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত। তাই কৃষকদের জীবনধারা সুরক্ষিত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়। ভারত বর্তমানে পনিরের উপরে ৩০%, মাখনের উপরে ৪০% এবং গুঁড়ো দুধের উপরে ৬০% শুল্ক আরোপ করে।

    ভারতের অনড় অবস্থান ও আন্তর্জাতিক চাপ

    ভারত আমদানি করা দুধ বা দুগ্ধজাত পণ্যের মান কঠোর ভাবে বজায় রাখতে চায়। সে ক্ষেত্রে অন্য কোনও দেশ থেকে ভারতে দুগ্ধজাত দ্রব্য আমদানি করার ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক পশু চিকিৎসার সার্টিফিকেশন। ভারতের নিয়ম অনুযায়ী, পণ্যের লেবেলে নিরামিষ (সবুজ চিহ্ন) এবং আমিষ (বাদামী চিহ্ন) স্পষ্ট ভাবে চিহ্নিত করা বাধ্যতামূলক। কিন্তু ‘নন-ভেজ দুধ’ বাজারে এলে এই ব্যবস্থা জটিল হয়ে পড়বে। এমনকী, ভোক্তাদের মধ্যেও বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে। ভারত তার সিদ্ধান্তে অনড়। অন্য দিকে, পিছপা হতে রাজি নয় আমেরিকাও। সে দেশের তরফে ভারতের এই যুক্তির তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। এমনকী, এই বিষয়গুলিকে অপ্রয়োজনীয় বাণিজ্য বাধা বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে। যে সব দেশে গরুকে আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়ানো হয়, তাদের সঙ্গে কোনও রকম চুক্তি করতে চায় না ভারত, এমনটাই সূত্রের খবর। এ দেশের বেশির ভাগ মানুষ গরুকে ভগবান হিসেবে পুজো করেন। সেই কারণেই বিষয়টি ভারতের কাছে অত্যন্ত সংবেদনশীল। ভারতের কাছে বিষয়টি নিছক একটি বাণিজ্যিক চুক্তি নয়। বরং এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দেশের সংস্কৃতি, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং বহু মানুষের রুটি-রুজির বিষয়। সেই কারণে ভারত এই আলোচনাকে ‘রেড লাইন’ (Red Line on US Dairy Product) হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

  • Cow Milk: গরুর দুগ্ধে কী কী গুণ আছে, স্বাস্থ্যের উপকারিতায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন?

    Cow Milk: গরুর দুগ্ধে কী কী গুণ আছে, স্বাস্থ্যের উপকারিতায় কতটা গুরুত্বপূর্ণ জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরুর দুধ (Cow Milk) অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টিকর খাবার। দুধ উৎস গুণে একটি সমৃদ্ধকারী খাবার। বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যকর (Health Benefits) খাদ্যের তালিকায় একটি নির্ভরযোগ্য খবার হল গরুর দুধ। ভারতের মতো দেশে মাতৃদুগ্ধের ঠিক পরেই খাবার হিসেব বিবেচিত হয় গরুর দুধকে। সেই জন্য গরুকে গোমাতা হিসেব পুজো করা হয়। তাঁকে দেওয়া হয়েছে দেবতার স্থান। এই খাবারে বিভিন্ন সুবিধাজনক দিক রয়েছে। যেমন-হাড়ের স্বাস্থ্য থেকে পেশী পুনরুদ্ধার পর্যন্ত সবকিছুকে সতেজ রাখার জন্য প্রথম সারির খাবর হল গরুর দুধ।

    গরুর দুধ দীর্ঘদিন ধরে প্রকৃতির অন্যতম পুষ্টিকর পানীয় হিসেবে গ্রহণ করা হয়। অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এবং এর ব্যবহারে বহুমুখী উপকারিতা রয়েছে এই প্রোটিন যুক্ত খাবারে। বিভিন্ন রন্ধনসম্পদের মূল উপাদান থেকে শুরু করে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য পুষ্টির প্রাথমিক উৎস হিসাবে পরিবেশন করা হয় গরুর দুধকে। সুস্বাস্থের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং চিত্তাকর্ষক পানীয় খাবার দুধ। গরুর দুধ উপকারিতা আসুন জেনে নিই।

    পুষ্টিসমৃদ্ধতা (Cow Milk)

    গরুর দুধ (Cow Milk) অত্যাবশ্যক পুষ্টিগুণে ভরপুর খাবার। পুষ্টির (Health Benefits) একটি চমৎকার উপাদান রয়েছে দুধে। এক কাপ সম্পূর্ণ গরুর দুধে সাধারণত নিম্নলিখিত উপাদান থাকে। যেমন-ক্যালসিয়াম- শরীরের হাড়কে স্বাস্থ্যকর  এবং শক্ত সবল করে। সেই সঙ্গে দাঁতের জন্য অপরিহার্য। প্রোটিন-পেশীর শক্তি বৃদ্ধি এবং মেরামতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দুধ। একই ভাবে থাকে ভিটামিন-ভিটামিন এ, ডি, এবং বি ১২। এসবের গুণে বিভিন্ন শারীরিক ক্রিয়াকলাপকে সতেজ রাখে। খনিজের মধ্যে থাকে যেমন-পটাসিয়াম এবং ফসফরাস, যা হার্টের স্বাস্থ্য এবং শক্তি উৎপাদনের জন্য অত্যাবশ্যক। দেহে পুষ্টির ক্ষেত্রে গরুর দুধ, বড় থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের জন্য একটি অপরিহার্য খাবার।

    হাড়ের সুস্বাস্থ্য

    গরুর দুধের (Cow Milk) অন্যতম উল্লেখযোগ্য উপকারিতা হল মজবুত হাড় বৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। উচ্চ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি কন্টেন্ট হাড়ের ঘনত্বকে মজবুত করে। একই ভাবে বিশেষ করে বয়স্কদের ক্ষেত্রে অস্টিওপরোসিস প্রতিরোধে সাহায্য করে। গরুর দুধের নিয়মিত সেবনে মজবুত হাড় বজায় রাখে এবং ফ্র্যাকচারের ঝুঁকি কমায়।

    পেশীর উন্নয়ন এবং পুনরুদ্ধার

    ক্রীড়াবিদ এবং কর্মঠ ব্যক্তিদের জন্য গরুর দুধ একটি চমৎকার খাবার। কারণ কাজের পর অর্থাৎ পোস্ট ওয়ার্কআউট পুনরুদ্ধারের জন্য অত্যাবশ্যক পানীয়। দুধের প্রোটিন পেশী মেরামত এবং বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। একই ভাবে কার্বোহাইড্রেট শক্তি সঞ্চয়গুলি পূরণ করতে সহায়তা করে। দুধে (Cow Milk) প্রোটিন এবং কার্বোহাইড্রেটের ভারসাম্য বজায় থাকে শরীরে।

    হার্টের স্বাস্থ্য

    গরুর দুধে ব্যাপক পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে। যা খাদ্যে সোডিয়ামের প্রভাবকে ভারসাম্য বজায় রেখে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে গরুর দুধ সহ দুগ্ধজাত দ্রব্য খাবার হৃদরোগের ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। শরীরে মেদ বা চর্বির উপস্থিতি থাকলে, দুধ পরিমিত পরিমাণে খাওয়া হলে কার্ডিওভাসকুলারকে নিয়ন্ত্রণে রাখে।

    হজম বৃদ্ধি করে

    সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে গেলে পাচক বা হজমের কার্যকারিতা একান্ত প্রয়োজন। গরুর দুধ (Cow Milk) হল প্রোবায়োটিকের উৎস। দুধ থেকে উৎপন্ন দই বা বাটার মিল্ক হজমের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। দইয়ে ল্যাকটোজ থাকে, যা পেট ঠাণ্ডা এবং খাবারকে পাচিত করতে সাহায্য করে। এই উপকারী (Health Benefits) ব্যাকটেরিয়া একটি সুষম মাইক্রোবায়োম প্রচার করে অন্ত্রের স্বাস্থ্যকেও সতেজ এবং সুস্থ্য রাখে।

    হাইড্রেশন

    গরমে দুধ (Cow Milk) সামগ্রি দিয়ে তৈরি ঘোল ভীষণ ভাবে উপকারী। শরীরে হাইড্রেশনের মাত্রা ঠিক রাখে। এটি তৃষ্ণা নিবারণের জন্য একটি চমৎকার পছন্দ এবং প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহকারী খাবার। এটি একটি বিকল্প সতেজ পানীয় হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

    ত্বকের স্বাস্থ্য

    গরুর দুধের পুষ্টিগুণ ত্বকের জন্যও ভীষণ ভাবে উপকারী।দুধে পাওয়া ল্যাকটিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক এক্সফোলিয়েন্ট হিসেবে কাজ করে ত্বকে। মৃত কোষ অপসারণ করে এবং স্বাস্থ্যকর উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে দুধ। অনেকে স্কিন কেয়ার প্রোডাক্টে দুধকে এর ময়শ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্যের জন্য অন্তর্ভুক্ত করে থাকে। ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য একটি মূল্যবান উপাদান হল দুধ।

    পুষ্টির পাওয়ার হাউস হল দুধ

    গরুর দুধ (Cow Milk) হল একটি পুষ্টির পাওয়ার হাউস, যা বিস্তৃত পরিসরের স্বাস্থ্য উপকারিতা প্রদান করে থাকে নানা ভাবে। হাড়ের স্বাস্থ্যকে থেকে শুরু করে পেশী পুনরুদ্ধারে সহায়তা করা এবং হজম (Health Benefits) সহ-একাধিক সুবিধাগুলি পাওয়া যায়। আবার দৈনন্দিন খাবারের রুটিনে গরুর দুধ অন্তর্ভুক্ত করলে সামগ্রিক ভাবে সুস্থতাকে বৃদ্ধি করা যায়। দুধ থেকে তৈরি মাখন, ঘি, ছানা, পনির, মিষ্টি, সন্দেশ, পায়েস ইত্যাদি বেশ পুষ্টিকর খবার হিসেব ব্যবহার হয়। তাই দুধের গুণ অপরিহার্য।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mother Dairy: আমূলের পর এবার মাদার ডেয়ারি, দুধের দাম বাড়ল ২ টাকা

    Mother Dairy: আমূলের পর এবার মাদার ডেয়ারি, দুধের দাম বাড়ল ২ টাকা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুধের দাম আগেই বাড়িয়েছিল আমূল (Amul)। এবার সেই পথে হাঁটল মাদার ডেয়ারিও (Mother Dairy)। শনিবার মাদার ডেয়ারি ফুল ক্রিম মিল্ক (Full Cream Milk) এবং কাউ মিল্কের (Cow Milk) দাম বাড়িয়েছে লিটার প্রতি দু টাকা করে। মাদার ডেয়ারির এক মুখপাত্র বলেন, এই মূল্যবৃদ্ধি প্রযোজ্য হবে ১৬ অক্টোবর, রবিবার থেকে। এ নিয়ে চলতি বছরে তিনবার দুধের দাম বাড়াল মাদার ডেয়ারি (Mother Dairy)। গত মার্চ মাসে দিল্লি ও ন্যাশনাল ক্যাপিটেল রিজিয়নে তারা দুধের দাম বাড়িয়েছিল লিটার প্রতি দু টাকা। ওই একই এলাকায় কোম্পানি ফের দুধের দাম লিটার প্রতি দু টাকা বাড়িয়েছিল অগাস্টে। তার আবারও বাড়ানো হল লিটার প্রতি দু টাকা।

    কী কারণে বাড়ানো হল দুধের দাম? মাদার ডেয়ারির (Mother Dairy) এক মুখপাত্র জানান, দুগ্ধ শিল্পে ইনপুট খরচ বহুগুণ বেড়ে যাওয়ায় ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে কাঁচা দুধের দাম। গত দু মাসেই তা বেড়েছে কেজি প্রতি প্রায় ৩ টাকা। উত্তর ভারতের বেশ কিছু রাজ্যে পশুখাদ্যের দাম বাড়ায় ও বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। তিনি বলেন, কৃষকদের লাভের কথা মাথায় রেখে এবং উপভোক্তাদের জন্য উন্নতমানের দুধের জোগান নিশ্চিত করতে দাম বাড়াতে বাধ্য হয়েছি আমরা।

    আরও পড়ুন: কাজের ক্ষেত্রে ইডি সম্পূর্ণ স্বাধীন, সাফ জানালেন নির্মলা সীতারামন

    মাদার ডেয়ারির (Mother Dairy) এই পদক্ষেপের আগেই লিটার প্রতি দু টাকা বাড়িয়েছিল আমূলও। গুজরাট ছাড়া দেশের সর্বত্র দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল কোম্পানি। লিটার প্রতি দু টাকা দাম বাড়ায় ফুল ক্রিম আমূল দুধের দাম পড়বে লিটার প্রতি ৬৩ টাকা। আগে এটাই ছিল ৬১ টাকা। তবে কেবল গোরুর দুধ নয়, আমূল গোল্ড ও মোষের দুধের দামও বাড়ছে লিটার প্রতি দু টাকা করে। আমূল দুধ প্রস্তুত করে গুজরাট কো-অপারেটিভ মিল্ক মার্কেটিং ফেডারেশন। এই কোম্পানির ম্যানেজিং ডিরেক্টর আরএস সোধি বলেন, ফ্যাটের মূল্য বৃদ্ধির কারণে আমূল গোল্ড ও মোষের দুধের দাম বাড়ানো হয়েছে লিটার প্রতি ২ টাকা করে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook এবং Twitter পেজ।

LinkedIn
Share