Tag: Crisis

Crisis

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ২,২০০টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ২,২০০টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে, জানাল বিদেশমন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের (Hindus Minorities) ওপর অত্যাচার বেড়েছে (Bangladesh Crisis)। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে শুক্রবার তার পরিসংখ্যান দিল বিদেশমন্ত্রক।

    বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের পরিসংখ্যান (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, চলতি বছর বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর ২ হাজার ২০০টি হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এর সিংহভাগ ঘটনাই ঘটেছে হাসিনা-পরবর্তী কালে। এই বছরে ভারতের আর এক পড়শি দেশ পাকিস্তানে হিংসার ঘটনা ঘটেছে ১১২টি। রাজ্যসভায় এই তথ্য পেশ করা হয়েছে বিদেশমন্ত্রকের তরফে। বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে, হিন্দুদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা ও মঙ্গল নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়ে চিঠি লেখা হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয় দেশের কাছেই। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সরকার এই ঘটনাগুলিকে গভীরভাবে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেছে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে এই উদ্বেগ শেয়ারও করেছে। ভারতের আশা, বাংলাদেশ সরকার হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ করবে।

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক

    বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারত সরকার কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হিংসার বিষয়টি উত্থাপন করেছে। পাকিস্তান সরকারকে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, সাম্প্রদায়িক হিংসা, নিয়মিত নিপীড়ন এবং সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা প্রতিরোধের জন্য পদক্ষেপ করার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের নিরাপত্তা, সুরক্ষা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করার অনুরোধও জানানো হয়েছে। ভারত পাকিস্তানে সংখ্যালঘুদের দুরবস্থা আন্তর্জাতিক মঞ্চে লাগাতার তুলে ধরে। জানা গিয়েছে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটেছে ৪৭টি। ২০২৩ সালে ৩০২টি এবং ২০২৪ সালের ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত ২ হাজার ২০০টি হিংসার ঘটনাও ঘটেছে।

    আরও পড়ুন: “দেশের ঐতিহ্য হল সবাই নিজস্ব উপাসনা পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন”, বার্তা মোহন ভাগবতের

    এদিকে, ২০২২ সালে পাকিস্তানে হিন্দুদের ওপর হিংসার ঘটনা ঘটেছে ২৪১টি। তার পরের বছর ১০৩টি। ২০২৪ সালের অক্টোবর পর্যন্ত হিংসার ঘটনা ঘটেছে ১১২টি। পাকিস্তান ও বাংলাদেশ ছাড়া অন্য প্রতিবেশী দেশগুলিতে হিন্দু ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার কোনও ঘটনা ঘটেনি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিং বলেন, “সরকার এই ঘটনাগুলিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখছে। বাংলাদেশ সরকারের কাছে এ বিষয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছে।” তিনি বলেন, “ভারতের আশা, বাংলাদেশ হিন্দু (Hindus Minorities) ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পদক্ষেপ (Bangladesh Crisis) করবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের জনগণের কাছে খোলা চিঠি লিখলেন ৬৮৫ জন বিশিষ্ট ভারতীয়

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের জনগণের কাছে খোলা চিঠি লিখলেন ৬৮৫ জন বিশিষ্ট ভারতীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) জনগণের কাছে খোলা চিঠি লিখলেন ৬৮৫ জন বিশিষ্ট ভারতীয়। চিঠিতে তাঁদের শান্তি ও বন্ধুত্বের পথে চলার অনুরোধ জানানো হয়েছে। চিঠিতে সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, তাঁদের সম্পত্তি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং তাঁদের দেশ ছেড়ে (Bangladesh) চলে যেতে বাধ্য করার জন্য অবিলম্বে জবরদস্তি বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছে। চিঠিতে যাঁরা স্বাক্ষর করেছেন, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৯ জন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক, ১৩৯ জন অবসরপ্রাপ্ত আমলা (এর মধ্যে রয়েছেন ৩৪ জন রাষ্ট্রদূত), ৩০০ জন উপাচার্য, ১৯২ জন প্রাক্তন সামরিক অফিসার এবং নাগরিক সমাজের ৩৫ জন গণ্যমান্যরাও।

    কী লেখা হয়েছে চিঠিতে? (Bangladesh Crisis)

    চিঠিতে বলা হয়েছে, ভারতের জনগণ বাংলাদেশের অবনতিশীল পরিস্থিতিকে ক্রমবর্ধমান শঙ্কার সঙ্গে দেখেন এবং উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বাংলাদেশে একটি নৈরাজ্যের পরিবেশ বিরাজ করছে। সরকারি ও বেসরকারিভাবে দেশ জুড়ে জোরপূর্বক পদত্যাগের একটি প্যাটার্ন অনুসরণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে বিচার বিভাগ, নির্বাহী বিভাগ (পুলিশ সহ), শিক্ষা জগৎ এমনকি সংবাদমাধ্যমও। পুলিশ বাহিনী এখনও পূর্ণ শক্তিতে দায়িত্বে ফিরে আসেনি এবং সেনাবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি এবং পুলিশের ক্ষমতা দেওয়া সত্ত্বেও, স্বাভাবিকতা এখনও ফিরে আসেনি। চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা ভারতে গভীর উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে। কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের দীর্ঘ সীমান্ত রয়েছে।

    আরও পড়ুন: কংগ্রেসকে ধুয়ে দিয়েছিলেন অম্বেডকর স্বয়ং, কী লিখেছিলেন পদত্যাগপত্রে?

    বাংলাদেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি

    বাংলাদেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছেন সে দেশের দেড় কোটি শক্তিশালী সংখ্যালঘু সম্প্রদায়। এর (Bangladesh Crisis) মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের পাশাপাশি রয়েছে শিয়া, আহমদিয়া এবং অন্যান্যরা। চিঠিতে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে এই বলে যে, বাংলাদেশের অস্থির পরিস্থিতি সীমান্তের ওপারে ছড়িয়ে পড়তে পারে, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ব্যাহত করতে পারে এবং ভারতে গুরুতর আইন-শৃঙ্খলার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। চিঠিতে লেখা হয়েছে, আমরা আশা করি যে এটি বাংলাদেশ ও ভারত উভয়ের জনগণকে শান্তি, বন্ধুত্ব এবং বোঝাপড়ার পথে এক সঙ্গে চলতে সাহায্য করবে (Bangladesh), যা বাংলাদেশ সৃষ্টির পর থেকে ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে আমাদের টিকিয়ে রেখেছে (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: কলকাতা ছেড়ে এবার দিল্লি দখলের দিবাস্বপ্ন! ফাঁকা বুলি বাংলাদেশের মৌলবাদী নেতার

    Bangladesh Crisis: কলকাতা ছেড়ে এবার দিল্লি দখলের দিবাস্বপ্ন! ফাঁকা বুলি বাংলাদেশের মৌলবাদী নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত যদি বেয়াদবি করে, তাহলে আমরা আসল দাবি তুলব। তখন দিল্লি ধরে টান দেব।” চার দিনে কলকাতা বা আগরতলা বা সেভেন সিস্টার্স কব্জা না করতে পেরে এবার দিল্লি দখলের দিবাস্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে বাংলাদেশের মৌলবাদী নেতারা। যার ফলস্বরূপ, মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে একের পর এক ফাঁকা বুলি।

    মৌলবাদী নেতার হুমকি (Bangladesh Crisis)

    মঙ্গলবার ঢাকার রিপোর্টার্স কার্যালয়ে এমনই ফাঁকা বুলি আওড়ালেন ইসলামি মৌলবাদী বক্তা মুফতি কাজি ইব্রাহিম (Bangladesh Crisis)। তিনি বলেন, “মুসলমানদের কাছ থেকে ব্রিটিশরা ভারতবর্ষকে ছিনিয়ে নিয়েছে। যার জিনিস তাকে তো ফেরত দিতে হয়। নিয়েছ আমার থেকে, ফেরত দেবে কাকে? তুমি তো অন্যায় করেছ।” এর (India) পরেই হাওয়া গরম করতে তিনি বলেন, “ভারত যদি বেয়াদবি করে, তাহলে আমরা আসল দাবি তুলব। তখন দিল্লি ধরে টান দেব।” কলকাতা, আগরতলা, সেভেন সিস্টার্স দখলের ফাঁকা বুলি আওড়ানোর পর এবার দিল্লি ধরে টান দেওয়ার হুমকি এল বাংলাদেশ থেকে। এই মৌলবাদী বক্তা বলেন, “ভারতকে বলব, তুমি তোমাকে নিয়ে থাক। যদি আমারটা নিয়ে বাড়াবাড়ি কর, তাহলে তোমারটা নিয়ে টান দেব। আমরা ডিফেন্সিভ জাতি। আক্রান্ত হলে আমরা সবাই রয়েল বেঙ্গল টাইগার। ভারতকে বলছি, মোদিকে বলছি, খামোখা আমাদের নিয়ে নাক গলাবেন না। ইউনূস আছেন। তাঁকে দেশটা চালাতে দিন। আপনি আপনার দেশ নিয়ে ভাবুন।” মুফতি বলেন (Bangladesh Crisis), “ভারতকে তো কেউ দেখতে পারে না। মলদ্বীপের মতো দেশকেও তারা বন্ধু হিসেবে ধরে রাখতে পারেনি। বাংলাদেশ কখনও ভারতকে শত্রু বানায়নি। তারা বাংলাদেশ নিয়ে প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: মণিপুরে বিদ্রোহীদের ডেরায় মিলল স্টারলিঙ্ক ডিশ-রাউটার! কী বললেন ইলন মাস্ক?

    ভালো নেই বাংলাদেশের হিন্দুরা

    হাসিনা-উত্তর জমানায় ভালো নেই বাংলাদেশের হিন্দুরা। হিন্দু-সহ সে দেশের সংখ্যালঘুদের ওপর ব্যাপক অত্যাচার চালাচ্ছে মৌলবাদীরা। কখনও ভাঙচুর করা হচ্ছে মঠ-মন্দির-গির্জা। কখনও আবার বাড়িতে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুন। বাড়ির মেয়ে-বউদেরও তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। হিন্দুদের দোকানদানিতে লুটতরাজ চালানো হচ্ছে বলেও নানা সময় উঠেছে অভিযোগ। খোদ রাষ্ট্রের মদতে সংখ্যালঘু নির্যাতন চলছে বলে অভিযোগ। যদিও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইসলামি ও বক্তা। তিনি বলেন, “এখানে হিন্দুদের নির্যাতন করা হচ্ছে না। তাদের ভালোবাসার আবহে রাখা হয়েছে। হিন্দু বলছে, আমরা ভালো আছি, নিরাপদে আছি। কিন্তু ভারত বলছে তারা সুখে (India) নেই।” কট্টরপন্থী এই ইসলামি নেতার দাবি, “বাংলাদেশ নিয়ে ভারত বহির্বিশ্বে মিথ্যে প্রচার চালাচ্ছে (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • S Jaishankar: “নিজেদের স্বার্থেই সুরক্ষা দেবে সংখ্যালঘুদের”, বাংলাদেশের ভালো কীসে, বলে দিলেন জয়শঙ্কর

    S Jaishankar: “নিজেদের স্বার্থেই সুরক্ষা দেবে সংখ্যালঘুদের”, বাংলাদেশের ভালো কীসে, বলে দিলেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘুদের অবস্থা উদ্বেগের বিষয়।” শুক্রবার লোকসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে এ কথা বললেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর (S Jaishankar)। তিনি এও বলেন, “বাংলাদেশ নিজেদের স্বার্থেই সুরক্ষা দেবে সংখ্যালঘুদের।” সংসদে এক প্রশ্নের উত্তরে জয়শঙ্কর বলেন, “ভারত বাংলাদেশের পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে। নতুন সরকারের কাছেও সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।”

    কী বললেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)

    বাংলাদেশে এখন হিন্দু-নির্যাতন চরম আকার ধারণ করেছে। জয়শঙ্কর বলেন, “বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটছে, তা উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা সামনে এসেছে। আমরা এই বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছি।’’ এই পরিস্থিতিতে, প্রতিবেশী রাষ্ট্রের জন্য কোনটা ভালো, সেটা সংসদে দাঁড়িয়ে আকারে-ইঙ্গিতে ইউনূসকে বুঝিয়ে দিলেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘আশা করি, বাংলাদেশ নিজেদের স্বার্থেই সংখ্যালঘুদের ওপর হওয়া অত্যাচার আটকাবে।” তিনি বলেন, “আমরা আমাদের উদ্বেগ নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সম্প্রতি ভারতের বিদেশ সচিব ঢাকা সফর করেন। তাঁর বৈঠকে এই বিষয়টিও উঠেছে।” পাকিস্তান প্রসঙ্গে তিনি (S Jaishankar) বলেন, “পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সুসম্পর্কের জন্য প্রতিবেশী দেশকে দেখাতে হবে যে তারা সন্ত্রাসবাদমুক্ত।”

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    প্রসঙ্গত, গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনা ঘটছে। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পরেই সে দেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চরমে ওঠে। এহেন আবহে সম্প্রতি ঢাকায় গিয়ে সচিব পর্যায়ের বৈঠক করে এসেছেন ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রি। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের কাছে তিনি সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বিক্রম মিশ্রির ঢাকা সফরের পরেই সুর নরম করে ইউনূসের তদারকি সরকার। ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় ৮৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে ৭০ জনকে।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে বিচারের নামে প্রহসন! অদ্ভূত যুক্তি দেখিয়ে চিন্ময়ের আবেদন শুনল না আদালত

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার চরমে উঠেছে। ধর্মের নামে চাকরি থেকে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে সংখ্যালঘুদের। অনেককে ধর্মান্তরিত করানোর অভিযোগও উঠেছে। চট্টগ্রামে হিন্দু ও বৌদ্ধদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচারের ঘটনায় কাঠগড়ায় খোদ সেনা। হিন্দু সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতারি নিয়েও উত্তাল হয় বাংলাদেশের পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)। এই পরিস্থিতিই নীরবতা ভাঙলেন জয়শঙ্কর (S Jaishankar)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: হিন্দুদের ভাতে মারার ছক! গো-মাংস বিক্রি করতেই হবে হোটেল-রেস্তোরাঁয়, দাবি মৌলবাদীদের

    Bangladesh Crisis: হিন্দুদের ভাতে মারার ছক! গো-মাংস বিক্রি করতেই হবে হোটেল-রেস্তোরাঁয়, দাবি মৌলবাদীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের শাসনে ভালো নেই সে দেশের হিন্দুরা (Bangladesh Crisis)। হিন্দুদের ওপর নিত্য অত্যাচার তো চলছেই। এবার বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুদের ভাতে মারতে উদ্যোগী হয়েছে মৌলবাদীরা। সে দেশের হিন্দু হোটেলগুলিতে (Hindu Hotel) যাতে কেউ না যায়, সে জন্য তৈরি হয়েছে পোস্টার। পোস্টারে লেখা হয়েছে ‘নো বীফ খাবার হোটেল বর্জন করুন’। কীভাবে হিন্দু হোটেল চেনা যাবে, সে কথাও পোস্টারে বলা হয়েছে ফলাও করে। নতুন উপদ্রব শুরু হওয়ায় বিপাকে বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দু হোটেল ব্যবসায়ীরা।

    ভালো নেই হিন্দুরা (Bangladesh Crisis)

    হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে ভালো নেই হিন্দুরা। নানা অছিলায় লুট করা হচ্ছে তাঁদের বাড়িঘর। লুটপাট চালানো হচ্ছে দোকানগুলোতেও। জমি কেড়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। উঠেছে হিন্দু বাড়ির মেয়ে-বউদের ঘর থেকে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও। তার পরেও স্রেফ দেশকে ভালোবেসেই সে দেশে বসবাস করছেন হিন্দুরা। এবার সেই হিন্দুদেরই আক্ষরিক অর্থেই ভাতে মারতে উদ্যোগী হয়েছে বাংলাদেশি মৌলবাদীরা। তারা প্রচার করছে, ‘যে হোটেলে গো-মাংস বিক্রি হয় না, সেটাই হিন্দুদের হোটেল। সেই হোটেলই বর্জন করতে হবে।’ আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, হিন্দুদের বাংলাদেশছাড়া করতেই উদ্যোগী হয়েছে সে দেশের মৌলবাদীরা।

    আরও পড়ুন: জল জীবন মিশন প্রকল্প বদলে দিয়েছে গ্রামীণ মহিলাদের অর্থনীতির ভিত, ঠিক কীভাবে?

    মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদের হুঁশিয়ারি

    যে দেশে ৯৮ শতাংশ মানুষই মুসলমান, সে দেশে কেন নো বীফ লেখা হোটেল থাকবে, প্রশ্ন তুলে মিছিল করেছে মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদ। সম্প্রতি পুরানো ঢাকার বংশালে আল রজ্জাক হোটেলের সামনে বিক্ষোভও দেখানো হয় (Bangladesh Crisis)। পরিষদের দাবি, নো বিফ লেখা খাবারের হোটেলগুলি ভারত ও হিন্দুত্ববাদীদের দালাল। তাই এই জাতীয় হোটেল বর্জনের ডাক দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক হোটেলে যাতে গো-মাংস বিক্রি হয়, সেই দাবিও জানিয়েছে পরিষদ। বীফ বিক্রি না হলে সমস্ত হোটেল বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেওয়া হয়েছে মুসলিম ভোক্তা অধিকার পরিষদের তরফে। পরিষদের তরফে আরিফ আল খাবীর বলেন, “বাংলাদেশে ব্যবসা করতে হলে খাবার হোটেলগুলিকে বাধ্যতামূলকভাবে গরুর মাংস রাখতে হবে। যদি কোনও হোটেলে একটিও গরুর মাংসের তরকারি না থাকে, তবে সেই হোটেলটি (Hindu Hotel) হিন্দুত্ববাদী হোটেল ও ভারতের দালাল বলে প্রমাণিত হবে (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Kailash Satyarthi: হিন্দুদের ওপর অত্যাচার! ইউনূসকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ কৈলাস সত্যার্থীর

    Kailash Satyarthi: হিন্দুদের ওপর অত্যাচার! ইউনূসকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ কৈলাস সত্যার্থীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক নোবেল জয়ীকে রাজধর্ম পালনের পরামর্শ আর এক নোবেলজয়ীর! বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান তথা শান্তিতে নোবেল জয়ী মহম্মদ ইউনূসকে রাজধর্ম পালনের আবেদন জানালেন ভারতের নোবেল শান্তি পুরস্কারজয়ী ব্যক্তিত্ব কৈলাস সত্যার্থী (Kailash Satyarthi)। তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বাংলাদেশে প্রায় ৪০ বছর কাজ করেছি। তখন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছিল। কিন্তু আজ আর সেই পরিস্থিতি নেই।”

    কী বললেন কৈলাস সত্যার্থী?

    মানবাধিকার দিবসে ইউনূসকে পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি সত্যার্থী বলেন, “যেভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলা হয়েছে, তাতে মানুষ অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন। বাংলাদেশে যেন মানবাধিকারকে বন্দি করা হয়েছে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশের পরিস্থিতি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার রাজনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে। অবিলম্বে বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করুন।”

    ইউনূসকে নিশানা অভিজিতেরও

    বিশ্বশান্তির জন্য নোবেল পেয়েছিলেন ইউনূস। তাঁর পুরস্কার কেড়ে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি তথা বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “যেভাবে অন্য ধর্মের ওপর বিশেষত হিন্দু ধর্মের ওপর যে আক্রমণ চলছে, তাতে আমি মনে করি নোবেল কমিটির উচিত এই মুহূর্তে তাঁর নোবেল পুরস্কার ফিরিয়ে নেওয়া।” তিনি বলেন, “আপনারা হয়তো আমায় জিজ্ঞেস করতে পারেন, নোবেল কমিটির এই রুল আছে কিনা। আমি তা বলতে পারব না। তবে একটা সাধারণ রুল রয়েছে, যে কোনও কর্তৃপক্ষ যদি কোনও একটা কাজ করতে চান, করার ক্ষমতা থাকে, তাহলে তার সেই কাজ নাকচ করার ক্ষমতাও থাকে।” অভিজিৎ বলেন, “সেই নীতির ওপর ভিত্তি করেই আমি দাবি করছি, নোবেল কমিটি এই মুহূর্তে ইউনূসের নোবেল পুরস্কার ফেরত নিয়ে নিক।”

    আরও পড়ুন: রাজ্যে ঢুকেছে এক কোটি রোহিঙ্গা! হিন্দুদের বাঁচাতে ধর্ম রক্ষা কমিটি গড়ার ডাক শুভেন্দুর

    অভিজিৎ (Kailash Satyarthi) বলেন, “একটা সময় ছিল যখন তাঁকে বলা হত গরিবের ব্যাঙ্কার। গোটা বিশ্বে তখন তাঁর প্রশংসা। ২০০৬ সালে তাঁর ঝুলিতে আসে নোবেল শান্তি পুরস্কার। কিন্তু সেই মহম্মদ ইউনূসের আমলেই আজ বাংলাদেশে হিন্দুদের শান্তি খানখান।” তিনি বলেন, “অত্যাচারের ভয়ঙ্কর অভিযোগ উঠেছে। আর কার্যত চুপ করে দেখছেন মহম্মদ ইউনূস।” সত্যার্থী (Kailash Satyarthi) বলেন, “বারবার প্রশ্ন উঠছে, যে মোল্লাতন্ত্র পাকিস্তানকে চালাত, এখন কি সেই মোল্লাতন্ত্রের ইশারায়ই চলছেন (Bangladesh Crisis) শান্তিতে নোবেল জয়ী?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Bangladesh Crisis: খালেদার সঙ্গে বৈঠক পাক কূটনীতিকের, ফের জঙ্গি আখড়া হবে বাংলাদেশ?

    Bangladesh Crisis: খালেদার সঙ্গে বৈঠক পাক কূটনীতিকের, ফের জঙ্গি আখড়া হবে বাংলাদেশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) কি ফের আখড়া হয়ে উঠবে জঙ্গিদের? অন্তত এমনই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিভিন্ন মহলে। এহেন প্রশ্নের কারণ, সম্প্রতি ঢাকায় পাকিস্তানের কূটনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বিএনপি সুপ্রিমো বেগম খালেদা জিয়া (Khaleda Zia)। তার পরেই উঠছে প্রশ্ন, খালেদা জমানায় যেভাবে পাক-জঙ্গিদের আখড়া হয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ, ফের কি তেমন অবস্থায় ফিরতে চলেছে ইউনূসের দেশ?

    মাথাচাড়া দিয়েছে মৌলবাদীরা (Bangladesh Crisis)

    হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে মাথাচাড়া দিয়েছে মৌলবাদীরা। হিন্দুদের ঘর-বাড়ি জ্বালিয়ে, মেরেধরে, মেয়ে-বউদের তুলে নিয়ে গিয়ে অত্যাচার করছে মৌলবাদীরা। এমতাবস্থায় মঙ্গলবার রাতে খালেদার সঙ্গে দেখা করেন ঢাকায় নিযুক্ত পাক হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। বৈঠক চলে ঘণ্টাখানেক। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বাংলাদেশে অশান্তির পরিবেশে সূচ হয়ে ঢুকতে চাইছে পাকিস্তান। সেই কারণেই খালেদার সঙ্গে বৈঠক। প্রসঙ্গত, হাসিনার সঙ্গে যেমন ভারতের সম্পর্ক, খালেদার সঙ্গে পাকিস্তানের সম্পর্কও ঠিক তেমনই। প্রত্যাশিতভাবেই পাকিস্তান যে বাংলাদেশের টালমাটাল পরিস্থিতির সুযোগ নেবে, তা বলাই বাহুল্য।

    খালেদা জমানা

    ২০০১ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত বাংলাদেশের মসনদে ছিলেন খালেদা। তাঁর প্রধানমন্ত্রিত্বের এই পাঁচ বছরে বাংলাদেশে ঘাঁটি গেড়েছিল ভারত-বিরোধী নানা শক্তি। এই পর্বে ঢাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছিল পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। আইএসআই মদতপুষ্ট জঙ্গিরা ভায়া বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকে নাশকতা চালিয়ে ফিরে যেত বাংলাদেশে। হাসিনা সরকারের পতনের পর মহম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকার মুক্তি দেয় খালেদাকে। তার পরেই (Bangladesh Crisis) সক্রিয় হয়েছেন খালেদা।

    আরও পড়ুন: চলছে হিন্দু নির্যাতন, ঢাকায় যাচ্ছেন ভারতের বিদেশ সচিব, সুর নরম বাংলাদেশের

    সক্রিয় হয়েছে পাকিস্তানও। তার সব চেয়ে বড় প্রমাণ গত ১৩ নভেম্বর পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে পণ্যবাহী জাহাজ আসে চট্টগ্রাম বন্দরে। ১৯৭১ সালের পর এই প্রথম কোনও পণ্যবাহী জাহাজ পাকিস্তান থেকে এল বাংলাদেশে। কেবল পাকিস্তান নয়, চিনও বাংলাদেশে শক্ত করছে পায়ের নীচের মাটি। হাসিনা দেশ ছেড়ে পালানোর পর খালেদার দল বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আগমগীরের সঙ্গে বৈঠক (Khaleda Zia) করেন চিনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    Bangladesh Crisis: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) কি হিন্দ শূন্য হয়ে যাবে? সম্প্রতি দেশটিতে যেভাবে (ISKCON) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, যেভাবে হিন্দু সন্ন্যাসীদের (ISKCON) মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তার পরে স্বভাবিকভাবেই উঠছে এই প্রশ্ন। দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশিষ্ট হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মহারাজকে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ন্যায় বিচারের দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায় সমাবেশ করছে। তবে তারাও নির্মম দমন-পীড়ন ও হামলার মুখোমুখি হচ্ছে।

    চিন্ময় মহারাজ (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্তও চিন্ময় মহারাজকে আটকে রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সনাতনী খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাঁর আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করতে গিয়েও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে বিভিন্ন ইসলামী জঙ্গি সংগঠন যেমন হিজবুত তাহরির, জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ, হরকা তুল জিহাদ (হুজি), আনসার আল ইসলাম এবং হেফাজতে ইসলাম (হেই)-এর মতো উগ্রপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীর সাজাপ্রাপ্ত জিহাদিরা। এই পরিস্থিতিতে চিন্ময় মহারাজের প্রাণ সংশয় হতে পারে বলে আশঙ্কা সনাতনীদের। চিন্ময় মহারাজ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে যিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ করেছেন, তিনি বিএনপির নেতা। ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করার পর পরের দিনই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারাগারে।

    হিন্দু আন্দোলনের মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

    চিন্ময় মহারাজ ছিলেন বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁকে গ্রেফতার করে হিন্দু আন্দোলনের মেরুদণ্ডটাই ভেঙে দিতে চেয়েছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। সোশ্যাল মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামপন্থী ও হিন্দু-বিরোধী এলিমেন্টরা চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে হিন্দুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে। ২৭ নভেম্বর ভোরের দিকে চট্টগ্রাম শহরের মেথরপট্টি এলাকায় মনসা মায়ের মন্দিরে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। হজারিগলিতে কালী মন্দিরেও আগুন লাগিয়ে দেয় ইসলামপন্থী জনতা। হরিজন সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বহু হিন্দু বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, উগ্রপন্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুসলমানদের “ছুরি ধারালো করার” আহ্বান (ISKCON) জানাচ্ছে। তারা যাতে ইসকনের সদস্যদের হত্যা করতে পারে, তাই ছুরি ধারালো করার আহ্বান। চট্টগ্রাম শহরের হিন্দুরা এক অসহনীয় অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর (Bangladesh Crisis)। এবারের অত্যাচার ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের দ্বারা সংঘটিত নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুন: “মোদি অনেক ভালো কাজ করেছেন”, বললেন আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী জিম রজার্স

    চরমে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মহম্মদ ইউনূসের তদারকি সরকার যদি এই হিংসা বন্ধ করতে না পারে, তাহলে বহু হিন্দু খুন হতে পারেন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে পারেন হিন্দু মহিলারা। চলতি বছরের অগাস্ট মাস থেকে (পড়ুন প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর) বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার তুঙ্গে। নির্বিচারে ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের বাড়ি এবং মন্দির। লুটতরাজ চালানো হচ্ছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। হামলা চালনো হচ্ছে হিন্দুদের বাড়িতে। রাতের অন্ধকারে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুনও। স্থানীয় মিডিয়াকে এই ঘটনাগুলো প্রচার করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বেশিরভাগই কোনও এক অজানা কারণে নৃশংসতার এই ছবি তুলে ধরা থেকে বিরত থেকেছে।

    বিহারিদের অত্যাচার!

    ‘স্ট্র্যান্ডেড পাকিস্তানিজ’ কমিউনিটির সদস্যরা, যারা বিহারি নামেও পরিচিত, তারাও হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপরাধগুলো গুরুতর হওয়া সত্ত্বেও, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলি অদ্ভুতভাবে নীরব রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর কারণ সম্ভবত ইউনূসের প্রভাব এবং বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর কানেকশনের কারণে (ISKCON)।

    ক্লিন্টনের কারবার

    দেশে লাগাতার হিন্দু নিধন যজ্ঞ চললেও, চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য আমেরিকা সফরের সময় ইউনূসকে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে, বিল ক্লিনটন নিষিদ্ধ ইসলামপন্থী সংগঠন হিজব-উত-তাহরির-এর নেতা মাহফুজ আলমের প্রশংসা করেন। এই সংগঠন খিলাফত প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করে। সেই সংগঠনেরই হয়ে সাফাই গাইতে দেখা যায় বিল ক্লিনটনকে। হিন্দুদের (Bangladesh Crisis) পীড়ন করার পাশাপাশি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করাও শুরু করে দিয়েছে ইউনূস সরকার। অক্টোবরে আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনের গায়ে জঙ্গি সংগঠনের তকমা সেঁটে দিয়ে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, সরকার আওয়ামি লিগকে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে।

    এতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে প্রতিষ্ঠিত হবে ইসলামি শক্তির আধিপত্য। হিন্দু ও খ্রিষ্টান-সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য তেমন কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকবে না। তাই সমালোচনাও হবে না। মৌলবাদীদের পাশাপাশি করেকম্মে (ISKCON) খাবে জঙ্গিরাও (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয় ইসকন, আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল সেদেশের হাইকোর্ট

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয় ইসকন, আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল সেদেশের হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেস্তে গেল ইসকনকে (ISKCON) নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা! বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) আর নিষিদ্ধ নয় ইসকন। সে দেশের হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল রিট পিটিশন। বৃহস্পতিবার আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ইসকন নিষিদ্ধ হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

    কী বলল আদালত? (Bangladesh Crisis)

    রিট পিটিশন খারিজ করে দিয়ে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, শান্তিরক্ষায় সরকার যাবতীয় পদক্ষেপ করবে। কিন্তু কোনওভাবেই ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন আইনজীবী মনিরউদ্দিন ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানান। তার পরেই আদালত জানিয়ে দেয়, ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে না। হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ্ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশিস রায় চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ইসকন নিষিদ্ধ করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এ নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না।

    গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

    দিন কয়েক আগেই ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ ইসকনের অন্যতম কর্তা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। তার পর থেকেই ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জোরালো হয় বাংলাদেশে। চিন্ময়কে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালীনই মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। তার পরেই ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায় হেফাজতে ইসলাম-সহ বাংলাদেশের একাধিক ইসলামি সংগঠন।

    প্রসঙ্গত, ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হাইকোর্টে একটি পিটিশন জমা দেন মনিরউজ্জামান নামের এক আইনজীবী। একই সঙ্গে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশও দেওয়ার দাবি জানান ওই আইনজীবী। এ নিয়ে সেখানকার সরকার কী পদক্ষেপ করছে, আদালতে তা জানানোর আবেদনও করেন ওই আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ১৯৭৪ সালের আইন দিয়ে বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির, সনাতনীদের জমি হাতাচ্ছে ইসলামি মৌলবাদীরা

    সূত্রের খবর, এদিন এই বিষয়ে সরকারের মনোভাব ও পদক্ষেপ করার কথা আদালতকে জানান অ্যার্টনি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, চট্টগ্রামের ওই আইনজীবী হত্যার ঘটনায় দায়ের হয়েছে তিনটি মামলা। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৩ জনকে। ওই মামলায় আরও যাদের নাম রয়েছে, তাদেরও গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, ইসকন (ISKCON) নিয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ১৯৭৪ সালের আইন দিয়ে বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির, সনাতনীদের জমি হাতাচ্ছে ইসলামি মৌলবাদীরা

    Bangladesh Crisis: ১৯৭৪ সালের আইন দিয়ে বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির, সনাতনীদের জমি হাতাচ্ছে ইসলামি মৌলবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ নোটের মুখপাত্র (Bangladesh Crisis) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অযৌক্তিক গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। ভারতে নিন্দার ঝড় উঠলেও, চট্টগ্রামে তিনটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। এগুলি হল, ফরাসি বাজারের লোকনাথ মন্দির, মানসা মাতা মন্দির এবং হাজারি লেনের কালী মন্দির।

    সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার, বিশেষ করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অত্যাচার একটি রুটিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি দীর্ঘকাল ধরে চলে এলেও, হাসিনা-উত্তর জমানায় আরও খারাপ হয়েছে। বাংলাদেশে ৯১ শতাংশ জনগণ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, আহমদিয়া এবং খ্রিস্টান মিলিয়ে ৮.৯৫ শতাংশ। বছরের পর বছর ধরে এই সম্প্রদায়গুলি নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। বঞ্চিত হয়ে আসছে ন্যায়বিচার থেকেও। আইন থাকলেও, তা প্রয়োগ হয় না বলেই অভিযোগ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের জন্য আইনগুলিতে (Vested Property Act) সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও, সেগুলি কখনই বাস্তবায়িত করা হয় না। ফলে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে।

    আরও পড়ুন: ইউনূস সরকারের বুকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন ঊনচল্লিশের সন্ন্যাসী চিন্ময়, তাই কি গ্রেফতার?

    কী বলছে সংবিধান

    বাংলাদেশের সংবিধান এবং অন্যান্য আইন বলে যে সব ধর্মকে সুরক্ষিত করতে হবে, সম্মান করতে হবে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে। সরকারের যে এটি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব, সংবিধানও বলে সে কথা। সংবিধানটি এও বলে, সব মানুষের উচিত আইন, জনশৃঙ্খলা এবং নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকল ধর্মে বিশ্বাস করা, চর্চা করা বা প্রচার করার অধিকার দেওয়া। সংবিধানটি ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। তবে ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি (Bangladesh Crisis) রায় ১৯৭৫ সালের সংশোধনী বাতিল করে দিয়ে বলে, ধর্মনিরপেক্ষতা হল সংবিধানের মৌলিক নীতি।

    সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা

    এই নীতি অনুসরণ করে, সরকারকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ অব্যাহত ছিল এবং ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তা বৃদ্ধি পায় (Vested Property Act)। এর মূল কারণ হল, সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সমাজের নিম্নস্তরের দিকে অবস্থান করে। তাদের সঠিক রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বও সেই অর্থে নেই। যে কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পড়ে। সংখ্যালঘুদের সংখ্যা হ্রাসের কারণে পেয়ে বসে সংখ্যাগুরুরা। তার জেরে বাংলাদেশের হিন্দু মন্দির ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপাসনাস্থলগুলিতে বারবার হামলা চালিয়েছে মুসলমানরা। তার পরেও সরকার থেকেছে হাত গুটিয়ে। যে ধর্মের মানুষের  উপাসনাস্থল আক্রমণের শিকার হয়েছে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর লোক মেলেনি। সরকারও দেয়নি আইনি সহায়তা।

    ভেস্টেড প্রপার্টি অ্যাক্ট (Vested Property Act) 

    ১৯৭৪ সালের ভেস্টেড প্রপার্টি অ্যাক্ট সমালোচিত করা হয়েছে। এই আইন হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত সমস্ত আইনের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী এবং সবচেয়ে ক্ষতিকারক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর শত্রু সম্পত্তি আইন প্রণীত হয়। এটি বাংলাদেশ সরকারকে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে যাওয়া মানুষের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দেয়। এই পর্বে যারা সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ করেছে, তারা ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ) থেকে আসা হিন্দু। ১৯৭৪ সালে ভেস্টেড প্রপার্টি অ্যাক্ট (Vested Property Act) প্রণীত হয়, যা শত্রু সম্পত্তিকে বাংলাদেশের সরকারের (Bangladesh Crisis) অধীনে স্থানান্তরিত করার অনুমতি দেয়।

    জমি দখল

    এটিই সবচেয়ে বেশি অপব্যবহৃত আইন (Vested Property Act)। এটি প্রায়ই সে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বড় আয়তনের জমি দখল করতে ব্যবহৃত হয়েছে। সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর সঙ্গে সম্পর্কিত বেশিরভাগ মামলা করেছে রাজনৈতিক নেতা বা জমি হাঙররা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা আইনি সাহায্য চাইলে জমি দখলকারীরা সেটিকে অধিকারী সম্পত্তি হিসেবে দেখায়। প্রতিষ্ঠানের সমর্থনে এই দুর্বৃত্তরা সবসময় পার পেয়ে যায়। ফলে সম্পত্তি তাদের হাতেই থেকে যায়। মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ালে মীমাংসা হতে কয়েক দশক লেগে যায়। মামলার ফয়সালা হওয়ার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি নিঃস্ব হয়ে পথে বসেন। শেষমেশ ছেড়ে দেন সেই সম্পত্তির দাবি (Vested Property Act)। লাভবান হয় জমি হাঙর। এ বছর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সেন্টার ফর অলটারনেটিভস এবং বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি জানিয়েছে, দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা প্রায় ৭০ শতাংশই ভূমি সংক্রান্ত। এই হিংসা সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি বা তাদের উপাসনালয়ে হামলার মাধ্যমে সংঘটিত হয়।

    হিংসা এবং হিংসা

    তথ্য অনুযায়ী, হিংসার ৫৯ শতাংশ ঘটনা সংখ্যালঘুদের মালিকানাধীন সম্পত্তি (Vested Property Act) ও উপাসনালয় ধ্বংসের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে। এগুলির ১১ শতাংশ সরাসরি ভূমি সংক্রান্ত বিরোধে জড়িত। প্রায় ২৭ শতাংশ ক্ষেত্রে শারীরিক আক্রমণ বা হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ২ শতাংশ ঘটনা লিঙ্গভিত্তিক হিংসা এবং ১ শতাংশ ঘটনা নির্বাচনকেন্দ্রিক। অধিকাংশ হিংসার উৎস হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য প্রচার। অপরাধ করেও ১০০টির মধ্যে ৯৯টি ক্ষেত্রে পার পেয়ে যায় অপরাধীরা। তার জেরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা।

    এর থেকে মুক্তি কীভাবে (Vested Property Act)? উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানরা (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
LinkedIn
Share