Tag: Crisis

Crisis

  • Bangladesh Crisis: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    Bangladesh Crisis: ব্যাপক অত্যাচার, বাংলাদেশ কি হিন্দু শূন্য হয়ে যাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ (Bangladesh Crisis) কি হিন্দ শূন্য হয়ে যাবে? সম্প্রতি দেশটিতে যেভাবে (ISKCON) হিন্দুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, যেভাবে হিন্দু সন্ন্যাসীদের (ISKCON) মিথ্যে অভিযোগে গ্রেফতার করা হচ্ছে, তার পরে স্বভাবিকভাবেই উঠছে এই প্রশ্ন। দিন কয়েক আগে গ্রেফতার করা হয়েছে বিশিষ্ট হিন্দু নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস মহারাজকে। রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁকে। ন্যায় বিচারের দাবিতে হিন্দু সম্প্রদায় সমাবেশ করছে। তবে তারাও নির্মম দমন-পীড়ন ও হামলার মুখোমুখি হচ্ছে।

    চিন্ময় মহারাজ (Bangladesh Crisis)

    জানা গিয়েছে, শনিবার সকাল পর্যন্তও চিন্ময় মহারাজকে আটকে রাখা হয়েছে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে। সেখানে তাঁকে প্রয়োজনীয় ওষুধ ও সনাতনী খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে না। তাঁর আইনজীবীরা উচ্চ আদালতে জামিনের আবেদন করতে গিয়েও বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগ। চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে রয়েছে বিভিন্ন ইসলামী জঙ্গি সংগঠন যেমন হিজবুত তাহরির, জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ, হরকা তুল জিহাদ (হুজি), আনসার আল ইসলাম এবং হেফাজতে ইসলাম (হেই)-এর মতো উগ্রপন্থী ইসলামী গোষ্ঠীর সাজাপ্রাপ্ত জিহাদিরা। এই পরিস্থিতিতে চিন্ময় মহারাজের প্রাণ সংশয় হতে পারে বলে আশঙ্কা সনাতনীদের। চিন্ময় মহারাজ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের নেতা। তাঁর বিরুদ্ধে যিনি রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ করেছেন, তিনি বিএনপির নেতা। ২৫ নভেম্বর গ্রেফতার করার পর পরের দিনই তাঁকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কারাগারে।

    হিন্দু আন্দোলনের মেরুদণ্ড ভেঙে ফেলার চেষ্টা

    চিন্ময় মহারাজ ছিলেন বাংলাদেশে নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তাঁকে গ্রেফতার করে হিন্দু আন্দোলনের মেরুদণ্ডটাই ভেঙে দিতে চেয়েছে বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। সোশ্যাল মিডিয়ার রিপোর্ট অনুযায়ী, ইসলামপন্থী ও হিন্দু-বিরোধী এলিমেন্টরা চট্টগ্রাম ও পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে হিন্দুদের বাড়ি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে হামলা চালাচ্ছে। ২৭ নভেম্বর ভোরের দিকে চট্টগ্রাম শহরের মেথরপট্টি এলাকায় মনসা মায়ের মন্দিরে দুষ্কৃতীরা আগুন লাগিয়ে দেয়। হজারিগলিতে কালী মন্দিরেও আগুন লাগিয়ে দেয় ইসলামপন্থী জনতা। হরিজন সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বহু হিন্দু বাড়িতেও আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, উগ্রপন্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় মুসলমানদের “ছুরি ধারালো করার” আহ্বান (ISKCON) জানাচ্ছে। তারা যাতে ইসকনের সদস্যদের হত্যা করতে পারে, তাই ছুরি ধারালো করার আহ্বান। চট্টগ্রাম শহরের হিন্দুরা এক অসহনীয় অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন বলে খবর (Bangladesh Crisis)। এবারের অত্যাচার ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী ও তাদের স্থানীয় সহযোগীদের দ্বারা সংঘটিত নির্যাতনের কথা মনে করিয়ে দেয়।

    আরও পড়ুন: “মোদি অনেক ভালো কাজ করেছেন”, বললেন আন্তর্জাতিক লগ্নিকারী জিম রজার্স

    চরমে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, মহম্মদ ইউনূসের তদারকি সরকার যদি এই হিংসা বন্ধ করতে না পারে, তাহলে বহু হিন্দু খুন হতে পারেন। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে পারেন হিন্দু মহিলারা। চলতি বছরের অগাস্ট মাস থেকে (পড়ুন প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়ার পর) বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার তুঙ্গে। নির্বিচারে ভাঙচুর করা হচ্ছে হিন্দুদের বাড়ি এবং মন্দির। লুটতরাজ চালানো হচ্ছে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে। হামলা চালনো হচ্ছে হিন্দুদের বাড়িতে। রাতের অন্ধকারে লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে আগুনও। স্থানীয় মিডিয়াকে এই ঘটনাগুলো প্রচার করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। আন্তর্জাতিক মিডিয়ার বেশিরভাগই কোনও এক অজানা কারণে নৃশংসতার এই ছবি তুলে ধরা থেকে বিরত থেকেছে।

    বিহারিদের অত্যাচার!

    ‘স্ট্র্যান্ডেড পাকিস্তানিজ’ কমিউনিটির সদস্যরা, যারা বিহারি নামেও পরিচিত, তারাও হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। এই অপরাধগুলো গুরুতর হওয়া সত্ত্বেও, অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং হিউম্যান রাইটস ওয়াচের মতো মানবাধিকার সংগঠনগুলি অদ্ভুতভাবে নীরব রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, এর কারণ সম্ভবত ইউনূসের প্রভাব এবং বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে তাঁর কানেকশনের কারণে (ISKCON)।

    ক্লিন্টনের কারবার

    দেশে লাগাতার হিন্দু নিধন যজ্ঞ চললেও, চলতি বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেওয়ার জন্য আমেরিকা সফরের সময় ইউনূসকে ক্লিনটন গ্লোবাল ইনিশিয়েটিভ দ্বারা সম্মানিত করা হয়। ওই অনুষ্ঠানে, বিল ক্লিনটন নিষিদ্ধ ইসলামপন্থী সংগঠন হিজব-উত-তাহরির-এর নেতা মাহফুজ আলমের প্রশংসা করেন। এই সংগঠন খিলাফত প্রতিষ্ঠার পক্ষে কাজ করে। সেই সংগঠনেরই হয়ে সাফাই গাইতে দেখা যায় বিল ক্লিনটনকে। হিন্দুদের (Bangladesh Crisis) পীড়ন করার পাশাপাশি বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করাও শুরু করে দিয়েছে ইউনূস সরকার। অক্টোবরে আওয়ামি লিগের ছাত্র সংগঠনের গায়ে জঙ্গি সংগঠনের তকমা সেঁটে দিয়ে তাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। রিপোর্টে বলা হচ্ছে যে, সরকার আওয়ামি লিগকে রাজনৈতিক কার্যক্রম থেকে পুরোপুরি নিষিদ্ধ করার কথা ভাবছে।

    এতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে প্রতিষ্ঠিত হবে ইসলামি শক্তির আধিপত্য। হিন্দু ও খ্রিষ্টান-সহ ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের জন্য তেমন কোনও প্রতিনিধিত্ব থাকবে না। তাই সমালোচনাও হবে না। মৌলবাদীদের পাশাপাশি করেকম্মে (ISKCON) খাবে জঙ্গিরাও (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয় ইসকন, আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল সেদেশের হাইকোর্ট

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে নিষিদ্ধ নয় ইসকন, আবেদন খারিজ করে জানিয়ে দিল সেদেশের হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভেস্তে গেল ইসকনকে (ISKCON) নিষিদ্ধ করার প্রচেষ্টা! বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) আর নিষিদ্ধ নয় ইসকন। সে দেশের হাইকোর্টে খারিজ হয়ে গেল রিট পিটিশন। বৃহস্পতিবার আদালতের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়, ইসকন নিষিদ্ধ হবে কিনা, সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।

    কী বলল আদালত? (Bangladesh Crisis)

    রিট পিটিশন খারিজ করে দিয়ে আদালত জানিয়ে দিয়েছে, শান্তিরক্ষায় সরকার যাবতীয় পদক্ষেপ করবে। কিন্তু কোনওভাবেই ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার শুনানি চলাকালীন আইনজীবী মনিরউদ্দিন ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানান। তার পরেই আদালত জানিয়ে দেয়, ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হচ্ছে না। হাইকোর্টের বিচারপতি ফারাহ্ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশিস রায় চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, ইসকন নিষিদ্ধ করা হবে কি না, সেই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার। এ নিয়ে আদালতের হস্তক্ষেপ করা ঠিক হবে না।

    গ্রেফতার চিন্ময় কৃষ্ণ দাস

    দিন কয়েক আগেই ঢাকা থেকে গ্রেফতার করা হয় নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ ইসকনের অন্যতম কর্তা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে। তার পর থেকেই ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জোরালো হয় বাংলাদেশে। চিন্ময়কে গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিক্ষোভ চলাকালীনই মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করা হয়। তার পরেই ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি জানায় হেফাজতে ইসলাম-সহ বাংলাদেশের একাধিক ইসলামি সংগঠন।

    প্রসঙ্গত, ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করার দাবি জানিয়ে বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) হাইকোর্টে একটি পিটিশন জমা দেন মনিরউজ্জামান নামের এক আইনজীবী। একই সঙ্গে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে চট্টগ্রাম ও রংপুরে জরুরি অবস্থা জারির নির্দেশও দেওয়ার দাবি জানান ওই আইনজীবী। এ নিয়ে সেখানকার সরকার কী পদক্ষেপ করছে, আদালতে তা জানানোর আবেদনও করেন ওই আইনজীবী।

    আরও পড়ুন: ১৯৭৪ সালের আইন দিয়ে বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির, সনাতনীদের জমি হাতাচ্ছে ইসলামি মৌলবাদীরা

    সূত্রের খবর, এদিন এই বিষয়ে সরকারের মনোভাব ও পদক্ষেপ করার কথা আদালতকে জানান অ্যার্টনি জেনারেল মহম্মদ আসাদুজ্জামান। তিনি জানান, চট্টগ্রামের ওই আইনজীবী হত্যার ঘটনায় দায়ের হয়েছে তিনটি মামলা। ওই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে ৩৩ জনকে। ওই মামলায় আরও যাদের নাম রয়েছে, তাদেরও গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে। অ্যাটর্নি জেনারেল জানান, ইসকন (ISKCON) নিয়ে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে বাংলাদেশ সরকার (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ১৯৭৪ সালের আইন দিয়ে বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির, সনাতনীদের জমি হাতাচ্ছে ইসলামি মৌলবাদীরা

    Bangladesh Crisis: ১৯৭৪ সালের আইন দিয়ে বাংলাদেশে হিন্দু মন্দির, সনাতনীদের জমি হাতাচ্ছে ইসলামি মৌলবাদীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলা ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ নোটের মুখপাত্র (Bangladesh Crisis) চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অযৌক্তিক গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা করেছে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। ভারতে নিন্দার ঝড় উঠলেও, চট্টগ্রামে তিনটি হিন্দু মন্দিরে হামলা চালানো হয়েছে। এগুলি হল, ফরাসি বাজারের লোকনাথ মন্দির, মানসা মাতা মন্দির এবং হাজারি লেনের কালী মন্দির।

    সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার (Bangladesh Crisis)

    বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার, বিশেষ করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে অত্যাচার একটি রুটিন বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি দীর্ঘকাল ধরে চলে এলেও, হাসিনা-উত্তর জমানায় আরও খারাপ হয়েছে। বাংলাদেশে ৯১ শতাংশ জনগণ মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, আহমদিয়া এবং খ্রিস্টান মিলিয়ে ৮.৯৫ শতাংশ। বছরের পর বছর ধরে এই সম্প্রদায়গুলি নির্যাতনের শিকার হয়ে আসছে। বঞ্চিত হয়ে আসছে ন্যায়বিচার থেকেও। আইন থাকলেও, তা প্রয়োগ হয় না বলেই অভিযোগ। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের জন্য আইনগুলিতে (Vested Property Act) সুরক্ষা ব্যবস্থা থাকলেও, সেগুলি কখনই বাস্তবায়িত করা হয় না। ফলে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বেড়েই চলেছে।

    আরও পড়ুন: ইউনূস সরকারের বুকে ভয় ধরিয়ে দিয়েছেন ঊনচল্লিশের সন্ন্যাসী চিন্ময়, তাই কি গ্রেফতার?

    কী বলছে সংবিধান

    বাংলাদেশের সংবিধান এবং অন্যান্য আইন বলে যে সব ধর্মকে সুরক্ষিত করতে হবে, সম্মান করতে হবে ধর্মীয় স্বাধীনতাকে। সরকারের যে এটি বাস্তবায়ন করার দায়িত্ব, সংবিধানও বলে সে কথা। সংবিধানটি এও বলে, সব মানুষের উচিত আইন, জনশৃঙ্খলা এবং নীতির প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সকল ধর্মে বিশ্বাস করা, চর্চা করা বা প্রচার করার অধিকার দেওয়া। সংবিধানটি ইসলামকে রাষ্ট্রধর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। তবে ২০১০ সালে সুপ্রিম কোর্টের একটি (Bangladesh Crisis) রায় ১৯৭৫ সালের সংশোধনী বাতিল করে দিয়ে বলে, ধর্মনিরপেক্ষতা হল সংবিধানের মৌলিক নীতি।

    সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা

    এই নীতি অনুসরণ করে, সরকারকে সংখ্যালঘুদের সুরক্ষা দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে, সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ অব্যাহত ছিল এবং ২০০৯ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে তা বৃদ্ধি পায় (Vested Property Act)। এর মূল কারণ হল, সে দেশের ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা সমাজের নিম্নস্তরের দিকে অবস্থান করে। তাদের সঠিক রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্বও সেই অর্থে নেই। যে কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে পড়ে। সংখ্যালঘুদের সংখ্যা হ্রাসের কারণে পেয়ে বসে সংখ্যাগুরুরা। তার জেরে বাংলাদেশের হিন্দু মন্দির ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের উপাসনাস্থলগুলিতে বারবার হামলা চালিয়েছে মুসলমানরা। তার পরেও সরকার থেকেছে হাত গুটিয়ে। যে ধর্মের মানুষের  উপাসনাস্থল আক্রমণের শিকার হয়েছে, তাদের পাশে দাঁড়ানোর লোক মেলেনি। সরকারও দেয়নি আইনি সহায়তা।

    ভেস্টেড প্রপার্টি অ্যাক্ট (Vested Property Act) 

    ১৯৭৪ সালের ভেস্টেড প্রপার্টি অ্যাক্ট সমালোচিত করা হয়েছে। এই আইন হিন্দু এবং অন্যান্য সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে ব্যবহৃত সমস্ত আইনের মধ্যে সবচেয়ে দীর্ঘস্থায়ী এবং সবচেয়ে ক্ষতিকারক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর শত্রু সম্পত্তি আইন প্রণীত হয়। এটি বাংলাদেশ সরকারকে পাকিস্তান থেকে ভারতে চলে যাওয়া মানুষের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার অনুমতি দেয়। এই পর্বে যারা সবচেয়ে বেশি অনুপ্রবেশ করেছে, তারা ছিলেন পূর্ব পাকিস্তান (অধুনা বাংলাদেশ) থেকে আসা হিন্দু। ১৯৭৪ সালে ভেস্টেড প্রপার্টি অ্যাক্ট (Vested Property Act) প্রণীত হয়, যা শত্রু সম্পত্তিকে বাংলাদেশের সরকারের (Bangladesh Crisis) অধীনে স্থানান্তরিত করার অনুমতি দেয়।

    জমি দখল

    এটিই সবচেয়ে বেশি অপব্যবহৃত আইন (Vested Property Act)। এটি প্রায়ই সে দেশের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মালিকানাধীন বড় আয়তনের জমি দখল করতে ব্যবহৃত হয়েছে। সম্পত্তি বাজেয়াপ্তর সঙ্গে সম্পর্কিত বেশিরভাগ মামলা করেছে রাজনৈতিক নেতা বা জমি হাঙররা। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিরা আইনি সাহায্য চাইলে জমি দখলকারীরা সেটিকে অধিকারী সম্পত্তি হিসেবে দেখায়। প্রতিষ্ঠানের সমর্থনে এই দুর্বৃত্তরা সবসময় পার পেয়ে যায়। ফলে সম্পত্তি তাদের হাতেই থেকে যায়। মামলা আদালত পর্যন্ত গড়ালে মীমাংসা হতে কয়েক দশক লেগে যায়। মামলার ফয়সালা হওয়ার আগেই ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তি নিঃস্ব হয়ে পথে বসেন। শেষমেশ ছেড়ে দেন সেই সম্পত্তির দাবি (Vested Property Act)। লাভবান হয় জমি হাঙর। এ বছর প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে সেন্টার ফর অলটারনেটিভস এবং বাংলাদেশ পিস অবজারভেটরি জানিয়েছে, দেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে হিংসার ঘটনা প্রায় ৭০ শতাংশই ভূমি সংক্রান্ত। এই হিংসা সংখ্যালঘুদের সম্পত্তি বা তাদের উপাসনালয়ে হামলার মাধ্যমে সংঘটিত হয়।

    হিংসা এবং হিংসা

    তথ্য অনুযায়ী, হিংসার ৫৯ শতাংশ ঘটনা সংখ্যালঘুদের মালিকানাধীন সম্পত্তি (Vested Property Act) ও উপাসনালয় ধ্বংসের মাধ্যমে সংঘটিত হয়েছে। এগুলির ১১ শতাংশ সরাসরি ভূমি সংক্রান্ত বিরোধে জড়িত। প্রায় ২৭ শতাংশ ক্ষেত্রে শারীরিক আক্রমণ বা হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ২ শতাংশ ঘটনা লিঙ্গভিত্তিক হিংসা এবং ১ শতাংশ ঘটনা নির্বাচনকেন্দ্রিক। অধিকাংশ হিংসার উৎস হচ্ছে সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা তথ্য প্রচার। অপরাধ করেও ১০০টির মধ্যে ৯৯টি ক্ষেত্রে পার পেয়ে যায় অপরাধীরা। তার জেরে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বাংলাদেশের সংখ্যালঘুরা।

    এর থেকে মুক্তি কীভাবে (Vested Property Act)? উত্তর হাতড়ে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশের হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টানরা (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
  • Bangladesh Crisis: হিন্দুদের প্রতিবাদ সভায় হামলা পুলিশের, রণক্ষেত্র বাংলাদেশ

    Bangladesh Crisis: হিন্দুদের প্রতিবাদ সভায় হামলা পুলিশের, রণক্ষেত্র বাংলাদেশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দুদের প্রতিবাদ (Hindus Protesting) সভায় হামলা বাংলাদেশ পুলিশের (Bangladesh Crisis)। ফাটানো হল টিয়ার গ্যাসের সেল। করা হল লাঠিচার্জও। এদিন দুপুরে প্রথমে ঘটনাটি ঘটে রাজধানী ঢাকায়। পরে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয় চট্টগ্রামেও। এদিনই হিন্দুদের নিরাপত্তা দিতে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করেছিল ভারত। সেই আর্জির পর চব্বিশ ঘণ্টাও কাটেনি, মঙ্গলবার হামলা হল হিন্দুদের প্রতিবাদ সভায়।

    শান্তিপূর্ণ সমাবেশে লাঠিচার্জ (Bangladesh Crisis)

    সোমবারই গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ওরফে চিন্ময় প্রভুকে। তিনি ইসকনের সঙ্গে যুক্ত। ঢাকা থেকে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। আদালতে তোলা হলে জামিনও মেলেনি চিন্ময়ের। চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতারির প্রতিবাদে এদিন ঢাকা এবং চট্টগ্রামে জমায়েত করেন বাংলাদেশে বসবাসকারী হিন্দুরা। অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ ওই সমাবেশে নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের সেল ফাটিয়ে ছত্রভঙ্গ করে জনতাকে।

    উদ্বেগ প্রকাশ ভারতের

    এদিন জামিন খারিজ হওয়ার পর চিন্ময়কে যখন আদালত থেকে ফের জেলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তখন পুলিশের গাড়ি ঘিরে ধরেন বাংলাদেশের হাজার দুয়েক হিন্দু। ঘণ্টা দুয়েক ধরে রাস্তা অবরোধ করেন তাঁরা। যদিও বাংলাদেশ পুলিশের এক কর্তা বলেন, ওরা (প্রতিবাদীরা) উন্মত্ত আচরণ করছিল। আমাদের দিকে ইট ছুঁড়ছিল। ভিড় ছত্রভঙ্গ করতে আমাদের টিয়ার গ্যাস ছুড়তে হয়েছিল। কেউ গুরুতর আহত হয়নি। তবে আমাদের এক কনস্টেবল জখম হয়েছেন। ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। সংখ্যালঘু হিন্দুদের প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও সুরক্ষা দেওয়ার আর্জি জানায় সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুঃখজনক বিষয় হল, যখন এসব ঘটনার অপরাধীরা এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে, তখন শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মাধ্যমে বৈধ দাবি উপস্থাপনকারী এক ধর্মীয় নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: চিন্ময়কৃষ্ণ প্রভুর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি, বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন অফিস ঘেরাও করবে বিজেপি

    সরকারের পাশাপাশি (Bangladesh Crisis) ভারতের শাসক দল বিজেপির তরফেও চিন্ময় প্রভুকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে বাংলাদেশ সরকারকে অনুরোধ করা হয়েছে। পদ্ম-পার্টির তরফে জারি করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, তারা যেন চিন্ময় প্রভুকে অবিলম্বে মুক্তি দেয়। তাঁর বিরুদ্ধে আনা সমস্ত মিথ্যা মামলাও সরিয়ে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছে গেরুয়া পার্টি।   

    বাংলাদেশের সমস্ত হিন্দু এবং হিন্দু মন্দির যেন সুরক্ষিত থাকে এবং সংখ্যালঘুদের যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না হয়, তা নিশ্চিত করতেও অনুরোধ করা (Hindus Protesting) হয়েছে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারকে (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ২ হাজার ১০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, দাবি কাউন্সিলের

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর ২ হাজার ১০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে, দাবি কাউন্সিলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হাসিনা-উত্তর জমানায় বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের (Minority Families) ওপর ২ হাজার ১০টি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে খুন, যৌন হয়রানি এবং অপহরণের মতো ঘটনাও রয়েছে। এ সবের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ৭০৫টি পরিবার (Bangladesh Crisis)। মঙ্গলবার এ খবর জানান মণীন্দ্র কুমার নাথ। তিনি বাংলাদেশের হিন্দু বুদ্ধিস্ট খ্রিস্টান ইউনিটি কাউন্সিলের অ্যাক্টিং জেনারেল সেক্রেটারি।

    সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার (Bangladesh Crisis)

    সোমবারই গ্রেফতার করা হয়েছে বাংলাদেশের নিপীড়িত হিন্দুদের নেতা তথা বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের ধর্মীয় নেতা ও মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে (চিন্ময় প্রভু নামেই পরিচিত)। সেই প্রেক্ষিতে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বাংলাদেশে কীভাবে সংখ্যালঘুদের ওপর অত্যাচার করা হচ্ছে, সেই পরিসংখ্যান তুলে ধরেন মণীন্দ্র। তিনি বলেন, “হিংসার ঘটনা ঘটতে থাকলেও, তত্ত্বাবধায়ক সরকার এই ঘটনাগুলির তদন্ত বা দোষীদের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়নি।” মণীন্দ্র বলেন, “এটি অত্যন্ত দুঃখজনক… আমরা দেখেছি যে বাংলাদেশের প্রায় ৬৪টি জেলায়ই হিন্দু জনগণের বিরুদ্ধে এবং খ্রিস্টান ও বৌদ্ধদের বিরুদ্ধেও নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সংগঠনের মাধ্যমে প্রাপ্ত পরিসংখ্যান থেকে জানা গিয়েছে, হত্যাকাণ্ড, যৌন হয়রানি এবং অপহরণ-সহ হামলার ২ হাজার ১০টি ঘটনা ঘটেছে। যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১ হাজার ৭০৫টি পরিবার।”

    আরও পড়ুন: চিন্ময়কৃষ্ণকে মুক্তি না দিলে সীমান্তে অবরোধ হবে, ইউনূসকে কড়া বার্তা শুভেন্দুর

    কী বললেন মণীন্দ্র?

    মণীন্দ্র বলেন, “এই অত্যাচারের ফলে দেশের বিভিন্ন শহরে, যেমন ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং রামপুরে সাধু ও সন্ন্যাসীরা প্রতিবাদ করছেন। এই প্রতিবাদগুলি বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে, অংশগ্রহণকারীদেরও নির্যাতন ও আঘাতের শিকার হতে হয়েছে।” তিনি বলেন, “ফলস্বরূপ, সাধু ও সন্ন্যাসীরাও এই অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এগিয়ে এসেছেন বিভিন্ন আন্দোলনের মাধ্যমে। আমরা ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং রামপুরে বড় ধরনের প্রতিবাদ দেখেছি। এসব আন্দোলনে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে, এবং আন্দোলনের সময় লোকজন নির্যাতিত হয়েছে। এমনকি চিন্ময়ের গ্রেপ্তারের পরেও একটি প্রতিবাদসভায় যোগ দিয়ে আহত হয়েছেন।” তিনি বলেন (Bangladesh Crisis), “এই প্রতিবাদগুলির উদ্দেশ্য ছিল সনাতনী জনগণের জন্য আটটি মূল সংস্কারের দাবি জানানো। এই দাবিগুলির মধ্যে রয়েছে ধর্মীয় উৎসবের সময় ছুটি দেওয়া, অত্যাচারের তদন্ত এবং উপাসনাস্থলে প্রার্থনার অধিকার নিশ্চিত করা।” তিনি বলেন, “এই দাবিগুলি (Minority Families) মৌলিক এবং একটি বৈষম্যমুক্ত সমাজ গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) গ্রেফতার নিপীড়িত হিন্দুদের মুখ চিন্ময় প্রভু (Chinmoy Krishna Das)। ঘটনার প্রতিবাদে ফের পথে নামেন সে দেশের হিন্দুরা। সোমবার ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাঁকে। ইসকন পুণ্ডরীক ধামের সভাপতি তিনি।

    হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দিয়েছিলেন চিন্ময় (Bangladesh Crisis)

    শুক্রবার রংপুরে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেন হিন্দুরা। এই সমাবেশে ভাষণ দিয়েছিলেন চিন্ময় প্রভু। সেই সময় তিনি হিন্দুদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন। চট্টগ্রামে তিনটি মন্দির ভাঙার চেষ্টা হলে স্থানীয় মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ সেগুলি রক্ষায় হিন্দুদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন বলেও ভাষণে উল্লেখ করেছিলেন চিন্ময়। এদিন দুপুরে গ্রেফতার করা হল তাঁকেই। 

    হিন্দুদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মুসলমানরা

    প্রসঙ্গত, সম্প্রতি বাংলাদেশে কট্টরপন্থী মুসলমানরা হিন্দুদের হুঁশিয়ারি দিয়েছিল। তাদের দাবি, ইসকনকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। তা না হলে ধরে ধরে হত্যা করা হবে ইসকন ভক্তদের। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই হুমকির কথা জানিয়ে ভারত ও আমেরিকার হস্তক্ষেপ চেয়েছিলেন ইসকনের এক সদস্য। এর আগে গত ৫ নভেম্বর ইসকনকে নিষিদ্ধ করার দাবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট করেন চট্টগ্রামের এক মুসলমান ব্যবসায়ী। ইসকনকে জঙ্গি সংগঠনের তকমা দেন তিনি (Bangladesh Crisis)।

    আরও পড়ুন: ‘‘ছাপ্পা ভোট দিয়ে জেতানো বিধায়কদের শপথে থাকবে না বিজেপি ’’, সাফ জানিয়ে দিলেন শুভেন্দু

    সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। তার পর থেকেই হিন্দুদের ওপর অত্যাচার বাড়তে থাকে। হিন্দুদের ঘরবাড়ি ও বেশ কিছু মন্দির ধ্বংস করার অভিযোগও ওঠে সে দেশের মুসলমানদের বিরুদ্ধে। ৫ নভেম্বর গ্রেফতার করা হয় শতাধিক হিন্দুকে। সেদিন চিন্ময় প্রভুকে গ্রেফতার করা হয়নি। তাঁকে গ্রেফতার করা হল এদিন। তাঁর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনা হয়েছে। গ্রেফতারের কথা নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার রেজিউল করিম মল্লিক। তিনি বলেন, “তাঁকে (চিন্ময় প্রভুকে) ডিবি গ্রেফতার করেছে।” চিন্ময় প্রভুর গ্রেফতারির তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ঊষাতন তালুকদার, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মণীন্দ্রকুমার নাথ-সহ অন্যরা। তাঁরা চিন্ময়ের (Chinmoy Krishna Das) দ্রুত মুক্তির দাবি জানিয়েছেন (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Manipur Crisis: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    Manipur Crisis: “মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ”, মেইতেই হত্যাকাণ্ডে মন্তব্য মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেষমেশ নীরবতা ভাঙলেন মণিপুরের (Manipur Crisis) মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং (Biren Singh)। মেইতেই পরিবারের ছ’জন নারী ও শিশুকে অপহরণ ও হত্যার ঘটনাকে তিনি অভিহিত করেছেন ‘মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ’ বলে। তিনি জানান, অপরাধীদের ধরতে চলছে চিরুনি তল্লাশি। ১১ নভেম্বর সশস্ত্র বেশ কিছু জঙ্গি হামলা চালায় একটি ত্রাণ শিবিরে। কয়েকদিন পরে ওই শিবিরের মেলে আটজন মেইতেই বাসিন্দার দেহ। এই ঘটনার পর সিআরপিএফের সঙ্গে এনকাউন্টারে মৃত্যু হয় ১০ জন জঙ্গির। 

    কী বললেন মুখ্যমন্ত্রী (Manipur Crisis)

    ১১ নভেম্বরের ঘটনা প্রসঙ্গে ভিডিও বিবৃতিতে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ আমি গভীর দুঃখ ও ক্ষোভ নিয়ে এখানে দাঁড়িয়ে আছি। জিরিবামে নিরীহ তিন শিশু ও তিন মহিলাকে অপহরণ করে জঙ্গিরা। পরে উদ্ধার হয় তাঁদের দেহ। এমন বর্বরোচিত কাজ কোনও সভ্য সমাজে স্থান পেতে পারে না।” তিনি বলেন, “আমি আপনাদের এই বলে আশ্বস্ত করতে চাই যে এই জঙ্গিদের খোঁজার কাজ চলছে। খুব শীঘ্রই তাদের কাঠগড়ায় তোলা হবে। আমরা তাদের অমানবিক কাজের জন্য জবাবদিহি নিশ্চিত না করা পর্যন্ত থামব না।”

    বাহিনীর প্রশংসা

    সিআরপিএফ এবং রাজ্য বাহিনীর প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন (Manipur Crisis), “সিআরপিএফ এবং রাজ্যের বাহিনীর অসাধারণ সাহস এবং তাদের কর্তব্যের প্রতি অঙ্গীকারের জন্য আমি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আমার কেন্দ্রীয় নেতাদের প্রতিও কৃতজ্ঞ, যাঁরা রাজ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।” তিনি বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকার সম্প্রতি ২০ কোম্পানি সিএপিএফ পাঠিয়েছে। নিরাপত্তা জোরদার ও শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য আরও ৫০টি কোম্পানি পাঠানো হচ্ছে।”

    আরও পড়ুন: রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এই প্রথম ভারতে আসছেন পুতিন

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “বর্তমান সংঘাত চলছে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রশ্ন নিয়ে।” তাঁর অভিযোগ, এই সংঘাতের বীজ বপন করা হয়েছিল ২০০৮ সালে, পি চিদম্বরম কর্তৃক জোমি রেভলিউশনারি আর্মি (জেডআরএ)-এর সঙ্গে একটি ‘সাসপেনশন অফ অপারেশন্স’ চুক্তি করার মাধ্যমে।জানা গিয়েছে, বর্তমান সংঘাত শুরু হওয়ার কয়েক মাস আগে, বীরেন সিংহ সরকার জেডআরএ-সহ দুই কুকি-জো বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে করা ওই চুক্তি থেকে সরে এসেছিল। এই গোষ্ঠীগুলি বনের জমি দখলকারীদের মধ্যে আন্দোলনকে প্রভাবিত করছে বলে অভিযোগ ওঠে। তার (Biren Singh) জেরেই বাতিল করা হয় চুক্তি (Manipur Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়ল পাকিস্তানের জাহাজ, কী এল কার্গো শিপে, রহস্য!

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের বন্দরে ভিড়ল পাকিস্তানের জাহাজ, কী এল কার্গো শিপে, রহস্য!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বাংলাদেশ ছেড়েছেন। দেশ চালাতে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার (Bangladesh Crisis)। সেই সরকারের প্রধান করা হয়েছে মহম্মদ ইউনূসকে। মুদ্রাস্ফীতি-সহ নানা সমস্যার সমাধানে সেই ইউনূসই ব্যর্থ বলে জানিয়ে দিয়েছে আন্তর্জাতিক একটি ক্রাইসিস গ্রুপ।

    ব্যর্থ ইউনূস (Bangladesh Crisis)

    সদ্য প্রকাশিত এক (Pak Ships) প্রতিবেদনে তারা সতর্ক করে দিয়েছে এই বলে যে, ইউনূসের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ। এই ব্যর্থতা আরও জটিল হয়ে উঠেছে নানা অছিলায় ইউনূসের নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার ইচ্ছার স্পষ্ট ইঙ্গিতের কারণে। প্রতিবেদনে আশঙ্কা করা হয়েছে, এই সব বিষয় শেষ পর্যন্ত দেশটিকে দীর্ঘস্থায়ী সামরিক শাসনের দিকে ঠেলে দিতে পারে। ইউনূস প্রত্যাশিত পারফরম্যান্স দেখাতে না পারায় উদ্বিগ্ন সে দেশের সেনাবাহিনী।

    ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন

    এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রত্যাবর্তন এবং ইউনূসকে লক্ষ্য করে ওয়াশিংটনের কঠোর পদক্ষেপের সম্ভাবনায়ও উদ্বেগে বাংলাদেশের সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্তারা। ইউনূস বহুদিন ধরেই বিল এবং হিলারি ক্লিনটন এবং ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কয়েকজন শীর্ষ নেতা এবং জর্জ সোরোসের মিত্র হিসেবে পরিচিত। ট্রাম্প প্রশাসন কঠোর পদক্ষেপ নিতে পারে। ইউনূস ও তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যরা, হিযবুত তাহরির ও হেফাজতে ইসলামের মতো চরমপন্থী ইসলামি গোষ্ঠী এবং জেনারেল ওয়াকের উজ জামানের মতো সামরিক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হতে পারে বলে অনুমান।

    জারি হতে পারে সামরিক শাসন!

    এই ধরনের (Bangladesh Crisis) নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকি এড়াতে, জেনারেল জামানের সহকর্মীরা দ্রুত ইউনুসের কাছ থেকে ক্ষমতা কেড়ে নিয়ে সামরিক শাসন জারি করার জন্য চাপ বাড়াচ্ছেন বলে খবর। এদিকে, ইউনুস সরকারকে উৎখাত করার চেষ্টা করা হলে পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে খোলাখুলি হুমকি দিচ্ছে সেনাবাহিনীর ইসলামপন্থী গোষ্ঠী। তাদের মতে, এটি বাংলাদেশে ভারতের প্রভাব পুনঃপ্রতিষ্ঠার নয়া সুযোগ সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশের আকাশে যখন এমন অনিশ্চয়তার মেঘ ঘনাচ্ছে, তখন পাকিস্তান ইউনূস ও তাঁর উপদেষ্টাদের পৃষ্ঠপোষকতায় নতুন একটি কৌশল অবলম্বন করেছে। এই কৌশল অনুযায়ী, সামরিক বাহিনী যদি অভ্যুত্থান ঘটায় তবে সশস্ত্র সংঘাতের দিকে এগোতে প্রস্তুত তারা।

    আরও পড়ুন: ‘‘এক দশকে দেশের ২৫ কোটি মানুষের দারিদ্রতা দূর করা গিয়েছে’’, জি২০ সম্মেলনে বললেন মোদি

    বাংলাদেশে ভিড়ল পাক জাহাজ

    মিডিয়া সূত্রে খবর, পাকিস্তানের করাচি বন্দর থেকে একটি কার্গো জাহাজ (Pak Ships) ১৩ নভেম্বর চট্টগ্রাম বন্দরে নোঙর করেছে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের পর পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে এই প্রথম সরাসরি যোগাযোগ হল সমুদ্রপথে। ঘটনায় উদ্বেগে ভারত। পাকিস্তানের হাই কমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ উপস্থিত ছিলেন ওই কার্গো জাহাজ নোঙরের সময়। তিনি বলেন, “এটি দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি বড় পদক্ষেপ। এই নয়া রুট সাপ্লাই চেনকে আরও কার্যকর করবে, কমাবে পরিবহণের সময় এবং দ্বার খুলবে উভয় দেশের নতুন ব্যবসায়িক সুযোগের।”

    ভারতের দুই পড়শির ‘সামুদ্রিক যোগাযোগ’

    বাংলাদেশ প্রশাসন এই (Bangladesh Crisis) ‘সামুদ্রিক যোগাযোগ’কে স্বাগত জানিয়েছে। পাকিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালে এই বাণিজ্যের পরিমাণ নেমে গিয়েছিল ৮০০ মার্কিন মিলিয়ন ডলারে নীচে। ভারতের পূর্ব ও পশ্চিম দুই দিকের দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সরাসরি সামুদ্রিক যোগাযোগ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলিতে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে বলে ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। কারণ এই রাজ্যগুলি অবস্থিত বাংলাদেশের দক্ষিণ-পূর্ব উপকূলের কাছাকাছি। গত ২৯ সেপ্টেম্বর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বাংলাদেশ সরকার। তাতে বলা হয়েছে, পাকিস্তান থেকে আসা সব চালান কাস্টমস পরিদর্শন ছাড়াই ছেড়ে দেওয়া হবে। এর আগে, ১০ সেপ্টেম্বর পাক হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেন। জানা গিয়েছে, একই ধরনের গোপন বৈঠক হয়েছে পাকিস্তানের হাইকমিশনার এবং ইউনূস ও তাঁর দুই উপদেষ্টা – নাহিদ ইসলাম ও আসিফ মাহমুদ সাজিব ভুঁইয়ার সঙ্গেও। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইসলাম ও ভূঁইয়া হিযবুত তাহরীরের সঙ্গে যুক্ত। হাসিনা বিরোধী বিদ্রোহের শীর্ষ কমান্ডারদের মধ্যেও ছিলেন তাঁরা।

    কী ছিল চালানে?

    জানা গিয়েছে, চট্টগ্রামে নোঙর করা জাহাজের ২০০ কন্টেইনারের চালানটি কড়া পুলিশ প্রহরায় এবং ইউনূসের অনুগামী ছাত্র-কর্মীদের উপস্থিতিতে নামানো হয়। সঙ্গে সঙ্গেই পাঠিয়ে দেওয়া হয় অজানা জায়গায়। দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলিও জানে না, চালানে কী ছিল, সেগুলি নিয়েই বা যাওয়া হল কোথায়।
    সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে আরও দাবি করা হয়েছে, জুলাই-অগাস্টে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে বিদ্রোহ শুরু হয়েছিল, যা প্রথমে ছাত্রদের সংরক্ষণ সংস্কার আন্দোলনকে সামনে রেখে হয়েছিল, তার কয়েক মাস আগে নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, ড. আসিফ নজরুল এবং আরও কয়েকজন ব্যক্তি কাতার এবং দুবাই সফর করেছিলেন। সেখানে তাঁরা ডোনাল্ড লু, জর্জ সোরোস এবং পাকিস্তানি আইএসআইয়ের (Pak Ships) প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন বলেও খবর (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     
     
  • Bangladesh Crisis: উগ্রবাদ দমনে ভালো কাজ করেছিলেন হাসিনা, অভিমত লিসা কার্টিসের

    Bangladesh Crisis: উগ্রবাদ দমনে ভালো কাজ করেছিলেন হাসিনা, অভিমত লিসা কার্টিসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) ক্রমেই মাথাচাড়া দিচ্ছে উগ্রবাদ। তা নিয়ে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গভীর উদ্বেগে, তা জানা গিয়েছে নানা সময়। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাবী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন আগেই। এবার উদ্বেগের সুর শোনা গেল হোয়াইট হাউসের ভূতপূর্ব এক কর্ত্রীর মুখেও।

    কী বলছেন লিসা কার্টিস (Bangladesh Crisis)

    লিসা কার্টিস নামের ওই কর্ত্রী বলেন, “ক্ষমতাচ্যুত প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট শেখ (পড়ুন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) এটি (উগ্রবাদ) নিয়ন্ত্রণে আনতে একটি ভালো কাজ করেছিলেন।” ট্রাম্প যখন প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন, তখন লিসা ছিলেন দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপদেষ্টা। ২০১৭ থেকে ২০২১ পর্যন্ত জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার সিনিয়র ডিরেক্টর ছিলেন লিসা।

    উদ্বেগে লিসাও

    তিনি বলেন, “বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ এবং তার পরিণতি কী হতে পারে, তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।” বৃহস্পতিবার লিসা বলেন, “বাংলাদেশ বর্তমানে একটি সঙ্কটময় সময়ের (Bangladesh Crisis) মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। শেখ হাসিনার (Sheikh Hasina) পতন এবং রাজনৈতিক ব্যবস্থার সংস্কারের প্রচেষ্টার ফলে অনেক আশা দেখা দিয়েছে। মানুষ আশাবাদী যে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী হবে।” সংরক্ষণকে কেন্দ্র করে অশান্তির জেরে গত ৫ অগাস্ট দেশ ছাড়েন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । আওয়ামি লিগ সুপ্রিমো দেশ ছাড়তেই শুরু হয় হিন্দু-সহ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর ব্যাপক হামলা। ৮ অগাস্ট অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নেন মহম্মদ ইউনূস। তিনিই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান।

    আরও পড়ুন: প্রবৃদ্ধির গতি রোধ করতে খনিজ রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা চিনের! জবাবে কী করল ভারত?

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে লিসা বলেন, “তার পরেও অনেক উদ্বেগ রয়েছে। কিছু ইসলামী চরমপন্থীকে কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে (Bangladesh Crisis)। কিছু সংখ্যালঘু হিন্দু, খ্রিস্টানদের ওপর আক্রমণ হয়েছে।” তিনি বলেন, “আমরা বাংলাদেশে সন্ত্রাসবাদের একটি ইতিহাস দেখেছি। ২০১৬ সালে আপনারা হোলি (আর্টিজান) বেকারি আক্রমণ দেখেছেন। এটি একটি খুবই গুরুতর ঘটনা। বাংলাদেশে কিছু আইসিস উপাদানও ছিল। শেখ হাসিনা (Sheikh Hasina) বাংলাদেশে চরমপন্থী সমস্যাগুলো নিয়ন্ত্রণে ভালো কাজ করেছেন।”

    লিসা বলেন, “এটি এই অঞ্চলের, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কারও পক্ষেই ভালো হবে না। আমরা এখন বাংলাদেশে একটি সংবেদনশীল (Bangladesh Crisis) সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। তাই যদিও এটি (নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট) ট্রাম্পের প্রথম অগ্রাধিকার নাও হতে পারে, তবে আমি মনে করি যা ঘটছে তার প্রতি মনোযোগ দিতে হবে প্রেসিডেন্টকে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: ইউনূসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের আওয়ামি লিগের

    Bangladesh Crisis: ইউনূসের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে মামলা দায়ের আওয়ামি লিগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেশে ফেরাতে ইন্টারপোলের দ্বারস্থ হয়েছে সে দেশের অন্তর্বর্তী সরকার। এই সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূস (Muhammad Yunus)। এবার ইউনূসের বিরুদ্ধেই হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) মামলা দায়ের করল হাসিনার দল আওয়ামি লিগ।  

    মানবাধিকার লঙ্ঘন

    বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) মানবাধিকার লঙ্ঘন একপ্রকার নৈমিত্তিক ঘটনায় পরিণত হয়েছে। সে দেশে বসবাসকারী মানুষের জীবনকে কেবলমাত্র একটি রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। কিছু সংখ্যক ব্যক্তি ক্ষমতায় টিকে থাকতে এসব কাজ করছে বলেই অভিযোগ। আওয়ামি লিগের এক নেতা জানান, তিনি বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মহম্মদ ইউনূস-সহ (Muhammad Yunus) মোট ৬২ বিরুদ্ধে হেগের আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করেছেন। ইউনূসের মন্ত্রিসভার সব সদস্য এবং বৈষম্যবিরোধী জোটের ছাত্রনেতাদের বিরুদ্ধেই দায়ের হয়েছে অভিযোগ। ইউনূস এবং অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রোম স্ট্যাটিউটের ১৫ নম্বর অনুচ্ছেদের অধীনে গুরুতর অপরাধের অভিযোগ তুলেছেন সিলেটের ভূতপূর্ব মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

    কী বলছে আওয়ামি লিগ

    আওয়ামি লিগের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে (Bangladesh Crisis) প্রকাশিত এক ভিডিওবার্তায় আনোয়ারুজ্জামান বলেন, “বাংলাদেশে ৫ আগস্ট থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত ছাত্র আন্দোলনের নামে, বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) আওয়ামি লিগ ও তার বিভিন্ন শাখা সংগঠনের সকল নেতা-কর্মী, বাংলাদেশে বসবাসরত হিন্দু, খ্রিস্টান, বৌদ্ধ সম্প্রদায় এবং বাংলাদেশ পুলিশের ওপর নিষ্ঠুর গণহত্যা ও মানবতা-বিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।”

    তিনি বলেন, “এ সংক্রান্ত সকল তথ্য ও প্রমাণ আমরা আইসিসি-তে জমা দিয়েছি। ভিডিও বার্তায় এও বলা হয়েছে, প্রায় ৮০০ পাতার নথি মূল অভিযোগের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়েছে। খুব শীঘ্রই আইসিসিতে আরও ১৫,০০০ এমন অভিযোগ দায়ের করার জোরদার প্রস্তুতি চলছে। এই অভিযোগগুলি মূল অভিযোগের পরিসরকে আরও প্রসারিত করবে এবং অনেক বেশি সংখ্যক মানুষকে এতে অন্তর্ভুক্ত করবে।”

    আরও পড়ুন: নিয়োগ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরেও দেড় কোটি টাকা ঢুকেছিল কুন্তলের অ্যাকাউন্টে!

    ইউনূসের (Muhammad Yunus) আইনি উপদেষ্টা নজরুল এই আবেদনটিকে আন্তর্জাতিক মতামতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা বলে খারিজ করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, “এটি কোনও মামলা নয়। এটি কেবল (Muhammad Yunus) একটি আবেদন। যে কেউ এমন আবেদন করতেই পারে (Bangladesh Crisis)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ। 

LinkedIn
Share