Tag: Crisis

Crisis

  • Bangladesh Crisis: অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে, অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ

    Bangladesh Crisis: অরাজক পরিস্থিতি বাংলাদেশে, অব্যাহত হিন্দু নিধন যজ্ঞ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ জুড়ে চলছে অরাজক পরিস্থিতি (Bangladesh Crisis)। প্রধানমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন শেখ হাসিনা। দেশের রশি রাষ্ট্রপতির হাতে। সেনাবাহিনীর মাধ্যমে তিনিই বর্তমানে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করছেন। তবে তাতে যে কিছুই হয়নি, তার প্রমাণ হিন্দুনিধন যজ্ঞে ইতি না পড়া। কোথাও জীবন্ত পুড়িয়ে মারা (Hindu Killed) হচ্ছে মানুষকে।

    রাস্তায় ঝোলানো সারি সারি লাশ (Bangladesh Crisis)

    কোথাও আবার আতঙ্কের পরিবেশ সৃষ্টি করতে রাস্তায় ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে সারি সারি লাশ। আক্রোশ মেটাতে মৃতের মুখ থেঁতলে দেওয়া হচ্ছে লাথি মেরে। হিন্দুদের ঘরদোর জ্বালিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ভাঙচুর করা হচ্ছে মন্দির। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে দেবালয়ে। নির্বিচারে চলছে মহিলা নির্যাতন। ভাইরাল হয়েছে মহিলাদের আর্ত চিৎকারের ভিডিও। মেহেরপুরে সোমবার রাতেই ভাঙচুর করে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল ইস্কনের মন্দিরে। মঙ্গলবার রাতে আওয়ামি লিগের এক নেতা-সহ হিন্দুদের ৯টি বাড়িতেও হামলার ঘটনা ঘটছে। ঢাকায় একাধিক হিন্দুর বাড়ির ভাঙচুর করা হয়েছে। চালানো হয়েছে লুটপাট।

    উদ্বেগে ব্রিটেন

    সোমবার সন্ধেয় মালোপাড়ায় ছটি হিন্দু বাড়িতে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। করা হয় ভাঙচুর। দিনাজপুর সদর উপজেলায় ফুলতলা শ্মশানঘাট এলাকায় হরিসভা ঘর, দুর্গা মন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে। বোচাগঞ্জ উপজেলার ঈশানিয়া ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজারে হিন্দুদের অন্তত ৪০টি দোকানে চালানো হয়েছে লুটপাট। ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) সংখ্যালঘু সম্প্রাদায়ের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। হিংসা বন্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতি গোষ্ঠীর উপাসনালয় ও লোকজনের ওপর হামলার খবরে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের মিশনগুলোর রাষ্ট্রদূতেরা।

    হিন্দুদের ওপর অত্যাচার

    সোমবার বাংলাদেশ হিন্দু বুদ্ধিস্ট খ্রিস্টান ইউনিটি কাউন্সিল হিন্দুদের মন্দির এবং বাড়িঘরে হামলার একটা তালিকা প্রকাশ করেছে। এক্স হ্যান্ডেল ভয়েস অফ বাংলাদেশি হিন্দুজে বলা হয়েছে, এই হামলার ঘটনা ঘটেছে পাঁচ ঘণ্টার মধ্যে। তালিকায় ৫৪টি হামলার ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হামলার ঘটনা এর চেয়ে ঢের বেশি। খুলনায় রূপসা থানা এলাকায় জনৈক শ্যামল কুমার দাস ও স্বজন কুমার দাসের বাড়িতে হামালা চালায় দুষ্কৃতীরা। খুলনা ডিস্ট্রিক্ট ইউনিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বিমান বিহারী অমিত এবং খুলনা শহরের ইউথ ইউনিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট অনিমেষ সরকার রিঙ্কুর বাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে (Hindu Killed)। দেকোপের আমতলির বানিসান্তা এলাকায় জয়ন্ত গাইন এবং কয়রার দারপাড়া এলাকায় সংখ্যালঘুদের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। চালানো হয় লুটপাট।

    শ্মশানের জমিও দখল

    ফেনিতে আক্রান্ত দুর্গা মন্দির। দিনাজপুর ও ফুলথালা এলাকায় দুষ্কৃতীরা দখল করে নিয়েছে শ্মশানের জমি। পার্বতীপুরে কালীমন্দির-সহ পাঁচটি মন্দিরে ভাঙচুর চালানো হয়। চিরিরবন্দর থানা এলাকায় লুটপাট চালানো হয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে। পেশায় ব্যবসায়ী দীপক সাহার বাড়ি ও অফিসে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। তিনি লখিমপুরের পূজা সেলিব্রেশন কাউন্সিলের নেতাও। খোশরগঞ্জে ভাঙচুর করা হয় জনৈক নকুল কুমার ও সুশান্তের বাড়ি। পরে লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। চট্টগ্রামে হামলা চালানো হয় উজ্জ্বল চক্রবর্তীর বাড়িতে। দুষ্কৃতীরা লুটে নিয়ে যায় (Bangladesh Crisis) ঘরগেরস্থালির জিনিসপত্রও। যশোরে হিন্দুদের তিনটি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। ২২টি দোকানেও হানা দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এর মধ্যে একটি বাবুল সাহার ওয়্যার হাউস।

    হিন্দুদের দোকান লুটপাট

    সাতক্ষীরা এলাকায় হিন্দুদের দোকান লুটপাট করা হয়েছে। ডিস্ট্রিক্ট ইউনিটি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট বিশ্বজিৎ সাধুর বাড়িতে চালানো হয়েছে লুটপাট। তাঁর বাড়িতে আগুনও লাগিয়ে দেওয়া হয়। ডক্টর সুব্রত ঘোষের বাড়িতেও লাগিয়ে দেওয়া হয় আগুন। তিনি ইউনিটি কাউন্সিলের সেন্ট্রাল অ্যাসিসটেন্ট অর্গানাইজেশনাল সেক্রেটারি। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে তালিকা।  এই তালিকার বাইরে বহু ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের হিন্দুদের বাড়িঘরদোর ভাঙচুর করা হচ্ছে। করা হচ্ছে অগ্নিসংযোগও (Bangladesh Crisis)। দুষ্কৃতীরা হিন্দুদের মন্দিরও ভাঙচুর করছে। এক্স হ্যান্ডেলে জনৈক রাজু দাস পোস্ট করেছেন একাধিক ভিডিও। একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, উন্মত্ত জনতা বামুনিয়া পালপাড়ায় হিন্দুদের বাড়ি  আক্রমণ করেছে।

    কাতর আর্তি অসহায় তরুণীর

    অন্য একটি ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে অসহায় এক তরুণীকে। বাঁচার জন্য কাতর আর্তি জানাচ্ছেন তিনি। ঘটনাটি পিরোজপুর জেলার মাথাবাড়িয়া থানা এলাকার। অন্য একটি ভিডিওয় দেখা গিয়েছে উন্মত্ত জনতা চট্টগ্রামের একটি মন্দিরে আগুন লাগিয়ে দিয়েছে। অবশ্য ভিডিওগুলোর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। ভারতে ইস্কনের মুখপাত্র যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাস একটি পোস্টে বলেন, “আমি যে তথ্য পেয়েছি, মেহেরপুরে (খুলনা ডিভিশন) আমাদের একটি মন্দিরে আগুন লাগানো হয়েছে। পুড়ে গিয়েছে ভগবান জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ। ওই মন্দিরে যে তিন ভক্ত ছিলেন, তাঁরা কোনও ক্রমে পালিয়ে প্রাণে বেঁচেছেন। অন্য একটি ভিডিওয় হিন্দুদের হুমকি দিতে দেখা গিয়েছে বেশ কিছু মুসলমানকে।

    বাংলাদেশের সংবাদপত্রের দাবি

    বাংলাদেশের সংবাদপত্র ‘ডেইলি স্টারে’র দাবি, দেশের ২৭ জেলাতে হিন্দুদের ওপর আক্রমণ হয়েছে। এই প্রতিবেদন থেকেই জানা গিয়েছে, লালমনিরহাট সদর উপজিলার তেলিপাড়া এবং থানা রোড এলাকায় ভাঙচুর করা হয়েছে দুই হিন্দুর বাড়ি। প্রদীপ চন্দ্র রায় এবং মুহিন রায় নামের এই হিন্দুর বাড়িতে লুটপাটও চালানো হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল ১৯৭১ সালে। তার পর থেকে এ পর্যন্ত নিত্য চলছে হিন্দুদের ওপর অত্যাচার। সে দেশে একবার হিংসা শুরু হলে পোয়া বারো মুসলমানদের একটা বড় অংশের। তারা হিন্দুদের মারধর করে কিংবা ভয় দেখিয়ে ধর্মান্তরিত করে ‘জান্নাতে’র পথ প্রশস্ত করে। কেউ কেউ আবার হিন্দু বিতাড়ন করে স্রেফ সম্পত্তি দখল করার অভিলাষে।

    স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম এবং তৎপরবর্তীকালে নানা আন্দোলন চলাকালীন হিংসার ঢেউ আছড়ে পড়েছে বাংলাদেশে, যার বলি হয়েছেন হিন্দুরা। এবার অবশ্য হিন্দুদের পাশাপাশি ভাঙচুর করা হয়েছে আওয়ামি লিগের কয়েকজন মুসলমান নেতার বাড়িতে। তবে সেই সংখ্যা নিতান্তই হাতে গোণা। সংবাদের শিরোনামে কিন্তু বাংলাদেশের হিন্দু নিধন (Hindu Killed) যজ্ঞই। কারণ আন্দোলনের বলি কেবল সনাতনী (Bangladesh Crisis) হিন্দুরাই।

    আরও পড়ুন: শেখ মুজিবুরের ভক্ত, হাসিনা বিরোধী! অশান্ত বাংলাদেশকে শান্ত করতে পারবেন ইউনূস?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশে ইস্কনের মন্দির ভাঙচুর, ছত্রখান বিগ্রহও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯৭১ আর ২০২৪ সালের মধ্যে সময়ের ফারাক বিস্তর। কালের নিয়মে এই সময়-পর্বে পদ্মা দিয়ে বয়ে গিয়েছে অনেক জল। তবে নানা অছিলায় বাংলাদেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ (Bangladesh Crisis) বন্ধ হয়নি। ১৯৭১ আর ২০২৪ সাল দুটোর প্রেক্ষাপট আলাদা। তবে বাংলাদেশি মুসলমানদের (Islamist Mob) চাঁদমারি কিন্তু সেই হিন্দুরা। যেন-তেন-প্রকারে হিন্দু বিতাড়ন কিংবা নিধন করে জমিজমা দখল করাই পরোক্ষ লক্ষ্য বাংলাদেশি মুসলমানদের, এমনটাই বলছেন অভিজ্ঞরা। প্রেক্ষাপট ভিন্ন হলেও সেই কারণেই হিন্দুদের মন্দিরে হানা দিচ্ছে বাংলাদেশি মুসলমানরা। বাংলাদেশের মেহেরপুরে রয়েছে ইস্কনের মন্দির। এই মন্দিরের মুখপাত্র সুমোহন মুকুন্দ দাস সেই অবর্ণনীয় (Bangladesh Crisis) ছবির ভিডিও শেয়ার করেছেন। ৫ অগাস্ট রাতে এই মন্দিরে ভাঙচুর চালায় মুসলমানরা। ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় নিরপরাধ দেব বিগ্রহগুলিকে।

    কী বলছেন ইস্কনের সেবায়েত

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন, “বর্তমান পরিস্থিতি ১৯৭০ সালের চেয়ে খুব একটা আলাদা কিছু নয়। বেছে বেছে আক্রমণ করা হচ্ছে হিন্দু রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং মন্দিরগুলিকে।” ইস্কনের ওই মন্দিরের মুখপাত্র বলেন, “ওরা আমাদের ইস্কন মন্দিরকে টার্গেট করেছিল। ভাঙচুর করেছে। মন্দিরের ভেতরে বোমা বিস্ফোরণও করা হয়েছে।” প্রাণ বাঁচাতে বিগ্রহকে অন্তর্যামীর ভরসায় রেখে রাতের অন্ধকারে জঙ্গলে আশ্রয় নেন তাঁরা। তিনি বলেন, “আমি এখনও জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছি। স্থানীয় কয়েকজনের বাড়িতে (Bangladesh Crisis) আশ্রয় নিতে গিয়েছিলাম। তারা মুখের ওপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছিল। বলেছিল, আপনাদের আশ্রয় দিলে ওরা (মুসলমানরা) আমাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দেবে। অগত্যা জঙ্গলেই আশ্রয় নিতে হল। এখনও জঙ্গলেই লুকিয়ে রয়েছি। আপনাদের মাধ্যমে গোটা বিশ্বকে বলতে চাই, বাংলাদেশে হিন্দুরাই টার্গেট মুসলমানদের। ১৯৭১ থেকে ২০২৪ – হিন্দু-পীড়ন চলছেই।”

    বাংলাদেশের আর একটি ইস্কনের মুখপাত্র যুধিষ্ঠির গোবিন্দ দাস বলেন, “খবর যা পেয়েছি, তাতে জেনেছি মেহেরপুরে আমাদের ইস্কনের মন্দিরে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। মন্দিরে জগন্নাথ, বলরাম ও সুভদ্রার বিগ্রহ ছিল। মন্দিরে যে তিন ভক্ত ছিলেন, তাঁরা কোনওক্রমে পালিয়ে বেঁচেছেন। দুষ্কৃতীরা রেহাই (Bangladesh Crisis) দেয়নি বিগ্রহদের।” আধপোড়া বিগ্রহের ছবি ভাইরাল হয়েছে। তাতে দুঃখ পেয়েছেন ভারতীয় হিন্দুরা। তাতে অবশ্য কিছু যায় আসে না বাংলাদেশি মুসলমানদের।

    সুপ্ত ইচ্ছে (Bangladesh Crisis)

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, হিন্দুদের সম্পত্তি দখল যদি একটা উদ্দশ্যে হয়, তাহলে আরও একটা সুপ্ত ইচ্ছে আছে বাংলাদেশি মুসলমানদের। সেটা হল, বাংলাদেশকে হিন্দুশূন্য রাষ্ট্রে পরিণত করা। সেই কাজটাই সুচারুভাবে করে চলেছে বাংলাদেশি মুসলমানদের একটা বড় অংশ। তাই কোনও একটা ছুতো পেলেই বাংলাদেশি মুসলমানদের সফট টার্গেটে পরিণত হয় হিন্দুদের মন্দির ও আরাধ্য দেবতা। হিন্দু মতে বিগ্রহ নাবালক, তাই তাঁর সেবা করতে হয় শিশুপুত্র কিংবা শিশুকন্যার মতো। অভিভাবক যে গৃহস্থ, খুন করা হয় তাঁকেও। 

    স্পিকটি নট ‘সোনার বাংলা’র বুদ্ধিজীবীরা

    যারা যুক্তি-বুদ্ধির ধার ধারে না, তারা যে দেবতাকেও রেহাই দেবে না, তা তো জলের মতোই পরিষ্কার। সংখ্যালঘুদের পালক চাপা দিয়ে রক্ষা করা যে সংখ্যাগুরুদের কর্তব্য, তা ধর্তব্যের মধ্যেই আনে না বাংলাদেশের সিংহভাগ মুসলমান। তাই দেশে হিন্দু নিধন যজ্ঞ হলেও, স্পিকটি নট ‘সোনার বাংলা’র বুদ্ধিজীবীরা। মুখে কুলুপ এঁটে বসে থাকেন বাংলাদেশের ভারতীয় জামাইরাও। তাই মুসলমানদের হাতে লাঞ্ছিত হতে হয় হিন্দুর দেবতাকে। ১৯৭১ সালে যখন স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম হয়, তখন সেই ডামাডোলের বাজারেও বাংলাদেশে লাঞ্ছিত হতে হয়েছে হিন্দুদের। যার জেরে প্রাণ বাঁচাতে কাতারে কাতারে বাংলাদেশি হিন্দু রাতের (Bangladesh Crisis) আঁধারের বুক চিরে চলে এসেছেন ভারতে। সেই সঙ্কটকালেও স্রেফ দেশমাতৃকাকে ভালোবেসে যাঁরা রয়ে গিয়েছিলেন ওপার বাংলায়, তাঁদের অবস্থা করুণ।

    আরও পড়ুন: বাংলাদেশে হিন্দুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক ভারত সরকার, আর্জি বিশ্ব হিন্দু পরিষদের

    নিত্য কমছে হিন্দুর হার

    পরিসংখ্যান (Islamist Mob) বলছে, স্বাধীন বাংলাদেশ গঠিত হওয়ার সময় সে দেশে হিন্দুর হার ছিল মোট জনসংখ্যার ১৩ শতাংশের আশপাশে। কমতে কমতে ৫৪-৫৫ বছরে সেটাই এসে দাঁড়িয়েছে মাত্র আট শতাংশে। এই সামান্য শতাংশকেও ভিটেমাটি ছাড়া করতে পারলে কেল্লাফতে। বাংলাদেশ হয়ে যাবে একশো শতাংশ মুসলমানের দেশ। এই মুসলমানের ‘দ্যাশ’ করতে গিয়েই খুন করা হচ্ছে সে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বীদের (Bangladesh Crisis)। ২০২৪ সালের ছবিটাও সেই সময়কার চিত্রের চেয়ে খুব একটা আলাদা নয়। 

    অকৃতজ্ঞ!

    সনাতন ধর্মের আঁতুড়ঘর যে ভারতের সাহায্য ছাড়া স্বাধীন হতে পারত না বাংলাদেশ, যে ভারতের আর্থিক সাহায্য ছাড়া বাংলা হতে পারত না সোনার বাংলা, সেই দেশেই স্লোগান ওঠে ‘ইন্ডিয়া আউট’। দিনের বেলায় যারা ‘ইন্ডিয়া আউট’ স্লোগান দেয়, সূর্য অস্ত গেলে তারাই লোটাকম্বল নিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে দুমুঠো ভাতের আশায় চলে আসে ভারতে। তুষ্টিকরণের রাজনীতির কারবারিদের আশ্রয়ে এবং প্রশ্রয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জোগাড় করে তারা মিশে যায় ভারতীয় জনারণ্যে। ভারত হয়ে ওঠে ‘বিবিধের মাঝে মিলন মহানে’র দেশ। আর ‘আ-মরি বাংলা ভাষা’র দেশের (Islamist Mob) হিন্দুরা বলতে ভয় পান (Bangladesh Crisis), “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি…”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    Bangladesh Crisis: বাংলাদেশের হিংসায় নিরপেক্ষ তদন্ত চাইল ব্রিটেন, চুপ হাসিনাকে ‘আশ্রয়’ নিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আমেরিকার পর এবার ব্রিটেনও (UK)। বাংলাদেশে (Bangladesh Crisis) রাজনৈতিক পট পরির্তন ও তার জেরে আন্দোলনে মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত চেয়েছিল আমেরিকা। ব্রিটেনও চাইছে, বাংলাদেশে তদন্ত করুক রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বাধীন তদন্তকারী দল। ব্রিটেনের বিদেশমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশকে সমর্থনের ওপর জোর দেওয়ার কথা বলেছেন।

    ব্রিটেনের বিবৃতি (Bangladesh Crisis)

    ব্রিটেনের তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত কয়েক দিন বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক উত্থানের ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত চায় তারা। তদন্ত হোক রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে স্বাধীনভাবে।” বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ব্রিটেন মুখ খুললেও, হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে উচ্চবাচ্য করেনি রাজার দেশ। ল্যামি বলেন, “বাংলাদেশে গত দু’সপ্তাহে নজিরবিহীনভাবে হিংসা এবং প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে। …একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে সব পক্ষকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ গত কয়েক সপ্তাহের ঘটনাবলীতে রাষ্ট্রপুঞ্জের নেতৃত্বে পূর্ণাঙ্গ ও স্বাধীন তদন্তের দাবি রাখে।” তিনি বলেন, “বাংলাদেশ একটি শান্তিপূর্ণ ও গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতে নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ দেখতে চায়।” মন্ত্রী বলেন, “ব্রিটেন ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে এবং কমনওয়েলথ মূল্যবোধ রয়েছে।”

    আরও পড়ুন: তাঁর আমলেই অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি, বাংলাদেশকে গণতন্ত্রের পথ দেখিয়েছিলেন হাসিনা

    কী বলছে আমেরিকা

    বাংলাদেশের ঘটনার তদন্ত চেয়েছে আমেরিকাও। সে দেশের বিদেশ দফতরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, “আমরা মনে করি বাংলাদেশের (Bangladesh Crisis) আইন ও গণতান্ত্রিক নীতিকে মাথায় রেখেই সেখানে নয়া সরকার গঠন করা হবে। সেখানে যে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই তার তদন্ত হওয়া উচিত।” এদিকে, ভারত কিংবা আমেরিকা কারও কাছেই রাজনৈতিক আশ্রয় চাননি হাসিনা।

    বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী একাধিকবার যোগাযোগ করেছেন লন্ডনের সঙ্গে। আবেদন করেছেন রাজনৈতিক আশ্রয়ের জন্য। তবে ব্রিটেন নাকি সেই আবেদনে কান দেয়নি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, সেই কারণেই ব্রিটেনের (UK) জারি করা বিবৃতিতে হাসিনার নাম পর্যন্ত নেওয়া হয়নি (Bangladesh Crisis)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russia Population: ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেই ১৩ লক্ষ টাকা, জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া পুতিন

    Russia Population: ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেই ১৩ লক্ষ টাকা, জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া পুতিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: একেই করোনার প্রকোপ, তার ওপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, দেশবাসী হারিয়েছে রাশিয়া (Russia)। জনসংখ্যার সংকটে (Crisis) পড়তে চলেছে পুতিনের দেশ। আর এই সমস্যার সমাধানে প্রস্তাব দিলেন রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিন (Vladimir Putin)। দেশে জনসংখ্যার (Population) সংকটের মোকাবিলা করতে ১০ বা তার বেশি সন্তান নেওয়ার জন্য মহিলাদের আর্থিক সাহায্য়ের প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। ১০টি শিশুর জন্ম দেওয়া এবং বাঁচিয়ে রাখার জন্য ১ মিলিয়ন রুবেল আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করলেন পুতিন। যা ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা। কিন্তু এর জন্যে বেঁধে দেওয়া হয়েছে একটি শর্ত।

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোর

    কোনও মহিলার দশ নম্বর সন্তানের যখন প্রথম জন্মদিন হবে এবং সে সময় যদি বাকি নয় সন্তান জীবিত থাকে, তবেই সরকারের তরফ থেকে এই টাকা পাওয়া যাবে। জনসংখ্যা বৃদ্ধিতে জোর দিতে ‘মাদার হিরোইন’ নামে এই বিশেষ প্রকল্পের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ‘টাইমস রেডিও’তে এই প্রকল্প সম্পর্কে বিশদে জানিয়েছেন রাশিয়ার রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ জেনি ম্যাথার্স।

    জেনি বলেছেন, ‘‘দশ বা তার বেশি সন্তান হলে মহিলাদের জন্য এই পুরষ্কারের চল সোভিয়েত যুগের। একে মাদার হিরোইন বলা হয়। রাশিয়ার জনসংখ্যা সঙ্কট দূর করতেই এই প্রয়াস। বর্তমানে ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধে এই সঙ্কট আরও প্রবল হয়েছে।’’

    আরও পড়ুন: অজিত ডোভালের আকস্মিক রাশিয়া সফর, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধে শান্তির বার্তা?

    এই বছরের মার্চ মাস থেকে রাশিয়ায় ফের মাথা চাড়া দিয়েছে করোনা। এর পাশাপাশি ইউক্রেনে ৫০ হাজার জন সৈন্য মারা গিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে দেশকে জনবহুল করতে তাই মরিয়া হয়ে উঠেছেন পুতিন।

    এ বিষয়ে ডাঃ ম্যাথার্স বলেন, পুতিন বলে আসছেন যে যাঁদের বড় পরিবার আছে, তাঁরা বেশি দেশপ্রেমিক।

    দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ব্যাপক হারে জনসংখ্যা কমে যাওয়ায় ১৯৪৪ সালে এই বিশেষ আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছিলেন সোভিয়েত নেতা জোসেফ স্ট্যালিন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর এটি বন্ধ হয়ে যায় সেই পুরষ্কার। জনসংখ্যা বাড়াতে গত ১৬ অগস্ট আবার এই আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করেছেন পুতিন।

    জানা গিয়েছে, গত কয়েক দশকে রাশিয়ার জনসংখ্যা কমেছে। চলতি বছরের শুরুতে রাশিয়ার জনসংখ্যা ছিল ১৪ কোটি ৬০ লক্ষ।

    এখন অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন যে, এই তেরো লক্ষ টাকাতে কী ১০টি সন্তান এই যুগে মানুষ করা  সম্ভব? তাই কতটা কার্যকর হবে রুশ রাষ্ট্রপতির এই পরিকল্পনা তা নিয়ে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। 

     

LinkedIn
Share