Tag: Critical

  • Critical Minerals: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলল গুরুত্বপূর্ণ খনিজের

    Critical Minerals: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলল গুরুত্বপূর্ণ খনিজের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর-পূর্বাঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকায় হদিশ মিলেছে গুরুত্বপূর্ণ খনিজের (Critical Minerals)। পরিচ্ছন্ন জ্বালানির রূপান্তর, ডিজিটাল পরিকাঠামো এবং প্রতিরক্ষা উৎপাদনের জন্য অত্যন্ত জরুরি। সম্প্রতি এ খবর জানিয়েছে জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া। এই খনিজগুলির মধ্যে রয়েছে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস (REE), গ্রাফাইট, ভ্যানাডিয়াম, লিথিয়াম, কোবাল্ট এবং অন্যান্য উপাদান, যা ব্যাটারি, সেমিকন্ডাক্টর এবং উন্নত ধাতব মিশ্রণ তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়।

    জিএসআইয়ের রিপোর্ট (Critical Minerals)

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার এক রিপোর্টে বলা হয়েছে (Northeast Region), “এ ধরনের সম্পদের প্রতি ভারতের ক্রমবর্ধমান চাহিদা দেশীয় উৎস চিহ্নিত ও উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তাকে আরও জোরালোভাবে তুলে ধরে, বিশেষ করে পূর্ব-উত্তর ভারতের মতো ভূতাত্ত্বিকভাবে সম্ভাবনাময় অঞ্চলে নিবেদিত থিম্যাটিক স্টাডি, বেসলাইন সমীক্ষা এবং প্রকল্পভিত্তিক অনুসন্ধানের মাধ্যমে, জিএসআই একাধিক অঞ্চলে এই গুরুত্বপূর্ণ সম্পদে সমৃদ্ধ এলাকা চিহ্নিত করেছে।” ৫৭ পাতার এক প্রতিবেদনে সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হয়েছে তাদের অনুসন্ধানের ফলের সারসংক্ষেপ।

    চিনের সিদ্ধান্তে উদ্বিগ্ন ভারত

    বিশ্বের প্রধান রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানিকারী দেশ হল চিন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এই রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট রফতানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বেজিং। অথচ, এই রেয়ার আর্থ ম্যাগনেট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে বৈদ্যুতিক যানবাহনের মোটর তৈরি-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে (Critical Minerals)। প্রতিবেশী দেশের এই সিদ্ধান্ত পশ্চিমী দেশগুলির পাশাপাশি ভারতেও উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। কারণ ২০২৫ অর্থবর্ষে ভারত তার ৫৪০ টন ম্যাগনেট আমদানির ৮০ শতাংশেরও বেশি সংগ্রহ করেছিল ড্রাগনের দেশ থেকেই। ইউরোপের জ্বালানি খাতও প্রায় ৯৮ শতাংশ সংগ্রহ করেছিল চিন থেকেই। ভারতের বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল চিনের এই সিদ্ধান্তকে ভারতের জন্য এক সতর্কবার্তা বলে উল্লেখ করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “ভারতের উচিত বিকল্প সরবরাহ চেইন খুঁজে বের করা এবং চিনের ওপর নির্ভরতা কমানো (Northeast Region)।”

    উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনন্য ভূতাত্ত্বিক গঠন

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের অনন্য ভূতাত্ত্বিক গঠন — যার মধ্যে ওফিওলাইট বেল্ট, ক্ষার-আল্ট্রামাফিক কমপ্লেক্স এবং গ্রাফাইটযুক্ত সিস্ট রয়েছে — তা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ খনিজের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করে। ভারত যখন খনিজ-নির্ভর পরিচ্ছন্ন জ্বালানির পরিবর্তন ও প্রযুক্তিগত বিকাশের পথে এগিয়ে চলেছে, তখন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের খনিজ সম্পদ একটি গুরুত্বপূর্ণ সহায়ক ভূমিকা পালন করতে প্রস্তুত (Critical Minerals)। উত্তর-পূর্বাঞ্চল অঞ্চলটি অরুণাচলপ্রদেশ, অসম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, সিকিম এবং ত্রিপুরা নিয়ে গঠিত এবং এটি প্রায় ২.৬২ লাখ বর্গকিলোমিটার বা ভারতের মোট ভৌগোলিক এলাকার প্রায় ৮ শতাংশ জুড়ে রয়েছে (Northeast Region)।

    অরুণাচলপ্রদেশে ভ্যানাডিয়ামের খোঁজ

    অরুণাচলপ্রদেশ ভারতের প্রাকৃতিক ফ্লেক গ্রাফাইটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অভ্যন্তরীণ উৎস হিসেবে উঠে এসেছে। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, পশ্চিম সিয়াং, পাপুম পাড়ে এবং লোয়ার সুবনসিরি জেলায় প্রচুর মজুত চিহ্নিত করা হয়েছে, এবং এ পর্যন্ত ১৭.৮৯ মিলিয়ন টনেরও বেশি গ্রাফাইট সম্পদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা ব্যাটারি ও রিফ্র্যাক্টরি (উচ্চতাপ প্রতিরোধক) ব্যবহারের জন্য উপযুক্ত মানের। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া জানিয়েছে (Critical Minerals), “এই অঞ্চলের গ্রাফাইট সাধারণত সূক্ষ্ম থেকে মাঝারি ফ্লেকযুক্ত হয়, যার ফিক্সড কার্বন কন্টেন্ট ৫ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত। এটি পরবর্তী পর্যায়ের পরিশোধন এবং লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারির অ্যানোড-সহ উচ্চ-মূল্যবান ব্যবহারের জন্য একটি কার্যকর কাঁচামাল হিসেবে বিবেচিত হয়।” জানা গিয়েছে, অরুণাচলপ্রদেশে আর একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার হল ভ্যানাডিয়াম, যা স্টিল মিশ্র ধাতু এবং অন্যান্য শিল্পক্ষেত্রে ব্যবহৃত একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাতু। জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার অনুসন্ধানে মোট ১৩.৭৯ মিলিয়ন টন ভ্যানাডিয়াম পাওয়া গিয়েছে, যা এই গুরুত্বপূর্ণ মিশ্র ধাতুর ক্ষেত্রে ভারতের প্রথম বড় রকমের উৎস।

    অসম-মেঘালয়ে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস

    জিএসআই জানিয়েছে (Critical Minerals), অরুণাচল প্রদেশের পাপুম পারে জেলায় লোদোসো গ্রামের আশপাশের এলাকায় ২.১৫ মিলিয়ন টন ‘আয়রনসমৃদ্ধ ফিলাইট’ (এক ধরনের রূপান্তরিত শিলা)-এ রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস পাওয়া গিয়েছে। অসম ও মেঘালয়েও রেয়ার আর্থ এলিমেন্টস পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। অসমে রেয়ার আর্থ এলিমেন্টসের ঘনত্ব প্রতি মিলিয়নে ১,০০০ থেকে ৫,০০০ এর মধ্যে। ঘনত্ব প্রতি মিলিয়নের অর্থ হল, প্রতি এক মিলিয়ন অংশের মিশ্রণে কোনও নির্দিষ্ট পদার্থের একটি অংশ। মেঘালয়ে এই ঘনত্বের পরিমাণ প্রতি মিলিয়নে ৩,৬৪৬ থেকে ৫,১০০-র মধ্যে (Northeast Region)।

    লিথিয়াম মজুদ

    জিওলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার রিপোর্টে বলা হয়েছে, অরুণাচলপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড ও অসমে লিথিয়াম মজুদের ইঙ্গিত মিলেছে। ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, “নাগাল্যান্ড ও মণিপুরে অবস্থিত ওফিওলাইট শিলার সঙ্গে সম্পর্কিত নিকেল ও কোবাল্টের লক্ষ্যে সেখানে বিস্তারিত ভূ-রাসায়নিক সমীক্ষা ও শিলাচিত্র বিশ্লেষণ করা হচ্ছে (Critical Minerals)।”

LinkedIn
Share