Tag: crude oil

crude oil

  • India Defies US Pressure: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে দেদার তেল কিনছে মোদির ভারত

    India Defies US Pressure: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে রাশিয়া থেকে দেদার তেল কিনছে মোদির ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ অগ্রাহ্য করে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণে অপরিশোধিত তেল আমদানি করছে ভারত (India Defies US Pressure)। বাজার বিশ্লেষক সংস্থা কেপলারের (Kpler) মতে, শুধু জুন মাসেই ভারত গড়ে প্রতিদিন ২২ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে রাশিয়া (Russian Oil) থেকে, যা গত দু’বছরে সর্বোচ্চ। রাশিয়া থেকে আমদানি করা এই তেলের পরিমাণ ইরাক, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং কুয়েত থেকে যৌথভাবে দৈনিক গড় আমদানির চেয়েও বেশি। গত মে মাসে ভারত গড়ে প্রতিদিন ১৯.৬ লাখ ব্যারেল রাশিয়ান তেল আমদানি করেছিল।

    রাশিয়ান তেলের ওপর নির্ভরতা

    মধ্যপ্রাচ্যে ইরান-ইজরায়েল সংঘাত শুরু হওয়ায় উপসাগরীয় অঞ্চলে তেল সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্নের আশঙ্কায় ভারতীয় কোম্পানিগুলি রাশিয়ান তেলের ওপর নির্ভরতা বাড়িয়েছে। পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে যখন ইরানের পার্লামেন্ট হরমুজ প্রণালী বন্ধ করার সম্ভাবনার কথা ঘোষণা করে। হরমুজ প্রণালী একটি গুরুত্বপূর্ণ সমুদ্র পথ, যা ইরানের নিয়ন্ত্রণাধীন এবং যার মাধ্যমে উপসাগরীয় অঞ্চল থেকে অধিকাংশ অপরিশোধিত তেল রফতানি করা হয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ভারতের রাশিয়ান তেল আমদানির পরিমাণ ব্যাপকভাবে বেড়ে গিয়েছে। ইউক্রেন- রাশিয়া সংঘাতের জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং পশ্চিমের অন্যান্য দেশগুলি মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। যুদ্ধ শুরুর আগে ভারতের মোট অপরিশোধিত তেল আমদানিতে রাশিয়ার অংশ ছিল ১ শতাংশেরও কম। এখন সেই অংশটাই বেড়ে হয়েছে প্রায় ৪০ শতাংশ।

    সবচেয়ে বড় ক্রেতা

    ভারত বর্তমানে রাশিয়ার উরাল-গ্রেড ক্রুড অয়েলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ২০২৫ সালের এ পর্যন্ত উরাল রফতানির ৮০ শতাংশই ভারত কিনেছে। বেসরকারি তেল সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নয়ারা এনার্জি এই আমদানির নেতৃত্ব দিচ্ছে (India Defies US Pressure)। জানা গিয়েছে, ২৪ জুন পর্যন্ত ভারত মোট ২৪১ মিলিয়ন ব্যারেল উরাল ক্রুড আমদানি করেছে। রিলায়েন্স ও নয়ারা একসঙ্গে রাশিয়ার মোট উরাল রফতানির ৪৫ শতাংশ নিয়েছে। এদিকে, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশনের মতো সরকারি তেল সংস্থাগুলি প্রধানত আফ্রিকা ও লাতিন আমেরিকা থেকে তেল আমদানি করে। বর্তমানে তারা কিছু পরিমাণে তেল আমদানি করছে আমেরিকা থেকে (Russian Oil)। প্রসঙ্গত, ভারতের জন্য রাশিয়ান তেলের ছাড়ও কমে গিয়েছে। আগে যেখানে প্রতি ব্যারেলে ৪ মার্কিন ডলার ছাড় পাওয়া যেত, এখন তা কমে হয়েছে ২ মার্কিন ডলার (India Defies US Pressure)।

  • Russia: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়াল ভারত

    Russia: ট্রাম্পের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করেই রাশিয়া থেকে তেল আমদানির পরিমাণ বাড়াল ভারত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে উপেক্ষাই করে চলেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি! ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় অগ্রগতি না হওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মস্কোর (Russia) বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকি দিয়েছেন। তাকে উপেক্ষা করেই এই মে মাসে ভারতীয় তেল শোধনাগারগুলি (Indian Refiners) রাশিয়া থেকে সব চেয়ে বেশি পরিমাণ অপরিশোধিত তেল কিনেছে। এই পরিমাণ মোট মাসিক আমদানির প্রায় ৪০ শতাংশ।

    কী বলছে কেপলার? (Russia)

    বৈশ্বিক বাণিজ্য ডেটা বিশ্লেষক সংস্থা কেপলার জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে রাশিয়া ভারতে পাঠিয়েছিল প্রতিদিন ১.৯৩ মিলিয়ন ব্যারেলের চেয়ে বেশি তেল। আর ২৮ মে পর্যন্ত প্রতিদিন তারা সরবরাহ করেছে ১.৯৫ মিলিয়ন ব্যারেল। বাজারে সব চেয়ে সস্তা তেল আমদানির নীতিই অনুসরণ করেছে নয়াদিল্লি। রাশিয়া ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ যেমন, ইরাক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকেও তেলের আমদানি বাড়িয়েছে ভারত। প্রত্যাশিতভাবেই আগের তুলনায় কমে গিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, নাইজেরিয়া, অ্যাঙ্গোলা এবং কুয়েত থেকে তেল আমদানি। প্রসঙ্গত, ভারতে প্রায় ৯০ শতাংশ তেলের চাহিদাই আমদানির ওপর নির্ভর করে। তাই এটি বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশগুলির একটি।

    তেল কেনা চালিয়ে গিয়েছে ভারত

    রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞার হুমকি সত্ত্বেও ভারত মস্কো থেকে তেল কেনা চালিয়ে গিয়েছে মূলত কমদামের জন্য, বিশেষ করে সাওয়ার গ্রেডের উরাল অঞ্চলের অপরিশোধিত তেলে। প্রসঙ্গত, রাশিয়া ও ইউক্রেন শান্তি আলোচনায় সম্মত না হওয়ায় গত ২৬ মে ৪৭তম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে পাগল আখ্যা দেন। তিনি মস্কোর (Russia) ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির হুমকিও দেন। উল্লেখ্য, রাশিয়ান তেলের ওপর ইতিমধ্যেই আমেরিকার পক্ষ থেকে একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চলতি বছরের জানুয়ারিতে রুশ তেল উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান গাজপ্রম নেফট এবং সুরগুতনেফতেগাজের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিলেন। এর পাশাপাশি মস্কো থেকে তেল পরিবহণকারী প্রায় ১৮০টি ট্যাঙ্কারের ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়। এদিকে, জি-৭ দেশগুলি রফতানি করা রুশ তেলের প্রতি ব্যারেলের মূল্য ধার্য করেছে ৬০ মার্কিন ডলার (Indian Refiners)।

    কী বলছেন সুমিত রিতোলিয়া

    কেপলারের প্রধান তথ্য বিশ্লেষক সুমিত রিতোলিয়া বলেন, “এটি (রাশিয়ান তেল আমদানির উচ্চ হার) ভারতের রাশিয়ান ব্যারেলের ওপর স্থায়ী নির্ভরশীলতা প্রতিফলিত করে, যার পেছনে রয়েছে উল্লেখযোগ্য মূল্যছাড় এবং লজিস্টিক সুবিধা। মোট আমদানির ৭৫ শতাংশ ছিল উরাল গ্রেড, যা সবচেয়ে পছন্দের তেলের তালিকায় শীর্ষে। এরপরেই ছিল সিপিসি এবং ইএসপিও (মিষ্টি গ্রেডের তেল)।” তিনি জানান, মে মাসে উরালের গড় ফ্রি অন বোর্ড মূল্য ছিল প্রতি ব্যারেল প্রায় ৫০ ডলার, যা পশ্চিমি মিত্রদের নির্ধারিত ৬০ ডলারের মূল্যমানের অনেক নীচে। নিষেধাজ্ঞা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “সেগুলির প্রয়োগ এখনও দুর্বল। তাই ভারতীয় তৈল পরিশোধনাগারগুলি রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের নিয়মিত প্রবেশাধিকার বজায় রাখতে পারছে (Russia)।”

    অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ

    প্রসঙ্গত, ভারতীয় তৈল পরিশোধনাগারগুলির মধ্যে রয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত তেল সংস্থাগুলি যেমন, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন, ভারত পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন এবং হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এবং রোসনেফ্ট-সমর্থিত নয়ারা এনার্জি (Indian Refiners)। রিতোলিয়া বলেন, “মে মাসে ভারতে তৈল পরিশোধনাগারের রক্ষণাবেক্ষণজনিত বন্ধের হার এপ্রিলের তুলনায় কম ছিল। তাই অপরিশোধিত তেল আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। রিলায়েন্সের জামনগর রিফাইনারি এপ্রিলের শেষ নাগাদ পরিকল্পিত রক্ষণাবেক্ষণ কাজ সম্পন্ন করেছে। যার ফলে মে মাসে তেলের গ্রহণক্ষমতা বেড়েছে। এটি ভারতের স্বাভাবিক রিফাইনারি রক্ষণাবেক্ষণ চক্রের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ, যেখানে বেশিরভাগ রক্ষণাবেক্ষণ কাজকর্ম এপ্রিল বা মে মাসের শুরুতেই শেষ হয় (Russia)।”

    আমদানির পরিমাণ মধ্য প্রাচ্য থেকে

    জানা গিয়েছে, মে মাসে ভারত প্রতিদিন ১০.৯ লাখ ব্যারেল তেল আমদানি করেছে ইরাক থেকে, সৌদি আরব থেকে আমদানি করেছে ৫.৬৮ লাখ ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে আমদানি করেছে ৪.৯৫ লাখ ব্যারেল এবং ২.২৮ লাখ ব্যারেল আমদানি করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে। অথচ, এপ্রিল মাসে ভারতের তেল আমদানির পরিমাণ ছিল ইরাক থেকে ৮.৩৫ লাখ ব্যারেল, সৌদি আরব থেকে ৫.৩৯ লাখ ব্যারেল, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি থেকে ২.৬৮ লাখ ব্যারেল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৩.৩৭ লাখ ব্যারেল (Indian Refiners)।

    ওয়াকিবহাল মহলের মতে, রাশিয়ান তেলের পাশাপাশি ভারত এখন মধ্যপ্রাচ্য মায় আমেরিকা থেকেও আমদানির পরিমাণ বাড়াচ্ছে। এতে আদতে আসছে ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি মোকাবিলার কৌশলগত বৈচিত্র্য। অর্থনৈতিক প্রয়োজনীয়তা পূরণের দিকটিও রয়েছে (Russia)।

  • Crude Oil: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা 

    Crude Oil: রাশিয়া থেকে আমদানি কমিয়েছে ভারত, বেড়েছে সৌদি আরব থেকে তেল কেনা 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল (Crude Oil) আমদানি (Purchase) কমিয়ে দিয়েছে ভারত। পাঁচ মাসে এই প্রথম বার। রাশিয়া (Russia) থেকে আমদানি কমিয়ে তেল আমদানি বাড়ানো হয়েছে সৌদি আরব (Saudi Arabia) থেকে। 

    চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় রুশ জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে যায়, সেই ক্ষেত্রে অনেকটাই কম দামে সৌদি আরব তেল রপ্তানি করছে। তাই এই সিদ্ধান্ত বলে জানা গিয়েছে। 

    ভারত জুলাই মাসে রাশিয়া থেকে প্রতিদিন ৮ লক্ষ ৭৭ হাজার ৪০০ ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। জুন মাসের থেকে যা ৭.৩ শতাংশ কম। 

    আরও পড়ুন: ১০ সন্তানের জন্ম দিয়ে বাঁচিয়ে রাখলেই ১৩ লক্ষ টাকা, জনসংখ্যা বাড়াতে মরিয়া পুতিন

    ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে রাশিয়া, ইউক্রেন আক্রমণ করার পরে, মস্কোর কাছ থেকে পশ্চিমা দেশগুলি তেল কেনা বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে রাশিয়া থেকে কম দামে প্রচুর তেল কেনা শুরু করে ভারত। 
     
    সামগ্রিকভাবে ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারী দেশ। কিন্তু জুন থেকে জুলাই মাসে ভারত জ্বালানি তেল আমদানি ৩.২ শতাংশ কমিয়েছে। কারণ দেশের কিছু জ্বালানি শোধনাগার অগাস্ট থেকে রক্ষণাবেক্ষণের পরিকল্পনা করছে। 

    আরও পড়ুন: শীঘ্রই আসছে রাশিয়ার প্রতিনিধি দল! সুখোই নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনায় জোর

    এ দিকে সৌদি আরব থেকে ভারতের জ্বালানি তেল আমদানি জুলাই মাসে ২৫.৫ শতাংশ বেড়েছে। এখন ভারত প্রতিদিন সেই দেশ থেকে ৮ লক্ষ ২৪ হাজার ৭০০ ব্যারেল জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। ভারতের জ্বালানি সরবরাহকারীদের মধ্যে সৌদি আরবের অবস্থান এখন তৃতীয়। 

    উল্টোদিকে তেলের চাহিদা বাড়ায় ফের দাম বাড়িয়েছে রাশিয়া। কিন্তু এতে তেলে রপ্তানি তলানিতে ঠেকেছে রাশিয়ার। দৈনিক ২০ লক্ষ ব্যারেলেরও কম তেল বিক্রি হচ্ছে। তাই রাশিয়া এখন তেল রপ্তানির জন্যে নতুন বাজারের সন্ধান করছে। শ্রীলঙ্কা এবং মিশরেও যাচ্ছে রুশ ট্যাঙ্কার। 

    তবে এখন সৌদি আরবই একমাত্র কম টাকায় অপরিশোধিত তেল দিচ্ছে এমনটা নয়। কম দামে পাওয়া যাচ্ছে মার্কিন তেলও। মার্কিন তেলের কম দামেও আকৃষ্ট হয়েছে ভারত এবং কোরিয়া। ফলে বিশ্বের তেল উৎপাদনকারী দেশগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা অব্যহত। 

     

  • Domestic Crude Oil: দেশে উত্তোলন হওয়া অপরিশোধিত তেল বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ তুলল কেন্দ্র

    Domestic Crude Oil: দেশে উত্তোলন হওয়া অপরিশোধিত তেল বিক্রিতে নিয়ন্ত্রণ তুলল কেন্দ্র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এখন থেকে দেশের তেল উত্তোলক এবং উৎপাদনকারী সংস্থাগুলি কোনও শর্ত ছাড়াই দেশের মধ্যে অপরিশোধিত তেল (Crude oil) বিক্রি করতে পারবে। বুধবার এমনই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা (Union cabinet)। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Modi) নেতৃত্বে মন্ত্রিসভার অর্থনৈতিক বিষয়ক কমিটি দেশে উৎপাদিত অপরিশোধিত তেল বিক্রির প্রক্রিয়ার ওপর থেকে নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়ার প্রস্তাবে সম্মতি জানিয়েছে।

    কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১ অক্টোবর থেকে দেশে তৈরি অপরিশোধিত তেল বরাদ্দ করার ক্ষেত্রে কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না। এর ফলে তেল উত্তোলক এবং উৎপাদক সংস্থাগুলির দেশে তেল বিক্রি করার ক্ষেত্রে আর কোনও বাধা থাকল না। এর আগে এই সংস্থাগুলির ওপরে যেসব নিষেধাজ্ঞা চাপানো ছিল তা ১ অক্টোবর থেকে আর কার্যকর হবে না। তবে আগের মতোই বাইরের দেশে তেল রফতানির অনুমতি থাকবে না এই সংস্থাগুলির।

    আরও পড়ুন: দামে ছাড়! রাশিয়ার তেলের সবথেকে বড় ক্রেতা ভারত

    মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এদিন কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর (Anurag Thakur) কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেছেন। এর ফলে দেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে আশাবাদী তিনি। মন্ত্রী এদিন বলেন, “এই সিদ্ধান্তের ফলে অর্থনীতি চাঙ্গা হবে। তেল ও গ্যাস ক্ষেত্রে বিনিয়োগ বাড়বে। কেন্দ্র ২০১৪ সাল থেকে বিভিন্ন সংস্কারমূলক উদ্যোগ বাস্তবায়িত করতে যে পদক্ষেপগুলি নিয়েছে, তার সঙ্গে সাযুজ্য রেখে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। এর ফলে ব্যবসা করার প্রক্রিয়া আরও সহজ হবে। শিল্পের বিষয়ে নানা সিদ্ধান্তও সহজে নিতে পারবেন ব্যবসায়ীরা।”

    আরও পড়ুন: ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া? 

    চলতি মাসেই আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দামে রেকর্ড ছুঁয়েছে। ব্যারেল প্রতি তেলের দাম ১০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। প্রতি ব্যারেল অপরিশোধিত তেল কিনতে ১২২ ডলার দিতে হচ্ছে ভারতকে। ভারতীয় মুদ্রায় যা ৯ হাজার ৫৩৩ টাকার কাছাকাছি। কেন্দ্রের এই নীতি পরিবর্তনে অবস্থার অনেকটাই উন্নতি হবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

  • Russia India Relation: ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?

    Russia India Relation: ভারতের ওপর কি ক্রমশ নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে রাশিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরও বেশি করে ভারতের (India) ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ল রাশিয়া (Russia)। ইউক্রেনে (Ukraine) হামলা চালানোর কারণে ইতিমধ্যেই প্রচুর নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে রাশিয়ার উপর। যার মধ্যে অন্যতম ইউরোপের দেশগুলিতে অপরিশোধিত তেলের রফতানি (Crude oil exports)। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল কেনায় আংশিক নিষেধাজ্ঞা (partial embargo) জারি করেছে ইউরোপ (Europe)। 

    তাই এবার চিন (China) এবং ভারতের ওপর নির্ভর করতে হবে ভ্লাদিমির পুতিনের (Putin) দেশকে। কারণ এই দুই দেশ ছাড়া আর এশিয়ার অন্য কোনও দেশের তেল পরিশোধন করার আধুনিক প্রযুক্তি নেই। তাই অপরিশোধিত তেল (Crude Oil) এই দুই দেশেই রফতানি করতে হবে রাশিয়াকে। 

    পণ্য বিনিময় পদ্ধতিতে এবার রাশিয়া থেকে সার আমদানি ভারতের

    রাশিয়া থেকে জলপথে তেল রফতানি করা হয় পৃথিবীর নানা দেশে। রাশিয়া থেকে জলপথে দুই তৃতীয়াংশ তেল ইউরোপে আসে। জাহাজে আসা তেলের উপরে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (European Union)। এই নিষেধাজ্ঞার ফলে প্রায় সাতাত্তর হাজার কোটি টাকার লোকসান হবে রুশ প্রশাসনের।  

    ব্রাসেলসে এক সম্মেলন শেষে ষষ্ঠবারের জন্যে রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করা হয়। এতে বলা হয়, রাশিয়ার কাছ থেকে তেল আমদানি দুই-তৃতীয়াংশ বন্ধ করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা একমত হয়েছেন। এর ফলে সমুদ্রপথে রাশিয়া থেকে ইউরোপে তেল আমদানি বন্ধ হবে।  

    ইউরোপীয় ইউনিয়নের চাহিদার ২৭ শতাংশ তেল এবং ৪০ শতাংশ গ্যাস রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়। যার মূল্য প্রায় ৪০০ বিলিয়ন ইউরো। এদিকে পোল্যান্ড ও জার্মানি এ বছরের শেষে পাইপলাইনে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি বন্ধ করবে। এতে ইউরোপে রুশ তেল আমদানির পরিমাণ ৯০ শতাংশ কমে যাবে।

    রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনা নিয়ে পশ্চিমি দেশগুলিকে জবাব পীযূষ গোয়েলের 

    ব্রাসেলসে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭টি দেশের সবগুলি অংশ নিয়েছে। এতে রাশিয়ার তেল আমদানি কমিয়ে আনার নিয়ে ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রধান চার্লস মিচেল বলেন, এর ফলে রাশিয়ার যুদ্ধ পরিচালনা করার অর্থের উৎস বন্ধ হবে। এছাড়া রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ব্যাংক এবং তিনটি রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার মাধ্যমের উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞা দেবার ব্যাপারে ইউরোপীয় নেতারা একমত হয়েছে। 

    ইউরোপের এই সিদ্ধান্তের ফলে নতুন বাজার ধরতে হবে রুশ প্রশাসনকে। সেই ক্ষেত্রে রাশিয়ার সামনে একমাত্র বাজার এশিয়া। যেখানে বেশিরভাগ দেশেরই তেল পরিশোধ করার প্রযুক্তি নেই। তাই অপরিশোধিত তেল রপ্তানির বিষয়ে ভারত এবং চিনের মুখের দিকেই তাকিয়ে থাকতে হবে রাশিয়াকে। 

     

  • Mukesh Ambani: যুদ্ধের আবহে তেল বেচে বিপুল লাভ মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্সের

    Mukesh Ambani: যুদ্ধের আবহে তেল বেচে বিপুল লাভ মুকেশ আম্বানির সংস্থা রিলায়েন্সের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  কারও পৌষমাস, তো কারও সর্বনাশ! রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে (Ukraine Russia war) ফি-দিনই প্রাণ খোয়াচ্ছেন দুই দেশের মানুষ। ভিটে-মাটি ছেড়ে পাড়ি দিচ্ছেন প্রতিবেশী কোনও দেশের শরনার্থী শিবিরে। সর্বনাশের এই দিকের উল্টো ছবিও আছে। সেখানে শুধুই লাভের কড়ি ঘরে তুলছেন এক শ্রেণির ব্যবসায়ী। মাস দুয়েকের যুদ্ধে কয়েক মিলিয়ন মুদ্রা লাভ করেছে ব্যবসায়ী মুকেশ আম্বানির সংস্থা।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে। মাসদুয়েক পেরিয়ে গেলেও, যুদ্ধ থামার আশু কোনও লক্ষণ নেই। প্রত্যাশিতভাবেই যুদ্ধ বিধ্বস্ত দুই দেশেই মূল্যবৃদ্ধি লাগাম ছাড়া। তবে যুদ্ধের এই আবহে যখন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দামের লেখচিত্র ঊর্ধ্বমুখী, তখন রাশিয়ায় হু-হু করে পড়ছে অশোধিত তেলের (crude oil) দর। তার জেরেই লাভবান হচ্ছে মুকেশের (Mukesh ambani) কোম্পানি। মুকেশের কোম্পানি রিলায়েন্সের লাভের সিংহভাগ আসে অশোধিত তেল শোধন করে বিক্রি করে। অঙ্কের হিসেবে প্রায় ৬২ শতাংশ। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে তেল বেচেই কোটি ডলার রোজগার করছে মুকেশের সংস্থা। 

    ইউক্রেন (Ukraine) যুদ্ধ শুরুর পরে পরেই রাশিয়া থেকে জ্বালানি কেনায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে আমেরিকার জো বাইডেন (Joe Biden) সরকার। ইউরোপীয় ইউনিয়নের (European Union) ন্যাটোর (NATO) অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিও কার্যত বয়কট করে রাশিয়াকে। স্বাভাবিকভাবেই তেলের খদ্দের জোটেনি। অর্থনীতির নিয়মেই তলানিতে তেলের দাম। এমতাবস্থায় ব্যারেল ব্যারেল তেল কিনেছে বিভিন্ন রিফাইনারি কোম্পানিগুলি। এর মধ্যে রয়েছে মুকেশের সংস্থাও। গত ত্রৈমাসিক হিসেবে দেখা যাচ্ছে, মাস দুয়েকের এই যুদ্ধের আবহে কয়েক মিলিয়ন ডলার লাভ করেছে আম্বানি গোষ্ঠী।

    মুকেশের কোম্পানি রিলায়েন্সের যমজ রিফাইনারি (Oil refinery) কারখানা রয়েছে এদেশেই। ওই দুই কারখানা থেকে প্রতিদিন ১.৪ মিলিয়ন ব্যারেল অশোধিত তেল শোধন হয়। তেলের গুণমান ভাল হওয়ায় বিক্রিবাটাও বেশ ভাল। প্রত্যাশিতভাবেই লাভের কাঁড়ি কাঁড়ি কড়ি উঠেছে আম্বানির ঘরে।

    খর বৈশাখেই আম্বানির পৌষমাস!

     

LinkedIn
Share