Tag: cv bose

cv bose

  • Jangipur Violence: জঙ্গিপুর হিংসায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু-মালব্যর, উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের

    Jangipur Violence: জঙ্গিপুর হিংসায় মমতাকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু-মালব্যর, উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদের উমরপুরে উন্মত্ত জনতার তাণ্ডব। এই আবহে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে জঙ্গিপুরে ১৬৩ ধারা জারি করা হয়েছে। জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) পরিস্থিতির ওই এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। এনিয়ে মঙ্গলবার বিকেলেই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ করতে রাজ্য পুলিশ একেবারে ব্যর্থ বলে মন্তব্য করেছেন বিরোধী দলনেতা। জঙ্গিপুরকাণ্ডে মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য। অমিত মালব্যর মতে, অনুপ্রবেশের কারণেই পশ্চিমবঙ্গের জনবিন্যাস বদলে গিয়েছে। বর্তমানে এই রাজ্য আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিয়ন্ত্রণে নেই। জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) পরিস্থিতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করতে দেখা গেল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকেও। এই নিয়ে রাজভবনের তরফ থেকে একটি বিবৃতি জারি করা হয়েছে। তাতেই রাজ্য প্রশাসনকে সতর্ক করেছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অন্যদিকে, বুধবার হিংসা ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের সুতিতে। নয়া ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদে চলে। জাতীয় সড়কে আন্দোলন চলার জন্য দাঁড়িয়ে পড়ে গাড়ি। যানজটের সৃষ্টি হয়।

    উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হিংসা ছড়ানো হয়েছে, বললেন রাজ্যপাল

    রাজ্যপাল জঙ্গিপুরের (Jangipur Violence) হিংসা নিয়ে নিজের বিবৃতিতে বলেন, ‘‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হিংসা ছড়ানো হয়েছে। এটা কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা উচিত নয়। যেভাবে শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমী মিটেছে, তা থেকেই স্পষ্ট বোঝা গিয়েছে যে প্রশাসন হিংসা নিয়ন্ত্রণে সক্ষম। আর মানুষও কোনও ভাবে অশান্তি চায় না। শান্তি বিঘ্নিত করার যে কোনও চেষ্টাকে তাই কঠোর হাতে দমন করা উচিত।’’

    সমাজমাধ্যমে কী লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, ‘‘রাষ্ট্রপতির সইয়ের পর ওয়াকফ সংশোধনী বিল ইতিমধ্যে দেশের আইনে পরিণত হয়েছে। সেই আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের নামে মুর্শিদাবাদে ফের তাণ্ডব শুরু করেছে শান্তিপূর্ণ সম্প্রদায়ের সদস্যরা। নাগরিকত্ব আইন বিরোধী প্রতিবাদের মতো ফের সরকারি ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নষ্ট করা শুরু করেছে দুষ্কৃতীরা। এটা অসহমতি জানানোর পদ্ধতি নয়। এটা অসহমতি জানানোর নামে ধ্বংসলীলা যা সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক।’’

    পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ

    তিনি আরও লিখেছেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ ও প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ। কারণ তারা শাসকদলের ভোটব্যাঙ্ক রক্ষা করতে চোখ বন্ধ করে রয়েছে।’’ শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ‘‘আমি মুখ্যসচিব ও মুর্শিদাবাদের জেলাশাসককে অনুরোধ করব আপনারা রাজ্যপাল ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের আবেদন জানান। কারণ পুলিশ যে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছে না তা স্পষ্ট। এটাই আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার একমাত্র উপায়।’’

    মমতা সরকারকে তীব্র আক্রমণ অমিত মালব্যর

    মমতা সরকারের বিরুদ্ধে অমিত মালব্য নিজের এক্স মাধ্যমের পোস্টে লেখেন, ‘‘অন্য রাজ্যে হিংসা (Jangipur Violence) ছড়ালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চটজলদি কুমিরের কান্না শুরু করে দেন। তবে যখন মুর্শিদাবাদে তাঁর ভোটব্যাঙ্করা হিংসা ছড়ায়, তখন তিনি নীরব হয়ে যান। তিনি তখন ইন্টারনেট বন্ধ করে দেন সত্যিটা ধামাচাপা দেওয়ার জন্যে। এই একই মমতা যখন অন্য রাজ্যের ঘটনা নিয়ে সরব হন, নিজের রাজ্যে সেন্সরশিপের মাধ্যমে তথ্য চাপা দিচ্ছেন। জঙ্গিপুরের মতো জায়গায় ইন্টারনেট বন্ধ করা হয়েছে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য নয়, সত্যিটাকে ধামাাপা দেওয়ার জন্যে। সেখানে ওয়াকফের নামে রেললাইনে যে তাণ্ডব চলেছে, সেই তথ্য চাপা দিতে চাইছে সরকার।’’

    সংবিধানের প্রতি বিন্দুমাত্র আস্থা নেই মমতার, তোপ মালব্যর

    অমিত মালব্য আরও লেখেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল চেহারা হল সংবিধানের প্রতি তাঁর বিন্দুমাত্র সম্মান নেই, সুপ্রিম কোর্টকে তিনি মানেন না। তাঁর পুলিশ মিথ্যা দাবি করে যে সব কিছু নিয়ন্ত্রণে আছে। সেই ফাঁকে দিনের পর দিন ব্ল্যাকআউট জারি করা ছাকে। যদি সবকিছু নিয়ন্ত্রণেই থাকে, তাহলে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে রাখা হয়েছে কেন? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী লুকোতে চাইছেন? নাকি যে মানুষটা সিএএ প্রতিবাদের সময় ‘কা কা ছি ছি’ গেয়েছিলেন, ওয়াকফের বিরুদ্ধে গান গাওয়ার জন্যে তাঁর আর কণ্ঠস্বর নেই?’’

    জঙ্গিপুরে হিংসা (Jangipur Violence)

    এক্ষেত্রে উল্লেখ করা দরকার, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতার নামে মঙ্গলবার দুপুরে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের উমরপুরে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে একদল উন্মত্ত জনতা। ১২ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে চলছিল অবরোধ। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিক্ষোভকারীরা। এরপরে পুলিশের সঙ্গে ব্যাপক খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় অবরোধকারীদের। এর আগের দু’দিনও সুতি, সামশেরগঞ্জ, রঘুনাথগঞ্জ এলাকায় দফায় দফায় বিক্ষোভ চলেছিল ওয়াকফ সংশোধনীর বিরুদ্ধে। সেসময়ও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে ব্যাপক ইটবৃষ্টি। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় একের পর এক পুলিশের গাড়িতে। উন্মত্ত জনতার আক্রমণে ২ জন পুলিশকর্মী আহত হন বলে খবর মিলেছে। এর ফলেই দীর্ঘক্ষণ অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে জাতীয় সড়ক। সন্ধ্যার পরে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়। এরপর টিয়ার গ্যাসের সেল ফাটিয়ে তাণ্ডবকারীদের রাস্তা থেকে কোনওভাবে সরানো হয়। প্রায় ২ ঘণ্টা ধরে চলে খণ্ডযুদ্ধ।

  • Governor CV Bose: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

    Governor CV Bose: ‘‘দুর্নীতির আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে’’, তোপ বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আরজিকর হাসপাতালে ধর্ষণ-খুন (RG Kar Rape Murder) এবং তার পরে হামলাকাণ্ডের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (Governor CV Bose)। মমতা, যিনি একইধারে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও বটে, তাঁকে ‘‌জেকিল এবং হাইডের’ সঙ্গে তুলনা করলেন।

    ‘দুর্নীতির আঁতুড়ঘর আরজি কর’

    আরজি কর (RG Kar Rape Murder) হাসপাতালকে দুর্নীতির আঁতুড়ঘর বলে শুক্রবারই তোপ দাগলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে রাজ্যপাল বলেন, ‘‘দুর্নিতীর আতুঁড়ঘর আরজি কর, হিমশৈলের চূড়া সবে দেখা যাচ্ছে।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমি ওই হাসপাতাল থেকে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি।’’ রাজ্যপাল (Governor CV Bose) এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করে বলেন, ‘‘জেকিল এবং হাইডের মতো আচরণ করছেন। আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Rape-Murder) ঘটনায় মুখ্য়মন্ত্রীকে দীর্ঘ চিঠি লিখেছিলাম। পদক্ষেপ করার পরামর্শ দিয়েছিলাম। সংবিধানের ১৬৭ ধারায় রিপোর্টও চেয়েছিলাম। গত পাঁচ বছরে এমন ৩০ চিঠি পাঠিয়েছি। কোনও উত্তর পাইনি। এটা অসাংবিধানিক। মুখ্যমন্ত্রী বলছেন অভিযুক্ত ফাঁসি দাও এবং তারপর বিচার চলুক। মুখ্যমন্ত্রী জেকিল এবং হাইডের মতো আচরণ করছেন।’’

    আরজি করে দুষ্কৃতী তাণ্ডব নিয়ে কী বলছেন বোস (Governor CV Bose)

    অন্যদিকে, গত ১৪ অগাস্ট মেয়েদের রাত দখলের কর্মসূচির মধ্যেই ব্যাপক দুষ্কৃতী তাণ্ডব চলে আরজি কর হাসপাতালে (RG Kar Rape-Murder)। ভাঙচুর চালানো হয় হাসপাতালের একাধিক ওয়ার্ডে। জরুরি বিভাগও তাণ্ডব থেকে রেহাই পায়নি। নার্স-ডাক্তারদের ওপরেও হামলা চালানো হয়। পুলিশকে ভয়ে লুকোতে হয়। এনিয়েও মমতা প্রশাসনকে কাঠগড়ায় তুলেছেন রাজ্যপাল। তাঁর মতে, ‘‘পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে এর মোকাবিলা করতে।’’

    তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা? বিস্ফোরক রাজ্যপাল

    তথ্য প্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে বলেও রাজ্যপাল (Governor CV Bose) বিস্ফোরক অভিযোগ এনেছেন। সংবাদসংস্থা এএনআই–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে রাজ্য বলেন, ‘‘আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে যাই হোক না কেন, তা অত্যন্ত লজ্জাজনক। সাধারণ মানুষ ক্ষুব্ধ। তথ্যপ্রমাণ লোপাটের চেষ্টা করা হয়েছে। ওই তরুণী চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করে তদন্তের মোড় ঘোরানোর চেষ্টাও হয়েছে।’’

    পুলিশের তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল

    আরজি কর ইস্যুতে (RG Kar Rape-Murder) পুলিশের তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন তোলেন রাজ্যপাল (Governor CV Bose)। তাঁর কথায়, ‘‘আমি হাসপাতালে গিয়ে দেখেছি আন্দোলনকারীরা সুবিচারের দাবিতে সরব হয়েছেন। প্রায় প্রত্যেকে তাঁদের পাশে আছে। আমাদের উচিত তাঁরা যাতে সুবিচার পান, সেই ব্যবস্থা করা। এই মামলায় অবশ্যই পুলিশের ব্যর্থতা আছে। মানুষের মনে সন্দেহ জাগছে, কে পুলিশ আর কে চোর? পুলিশ যেভাবে তদন্ত করেছে, তাতে আমি সন্তুষ্ট নই।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bratya Basu: ফের রাজ্য বনাম রাজ্যপাল! শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ বোসের

    Bratya Basu: ফের রাজ্য বনাম রাজ্যপাল! শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্যকে মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের একবার রাজ্য বনাম রাজ্যপাল বিতর্ক সামনে! রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে (Bratya Basu) মন্ত্রিসভা থেকে সরানোর সুপারিশ করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজভবন সূত্রে খবর, এই সুপারিশের নেপথ্যে রয়েছে, গত ৩০ মার্চের একটি ঘটনা।

    কেন সরানোর সুপারিশ? 

    প্রসঙ্গত, গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের মধ্যেই তৃণমূলের অধ্যাপক সংগঠনের একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল ৩০ মার্চ। বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। ভোটের প্রচার নিয়েও কথা বলা হয় সেদিন। গত মার্চ মাসের ১৬ তারিখ ঘোষণা হয়েছে নির্বাচন। ভোট ঘোষণার পরেই লাগু হয়ে যায়, আদর্শ আচরণ বিধি। বিধি লাগু হওয়ার পর থেকে ক্যাম্পাসের মধ্যে প্রচার করা কতটা সঙ্গত তা নিয়েই ওঠে প্রশ্ন। সেই ঘটনাতেই ব্রাত্য বসুর বিরুদ্ধে নির্বাচনী ভঙ্গের অভিযোগ ওঠে। এরপরেই তাঁকে মন্ত্রিসভা সরানোর সুপারিশ করেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস।

    রাজ্যপালের বিবৃতি

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত নতুন কিছু নয়। একাধিক ইস্যুতে দুতরফের বিবাদ সামনে এসেছে। রাজভবনের তরফে জারি করা এই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘রাজ্য সরকারের উচ্চ শিক্ষা দফতরের বেআইনি আদেশে যে সকল উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ স্তব্ধ করে রেখেছেন, আচার্য তাঁদের সতর্ক করছেন।’’ রাজ্য সরকারের নানা ভূমিকা নিয়েই সমালোচনা করেন রাজ্যপাল। রাজভবনের সামনে তৃণমূলের বুদ্ধিজীবী সংগঠনের বিক্ষোভও (Bratya Basu) দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে বিতর্ক গত বছরেই সামনে এসেছে। এরপরে ফের লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য-রাজ্যপাল বিতর্ক দেখা গেল। প্রসঙ্গত, রাজ্য জুড়ে গত পঞ্চায়েত ভোটের সময় হিংসা ছড়ায়। প্রতিক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে শাসক দলের বিরুদ্ধে। তখনও রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করতে শোনা গিয়েছিল রাজ্যপালকে। খুলেছিলেন পিস রুমও। এবারের লোকসভা ভোটও যাতে অবাধ হয়, সেই লক্ষ্যে রাজভবন কাজ করবে বলে জানিয়েছেন সিভি বোস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ‘‘হয় শাহজাহানকে ধরুন, নয়তো ৭২ ঘণ্টায় রিপোর্ট জমা দিন’’, রাজ্যকে ডেডলাইন বোসের

    Sandeshkhali: ‘‘হয় শাহজাহানকে ধরুন, নয়তো ৭২ ঘণ্টায় রিপোর্ট জমা দিন’’, রাজ্যকে ডেডলাইন বোসের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহানের গ্রেফতারি ইস্যুতে রাজ্য সরকারকে ফের কড়া বার্তা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের। প্রসঙ্গত, গতকাল সোমবারই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, শাহজাহান শেখের গ্রেফতারিতে কোনও বাধা নেই রাজ্য পুলিশের। ঠিক এই আবহে রাজ্যপাল বোসের কড়া বার্তা মমতা সরকারের উদ্দেশে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শেখ শাহজাহানকে গ্রেফতার (Sandeshkhali) করুক রাজ্য। আর যদি না পারে, তাহলে কেন গ্রেফতার করা গেল না সেই বিষয়ে আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারণ জানাতে হবে রাজ্যকে। সোমবার সন্ধ্যায় একেবারে ডেডলাইন বেঁধে দিলেন রাজ্যপাল।

    কালপ্রিটকে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে….

    উল্লেখ্য, সোমবার প্রধান বিচারপতি শাহজাহানের গ্রেফতারি (Sandeshkhali) নিয়ে বলেন, ‘‘শেখ শাহজাহানকে এই মামলায় যুক্ত করা হোক। কিন্তু কীভাবে করা হবে? তিনি তো পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। পুলিশ তো তাঁকে ধরতে পারছে না।’’ এর ঠিক পরেই সরব হতে দেখা যায় রাজ্যপালকে। রাজ্যপাল বলেছিলেন, ‘‘কালপ্রিটকে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে। গ্রেফতার না করার জন্য কোনও অজুহাত আর থাকতে পারে না। তিনি (শাহজাহান) গ্রেফতার হবেন, তাঁকে অবশ্যই গ্রেফতার করতে হবে।’’ এবার রাজভবন থেকে রাজ্যের উদ্দেশে কড়া বার্তা সামনে এল।

    খুনের মামলায় চার্জশিট থেকে নাম বাদ শাহজাহানের

    হাইকোর্টের নির্দেশের পরপরই তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ ভবিষ্যদ্বাণী করেন, আগামী সাত দিনের মধ্যে গ্রেফতার হবেন শেখ শাহজাহান। এখানেই সন্দেহ দানা বাঁধছে। প্রশ্ন উঠছে তবে কি তৃণমূলই কোথাও লুকিয়ে রেখেছে শাহজাহানকে। শাহজাহান ইস্যুতে রাজ্য পুলিশের ভূমিকায় সন্দেশ প্রকাশ করতে আগেই দেখা গিয়েছে উচ্চ আদালতকে। এখন দেখার প্রায় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ শাহজাহানকে (Sandeshkhali) পুলিশ ধরতে পারে কিনা! অন্যদিকে, শাহজাহানের বিরুদ্ধে একাধিক পুরনো মামলাতে পুলিশ কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে। ২০১৯ সালে তিন বিজেপি কর্মীকে খুনের অভিযোগ ওঠে শাহজাহানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিজেপির অভিযোগপত্রে নাম থাকা শেখ শাহজাহানের নাম নেই চার্জশিটে। এখানেই পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন ওঠে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালি যেতে বাধা, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ তথ্যসন্ধানী দলের, রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালি যেতে বাধা, রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ তথ্যসন্ধানী দলের, রাষ্ট্রপতি শাসনের সুপারিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) যাওয়ার পথে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছিল দিল্লি থেকে আসা তথ্যসন্ধানী দল। কলকাতা পুলিশ ওই দলকে গ্রেফতারও করেছিল। পরে জামিনে মুক্ত হয়ে রবিবার রাতেই পাটনা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এল নরসিংহ রেড্ডির নেতৃত্বাধীন ওই দল সাক্ষাৎ করল রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, সেখানে রাষ্ট্রপতি শাসনের দাবিও জানিয়েছে ওই দল। রাজভবন থেকে বেরিয়ে এসে তাঁরা বলেন, ‘‘মহিলা কমিশন, এসসি কমিশনের মতো আমরাও মনে করি রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হওয়া উচিৎ। তবে রাজ্যপাল বিষয়টি দেখছেন। এ রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা যে পুরোপুরি বিধ্বস্ত তা মানতেই হবে।’’

    টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় দলকে

    শনিবার বিকেলেই দিল্লি থেকে আসে ছ’সদস্যের ওই তথ্যসন্ধানী দল। রবিবার তাঁরা সন্দেশখালির (Sandeshkhali) উদ্দেশে রওনা হন। ধামাখালি হয়ে সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, মাঝেরপাড়া, নতুনপাড়া, নস্করপাড়ায় যাবার পরিকল্পনা ছিল তাঁদের। কিন্তু ভোজেরহাটেই দলটিকে আটকানোর অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। পুলিশের সঙ্গে তখনই বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা অবাধে সেখানে কীর্তন নাচ-গান করতে পারলেও এক্ষেত্রে পুলিশের পক্ষ থেকে তাদের যুক্তি দেখানো হয় ১৪৪ ধারার। কিন্তু পুলিশের এমন যুক্তি মানতে রাজি না হওয়ায়, তথ্যসন্ধানী দলের সদস্যদের টেনেহিঁচড়ে প্রিজন ভ্যানে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। একপ্রকার বেআইনিভাবেই গ্রেফতার করা হয় তাঁদের।

    ডিজির কাছে রিপোর্ট তলব রাজ্যপালের 

    এর পর রবিবার রাতেই ওই দল সোজা চলে যায় রাজভবনে। গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে দলটি। রাজভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, তথ্যসন্ধানী দলের সঙ্গে সাক্ষাতের পরেই রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমারের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করেছেন রাজ্যপাল। রাজভবন সূত্রে আরও খবর, এদিন তথ্যসন্ধানী দল রাজ্যপালকে যে চিঠি দিয়েছেন, তাতে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) আইনের শাসন একেবারেই নেই। সাধারণ নির্দোষ মানুষকে গ্রেফতার করা হচ্ছে। রাজ্যপালকে এই ঘটনায় হস্তক্ষেপ করার অনুরোধ করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cv Bose: ‘‘কে কালপ্রিট সকলেই জানে, অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক’’, সন্দেশখালি ইস্যুতে কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    Cv Bose: ‘‘কে কালপ্রিট সকলেই জানে, অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক’’, সন্দেশখালি ইস্যুতে কড়া বার্তা রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালির ঘটনায় ৮ দিন পার। অথচ মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহান এখনও গ্রেফতার হয়নি। বিরোধীদের অভিযোগ, রাজ্য সরকারই তাকে বহাল তবিয়তে রেখেছে। এনিয়ে মুখ খুললেন রাজ্যপাল। সিভি আনন্দ বোস (Cv Bose) বলেন, ‘‘কে কালপ্রিট সকলেই জানে। যদি না ধরা যায়, কেন ধরা যাচ্ছে না, সর্বসমক্ষে বলা হোক। সত্যি বলা হোক। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।” এর আগে শাহজাহান ইস্যুতে রাজ্যপাল জরুরিভাবে তলব করেছিলেন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে।

    সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা

    রাজ্যপাল (Cv Bose) আরও বলেন ‘‘এখন রাজ্য সরকারের অ্যাকশন নেওয়া উচিত। কোনও অজুহাত দেখানো উচিত নয়। আইনশৃঙ্খলার অবনতি এবং খারাপ জিনিসকে বন্ধ করতে না চাওয়া কখনওই সহ্য করা হবে না। সংবিধান রয়েছে, আদালত রয়েছে এবং রাজ্যপাল রয়েছেন। আইন অনুযায়ী যা করার করা হবে।’’

    পুরুলিয়ার ঘটনা নিয়ে কী বললেন রাজ্যপাল?

    গঙ্গাসাগরে যাওয়ার পথে ৩ সন্ন্যাসী গণপিটুনির শিকার। এনিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। গতকালই পুরুলিয়ার ঘটনাকে পালঘরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। শনিবার এনিয়েও মুখ খুললেন রাজ্যপাল সিভি বোস (Cv Bose)। রাজ্যপাল বলেন, ‘‘পুরুলিয়ায় যা ঘটেছে, সেটা অত্যন্ত অসম্মানজনক। শোচনীয় ঘটনা। সাধুদের উপর আক্রমণ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আক্রমণ বলেই ধরা হবে। আমি সাধুদের উপরে আক্রমণের তীব্র নিন্দা করি। রাজ্যপালের কাজ শুধু রিপোর্ট চাওয়া নয়, অ্যাকশনও (ব্যবস্থা) নেওয়া। রিপোর্টের টাইম শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন অ্যাকশনের সময়। নির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অ্যাকশন নিতে হবে।’’ প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশ থেকে আসা ওই সাধুরা পুরুলিয়ার কাশীপুরের গৌরাঙ্গডি গ্রামে পৌঁছে তিন নাবালিকাকে রাস্তা জিজ্ঞাসা করেন। এতেই তাঁদের অপহরণকারী সন্দেহে গাড়ি থেকে নামিয়ে মারধর শুরু করেন গ্রামবাসীদের একাংশ। ভাঙচুর করা হয় গাড়ি। পরে স্থানীয় মানুষজন ঘটনাস্থলে হাজির হয়ে তাঁদের উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থলে পৌঁছান বিজেপি সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro Route: দেশের মধ্যে প্রথম! গঙ্গার তলায় মেট্রোপথের উদ্বোধন মোদির, করলেন সফরও

    Kolkata Metro Route: দেশের মধ্যে প্রথম! গঙ্গার তলায় মেট্রোপথের উদ্বোধন মোদির, করলেন সফরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গার তলায় মেট্রো লাইনের (Kolkata Metro Route) উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার রাত্রিতেই কলকাতায় পা দেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সকাল ১০টা ১০ নাগাদ সড়কপথে রাজভবন থেকে এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনে পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী। উদ্বোধন করেন ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড থেকে হাওড়া ময়দান পর্যন্ত ৪.৮ কিলোমিটার রুট। গঙ্গার তলায় এই মেট্রো চালু হওয়ার ফলে সংযুক্ত হল হাওড়া ও কলকাতা। জলের তলায় মেট্রো লাইন রয়েছে ৫২০ মিটার। এই পথ অতিক্রম করতে মেট্রোর সময় লাগবে ৪৫ থেকে ৫০ সেকেন্ড মতো। প্রসঙ্গত, দেশের মধ্যে প্রথম কোনও রাজ্যে চালু হল এমন ‘আন্ডার ওয়াটার মেট্রো লাইন’। এদিন মেট্রো প্রকল্পের (Kolkata Metro Route) উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে হাজির ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার, পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সমেত অন্যান্য আধিকারিকরা।

    মেট্রো সফরে জমিয়ে আড্ডা দেন প্রধানমন্ত্রী 

    এসপ্ল্যানেডের মেট্রো স্টেশন পরিদর্শন করার পরেই তিনি (নরেন্দ্র মোদি) সোজা নেমে আসেন প্ল্যাটফর্মে। সেখানে দুটি বিশেষ মেট্রো তাঁর জন্য রাখা ছিল আগে থেকেই। একটিতে উঠে পড়েন তিনি। ওই মেট্রোর কামরায় থাকা ছাত্রদের-ছাত্রীদের ডেকে পাশে বসিয়ে নেন নমো। মেট্রো সফর করতে করতে পড়ুয়াদের সঙ্গে জমিয়ে আড্ডা দিতেও দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীকে।

    বারাসতের কাছারি ময়দানের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী

    মেট্রো পথের যে অংশটি গঙ্গার নীচে দিয়ে গিয়েছে, সেই অংশটি নীল আলো এবং জলজ প্রাণীর লাইটিং দিয়ে সাজিয়েছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। মেট্রো সফরে জানালা থেকে সেগুলিকে পর্যবেক্ষণ করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর হাওড়া ময়দানে পৌঁছে সেখান থেকে হেলিপ্যাডের কাছে যান তিনি। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে সোজা উড়ে যান বিমানবন্দরে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বারাসতের কাছারি ময়দানের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা? মুখ্যসচিবকে চিঠি রাজ্যপালের

    CV Ananda Bose: ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা? মুখ্যসচিবকে চিঠি রাজ্যপালের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন। ওই দিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে মুখ্যসচিব বিপি গোপালিককে চিঠি দিয়ে তা জানতে চাইলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। বছরভর রাজ্য সফর করেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। ছুটে যান এপ্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত। এককথায় গোটা রাজ্যকে হাতের তালুর মতো চেনেন সিভি আনন্দ বোস। তিনি জানেন রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা ঠিক কী রকম। অতীতে বিবিন্ন ভোটের সময়, কেন্দ্রীয় বাহিনীর তদন্তে অথবা রাম নবমীকে কেন্দ্র করে প্রশ্নের মুখে পড়েছে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা। তাই রাম মন্দিরের উদ্বোধনের আগে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে খোঁজ নিলেন তিনি। এমনটাই মত ওয়াকিবহাল মহলের।

    আগেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলেছিলেন শুভেন্দু

    অযোধ্যায় রাম মন্দিরের উদ্বোধনের দিন উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সমেত দেশ-বিদেশের বিশিষ্টজনেরা। ২২ জানুয়ারি কলকাতায় ‘সংহতি মিছিল’-এর ডাক দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার মিছিলে রাজ্যে সম্প্রীতির পরিবেশ নষ্ট হতে পারে তাই তা পিছিয়ে দেওয়ার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ঠিক রাখতে ওই দিন স্থানে স্থানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার আর্জিও জানান বিরোধী দলনেতা। যদিও, শাসক দলের কর্মসূচিতে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি দিয়েছে হাইকোর্ট।

    আরও পড়ুন: উদ্বোধনের মুখে রাম মন্দির, কাটোয়ার করসেবক শোনালেন ১৯৯২ সালের অভিজ্ঞতা

    ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা গুরুত্বপূর্ণ

    ফলে, একদিকে মমতার মিছিল আবার ওইদিন বিভিন্ন স্থানে ধর্মীয় অনুষ্ঠানও চলবে রাম মন্দিরের উদ্বোধনে। সেক্ষেত্রে ২২ জানুয়ারি রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এম আবহে ওইদিন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য কী কী পদক্ষেপ করা হচ্ছে, তা বৃহস্পতিবারই জানতে চাইলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)। চিঠিও দিলেন মুখ্যসচিবকে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে রাজ্যপালও যে সর্বদা চিন্তিত থাকেন এই চিঠিই তার প্রতিফলন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share